মনের মতন মানুষ
“তাহলে আমার সঙ্গে চলো” – অবশেষে বলেই ফেললো রঙ্গন।
“যাবো? কোথায় যাবো?” – হেসে বলে ফেললো রাই।
অনেক সময়েই প্রেমিকের কথা শুনে হেসে ফেলে তরুনীরা। ইতিহাস জুড়েই হেসেছে। সেই হাসি তাচ্ছিল্যের বা ব্যঙ্গের নয়। আমি তোমার জন্য অসম্ভবতমটাও করে ফেলতে পারি – এই উক্তির মধ্যে যে সাহস আর বোকামো আছে, [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতির কুহকজাল
পার করে কোন দূরের চর্তুদশক,
এলেম যেথায় সবুজের অশোক,
রেখেছিলেম মোরা পায়ের চিহ্ন,
জীবন – বৃত্তের কোনো বিন্দুতে,
সময়ের এক অপরাহ্ণে,
আমার সেদিনের জন্ম –পরিচয়,
যেখানে দিল এক উষ্ণ হৃদয়!
মুহূর্তের বাঁকে,
পটভূমির আঁকে,
দিনের সীমান্তে,
অভীষ্টের সীমন্তে,
ধাঁধাঁর মিলনান্তে,
কোন সে প্রান্তে!
বিভ্রান্তির শেষে,
জ্ঞানগর্ভের তুষে,
গিরিসঙ্কটের আকর্ষণে,
শূণ্যের পথে ধায় প্রাচীনের রণ,
Read More
সমান্তরাল
দরজার কি–হোলে চোখ রাখল শুভম। বাইরে গাঢ় অন্ধকার। বন্ধ দরজায় জোরে জোরে আঘাত শুরু হল। এর আগেও করেছে — বহুবার। শুভমের কপাল ঘামে ভেজা। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ। বেঁচে থাকার তাগিদ ওকে মরিয়া করে তুলেছে।
পূর্ব স্মৃতি ওর কিছুই মনে নেই কেবল এই বন্ধ ঘরে নিজেকে আবিষ্কার করা ছাড়া। প্রথমে মনে হয়েছিল ও কিডন্যাপ হয়েছে [আরো পড়ুন]
Read More
কানেকটম রহস্য
কালো কফিতে চুমুক দিয়ে প্রফেসর খাসনবিশ বললেন, “কসমোলজির আসল মজাটা কি জানো অর্ণব, সব কিছুই এখানে আপেক্ষিক। কোন কিছুই তুমি সাদা কালোতে বিচার করতে পারবে না। কোনটা যে সত্যি আর কোনটা নয় তা ঠিক করার জন্যে যে কনসেপ্টগুলো তৈরী হয়েছে সেগুলো নিয়েও প্রচুর ধোঁয়াশা আছে।”
শনিবারের বিকেল। [আরো পড়ুন]
Read More
ভীনগ্রহের স্বর্ণঝঞ্ঝা
রাত বারোটায় আহারের পর ছাদে ঘুরে বেড়ানো টঙ্কার অনেকদিনের অভ্যাস। আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
‘সত্যি, দাদু কলকাতা ছেড়ে এই ফ্যাচাংপুরে বাড়ি না করলে এইরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ কোথাও পেতাম?’ মনের আনন্দে আপনমনে বলে উঠলেন ফ্যাচাংপুরের বিখ্যাত পাটের ব্যবসায়ী টঙ্কা, মানে টঙ্কেশ্বর গুপ্ত! আসলে এই টঙ্কেশ্বর নামেরও একটা ইতিহাস আছে।
‘নাতি [আরো পড়ুন]
Read More
সরীসৃপ
টিকি হয়তো আর বেঁচে নেই৷ কাল রাতে বাবা ঘরে স্প্রে করেছিল, সকালে যখন মা আমায় খাটে বসিয়ে চেঞ্জ করাচ্ছে, তখনই দেখতে পাই, আরশোলা [আরো পড়ুন]
Read More
সন্দীপ রায়ের সঙ্গে বাস্তবের এক কল্প-আড্ডা
আড্ডার সময় আর স্থানঃ ১৪ ই আগষ্ট, ২০১৭, ১/১ বিশপ লেফ্রয় রোড (রায়বাড়ি)
কল্পবিশ্বের তরফে সাক্ষাৎকারেঃ বিশ্বদীপ দে, সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি গোস্বামী আর সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
কল্পলোকের সীমাহীন প্রান্তরে গিয়ে দেখি দূর থেকে মানিক রাজার সেই রেল গাড়ির হুইশল্টা ভেসে আসছে। দূর থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ডুবুরি
ক্ষীণ অ্যালার্মের আওয়াজের সাথে ঘুমের মধ্যে বাবার ডাক শুনে উঠে পড়ল বান্টি। ভালো নাম নির্মাল্য। মাইথন ডিনোবলি–র চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সে। ভোর বেলা স্কুলের জন্য মা তৈরি করলেও [আরো পড়ুন]
Read More
প্রাইজ অফ পেরিল – রবার্ট শেকলে
বিপ্লবী পুলিন দাস স্ট্রীট ধরে ছুটতে ছুটতে এসে ডানদিকে পার্সি বাগান লেনে ঢুকে থমকে দাঁড়াল সিরাজ। উফ! শরীর আর দিচ্ছে না! কিন্তু না, থেমে গেলে চলবে না। এই রাস্তা ধরে সোজা গিয়ে এপিসি রোডে উঠলে কিছুটা সময় পাওয়া যাবেই! রাত দেড়টা বেজে গেলেও এপিসি রোড একদম নির্জন হয়ে যায় না। পাঁচ, আরো পাঁচ ঘণ্টা তার হাতে আছে। এইটুকু পার করে দিতে পারলেই…
Read More
বাতাসে মৃত্যুর ফাঁদ – অ্যালফ্রেড বেস্টার
যেদিন আমরা পালিয়েছিলাম প্যারাগন ৩ থেকে, ঠিক সেই সন্ধেবেলাই সেখানে হাজির হল এক সশস্ত্র সৈন্যর দল। এদের দেখলে মনে হবে যেন পাথর দিয়ে কোঁদা। একই ছন্দে চলেছে সবকটা। অথচ প্রত্যেকেরই অভিপ্রায় যেন এক। প্রত্যেক সৈন্যরই সঙ্গে আছে বন্দুক, ওয়াকি–টকি, কানে লাগানো স্পিকার বাটন, গলায় মাইক্রোফোন, হাতে চকচকে সবুজ ভিউস্ক্রিনওলা ঘড়ি।
Read More
মারকত নন্দিনী
নদীর কিনারা বরাবর খুঁটি পুঁতে তার ওপরে কাঠের তক্তা বসানো। জেটি বলতে ব্যস ওইটুকুই। তার একপাশ দিয়ে আওয়াজ করে ছুটে চলেছে চলেছে বর্ষায় ভরে ওঠা ভৈরবী নদী। অন্যপাশের উঁচু পাড়ের ওপর সার দেওয়া মালগুদাম।
জল কাদায় জেটিটা মাখামাখি হয়ে আছে। একপাশে জড় করে রাখা কয়েকটা প্যাকিং বাক্সের অবস্থা তথৈবচ। তবু তারই মধ্যে একটার ওপরে কোনরকমে বসে পেছনের দিকে তাকায় বর্ণা।
Read More
জীবন
বোনজোরনো সিনিওরে, কোসা পোসসু ফারে পের লেই?*
বোন জোর নাকে বয়**, But I know only this much of Italian. I am Nirod Mukherjee, from India.
Sorry sir, let me please allow to check the register…
রিসেপশনিস্ট রেজিস্টার চেক করে নির্দিষ্ট [আরো পড়ুন]
Read More
একটি অসমাপ্ত কাব্য
নাঃ কবিতা লেখা আমার দ্বারা আর হোল না। অথচ এত ভালবাসি আমি কবিতা লিখতে। এই তো আমাদের প্রবীর – কবিতা লেখায় কত নাম ডাক। ফি বছর স্কুলের ম্যাগাজিনে ওর কবিতা প্রথমেই থাকে। আমাদের বাংলার স্যার রমাপ্রসাদ [আরো পড়ুন]
Read More
মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে—
“আপনি দারুণ বোঝাতে পারেন স্যার,” অ্যালিস বলে উঠল, “আমায় একটু জ্যাবরওয়াকি কবিতাটার মানে বুঝিয়ে দিন না!
“আর আমার কাছে যে কোন কবিতার মানে বোঝানো তো নস্যি। বলো শুনি। বলো –বলো—” হাম্পটি ডাম্পটি জবাব দিল।
শুনে অ্যালিসের বেশ আশা গজাল প্রাণে। সে শুরু করে দিল,
“সেই যে ব্রিলিগ স্লাইদি টাটুমটোবে
গিমলে ঘুরাণ সূর্যকাঁটার ঘাসে
মিমসিগুলো বনলে বোরোগবে
Read More
তেলেভাজার একদিন
দিনটা শুরু হয়েছিল সাধারণ ভাবেই। আমি হাতিবাগানের সামনে হাঁটছি৷ এখানে একটা কাজ ছিল৷ থাকি দক্ষিণ কলকাতায়৷ শ্যামবাজারের মোড়ে গেলেই মেট্রো পেয়ে যাব৷ হঠাৎ খেয়াল করলাম রাস্তায় [আরো পড়ুন]
Read More
মূষিক আতঙ্ক – এইচ পি ল্যাভক্রাফট
শেষ মিস্ত্রীটা কাজ খতম করে যেদিন বিদায় নিল, ১৯২৩ সালের সেই ১৬ই জুলাই, আমি এক্সাম প্রায়োরীতে পাকাপাকিভাবে [আরো পড়ুন]
Read More
৪.৮
মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙল দীপের। ‘কোথায় [আরো পড়ুন]
Read More
ইস্কুল
রাইজিং স্টার ইন্টারন্যাশনাল ইস্কুলের ফ্রণ্ট ডেস্কের মেয়েটি আমাকে বলল, “আমাদের ইণ্টারভিউ আরও কয়েকদিন চলবে। যাদের আমরা যোগ্যতম মনে করব, তাদের মধ্যে থেকেই আমরা বেছে নেব পরবর্তী ইংরাজি শিক্ষকদের। আপনি যদি সিলেক্টেড হন, আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে।”
আমি হতাশ হয়ে বললাম, “তাহলে আজকের মতো কি আসতে পারি?”
মেয়েটি বলল, “হ্যাঁ।”
Read More
পুতুলবাড়ি আরোগ্যনিকেতন
তারক মণ্ডল ছেলে হিসেবে অতি চমৎকার তো ছিলই, তদুপরি তার একটা আশ্চর্য গুণ ছিল, সব জায়গায় সে ভূত দেখতে পেতো, আর সেটাই শেষ পর্যন্ত ….
ঘটনাটা গোড়া থেকেই খুলে বলি।
তারক মণ্ডল, আগেই বলেছি [আরো পড়ুন]
Read More
কাঁঠালতলা
২০৬৫ সালে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর তৃতীয় দিন ওদের পাঠিয়ে দেওয়া হল। অতীতে। ১৮৬৫ তে।
ওরা চার ছেলেমেয়ে। মিস্টার ও, মিসেস ও, দুজনেই ঘন্টাখানেকব্যাপী হাইড্রোজেন বিস্ফোরণে অক্কা পেয়েছেন। প্রাচীন যুগের ভাষায় বললে, ওঁদের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছিল।
চার বাচ্চা, [আরো পড়ুন]
Read More
এখনও বৃষ্টি হয়!
কুণাল তাঁর চশমাটা খুললেন। মাঝে মাঝেই ঝাপসা হয়ে আসে কাচ। অনেকসময়ই বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই। অন্যমনস্কভাবে হাত লাগিয়ে ফেলেন, তারপর বিরক্তিকর কাচ পরিষ্কার! [আরো পড়ুন]
Read More
পক্ষীরাজ
বিনু যখন কথাটা আমায় বলেছিল, চারপাশ তখন আকাশজোড়া কালো মেঘের ছায়ায় ময়লা ও আবছা হয়ে এসেছে। যে কোনও সময় বৃষ্টি নেমে পড়বে। ঘরের আলোটা জ্বালানো ছিল না। বাইরের বিবর্ণ আলোতে বিনুর মুখটা দেখতে পাচ্ছিলাম। ওই কম আলোতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ওর উজ্জ্বল [আরো পড়ুন]
Read More
বাড়ি বাড়ি খেলা
তিরিশ শতাব্দীর ছোট্ট ছেলে বাপ্পা রূপকথায় বিশ্বাস করে। যন্ত্র মানুষের হাতে মানুষ হলেও সে বিশ্বাস করে একদিন পৃথিবীতে সব ছোটরা তাদের বাবা মায়ের কাছে থাকত, আদর খেত। প্রতিদিন সন্ধেবেলায় তার যন্ত্র মানুষ যখন ব্যাটারি চার্জ করতে যায় তখন সে তাই তার খেলার ঘরের কমপ্যুটারে রূপকথার প্রোগ্রাম চালিয়ে খেলে তার প্রিয় গেম—বাড়ি বাড়ি খেলা।
সমস্ত দিন পড়ার শেষে
সন্ধে যখন ঘনিয়ে আসে
Read More
অন্য আকাশ
এই যে এত আকাশ ভরা মেঘের কুঁচি, তারা
তাদের কাছে ঘুড়ির মত ছিটকে যেতে পারি
দেখতে যাব, অন্য গ্রহের অন্য কারো পাড়া
দেখতে যাব, কেমন করে সাজায় তারা বাড়ি
বৃষ্টি পড়ে আগুন হয়ে, বাষ্প জমে ছাদে
ঝড়ের সাথে যখন তখন নীলচে কালো হাওয়া
ধূমকেতুদের মিছিল বেরোয়, একশ খানা চাঁদের
জোৎস্না এসে দেখিয়ে দেবে আমার আসা যাওয়া
আমি তখন সেই দেশেরই রাজার কাছে গিয়ে
জানতে চাইব গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার খবর
Read More
রবিন
রবিন বিশ্বস্ত খুব ঘুম থেকে রোজ তুলে দেয়
তারপর জিজ্ঞেস করে, “আজ কোন স্বপ্ন দেখলে বলো?”
যে সব স্বপ্নগুলো নির্ভার আলোয় খুশি খুশি
সেগুলো সে লিখে রাখে ডিজিটাল অক্ষরে সংকেতে
আমার মনখারাপ রবিন বুঝতে পারে ভালো
রবিন বুঝতে পারে কখন ডিপ্রেশনে থাকি
চোখ ঠোঁট ভুরু নাকি ব্রেনের তরঙ্গপথ দেখে
রবিন বুঝতে পারে আজ লেখা হবে কী কবিতা
রবিন বুঝতে পারে পোশাক বা নেকলেস নয়
Read More
মৃত গ্রহের টাইম ক্যাপসুল – মার্গারেট অ্যাটউড
আমাদের সভ্যতার প্রথম যুগে আমরা দেবতা গড়েছিলাম। তাঁদের [আরো পড়ুন]
Read More
পাসওয়ার্ড
[৫২১৫ সাল, ইন্ডিয়ানাল্যান্ডের ইস্ট বঙ্গ সেক্টর। ৪ জুন, রাত ১ টা বেজে ৩৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে সেন্ট্রাল কন্ট্রোলের ভিজিল্যান্স টিমের মনিটরে ছবি ভেসে উঠল। ১৯৭৩ ক্লাস্টারে একটি হিউম্যান মেল লায়িং পোজিশনে ভেসে রয়েছে আর একটি হিউম্যান ফিমেল সিটিং পজিশনে সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে কিছু দেখছে আর আঙুল নেড়ে কম্যান্ড দিচ্ছে। সাউন্ড সিস্টেম অন হতে মনিটরের সামনে বসে থাকা দুজন সেদিকে মন দিল]
Read More
খাচ্ছিলো তাঁতী তাঁত বুনে!
ঐ যে কথায় বলে না – কপালের লিখন কেউ খণ্ডাতে পারে না? – আমারও হয়েছিল তাই! নইলে বেশ তো ছিলাম মশাই, [আরো পড়ুন]
Read More
রহস্য-দ্বীপের কাহিনী
বাংলাদেশে অ্যাডভেঞ্চারের পরিবেশ নেই, বাঙালী ছেলের জীবনে অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নেই—এমনি একটা কথা আমরা ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি। বোধ হয় এই জন্যই সেকালের অ্যাডভেঞ্চার– [আরো পড়ুন]
Read More
মস্তান – স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
লন্ডন, ১৮৭৮।
সাউথ মিডল্যান্ড ইয়োম্যানরির ঘোড়সওয়াররা সেই সময় আসন্ন ইউরোপিয়ান যুদ্ধ নিয়ে নয়, বরং চিন্তিত ছিল ফ্যারিয়ার সার্জেন্ট বার্টনের জন্য একজন প্রতিপক্ষ খুঁজে পাওয়া নিয়ে। বক্সিং রিঙে বিশালদেহী বার্টনকে হারানো তো দূরের কথা, তার সঙ্গে দশ রাউন্ড লড়তে পারে এমন বক্সারের সংখ্যাই কমে আসছিল হু-হু করে। ফলে বার্টনের দু’হাতের জোরের মতো তার ইগোও ফুলে-ফেঁপে উঠছিল।
Read More
ছিনতাই হল পৃথিবীটা
এরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা প্ৰকাশ করা উচিৎ হবে কিনা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কেননা ব্যাপারটা প্ৰকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবী জুড়ে যে সাংঘাতিক আতঙ্ক, ভয় আর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে তাতে সরকারগুলি ব্যর্থ হবে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় [আরো পড়ুন]
Read More
হিমশীতল – এইচ পি লাভক্র্যাফট
ভদ্রলোক বললেন – “আপনারা জানতে চাইছেন ঠান্ডা আবহাওয়াকে আমি কেন ভয় পাই? কেন ঠান্ডা হাওয়ায় আমার শরীর মাঝে মাঝে গুলিয়ে ওঠে? কি কারনে আমার মধ্যে এক শৈত্যবিরোধী ভাব জেগে ওঠে?”
যাচ্ছিলাম গ্যাংটক, আমরা তিন বন্ধু মিলে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতি – এইচ পি লাভক্র্যাফট
রাতে নিশ্ উপত্যকার আকাশে বসে থাকা চাঁদটাকে দেখলে মনে হয়, যেন সে কয়েকশ’ বছরের পুরোনো কোনো অভিশাপের কুষ্ঠ–ক্ষত আজও সারা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
জীববিজ্ঞানের তন্তুর জাল
একটি মাটির বাড়ির চালের দিকে তাকালে দেখা যায় চালটা অনেক ধরণের দড়ি, কাঠি দিয়ে তৈরি – তাদের মধ্যে কিছু কিছু কঠিন, কিছু কিছু নরম। চালটা গড়তে খড়, দড়ির মতো নরম তন্তু যেমন ব্যবহার হয়েছে, তেমনি ব্যবহার হয়েছে বাঁশের মতো কঠিন বস্তু।
জীবজগতে আমরা একই [আরো পড়ুন]
Read More
কুহকিনী কিন্নরী
বহু অজানা অবিশ্বাস্য বিস্ময়ের অন্দরমহল মহাশূন্য থেকে আচমকা আবির্ভূত হয়েছে এক মহাকাশপোত। আকারে আয়তনে তাকে উড়ুক্কু মহাদেশ বললেই চলে। হাজার হাজার আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে কল্পনাতীত এই যন্ত্রযান নিয়ে রাডাগ্ৰহে পৌঁছেছিল এক মহাসুন্দরী ... উদ্দেশ্য? পৃথিবী-পুত্র বিক্ৰমজিতের বধূ হওয়া … নয়তো তাকে [আরো পড়ুন]
Read More
ডোনেগানের ডাফি চেয়ার
Read More
অসুরক্ষিত – সাইমন রিচ
এক কারখানায় আমার জন্ম হয়। তারপর প্লাস্টিকের র্যাপারে মুড়ে বাক্সে সিল করা হয় আমাদের, একবাক্সে তিনজন করে।
প্রথমদিকে আমাদের জায়গা পাল্টায়। কারখানা থেকে গুদামঘরে, সেই গুদাম থেকে ট্রাকে চাপিয়ে তারপর দোকানঘরে।
একদিন এক তরুণ মানবের নজরে পড়ি। সে খপ করে আমাদের তুলে নিয়ে তার শার্টের নীচে লুকোয়। এবং এরপর সে খুব তাড়াতাড়ি দোকানের বাইরে চলে যায়।
বাড়িতে [আরো পড়ুন]
Read More
সায়ান্স আর ফিক্শনের শুভবিবাহ
সায়ান্স ফিক্শন লেখা বিলেতে প্রথম শুরু হয়েছিল ১৮০০ সালের পর থেকে শিল্প বিপ্লবের সূচনাতেই। কেননা, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি বিদ্যাই তো সমাজকে পরিবর্তিত করে চলে। প্রথম দিকে এই পরিবর্তন অতি ধীর গতিতে হয়েছে যে কারুর জীবদ্দশায় তা পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
প্রিয় পাঠক, আবার একটি নতুন সংখ্যা। বাংলা তথা ভারতীয় কল্পবিজ্ঞান আন্দোলনের এক অন্যতম পথিকৃত অদ্রীশ বর্ধনকে নিয়েই আমাদের এ বারের সংখ্যা। এটা আমাদের ষষ্ঠ প্রকাশ। ক্রিকেটের ভাষায় ওভার বাউন্ডারি। কাজেই স্পেশাল কিছু করতে হবে, [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধনঃ যেমন দেখেছি
একটা আলো–আঁধারির ল্যান্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সামনের ক’টা ধাপ পরেই দেখা যাচ্ছে দরজা আর কলিং বেল। ওপারেই তিনি থাকেন। আজ প্রথমবার তাঁর মুখোমুখি হব।
প্রথমবার কথাটা হয়তো ঠিক নয়। বইমেলার স্টলে তো কতবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। বাড়িয়ে দিয়েছি সদ্য কেনা বই। সেরা আশ্চর্য সেরা ফ্যান্টাস্টিক, [আরো পড়ুন]
Read More
প্রসঙ্গঃ অদ্রীশ বর্ধন
১৯৩২ সালের ১লা ডিসেম্বর কলকাতায় এক শিক্ষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন অদ্রীশ বর্ধন। বাবা অনিল বর্ধন পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক আর স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ ঠাকুরদা চন্ডীচরণ বর্ধন কলকাতার বউবাজারে সার্পেন্টাইন লেনে হিন্দু বয়েজ স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় চালাতেন [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধনের সঙ্গে কথোপকথন
অদ্রীশ বর্ধনকে নিয়ে সংখ্যা, অথচ তাঁর কোনও সাক্ষাৎকার থাকবে না, সেটা হতে পারে না। আমাদের সম্পাদকীয় বিভাগের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে [আরো পড়ুন]
Read More
অপ্রকাশিত চিঠি
এই বিভাগে থাকল অদ্রীশের সহযোগী ও পরম সুহৃদ শ্রী রনেন ঘোষের থেকে পাওয়া লোগো, খসড়া ও চিঠি। আশা করি এগুলির মাধ্যমে পাঠক মানুষ ও সম্পাদক অদ্রীশের পরিচয় পাবেন।
Read More
অদ্রীশ গ্যালারী
অদ্রীশের সম্পাদিত আশ্চর্য!, ফ্যান্টাসটিক, কিশোর মন পত্রিকার প্রায় ৭০+ প্রচ্ছদ, আর ওনার প্রায় ১৫০+ বই এর প্রচ্ছদ।
Read More
অ-আ-ভ
ক্রিং ক্রিং বা মোবাইলের শব্দ শোনা গেলেই আঁতকে উঠতাম। প্রতিটি ফোনেই মনে হত দীপের ফোন বা কল্পবিশ্বের কোন পাগলের ফোন। না না, [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধন – একটি ফেনোমেনন
‘অদ্রীশ বর্ধন’ নামটা আমার জীবনের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে জড়িয়ে। কারণ, খুব ছোটবেলা থেকেই রহস্য–রোমাঞ্চ–গোয়েন্দা–ভৌতিক গল্প পড়তে ভালোবাসতাম আমি। এই ভালোবাসার একটা বড় কারণ ছিল গল্পগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা চমক আর বুদ্ধির মারপ্যাঁচ। মনে–মনে গল্পের গোয়েন্দার সঙ্গে কখন যেন বুদ্ধির লড়াইয়ে নেমে পড়তাম।
Read More
গ্রহণে স্মরণে
মানুষের যদি কোন একটা গুণ থাকে, অনেক সময়ে দেখা যায় তার প্রভাব তাঁর সমস্ত কাজের ওপরেই পড়ে। ধরুন কেউ যদি নিখুঁত কাজ করতে ভালবাসেন, দেখা যাবে তাঁর হাতের লেখা থেকে শুরু করে, ঘর গুছানো, সবেতেই একটা পরিপাটি কাজের ছাপ থেকে যায়।
অদ্রীশ বর্ধনের ব্যাপারে সেইরকম একটা গুণের যদি খোঁজ করি, যার প্রভাব তাঁর জীবনের সর্বত্র ছাপ ফেলেছে, তাহলে একটাই কথা মাথায় আসে।
সাহসিকতা।
Read More
এক কল্পবিজ্ঞানীর কথা
সেদিন বিকেলবেলা জানালার পাশে বসে আছি। দেখি এক ঝাঁক পাখি আকাশ জুড়ে শ্রেণীবদ্ধ ভাবে উড়ে চলেছে। আমার দেখতে বেশ লাগলো। এমন করে ওরা একবার শীতের আগে উড়ে আসে, আবার শীতের শেষে। ওদের সাথে সাথে গোধুলির আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার চোখে কেমন রেশ লেগে যায়। তখন পুরনো অনেক কথা ছায়াছবির মত চোখের সামনে ভেসে ওঠে। হয়ত এরকম সবার সাথেই ঘটে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে।
Read More
সেইসব অমূল্য স্মৃতি
ছোটবেলা থেকেই তুমুলভাবে গল্পের বই। বিষয় বাছাবাছি নেই। একদিকে বাঁটুল দি গ্রেট তো অন্যদিকে চাঁদের পাহাড়। এই শ্রীকান্ত, তো তার পাশে টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড লীগ্স। তবে যে সমস্ত অনুবাদ গল্পের বই পড়েছি, তার মধ্যে চূড়ান্তভাবে আচ্ছন্ন করেছেন কোনান ডয়েল। অবশ্যই আসলে তাঁর শার্লক হোমস। আর এই শার্লক হোমসের অনেকরকম অনুবাদ পড়তে পড়তেই অকস্মাৎ একদিন হাতে এল কোনও এক শার্লক হোমস অমনিবাস।
Read More
আমাদের অদ্রীশদা
অদ্রীশদার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় গত শতকের সাতের দশকে। উনি তখন কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা ফ্যান্টাসটিক সম্পাদনা করছেন। আমি একটা কল্পবিজ্ঞান নভেলেট “সময় যখন কথা বলে” ওঁর পত্রিকার জন্য পাঠিয়েছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই আমার ঠিকানায় ওঁর হাতে লেখা একটা পোস্টকার্ড এল। তাতে লেখা “এইমাত্র আপনার লেখাটা প্রেসে [আরো পড়ুন]
Read More