সায়েন্স ফিকশন এবং অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির
আজ সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং জুল ভার্নের নাম দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও জানে। কিন্তু আজ থেকে সত্তর-বাহাত্তর বছর আগে পরিস্থিতি মোটেও এমনটা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন উৎসাহী পাঠক ছাড়া বাঙালি পাঠক সমাজে সায়েন্স ফিকশন এর কদর ছিল না বললেই হয়।
সেই সময় ‘অভ্যদয় প্রকাশ মন্দির’ এর কর্ণধার শ্রী অমিয় কুমার চক্রবর্তী সায়েন্স ফিকশনকে বাঙালি পাঠকের [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো ছেলে!
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটার দিকে আর একবার তাকাল স্নেহাংশু। পাঁচটা বেজেও বাজতে চায় না যেন! এখনও পাঁচটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি!
রিভল্ভিং চেয়ারটা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল স্নেহাংশু। পিএ মিস মৈত্রর টেবিলটা খালি। আজ আধ ঘণ্টা আগেই ও ছুটি নিয়ে বেরিয়ে গেছে। টমাস এন্ড ক্রুডাস কোম্পানির কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল চেক করবার—সেইগুলি নিয়েই এতক্ষণ ব্যস্ত ছিল স্নেহাংশু। [আরো পড়ুন]
Read More
অভয়ারণ্য মধুমিডা
পায়রার মতো বড়সড় চেহারার একটা জোনাকি পাখির ছোঁয়া ঘুম ভাঙিয়ে দিল। অনেকদিন বাদে এমন স্বপ্ন দেখল বিদুর।
আড় চোখে তাকাল শ্রীমতীর দিকে। এখনও গভীর ঘুমে অগোছালো আর নিশ্চিন্ত।
যেন ধরা পড়ার ভয়ে চোখ বুজে ফেলল বিদুর। সেই প্রথম সিগারেট টানার দিনগুলোর মতো। কেউ টের পাবে না জেনেও দূরে মুখ সরিয়ে রাখা, ঠোঁট টিপে কথা।
রঙিন আবরণে নিষিদ্ধ চিন্তা। [আরো পড়ুন]
Read More
তোতা রহস্য
মুসান্দম উপত্যকার শুষ্ক, পাহাড়ি প্রকৃতি ইশায়ুর মন্দ লাগল না। এই অঞ্চল পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী, অবস্থান হরমুজ্ প্রণালীর দক্ষিণে। শীতকালীন মৃদু আবহাওয়ায় এখানে এখন চলছে পুরাতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ। মাটির নিচে পাওয়া গেছে মানব সভ্যতার প্রাচীন অবশেষ। একটি আন্তর্দেশীয় দল এই অনুসন্ধানের কাজে নিযুক্ত। ইশায়ু ও স্বেতলানা সেই দলেরই [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read More
ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন
‘ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন’ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠোঁটে পাইপ মাথায় টুপি একটি রোবোট বা সাইবর্গের ছবি। কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের এই ধারাতে শুধুই ভবিষ্যৎ কিংবা অন্য গ্রহে রহস্য আর ক্রাইমের সমাধান হয় না, এই ধরণের গল্প থেকে আমরা পাই মানুষ এবং টেকনোলোজির কিংবা অন্য জগতের প্রাণীদের ভিতরের সম্পর্কের খোঁজও।
তাহলে, প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাকে ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন বলবো আমরা।
Read More
সম্পাদকীয়
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আপনাদের সবাইকে কল্পবিশ্বের তরফে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা।
গত তিন-চারমাসে বাংলার সাহিত্যাকাশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন ঘটেছে। একের এক ইন্দ্রপতনে সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের বিজয়রথ। রনেন ঘোষের পর এবার চলে গেলেন শ্রী অদ্রীশ বর্ধন। তাঁর তিরোধানের সঙ্গে বাংলা কল্পবিজ্ঞানে রত্নযুগের [আরো পড়ুন]
Read More
পুস্তক পরিচয় – ছয়টি ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশনের খোঁজে
এই সংখ্যায় আমি আপনাদের ৬ টি ডিটেকটিভ কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের সাথে পরিচয় করাবো।
১) দ্য ডেমোলিশড ম্যান-এ্যাল্ফ্রেড বেস্টার
২৩০১ সালে বন্দুক শুধুই জাদুঘরের দ্রষ্টব্য। টেলেপ্যাথ পুলিশের কড়া নজরদারীতে অপরাধ ঘটার আগেই অপরাধী ধরা পড়ে যায়। এমন আপাত অপরাধবিহীন সমাজে, এক প্রভূত বিত্তবান ব্যক্তি পরিকল্পনা করতে থাকে এক নিখুঁত খুনের।
ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ আর্কাইভ
বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে প্রকাশিত খবর ও প্রতিবেদন সংকলন
১) রেডিয়োবাংলানেট, ২১ মে ২০১৯
প্রয়াত ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন
চলে গেলেন ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজণিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
কল্পবিজ্ঞানের [আরো পড়ুন]
Read More
সীমারেখা
(১)
মিস কেলির ক্লাসে প্রথম দিনই একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেল।
মিস কেলির ক্লাসটা আমার ঠিক পাশেই। সেদিন আমি সবেমাত্র ক্লাসে ঢুকে রোলকল সেরে বসেছি। পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ক্লাসগুলোতে বাচ্চারা পড়লেও, এদেরকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সহবত শিক্ষা দিতে হয় – আর সেটা ক্লাসে ঢুকেই দেওয়াটা আমি পছন্দ করি। তাও আবার এই সিজনের প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন। তা – ক্লাসে গম্ভীর [আরো পড়ুন]
Read More
সুরক্ষা চক্রের অন্তরালে
সকাল থেকে কলকাতার আকাশটা ধূসর চাদরে ঢেকে দিয়েছে প্রকৃতি দেবী। গুমোট গরমটা কাটিয়ে এবার শুরু হল বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি। অয়ন একটা বড় কাজে দিল্লী গেছে দু-দিন আগে। পরদিন ফিরবে। দিঠি মুসুরি ডালের খিচুড়ি বসিয়ে দেবে ভাবল। শর্টকাট রান্না, খাওয়ার আগে একটা ডিম ভেজে নিলেই হবে। এক কাপ কড়া লিকার নিয়ে বসতেই অচেনা নম্বর থেকে পর পর চারটে মিসকল চোখে পড়ল, কলার আইডিতে নাম দেখাচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
আরোগ্য
‘অর্পণের ব্যাপারটা শুনেছিস?’ চায়ের কাপে একটা সশব্দে চুমুক দিয়ে অন্যমনস্কভাবে জিজ্ঞেস করলো বিট্টু।
‘হ্যাঁ, ফোন করেছিল। ওর ঠাকুরদা’র ঘরের আলমারি থেকে কী নাকি একটা জিনিস পেয়েছে বলছিল। কাল সন্ধ্যায় ওদের নতুন ফ্ল্যাটে ডেকেছে।’
‘আমায়ও ফোন করে একই কথা বললো। আরও কত কী বলে গেল, ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। শেষে বলল, এগুলোই নাকি তার জীবনে আরেকটা সুযোগ এনে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতিমধুর
সকালের ভারী ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়িটা ধীরগতিতে চলছিল। আশপাশের গাড়িগুলো খুব জোরে হর্ন বাজাচ্ছে, ট্র্যাফিক লাইটগুলো দ্রুত রঙ পাল্টাচ্ছে। কিন্তু আমাদের গাড়ির পেছনের সিটে নির্জীবভাবে পড়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারলাম, ওই একটি নাম আমার মাথার মধ্যে বারবার ঘুরে চলেছে।
শীলা! শীলা!
গোঁ-গোঁ শব্দ করে উঠলাম আমি।
সাগর উদ্বিগ্নভাবে ড্রাইভারের [আরো পড়ুন]
Read More
ফল
মেগাকর্প কমপ্লেক্স, সন্ধ্যা ছ’টা
“আমি একটা ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার নাম নয়, বরং ‘রু…উ…উ…’ বলে কে যেন সুর করে ডাকছিল। গলাটা বড্ড চেনা। কোথায় যেন শুনেছি। শুনতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, যেন অনেক আদর আর ভালোবাসা মিশে আছে ডাকটায়।”
“তারপর?” বলিষ্ঠ নারীকণ্ঠ বলে উঠল।
“আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। উঠতে গিয়েই মনে হল, শরীরটা কী ভীষণ হালকা লাগছে! যেন আমি [আরো পড়ুন]
Read More
অকুলাস রোবটিকা
এক
অনেকক্ষণ ধরে মনিটরের দিকে ঠায় তাকিয়ে আছে অরূপ, কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছে না। সকাল থেকেই মনটা বিষণ্ণ ও বিক্ষিপ্ত। মাঝে একবার ঝিমুনির মতো ধরেছিল, উঠে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে এসেছে। তন্দ্রাভাব কিছুটা হয়তো কেটেছে, কিন্তু বিষণ্ণতা যেন আরও জেঁকে বসেছে। দুপুর হয়ে এল প্রায়, এখনও জার্নালটির প্রথম প্যারাই পড়ে শেষ করতে পারেনি।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাকে লক্ষ [আরো পড়ুন]
Read More
মঙ্গলদেউড়ি
—মঙ্গলদেউড়ি—
দৌলতনগরের বুক চিরে চলে টানা চলে গেছে প্ল্যাঙ্ক সরণী। তার এক প্রান্তে গভর্নর প্যালেস আর মহাকাল মন্দির। আর অন্য প্রান্তে এই মঙ্গলদেউড়ি। দেউড়ির অপর পারে রাস্তা খানিকটা দূর এগিয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। তার একটা সোজা চলে গেছে হকিন্সাবাদ অবধি, আর অন্যটা নদী আর জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে বেঁকেচুরে এগিয়েছে রুসোগঞ্জের দিকে।
মঙ্গলদেউড়ি কোনও সাধারণ [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যান্বেষী – ২২৪৫
‘কী হে টিকটিকি! সকাল সকাল মুখ গোমড়া করে বসে আছ কেন বল দেখি?’
আমার ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু এবং রুমমেটটির মন মেজাজ দেখছি সকাল থেকেই বেশ খারাপ! অবশ্য গত কয়েকমাস যাবৎ নিও-আটলান্টা শহরের যা সুসময় চলছে তাতে আমার রুমমেটটির মন ভালো না থাকারই কথা! কত আশা করে সেই সুদূর পৃথিবীর কলকাতা থেকে সাত সমুদ্র, তের নদী, এক চাঁদ, তিন গ্রহ পেরিয়ে টাইটানের ‘ক্রাইম ক্যাপিটাল’ নিও-আটলান্টায় [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৬ মহাকাশ অভিযান
জুলাই মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় রবিবার। মাসচারেক পর প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট আমেরিকা থেকে ফিরেছেন দিনকয়েক হল। স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে ফোনে দু’দিন কথা হয়েছে। মাসদেড়েক থেকে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগেই আবার চলে যাবেন। ফিরতে ফিরতে সেই মার্চ-এপ্রিল। স্যার যখন ছিলেন না— তখন আমি একটা কাজের কাজ করেছি। আমি সেই প্রথম দিন থেকেই স্যার এই অপার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
চতুর্থ বর্ষ প্রথম সংখ্যা
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী পম্পা প্রধান।
Read More
সম্পাদকীয়
জানলাম রণেন ঘোষ আর নেই। কল্পবিজ্ঞানের অক্লান্ত লেখণী, সমস্ত জীবন এই কাজে ঢেলে দিয়ে নিজের প্রকাশনা করেছেন কল্পবিজ্ঞানকে ঘিরে৷ কল্পবিশ্ব গ্রুপের নতুন ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়েছেন সাদরে, আশ্রয় দিয়েছেন। একবার মাত্র ফোনে কথা হয়েছিল, কত স্নেহ ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়। তিনি থেকে যাবেন আমাদের সবার মনে তাঁর অসংখ্য সৃষ্টি আর নবীন প্রজন্মের মাধ্যমে।
কঙ্কাবতী কল্পবিজ্ঞান লেখেনি? লিখেছে তো!
(১)
Read More
ক্লাউন – আতংক
ঊনত্রিংশ শতাব্দী। ক্লাউনরাই এখন জগৎ শাসন করে। পৃথিবী বর্জন করেছে টেকনোক্রেসিকে। টেকনোক্রেসিই এই পৃথিবীতে মারাত্মক সব প্রাণঘাতী অস্ত্রের জন্ম দিয়েছে যা একসময় এই পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। দুনিয়া আজ তাই দুটো সমান্তরাল ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর একটা অংশ শাসন করে কিং ক্লাউন আর অন্যটা রেক্স করিডন। কিং ক্লাউন তাঁর প্রাণোচ্ছল স্বভাবের জন্য পরিচিত। [আরো পড়ুন]
Read More
রণেন ঘোষ (১৯৩৬-২০১৯) – বাংলা কল্পবিজ্ঞানের এক অন্যতম শেষ মোহিকান
রণেন ঘোষ (১৯৩৬-২০১৯)
রণেন ঘোষ আর নেই। রবিবারের সকালে মৃত্যু হয়েছে এই অশীতিপর তরুণের। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুখের সঙ্গে লড়তে লড়তে অবশেষে হার মানতে হল আমাদের অত্যন্ত প্রিয়, কাছের মানুষটিকে। তবে রণেনবাবুর মতো সৃষ্টিশীল মানুষ তাঁর কর্মকাণ্ডের ভিতর দিয়ে জীবনের কাছে চিরবিজয়ী হয়ে থাকবেন। মৃত্যুর সাধ্য নেই সেখানে নাক গলায়।
বাংলা কল্পবিজ্ঞানের প্রবাদপুরুষ [আরো পড়ুন]
Read More
আত্মীয়
পূর্ণিমার রাতে একটু আধটু বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় পায়চারি করাটা বহুদিনের অভ্যেস। সেদিনও চাঁদের আলো এসে ঘরের জানালা দিয়ে বেডকভারের ফুল লতাপাতার ওপর পড়তেই আমি পায়ে স্যান্ডেল গলাতে গলাতে থমকে গেলাম। কেউ একজন ছুটে আসছে আমার বাড়ির দিকে। কিছু একটা বলতে বলতে আসছে! কে রে বাবা? এমন চাঁদনী সন্ধ্যেটা মাটি করবে! একেই তো জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ওদিকে অনলাইনে [আরো পড়ুন]
Read More
যযাতিয় লালসায়…
সকালের প্রায় সমস্ত কাগজগুলোতেই জ্বলন্ত শিরোনাম।
‘বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী ভিষ্মিকা অগ্নিদগ্ধ। তিনি একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্যের শুটিং এর সময় অগ্নিদগ্ধ হন এবং ঐ চলচ্চিত্রের নায়ক তাকে শ্যুটিং কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন। উল্লেখ্য ওই দৃশ্যের শুটিং-এর জন্য যাবতীয় সুরক্ষার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এতদ সত্ত্বেও অভিনেত্রী ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলেন।’
Read More
নবজাতক
–সিস্টার, বাচ্চাটা এখনও কাঁদেনি? মিনিট দুয়েক তো হয়ে গেল ডেলিভারীর?
–না স্যার, এখনও কাঁদেনি। ভালো করে দেখুন তো বাচ্চাটার মুখটা কেমন হাসি হাসি আর পরিণত! আর তাকানোটাও লক্ষ্য করুন, আমার দীর্ঘ বারো বছরের নার্সিং প্রফেশনে এরকম স্পষ্ট চোখের ভাষাওয়ালা বাচ্চা কখনও দেখিনি।আর এমনি তো সব কিছুই স্বাভাবিক দেখছি।
–হুমম্। কিন্তু, বাড়ির লোকজন তো বাইরে অপেক্ষা [আরো পড়ুন]
Read More
সময়চক্র
(১)
পঁচিশ তলা উঁচু বিল্ডিংটার একেবারে উপরের ঘরটিতে একটি অত্যাধুনিক ফ্লাইং চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন বছর সাতাত্তরের এক ভদ্রলোক। তাঁর কপালে একটি চেরা দাগ।
পিছনের স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়াল ভেদ করে দেখা যাচ্ছে কিঞ্চিৎ ধূসর রঙের আকাশটা। সেই আকাশের বুকে অনবরত টহল দিচ্ছে কয়েকটি ‘ই.আর.জি ৪৫’। এক্সট্রা অর্ডিনারি রোবোটিক গার্ড। ২০৪৫ সালের সেরা আবিষ্কার। [আরো পড়ুন]
Read More
আকাশ-গঙ্গার মুলুকের তিনটি গল্প – তারার থেকে তারায় ঘুরে বেড়ানোর যুগের উপকথা
টিপি-পাখি হেঁকে উঠল, ‘শোনো!’
কুম্বজা তারামন্ডলের, জেহানা গ্রহের সারস মানুষের একটি লোককথা।
সে অনেক দিন আগের কথা। মানুষ তখন সারস সমতলের উর্বর নদী উপত্যকায় সবে বসবাস করতে শুরু করেছে। সেখানে একটি টিপি পাখি ছিল। সে সময়ে টিপি পাখিরা শুধুমাত্র আজকের মতো কৌতুহলীই ছিল না, তারা কথা বলতেও পারত। তারা মানুষের বাড়ি-ঘর-দোরের কাছাকাছি নদীর তীরে বসে বসে সারাদিন ধরে [আরো পড়ুন]
Read More
শুভাকাঙ্খী
বুধবার বিকেল চারটে
আজ প্রায় পাঁচ দিন হয়ে গেল-এত লোক দেখেছে ভিডিয়োটা, প্রায় ভাইরাল হয়ে গেছে। প্রথমদিকে মুকুলকে প্রায় মেরে ফেলার ইচ্ছেটা এখন অনেক প্রশমিত। শুধু একটা প্রচন্ড তিক্ত স্বাদ মুখে। মেট্রোরেলের জানলা থেকে দ্রুত বদলে যাওয়া শহর… আমি দেখতে পাচ্ছিনা আর কিছুই– শুধু ধূসর, বিবর্ণ আর অগুনতি মানুষ। গতকাল বিকেলে টালিগঞ্জ স্টেশনে নামার পর আমার সব [আরো পড়ুন]
Read More
যন্ত্রণানিরোধক যন্ত্র
হ্যালো, হ্যালো!
হ্যাঁ, কে বলছ।
এই, এই, আমি নন্দিতা বলছি। চাপা গলায় বলল নন্দিতা। মানে স্বাভাবিক গলায় বলবে ভাবল কিন্তু বলাটা হয়ে গেল কেমন ত্রস্ত, ভয়ভীত। চাপা।
নন্দিতার ভয়, বড় ভয়।
হ্যাঁ নন্দিতা, বল বল। হাতের আঙুলে লেগে থাকা জ্যামটুকু চেটে নিল সুনেত্রা। এখুনি দুটো বিস্কুটের মাঝখানে জ্যাম লাগিয়ে খাচ্ছিল। বিন্দাস সুনেত্রা খাওয়া দাওয়ায় দিল দরিয়া।
Read More
যদি
এক…
আলো ভালো করে ফুটতে না ফুটতেই হালুম-গোলুমকে তাড়া লাগায় দিদুন, “চটপট রেডি হয়ে নে। একজায়গায় নিয়ে যাব।” দাদাভাই অবিশ্যি ওদের পক্ষ নিয়ে বলতে যায়, “আহা, ওদের যে এখনও উড়োজাহাজের খোঁয়ারি কাটে নি। কাল গেলে হত না? মর্ণিং ওয়াক তো পালিয়ে যাচ্ছে না।” হালুম-গোলুম মজা পায়, “দাদাভাই ইজ সো ফানি! হোয়াটস আ খোঁয়ারি? ইউ নো গোলুম?” “নোপ।” গোলুম চাঁচাছোলা, “সাম ল্যাঙ্গোয়েজ [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রীন কার
কাহিনি সূত্র
স্বার্থলোলুপ মানুষগুলোর হাত এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অপর্ণা। যে করেই হোক তাকে রক্ষা করতে হবে বিজ্ঞানী আশিস বসুর অবিস্মরনীয় আবিষ্কার ‘গ্রীন কার’। গ্রীন কার একটি নতুন ধরনের গাড়ির মডেল। যে গাড়ি পেট্রোলে নয়, চলবে হাইড্রোজেন গ্যাসে। হাইড্রোজেন-কার যদিও নতুন কোনও আবিষ্কার নয়, তবে আশিসের আবিষ্কারের অভিনব বিষয় হল, হাইড্রোজেন পেতে আশিস ব্যবহার [আরো পড়ুন]
Read More
শ্যাওলা
ঝুরি দিদা ভূত দেখতে পেত। মরে যাওয়া মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা… সব। কতবার বাতাসের গায়ে হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলতে দেখেছি সেজ দাদু, বাগানের শুকিয়ে যাওয়া বনতুলসী বা গাড়ির তলায় চাপা পড়া আমাদের আদরের মেনিটার সঙ্গে। সবাই বলত ঝুরি দিদা নাকি পাগল। চোখে মোটা চশমা আঁটা রাঙাজেঠু ছিল সায়েন্সের টীচার, মাঝে মাঝে ভুরু কুঁচকে উদাস স্বরে বলত, “হয়ত অন্য কোনো তরঙ্গ প্রবাহের [আরো পড়ুন]
Read More
এণাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের কল্পজগত
বিখ্যাত শিল্পপতি শ্রী ঘনশ্যাম রামের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারের প্রশ্ন নিয়ে এক বিরাট মামলা হয় যেখান থেকে উঠে এসেছিল গভীর একটা ইতিহাস যেখানে জিন প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি আগামীর হিমশিশুরা অপেক্ষা করে থাকবে সভ্যতার ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অথবা চলে যাওয়া যাক ত্রয়োবিংশ শতাব্দীতে, যেখানে প্রজেক্ট ঊর্বশীর মাধ্যমে অমরত্বের সন্ধানে বিজ্ঞানের [আরো পড়ুন]
Read More
আইসবার্গ
‘সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল জানিস?’ সাইকেলের স্পিড একটু না কমিয়ে কথা গুলো আমাদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে গেল বুবলাই।
আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে হাওয়া। লম্বা চক্কর কাটতে পাড়ি দিয়েছে পার্কের ওই প্রান্তে। ঠিক জানি আবার এই পথেই ফিরে আসবে তাই অপেক্ষা করতে লাগলাম সবাই – মানে আমি, অপু আর টোটোন।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার তার আগমন। প্যাডেল ঘুরছে বাঁই বাঁই, [আরো পড়ুন]
Read More
যন্ত্রিনী
কথাটা কানে যাচ্ছে না?
রুবু চুপচাপ।
কি হল? লীনা বলে উঠল।
রুবু একটু ঘুরে ফিরে থেমে গেল মেঝের ওপর।
লীনা রিমোটের বাটন নিয়ে দক্ষ যজ্ঞ বাধিয়ে ফেলার আগেই অতনুর ফোন ঘোরাল। এই দেখ, তোমার রোবট মেইড আমার কোনও কথাই শুনছে না। অতনু বলল, পড় ওর গায়ের মিনি এলসিডি স্ক্রিনে কী লিখছে সে।
লীনা বলল যে প্রথমে স্ক্রিনে ফুটল Error, আমি ম্যানুয়াল খুলে পড়লাম। প্রথমে রেড [আরো পড়ুন]
Read More
মৃত্যুদণ্ড
বাইরে ঝড়ো হাওয়া বইছে, কদিন ধরে বঙ্গোপসাগরের উপর যে নিম্ন চাপটা জমে ছিল তা আজ উপকূলে আছড়ে পড়েছে সজোরে। রায়পুরে গঙ্গার ধারে এই বাড়িটা তিনশো বছরের পুরানো। ঝড়ের তাণ্ডবে কড়িবর্গা কেঁপে কেঁপে উঠছে। ডঃ রায় দোতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ান। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসছে, কিন্তু দু চোখে রয়েছে এক নতুন আশা। তিন বছর ধরে গবেষণা করে আজ প্রায় সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্গনারীর কল্পবিজ্ঞান: একটি পর্যবেক্ষণ
মেয়েদের লেখা কল্পবিজ্ঞান। কথাটার মধ্যে কেমন যেন একটা তাচ্ছিল্য রয়েছে, না? ঠিক যেমন মাধ্যমিক বা অন্যান্য পরীক্ষায় ‘মেয়েদের মধ্যে প্রথম’ শুনলে মনে হয়। বলা যেতে পারে, লেখা শেষ পর্যন্ত লেখা। তাকে মেয়ের লেখা, ছেলের লেখা, বয়স্ক মানুষের লেখা, কমবয়সির লেখা এভাবে ভাগ করে কী লাভ? কথাটা একদিক দিয়ে হয়তো ঠিক। কিন্তু আরও একটু তলিয়ে ভাবলে বোঝা যায় এর পিছনে লিঙ্গ বৈষম্য, [আরো পড়ুন]
Read More
মেমারি চিপ
টিফিনের বাক্সটা খুলে টুপুরের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। শ্রুতি বলল, কীরে, টুপুর কাঁদছিস কেন? টুপুর বলল, কিছু না, এমনি। শ্রুতি ওর ছোট্ট দু-হাতের পাতা জড়ো করে টুপুরের গালটা ধরে বলল, জানিস না, বেস্ট ফ্রেন্ডকে মিথ্যে কথা বলতে নেই। শ্রুতির কথায় টুপুরের আরও কান্না পেল। চোখ দুটো জলে ভেসে গেল। সেই দেখে শ্রুতি বন্ধুকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল। কোনওরকমে কান্নাটা সামলে [আরো পড়ুন]
Read More
কাঁটাচুয়া
ডক্টর প্রণব নাথ একজন বছর তেত্রিশের এমবিবিএস ডাক্তার, নিজের বিচারেই তিনি সাধারণ। অল্পস্বল্প প্রাইভেট প্র্যাকটিশ আর বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতায় তার দিনকাল ভালই কাটে। স্ত্রী এবং চার বছরের মেয়ের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, এক সঙ্গে টিভি দেখা, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া, আরাম-বিশ্রামের সুযোগ পান। অধিকতর সফল বন্ধুবান্ধব কি দামি ডাক্তাররা যখন পিঠ-চাপড়ানোর [আরো পড়ুন]
Read More
ভালোবাসা ডট কম
অনসূয়া দাঁড়িয়েছে এসে আয়নার সামনে। আধো অন্ধকার ঘর। পিছনের জানালায় এক টুকরো আকাশের ছায়া দেখা যাচ্ছে। আয়নাটা দেখতে দেখতে একটা কুয়ো হয়ে যাচ্ছে। দেখলে মনে হবে তার তল নেই। অনসূয়া জানে ওই কুয়োটায় ঘোলা জল, অনেক গভীরে থকথকে কাদা। ওর মধ্যে নিজের প্রতিবিম্ব দেখছে অনসূয়া। নিজের ভাঙাচোরা প্রতিচ্ছবি দেখছে। এখানে বাতাস কম। দম বন্ধ হয়ে আসছে অনসূয়া…!
ঘুমটা ভেঙে [আরো পড়ুন]
Read More
বাতাসে স্বপ্ন ভাসে
মাথায় তীব্র একটা যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙল মোহরের। কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। জমাট নিরেট অন্ধকার। ওঠার চেষ্টা করেও পারল না। হাত পা নড়ছে না। নরম কাদা কাদা কোন জায়গায় ও শুয়ে আছে। আমি কোথায়, কি করে এলাম? ভাবার চেষ্টা করল। নিরেট অন্ধকারের মতো নিরেট নিস্তব্ধতা। অগত্যা মোহর আবার চোখ বুজে ফেলল। যেখানে চেষ্টা করে লাভ নেই সেখানে বিনা চেষ্টায় পড়ে থাকাই ভাল। অযথা শক্তি ক্ষয় করে কী হবে?
Read More
ফর্মুলা ১৬
ভানুদার ধনকাকার বিস্ময়কর গবেষণার কথা যদিও যাকে বলে প্রকাশিতব্য নয়, তবু এমন মূল্যবান তথ্য থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা কত বড় অন্যায় কাজ হবে, শুধু সেই কথা ভেবেই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে না হলেও, মোটামুটি সব কথা ফাঁস করে দিচ্ছি। তবে বলা বাহুল্য, নামধাম ইত্যাদি সমস্তই আমার কল্পনাপ্রসূত। কারণ পাত্রপাত্রীদের কেউ কেউ বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে অমরত্ব দাবি করতে [আরো পড়ুন]
Read More
কলাবতী
পর্ব এক
অনেকক্ষণ ধরে বাড়ির সামনে পায়চারি করছে একটা লোক। তিনবার কলিং বেল বাজিয়েছে। ভেতরে আওয়াজ গেছে কি না বোঝার উপায় নেই। বাইরে এত হাওয়া চলছে যে কান-মাথা সব মোটা টুপিতে বন্ধ। কিন্তু ওপাশের বাড়ির জানলা দিয়ে ইতিমধ্যেই উঁকি দিয়েছে একটা মুখ। এদিকের বাড়ির ঝোলানো বারান্দায় এসে ভৌ ভৌ ডাকে বিরক্তি প্রকাশ করেছে আর্নল্ডের টেরিয়ারটা। কি যেন নাম ছিল, টিয়া বলেছিল। [আরো পড়ুন]
Read More
নীল গিনিপিগ
(১)
গ্রীষ্মের দাবদাহে শহরবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিছু বছর আগেও কলকাতায় এত গরম শোনা যেত না। টেম্পারেচারের পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে। ঘরে এসি লাগানো এখন আর বিলাসিতা নয়। কৃষ্ণেন্দুদের দমদমের কলোনি এলাকাতেও এখন ফিনান্সে লোকে এসি কিনছে। কৃষ্ণেন্দু সামনের মাসে মাইনে পেলে এসি কিনবে। রাতে কোনওরকমে হাঁসফাঁস করতে করতে ঘুমানো। ভোর পাঁচটায় মোবাইলে অ্যালার্ম [আরো পড়ুন]
Read More
শূন্যকাননের ফুল
মারিওভা কফি জয়েন্ট
‘নতুন কফি জয়েন্টটায় গেছিলে কোনওদিন?’
‘কোনটা?’
এরো-স্কুটিটাকে কায়দা করে হাওয়ায় ভাসিয়ে রেখেছিল জারা। নোয়ার ঝুলবারান্দার ঠিক একতলে, একদম নোয়ার মুখোমুখি। কথা বলতে বলতে একটু ছুঁয়ে নিচ্ছে নোয়াকে। ওর চুল, গাল, ঠোঁট। এভাবে ছুঁতে ওর ভালো লাগছে। বিশেষ করে নোয়ার ঠোঁট ছুঁলে ওর শরীরের মধ্যে কী যেন একটা হচ্ছে। এরকম তো আগে কখনও হয়নি। প্রতিদিন [আরো পড়ুন]
Read More
মেরিলিন
“তুমি হলে গিয়ে একখানা যন্ত্র।” রেইন অরবিসন বলল, বর্মে ঢাকা মুঠোখানা ওর সামনের ল্যাব বেঞ্চের ওপর ঘুঁষিয়ে। “কাজেই আমি যা বলব তাই তোমাকে করতে হবে।”
ও কিন্তু তখনও নিজের মুখ ঢেকে রাখা হাতদুটি সরায়নি।
“থামাও এসব!!!”
“আমি দুঃখিত”, ফুঁপিয়ে উঠে বলল মেরিলিন। চুমকি শলমা দেওয়া পোশাকের নীচে তার নিখুঁত কাঁধদুটি কেঁপে কেঁপে উঠল। “মিস্টার অর্বিসন, আমি সত্যি [আরো পড়ুন]
Read More
মাংসজীব
–ওরা মাংসের তৈরী।
–মাংস? বলো কী?
–হ্যাঁ মাংস। মাংস দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ওদের।
–আজব কাণ্ড! মাংস দিয়ে তৈরী হতে পারে এমন জিনিস?
–তা আর বলছি কী! আমরা ওদের বেশ কয়েকটিকে ধরে নিয়ে এসেছি গ্রহের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ল্যাবে নিয়ে তাদের আগাপাশতলা বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাম তাদের সমস্তটাই মাংসের তৈরী।
–অসম্ভব কথা। মাংস থেকে রেডিয়ো সিগন্যাল [আরো পড়ুন]
Read More
বনলতা
আবার সেই পিঁ-পিঁ বিপ-বিপ শব্দ। আবার হচ্ছে সেই – মাথার মধ্যে কানের মধ্যে। অসহ্য যন্ত্রণায় যেন ফেটে যাচ্ছে সারা শরীর। রোজ কি একই সময়ে এটা হচ্ছে? এই নিয়ে কদিন যেন হল? তিন দিন, না কি চার দিন? ছুঁচ ফুটছে শরীরের সব নরম জায়গায়।
সে দম বন্ধ করে থাকলো কয়েক মিনিট। তাও মুক্তি কই! পরের স্টপেই নেমে পড়তে বাধ্য হল না পেরে। আর নামতেই তুমুল বৃষ্টি; এই নভেম্বরে বৃষ্টি! যেন [আরো পড়ুন]
Read More
বীজ
শবনম্ খুব ভালো আদর করে। আনন্দ এই আদরের সময় সব কিছু ভুলে যায়। ওর কাজ, ওর হেরে যাওয়া, রেজাল্ট ভালো না হওয়া, মায়ের মানসিক দুর্বলতা, বাবার বীভৎস মৃত্যু… সব কিছু। কিন্তু বিয়েটা ওদের দুজনের কিছুতেই করা হবে না। শবনম্ আনন্দর গলার কাছে নাক ঘসতে ঘসতে বলে, “তোর বাবা যদি বেঁচে থাকত তাহলে আমি কিছুতেই তোকে ছাড়তাম না।” আনন্দ জানে, মা শবনম্-এর কথা জানতে পারলেই আবার [আরো পড়ুন]
Read More