নোবেল দিলেন ঘনাদা
১
কলকাতা শহরের দক্ষিণে একটি কৃত্রিম জলাশয় আছে, করুণ রসিকতার সঙ্গে আমরা যাকে হ্রদ বলে অভিহিত করে থাকি। জীবনে যাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই অথবা উদ্দেশ্যের একাগ্র অনুসরণে যাঁরা পরিশ্রান্ত, উভয় জাতের সকল বয়সের স্ত্রী-পুরুষ নাগরিক প্রতি সন্ধ্যায় সেই জলাশয়ের চারিধারে এসে নিজের নিজের রুচিমাফিক স্বাস্থ্য অর্থ কাম মোক্ষ এই নব্য চতুর্বর্গের [আরো পড়ুন]
Read More
ডেভিড কাকার বাড়ি
উৎসর্গ: আতঙ্ক সম্রাট হাওয়ার্ড ফিলিপ লাভক্রাফট
ডেভিড কাকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই বৃষ্টিটা জোরে নামল। আজ প্রায় তিনমাস পর কাকার বাড়ি এলাম। আসলে কাকাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হঠাৎই সবাই চিন্তিত হয়ে পেড়েছে। এই বিগত তিনমাস এমনিতেই কাকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি, তার ওপর কাল কাকার বাড়ির এলাকার এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বাবার [আরো পড়ুন]
Read More
“প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা” রচনার পর্ব – ৫: কেজাহাতান দ্বীপের রহস্য
কফির কাপে চুমুক দিয়ে প্রফেসর সূর্যশেখর বললেন, ‘আপনি কি শিওর ব্যাপারটা আপনার নিজের চোখে দেখা?’
সূর্যশেখরের সামনে বসা আগন্তুককে কিছুটা চিন্তিত মনে হল। সে কথা না বলে ব্যালকনিতে রাখা উজ্জ্বল হলুদ-কমলা অর্কিডগুলোর দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইল। নভেম্বর মাস, শীত পড়তে শুরু করেছে। সকালের নরম রোদ ব্যালকনিতে পড়ে ঝলমল করছে। এই সকালে সূর্যশেখরের [আরো পড়ুন]
Read More
ফাটল
কালাহান একজিট পোর্ট, তিন দিন আগে, পাগল বুড়ো
“বুড়োওওও!”
তীক্ষ্ণ গলার চিৎকার কানে আসামাত্র বুঝলাম, অলস দুপুরটার বারোটা বাজাল।
আশফাক আর নীরা’র দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই কমিউনিটি শেল্টারে পড়তে না গিয়ে, বা রুবিক ইনক্-এর প্ল্যান্টে কাজে না ঢুকে ওরা আমার কাছে এসে ঘ্যানঘ্যান করলেও কারও কিচ্ছু বলার নেই।
নোংরা এই সমুদ্রতটের গলায় কুৎসিত [আরো পড়ুন]
Read More
The Sanctuary of Modhumida
The warm touch of a glow-worm bird, almost as big as a pigeon, breaks his sleep. That dream again! It has returned to Bidur after an interval of several days.
Bidur throws a slanting glance at Srimati. She is still in deep sleep, dishevelled and content.
Bidur instantly closes his eyes as if to shut out the revelation of any deep secret. The mind travelled back to the days when he had started to smoke. The cautious way in which he kept his face away and talked with the minimum movement of lips to avoid detection.
Forbidden thoughts wrapped in coloured covers! For the first time in their twenty-two years of conjugal life, he is indulging in guilty fantasies.
In spite of all his efforts, he cannot exercise any self-control. His hand is now unconsciously playing with the steering of his car. Again, he is late for his office today. The vacation, instead of rejuvenating him, has produced exactly the opposite result. He has become rather lax in his duties.
Read More
চুল
‘পারসেল আ গিলো বড়া বাবুর ঘরে। সেই থিকে বাবু দোর দিছেন’।
অ্যাঁ? পারসেল? ঘনাদার?’ আমরা সমস্বরে আঁতকে উঠলাম।
মুখ চাওয়াচাউয়ি করে তো আর সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই হবার নয়। গৌরই প্রথম টঙের ঘরের পানে দৌড় লাগাল। পিছন পিছন আমরা তিনজন। ঘনাদা ও পার্সেল, পার্সেল ও ঘনাদা মেলে না কোনওক্রমেই। এ রহস্য ভেদ না করে রবিবারের মাছের কালিয়া রামভুজ স্পেশাল পেটে নামবে না।
Read More
চোখ
আমার কথা
“নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
এ ধরনের একটা কথা বাংলা বাক্যালাপে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। কোনও কিছু ‘নিজের চোখে’ না দেখলে তা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তবে এ যাবৎকাল অবধি আমার সজ্ঞানে দেখা সব কিছুই ভুল, ভ্রান্ত। কারণ? কারণ, বরাবর আমার জগৎ দেখা অন্য মানুষের চোখে। না, কাব্যিক ভণিতা নয়, আক্ষরিক অর্থেই! দাঁড়ান, শুরু থেকে বলি।
Read More
হোমো সুপিরিয়র
কাচের জানলা দিয়ে বাইরের তালশাঁসরঙা আকাশটার দিকে থম মেরে তাকিয়ে ছিল ইরাবতী। মুখভার করে থাকা আকাশটার মতো ওরও মন ভালো নেই। ঘুম থেকে উঠে সে পেটে একটা খিঁচুনি টের পায়। প্রায় দৌড়ে বাথরুমে ঢোকে। ওর দুটো পা দিয়ে দরদর করে নেমে আসছে রক্তের ধারা। একটা রক্তের পুটুলি বেরিয়ে আসে বাথরুমের মেঝেতে। রক্তে ভেসে গেল বাথরুমের মেঝে। স্পন্টেনিয়াস [আরো পড়ুন]
Read More
আজি হতে
সবজেটে আকাশটার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে ছিল নীলোৎপল। এই মাঠটায় কেউ আসে না। মাঠ অবশ্য নামেই। শুধুই খানিকটা লালচে ধূসর জমি। আসলে আজকাল মানুষ বাড়ি থেকে বেরোয়ই কম, কারণ বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই জীবন বাজি রাখা। তবু নীলোৎপল বেরোয়। খুব সন্তর্পণে, মা-বাবার নজর বাঁচিয়ে। বেরিয়ে এসে কমপ্লেক্সের পিছনদিকে এই মাঠে বসে থাকে। আকাশ দেখে। ওর মনে হয়, এইটুকু না করতে পারলে [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য গোলাঞ্চ বুক অফ সাউথ এশিয়ান সায়েন্স ফিকশন
গোলাঞ্চ (Gollancz)-এর আগে প্রায় একশো বছর ধরে হাজার হাজার কল্পবিজ্ঞান, রহস্য ও ফ্যান্টাসি বই পাঠককে উপহার দিয়েছে, তবে এই সংকলনটি আলাদা কেন?
তার কারণ এই প্রথমবার একটি ব্রিটিশ সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া আর উপমহাদেশের কিছু বাছাই করা কল্পবিজ্ঞান দুই মলাটে তার পাঠককে উপহার দিয়েছে, তার জন্যেই তাদেরকে কুর্ণিশ।
পোস্ট-কলোনিয়াল থিয়োরির দিক থেকে ভেবে [আরো পড়ুন]
Read More
ডিজাইন বায়াস
‘একটা ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য সায়াকা মুরাটা আজ এখানে আসতে পারেননি। আমরা এজন্য খুব দুঃখিত।’
বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার দিক থেকে এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হলে যেন স্কুল ছুটির মতো শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
‘কেন? থাকতে পারবেন না কেন? ওঁর বই এর প্রেস রিলিজ, আর উনি থাকবেন না!’ নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক বলে উঠল।
‘একটা আকস্মিক দুর্ঘটনার জন্য উনি আসতে পারেননি। এজন্য উনি খুব দুঃখিত। তবে…’
Read More
স্বর্ণ আঁধার
“আরেক কাপ মার্সিয়ান জুস হবে নাকি?”
“না, আর নয়। বেশি খেলে ঝিমুনি মতো আসে। আর ঝিমুনি এলে বন্দিকে নির্বাসনের দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করতে পারব না।”
“আরে ধুর, কবে থেকে এইসব কাজ করছিস। এখনও কনফিডেন্স তৈরি হল না! নেহাত আমি স্পেস ভেহিকেলের পাইলট হিসেবে আছি বলে তাই। যদি বন্দি নির্বাসনের সরাসরি দায়িত্বে থাকতাম, তবে তোকে দেখিয়ে দিতাম চোখ বন্ধ করে কীভাবে কাজটা করা যায়।”
Read More
ফোন আসবে…
ঝকঝকে একটা সকাল। অদ্রিজা ঝট করে কুর্তির ওপর একটা ওড়না জড়িয়েই বেরিয়ে পড়ল। লামহাট্টার পাহাড়ি শ্যাওলা পড়া সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একবার ফোনটা চেক করে নিল। না, আর কোনও মেসেজ আসেনি। নিশ্চিন্ত হল। সাইকেলটা টানতে টানতে হটাৎই ফোনটা বেজে উঠল। শুভমের এই তাড়া দেওয়ার অভ্যাসটা আর গেল না। কিন্তু আজ সত্যিই একটা কারণ আছে। তা বলে আধ ঘণ্টার [আরো পড়ুন]
Read More
শিকার
গ্রেসু গ্রাম পেরিয়ে কয়েক মাইল আসতেই সন্ধে নামতে শুরু করল কার্পেথিয়ার গায়ে। ছোট টিলাটার উপরে পৌঁছে ঘোড়াটাকে দাঁড় করিয়ে চারিদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখল দিমিত্রি। বছরের এই সময়টাতে পূর্ব রোমানিয়ায় বেশ তাড়াতাড়ি সন্ধে নামে। গ্রেসুতে বিশ্রাম নেওয়াটা তাদের উচিত হয়নি। পিছন ফিরে তাকিয়ে খানিকটা দূরে অ্যালেক্সকে দেখতে পেল দিমিত্রি। [আরো পড়ুন]
Read More
হোমো ইন্ডোসেনেক্সের সন্ধানে
১
কালকে সারাদিন ধরে ব্লিজার্ড চলেছে। তাঁবু থেকে বের হতেই পারিনি। আজ সকালে ঝকঝকে আকাশ। উত্তর দিকে শতপন্থ গ্লেশিয়ার। ওপারে দুটো পিক দেখা যাচ্ছে বালাকুন আর চৌখাম্বা একটু ডান দিকে। পূর্বদিকে অলকানন্দা। ঘাটসোলের দু-নম্বর ক্যাম্প থেকে আমরা প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে। সোজা লাইন টানলে বারো কিলোমিটারই হয়। কিন্তু মাঝখানে একটা বিশাল এক উপত্যকার [আরো পড়ুন]
Read More
অ-মানবী
পিসিকে আবছা মনে পড়লেও পিসেমশাইকে একদমই মনে পড়ে না অমিতাভর। আসলে পিসেমশাই চাকরি করতেন বাংলা থেকে অনেক দূরে সেই মধ্যপ্রদেশে। কালে-ভদ্রে বাংলায় আসতেন। বাবা-মাও কোনওদিন তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। অমিতাভ তো কখনওই যায়নি। পিসেমশাইকে অমিতাভ হাতে গোনা দু-একবারের বেশি দেখেনি। তাও ছোটবেলায়। পিসিমা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বছরে [আরো পড়ুন]
Read More
শবাধার
১
আড়মোড়া ভাঙে ঢাকা শহর, রাস্তার শব্দে, মাইকের শব্দে একবার তার ঘুম ভাঙে, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ে। কাজের দিনটাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আলস্য। শীতের ভোরের কুয়াশা থেকে উঁচু বাড়িগুলো বেরিয়ে আসতে বেশ দেরি করে, পোষা কবুতর চক্রাকারে ওপর দিয়ে ওড়ে। বৃষ্টি হয়নি বহুদিন, ধূলায় ঢেকে গেছে সব গাছ, সূর্য জ্বলে আবছা লাল আলোয়। সারা দিন শহরটা একটা [আরো পড়ুন]
Read More
শ্যাডোজ ইন দ্য মুনলাইট
১
নলখাগড়ার বনে ধাবমান ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। তারপরেই ভারী পতনের ধ্বনি। তার রেশ মিলিয়ে যাবার আগেই একটা হতাশ ও মরিয়া চিৎকার। মৃত্যুপথযাত্রী চতুষ্পদ প্রাণীটা ছটফট করছিল। তার ভারী শরীর থেকে নিজেকে মুক্ত করে উঠে দাঁড়াল অশ্বারোহী। তন্বী যুবতী। পাদুকামোড়া চরণ দু-খানি, পরনে পশমি অঙ্গরক্ষা। কৃষ্ণভ্রমর চুলের রাশি তার শ্বেতবর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
মহিমবাবুর আতান্তর
বাজার থেকে শুধুমাত্র এক আঁটি নটে শাক কিনে আনতে ভুলে গেছেন বলে মহিমবাবুকে আজ কি হেনস্থাটাই না হতে হল। গিন্নি তাঁকে আটান্নতেই বাহাত্তুরে ধরেছে বলে যাচ্ছেতাই অপমান করলেন। অফিস আসার আগে সকালের বরাদ্দ চা-টা পর্যন্ত দিলেন না। ছেলে তো বরাবর মায়ের পক্ষে, দুজনে যুক্তি করে তাঁকে বহুকাল খরচের খাতায় ফেলেই রেখেছে। ছেলে আড়ালে তাঁকে ‘ওল্ড হ্যাগার্ড’ [আরো পড়ুন]
Read More
শুরু থেকে শূন্য
২১০০ খ্রিস্টাব্দ। চার আলোকবর্ষ দূরের প্রক্সিমা সেন্টাউরি নক্ষত্রের প্রক্সিমা বি গ্রহে এখন হ্যাবিটেবল জোন বা বসবাসযোগ্য স্থান রয়েছে। সেখানকার মাটি পাথুরে। কৃত্রিমভাবে জল আর বায়োস্ফিয়ার বানিয়ে বাতাসে অক্সিজেন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। গাছ লাগানো হচ্ছে, তারা নাইট্রোজেন সার মাটি থেকেই আহরণ করছে। বিরাট কর্মযজ্ঞ। পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানীরা [আরো পড়ুন]
Read More
কল-স্বর
অবিনাশের আপিসে এসেছে অভিলাষ। সাড়ে চারটা পার তখন, ছুটি হব-হব, কিন্তু তখনো অবিনাশের হাত কামাই নেই। তখনো সে নিজের মেশিনে বসে; মেশিনের মতই কাজ করে যাচ্ছে দু’হাতে।
রাশি রাশি আঁক। লম্বা লম্বা যোগ। বড়ো বড়ো হিসেবের ফিরিস্তি। সে সব চক্ষের পলকে দেখতে না দেখতে মেশিনের সাহায্যে কষিত হয়ে কাগজের পিঠে বসিত হচ্ছে। দেখলে তাক্ লাগে।
তাক্-লাগানো [আরো পড়ুন]
Read More
ইডেন
আজ ইভার মন খুশিতে মাতোয়ারা।
অনেকদিন পর মনের মানুষ অদম্যের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। হবু বরটা একদম গোবর গণেশ। আন-রোমান্টিক। তার ওপর কাজ-পাগল। ইভাকে সময় দেওয়ার মতন সময় অদম্যের থাকেই না বলেই চলে। তা সত্ত্বেও ‘ট্যাড়া হ্যায় পর মেরা হ্যায়’ বলে ইভা নিজের মতন মানিয়ে নিয়েছে।
রেস্টুরেন্টের ছাদখানা ভারী চমৎকার! [আরো পড়ুন]
Read More
মরণের মুখে রেখে
মানুষ চায় অনেক কিছু; কিছু পায়, কিছু পায় না; কেউ পায়, কেউ পায় না। কালিদাস বিদ্যা চেয়েছিল, পেয়েওছিল; রাধা কৃষ্ণকে চেয়েও পায়নি।
শুক্লাও পায়নি।
শুক্লা বসু, এম.এ. সেকেন্ড ইয়ার, সংস্কৃত। বয়স তেইশ।
বিকেল ফুরিয়ে আসছে। সূর্য ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে দৃষ্টিসীমার ওপারে। বৈশাখের রিক্ত অপরাহ্ণে বাড়ি ফিরছে ক্লান্ত পাখির দল। ছাদের উপর দাঁড়িয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
সুশ্রুত
১
ঘুম ভাঙতেই সুশ্রুতবাবুর মনে হল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
উনি অনেকক্ষণ বিছানায় পড়ে রইলেন। সব কিছু যখন ধুয়েমুছে গিয়েছে, তখন নিশ্চয় বাজারহাট, অফিস বাড়ি, কোনওকিছুই আর নেই। ট্রাফিকের ঝামেলা নেই, লোকজনের গালাগাল নেই, ঘেমো ভিড়ে পকেটমারের ভয় নেই, বাজারে সবজির ইলেকট্রিক শক মারা দাম নেই, বসের খিটখিটে মেজাজ নেই, কিচ্ছু নেই।
Read More
বাংলায় এইচ জি ওয়েলসের অনুপ্রেরণা, ‘পাস্টিশ’ ও রূপান্তর
বাংলায় এইচ জি ওয়েলসের অনুপ্রেরণা নিয়ে দুটি কাহিনি সম্বন্ধে কল্পবিশ্ব পত্রিকা-র ২০শে জুলাই ২০২১-তে প্রকাশিত ‘হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধে বক্তব্য রেখেছি।1 প্রথমটি হল মৌচাক পত্রিকায় ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১৯২৫-২৬ খৃ:) ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত [আরো পড়ুন]
Read More
জিন মানব রবীন্দ্রনাথ
রবি তখনও থরথর করে কাঁপছিল। চারপাশের জনতা তাকে ঘিরে উল্লাসে ফেটে পড়ছে। একজোড়া বলিষ্ঠ হাত হঠাৎ তাকে শূন্যে তুলে নিল। সে তখন মানুষের মিছিলের কাঁধ থেকে কাঁধে ছড়িয়ে পড়ছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে, জয় রবীন্দ্রনাথের জয়!
অথচ তখনও রবি ভেতর ভেতর টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল। জনতার আওয়াজ তার কানে অবধি পৌঁছচ্ছে, কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর
১
অতল বিবরের সঠিক ইতিহাস অজানা। কিংবদন্তীতে, জনশ্রুতিতে, দেবাসুরের সংগ্রাম থেকে আরম্ভ করে আকাশ থেকে নেমে আসা উল্কাপাত অবধি নানা ধরনের কাহিনি ছড়িয়ে থাকলেও ভূখণ্ডব্যাপী এই অতলান্ত গহ্বরের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞান এই যন্ত্রসভ্যতার যুগেও ধোঁয়াশায়।
কয়েক হাজার মাইল ব্যাসের দানবিক বৃত্তের মতো ভূখণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গহ্বর প্রায় [আরো পড়ুন]
Read More
পাষাণী
“কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? এই! এই যে! শুনতে পাচ্ছো না? তোমাকে বলছি! কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাদের?”
একটা তীব্র রিনরিনে কণ্ঠস্বর দেওয়ালের গায়ে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফিরে আসছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকার এই সুড়ঙ্গ পথটা ভীষণ ঠাণ্ডা। বাইরের পৃথিবীর কোনও আওয়াজ এখানে কোনওদিন ঢুকেছে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র কয়েক জোড়া পায়ের মৃদু শব্দ আর অস্পষ্ট ফোঁপানি। [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ৩: ভারতীয় সায়েন্স ফিকশনের ইতিহাস ও অবয়ব
সাম্প্রতিককালে ভারতীয় সায়েন্স ফিকশনের বিষয়ে আগ্রহ বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বেশ কিছু গবেষণাপত্র, রিভিউ, আর্টিকেল ইত্যাদি প্রায় নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে। ভারতীয় ফিকশন নিয়ে গবেষণার নবোদ্যমের এই জোয়ারে সুপর্ণ ব্যানার্জী রচিত ‘ইন্ডিয়ান সায়েন্স ফিকশন – প্যাটার্ন্স, হিস্ট্রি এন্ড হাইব্রিডিটি’ বইটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবার দাবি রাখে।
Read More
প্রহরী
কিছুটা সময়ের জন্য খুদে যন্ত্রটা থমকে দাঁড়াল রাস্তার মাঝখানে। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিয়ম মেনে এতকাল সে যে রাস্তায় অন্যান্য যন্ত্রদের মতো টহলদারি করে এসেছে ঠিক সেখানে। রোগ সংক্রমণের বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওরই মতো আরও খুদে খুদে যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যাতে তারা সংক্রমণের হার নির্ণয় করতে পারে। তাদের যদিও সেই সমস্ত পরিস্থিতির [আরো পড়ুন]
Read More
অনীশ আর্কাইভ
অনীশ দেব (১৯৫১ – ২০২১)
বাংলা কল্পবিজ্ঞান জগতের মহীরুহ অনীশ দেব আর নেই। মারণ ভাইরাস কেড়ে নিল বর্ষীয়ান এই সাহিত্যিককে। এই ঘোর কালান্তক সময়ে দাঁড়িয়ে এমন এক আঘাতে বাংলা কল্পবিজ্ঞানের ভিত্তিপ্রস্তর কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো এই সংবাদে স্তম্ভিত কল্পবিশ্ব পরিবার। আমাদের তরফে অনীশ দেবের পারিবারিক সদস্য ও আপনজনদের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।
সংকল্প সেনগুপ্ত
Read More
ষষ্ঠ বর্ষ প্রথম সংখ্যা
ষষ্ঠ বর্ষ প্রথম সংখ্যা – ক্যারেল চ্যাপেকের ইউ আর আর এবং আইজ্যাক আসিমভের জন্মশতবার্ষিকী বিশেষ সংখ্যা
প্রকাশকাল – ১ মে ২০২১
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমান রনিন।
Read More
সম্পাদকীয়
বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অম্লমধুর। নিত্যনতুন আবিষ্কারে আমরা মোহিত হই, হাততালি দিই, বড়াই করি। কিন্তু আনন্দ থিতিয়ে গেলেই বুঝতে পারি আমাদের শৈশবের চেনা শোনা পৃথিবীটা বদলে গেছে বিলকুল। মন তখন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। “এতটা উন্নতির কি সত্যিই প্রয়োজন ছিল?” —প্রশ্নটা বারবার চেতনায় ধাক্কা মেরে যায়। আর ওই প্রশ্নোত্তরের খেলা খেলতে [আরো পড়ুন]
Read More
শতবর্ষে ‘রোবট’, চেক প্রজাতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উপহার
আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে রাশিয়ান-বেলারুশিয়ান বর্ডারের কাছে পেট্রোভিচি (Petrovichi) গ্রামে অ্যাজিমভদের (Azimovs) ইহুদি পরিবারে এক শিশুর জন্ম হয়। বাবা-মা বাচ্চাটির নাম দেন আইজ্যাক। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায় না, আন্দাজ করা হয় অক্টোবর ১৯১৯ থেকে ১৯২০ এর শুরুর দিকের মধ্যে তাঁর জন্ম। ১৯২৩ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি, আর এম এস বাল্টিকে চড়ে অ্যাজিমভের পরিবার নব্য [আরো পড়ুন]
Read More
রোজামের যন্ত্রদাস
Domin: (Smile) Now, the thing was how to get the life out of the test tubes, and hasten development and form organs, bones and nerves, and so on, and find such substances as catalytics, enzymes, hormones in short – you understand?
Helena: Not much, I’m afraid.
Domin: Never mind. (Leans over couch and fixes cushion for her back) There! You see with the help of his tinctures he could make whatever he wanted. He could have produced a Medusa with the brain of Socrates or a worm fifty yards long— (She laughs. He does also; leans closer on couch, then straightens up again) —but being without a grain of humor, he took into his head to make a vertebrate or perhaps a man. This artificial living matter of his had a raging thirst for life. It didn’t mind being sown or mixed together. That couldn’t be done with natural albumen. And that’s how he set about it.
Helena: About what?
Domin: [আরো পড়ুন]
Read More
রুপোলি পর্দার যন্ত্রমানব
আশির দশকের মাঝামাঝি যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তাদের সকলেরই বোধহয় দুজন কমন বন্ধু (আজকের ফেসবুকের ভাষায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড) ছিল। একজন জনি সোকো। অন্যজন তার উড়ুক্কু রোবট। তখন টিভি বলতে সাদা-কালো, চ্যানেল বলতে দূরদর্শন। টিভির সেই আদ্যিকালের দর্শকদের কাছে জনি সোকো ও তার রোবটের কার্যকলাপ থ্রি-ডির মতোই জ্যান্ত হয়ে উঠত।
জনি সোকো তার হাতঘড়ির কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
আসিমভের গোয়েন্দাগিরি
“আমরা ড. আসিমভের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
রোবট দুটির মধ্যে যার দেহটি একদম ধাতব এবং রুপোলি রঙের মধ্যে একটা নীলচে আভা খেলে যাচ্ছে সে-ই বলে উঠল রিসেপশন ডেস্কে এসে ।
“কিন্তু উনি তো কনফারেন্সে আছেন,” রিসেপশন ডেস্ক থেকে সুসান বলল। “কী দরকার শুনি? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তো দেখা হবে না।” বলেই সুসান কম্পিউটারে ক্যালেন্ডার খুলে বসল।
ওদিকে চকচকে বার্নিশ [আরো পড়ুন]
Read More
নিত্যতা সূত্র
এই ছোঁয়াচে অসুখে জর্জর, আতঙ্কগ্রস্ত শহরের আকাশেও শেষ বিকেলে রামধনুটা শুহার মন ভালো করে দিল। এমনকি এখনও। একান্ত সাময়িক যদিও। সাবান কাচার পর ডেটলে চুবিয়ে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলতে এসেছিল ছাদে। একতলার ঘুপচি থেকে, অন্ধকার ইট বেরোন এবড়োখেবড়ো সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের আকাশটাই একমাত্র সান্ত্বনা শুহার দুর্বিষহ শ্বশুরঘরে। কাপড়গুলো তুলে ওপরে চোখ তুলেই [আরো পড়ুন]
Read More
হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান
কল্পবিজ্ঞানের জন্মদাতা
বাংলা সাহিত্যে এই ‘জঁর’-এর পথিকৃৎ কে?
অধ্যাপক অনীশ দেব, তাঁর সম্পাদিত সেরা কল্পবিজ্ঞান সঙ্কলনের মুখবন্ধে বলেছেন:
… বাংলাভাষায় কল্পবিজ্ঞানের সূচনা ১৮৯৬ সালে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কলমে। কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাঁর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ গল্পটি। এর পঁচিশ বছর পরে ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থ [আরো পড়ুন]
Read More
গামবারাগারার সাদা মানুষ
অরিন্দমদার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ আফ্রিকায়। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ের নীচে রুবোনি নামে একটা জায়গায়। এটা উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা থেকে প্রায় পৌনে চারশো কিলোমিটার দূরে। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ে ওঠার প্রথম ক্যাম্প। একটা সাফারি ভ্যান আমাকে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
রুবোনি ক্যাম্পে কয়েকটা টিনের ছাউনি দেওয়া কাঠের আর পাথরের ঘর আছে। একটা হলের মতো লাউঞ্জ। আধুনিক [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতি
ঠিক এই মুহূর্তে ডক্টর শ্রুলের মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন। প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসছে, সেটা হল কেন এই অভিযানে ত্রিশিনার মতো একজন শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ারকে তার সঙ্গে দেওয়া হল। ত্রিশিনা হল তাদের এই মহাকাশ অভিযানের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার। সেই ইঞ্জিনিয়ার যদি একজন শিক্ষানবিশ কেউ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযানটা বিজ্ঞান একাডেমির কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
পরীক্ষা
‘প্রথম টাইম মেশিন, ভদ্রমহোদয়গণ।’ গর্বের সঙ্গে তার দুই সহকর্মীকে জানালেন প্রোফেসর জনসন, ‘সত্যি বলতে কী, এটি ছোট আকারের এক পরীক্ষামূলক মডেল। তিন পাউন্ড, পাঁচ আউন্সের কম ওজনের জিনিসের ক্ষেত্রেই এটা শুধু কাজ করবে। তাও অতীত বা ভবিষ্যতে বারো মিনিটের মতো দূরত্ব পর্যন্ত। তবে এটা কাজ করবে।’
ছোট আকারের মডেলটি দেখতে ওজন মাপার ছোট যন্ত্রের মতো। পার্থক্য [আরো পড়ুন]
Read More
উড়ান প্রবাহ
(১)
বিজ্ঞানী বিশ্ববসু (আই এন ডি ৪০৮৫ –বায়ো সায়েন্স /বি.বি ২০৮৫)
সাল: ৪১২৫
স্থান: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া
রিমোট কন্ট্রোলের সবুজ বোতামটা টিপতেই চোখের সামনে থেকে গোলাপি আলোর পর্দাটা সরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজারতম রে ওয়ের ধারে তিনলক্ষতম বাসস্থানটি বিজ্ঞানী বিশ্ববসুর। বাসস্থান মানে হাওয়ায় ভাসমান কিছু আলোককুঠুরি। বাইরে থেকে দেখলে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ
চরিত্রলিপি
অনিকেত বর্মণ
দিব্যেন্দু মুখার্জী
মীরা মুখার্জী
বিশ্বরূপ
পারমিতা
সৌম্যশেখর গাঙ্গুলি
চিত্রা
গল্প ১
গিন্নি, কর্তা, প্রতাপচন্দ্র
গল্প ২
দিব্যেন্দু, রনি, শিখা, ছোটমামা, মামি
গল্প ৩
বিশ্বরূপ, পারমিতা, ভুটানি বৃদ্ধা
গল্প ৪
অমূল্য, পরমা, শশাঙ্ক, কৃষ্ণেন্দু, সিস্টার
(মঞ্চ অন্ধকার। ফোন বেজে ওঠে।)
—হ্যালো… নমস্কার। মিস্টার অনিকেত বর্মণ? আমি [আরো পড়ুন]
Read More
মেরুজ্যোতি
মিসেস উইলসনের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যখন ডোরবেল টিপছি, আকাশটা তখন জ্বলজ্বলে নীল-সবুজে মেশামিশি মেরুপ্রভায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আমি খেয়াল করলাম, ওই উজ্জ্বল আলোর মধ্যে একটুখানি গোলাপির আভাও যেন দেখা যাচ্ছে।
বহু পুরোনো রোবট চাকরটা নড়ে নড়ে এসে যতক্ষণে দরজা খুলল, ততক্ষণে দরজার বাইরে অরোরা দেখে দেখে আমার প্রায় আড়াই মিনিট কেটে গেছে।
Read More
হৃদয়হীনা
সকাল ৯টা। দ্বৈপায়নের আজও মনে হয় লেট হয়ে যাবে অফিসে। স্নান সেরে গায়ে জামা গলাতে গলাতে কোনওমতে টোস্টে জ্যাম লাগিয়ে এক কামড় দিয়েছে কি দেয়নি, দেওয়ালের কোণায় ঝোলানো যোগাযোগযন্ত্রে বিপ শব্দ আর আলো জ্বলা শুরু হল, সঙ্গে যান্ত্রিক কণ্ঠে উচ্চারণ, “ইনকামিং কল ফ্রম মা, প্লিজ রিসিভ।”
“উফ, এই সময় আবার কেন…” বলতে বলতেই থ্রিডি প্রোজেক্টরের আলোটা শূন্যে [আরো পড়ুন]
Read More
রোবোটিক লিমেরিক
(১)
রোবট গড়েছে নিজে, প্রফেসর সবিতা,
খুঁজে পায় যা কিছু ব্রেনে গাঁথে সবই তা।
একদিন কাজ শেষে,
রোবটটা বলে বসে,
বাকি সব বুঝলেও, বুঝিনিকো কবিতা।
(২)
শাকচুন্নি বলল কেঁদে, ভূতের রাজার দ্বারে,
চাপতে নাকাল হচ্ছি ভীষণ, মানুষগুলোর ঘাড়ে।
গড়ছে তারা রোবট যত,
দেখতে ঠিকই তাদের মতো,
কোনটা রোবট, কোনটা মানুষ, বুঝব কেমন করে?
(৩)
উন্নত এক যুগের কথা, একুশ হাজার কুড়ি,
শৈশবটা হারিয়ে গেছে, হঠাৎ গেছে চুরি।
Read More
রোবট চরিত্র
গৌতম বলে ডেকে, ‘শুনুন হে বিজ্ঞানী,
রোবট নতুন নয়— পুরানেতে এই জানি।
বেতাল নামে রোবট পুষেছেন বিক্রম;
আলাদিন পুষেছিল, সে দানবও নয় কম।
রামের যে হনুমান, আসলে রোবটই সে,
যে-কোনও মানুষকেই মেরে দিত সে পিষে।’
সাত্যকি বললেন, ‘শোনো ওহে গৌতম,
রোবটের সূত্রতে বলে নাকো সেরকম।
তিনটি সূত্র আছে রোবটের স্বভাবে,
শর্তও বলা যায়। একটারও অভাবে
রোবট হবে না সেটা, হবে ক্রীতদাসই সে—
প্রভুর [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন: রূপকথার রূপান্তর?
‘সায়েন্স ফিকশন’ শব্দবন্ধ দিয়ে যে ঘরানাটিকে চিহ্নিত করা হয়, তাকে পত্রপত্রিকায় নানা সময়ে নানা নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনি বা বিজ্ঞানসুবাসিত (?) অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে এই ধারার লেখা আমরা নানা পূজাবার্ষিকী ও সংকলনে পড়েছি। বাংলায় এমন লেখালেখিতে একটা সুনির্দিষ্ট বাঁক-বদল আসে ছয়ের দশকে। তারও অনেক পরে এই ধারাকে ‘কল্পবিজ্ঞান’ [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পরিশিষ্ট
মহাকাশের আবর্জনা
জানুয়ারি মাসের প্রায় শেষ— এখনও ঠান্ডার প্রকোপ ভালোমতনই রয়েছে। সন্ধেবেলা সোয়েটার পরে চাদর জড়িয়ে জুত করে কফি খাচ্ছিলাম। এমন সময়ে টেলিফোন বেজে উঠল। ‘কেমন আছ?’ গলা শুনেই বুঝলাম ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট ফোন করেছেন। শুভ সংবাদ— স্যার ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ ব্যাঙ্গালোর আসছেন— ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে [আরো পড়ুন]
Read More