ভ্লাদিমির মিকানোভস্কির সঙ্গে কথোপকথন
লেখক: বাংলা অনুবাদ - সন্তু বাগ
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য (চিত্রচোর)
ভ্লাদিমির নউমোভিচ মিকানোভস্কি একজন রাশিয়ান-ইউক্রেনিয়ান সোভিয়েত কবি, ঔপন্যাসিক, গদ্য লেখক, চিত্রনাট্যকার এবং অনুবাদক। তিনি ১৯৩১ সালের ২রা অক্টোবর ইউক্রেনের খারকভে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে খারকভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা এবং অঙ্কে অনার্স নিয়ে পাস করেন। সেখানেই ১৯৬২ সাল অব্দি শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সাল থেকে তিনি রাশিয়ায় বাস করতে শুরু করেন। ১৯৬৩ সাল থেকে তিনি Union of Writers of the USSR এর একজন সদস্য। তাঁর প্রথম কল্পবিজ্ঞান গল্প “রিডিল” প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। সায়েন্স ফিকশনে তাঁর অবদানের জন্য ২০০৬ সালে পেয়েছেন “লুনার রেনবো” পুরস্কার।
এই সাক্ষাৎকারটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল মস্কো থেকে প্রকাশিত ১৯৮৬ সালের সোভিয়েত লিটারেচার নং ১২(৪৬৫) ইস্যুতে। এর বাংলা অনুবাদ প্রথম প্রকাশিত হল কল্পবিশ্বের রাশিয়ান সংখ্যায়।
প্রঃ রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশে আপনি পরিচিত একজন গল্প, কবিতা, নাটকের লেখক এবং বিশেষত কল্পবিজ্ঞানের লেখক হিসেবে। কিন্তু প্রথম জীবনে আপনি কাজ শুরু করেছিলেন একজন শিক্ষক এবং পদার্থবিদ হিসেবে। শিক্ষাবিদ থেকে লেখক হয়ে ওঠার এই যাত্রাপথটা কেমন ছিল?
ভ্লা মিঃ হ্যাঁ, আমি প্রথমে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। আমার বিষয় ছিল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। এরপরে খারকভ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পদার্থবিদ্যা এবং উচ্চতর গণিত বিষয়ে অধ্যাপনা করেছি। ১৯৬৩ সালে আমার তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার প্রবন্ধ “Electromagnetic Defectoscopy in Constant and Variable Fields” প্রকাশিত হয়। তাই বলতে পারি যে বিজ্ঞান থেকে কল্পবিজ্ঞানে আমার আসাটা স্বাভাবিক। গবেষণা ফ্যান্টাসি এবং কল্পনাশক্তিকে অনুপ্রাণিত করে, কখনো বা জন্ম দেয় নতুন কোন অপ্রচলিত চিন্তাধারার। সাধারণভাবে আমি বর্তমানের কোন কল্পবিজ্ঞান লেখকের কথা ভাবতেই পারি না যার পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা কিংবা ইতিহাস কোন একটি বিষয়ে দৃঢ় বৈজ্ঞানিক তথাকথিত পড়াশোনা নেই।
প্রঃ আপনার জীবনের এমন কোন ঘটনা কি ঘটেছিল যা আপনাকে প্রথম কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে অনুপ্রাণিত করে?
ভ্লা মিঃ এক সময়ে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব আমায় খুব প্রভাবিত করেছিল। এই তত্ত্বের একটি ফল হল টাইম প্যারাডক্স। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি আপাত স্থির বস্তুর সাপেক্ষে (যেমন পৃথিবী) একটি গতিশীল মহাকাশযানে ‘সময়’ অনেক ধীরে চলে। ধরা যাক, একজোড়া যমজ ছেলের একজন মহাকাশযানে করে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল আর অন্যজন পৃথিবীতেই থাকল। তারা শেষ পর্যন্ত একে অন্যের থেকে আলাদা বয়সের হয়ে যেতে পারে। যে ছেলেটি পৃথিবীতে ছিল ধরা যাক তার বয়স এখন কুড়ি, আর তার ভাই কিছু বছর মহাকাশ ভ্রমণ করে ফিরে আসার পর তার বয়স দাঁড়িয়েছে দশ। অন্যভাবে বলা যায় যে একজন মহাকাশচারী, তার মহাকাশ ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পরে পৃথিবীতে তার সমকালীন অন্যদের থেকে কম বয়স্ক লাগবে, এটাও হতে পারে তার বয়স সামান্য বেড়েছে কিন্তু পৃথিবীতে কয়েক শতাব্দী সময় পেরিয়ে গেছে।
এই আপাতবিরোধী তত্ত্ব আমায় এতই প্রভাবিত করেছিল যে আমার প্রথম গল্পের প্লটে আমি এটা ব্যবহার করেছিলাম। এরপরে আমি এই প্লটের উপরেই একটি ছোট উপন্যাস লিখেছিলাম। “দ্য হোটেল সিগমা” নামে সেই উপন্যাস বই হিসেবে ১৯৭৯ সালে ডেটসকায়া লিটারেচার (শিশু সাহিত্য) পাবলিশার থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটি এরপরে আর অনেক দেশেই চেকোস্লভক পাবলিশার থেকে “মাস্টারপিস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন” সিরিজের অংশ হিসেবে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল ।
প্রঃ এটা ছাড়া আপনার আর কোন বই অন্যান্য দেশে প্রকাশিত হয়েছে যদি বলেন।
ভ্লা মিঃ আমার বই পোল্যান্ড, জার্মান ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, জাপান এবং আমেরিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আমার নাটক “ডাবলস” হাঙ্গেরিতে একটি টেলিভিশন ফিল্ম হিসেবে দুই খণ্ডে রিলিজ হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রোগ্রেস পাবলিশার (ইউ এস এস আর) থেকে আমার লেখা বেশিরভাগ সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছে। বইটি অনেক ইংরেজি ভাষার দেশে জনপ্রিয় হয়েছে। এই বইটি প্রকাশের পরে আমি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের একটি সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার আমন্ত্রণ পাই।
প্রঃ আপনার বেশিরভাগ বই যেমন “বেটা-লিরা ট্রাভার্স”, ”অরেঞ্জ হার্ট”, “লাইট ওভার দ্য টাইগা”এবং উপন্যাস “স্টেপস ইন ইনফিনিটি” তে আমরা কল্পবিজ্ঞানের আধারে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তুলে ধরতে দেখি। আপনার মতে কল্পবিজ্ঞানের সামাজিক গুরুত্ব ঠিক কতটা আর আপনি আপনার বইগুলির মাধ্যমে ঠিক কোন সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছেন?
ভ্লা মিঃ ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম কল্পবিজ্ঞান গল্পসংগ্রহ “দ্য সিক্রেট অফ আ ল্যাবরেটরি” তে আমি আমাদের পারিপার্শ্বিক পৃথিবীকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানোর চেষ্টা করেছিলাম। প্রথম থেকেই আমার মূল লক্ষ্য কিন্তু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নত ধারাগুলিকে জনপ্রিয় করা ছিল না কারণ সেটা আমার মনে হয় একজন বিজ্ঞান সাংবাদিকের উপযুক্ত কাজ, আমার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সামাজিক তাৎপর্যকে পাঠকের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রভাব বিশ্লেষণ।
আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি যে আজকের কল্পবিজ্ঞান লেখকদের প্রথম এবং প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিৎ বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলির সামাজিক দিক এবং সমাজের উপর তাদের প্রভাব সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা। পুনশ্চ, একজন সায়েন্স ফিকশন লেখকের উচিৎ বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণা এবং আবিষ্কারগুলি কিভাবে ভবিষ্যৎ সমাজের রূপরেখা তৈরি করবে সেটা নিয়ে পড়াশোনা করা।
একটা উদাহরণ দি এখানে, রাশিয়ান লেখক আলেক্সি তলস্তয় এর লেখা “ইঞ্জিনিয়ার গারিন’স হাইপারবলইড” বা “গারিনের মারণরশ্মি” উপন্যাসে ‘লেজার রশ্মি’ নিয়ে শতাব্দীর সব থেকে বড় ভবিষৎবাণী করেছিলেন। উপন্যাসে আমার সব থেকে মূল্যবান মনে হয়েছে লেখকের সাবধানবাণী – যে নতুন আবিষ্কার মানব সভ্যতার গঠনমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হবে নাকি পৃথিবীতে ডেকে আনবে কর্তৃত্বের লড়াই, যুদ্ধ, ধ্বংস। এইভাবে লেখক উত্থাপন করেছেন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের – পৃথিবীর এবং মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে একজন বিজ্ঞানীর ভূমিকা এবং দায়িত্ব কি হওয়া উচিৎ।
এই সময়কার উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে যেখানে পৃথিবী পারমাণবিক অস্ত্রে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, আমরা সবাই বসে আছি বারুদের পিপের উপর এবং এই লেজার রশ্মির বিষয়টি আলাদা একটা তাৎপর্য বহন করছে। এই কারণেই বলা যায় কল্পবিজ্ঞান লেখকদের উচিৎ মানবিকতা এবং শান্তিস্থাপন বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া।
আমি ব্যাপারটাকে যেভাবে দেখি, আমাদের সময়ে, যখন কল্পবিজ্ঞান বিশ্বসাহিত্যে বেশ জনপ্রিয় এবং অপরিহার্য একটি শাখা হিসেবে মান্যতা পাচ্ছে, তখন কল্পবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের গোত্রে অনেক নতুন নতুন আকর্ষণীয় চমক আসতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, যেহেতু কল্পবিজ্ঞানের আবেদন অনেক বড় পরিসরে এবং তা অনুবাদ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে অন্য ভাষাতেও, এটা মানব সভ্যতার বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরিতে এবং সাংস্কৃতিক আদান প্রদানেও সাহায্য করবে। এখানে আমার একটা লেখার কথা জানাই যেটায় কবিতা আর সায়েন্স ফিকশনকে দ্যোতক হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম। কিছু বছর আগে আমি মাইকেল এঞ্জেলোকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলাম। সেটি পরে “দ্য পাস” নামে গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এটি সেই বিখ্যাত নবজাগরণের শিল্পীকে নিয়ে লেখা কেবলমাত্র একটি তথ্যমুলক কবিতা ছিল না, একটি পর্বে দেখিয়েছিলাম দুই বিখ্যাত ব্যাক্তির সাক্ষাৎ – মাইকেল এঞ্জেলো এবং জিওর্দানো ব্রুনো – জগত এবং বিশ্বচেতনার সমস্যা নিয়ে তাদের আলাপ আলোচনা। দুই বিখ্যাত ব্যক্তির এই কাল্পনিক সাক্ষাতের চিন্তাটা আমার মাথায় এসেছিল এইভাবে যে যখন মাইকেল এঞ্জেলো ফ্লোরেন্স থেকে রোমে এসেছিলেন, তখন তিনি স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিলেন কেম্প ডেল ফিওরিতে আর সেখানেই কয়েক দশক পরে ব্রুনোকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
আমার বইটি ইতালিতে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল, সেখানে বইটির একটি ইতালিয় ভাষার অনুবাদও প্রকাশ পেয়েছিল। কিছুদিন পরেই শিক্ষাপর্ষদ বইটি স্কুলে পড়ানোর জন্য মনোনীত করেন। পরে ১৯৮৫-র শেষের দিকে আমি ইতালিতে গিয়ে অনেক কল্পবিজ্ঞান ফ্যানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম আর মেসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের একটি লেকচার দিয়েছিলাম। পরে জেনেছিলাম সেটি সেদিন বেতারেও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
এটা শুধু একটা উদাহরণ দিলাম যে কিভাবে আধুনিক কল্পবিজ্ঞান, কবিতা বা গদ্য যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন দেশকে পরস্পরের নিকটে নিয়ে আসে। এরকম সোভিয়েত, আমেরিকান কিংবা ইংলিশ লেখকদের অসংখ্য ঘটনার করা বলা যেতে পারে।
প্রঃ আপনার কথা থেকে বুঝলাম যে আপনি যদিও আপনার গদ্যের জন্য বিখ্যাত, তবুও কবিতার সঙ্গে আপনার একটা আলাদা সখ্য আছে। আপনি তো লেখালিখি শুরু করেছিলেন কবিতা দিয়েই। আপনার কি মনে হয় না যে গদ্য এবং কবিতা এক অপরের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে?
ভ্লা মিঃ আমার তা একেবারেই মনে হয় না। সত্যিই আমি কবি হিসেবেই আমার লেখক জীবন শুরু করেছিলাম এবং এখনো কবিতা লেখা থামাইনি। আমি কবিতা এবং গদ্য দুই ক্ষেত্রেই কল্পবিজ্ঞানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এমনকি ১৯৫৯ সালে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “আই লাভ” এ কল্পবিজ্ঞান উপাদান ছিল (দ্য ফোটন রকেট আর কবিতা ‘হেডিং ফর মার্স’)।
প্রঃ আপনার গল্প “ফার্স্ট কন্টাক্ট”তে আপনি পাঠকদের মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে কোনও বার্তা দিতে চেয়েছেন?
ভ্লা মিঃ গল্পে আমি বোঝাতে চেয়েছি কিভাবে অন্য জাতির সঙ্গে মানব জাতির প্রথম যোগাযোগ স্থাপন হতে পারে এবং কিভাবে আমরা পারস্পরিক সমঝোতায় আসতে পারি। সেই জিওর্দানো ব্রুনর সময় থেকেই মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে অন্য বসতিপূর্ণ জাতির অস্তিত্বে। কখন এবং কিভাবে বিশ্বের অন্য প্রান্তের উন্নত জাতির সঙ্গে মানব জাতির আলাপ হবে সেটা সবসময়েই প্রাসঙ্গিক। আমার বার্তা হল এই যোগাযোগ অবশ্যই সম্ভব এবং অনেক সহজেই সম্ভব যদি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং পৃথিবী ধ্বংসের হুমকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রঃ সবশেষে জানতে চাইব আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং আপনি এখন কি বিষয়ে কাজ করছেন?
ভ্লা মিঃ বেশ কিছুদিন ধরে আমি একটি আন্যধরনের কল্পবিজ্ঞান কবিতা লেখার পরিকল্পনা করছিলাম এবং কাজও শুরু করে দিয়েছি। এতে কোন মহাকাশ অভিযান কিংবা অন্য জগতের প্রাণী থাকবে না, থাকবে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির স্বর্ণশিখরে পৌছতে আধুনিক মানুষের জীবনের লক্ষ্য এবং ভূমিকা কি হতে পারে তার কথা। এছাড়া আমি এখন মসফিল্ম স্টুডিয়োর একটি কল্পবিজ্ঞান ছবির জন্য চিত্রনাট্য লিখছি কিন্তু এখনই ছবির মূল প্লটটি বলছি না।
Tags: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, দ্বিতীয় বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা, ভ্লাদিমির মিকানোভস্কির সঙ্গে কথোপকথন, সন্তু বাগ, সাক্ষাৎকার