Sunday, November 17, 2024
উপন্যাস

সময়নদীর বাঁকবদল

17 thoughts on “সময়নদীর বাঁকবদল

  • সুদীপ

    আধুনিক ভারতবর্ষের রাজনীতির ওপর একটা দুঃসাহসিক কাজের জন্যে অফুরান শুভেচ্ছা রইল। অবশ্য আমি আগেই আশা করেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি এই দিশা দেখানোর কাজটা করে ফেলবেন আপনি। নিঁখুত ও বাস্তবভিত্তিক ঘটনাপ্রবাহের জটিলতা কোথাও বাধা সৃষ্টি করেনি, বরং আমার মতো জিওপলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপে উত্সাহীদের কাছে ব্যাপারটা অতিরিক্ত পুরস্কারের স্বরূপ। এই সুত্রে বলে রাখি, রাজনীতির কোন চরিত্রকে নিয়ে এই লেখাটা আসতে চলেছে সেটা আমি সঠিক আন্দাজ করেছিলাম, তাই নিজেকেও একটু পিঠ চাপড়ে দিলাম 🙂 অতীতে গিয়ে ঐতিহাসিক ঘটনার কিছু কিছু পরিবর্তন করার কংসেপ্টটা অবশ্য নতুন নয় ( Netflix এ এই নিয়ে একটা সিরিজ আছে, মিনিস্ট্রি অফ টাইম), কিন্তু উপস্থাপনার ফলে কোথাও একঘেয়েমি আসেনি। সব নিয়ে লেখাটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে রইল। আশা করি এইটাও দু মলাটে আসবে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল পার্থদা। আপনার কলম দীর্ঘজীবী হোক।

    Reply
    • Partha De

      অনেক ধন্যবাদ সুদীপ। সত্য ঘটনার উপর আধারিত জিও-পলিটিক্যাল থ্রিলার লেখার কিছু সমস্যা আছে, অনেক সময় সত্যিটা বলা যায় না, রাজনৈতিক দলের স্ক্যানারের নিচে চলে আসে, তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সেজন্য বিকল্প ইতিহাসের আড়ালে লেখার ইচ্ছা হল, বিশেষত যখন একটা নেগেটিভ চরিত্রকে পোট্রে করতে হবে। বিকল্প ইতিহাস নিয়ে লিখতে গিয়ে কোনো বড় ঘটনাকেই সাধারণত বেছে নেওয়া হয়, যার বদলের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসের বদলটা ঘটে। সেখানে কোনো মূল চরিত্রের চেয়ে পটভুমিকা আর তার পরিবর্তনকেই কাহিনির মূল উপজীব্য করে তোলা হয়। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটাকেও গুরুত্ব দিতে। এই প্রসঙ্গে বলি বিখ্যাত মার্কিন টিভি সিরিজ ‘হাউস অফ কার্ডস’-এ কেভিন স্পেসি অভিনীত মূল প্রোটাগনিস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস আন্ডারউডের চরিত্রটা আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল। এত ডার্ক শেডের চরিত্র খুব কম দেখেছি।

      Reply
  • ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    খুব ভাল লাগল, অন্যরকম এই উপন্যাসটি। খুব বাস্তবানুগ, এরকমটি যেন হতেই পারত। সবচেয়ে ভাল লাগল, সময় নদীর বাঁকবদল কোনও ইচ্ছাপুরণের কাহিনি হয়ে দাঁড়ায়নি। ইতিহাস আবার তার মূলধারায় ফিরে গেছে।
    চমৎকার হয়েছে।

    Reply
    • Partha De

      ত্রিদিবেন্দ্রদা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। নতুন রকমের একটা চেষ্টা করেছি, এইটুকুই। আপনার উপন্যাস ‘লম্বাগলি’ কিছুক্ষণ আগে পড়তে শুরু করেছি। বেশ ভাল লাগছে😊 পুরোটা পড়া শেষ করে জানাব। শারদ শুভেচ্ছা নেবেন।

      Reply
      • shamik nandi

        দারুণ লাগলো। বিষয়বস্তুর অভিনবত্ব তো আছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খুব pacy একটা স্টোরিলাইন। পরের কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম।

        Reply
  • Debotosh Das

    বাংলায় এ জিনিস আগে পড়িনি। একটানে পড়িয়ে নিল লেখাটি। অনবদ্য।

    তবে কয়েকটি প্রশ্ন থেকে গেল। বিশেষত আশির দশকের সঞ্জয় গান্ধী পর্ব যে অতিরিক্ত দ্রুততায় শেষ হল, আমার মনে হয়েছে লেখক বিরাট এক সম্ভাবনাকে কিছুটা নষ্ট করেছেন। কথোপকথন-নির্ভর হওয়ার জন্যই সম্ভবত অতিরিক্ত পেস আরোপিত হয়েছে। দুই মলাটে আনার আগে প্রতিটি পর্বে, ন্যারেটিভে আরও যত্নবান হলে, এ লেখা মাইলফলক হতে পারে।

    একটি তথ্যপ্রমাদ চোখে পড়ল অলিম্পিক নিয়ে। ১৯৮০ অলিম্পিকে চিন অংশ নেয়নি।

    যাইহোক, সব মিলিয়ে অন্যরকম পাঠ অভিজ্ঞতা হল। লেখককে ধন্যবাদ।

    Reply
    • Partha De

      দেবতোষ অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমার পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য। এটা আমার অল্টারনেট হিস্ট্রির দ্বিতীয় কাহিনি। প্রথম গল্পটি কয়েকদিন আগে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য দার সম্পাদনায় জয়ঢাক প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ‘অন্য দুনিয়া’ গল্পসংকলনে আছে। সেই কাহিনির নাম ‘হিমালয়ান সাকসেস’। সেটা ‘৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের ভিন্ন ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি।
      তবে সত্যি বলতে বাংলায় বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি যেহেতু খুব কমই হয়েছে এবং এই ধরণের জিও-পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি লেখার ক্ষেত্রে আমিও অনভিজ্ঞ। তাই বেশ কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। ইংরেজি সাহিত্যে এই ধারার কাহিনি অনেক আছে। ফিলিপ কে ডিকের ‘দ্য ম্যান ইন দ্য হাই ক্যাসল’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে ইংরেজিতেও বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি আমাকে আরও পড়তে হবে, তবে হয়ত আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব। হ্যাঁ, শব্দসংখ্যার কিছু লিমিটেশন ছিল, তাই এই উপন্যাসিকাটি ১৬৭০০ শব্দে লেখা। এটা অবশ্যই মিনিমাম ৩০,০০০ শব্দে লিখতে পারলে ভাল হত। তবে ‘৮০ অলিম্পিকসে চিন ছিল না, এটা সত্যি। এক্ষেত্রে আমারই ভুল হয়েছে তথ্য পরিবেশনে, ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি। অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

      Reply
  • Himansu Chaudhuri

    দিব্যি লাগলো পড়তে। বিশেষত এই কনসেপ্টটা যে, সময়নদীর সাময়িক বাঁকবদল হলেও, চূড়ান্ত গন্তব্য একই থাকে।
    আরেকটি তথ্যপ্রমাদ চোখে পড়লো। শ্রীমতী গান্ধীকে আশির দশকে যে তিনটি অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল, তার মধ্যে, এসসিটালোপ্রাম ব্যবহার হচ্ছে ২০০২ সাল থেকে। এবং জলপিডেম মূলত ঘুমের ওষুধ, যা প্রথম ব্যবহার হয় ১৯৯৪ সালে।

    Reply
    • Partha De

      হিমাংশুবাবু অনেক ধন্যবাদ। তথ্যপ্রমাদটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। যদি ভবিষ্যতে এটি কখনও বই হয় তবে জোলপিডেম আর এসিট্যালোপ্রামের তথ্যটা ঠিক করে নেব। তবে এমিট্রিপ্টিলিনের ব্যাপারটা বোধহয় ঠিক আছে, তাই তো?

      Reply
      • Himansu Chaudhuri

        হ্যাঁ, অ্যামিট্রিপ্টিলিন আমাদের কলেজ লাইফের অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে, অতএব, একদম যথাযথ।

        Reply
  • Amitabha Rakshit

    পার্থ বাবু, আপনার গল্পটা খুব উপভোগ করলাম। বাংলায় এর আগে রাজনৈতিক ইতিহাসের বিকল্প কাহিনী পড়িনি। আপনার সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক ঘটনার ওপরে পড়াশুনা ও দখল দেখে খুব ভাল লাগল। আশা করি ভবিষ্যত বাঙ্গালী লেখকেরা আপনার উদাহরন দেখে তথ্য পরিবেশনা সম্বন্ধে আরও সচেতন হবেন। আমাদের কৃষ্টিতে লেখার বিষয় বস্তু নিয়ে – তা সে যা নিয়েই হোক না কেন, পর্যাপ্ত পরিমান অনুসন্ধান না করেই তাকে পরিবেশনা করবার একটা প্রবনতা দেখা যায়। আশা করি এই কৃষ্টিটা ধীরে ধীরে বদলাবে।

    Reply
    • Partha De

      অমিতাভবাবু, আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমিও আপ্লুত। সবিনয়ে জানাই, কল্পবিশ্বে এর আগে আপনার যে কয়টি লেখা পড়েছি সেগুলো আমারও খুব ভাল লেগেছে। আসলে এই অল্টারনেট হিস্ট্রি জঁনরার কাহিনি বাংলায় খুব বেশি। এই ধারায় এটি আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। বিখ্যাত লেখক দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য দার জন্যই এই ঘরানার লেখায় উৎসাহিত হই, তাঁর সম্পাদিত এবং জয়ঢাক পাবলিকেশন প্রকাশিত ‘অন্য দুনিয়া’ গল্প সংকলনটিই বাংলায় বিকল্প ইতিহাস ধারার প্রথম বই। সেই বইতেই আমি প্রথম অল্টারনেট হিস্ট্রির কাহিনি লিখি। এই ‘সময়নদীর বাঁকবদল’ উপন্যাসটি আমার দ্বিতীয় বিকল্প ইতিহাসের উপন্যাস। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। শারদ শুভেচ্ছা নেবেন।

      Reply
  • সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়

    সেই ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের ‘অঙ্গুরীয় বিনিময়’ থেকে শুরু করে পরশুরামের ‘উলটপুরাণের’ মতো বিকল্প ইতিহাসের আখ্যান লেখা হয়েছে এই বাংলায়। সেই ধারায় একটা গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়ে থাকবে এই রচনা। চেনা ইতিহাসের পথচলার বাঁকে বাঁকে বিকল্প বা সমান্তরাল কিছু অধ্যায়ে অন্য কোন সময় সরণিতে পাড়ি দিয়েছে গল্পের নির্মিতি। কিন্তু খুবই মুন্সিয়ানার সঙ্গে আবার ফিরে আসা এই চেনা কালস্রোতে। এমন লেখা আরো আসুক।

    Reply
  • Pritiwish Gozi

    অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। উপভোগ্য একটি বিকল্প রাজনৈতিক ইতিহাস। আর শেষটুকু এক কথায় দারুণ। যে কাহিনীর ইঙ্গিত দিয়ে আপনি শেষ করলেন, সেটা পড়তে চাই খুব তাড়াতাড়ি।

    Reply
  • Debaditya Bagchi

    একটা কথা, ওমার শেখ সঈদ জানতাম 9/11 এর terror financer ছিলেন। উনি fund raise করেছিলেন। তাই উনি jail এ থাকলে ঐ ঘটনা হয়তো হত না বলে আমার ধারণা।

    Reply
    • Partha De

      কিন্তু জেলে থাকলে তার বাবা তাকে তো এখান থেকে ছাড়িয়ে ব্রিটিশ আইনের আওতায় নিয়ে যেতেন। তাই তার নিধন করতে হয়েছে। ফলে ড্যানিয়েল পার্লের অপহরণ ও মৃত্যুটা সংঘটিত হয়নি।

      Reply
  • Kausik Ray

    পার্থবাবু, খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটি। বাংলায় এ এক অন্য ধারার লেখা। আশা রাখি পাঠকদের মধ্যে সাড়া ফেলে দেবে এই লেখা। আরো চাই এধরণের লেখা।

    Reply

Leave a Reply

Connect with

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights