চলচ্চিত্র সমালোচনা – হার (২০১৪)
ছবি – হার (Her)
নির্দেশনা – স্পাইক জোনস
চিত্রনাট্য – স্পাইক জোনস
অভিনয় – জোয়াকিন ফোনিক্স, অ্যামি অ্যাডামস, স্কারলেট যোহান্সন
Movie-Her(2013) – ‘হার’ নামের সাই ফাই সিনেমাটিতে আমরা দেখতে পাই ভবিষ্যতের পৃথিবী। মানুষ ততদিনে আরও একলা হয়ে পড়েছে। সেই একার জগতে যন্ত্রকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরছে তারা। ছবির প্রোটাগনিস্ট চরিত্র থিয়েডর (থিয়েডরের ভূমিকায় জোয়াকিন ফোনিক্স [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র সমালোচনা – মুন (২০০৯)
ছবি : মুন (২০০৯)
নির্দেশক : ডানকান জোনস্
লেখক গোষ্ঠী : মার্ক বাওডেন , ন্যাথানিয়াল পার্কার , ডানকান জোনস্
জঁর : কল্পবিজ্ঞান
বিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায় আমরা অনেক মেকি জিনিষে মন দিয়ে ফেলি, যা প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের উন্নত থেকে উন্নততর হতে সাহায্য করে। কিন্তু এই আবিষ্কারের তাগিদে আমরা নিজেদের জীবনের ছোট্ট চাওয়া- পাওয়া গুলোকে বঞ্চিত করতে পিছুপা [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান লিমেরিক
(১)
মিলতো যদি চাঁদের বুকে সজনে ডাঁটার চচ্চড়ি,
আর্মস্ট্রং কি সেখান থেকে আসতো ফিরে সত্বরই ?
অক্লেশে সব তুচ্ছ ক’রে
রকেটটারই পুচ্ছ ধ’রে
মহাকাশে চলতো ঘুরে হয়তো কয়েক বচ্ছরই !!
(২)
‘নেচার’ নামে সায়েন্স ম্যাগে লিখছে গ্রামের বিলে ;
আজব রকম কল দেখে তার চমকে যাবে পিলে !
সাতটি রঙের বাক্স ভ’রে
পিচকারীতে ছুঁড়লে জোরে
অমনি গজায় রামধনুটা ঐ আকাশের নীলে ।।
Read More
ব্যোমযাত্রীর ডাইরি
দিগন্ত বলে কিছু নেই,
শুধু চোখ থেকে ছুটে যায় আলো,
ক্রমশ হয়ে যায় ফিকে,
আমি ছুটছি, আর ছুঁইছি গতিবেগ
অন্ধকূপের দিকে।
এই যে সময় থমকে আছে
প্রভুভক্ত হাতের ঘড়ি
এই অক্সিজেন হয়তো তোমার
কিন্তু ভালোবাসা ওরই।
আলোর সাথে পাল্লা দিয়ে
ছুটছে মহাকাশযান,
তবু অন্ধকূপে আলো বেঁকে
জমায় কিসের, কি অভিমান?
সেই অভিমান জমতে জমতে
টাইম মেশিনের বক্ষে,
আমার অতীত স্পষ্ট হল
দারুণ সময় অক্ষে।
স্পষ্ট হল, নষ্ট হল
পিছনফেরা জীবন,
Read More
ঈশ্বরের বাগান
অনেক দূর থেকে আমার নাম ধরে কে যেন ডাকছে। চোখ খোলবার জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হল সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমের পর কাঁচা ঘুমের চোরাবালিতে ডুবে যেতে থাকা চেতনাকে টেনে আনতে।
তারার চাঁদোয়ার তলায় গাছের ডালে বাঁধা হ্যামকে আমি কোন কারণে শুয়ে আছি এটা মনে আসতে অবশ্য সেকেন্ড খানিকের বেশি লাগল না।
সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলাম পাশের ডালে বাঁধা হ্যামক থেকে চাপা গলায় আমার নাম [আরো পড়ুন]
Read More
কবর
যে বন্দী দশায় বসে আছি তাতে এই অদ্ভুত কাহিনী লিখতে আমার বেশ ভয় লাগছে। জানি এ লেখা পড়ার পর আমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে তার পক্ষে জাগতিক দুনিয়ার বেশি কিছু প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়, আর আমার দুর্ভাগ্য হল আমার পক্ষে সেটা প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হলেও বাকিদের তার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
শেষ প্রশ্ন
[আইজাক আসিমভের “The Last Question ” গল্পটি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম! আশ্চর্য সুন্দর কল্পবিজ্ঞান। ভাবলাম অনেকেই হয়তো পড়েছেন কিন্তু কেউ কেউ যদি না পড়ে থাকেন? তাছাড়া নিজের ভাষায় পড়তে তো ইচ্ছা করে। তাই অনুবাদ করতে বসে গেলাম। সুধীগণ নিজগুণে ক্ষমা করবেন যদি এই দুর্বল কলমে ভালো না আসে, তবে যথাসাধ্য যত্নে কাজটুকু করার চেষ্টা ছিলো। ]
শেষ প্রশ্নটি প্রথম করা হয়েছিল [আরো পড়ুন]
Read More
ঋকথ
ঋ গোলকের পঞ্চবিংশতি কক্ষে বসে ফাইবার কাঁচের স্বচ্ছ ছাতের মধ্যে দিয়ে রাতের তারা ভরা উজ্জ্বল আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। মাথার উপরের এই বিস্তীর্ণ দিগন্তের কোন এক কোনে অদৃশ্য প্রায় ওদের জন্মস্থান। মহাকাশ থেকে যাকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। অপরূপ নীলচে সবুজ রঙ সেই গ্রহের। ঋ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তারা বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর নিজেদের ভোগসুখ চরিতার্থ [আরো পড়ুন]
Read More
নয়নবাবুর আয়না
নয়ন হাজরার বয়স বছর পঞ্চাশেক। একটু নাদুস নুদুস চেহারা। হাইট ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির কম বই বেশি হবে না। পোশাকে আশাকে সৌখিন বলা যায়। চোখে রিমলেস সোনার চশমা। নয়নবাবুর বাবার রঙের দোকান ছিল বৌবাজারে। দোকানটা আর উত্তর কোলকাতায় একটা দোতলা বাড়ি নয়নবাবু উত্তরাধিকার সূত্রে পান। নয়ন বাবু ব্যবসার আরো উন্নতি করেন। এখন কলকাতায় চারটি দোকান ছাড়াও [আরো পড়ুন]
Read More
ডক্টর বিন্দু ও ফসিল রহস্য
স্বনামধন্য বৈজ্ঞানিক ডক্টর অর্কদেব বিন্দুর কথা তো সবাই জানেন । লম্বা, ছিপছিপে, সৌম্য মানুষটি, একমাথা চুলে রূপোর ঝিলিক, নিখুঁত শেভ করা মুখ আর সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে দুটি বুদ্ধিদীপ্ত চোখ । তাঁর এই চেহারা এখন মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বের অনেকের কাছেই পরিচিত । এমনকি পরিচিত তাঁর অসামান্য কিছু আবিষ্কারের কথাও, যা শুধু ভারত বা এশিয়া নয়, এই সীমায়িত [আরো পড়ুন]
Read More
দেবযন্ত্র
দেবী কল্যাণময়ীর কথা
সিপাই বিদ্রোহের তিন বছর পর, অর্থাৎ ১৮৬০ খৃস্টাব্দের এই ঘটনা। সেদিন ছিল মহাষষ্ঠী, দেবী দুর্গার বোধন। হুগলী জেলার অবিনাশপুর গ্রামের জমিদার রামকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সকালবেলা গঙ্গাস্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পাকা রাস্তা তখনও তৈরি হয়নি, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ। যেতে যেতে হঠাৎ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য রামকিঙ্কর বিস্ময়ে স্তব্ধ করে দেয়। আকাশ [আরো পড়ুন]
Read More
হরেনবাবু ও ব্ল্যাকহোল
হরেনবাবুর আজকে দিনটা বড়োই খারাপ যাচ্ছে। অবশ্য প্রত্যেকটা দিনই তাঁর বেশ খারাপ যায়, সেটা নতুন কিছু নয়, কিন্তু আজকের দিনটা একটু বেশিরকমই খারাপ। সকালে উঠেই কাজের লোক অ্যাবসেন্ট। ওদিকে গিন্নির কোমরের ব্যথাটা আবার তাক বুঝে বেড়ে উঠেছে। কাজেই ঘুম ভেঙে উঠে প্রথমেই একগাদা বাসন মাজতে হল। তারপর মেয়েটাকে ইশকুলে দিয়ে এসে মাছের ঝোলভাত রেঁধে রেখে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রমোদ কন্যা
গাছ নিয়ে আমি গবেষণা করি না— কিন্তু গাছেদের আমি ভালবাসি।
ছেলেবেলা থেকেই গাছেরা আমাকে টানে। পাতা আর ডাল দুলিয়ে দুলিয়ে যেন আমাকে ডাকে। ওরা তো কথা বলতে জানে না। কিন্তু আমার বেশ মনে আছে, ওরা যেন কথাই বলত আমার সঙ্গে। সেই কথা কিন্তু একদিক থেকে আসত না— সবদিক থেকে যেন হাওয়ায় ভেসে ভেসে একই কথা নানা সুরে নেচেনেচে আমার দুকানে ঢুকে যেত। আমি তখন এতই ছোট্ট যে [আরো পড়ুন]
Read More
কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে “কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান” নামে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে অভিজ্ঞানদা, দেবজ্যোতিদা, কৃষ্ণেন্দুদা এবং মল্লিকাদির পাশাপাশি আরও অনেক মেম্বার স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইভেন্ট শেষে আমরা ১৫০টিরও বেশি অনুগল্প পেয়েছি। দাদা দিদিদের পাশাপাশি মেম্বারদের কিছু অনুগল্প এখানে সংকলিত করা হল। সমস্ত অনুগল্পগুলি পড়া যাবে আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
স্বর্ণযুগের সিদ্ধার্থ
বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানভিত্তিক গল্পের আলোচনায় বসলে আমাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ হয়ে পরে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাঁদের লেখার উপর। কিন্তু এই বিখ্যাত স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বাইরেও কিছু লেখক স্বকীয়ভাবে কল্পবিজ্ঞান নিয়ে লিখে গেছেন বহু প্রথম সারির গল্প, প্রবন্ধ ও অনুবাদ রচনা। কালের নিয়মে এই সমস্ত গুণী কিন্তু সেই অর্থে বিখ্যাত [আরো পড়ুন]
Read More
সাক্ষাতে সত্যজিৎ (পাঁচ দশকের পুরোনো সাক্ষাৎকার)
সত্যজিৎ রায়ের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ‘আশ্চর্য!’ পত্রিকার সম্পাদক বাংলা কল্পবিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃত অদ্রীশ বর্ধন, আজ থেকে অনেক অনেকদিন আগে। অতীতের পাতা থেকে সেই দুর্লভ সাক্ষাৎকার আরও একবার ফিরে এল ‘কল্পবিশ্ব’-র পাঠকদের সামনে।
‘আশ্চর্য!’ পত্রিকার সম্পাদক অদ্রীশ বর্ধনের নেওয়া সত্যজিৎ রায়ের এই সাক্ষাৎকার দুটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৭ [আরো পড়ুন]
Read More
নিস্তব্ধ মহাশূন্য
লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি, ১৯৫০, গ্রীষ্মকালের একদিন। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি হয়েছে কিছুক্ষণ আগেই।এক্সপেরিমেন্ট রুম থেকে ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়ার করিডোরটা ল্যাবে কর্মরত বৈজ্ঞানিক, গবেষক ও টেকনিশিয়ানদের পায়ের শব্দে গমগম করে উঠল। সেই করিডরে আর সকলের অন্যদিনের মত মধ্যে সেদিনও ছিল চার সহকর্মী বৈজ্ঞানিক। কদিন ধরেই [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশের দূত
কুচকুচে কালো আকাশে ফুটে আছে কুচি কুচি তারা।
ওলটানো বাটির মতো আকাশ। তার নীচে এই দিগন্তবিস্তৃত তেপান্তরের মাঠ। এখানে দাঁড়িয়ে চোখ রাখলে তারাদের উজ্জ্বল সমুদ্রে হারিয়ে যেতে থাকে মন। কোটি কোটি আলোকবর্ষের দূরত্ব মুছে যায় ক্রমশ। নক্ষত্রের পবিত্র অগ্নি আমাদের মনের ভেতর স্থির হয়ে জ্বলে থাকে।
হঠাৎ মনে হয়, এর ভেতরে একটা তারা যেন আগের থেকে আকারে বেড়ে গেছে [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
যে কোনও নতুন পত্রিকার জন্মলগ্নে যে প্রশ্নটা প্রথমেই জেগে ওঠে সেটা হল, কেন? কেন অসংখ্য পত্র-পত্রিকার (তা সে কাগজের হোক বা ই-পত্রিকা) ভিড়ে আবার আরেকটির আগমন? প্রশ্নটা শুনতে একটু নির্মম হলেও, প্রয়োজনীয় তো বটেই। কেবল ভিড় বাড়াতে দলভারী করাটা মোটেই কাজের কথা নয়। তবে সে দলে যে ‘কল্পবিশ্ব’ নেই, কোনোদিন থাকবে না, সেটা শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া ভালো। একটি [আরো পড়ুন]
Read More