জানকীমোহনের ডায়েরি
“১৯২৩ সালে লখনৌ শহরে এক অভিজাত ব্যক্তির বৈঠকখানায় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভারতের সঙ্গীত ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সেটার কথা কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। সেই স্মৃতি সবাই ভুলে গেছে। ইচ্ছে করে। ওই ঘটনার যারা সাক্ষী, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাইরে কাকপক্ষীকেও তারা এ ঘটনা জানতে দেবেন না। সবাই এ সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। [আরো পড়ুন]
Read More
মুখোমুখি – সোহম গুহ ও সৌম্য সুন্দর মুখোপাধ্যায়
কল্পবিশ্বের জন্মলগ্ন থেকে আমরা কল্পবিজ্ঞান লেখকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে চলেছি। মূলত বয়োজ্যেষ্ঠ লেখকদের সাথে নতুন ও আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও বাংলার কল্পবিজ্ঞানের ধারার একটি সুস্পষ্ট ইতিহাস তৈরি করে রাখার তাগিদেই এই ইন্টারভিউগুলি নেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যাতেও আছে রাজকুমার রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার, যিনি একদিক থেকে আশ্চর্য!, [আরো পড়ুন]
Read More
মুখোমুখি – রাজকুমার রায়চৌধুরী
[পরিচিতি – রাজকুমার রায়চৌধুরীর জন্ম উত্তর কলকাতায়, বেথুন কলেজের বিপরীতে অবস্থিত গলি শিবু বিশ্বাস লেনের এক বাড়িতে। পড়াশুনো সেন্ট্রাল কলেজিয়েট স্কুলে৷ আই এস সি পাশ করেন সেন্ট্রাল ক্যালকাটা কলেজ (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে৷ বি এস সি প্রেসিডেন্সি কলেজ (গণিতে অনার্স) থেকে৷ এম এস সি করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত [আরো পড়ুন]
Read More
Book Review of Gautam Bhatia’s The Wall
Gautam Bhatia is a well-known figure in the world of science fiction as the editor of award-winning magazine Strange Horizons. While reviewing The Gollancz Book of South Asian Science Fiction Volume 2, I came across an amazing space opera story, The List’ by Mr. Bhatia about the homogenization of a human society. Thus, the debut novel of Gautam Bhatia ‘The Wall’ was the obvious choice to feed the hunger of a science fiction reader.
Let us see whether The Wall has lived up to the expectation.
The author takes his own sweet time to tell this saga of revolution in a farfetched land of Sumer. The book comes up with a map (have a close look) which shows a city surrounded by a wall. The Sumerian society is matriarchal in nature and quite liberal when it comes to homosexual relationships but the citizens might face issues with free speech and free thinking. [আরো পড়ুন]
Read More
কৃষ্ণ উপকূলের সম্রাজ্ঞী
মানো তুমি, বসন্তের সবুজ কিশলয়
রঙ বদলায় যবে মাখে, হেমন্ত বাতাস?
মানো তবে, এ মন আছে কুমারী হয়েই
তার তরে, মিটাবে যে মোর উষ্ণ আশ।
-বেলিতের গান।
জাহাজঘাটার দিকে যাওয়ার ঢালু রাস্তায় ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছিল। সভয়ে চিৎকার করতে করতে রাস্তার দুপাশে ছিটকে যাচ্ছিল যারা, বিদ্যুৎ চমকের মতো দেখতে পাচ্ছিল ঘোর কৃষ্ণবর্ণের অশ্বের [আরো পড়ুন]
Read More
যে মানুষটি রে ব্র্যাডবেরিকে ভুলে গিয়েছিল
আমি অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছি, এ তো খুবই ভয়ের কথা।
আমি ভুলছি নানান শব্দ, যদিও শব্দের ধারণাটা কিন্তু ভুলিনি এখনো। অন্তত আমি আশা করছি যে এখনো ধারণাগুলি আমার মনের মধ্যেই আছে। যদি কোনো কিছুর ধারণা ভুলেই যাই, তবে তা বুঝব কী করে? অন্তত আমি জানি না যে ধারণাগুলোও ভুলে গেছি কিনা।
অথচ আমার স্মৃতিশক্তি বরাবরই বেশ ভালো ছিল, এখন সেটা মনে পড়লে মজাই [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর্তন
বিশাল শহরটাকে প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে জঙ্গলে। প্রাসাদের মতো বাড়িগুলোর ছাদের দখল নিয়েছে উঁচু উঁচু গাছের সারি, তাদের মোটা কাছির মতো শেকড়গুলো সর্পিল ভঙ্গীতে নীচে নেমে এসে বাড়িগুলোকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে প্রেমিকার নিবিড় আলিঙ্গনের মতো। রাজপথের কুলিশ কঠিন আস্তরণ ফাটিয়ে উঠে আসা কাঁটালতা আগলে রেখেছে বাড়ির প্রবেশপথ, [আরো পড়ুন]
Read More
ধাত্রীদেবতা
“এসো অরুন্ধতী। এইখানে বোসো একটুক্ষণ।”
অকূল সমুদ্রের বুকে একচিলতে জমি। সেখানে জলের ওপরে ঝুঁকে থাকা একটা পাথরের চট্টানের ওপর বসে হাত বাড়িয়ে ডাকলেন বশিষ্ঠ। তিনি ক্লান্ত, কিন্তু তৃপ্ত আজ। অবশেষে দীর্ঘকালের সাধনার চুড়ান্ত সুফলটি এসেছে।
তাঁর সুঠাম পেশল শরীরে প্রথম সূর্যের আলো এসে পড়েছে। সেদিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন অরুন্ধতী। [আরো পড়ুন]
Read More
দানব কারিগরের দানবিক হন্তারক
আমার নাম অশ্রুত বর্মা। আমি পাগল নই। আমার এই কাহিনি আপনি স্বচ্ছন্দে পড়তে পারেন। শোণিত শীতল করা এই দিন পঞ্জি লিখে যাচ্ছি একটাই কারনে। আমার উত্তরসূরীরা যেন গবেষণার নামে এহেন পাগলামি করতে আর না যায়।
গোড়াতেই কাউন্ট ড্রাকুলার একটা হুঁশিয়ারি শুনিয়ে দিতে চাই। ভদ্রলোক (অথবা, মানব-দানব) পই পই করে ওয়ার্নিং দিয়ে গেছিলেন। বলেছিলেন, [আরো পড়ুন]
Read More
কাকভুশুন্ডি
কাকভুশুন্ডি কে চেন তোমরা? না?
সে ঠিক আছে – কজনই বা জানে তার কথা? তাছাড়া কম দিন তো হল না, সেই রামায়ণের সময় থেকে আজ অব্দি কত মৃত্যু, কত জন্ম – কত শত প্রজন্ম প্রবাহিত হয়েছে; সে নিজে সময়ের ঊর্ধ্বে বলে বাকি জীবকুল তো আর তা নয়!
ওর কথা আপাতত থাক। বরং ইদানীংকালের একটা অদ্ভুত ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক, যার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছে না কেউই। [আরো পড়ুন]
Read More
রূপান্তর
প্রতিটি রাতে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে, রিনা রেফ্রিজারেটরগুলোকে পরীক্ষা করতে ভুলত না।
রান্নাঘরে দুটো রেফ্রিজারেটর রয়েছে। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত। ওদের একটার দরজায় আবার সুদৃশ্য ‘আইস ডিস্পেন্সার’ আছে। বসার ঘরেও একখানা রেফ্রিজারেটর আছে, টিভিটা তার ওপরে বসানো। আরও একটা সাজানো আছে শোওয়ার ঘরে- ওটা ব্যবহৃত হয় নাইটস্ট্যান্ড [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রবালিকা
মার্চ মাস। আন্টার্কটিকার ক্যাস্টিলো টু বেস স্টেশন। লারশেনফিল্ড গ্লেশিয়ারের পাশে বেরট্রাব নুনাটাকের উপর। জায়গাটা লিটলউড নুনাটাকের থেকে আরো দশ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ পশ্চিমে। এর কাছেই দুটো ছোট ছোট নুনাটাক মাথা তুলে রয়েছে। নুনাটাক মানে হল পাহাড়ের চূড়া, হাজার ফুট পুরু বরফের স্তরের উপরে দ্বীপের মতো জেগে রয়েছে।
এখানে মেটাল [আরো পড়ুন]
Read More
সময়যাত্রিণী
টিনা – বর্তমান – বয়স আঠারো
বিরাট মেশিনটার মধ্যে আলোগুলো দপদপ করছে, আমি সেটাই দেখছিলাম। মেশিনটা পুরো চার্জড অবস্থায় আছে।
আবার প্যানেলটা চেক করলাম। এই জবরজং সুরক্ষা-সুট, আগাপাশতলা মোটা রাবারের প্রলেপ দেওয়া বুট আর গলা অবধি ঢাকা হেলমেট পরে আমাকে যে শুধু দেখতে বিদঘুটে লাগছে, তা নয়, তার সঙ্গে এই এতটা বাড়তি ওজনের জন্য আমার হাঁটাচলা [আরো পড়ুন]
Read More
সূত্র
ওটারকিয়ান যানটি নিজেদের গ্রহে ফেরার জন্য লম্বা যাত্রাটা শুরু করার ঠিক দশ মিনিট আগে খুনটা হয়েছিল। আর খুনের ব্যাপারটা জানা গেল যাত্রা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যেই। খুনি এক দুর্বিনীত পাহাড়ি যে এই অভিযানে একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগ দিয়েছিল রক্ষীর পদে। সে নিজেই সার্জেন্টের কাছে নিজের কাজের বড়াই করছিল।
হাসতে হাসতে বলছিল, “ব্যাটা একটা [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য ট্রিনিটি
ভয়াবহ নিস্তব্ধ পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজছে মিহিরদের সাউন্ড সিস্টেম থেকে। জনমানবহীন পরিবেশের পুরো ফায়দা লুটছে ওরা। গায়কের মুখ থেকে দ্রুতগতিতে বের হওয়া শব্দগুলোর মানে কেউ বোঝা দূরে থাক, কারও কানে ঢুকছে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
এই মুহূর্তে ওরা পার্টির আয়োজন করছে আর্জেন্টিনায়। চোখ জুড়ানো সবুজ [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিথিয়া
ড্রইংরুমে ঢুকেই শ্যাওলা রঙের চওড়া সোফায় নিজেকে এলিয়ে দিলেন ড. সেন। ওঁর উপস্থিতির সাড়া পেয়ে নরম সোনালি আলো আলতো করে ফুটে উঠল ঘর জুড়ে। আর প্রকাণ্ড ড্রয়িং রুমের একপাশের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা বিশালাকৃতি টিভি অন হয়ে গেল নিজের থেকেই, ভলিউম যদিও একেবারে কম করে রাখা।
ক্লান্তিতে সারা শরীর টন্টন্ করছে। আজ সারাদিন যা কাজ গেছে, ওঁর [আরো পড়ুন]
Read More
চাঁদের পাথর দিয়ে
“তুমি কী এইগুলো দেখেছ, রমেশ?”
“না তো। এই ছবিগুলো কবে এল? জুম কর। আর প্রিন্টও বের কর”।
“কালকে পাঠিয়েছে। তুমি তো কাল আসনি— কেন? সব ঠিকঠাক তো?”
“হ্যাঁ, একটু বাড়ির কাজ পড়ে গেছিল। ছবিগুলি মেইল করেছে?”
“হ্যাঁ। লুনার অবজারভেটরি সেন্টার পাঠিয়েছে। বলছে ওদের যে লেটেস্ট চন্দ্রযানটা পাঠিয়েছে সেটাই নাকি এই ছবিগুলো পাঠিয়েছে।
ছবিগুলোর অক্ষাংশ [আরো পড়ুন]
Read More
হস্তপাশ
এক
‘তিন্নি, একবার আমাদের বাড়িতে আসবি?’
মৌয়ের গলা একটু অন্যরকম লাগল। এমনিতে মৌ ভীষণ হাসিখুশি, ফুর্তিবাজ মেয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওর গলায় উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে রে?’
‘তুই আয় না। ফোনে বোঝানো যাবে না’।
ঘড়ি দেখলাম। সওয়া পাঁচটা। বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যাবে। কিন্তু মৌয়ের স্বরে কিছু একটা ছিল যাতে মনে হল [আরো পড়ুন]
Read More
ধোঁয়া
প্রাক-কথন
“স্যার, কাজটা আমাদের এখানেই আটকাতে হবে, নাহলে যে সর্বনাশ হবে!”- বিখ্যাত বিজ্ঞানী সুদর্শন বোসের দিকে তাকিয়ে জানাল অরিন্দম।
“আচ্ছা অরিন্দম – সবসময় কি কম্পিউটার সিমুলেশন পুরোপুরি একিউরেট হয় বলে তোমার মনে হয়?” প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর তীক্ষ্ণ চোখে সন্দেহ।
“তা হয়তো নয়। তবু আমাদের এই কাজের বেশিরভাগই তো সিমুলেশনের ওপর [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন মধুমিডা
বাঘডোগরা এয়ারপোর্ট পিছনে ফেলে মিনিট কুড়ি বড়ো জোর। দু-চারটে বাঁক। গহন বন দু-পাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাড়িটার ওপর। ঝিঁঝির ডাক ডুবিয়ে আলো ছায়ায় আঁকা পাতার জাফরি মাড়িয়ে ছুটে চলেছে কন্টেসা।
পিছনের সিটে সুজন তার বাঁ দিকের জানলার কাচটা তুলে দিয়ে মাফলারটা আরেকটু সামলে নিল। কিন্তু মাঝখানে বসেও প্রায় কাঁপুনি লাগার জোগাড় নিলয়ের। [আরো পড়ুন]
Read More
সুখের বড়ি
ঘুম ভাঙতেই সুজিতের রোজকার মতো কষ্ট হল। না আজ রাতেও সে কোনো স্বপ্ন দেখেনি। অথচ রোজ রাতে শুতে যাওয়ার সময় ও মনে মনে আশা করে একটা স্বপ্ন দেখার। ছোটোবেলায় যেমন দেখত। প্রজাপতির মতো হালকা বর্ণালী পাখাওলা কোনো মিষ্টি পরীর স্বপ্ন। অথবা ভয়ঙ্কর অন্ধকারের মতো কোনো রাক্ষসের দুঃস্বপ্ন। আগুনে চোখ আর বীভৎস চেহারা নিয়ে যে সুজিতকে তাড়া [আরো পড়ুন]
Read More
শুক্রগ্রহের সায়ক
আমার বয়ঃক্রম পঞ্চবিংশ দিবস অর্ধ বৎসর— সামনে বসে থাকা ছেলেটি বলল আমাকে। ওর কথা অনুযায়ী আজ সকালেই শুক্র থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সে। ঠিক আধ ঘণ্টা আগে। এই সময়টুকু লেগেছে আমাকে খুঁজে বার করতে। আমার সঙ্গে দেখা করতেই ওর আসা। ফর্সা সুদেহী ঝকঝকে তরুণ। চুল ও চোখে কালোর অতলান্ত গভীরতা। চোখে প্রত্যাশার ছাপ।
এটা চব্বিশশো আশি সাল। সাড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
আত্মঘাতী নক্ষত্র
মহাকাশযানের পেছনের জেটগুলো বন্ধ করে দিল আগরওয়ালা। পেছনের জেটগুলো এতক্ষণ অদৃশ্য আগনের হলকা ছুড়ে মারছিল মহাশূন্যে। তারই জোরে প্রচণ্ড গতিতে সামনের দিকে ছুটে চলেছিল আগরওয়ালের মহাকাশযান। জেটগুলো বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামনের দিকে প্রচণ্ড এক ধাক্কা অনুভব করল সে। কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। গতি মন্থর হয়ে এল মহাকাশ [আরো পড়ুন]
Read More
পৃথিবীর শেষ পায়রা
[অধ্যায় এক]
টেবিলের উপর ঠকাস করে ট্রেটা রাখেন মিসেস আনোয়ার। ঝড়ের পূর্বাভাস বুঝতে পেরে, নজর আরো তীক্ষ্ণ করে ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকতে থাকেন প্রফেসর কামাল আনোয়ার। সম্ভব হলে পুরো সন্ধ্যা স্ক্রিনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকবেন, তবুও কোনোভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে এই মুহূর্তে বাকবিতন্ডায় জড়াবেন না। সূর্য ডুবতে শুরু করেছে। পশ্চিম আকাশ রক্তিম [আরো পড়ুন]
Read More
এক প্রহেলিকার জন্ম
বিঃদ্রঃ- এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার “তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা”য় প্রকাশিত আমার গল্প “সময়ের আতঙ্কে”(https://kalpabiswa.in/article/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87/)-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।
এক
১৯৮১ সাল, ব্যারাকপুর:
গঙ্গার ঘাটে বসে ছেলেটা দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
চুক্তি
মিউনিখ শহরের প্রাণকেন্দ্র মারিয়েনপ্লাটজ স্কোয়ার সেজে উঠেছে মায়াময় আলোর সাজে। যেদিকেই চোখ যায় সবকিছু যেন আলোর রোশনাইতে ভেসে যাচ্ছে। বাড়িঘর, দোকানপাটের গায়ে ছোটো ছোটো জোনাকি আলো দিয়ে অপরূপ সাজসজ্জা করা হয়েছে। নিউহাউসার স্ট্রিট দিয়ে হেঁটে গেলে পথের ধারে চোখে পড়ছে আলো দিয়ে তৈরি নানান আকারের তারার প্রতিরূপ। রাস্তা [আরো পড়ুন]
Read More
হেলথ টনিক
১. বুদবুদ
ছয় জন ডুবুরি বঙ্গোপসাগরের জলতল থেকে কয়েক ফুট নীচ দিয়ে দক্ষিণ দিকে সাঁতরে আসছিল। প্রেশারাইজড পোশাকের পিঠে লাগানো প্রপেলার অবলীলায় জল কেটে তাদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ছয় জনের হাতে ধরা বিরাট জাল, তাতে জড়িয়ে আছে কিছু নতুন প্রজাতির আগাছা। সমুদ্রের স্বচ্ছ জলের নীচে পিছনে সরে যাচ্ছে মহীসোপানের সমতল ভূমি, তাতে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত [আরো পড়ুন]
Read More
আদিম
সভা
সামনে বিস্তীর্ণ জলাভূমি। দূষণহীন বাতাস পেরিয়ে তীক্ষ্ণ সূর্যের আলো উত্তাপ ছড়াচ্ছে মনের আনন্দে। যত দূর চোখ যায় চিকচিক করছে জলাভূমি। জলাভূমির মাঝখানে আছে এক সুবিশাল গভীর সরোবর। ওই সরোবরে দেবী পেরপিউরুনা, দুটি শুঁড়ের মাথার ওপরের বসানো চোখ দুটো বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কে জানে কত সময় ধরে। এখানকার জল ও জমি দুই লালচে কালো; [আরো পড়ুন]
Read More
অবিনাশ হালদারের বাক্স
“কই রে বিপিন? আমার ছাতাখান দে। পচ্চিমটা কালো করে এয়েছে, যখন তখন ঢালতে পারে,” মুখে একখিলি জর্দা পান ঢোকাতে ঢোকাতে বললেন অনির্বাণবাবু। বছর পাঁচেক হয়ে গেল এই অভ্যেসটা হয়েছে। দ্বিপ্রাহরিক ভাতঘুমের পর বিকেলে একটু হাঁটতে না বেরোলেই নয়। আর তা নাহলে সন্ধের পরেই শুরু হবে পেট ভুটভাট, গা ম্যাজম্যাজ। কালো হাতলওলা ছাতাটা এগিয়ে দিল বিপিন। [আরো পড়ুন]
Read More
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে (There Will Come Soft Rains)
আগস্ট ২০২৬
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে
বসবার ঘরের কণ্ঠঘড়ি গান গেয়ে চলেছে। টিক টক, সেভেন ও’ক্লক। টিং টিং, ঢংঢং। ভোর হল। দোর খোলো। খুকুমণি জাগো রে। এমন ভাব করছে, যেন কেউ এমনিতে উঠবে না।
সকালের বাড়ি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ঘড়ি টিকটিকিয়ে চলেছে। শূন্যতার ভেতরে নিজের শব্দের প্রতিধ্বনি নিজেই করছে। সাতটা নয়—প্রাতরাশ হয়। সাতটা দশ—পড়তে বোস।
রান্নাঘরে [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
“You treat ideas like cats: you make them follow you. If you try to approach a cat and pick it up, hell, it won’t let you do it. You’ve got to say, ‘Well, to hell with you.’ And the cat says, ‘Wait a minute. He’s not behaving the way most humans do.’ Then the cat follows you out of curiosity: ‘Well, what’s wrong with you that you don’t love me?’”
– Ray Bradbury
রে ব্র্যাডবেরি বেড়ালদের ভালোবাসতেন। সে ভালোবাসার টান এতটাই যে কোনো এক সময়ে তাঁর ঘরে ঘরকন্না পাতিয়ে বসেছিল বাইশখানি মার্জার। যে দিন মারা গেলেন, সেদিনও তাঁর বেসমেন্টে দুটি বেড়ালের [আরো পড়ুন]
Read More
অনন্ত সুতোর গল্প: ব্র্যাডবেরির রহস্য কাহিনি
“আমার একটা কথাবলা বাক্স আছে। বাক্সটা আমার টাইপরাইটারের ঠিক পাশেই থাকে। যখনই আমার মাথায় কোনো নতুন আইডিয়া আর আসে না, তখন বাক্সটা আমার সঙ্গে কথা বলে। নিত্যনতুন আইডিয়া দেয়” নিজের আত্মজীবনীতে ঠাট্টা করে লিখেছিলেন রে ব্র্যাডবেরি। আজ, একশো বছর পেরিয়ে যখন ব্র্যাডবেরি মানেই ফারেনহাইট ৪৫১ কিংবা মার্সিয়ান ক্রনিকল-এর বহুপঠিত [আরো পড়ুন]
Read More
ফারেনহাইট ৪৫১ (নির্বাচিত অংশ)
ন’টা নাগাদ হালকা খানিক খাবার নিয়ে খেতে বসেছিল মন্টাগ। তখন হঠাৎ সদর দরজাটা মিলড্রেডের নাম ধরে চিৎকার করে উঠল। মিলড্রেড পার্লার ছেড়ে এমন জোরে সদরের দিকে ছুট দিল যেন কোনো জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে পালাচ্ছে। খানিক বাদে দরজা দিয়ে ঢুকে এসে মিসেস ফেল্প্স্, আর মিসেস বাওয়েল্স্ও হাতে একটা করে মার্টিনির গ্লাস ধরে তেড়েফুঁড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
জীবন
“জীবন মানে কী?”
রঞ্জনের দাদু’র এই প্রশ্নটা শুনে আমাদের তর্ক থেমে গেল।
ভ্যাপসা গরম, হঠাৎ বৃষ্টি, আর মাঝেমধ্যেই ‘টু..কি’ করা নীল আকাশ। ঠিক কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়— সেই নিয়ে কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। অতঃপর রঞ্জনদের বাড়িতে জমায়েত হয়েছিলাম আমরা সবাই। উপলক্ষ্য ছিল তালের বড়া আর তালক্ষীর খাওয়া।
“হাপুশ হুপুশ শব্দ, চারিদিক [আরো পড়ুন]
Read More
আফ্রিকার তেপান্তর (The Veldt)
“জর্জ, বাচ্চাদের খেলাঘরটা একবার দেখবে?”
“কেন? কী হয়েছে?”
“তা ঠিক জানি না।”
“তাহলে?”
“একবার দ্যাখোই না। না পারলে সাইকোলজিস্ট ডাকো।”
“বাচ্চাদের ঘর দেখে সাইকোলজিস্ট কী করবে?”
“কী করবে সে তুমি খুব ভালোই জানো।” রান্নাঘরের স্টোভটা আপন মনে গুঞ্জন তুলে চারজনের রাতের খাবার রাঁধে। সেদিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে জর্জের স্ত্রী।
“খেলাঘরটা আগের চাইতে কেমন যেন আলাদা হয়ে গেছে।”
Read More
৪৫১ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৪৫১ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যে তাপে কাগজ পোড়ে। পুড়ে যায় বই… কাগজে ছেপে বাঁধিয়ে নেয়া অক্ষরমালা, যা কিনা জ্ঞানের সঞ্চয়মাধ্যমের প্রতীক।
আকৈশোর গ্রন্থাগার থেকে আরেক গ্রন্থাগারে তাঁর পদচারণা। কলেজি শিক্ষা পাননি। খবর কাগজ বেচতেন তরুণ বয়সে। আর তারই পাশাপাশি যতটা, সময় পেতেন, কাটাতেন লাইব্রেরির শব্দহীন রিডিংরুমে, তার বইদের সঙ্গে। এই হলেন ব্র্যাডবেরি, রে ব্র্যাডবেরি।
Read More
মঙ্গলগ্রহে ছ’মাস বসবাসের অভিজ্ঞতা
গতবছর কল্পবিশ্বের জন্য একখানা গল্প অনুবাদ করেছিলাম। আশার টু। রে ব্র্যাডবেরি। বুঝিনি সেই সূঁচ পরে লাঙল হয়ে দেখা দেবে। গল্পটা খুশিখুশি মুখে নিজের মৌলিক ও অনূদিত কল্পগল্প সংকলন ‘অঙ্কিটের বুদবুদে’ ঢোকাতে গেছি, সে বইয়েরও প্রকাশক কল্পবিশ্ব— হঠাৎ একদিন দীপ ঘোষের ফোন। দিদি এখন এ গল্পটা এই বইতে রাখবেন না। আমাদের বড়ো পরিকল্পনা আসছে রে ব্র্যাডবেরি নিয়ে।
Read More
রুপোলি পর্দায় ব্র্যাডবেরি
সায়েন্স ফিকশনের জগতে রে ব্র্যাডবেরির নাম একেবারে প্রথম সারিতে থাকে, যেমন চমৎকার কল্পনাশক্তি, তেমনি বলিষ্ঠ সাহিত্য তাঁর। অথচ শোনা যায় তিনি নিজে ‘সায়েন্স ফিকশন লেখক’ বলে পরিচিত হতে চাইতেন না। তাঁর লেখার মূল উপজীব্য হল একটা চমৎকার কল্পনা, যাকে কেন্দ্র করে একটা উপভোগ্য গল্প তৈরি হবে৷ সেটা সায়েন্স ফিকশন হতে পারে, সায়েন্স ফ্যান্টাসি [আরো পড়ুন]
Read More
The Phoenix Syndrome: The Martian Chronicles by Ray Bradbury
ABSTRACT
The paper is a study of Ray Bradbury’s The Martian Chronicles as a modern mythology that negates the old myth of the Phoenix as a figure of survival. It is argued that such a model that assures of continuity even after self-destruction is re-imagined. Bradbury turns the myth around, as a new myth that highlights the death wish of humanity is reversed in creating a human friendly Mars that keeps the fire of the Phoenix burning but with no scope for it jump in and come back. The new Mythology / New Mars imagined by Bradbury is a literary world and the technology that enables is also a literary machine. These ‘Machineries of Joy’ are the agents of survival by dispensing ‘Medicine for Melancholy’.
Key Words: Science Fiction, Modern Mythology, Phoenix myth, Mars, Ray Bradbury
There was a silly damn bird called a phoenix back before [আরো পড়ুন]
Read More
রিভিউ: Chosen Spirits/The City Inside
শহর কি?
শহরের সংজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে অনেকগুলো কথা মাথায় আসে। কারুর কাছে শহর ইঁট কাঠ, পাথর, আর কংক্রিটের জঙ্গল, কারুর কাছে গাড়িঘোড়ার চিৎকার সর্বস্ব এক বিভীষিকা, যেখানে রাস্তা পেরনোর জন্য আলোর রং বদলের অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু শহর আসলে তা নয়, শহরের পরিচয় তার রেওয়াজের আত্মপ্রত্যয়ে, তার সংস্কৃতির অবভাসে, তার মানুষের মাঝে। শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
রিভিউ: অ্যানালগ ভার্চুয়াল
অ্যানালগ ভার্চুয়াল
প্রকাশক: হ্যাচেট ইন্ডিয়া
লেখক: লাবণ্য লক্ষ্মীনারায়ণ
ভাষা: ইংরেজি
ধারা: সাইবারপাঙ্ক
আপনাকে এমন এক ভবিষ্যতে স্বাগত জানাই যেখানে জাতপাত বা ধর্মের কোনো ভূমিকা নেই, বরং যোগ্যতাই হল জীবনধারনের একমাত্র মাপকাঠি। এখানে উৎপাদনশীলতা আর ক্ষমতা সমার্থক এবং ক্ষমতা না থাকলে আপনি শেষ। লেখক লাবণ্য লক্ষ্মীনারায়ণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে [আরো পড়ুন]
Read More
Review: Analog Virtual
Analog Virtual
Publisher : Hachette India
Author : Lavanya Lakshminarayan
Language : English
Genre : Cyberpunk
Welcome to the future where caste, creed and religion are not important but merit is the sole criteria of life because productivity is power and without power you are doomed. The author has finely developed a world built on the ideology of your contribution to the society or to be specifically a capitalistic society owned by Bell Corp, the one which controls everything and everyone.
The food, clothing, social media, art, recreation, leisure and your choice of birth ( delivery procedure) is under the radar of Big Brother, not the Orwellian Oceania but in the Apex City erstwhile Bangalore.
The world of Apex city has been developed through a series of short stories with reappearance of few characters. The beauty of the book lies in the unified sense of diverse short stories interconnected by the fact that all dwell in the dystopian world owned by Bell Corporation.
Read More
নতুন পৃথিবীর সন্ধানে
(ফিলিপ কে. ডিক রচিত “দ্য ডিফেন্ডারস” – এর রূপান্তরিত অনুবাদ)
পর্ব – ১
UG-8 (Underground Era – 8 বা ভূগর্ভস্থ যুগ – ৮); AC – 52 বা কপ-৫২ (After Corona 52 বা করোনা পরবর্তী – ৫২); সপ্তম মাসের দ্বিতীয় দিন – প্রথম প্রহরের শেষ ভাগ
তালুকদার আরামচেয়ারে নিজেকে ডুবিয়ে একটা পা-এর উপর অন্য পা-টা তুলে বসলেন। হাতে আজ সকালের আপডেটেড ফোল্ডেবল সিলিকন-নিউজপ্যাডটা। এটা সাইজে আগের দিনের ট্যাবলয়েড খবরের কাগজের মতোই। তবে এটা এতটাই [আরো পড়ুন]
Read More
Aftermath
Time: 0110 hours
Date: 26th April, 1986
Place: Chernobyl Nuclear Power Plant, Ukraine, U.S.S.R.
You cut could the tension with a knife. Every single person present in that room – the scientists in white, their assistants, even the lowly workers in their gear – everyone’s eyes were gleaming – was it greed? A few licked their lips, as if they could physically taste the success, the culmination of their years of labour. Arunabha found this distasteful. He felt put-off by the buzz around him. This place was nothing more than a prison for him, a prison from which there was no escape. His gaze shifted from the blue glare of the computer screen to the glass wall across the room. He could see the people feverishly working there, covered head to toe in protective gear. It was more than five years ago – that he was invited by the Soviet Union to work in this [আরো পড়ুন]
Read More
চিত্রবিচিত্র মানুষ কথা
রে ব্র্যাডবেরির অন্যতম উল্লেখযোগ্য বই দ্য ইলাস্ট্রেটেড ম্যান। উপন্যাস নয়, বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের কাছাকাছি বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত আঠেরোটি কাহিনিকে এই বইতে একত্রিত করা হয়েছে অন্য আর একটা গল্পের শুরু এবং শেষের মধ্যে তাদের বসিয়ে দিয়ে। সাহিত্য পরিভাষায়, এই আঠেরোটা গল্পকে ফ্রেমের মতো ঘিরে রাখা গল্পটাকে বলা চলে ফ্রেম স্টোরি [আরো পড়ুন]
Read More
সপ্তম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
সপ্তম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা – বিশেষ রে ব্র্যাডবেরি সংখ্যা
প্রকাশকাল – ২২ আগস্ট ২০২২
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ।
Read More
স্তানিসোয়াভ লেম শার্ঘ সংবাদপত্রে একটি সাক্ষাৎকার
পেম্যান ইসমাইলি: আপনি কি একজন উত্তর-আধুনিক লেখক? উত্তর-আধুনিকতার সঙ্গে আপনার উপন্যাসের সম্পর্ক কী? উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব (ডিকনস্ট্রাকশন) সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
স্তানিসোয়াভ লেম: আমার লেখাকে “মডেল পোস্টমডার্নিজম” হিসাবে উপস্থাপন করা সাহিত্য বিশ্লেষণ ও গবেষণাপত্র গুলির সঙ্গে আমি একমত নই। ব্যাপারটা বেশ মজার, কারণ আমি যখন আমার বইগুলি [আরো পড়ুন]
Read More
স্তানিসোয়াভ লেমের আশ্চর্য্য সুন্দর কল্পনার জগত
৬ই জানুয়ারি, ২০১৯, নিউইয়র্কার
কল্পবিজ্ঞান-কাহিনী লেখক এবং ভবিষ্যতবাদী স্তানিসোয়াভ লেম জানতেন যে গল্পের কাল্পনিক জগতগুলি কখনও কখনও বাস্তবতার সীমা লঙ্ঘন করতে পারে। ১৯৮৪ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ “চান্স অ্যান্ড অর্ডার”-এ লেম স্মরণ করেন কীভাবে পোল্যান্ডের লভ শহরে পরিবারের একমাত্র শিশু [আরো পড়ুন]
Read More
সপ্তম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
সপ্তম বর্ষ প্রথম সংখ্যা – স্তানিসোয়াভ লেম শতবার্ষিকী সংখ্যা
প্রকাশকাল – ২৬ জুন ২০২২
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ।
Read More
যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
মূল গল্প: The Day Time Stopped Moving
১
ঠান্ডা মাথায় এ কাজ করার লোক ছিল না ডেভ মিলার। খবরের কাগজে যেমন মাঝেমধ্যেই দেখা যায় সংসারের জ্বালায় মানুষ আত্মহত্যা করছে, সেরকম বিষাদগ্রস্ত মানুষ একেবারেই ছিল না সে। কিন্তু সেদিন যে কী হল, পাঁড় মাতাল হয়ে মিলার বাড়ি ফিরেছিল গজরাতে গজরাতে, আর ওর রিভলভারটাও সেদিন গর্জে উঠেছিল। বেসিনের গায়ে দাঁড়িয়ে নিজের [আরো পড়ুন]
Read More