হাঁস ছিল শজারু
লেখক: সুপ্রিয় দাস
শিল্পী: ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সাইট
“হাঁস ছিল শজারু (ব্যাকরণ মানি না)
হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।”
ছেলেবেলায় সুকুমার রায়ের ‘খিচুড়ি’ পড়তে বসে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ধড়ে মুড়োয় সন্ধির কথা পড়ে বা তাঁর আঁকা সেই সব খিচুড়ি জানোয়ারের অনবদ্য সব ছবি দেখে, এক জানোয়ারের সাথে অন্যের জোড়াতালি নিয়ে নানান অলীক কল্পনাবিলাস করে অবাক হয়নি এরকম বাঙালী পাঠক বা পাঠিকা পাওয়া খুব শক্ত। কিন্তু এই এক জানোয়ারের সাথে অন্য জানোয়ারের জোড়াতালি ব্যাপারটা কি সত্যি খুব অলীক কল্পনা? রায় মশাই যে যুগে ওই ছড়া বা ছবিগুলির সৃষ্টি করেছিলেন সে যুগে অবশ্যই তাই ছিল। কিন্তু আজকের যুগের বিজ্ঞান যে ওই কল্পনাকে ছাপিয়ে বহুগুণ এগিয়ে গিয়ে এক প্রাণীর সাথে অন্য প্রাণীর মিশেল পাকিয়ে চলেছে তার খবর আমরা কতটা রাখি? সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে এই সমস্ত কাণ্ডকারখানা ঘটছে আমাদের চোখের সামনেই। কিন্তু দেখে তা বুঝবার উপায় নেই। তার কারণ হল যে আধুনিক বিজ্ঞান সুকুমার রায়ের ছড়ার মত মানুষের ধড়ে সিংহ-মুণ্ড জুড়ে নৃসিংহ অবতারের সৃষ্টি করছে না। আধুনিক বিজ্ঞান খিচুড়িটা পাকাচ্ছে আরো অনেক গভীরে, প্রাণীদের শরীরের একেবারে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম স্তরে গিয়ে। যেই স্তরকে আমরা জীববিদ্যার ভাষায় জিন (Gene) বলে থাকি। এই খিচুড়ি পাকানোর বিদ্যে আজকের যুগের বিজ্ঞানের এক অত্যন্ত কুলীন শাখা যা আমূল বদলে দিতে পারে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর চেহারাটাই। এই বিজ্ঞানের শাখাকে আমরা “জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং”* নামে চিনি।
আসুন দেখা যাক “জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং*” নামে জানোয়ারে জানোয়ারে এই আশ্চর্য বৈজ্ঞানিক খিচুড়ির রন্ধন প্রণালীটা ঠিক কি রকম। এই খিচুড়ি রান্না করতে স্বাভাবিকভাবেই অনেক উপকরণ ব্যবহার হয়। কিন্তু মুখ্য উপকরণ হল প্রাণীদের জিন। তো এই জিন বস্তুটা আসলে কি? বৈজ্ঞানিক পরিভাষা অনুসারে জন হল সব জীবের শরীরে বাহিত প্রাণের সেই সূক্ষ্ম সংকেত যা আমাদের বংশগতিকে ধারণ করে। সহজ ভাষায়, আপনি আর আমি যে মানুষ (জানি না কোন ভিনগ্রহী বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ভদ্রমহোদয় বা ভদ্রমহোদয়া কল্পবিশ্ব পড়েন কিনা। পড়লে আপনারা এই ধরনার পেছনে আমার যে অপরিসীম অজ্ঞতা তা মার্জনা করবেন।) এবং আমাদের আগামী প্রজন্মও যে মানুষই হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশ হল আমাদের জিন। এ ছাড়াও আমাদের শারীরিক নানান বৈশিষ্ট্য যেমন আমাদের মাথার চুল ও চোখের মণির রঙ, বা আমাদের শারীরিক গঠনের অনেকটাই নির্ভর করে প্রকৃতি আমাদের জিন-এ তা সম্পর্কে কি নির্দেশ দিয়ে গেছে।
স্বাভাবিকভাবে এবার প্রশ্ন জাগতে পারে এই জিন বস্তুটা আমাদের শরীরে ঠিক কোথায় থাকে? এর উত্তর হল আমাদের প্রতিটি কোষেই এর উপস্থিতি রয়েছে। আমাদের কোষের মধ্যে জিনের ধারক ও বাহক হল ক্রোমোজোম নামক এক ধরনের সুতোর মত দেখতে অংশ যার উপস্থিতি আমাদের সমস্ত জীবন্ত কোষেই রয়েছে।
এই জিন নামক বস্তুটির মূলে আবার রয়েছে প্রকৃতির আর এক অনন্য সৃষ্টি। তার নাম ডি এন এ। ডি এন এ এমন একটি রাসায়নিক অণু যা নিজের প্রতিলিপি প্রস্তুত করতে সক্ষম। আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে পৃথিবীর সব প্রাণীর ডি এন এ কিন্তু তৈরি হয়েছে মাত্র চারটে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে। এই রাসায়নিক পরিবারকে আমরা বলে থাকি অ্যামাইনো অ্যাসিড। এডিনিন, থাইমিন, গুয়ানিন ও সাইটোসিন এই চারটি অ্যামাইনো অ্যাসিড দুটি সমান্তরাল সুগার ফসফেটের সুতোয় বাঁধা হয়ে সৃষ্টি করেছে পৃথিবীর সব প্রাণীর জিন। কি আশ্চর্যের বিষয় না যে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম এককোষী প্রাণের সাথে পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতি মানুষের গঠনের ঐকিক স্তরে কোন পার্থক্য নেই! মানুষ বা বড় উন্নত জীবদের জিন যদিও বহুগুণ জটিল ও তাতে ডি এন এ এর সংখ্যা অনেক বেশী। কিন্তু আদতে সবই এই চার অ্যামাইনো অ্যাসিডের খেলা।
এতক্ষণ তত্ত্বকথা অনেক হল। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং এর প্রণালী ব্যাখ্যায় আবার ফিরে আসব বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে। তার আগে দেখা যাক কিছু আধুনিক খিচুড়ির নমুনা। ভাবুন তো আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটি যদি লোডশেডিং হলে জোনাকির মত জ্বলজ্বল করে? চমকে উঠবেন না দেখে। আধুনিক বিজ্ঞানে এও বাস্তব। ২০০৭ এ দক্ষিণ কোরিয়ার বৈজ্ঞানিকরা অন্ধকারে জৈব-আলোকরশ্মি বিকিরণকারী জেলিফিশের জিন বিড়ালের জিনে মিশিয়ে এই বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী বিড়াল তৈরি করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু এতেই শেষ নয়। ভাবুন তো আজ বিশ্বে পরিবেশ দূষণ সমস্যার কোন সমাধান মানুষ করে উঠতে পারছে না। যদি কাল এমন হয় যে আমাদের চারপাশের গাছপালার মধ্যে জল, মাটি ও বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থগুলো শোষণ করবার ক্ষমতা জন্মায় যা আমাদের জলবায়ুকে আবার স্বচ্ছ করে তোলে? এমন শস্য ও শাকসব্জি যদি জন্মানো যায় যার ত্বকে প্রাকৃতিক-ভাবে কীটনাশক পদার্থ সংশ্লেষ হয় যাতে চাষে রাসায়নিক কীটনাশকের কোন প্রয়োজনই না থাকে? এরকম অসংখ্য সমস্যার সমাধানের স্বপ্ন কিন্তু আমাদের আজ দেখাচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
দেখা যাক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর পদ্ধতিটা ঠিক কি রকম। খুব সহজভাবে বলতে গেলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হল এক প্রাণীর জিন নিয়ে অন্য প্রাণীর জিন এ তা যোগ করা।
আলোকরশ্মি বিকিরণকারী বিড়ালের ক্ষেত্রে এই খিচুড়ির বেশিরভাগ ডি এন এ ছিল বিড়ালের। জেলিফিশের আলো সৃষ্টিকারী ডি এন এ সমষ্টিকে আলাদা করে চিহ্নিত করে সেগুলোকে আলাদা করে বিড়ালের জিন-এ জুড়ে দেওয়া হয়েছে আর তাতেই এই অদ্ভুত বিড়ালের আবির্ভাব ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হল যে জেলিফিশের ডি এন এ বিড়ালের জিন এ কি ভাবে সেঁটে দেওয়া হল? এই দুটো ত সম্পূর্ণ ভিন্ন গোত্রের জীব। এখানেই সেই বিশ্বজনীন চার অ্যামাইনো আসিডের খেলা। আলাদা জীব হলেও জেলিফিশ এর ডি এন এ আর বিড়ালের ডি এন এ দুটোই ওই চার অ্যামাইনো এসিডের তৈরি। তাই বাইরে থেকে ব্যাপারটা তেলে জলে মিশেল মনে হলেও জিনের স্তরে এই মিশেলে কোন বাধা নেই।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ জিনে জিনে মিশ খাওয়ানো ব্যাপারটা শুনতে যতটা সহজ, প্রক্রিয়াটা কিন্তু ততটাই জটিল। এক প্রাণীর জিন অন্য প্রাণীর জিনে যে জুড়ে দেওয়া হবে তার জন্য প্রথমেই দরকার যে জিনটি জোড়া হবে সেটিকে ঠিকমত কেটে ছেঁটে বার করা। এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় এক বিশেষ ধরনের উৎসেচক বা এনজাইম। এই এনজাইমকে বলা হয় “রেস্ট্রিকশন এনজাইম”। কিন্তু শুধু কাটলেই তো হবে না, কেটে বের করা জিনটিকে অন্য প্রাণীর জিন-এ জুড়তেও হবে। এই জোড়ার জন্য আঠার কাজটা করে আরেক ধরনের এনজাইম। এই এনজাইম পরিবারের নাম হল “লাইগেজ”। লাইগেজ এর কাজ হল কাটা জিনের সুগার ফসফেটের সুতোর সাথে অন্য জিন এর সুগার ফসফেটের সূত্রের মেলবন্ধন ঘটিয়ে দুটি জিনকে জোড়া। একবার জোড়া হয়ে গেলে এই নতুন জিনটি (রিকম্বিন্যান্ট ডি আন এ) ধারক প্রাণীর কোষে প্রতিস্থাপন করতে পারলেই কেল্লা ফতে। কিন্তু রেস্ট্রিকশন এনজাইম আর লাইগেজ কিভাবে কাজ করে ও কিভাবে রিকম্বিন্যান্ট ডি এন এ কোষে প্রতিস্থাপন করা হয়, তার বিশদ ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক জটিল জৈবরসায়নের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে তাই আর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে যাব না। তার চেয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে সৃষ্ট কিছু সমস্যা ও বিতর্ক নিয়ে আলোচনা করব।
এ কথা আজ সর্বজন বিদিত যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার মানব জাতীর অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। খাদ্য, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শেষ পর্যন্ত মানব জাতির সম্ভাব্য বিলোপকেও রুখে দিতে পারে। এমন কি মানুষকে প্রায়-অমরত্ব প্রদান করাও এর উন্নতির চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়ত সম্ভব। কিন্তু যেখানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োগ মানুষের ওপরে আগামী দিনে প্রভূত ভাবে হতে চলেছে, সমাজতাত্ত্বিক থেকে বৈজ্ঞানিক সকলেই তার ফলাফল নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। কিছু কিছু মানুষের শঙ্কার মূলে রয়েছে ধর্ম। যারা সৃষ্টিবাদী বা ক্রিয়েশনিস্ট, জিন নিয়ে এই গবেষণা তাঁদের মতে ঈশ্বরের ইচ্ছার উল্লঙ্ঘন করা। কাজেই তাঁদের আপত্তি তো স্বাভাবিক। কিন্তু যারা বিবর্তনবাদী বা ইভল্যুশনিস্ট, তাদের একাংশও এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় রয়েছেন। এবং এদের শঙ্কা হয়ত পুরোপুরি ভিত্তিহীন নয়। এক প্রাণীর জিন অন্য প্রাণীর ক্রোমোজোমে প্রতিস্থাপনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দাবী ইতিমধ্যে এই দলভুক্ত বিজ্ঞানীরা করেছেন। বিশেষত গত শতকের শেষ ভাগ-এ ইংল্যান্ড-এ গবাদি পশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া “ম্যাড কাউ” রোগ এর কারণ হিসেবে একদল বিজ্ঞানী সেই অঞ্চলের গরুদের আহারে জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়রড করা পশুখাদ্যকেই দায়ী করেন। এর পর থেকেই সারা বিশ্বেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত (জেনেটিকালি মডিফায়েড) খাদ্য শস্যের উৎপাদন ও আহারের বিরোধিতা করে আসছে।
চিকিৎসা শাস্ত্রেও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন শঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহারের একটি সম্ভাব্য বিপদের ছবি আমরা ১৯৫৪ সালে রিচার্ড মাথেসন রচিত বিখ্যাত উপন্যাস “আই অ্যাম লেজেন্ড” উপন্যাসে পেয়ে থাকি। ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়রড ভাইরাসের প্রকোপে সমগ্র মানবজাতি এক প্রবল জলাতঙ্ক জাতীয় রোগের প্রকোপে প্রায় অবলুপ্তির পথে যাত্রা করে। এই আশঙ্কা গল্পের ছলে পরিবেশিত হলেও বৈজ্ঞানিকদের একাংশ কিন্তু মনে করেন যে এরকম ঘটনা বাস্তবে ঘটার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
এছাড়া সমাজতাত্ত্বিকরা অন্য একটি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। মনে করুন মানব শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনে অন্য কোন প্রাণীর জিন প্রতিস্থাপন করা হল। তাহলে তার আচার ব্যবহারে যদি সেই প্রাণীর প্রবৃত্তি প্রকাশ পায় তাহলে কি তা সমাজের পক্ষে প্রবল শঙ্কার বিষয় নয়? উদাহরণ স্বরূপ যদি কোন শ্বাপদের জিন বহনকারী মানুষের মধ্যে নরহত্যার প্রবৃত্তি প্রকাশ পায় ও সেই প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে সে কোন হিংস্র অপরাধ ঘটিয়ে ফেলে তখন তার অপরাধের কি বিচার হবে? মানুষের জন্য তৈরি আইন কি তার বিচারের জন্য যথার্থ হবে? জেনেটিক্যালি মডিফাইড মানুষ যদি আলাদা প্রজাতি হিসেবে মানুষের প্রতিপত্তিকে চ্যালেঞ্জ জানায় তাহলে তার সেই অধিকারে বাধা দেওয়া কি যুক্তিযুক্ত হবে? এই পরিস্থিতি আবার মানবজাতিকে কোন মহাযুদ্ধের পথে যে ঠেলে দেবে না তা কে বলতে পারে?
পরিশেষে তাই এটাই বলার যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমান বিজ্ঞানের এক আশ্চর্য সম্ভাবনা। এর ব্যবহারের ফলে যেমন মানবজাতির প্রভূত উপকার সম্ভব, সেরকমই এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন না হলে এর থেকে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েই যায়। তবে আর একটা বড় সাবধানতা যা আমাদের অবলম্বন করতে হবে তা হল এই আশ্চর্য বিজ্ঞানকে মানুষের লোভ চরিতার্থ করবার মাধ্যম হতে না দেওয়া। দেবত্ব লাভের লিপ্সায় শয়তানের জন্ম তো মানুষ যুগে যুগে বার বার দিয়ে এসেছে। অন্তত এই বিজ্ঞানের পরিণতি যাতে সেরকম না হয় এই আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
——————–
* “জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং” কথাটার সাথে মনে হয় আমাদের সকলেরই কোন না কোন সময়ে কোন না কোন মাধ্যমে পরিচিতি ঘটেছে। এই বিষয়টি কিন্তু আরো কিছু বহুল ব্যবহৃত নামেও পরিচিত। কখনো যদি কোথাও “জিন স্প্লাইসিং”, “রিকম্বিন্যান্ট ডি এন এ” বা “জেনেটিক মডিফিকেশন” কথাগুলো দেখতে পান, বুঝে নেবেন আদতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কথাই বলা হচ্ছে।
Tags: প্রচ্ছদ কাহিনি, প্রথম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, সুপ্রিয় দাস, হাঁস ছিল শজারু