কথক
লেখক: অলগারনন ব্ল্যাকউড, বাংলা অনুবাদ: দেবাঞ্জলি রায়
শিল্পী: জটায়ু, পল হার্ডির আঁকা ছবি থেকে গৃহীত
অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, কিংবা অত্যধিক সংবেদনশীল হওয়ার একটা সমস্যা হল নানারকম ভিন্নধর্মী চিন্তার ভিড় প্রায়শই মনের গলা টিপে ধরে; কল্পনার সহজ, অবাধ উড়ান গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একজন কল্পনাপ্রবণ লেখক হয়ে ব্যাপারটা জোন্সের মোটেও অজানা নয়, তবে এটাকে আটকানোর বিশেষ চেষ্টাও সে করে না। কারণ আর কিছুই না; নিজের মনকে কোনও একটাই অনুভূতিতে বেঁধে রাখতে হলে সেটা ভোঁতা হয়ে যায়। নিজের প্রধান ভাবনাগুলিকে অন্যান্য অনুভূতির জোয়ার থেকে বাঁচিয়ে রাখাটা জোন্সের কাছে প্রায় একটা ‘সাইকোলজিক্যাল পাজল’-এর সামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাহিত্যিক হিসেবে প্লটের অভাব জোন্সের কোনওদিনই নেই। কিন্তু তাকে কাহিনির চেহারা দিতে গেলেই তারা যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। নতুন ভাবনারা এসে প্রাথমিক ধারণাটা হয় ধামাচাপা পড়ে যায়, নয়তো এমন কোনও নতুন চেহারা ধারণ করে যার সঙ্গে আগেকার বিশেষ মিলই নেই। লেখার সময়টুকু জোন্সের কাছে অ্যাডভেঞ্চারের মতো। তার কাহিনি কল্পতরুর চারার মতো রাতারাতি কলেবরে বাড়ে; ছোটগল্প লিখতে বসে দেখে সেটা ফুলে-ফেঁপে ক্রমশ একটা ছোটখাটো উপন্যাসে দাঁড়াচ্ছে। সে যা-ই পড়ে, দেখে, শোনে বা অনুভব করে, তা-ই তার আইডিয়ার কঙ্কালে রক্তমাংসের মতো জুড়ে বসে, গল্পের গতি চলে যায় আয়ত্তের বাইরে। ফলে পত্রিকার সম্পাদকের “এই ধরুন, হাজার পাঁচেক শব্দের মধ্যে একটা লেখা যদি…” জাতীয় অনুরোধ জোন্স বেশির ভাগ সময় রাখতে পারে না।
ঠিক এই কারণে লেখার কাজের সময়, বিশেষত কোনও ছোট এবং নির্দিষ্ট আইডিয়ার ওপর কাজ করতে গেলে জোন্সের পছন্দ পুরোপুরি ফাঁকা একটা ঘর; যেখানে বই, ছবি বা আসবাব, এমনকী বাইরের দৃশ্য দেখার মতো জানলাও থাকবে না। বহির্জগতের সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সেখানে তার সঙ্গী বলতে আক্ষরিক অর্থে শুধু তার কালি-কলম-মন।
কাজেই নিজের ভাইয়ের নিমন্ত্রণটা জোন্স ফেলতে পারল না। ভাইটি আপাতত তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকে ‘জুরা’ বলে একটা ছোট্ট গ্রামে। জোন্সকে সে চিঠিতে লিখেছে,
“…আমরা এখন বাস করি স্থানীয় পোস্ট অফিসের ওপরের তলায়। বাড়িতে লোকজনের আসা-যাওয়া, হইহট্টগোল লেগেই আছে। তবে আমার কিছু জিনিসপত্র রাখার জন্য শীতকালটায় গ্রামের এক কাঠুরিয়ার বাড়ির চিলেকোঠাটি ভাড়া নিয়েছিলাম; আজ সকালেই সেইসব বাক্সগুলো নিজের বাসায় নিয়ে এসেছি। বাড়িটা একটু জঙ্গলঘেঁষা, আর ঘরটা বলতে গেলে ফাঁকাই; খাট, সোফা, রাইটিং টেবিল আর ওয়াশহ্যান্ডস্ট্যান্ড ছাড়া কিচ্ছু নেই। তোমার যে পছন্দ হবে, সে বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। খাওয়াদাওয়া আমার এখানেই করবে।…”
ব্যবস্থাটা জোন্সের পক্ষে মানানসই। তার হাতে যা লেখার কাজ আর মাথায় ছোটখাটো প্লটের সুতোর জাল জমেছে, তাতে অন্তত মাসদেড়েকের একটা নিরিবিলি ছুটি না হলেই নয়।
(২)
ঘরটি চিলেকোঠায় হলেও বেশ বড়সড়, হাওয়াদার। পাহাড়ি হাওয়া স্কাইলাইটে আর দেওয়ালের গায়ে ধাক্কা খেয়ে বয়ে যায়। পাহাড় আর জঙ্গল কাছেই বটে, তবে এক হাওয়ার অনুরণন ছাড়া তাদের উপস্থিতি টের পাওয়ার উপায় নেই। সারাদিনের জার্নির ধকলের পর ক্লান্ত জোন্স বালিশে মাথা রাখতেই দেখতে পেল মাথার উপর স্কাইলাইটের ভিতর দিয়ে কয়েকটি তারা তার দিকে উঁকিঝুঁকি মারছে। জোন্সের মস্তিষ্ক আপাতত আগামীকালের কাজের চিন্তায় ভরপুর। সে এমনিতে বেশ ভোরে ওঠে। রাত্রের একটা ভালো ঘুমের মধ্যে যে তার অবচেতন যে এই জটপাকানো চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নেবে সেটা জোন্স জানে। সকালে ঘুম থেকে উঠে, স্নান করে, এক কাপ চা খেয়ে সে লিখতে বসে। যত তাড়াতাড়ি সে লেখার টেবিলে পৌঁছয়, তার লেখার হাত খোলে তত বেশি। একমাত্র অসুস্থতা ছাড়া এটাই জোন্সের লেখার রুটিন।
এবার অবশ্য ব্যাপারটা সেরকম হল না। জোন্সের ঘুমটা ভাঙল যখন, তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সে যুগপৎ বিস্ময় ও হতাশার সঙ্গে অনুভব করল যে তার মগজ গতরাতের চিন্তাসূত্রের জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছে, আর তার মনের ভিতরে নতুন নতুন ভাবনা আর দৃষ্টিকোণের জাল এসে তার পুরোনো আইডিয়াকে চাপা দিয়ে দিয়েছে, নতুন ইঙ্গিতের দল ভাষা খুঁজছে; আর তার চেতনা যেন এই বহুমুখী অনুভূতির কোলাহলে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। অথচ বিশ্রাম নেওয়ার ফলে তার শরীর চাঙ্গা, মাথা সম্পূর্ণ পরিষ্কার।
দ্বিতীয় জিনিসটা হল অন্ধকার। হাতড়ে হাতড়ে মোমবাতিটা জ্বালিয়ে ঘড়ি দেখল জোন্স। রাত দুটো। ঠিক এই সময় স্বরটা শুনতে পেল জোন্স। কিছু বিশৃ্ঙ্খল ফিসফিসে স্বর তার ঘরের আনাচকানাচ থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আর সেই স্বরের মালিক বা মালিকরা দাঁড়িয়ে আছে তার খাটের পাশেই। ঘরে সে আর একা নয়।
মোমবাতির মরা আলো যদিও ঘরের ন্যাড়া দেওয়াল আর গুটিকয় নিষ্প্রাণ আসবাবে প্রতিফলিত হয়ে সে ছবি ফিরিয়ে দিচ্ছে জোন্সের চোখে, তার সঙ্গী বলতে স্কাইলাইটের আড়াল থেকে দৃশ্যমান নক্ষত্ররাজি— অথচ জোন্সের বাকি ইন্দ্রিয়গুলি দিয়ে সে তার চারপাশে জীবন্ত অস্তিত্বের ভিড় অনুভব করতে পারছে। এদের উপস্থিতিই তাকে গভীর ঘুম থেকে জাগিয়েছে। ফিসফিসে স্বরটা যদিও হাওয়ার ধাক্কায় মরে গেছে, কিন্তু সেই স্বর যাদের; সেই কথকরা এখনও বহাল তবিয়তে ঘরেই রয়েছে। তারা যেন কোনও অলীক নাটকের কুশীলব, বিভিন্ন দৃশ্য বিভিন্ন অঙ্ক তাদের দ্বারা মঞ্চস্থ হয়ে ফুটে উঠছে জোন্সের মানসপটে। সেইসব ছবির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে জোন্সের স্বাধীন চিন্তা; অথচ মস্তিষ্ক সতত কাজ করে চলেছে, ঠিক যেমনটি চালিত হয় তার নিজের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে। শিহরিত জোন্স বুঝতে পারল, সে যেন এই অদৃশ্য কথকদের সমবেত আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। তাদের সমস্ত মানসিক শক্তি একত্রিত করে তারা যেন জোন্সের কল্পনার দরজায় প্রবল করাঘাত করে চলেছে, সেই ধাক্কার অভিঘাত স্পন্দিত হচ্ছে তার মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে।
একটা শীতল ভয়ের অনুভূতি জোন্সকে আস্তে আস্তে গ্রাস করে ফেলতে লাগল। ফাঁকা ঘরে যেন অসংখ্য লোক একসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলছে, তাদের বক্তব্য পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। গোটা ঘটনাটা ঘটছে একটা ঘোরের মধ্যে, অথচ জোন্স জানে সেগুলো বাস্তব।
“তোমরা কারা?” ফাঁকা ঘরের দেওয়ালের উদ্দেশে নিজের অজান্তেই প্রশ্নটা ছুড়ে দিল জোন্স।
সঙ্গে সঙ্গে যেন বহুকণ্ঠের কোরাসের মতো অসংখ্য দৃশ্যাবলী দল বেঁধে দেওয়াল থেকে, সিলিং থেকে ছুটে বেরিয়ে এল জোন্সের দিকে। তারা প্রত্যেকে আলাদা, কিন্তু কোনও-না কোনওভাবে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। পাথরের মতো শায়িত, ভয়ার্ত জোন্সের মস্তিষ্ক তাদের সাজানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু তারা বিক্ষুব্ধ মহাসামুদ্রিক তরঙ্গের মতো; হিংস্র, ক্ষুধার্ত, রক্তপিপাসু বন্যজন্তুর মতো তার চেতনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলল।
অথচ, দৃশ্যগুলো সুবিন্যস্ত।
প্রথমে, ঘর ভরে উঠল মানুষের রুদ্ধ আবেগে। কত জন্ম-জন্মান্তরব্যাপী ভালোবাসা, ঘৃণা, শোক, ভয়, প্রতিশোধস্পৃহা, ধূর্ততা— সমস্ত মানবিক আবেগের ঢেউ কলতানে ভেসে গেল…
সে আবেগ পেরিয়ে এল এক বিচিত্র সুন্দর অনুভূতি; যেন কার পেলব সৌন্দর্য্য তার হৃদয়কন্দরের সমস্ত গোপন শূন্যতাকে ভরিয়ে দেওয়ার এক অসম্ভব প্রচেষ্টা ছড়িয়ে দিয়ে গেল…
তারপর এল প্রশ্নের দল। বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝঞ্ঝার মতো পরস্পর বিজড়িত প্রশ্নের দল এল জট ছাড়ানোর আশায়, ফিরে গেল উত্তরের অপেক্ষা নিয়ে। উপরন্তু, তারা জোন্সের ঘুমোনোর আগের চিন্তাভাবনার আলাদা আলাদা ইঙ্গিত, আলাদা আলাদা চেহারা নিয়ে এল। কী অপূর্ব, কী উল্লসিত, কী ভীষণ সুন্দর সেসব কল্পচিত্র; অথচ তাদের গুছিয়ে নেওয়া কী অসম্ভব কঠিন, জোন্সের মনে হল যেন তার অন্তঃকরণে একজন নয়, বহু মননের বাস…
তারপর এল আরেক অনুভূতির স্রোত। হিংস্র; অথচ স্থির, গভীর। কত কণ্ঠ, কত প্রশ্ন, কত বার্তা টুকরো টুকরো ছবি হয়ে গেল; কাদের কান্না তার হৃদয়ের অন্তঃস্থলে মাথা কুটে কুটে মরতে লাগল। কতশত মানুষ তার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেল, নদীর জলের মতো সে বিশাল জনস্রোতকে ঝাপসা অথচ শক্তিশালী অবয়বের মতো কারা যেন পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল; তারা হাসল, কাঁদল, পরস্পরের সঙ্গে লড়ল এবং শেষে রক্তস্রোতের মধ্যে কোথায় যেন হারিয়ে গেল…
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সে স্থান অধিকার করল নতুন একদল মানুষ, মুখে তাদের আর্তির ছাপ। আপ্লুত চোখে উন্মত্তের মতো তারা যেন কোনও পর্বত আর মেঘের আড়ালে ঢেকে যাওয়া দীপ্যমান সূর্যাস্তের আলোর সন্ধানে কত কত চড়াই ভাঙল, কত পথ পার হল…
জোন্সের মনে হল লাগল যেন এই অগণিত দৃশ্যপট মুষলধারা বৃষ্টির জলকণার মতো, কোনও এক প্রবল শক্তিধর ঝড়ের আগে উড়ে চলেছে। সে বারিধারায় তার সমস্ত পরিকল্পিত চিন্তা টুকরো টুকরো হয়ে ডুবে গেল। সে ঝড়ের কোনও কমতি নেই, নিমেষ নেই, শেষ নেই। তার সমস্ত অনুভূতি যেন এক প্রবল ঘূর্ণিপাকের মধ্যে নুড়িপাথরের মতো ধাক্কা খেতে খেতে ভেসে বেড়াতে লাগল। জোন্স বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টা করল না। শান্ত বাধ্যতার সঙ্গে সে ঝড়কে বয়ে যেতে দিল। এমন এক অশেষ বিভ্রান্তি তার সমস্ত সত্ত্বায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রইল, যে তার মনে হল বুঝি সে আধঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটা পড়ে ফেলতে গিয়েছিল!
আস্তে আস্তে প্রবল অবসাদ ও ক্লান্তি জোন্সের স্নায়ুর ওপর কুয়াশার মতো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তার কানে এল এক গভীর, বিস্ময়কর ধ্বনি। কে যেন বড় যত্নে, পরম মমতায় তার অনুভূতিগুলিকে সাজিয়ে দিচ্ছে; তার কল্পনা, তার ক্রিয়াকলাপকে এক সুদৃশ্য জ্যামিতিক ছকে বেঁধে দিচ্ছে, তার বিশৃঙ্খল, পরস্পরবিরোধী চিন্তাধারাকে একত্রিত করে গুছিয়ে দিচ্ছে। সুগভীর নিদ্রাসাগরের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে জোন্স কল্পনা করতে লাগল, কোনও এক অশ্রুতপূর্ব বাদ্যযন্ত্রের তন্ত্রীতে বুঝি বাঁধা পড়ছে তারা, সে তন্ত্রীর আলোড়নে জেগে উঠছে অলৌকিক সুর। সে সুরের মূর্ছনা আবার বুনে দিচ্ছে তার শতধাবিভক্ত অনুভূতির জাল।
(৩)
“রাত্রে কেমন ঘুম হল?”
পরেরদিন জোন্সকে লাঞ্চের টেবিলে প্রশ্ন করল তার ভাই। জোন্স নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতেই এসে পৌঁছেছে।
“কীরকম বুঝছ? তোমার কাজের সুবিধে হবে তো?”
“হ্যাঁ, ঘুম তো ভালোই হয়েছে। ধন্যবাদ,” হালকা মেজাজে জবাব দিল জোন্স, “ঠিকঠাক বিশ্রাম করতে পারলে ও-ঘরে কাজের কোনও অসুবিধে হবে না আমার। বাই দ্য ওয়ে…”
যে প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, সেটা শেষমেশ করেই ফেলল জোন্স।
“চিলেকোঠার ঘরটা কীসে ব্যবহার হত বলো তো? কী থাকত ওখানে?”
“বই ভায়া, শুধু বই!” উত্তর দিল তার ভাই।
“আরে আমার লাইব্রেরির গোটা সংগ্রহটাই তো ওখানে পড়েছিল শেষ ক-মাস। ব্যবহারই হয়নি। এই তো তুমি আসার ঠিক আগেই ওখান থেকে পাঁচশো বই সরিয়েছি। মাঝে মাঝে ভাবি, বুঝলে হে, অতদিন ধরে যদি বই না খুলে ফেলে রাখা হয়; তখন সেইসব বইয়ের লেখকদের কেমন লাগে, অ্যাঁ? মানে ধরো…”
“কী ধরনের বই?” জোন্স মাঝপথে ভাইয়ের বাক্যস্রোত থামিয়ে প্রশ্ন করল।
“সাহিত্য, কবিতা, দর্শন, ইতিহাস, ধর্মগ্রন্থ, মিউজিক— সবরকম। শুধু মিউজিকের ওপরেই তো প্রায় দুশো বই ছিল!”
মূল কাহিনি: দ্য হুইসপারার্স
রচনা: অলগারনন ব্ল্যাকউড
গল্পটি গ্রন্থিত হয়েছে ১৯১৪ সালে প্রকাশিত টেন মিনিটস স্টোরিজ নামক সংকলনটিতে।
Tags: অনুবাদ গল্প, জটায়ু, দেবাঞ্জলি রায়, পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
Pingback: MMORPG