কল্পবিজ্ঞানের পুরস্কার, দুঃখী কুকুরছানারা, ভিনগ্রহী নর্তকী ও একটি টি-রেক্স
লেখক: দীপ ঘোষ
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর)
আপনি যদি কল্পবিজ্ঞানপ্রেমী হন আর আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “বলুন তো, একজন কল্পবিজ্ঞান আর ফ্যান্টাসি লেখকের পক্ষে সবথেকে বড় সম্মান কী হতে পারে?” তাহলে অবশ্যই আপনি উত্তর দেবেন হুগো পুরস্কার। হুগো পুরস্কার শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালের ১১তম বিশ্ব কল্পবিজ্ঞান সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা “আমেজিং স্টোরিজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা হুগো গার্ন্সব্যাকের নাম অনুসারে নাম রাখা হয় এই সম্মানের। প্রত্যেক বছর বিশ্ব কল্পবিজ্ঞান পরিষদ এই সম্মান প্রদান করে কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি বিষয়ক সাহিত্য ও সিনেমার উপর বেশ কয়েকটি বিভাগে। হেইনলেইন, লেইবার, আসিমভ, ডিক, হারবার্ট, ক্লার্ক, ফ্রেড্রিক পল, গিবসন, কার্ড – কল্পবিজ্ঞানের সব নাম করা লেখকই পেয়েছেন এই পুরস্কার।
এই প্রসঙ্গে একটি মজার তথ্য জানাই, ১৯৬৬ সালে টলকিয়েনের লর্ড অফ দ্যা রিংস সিরিজকে সম্মানিত করার জন্যে ‘সর্বসময়ের সেরা সিরিজ’ বিভাগটির প্রচলন করা হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার সেই বছর লর্ড অফ দ্যা রিংস–কে হারিয়ে সেরার সম্মান পায় আসিমভের ফাউন্ডেশন ট্রিলজি। স্বয়ং আসিমভ নিজেই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই একটি বছরই এই বিভাগটির অস্তিত্ব ছিল। এর থেকেই বোঝা যায় হুগো চিরকালই দাঁড়িয়ে ছিল কল্পবিজ্ঞান ভক্তদের উন্মাদনার উপর, কোন বিশেষ বই বা লেখককে পুরস্কার পাইয়ে দেওয়া ছিল যথেষ্ট কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। সাধারনত বিশ্ব কল্পবিজ্ঞান সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীরাই পরের কয়েক বছরের হুগোর মনোনয়নের জন্যে ভোট দিতে পারেন।
এবার চলে আসুন ২০১৭ সালের হুগো পুরষ্কারের মঞ্চে। এবারের হুগোয় মহিলা লেখকদের জয় জয়াকার। তবে অনেকেরই চোখ পড়ল সেরা নভেলেট বিভাগের একটি গল্পের উপর, নামটা খুব অদ্ভুত, হাস্যকর এবং মোটেই ভদ্র সভ্য নয়, ‘এলিয়েন স্ট্রিপার বোনড ফ্রম বিহাইন্ড বাই দা টিরেক্স’, এই পর্যন্ত পড়ে যারা উচ্চস্বরে হাসছেন বা চোখ কপালে তুলে ফেলেছেন, তাদের জানাই বই এর লেখিকার নামটা হল স্টিক্স হিস্কক। হ্যাঁ, ইনি কিন্তু একজন লেখিকা, যদিও নিজের নাম তিনি গোপন করে ছদ্মনামে কল্পবিজ্ঞান ইরোটিকা লিখে থাকেন আর নিজেই নিজের বই প্রকাশ করেন। পাঠক, অবাক হবেন না, ইংরাজিতে সাই–ফি ইরোটিকার যথেষ্ট কদর আছে, আর সেরকম বই লিখেও অনেকে বিখ্যাত। যাই হোক, কিন্তু সেই বই হুগোতে পৌঁছলে সেটা সত্যিই চিন্তার ব্যাপার হয়। এ যেন কোন তৃতীয় শ্রেণীর ইরোটিক সিনেমার অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া। স্টিক্সের নিজের কথায় এলিয়েন স্ট্রিপার খুব হাল্কা চালের ইরোটিকা আর কমেডির মিশ্রণ। এর মধ্যে সাহিত্যগুণ খোঁজার কোন মানেই হয়না, সাধারণ মানুষকে একটু মজা দেবার জন্যেই এটি লেখা।
এই রহস্য সমাধান করতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে গত কয়েক দশক হুগো কিভাবে পালটে গেছে তার দিকে। বেশ কিছু বছর ধরেই হুগো প্রাপকদের নামের মধ্যে নবীন আর সাদা চামড়া ভিন্ন অন্যান্য জাতির মানুষদের নাম প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, ক্যামেরন হার্লে বা জন চু এর নাম করা যায় উদাহরণ হিসেবে। কল্পবিজ্ঞানপ্রেমীরাও দেখা যাচ্ছে নতুন কলম আর নতুন চিন্তার সন্ধানেই মগ্ন আর তার ফলস্বরূপ উঠে আসছে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিভাবান তরুণ তুর্কিরা। আর এই লেখকদের হাতে উঠে এল এমন সব বিষয় যেগুলি ব্রাত্য ছিল এতদিনের কল্পবিজ্ঞানে – জাতিবিদ্বেষ, সমাজে নারীর স্থান আর অধিকার অথবা তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারের মত আধুনিক বিষয়গুলি।
২০১৩ সালে ল্যারি করিয়া নামে এক চরমপন্থী লেখক তার নভেল মনস্টার হান্টার লিজিয়নকে সেরা নভেল বিভাগে মনোনীত করার জন্যে এই আন্দোলন প্রথম শুরু করেন। প্রথমে এই আন্দোলনের নাম রাখা হয়েছিল, ‘স্যাড পাপিস থিঙ্ক অফ দ্যা চিল্ড্রেন্স’ বা সংক্ষেপে স্যাড পাপিস (দুঃখী কুকুরছানারা)। করিয়ার নিজের ভাষায় এ ছিল, ‘ক্লান্তিকর বার্তাবহ কল্পবিজ্ঞানের গল্প’–এর বিরুদ্ধে ‘সংগঠনের চোখে খোঁচা মেরে’ তাদের জাগিয়ে তোলা। যদিও প্রথম বছর তারা ‘মনস্টার হান্টার লিজিয়ন’–কে মনোনীত করতে ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালের হুগোতে করিয়ার সাথে যোগ দেয় ব্র্যাড টোরগারসেন। এই বছর করিয়ার নতুন বই ‘ওয়ারবাউন্ড’কে মনোনীত করার সাথে আরো এগারোটি গল্পকে এই আন্দোলনে যুক্ত করা হয়। বিতর্কিত লেখক ভক্স ডে এর গল্প ‘অপেরা ভিটা আটের্নাকে’ এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করার জন্যে দুঃখী কুকুরছানাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। প্রসঙ্গত জানাই ভক্স ডে হল দ্বিতীয় লেখক যাকে সায়েন্স ফিকশন অ্যান্ড ফ্যান্টাসি রাইটার্স অফ আমেরিকার (SFWA) থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ লেখকদের অপমান করার জন্যে। ভক্স খোলাখুলি জানিয়েছে যে সে নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় এবং আমেরিকার দুর্দশার জন্যে দায়ী এশিয়ান, আফ্রিকান এবং অ্যাজটেক জাতির মানুষেরা! এমন এক লেখকের বইকে মনোনীত করার চেষ্টা করে করিয়া বুঝিয়ে দিল যে তারা অতি দক্ষিণপন্থী ও রক্ষনশীল দলের সমর্থক। আশ্চর্যের ব্যাপার এই বছর তারা বারোটির মধ্যে আটটি গল্পকে মনোনীত করতে সক্ষম হয়, আর এর মধ্যে ‘ওয়ারবাউন্ড’ ও ছিল।
২০১৫ সালে স্যাড পাপিরা তাদের নতুন দলপতি নির্বাচন করল ব্র্যাড টোরগারসেনকে। আগের বছরের আংশিক সাফল্য স্যাড পাপিদের উৎসাহিত করেছিল। ব্র্যাড এর মধ্যে জানালেন, সাই–ফি এখন কিছু বিশেষ বিষয়, লেখক আর ভক্তদের মৌরুসিপাট্টায় পরিণত হয়েছে। সেই স্বর্ণ যুগের মহাকাশ অপেরার মত অ্যাডভেঞ্চার আর পাওয়া যাচ্ছে না। ব্র্যাডের কথায়, ‘কয়েক দশক আগে যদি বই এর প্রচ্ছদে একটি দারুণ মহাকাশযান, আর তার পিছনে একটি অজানা গ্রহের ছবি দেখতে পেতাম, এর মানে ছিল এবার একটি আশ্চর্য উপন্যাস পড়তে পারব, মহাকাশ অভিযান আর অজানা জগতের গল্প নিয়ে। … অথচ এখন কোন বই এর প্রচ্ছদে রকেটের ছবি মানে কি বইটি মহাকাশ অভিযান আর অচেনা জগতে প্রথম পা রাখার অনুভূতির গল্প হয়? নাহ, আজকাল এর মানে এটা একটা বর্ণবিদ্বেষী এবং জাতিগত অসাম্য ও অত্যাচারের কাহিনী’। অনেক কল্পবিজ্ঞান সমালোচক ও লেখকরা মেনে নিলেন যে এটা যুক্তিসঙ্গত বিতর্ক। স্যাড পাপিরা এই বছর একটি বিশাল লিস্ট প্রকাশ করল এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে। ভক্স নিজে শুরু করল তার আন্দোলন, পাগলা কুকুরছানা (র্যাবিড পাপিজ) নাম দিয়ে। ভক্সের অনুচররাও তৈরি করল একটা বই এর লিস্ট, যেখানে শুধু ভক্সের একাধিক বই নয়, সে যে অনামী প্রকাশনার হয়ে কাজ করত, তাদেরও অনেক গুলি বই জায়গা পেল। দেখা যায় এই লিস্ট দুটি তৈরি হয়েছে মূলত রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গ পুরুষ লেখকদের নিয়েই। লেখা বাছার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেল মাত্র দুটি শর্ত। প্রথমত লেখাটি অর্থকরী হতে হবে, লেখার মান যেমনই হোক না কেন; আর দ্বিতীয়ত লেখার বিষয়ের সাথে যেন স্যাড পাপিজদের রাজনৈতিক দর্শনের কোন বিরোধ না হয়, যা আসলে অতি দক্ষিনপন্থী দর্শন। এই বছরের আন্দোলনের ব্যাপকতা সারা পৃথিবীর সাই–ফি লেখক, পাঠক ও সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলল। শেষ পর্যন্ত ছয় জন লেখক প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের নাম তুলে নিলেন। বিখ্যাত লেখক কনি উইলস অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন। ২০১৫ সালের হুগো পুরস্কার মঞ্চে দেখা গেল স্যাড আর র্যাবিড পাপিজদের মনোনীত প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। পাঁচটি বিভাগে সমস্ত মনোনয়ন পেল শুধু পাপিজদের প্রার্থীরা। কিন্তু এত করেও শেষ রক্ষা হল না, সমস্ত বিভাগে ভোটের শেষে দেখা গেল ‘পুরস্কারের যোগ্য নয়’ এই মতেই ভোট সবথেকে বেশি পড়েছে। পাপিজদের প্রায় কোন প্রার্থীই শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না, কিন্তু তাহলেও কলঙ্কিত হল বিশ্ববিখ্যাত হুগো।
২০১৬ সালেও পুনরাবৃত্তি হল এই এক ঘটনার! স্যাড পাপিরা হয়তো একা তেমন শক্তিশালী ছিল না, কিন্তু ভক্সের সমর্থক র্যাবিড পাপিরা তাদের সাথে মিলে আবার প্রায় সমস্ত বিভাগেই নিজেদের লেখকদের মনোনীত করল। শুধু তাই নয়, ভক্স এবার জোর করে মনোনয়নে ঢোকাল সাই–ফি ইরোটিক কমেডি লেখক চাক টিঙ্গলের গল্প। যথারীতি এ বছরেও সব কটি বিভাগে কেউ কোন পুরস্কার পেল না। উলটে চাক টিঙ্গল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ড ব্যাঙ্গ করলেন স্যাড আর র্যাবিড পাপিদের। সারা পৃথিবীর কল্পবিজ্ঞানপ্রেমীরা হেসেই উড়িয়ে দিল পাপিদের এই মরিয়া প্রচেষ্টাকে।
ক্ষিপ্ত পাপিরা আবার চেষ্টা করল ২০১৭ সালের হুগো ভণ্ডুল করতে। কিন্তু এবার কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সাবধান ছিলেন, গত দুবছরের ভোটের ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা ভোটের নিয়ম পালটে ফেললেন এমনভাবে, যাতে পাপিদের কোন মনোনয়নই আর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় পৌঁছল না। তবে ভক্স এবছরেও হুগোর বিচারকদের অপদস্ত করতে মনোনয়ন পাঠাল হিস্ককের নামে। যদিও হিস্ককের লেখা কোনরকম পুরস্কার জেতার কাছেও পৌঁছতে পারেনি তবুও ভক্সের দলের বদান্যতায় হিস্ককের বই এর বিক্রি এখন আকাশ ছোঁয়া।
প্রাজ্ঞ পাঠক যদি এই ঘটনার সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক এক চরমপন্থী শাসকের ক্ষমতায় আসার যোগসূত্র পান, তাহলে হয়ত তাকে দোষ দেওয়া যায় না। কল্পবিজ্ঞানের সমস্ত ভক্তদের এবছর একটাই প্রার্থনা, সুপ্রাচীন এই বিখ্যাত সাহিত্য পুরস্কার যেন চরম দক্ষিনপন্থী, গোঁড়া কুকুরছানা এবং তাদের পোষা ডাইনোসর আর ভিনগ্রহী স্ট্রিপারের হাত থেকে মুক্তি পায়।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
রেফারেন্সঃ হুগো পুরস্কারের ফলাফল।
http://www.thehugoawards.org/content/pdf/2015HugoStatistics.pdf
Tags: কল্পবিজ্ঞানের পুরস্কার, দীপ ঘোষ, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর), দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, প্রবন্ধ
আবহাওয়া ভালো না। যেমন গোলমেলে মানব সভ্যতার ‘বদান্যতায়’ আবহ মন্ডলের বাহ্যিক পরিবেশ তেমনি চরম রক্ষণশীল বিভেদকামী এক শক্তির ছায়া চারিদিকে যার অনেকটা শ্রেয় যায় মুক্ত বাজার অর্থনীতির ওপর। কল্পবিজ্ঞানের অলিন্দেও এই ঈশান কোণের কালো মেঘটাকে তুলে ধরার জন্য নিবন্ধকারকে ধন্যবাদকে। বাংলায় এমন প্রচেষ্টা যাকে বলা যায় ‘পাইয়োনিয়ারিং’ …
অনেক ধন্যবাদ সন্দীপন, আমার সন্দেহ ছিল এমন বিষয় পাঠকেরা আদৌ নেবেন কিনা। তবে কল্পবিশ্বের বয়স বাড়ছে, আস্তে আস্তে তাঁর বিষয়গুলিও পরিণত হওয়া প্রয়োজন।
দারুণ লেখা! দারুণ বিষয়। একথা ঠিক যে নব্বইয়ের দশক জুড়ে কল্পবিজ্ঞান পুরোপুরি সেই লবির কুক্ষিগত হয়েছিল যাকে এদেশে আমরা সেকু-মাকু বলে থাকি, এবং এর ফলে অ্যাডভেঞ্চার বা থ্রিল প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গিয়ে দার্শনিক কচকচানির ডোজ বাড়তে-বাড়তে অসহনীয় জায়গায় গেছিল। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চাড্ডিদের অনুপ্রবেশ যেমন বরদাস্ত করা সম্ভব নয়, তেমনই এই স্যাড বা র্যাবিড পাপিজ, যারা পাপী-ও বটে,-দের হাতে হুগোর হাইজ্যাক হয়ে যাওয়াও সমর্থনযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ ঋজুবাবু। বিশেষজ্ঞদের ও তাই মত, কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি হয়ত সারা পৃথিবীর সাহিত্যের মত পলিটিক্যালি কারেক্ট হবার মরিয়া চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটাই যুগের নিয়ম। একসময় গোল্ডেন এজকেও শেষ হতে হয়েছে নতুন লেখকদের হাতে, সেরকম এই ক্রেজ ও চেঞ্জ হয়ে নতুন কোন কল্পবিজ্ঞানের রীতি আসবে। কিন্তু সেটাকে জোর করে আটকাতে গিয়ে চরমপন্থি এই আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। ভিডিও গেমের দুনিয়াতেও এই রকম চরমপন্থি আক্রমণ হয়েছে কয়েক বছর আগে। আগ্রহী হলে গেমারগেট বলে সার্চ করে দেখতে পারেন।
ব্যাতিক্রমি লেখা হয়েছে! এটাই কল্পবিশ্বের কাছে আশা! দীপ ঘোষকে ধন্যবাদ এই লেখার জন্য! কল্পবিজ্ঞান মানেই শিশুসুলভ ব্যাপার এই ধারনা বাতিল! এবার বাংলায় এই ঢেউ এসে আছড়ে পরার সময় হয়েছে!
অনেক ধন্যবাদ বিকাশ, সাথে থাকবেন।
খুব ভাল ও তথ্যপূর্ণ লেখা। লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীও পরিষ্কার। ঋদ্ধ হলাম। আরও এরকম কিছুর অপেক্ষায়।