সম্পাদকীয়
লেখক: সম্পাদক
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
নিম্নচাপের কালো আকাশ আর নেই। সমস্ত দুর্যোগের মেঘ সরিয়ে জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঝলমলে রোদ্দুর। আকাশ জুড়ে উৎসবের আবহ। বাঙালি প্রস্তুত তার সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর জন্য। পুজো মানে কেবল হুল্লোড়, দলবল মিলে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়াই নয়। যাঁরা সাহিত্য ভালবাসেন, তাঁরা এই ছুটির অবসরে উন্মুখ হয়ে থাকেন শারদ সাহিত্যের জন্যও। যুগ বদলাচ্ছে। কেবল ছাপা পুজোসংখ্যাই নয়, এসে পড়েছে ডিজিটাল পুজো সংখ্যাও। মেট্রোর এককোণে বসা তরুণ বা রেস্তোরাঁয় প্রেমিকের অপেক্ষায় বসে থাকা তরুণী কিংবা জানলার পাশে বসে থাকা আনমনা বর্ষীয়ান মানুষটি এখন হাতের মোবাইল ফোনেই পেতে পারেন প্রিয় সাহিত্যের ভাণ্ডার। এই মুহূর্তে বাংলার একমাত্র কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি বিষয়ক পত্রিকা ‘কল্পবিশ্ব’ আপনাদের জন্য নিবেদন করছে গল্প-উপন্যাস-সাক্ষাৎকার-আলোচনা-প্রবন্ধ-কমিক্স-অণুগল্পের সুবিশাল ভাণ্ডার। সব মিলিয়ে ৬০টি লেখা। কেবল আপনার ক্লিকের অপেক্ষা।
‘কল্পবিশ্ব’ ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। কেবল পত্রিকাই নয়, আমরা এবার শুরু করেছি প্রকাশনাও। এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘উপন্যাস পর্ব’। আসছে ‘গল্প পর্ব’। এছাড়াও আরও চমক থাকবে। সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
এখানেই শেষ নয়। বিশ্বের প্রথম কল্পবিজ্ঞান রচনা ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’-এৱ দু’শো বছর উপলক্ষে আমরা আয়োজন করতে চলেছি একটি তিনদিন ব্যাপী সমাবেশের। যাদবপুর ইংরেজি বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত এই সমাবেশে ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’কে নিয়ে একটি অসাধারণ সংকলন প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি সেখানে থাকবে বাংলা কল্পবিজ্ঞান নিয়ে আকর্ষণীয় সব অনুষ্ঠান। বাংলা কল্পবিজ্ঞানের স্বর্ণযুগের সাহিত্যিকদের সম্মাননা জ্ঞাপন যেমন থাকবে তেমনই আজকের বাংলার তরুণ কল্পবিজ্ঞানের লেখকরাও যোগ দেবেন আলোচনায়। আমাদের বিশ্বাস, সত্যজিৎ-প্রেমেন্দ্র-অদ্রীশ-সিদ্ধার্থদের মতো শক্তিশালী লেখকদের পরে দীর্ঘ দিন ধরে (দু’-চারটি নাম ছাড়া) বাংলা কল্পবিজ্ঞানের স্রোতে যে ভাটার টান, তা এবার শেষ হওয়ার মুখে। এই তরুণ লেখকদের তরতাজা উপস্থিতিই বদলে দেবে ছবিটা। বাংলা কল্পবিজ্ঞান তার নতুন দিশা খুঁজে পাবে। নিছকই দু’ চার জন মানুষের খেয়ালকে সঙ্গী করে যার আত্মপ্রকাশ, সেই ‘কল্পবিশ্ব’ কিন্তু সত্যিই এখন একটা নিছক পত্রিকার নাম নয়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা কল্পবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলতে গেলে আর বোধহয় এই নামটিকে উহ্য করে রাখা যাবে না। এর মূলে অবশ্যই রয়েছে পাঠকের অকৃত্রিম ভালোবাসা। বহু অচেনা মানুষ এসে মিশে যাচ্ছেন ‘কল্পবিশ্ব’-র স্রোতে। বাংলা কল্পবিজ্ঞানকে নিছক শিশুতোষ ইউফো-রোবট মার্কা চর্বিত চর্বণ থেকে দূরে প্রকৃতই ‘আন্তর্জাতিক’ করে তুলবার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি তাতে শরিক তাঁরাও। দু’ চারজন মানুষ একসঙ্গে যা দেখেন তা কেবলই স্বপ্ন। কিন্তু এতজন মানুষ একসঙ্গে যা দেখছেন, তা স্বপ্ন নয়, বিপ্লব হয়ে উঠবে বলেই বিশ্বাস।
বাংলা কল্পবিজ্ঞান তার স্বর্ণযুগ ফিরে পাক বা না পাক, তার শরীরে সোনালি আভাটুকু আবার ঝলমল করে উঠবে, আপাতত সেই বিপ্লবের স্বপ্ন সঙ্গে করেই আমাদের এগিয়ে চলা। সঙ্গে চাই আপনাকেও। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠুন সবাই। পুজো ভাল কাটুক সব্বার।
Tags: তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, পূজাবার্ষিকী, সম্পাদকীয়
এই চারদিন কতবার এটা পড়তে আসবো তার ঠিক নেই । তবুও প্রতিবার সমান কৌতুহলতা আর ভালবাসার সাথে । কল্পবিঞ্জানের সমস্ত টিমের প্রতি রইল প্রুচুর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা । তাদের এ অভিনব উদ্যোগ সফল হোক ও সার্থক হোক । শারদীয়া শুভেচ্ছা সহকারে … ।
Jadavpur er program tar detail deben.
এখানে দেখুন
https://kalpabiswa.in/workshops-of-horrible-creation-200-years-of-imagined-humans/
আমি কল্পবিশ্বে আমার লেখা সাইন্স ফিকশন দিতে চাচ্ছি। কিভাবে দিব? আমি তা জানি না।
আমাকে কেউ সাহায্য করবেন প্লিজ।
https://kalpabiswa.in/submit_writing/
Please read this.
Du char line kore lekhok porichiti diye Ekta page add korle valo hoi. Onek somoi lekha pore lekhok ke jante ichhe kore…buses kore valo valo probondho gulor khetre. Hoi protek lekhar sese kimba separate Ekta “lekhok porichoi” page e duchar kotha lekhoker sombondhe thakle pathoker Sathe bondhon ta sudriho hoi.
আপনার পরামর্শটি আমরা মাথায় রাখব। অনেক ধন্যবাদ।