এক ডজন কল্পবিজ্ঞান লিমেরিক
লেখক: অরুণাচল দত্ত চৌধুরী
শিল্পী:
(১)
নিছকই বাঙালি প্রায়। রোজ চাই মাছ ভাত শুক্তো।
আবাস? নিকট অতি। গ্রহ তার এ’ গ্যালাক্সিভুক্ত।
সে হলে ভ্যালেন্টাইন
রুখবে কোন সে’ আইন?
লেজ আছে? থাকুক না। চিন্তা তো স্বাধীন আর মুক্ত।
(২)
যানটি বিগড়ে গেছে, পালাবার স্কোপও নেই।
শ্বাসবায়ু মিলছে না? তবে শোনো গোপনেই,
একটি উপায়ই আর
আছে প্রাণ বাঁচাবার,
শেষ আশা পৃথিবীতে জেনো গাছ রোপনেই।
(৩)
সস্তা নতুন মাছের চালান। টাটকা এবং আস্ত।
টাইটানে যে মিথেন সাগর, সেই সাগরের মাছ তো।
কেরোসিনের গন্ধ মাখা
দারুণ স্বাদের। হয়নি চাখা?
গ্যারান্টি দিই… খেয়ে দেখুন। হয় না বমি দাস্ত।
(৪)
রোবটগ্রহের থেকে এলাম। এই গ্রহতে থাকি না।
আমায় যদি পেটাস… সে’টা আইন লঙ্ঘন… যা কিনা
টেরটি পেলে রোবটগুলো
এই গ্রহকে করবে ধুলো
সেই ভয়েতে তোদের সাথে কোনওই মাখামাখি না।
(৫)
প্রথম দেখেছি তাকে গতকালই… স্পেস থিয়েটারে।
লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট, ফিদা হয়ে গেছি একেবারে।
প্রোপোজ করতে গিয়ে
শুনলাম… খুবই ইয়ে,
তার দেহ গড়া নাকি বিশুদ্ধ অ্যান্টিম্যাটারে।
(৬)
খবর পেয়েই ছোটে সতর্ক ভাতিজা ও চাচাতে
প্রিয় রোবো সারমেয় আটকেছে সময়ের খাঁচাতে
নিভে আসা ব্যাটারিতে
পারছে না চাপ নিতে,
নতুন ব্যাটারি পুরে, পারবে কি ও’কে তারা বাঁচাতে?
(৭)
গান গাইবার সাধ জেগেছে, সুরের দেখা নেই?
চেম্বারে আয়, চিপ-চিকিৎসা করব সে’খানেই।
বসিয়ে দেব কণ্ঠ টিপে
ভোকাল কর্ডে। গানের ‘চিপ’এ
গাইবি দেদার নিজের লিপে, যে গান শেখা নেই।
(৮)
গ্রানাইটে গড়া দেহ, ফুল গোঁজা কর্ণে।
থাকবি পেয়িং গেস্ট? ঘর চাই? ঘর নে।
চিনি। উন্নত ব্রেন
দরিদ্র অ্যালিয়েন,
ভাড়া দেবে সুবর্ণরেখা ছেঁকে… স্বর্ণে।
(৯)
স্কুলে রোজ দেরি কেন? শুধোলেন ম্যাম।
-কী করব, মহাকাশ রুটে বড় জ্যাম।
-ট্রাফিকপুলিশটার
মগজে কি ব্লিস্টার?
তবে যে শুনেছি ওর লাখ জিবি র্যাম!
(১০)
তাড়াতাড়ি যেতে চাস। চাইলে তা’ দোষও না।
তাই বলে এত জোরে? যাস না রে, ও সোনা!
আলোর চাইতে গতি
বেশি হলে তোরই ক্ষতি।
সময় পিছিয়ে যাবে, শুনিসনি ঘোষণা?
(১১)
ব্যস্ত বেড়াল তিনতলাতে এ’ ছাদ থেকে সে’ কার্নিশে ঝাঁপায়
মগজটি তার কম্পিউটার। লাফের হিসেব? সে’খান থেকেই তা’ পায়।
কপাল তবু খারাপ বাছার
সটান খেলো বিকট আছাড়।
ভুলেই গেছে গত বছর সেরিব্রালে জোর কমেছে বাঁ পায়।
(১২)
পাত্র সরেস খুব, ঠিকানাটি চন্দ্রের কলোনি
আন্তর্গ্রহযান পণ চায়… আগে কেন বলোনি?
এখুনি পাঠাও মেল
এই বিয়ে ক্যানসেল।
পাত্রীটি বড় কড়া, একরোখা ‘পণাসুর’দলনী!
অতি সরস। আনন্দ পেলাম।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু, পড়ার জন্য।
Wow!!!!! Daruuuuun. 🙂