চিরকুট
লেখক: সত্যজিৎ রায়
শিল্পী: জটায়ু
তখন সন্দেশে ছিলেন তিন সম্পাদক। নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের হাত ঘুরে লেখা আসত ‘বড় সম্পাদক’ সত্যজিৎ রায়ের কাছে। তিন সম্পাদকের কাটাছেঁড়ার পর সামান্যই লেখা যেত ছাপাখানায়। অনেক সময় নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের কাছে পাশ করে যাওয়া লেখা আটকে যেত সত্যজিৎ রায়ের টেবিলে।
আবার কোনও সম্ভাবনাময় লেখার পরিমার্জন বা পুনর্লিখন করার উপদেশ দিয়ে সত্যজিৎ রায় চিঠি বা চিরকুট পাঠাতেন লেখকের কাছে। এমনই একটি চিরকুট পেলেন লেখক রেবন্ত গোস্বামী। তখন তিনি নিয়মিত সন্দেশে গল্প-উপন্যাস লিখছেন। ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস “অরুমিতুদের কথা” প্রকাশিত হয়েছে সেখানেই। তাঁর লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্প “শ্যামল পালের সমস্যা” নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের অমূল্য সেই পরামর্শ অনুসারে গল্পটি পরিমার্জনা করে ছাপা হল সন্দেশ, বৈশাখ ১৩৯০ সংখ্যায়। অলংকরণ করে দিলেন সত্যজিৎ রায় স্বয়ং। গল্পটি বর্তমানে পাওয়া যায় কল্পবিশ্ব পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত রেবন্ত গোস্বামীর “কল্পবিজ্ঞান সমগ্র” বইতে। সত্যজিৎ রায়ের সেই ছোট্ট চিরকুটে লেখা সামান্য ক-টি কথা থেকেই বোঝা যায় একটি গল্প নিয়ে তিনি কতটা ভেবে তারপর প্রকাশের ছাড়পত্র দিতেন। সত্যজিৎ জন্মশতবর্ষে সেই চিরকুট প্রকাশিত হল শারদীয়া কল্পবিশ্বে। সঙ্গে রইল তার ছবি, ও গল্পটির সত্যজিৎকৃত হেডপিস।
মোরেস (মোরীস?) নিকোলাসের চিঠিতে তার বাবা আঁদ্রে নিকোলাসের খবর পড়ে শ্যামল পালের তৎক্ষণাৎ পক্ষাঘাত হওয়াটা convincing হচ্ছে না। এই বিশেষ প্লটের নিয়মানুযায়ী দুজনেরই পক্ষাঘাত simultaneous ঘটনা হওয়া উচিত। অর্থাৎ নিকোলাসের চিঠি আসার আগেই শ্যামল পালের পক্ষাঘাত হবে। এবং চিঠিটা আসবে তার পর। সেই চিঠি অন্য কেউ পড়বে। পাঠকও জানতে পারবে তার contents— কিন্তু শ্যামল পাল জানবে না। [তার জানার কোনও প্রয়োজন আছে বলেও মনে হয় না]।
এই ভাবে গল্পের শেষটা কি রেবন্ত rewrite করতে পারো?
SR
9/2
হেডপিসের ছবিতে সন্দেশের কার্যালয়ে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে, বাঁ-দিক থেকে রেবন্ত গোস্বামী, অচল ভট্টাচার্য, ভবানীপ্রসাদ দে, জীবন সরদার।
Tags: জটায়ু, পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, বিশেষ আকর্ষণ, রেবন্ত গোস্বামী, সত্যজিৎ রায়