ইউ এফ ও
লেখক: সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
শিল্পী:
মেঘলা দিনে একলা ঘরে কেমন করে মন।
জানলা খানা খুলে দিতেই মেঘের আলাপন।
কালো মেঘের আনাগোনা, বাতাস বড় ভারী,
অন্ধকারের সামিয়ানায়, চোখ চাইতে নারি!
তারি মাঝে দেখি হঠাত আকাশের ওই কোনে,
বিশাল কালো আরেকটা কি আসছে এদিক পানে।
মেঘ নয়ত? না না এতো বিশাল বপুখান!
সুনির্দিষ্ট গতিবেগে উড়ুক্কু এক যান!
হাঁ করে রই, বাক্যি মুখে সরে না আর গো
এইটা কি সেই বহু আলোচিত ইউ এফ ও?
লাল নীল কত আলোর মালা জ্বলছে তাহার গায়ে,
আমার বাড়ির উপরে এসে যানটি থেমে যায়।
উত্তেজনায় তুড়ুক লাফে আমি ছুটি ছাদে,
বুকের মাঝে ঢিপ ঢিপানি – হঠাত প্রচন্ড নিনাদে –
দরজা খুলে তাকিয়ে দেখি, যানের পেটটি গেছে খুলে,
সেখান থেকে দড়ির এক মই পড়েছে ঝুলে।
মই বেয়ে যে নামল – একি চোখের ভুল না সত্যি?
দিব্যি গেলে বলছি আমি, বানানো না একরত্তি।
কোথায় যেন দেখেছি একে, কতযুগের আগে,
স্বপ্ন মাঝেও হতে পারে, কেমন দে–জা–ভু টাইপ লাগে।
পরিচিত সেই লোকটি আমায় হাত ঝাঁকিয়ে বলে,
এতদিন পর আবার মিলন – বন্ধু গেছ ভুলে?
কয়েকটা তো শতক পার, তাতেই এ বিস্মৃতি?
এইজন্যেই ভিনগ্রহীদের এহেন দুর্গতি।
অবাক আমি, ভীষন অবাক – এ কি শুধায় মোরে?
চিমটি কেটে পরখ করি আমি নেই তো ঘুমের ঘোরে?
না তো – বেশ দিব্যি লাগে চিমটি আমার হাতে।
সামনে দেখি দাঁড়িয়ে সেই ভিনগ্রহী সাক্ষাতে।
মুচকি হেসে বলে ভায়া, অনেক তো হলো
তল্পি নিয়ে এবার দেখি নিজের বাড়ি চল।
নিঃশব্দে হেসে উঠি, এবার পড়েছে মনে।
অনেকদূরে আছি আমি, প্রক্সিমারই কোনে।
সেখান থেকে নিতে হবে বিদায় এবার মোরে,
অনেকদিন তো হয়ে গেল এই একই বেশ ধরে।
সুপ্রিয় ওই দাঁড়িয়ে হোথায়, হেথায় বিশ্বদীপ।
সবই এখন নিঁখুতভাবে মনে পড়ছে ঠিক।
গ্রহ ছাড়ার আগে করি বজ্রনির্ঘোষ।
আমি এক, আমি অনন্য, ভিনগ্রহী দীপ ঘোষ!!
দারুণ দারুণ! মারকাটারী যাকে বলে! 😀