Saturday, November 16, 2024
উপন্যাস

ঈশ্বরের গণিত

21 thoughts on “ঈশ্বরের গণিত

  • Devadatta Bhattacharya

    একটি অসাধারণ উপন্যাস। পড়ে অভিভূত হলাম। তবে উপন্যাসে প্রতিবিশ্বের যে দুটি কাল্পনিক মডেলের কথা বলা আছে, সে’দুটির একটি আমাদের চতুর্মাত্রিক বিশ্বের additive inverse এবং অপরটি আমাদের বিশ্বের multiplicative inverse. সে’ক্ষেত্রে দুটি মডেলেরই x, y, z এবং t ― এই চারটি মাত্রা ঋণাত্মক হবে না বলেই মনে হয়। শুধুমাত্র additive inverse প্রতিবিশ্বের ক্ষেত্রে মাত্রাগুলির ভ্যালু ঋণাত্মক হবে, অর্থাৎ যে প্রতিবিশ্ব ও আমাদের বিশ্ব শূন্য থেকে শুরু বলে গল্পে মনে করা হয়েছে। অন্য প্রতিবিশ্বের মডেলটির ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেটিতে সবকিছু এক বা একক শক্তিদ্বারা সৃষ্টি বলে মনে করা হয়েছে, মাত্রাগুলি ধনাত্মক ও আমাদের বিশ্বের মাত্রাগুলোর reciprocal হবে। তাছাড়া, প্রথম মডেলের একমাত্রিক সময়কে ঋণাত্মক ধরলে আমরা আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন হব ― সেটি হল Big Bang-এর সময় থেকে ক্রমাগত পিছিয়ে যাওয়া।

    তবে উপন্যাসটির অভিনবত্বের জন্য লেখকের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন প্রাপ্য।

    Reply
    • সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনি চমৎকার কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।

      ঠিকই বলেছেন, Multiplicative inverse এর মাত্রাগুলো ঋণাত্মক হওয়ার চান্স নেই। গল্পে এই বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছি ইচ্ছাকৃতভবেই। প্রত্যয় যে ফাংশনের মাধ্যমে আমাদের ইউনিভার্সকে ডিফাইন করেছে সেই ফাংশনটাকে উহ্য রেখেছি। যদি এই ফাংশনে একটি ইমাজিনারি কোফিশিয়েন্ট চলে আসে তাহলে ইনভার্স ঋণাত্মক (যদি আমাদের বিশ্বে ধনাত্মক হয়) হবে। আর এই বিষয়টা ভেবেই এখানে মাত্রার সাথে ইউনিভার্সের ফাংশনটির কো-রিলেটের ব্যাপারটাও উহ্য রেখেছি। তারপরেও এটা নিছকই কষ্টকল্পনা, স্বীকার করছি। পরবর্তি লেখায় এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবো।

      দ্বিতীয় পয়েন্ট, একমাত্রিক সময়ের ঋণাত্মক বিষয়টা। এটা আমার কাছেও ক্লিয়ার না, ব্যাপারটা ধারনাই করতে পারছি না। পুরো বিষয়টাই বিমূর্ত। উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা বলতে পারেন। অপারগতা স্বীকার করে নিচ্ছি।

      সবশেষে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, চমৎকার আলোচনা করার জন্যে। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম।

      Reply
    • লেখাটি পড়ে দারুণ লাগলো…..গল্পে Multiplicative & additive universe এর কথা তুলে ধরা হয়েছে আর Big Crunch এর তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে।

      Reply
  • দারুন লাগল , এরকম আরও লেখা চাই

    Reply
    • Shaiful Tipu

      অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

      Reply
  • এইরকম হার্ড সাইফি বাংলায় পড়তে পাব – এমনটা কখনও ভাবিনি। সত্যিই আন্তর্জাতিক মানের লেখা। পড়ানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আগামী লেখালেখির জন্য রইল অজস্র শুভকামনা।

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ গাঙ্গুলী ভাই। আপনার মত গুণী মানুষের প্রশংসা আমার পরবর্তি লেখাতে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। শুভেকামনা রইল।

      Reply
  • অসাধারণ লাগল উপন্যাসটি। বাংলায় যে হার্ড সাইফি লেখা সম্ভব এবং সেটা ভীষণ মনোগ্রাহী হয়ে উঠতে পারে তা আপনার এই লেখাটি পড়লে বোঝা যায়। এর আগেও কল্পবিশ্বে আপনার আরেকটি উপন্যাস পড়ে খুব ভাল লেগেছিল। নামটা মনে পড়ছে না। কণাবিদ্যা নিয়ে লেখা সম্ভবত এটিই প্রথম বাংলা উপন্যাস। আপনি হার্ড সাইফি লিখলেও তা আপনার ভাষার গুণে খুবই প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে। অনেক শুভেচ্ছা।

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ পার্থ’দা। আপনার চমৎকার কমেন্টে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

      আপনি মনে হয় সময় ভ্রমণ নিয়ে লেখা “অকালচক্রের কাঁটা” গল্পটার কথা বলছেন।

      ভাষার কারুকাজ এর পেছনে সিংহভাগ কৃতিত্ব আমি কল্পবিশ্বকে দেব। বিশেষ করে অঙ্কিতাদি অবদান অনস্বীকার্য। মনে হচ্ছে আমি কংকাল জাম দিয়েছিলাম; আর কল্পবিশ্ব গোস্ত, চামড়া যুক্ত করে পূর্নতা এনে দিয়েছে। কমেন্টের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম।

      আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

      Reply
  • Sahasrangshu Guha

    সাধু , সাধু । অভিভূত হলাম ।

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

      Reply
  • Rushdi Shams

    চমৎকার জমজমাট একটা গল্প। বেশ সাবলিলভাবে চতুর্থ অধ্যায় পর্যন্ত গল্পের কাহিনি এগিয়েছে। কিন্তু যেহেতু সফট সাইফাই নয়, তাই এরপরে পাঠকের মস্তিষ্কে একটু অনুরণনের পালা। একটু চিন্তাভাবনা, বারবার পড়া- এভাবেই একটা সময় মাঝের অংশটুকুতে তার ‘আহা! মোমেন্ট’টি পেয়ে যাবেন। গল্পের কাহিনি বেশ উপভোগ্য। আনপ্যারালাল স্টোরিলাইন গল্পটির একটি বৈশিষ্ট্য। অনেকদিন ধরেই এমন একটা স্টোরিলাইনের খোঁজে ছিলাম। এবার পেয়ে গেলাম। পাঠককে আটকে রাখার চেষ্টা পুরো গল্পেই লক্ষণীয়। ছোট হোক বা বড়, গল্প যদি গল্পকার যত্ন নিয়ে লেখেন, তাহলে সেটা অনুভব করা যায়, ভালোও লাগে। আমারও সেরকমই অনুভূতি।

    আরো উন্নত করার চিন্তায় মাঝের তত্ত্বীয় অংশটিকে একটু সাবলিল করার চিন্তাটা লেখক মাথায় রাখতে পারেন।

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ রুশদী।

      গল্পের ভাষা ও সহজিকরণ এর ক্ষেত্রে অনেকটা কৃতিত্ব কল্পবিশ্বের অঙ্কিতা’দির। প্রথমে তো আরও দুর্বোদ্ধ ছিলো। তাঁর কাঁটাছেড়াতেই না অনেকটা সহজ হয়েছে

      শুভকামনা রইল।

      Reply
    • Sajjad Imam

      যদিও ব্যাকগ্ৰাউন্ড থিওরির ওপর আমার জ্ঞান যৎসামান্য, তারপরেও ‘লেম্যান’ হিসেবে গল্পটি দারুণ উপভোগ করেছি কাহিনির অভিনবত্ব আর গতির জন্য। ভবিষ্যতে আরও এই জাতীয় সৃষ্টির অপেক্ষায় রইলাম।

      Reply
      • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

        অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্যে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল অনেক।

        Reply
  • সুদীপ চ্যাটার্জী

    অসাধারণ লেখা। কল্পবিশ্ব ছাড়া এরকম হার্ড সাইন্স ফিকশন নিয়ে লেখা কোথাও পাব না, সেই বিশ্বাস আমার অনেকদিন আগে থেকেই ছিল। যাই হোক, লেখকের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানলাম। বিজ্ঞানের প্রতিপাদিত থিওরির সঙ্গে একটা কাহিনীকে মেশাতে গেলে কি পরিমাণ মাথা ঘামাতে হয়, সেটার খানিকটা অভিজ্ঞতা আমার আছে। এমন আন্তর্জাতিক মানের লেখা লিখতে প্রচুর পরিশ্রম আর গবেষণার দরকার। সবচেয়ে বড় ভাবনা, যাঁরা আদৌ বিজ্ঞানের তত্ব জানতে আগ্রহী নয়, তাঁদের গল্পটা আটকে রাখতে পারবে কি না? বেশিরভাগ অংশেই লেখক সেটা পেরেছেন। বাংলায় হার্ড সাই ফাইয়ের অভাব খানিকটা তো আছেই, সেটা আপনি ভরাট করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। কয়েকজন অন্তত সেই কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে দেখে সত্যিই ভাল লাগছে।

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
      ঠিকই বলেছেন। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলোকে সহজে প্রকাশ করা একটা আর্টই বলা চলে৷ এই আর্ট এখনো পুরোপুরি আয়ত্বে আনতে পারিনি। কল্পবিশ্বের সম্পাদকমণ্ডলী অনেক খেটেছেন এই গল্পটিকে সহজবোধ্য করার ক্ষেত্রে।

      এখনো লেখা শিখছি, আশা করি সাথে থেকে এমনিভাবে উৎসাহিত করবেন।

      Reply
  • সোহম গুহ

    মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলিতে আলোড়ন সৃষ্টি করার স্পর্ধা সব ক্ষণজন্মা লেখকের হয়না। সাইফুল বাবুর এই লেখা পড়ে ভাবতে বসতে হয়েছে। অঙ্ক আমার কাছে চিরকাল ভয়পাতালের প্রহরী হয়েই ছিল। এই গল্প পড়ে আন্দাজ করা যায় লেখকের পড়াশুনো দিগন্ত বিস্তৃত ব্যাপ্তি এবং ভাষার ঈর্ষণীয় দক্ষতা সম্পর্কে। পরবর্তী সৃষ্টির জন্য স্বভাবতই মুখিয়ে থাকবো।

    Reply
  • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

    অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহম’দা। আপনার লেখা গল্পের মতোই আপনার কমেন্টের ভাষা! কী শৈল্পিক বাক্যগঠন, কী চমৎকার শব্দের প্রয়োগ! গ্রেট। নশ্বর গল্পটা পড়েই আপনার লেখার ভক্ত বনে গেছি।

    এই গল্পের ভাষার কারুকাজের অনেকটা কৃতিত্ব কল্পবিশ্বের সম্পাদকমন্ডলির, বিশেষ করে অঙ্কিতা’দির।

    এমন কমেন্ট ও উৎসাহ পেলে ইচ্ছা হয়, এক্ষণি দৌড়িয়ে আরেকটা গল্প লিখে ফেলি। অনেক ধন্যবাদ আবারও। শুভকামনা রইল।

    Reply
  • Farhan Hossain

    দারুণ লিখেছেন। এক কথায় অসাধারণ একটি উপন্যাস। আপনার কাছে এরকম আরো অনেক লেখা পাবো আশা করি!…

    Reply
    • মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম

      অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্যে। শুভকামনা রইল।

      Reply

Leave a Reply

Connect with

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights