গ্রন্থ সমালোচনা – সব লজিকের বাইরে – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী
লেখক: সোনাল দাস
শিল্পী: মূল প্রচ্ছদ
২০১৭ কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলাতে পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বর্তমান বাংলা কিশোর সাহিত্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক অভিজ্ঞান রায় চৌধুরীর নতুন বই “সব লজিকের বাইরে“। গল্প সংকলনে রয়েছে মোট আঠারোটি গল্প, যার মধ্যে দশটি গল্পই কল্পবিজ্ঞানের। অভিজ্ঞানের লেখা কল্পবিজ্ঞানের গল্পগুলি সব পাঠককেই চুম্বকের মতন আকর্ষণ করে। এই দশটি গল্প ছাড়াও আরো ৮টি ভিন্ন স্বাদের গল্প বইটিতে রয়েছে, যেগুলির কোনওটা রহস্য, কোনওটা ভৌতিক বা অলৌকিক, আবার কোনওটা একান্তভাবে মানবিক।
১) গ্যারি ক্যাসেলের চিঠি
২) ডঃ লিওনার্ড ও আ্যলোপেশিয়া
৩) স্বামী ভবানন্দ রহস্য
৪) চেনা মুখ
৫) দেওয়ালের রং ছিল সাদা
৬) রাস্তা যখন শেষ
৭) স্বাধীনতা
৮) মিঃ পাই ও সেই ওষুধ
৯) অচেনা হাত
১০) কে ছিল সে
১১) মিঃ পাই এর এক্সপেরিমেন্ট
১২) অনিলিখা ও ভূত
১৩) মূর্তি
১৪) ফ্লাইট নাম্বার ৩২
১৫) সময় যখন চারটে চল্লিশ
১৬) স্বপ্নের মধ্যে
১৭) নেপোলিয়নের সূত্র
১৮) সব লজিকের বাইরে
বইয়ের ১৮টি গল্পের মধ্যে থেকে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প বেছে নিয়ে সেই গল্পগুলির বিষয়বস্তু নীচের আলোচনায় তুলে ধরলাম। সাথে প্রতিটি গল্পের প্রকাশকালের উল্লেখ রাখলাম –
বইয়ের প্রথম দুটি গল্প লেখা হয়েছিল প্রায় দেড়–দশক আগে কিশোর ভারতী পত্রিকায়, এই গল্প দুটি সর্বপ্রথম এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হল।
***** গ্যারি ক্যাসেলের চিঠি – (কিশোর ভারতী, মার্চ ১৯৯৮) *****
মানবজাতি যেদিন থেকে নগরোন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করল, সেদিন থেকেই বিপন্নতার সম্মুখীন হতে শুরু করল উদ্ভিদ প্রজাতি। সাধারণ বাসভূমি থেকে গগনচুম্বী অট্টালিকা, শপিং মল থেকে ঝাঁ চকচকে শিল্পতালুক, গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে হাইওয়ে নির্মাণ বা আমাদের নিত্যব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি – সবকিছুতেই নির্বিচারে কাটা হতে থাকল জঙ্গল বা বনভূমি। মানুষের সুখ–স্বাচ্ছন্দ্যের বিনিময়ে ক্রমান্বয়ে বলি হতে থাকল বাক–চলশক্তিহীন গাছগুলি। পৃথিবীর বুক থেকে ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকল সবুজ সভ্যতা।
কিন্তু এই উদ্ভিদ শ্রেণী যদি কখনো একত্র হয়ে রুখে দাঁড়াত মানুষের বিরুদ্ধে?
মানুষের সৃষ্ট এই ধ্বংসলীলার প্রতিবাদ জানিয়ে যদি তারা প্রতি–আক্রমণ করত বা নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে ষড়যন্ত্র রচনা করে মানবজাতিকে ঠেলে ফেলে দিত চরম অস্তিত্ব সংকটের মুখে? তাহলে শেষের সেদিন কি ভয়ঙ্কর হতে পারে তার কথাই গ্যারি ক্যাসেল চিঠির আকারে জানিয়ে দিয়ে গেছে অনিলিখাকে।
গল্পটি একদিকে যেমন নির্বিচারে গাছ কাটার ভয়ঙ্কর পরিনাম জানিয়ে পাঠককে অস্থির করে তোলে, অন্যদিকে গাছকে রক্ষা করার সুপরামর্শও দেয়।
***** স্বাধীনতা – (কিচির মিচির, এপ্রিল ২০১৫) *****
১৫ই আগস্ট – ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতি বছর নিয়ম করে আসা এমন একটি দিন যাকে আমরা ‘স্বাধীনতা দিবস‘ হিসাবে চিহ্নিত করি। বর্তমানে ‘স্বাধীনতা দিবস‘ মানে ফি–বছর পাওয়া একটি বাড়তি ছুটির দিন। সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, পাড়ার ক্লাবে কিংবা বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেই আমরা একপ্রকার আমাদের কর্তব্য সারি বলা চলে। শব্দসীমার নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পাড়ার মাইকে সকাল থেকে বাজতে থাকে দেশাত্ববোধক গান। আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিনটিকে ব্যবহার করে নিজেদের সংস্কৃতিক ভাবমূর্তিকে তুলে ধরতে এবং জনসংযোগ বজায় রাখতে।
এই ‘স্বাধীনতা‘ শব্দের যথার্থ অর্থ কি আমরা বুঝি ?
অথচ এই স্বাধীনতা আনার জন্যই একদিন একদল অসম সাহসী মানুষ বুক চিতিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিতেও কুন্ঠা বোধ করেননি। তারা স্বপ্ন দেখেছিল ইংরেজমুক্ত এক স্বাধীন ভারতবর্ষের।তারা যে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিল তার যোগ্য মর্যাদা কি আমরা দিচ্ছি? একজন স্বাধীন নাগরিক হবার দ্বায়িত্ব কি আমরা সঠিকভাবে পালন করছি?
এক কিশোর বালকের জিজ্ঞাসু দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে দিয়ে লেখক গল্পে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন।
***** দেওয়ালের রং ছিল সাদা – (কিশোর ভারতী, মে ২০১৫) *****
মানিকবাবুর একমাত্র ছেলে সাত্ত্বিক আমেরিকায় পড়তে গিয়ে টেররিস্ট হামলায় মারা যায়, কিন্তু তার মারা যাওয়ার ব্যাপারটা তার স্ত্রী মিনুদেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি। মিনুদেবী বিশ্বাস করেন তার ছেলে একদিন তার কাছে আবার ফিরে আসবে। বহু বছর পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এই বিশ্বাস থেকে মানিকবাবু তার স্ত্রীকে টলাতে পারেন নি। গল্পের শেষে সাত্ত্বিক সত্যিই ফিরে আসে, কিন্তু তা কিভাবে সম্ভবপর হল?
কল্পবিজ্ঞানের হাত ধরে লেখক অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী উপহার দিয়েছেন এক আশ্চর্য মর্মস্পর্শী কাহিনী, যা পড়ে যে কোন পাঠকদের হৃদয় দ্রব হতে বাধ্য।
***** মিঃ পাই ও সেই ওষুধ – (কিশোর ভারতী, ফেব্রুয়ারি ২০১৫) *****
মিঃ পাই নামে খ্যাত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সমুদ্র বসুর তার নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ প্রয়োগ করেন তার প্রতিবেশী অবিনাশবাবুর ওপর। এই ওষুধ খাবার পর থেকেই অবিনাশবাবুর স্বভাব চরিত্রে আসে আমূল পরিবর্তন। তার প্রভাব হয় এতটাই যে অবিনাশবাবু রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান এবং পাড়ার স্থানীয় ক্লাব থেকে পাঁঠার মাংসের দোকানের নাম রাখা হয় অবিনাশবাবুর নামে।
মিঃ পাইয়ের আবিষ্কৃত ওষুধটি একটি প্রতীকী মাত্র, আসলে লেখক এই ওষুধের গুণাবলীর প্রভাব ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে। আর স্বপ্ন দেখছেন এই ওষুধের প্রয়োগে অবিনাশবাবুর মতন সবাই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে, আর পৃথিবীটা হয়ে উঠছে আরো সুন্দর এবং সকলের বাসযোগ্য। লেখক অভিজ্ঞান কল্পবিজ্ঞানের মোড়কে একটা দুর্নীতিমুক্ত নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন এই গল্পে।
***** স্বপ্নের মধ্যে – (রংবেরং, শারদীয়া ২০১৫) *****
এই গল্পে স্বপ্নের জগৎ এবং বাস্তব জগৎকে এমন দুর্দান্তভাবে পরিবেশন করা হয়েছে যা পড়তে গিয়ে পাঠকরা রীতিমতন হকচকিয়ে যাবেন।গল্পের শেষে বার বারএই ধন্দ মনের মধ্যে কাজ করবে যে কোন চরিত্রটি আসলে স্বপ্নের জগতে রয়েছে এবং কোনটি বাস্তবের জগতে। আর এই বুঝে নেওয়াটা সম্পূর্ণভাবে পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন লেখক অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী।
***** নেপোলিয়নের সূত্র – (নবকল্লোল, ডিসেম্বর ২০১৫) *****
Success বা সফলতা বলতে বর্তমান সমাজ কি বোঝে ?
সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে অবস্থান, মাস শেষে ঈর্ষণীয় মোটা অঙ্কের বেতন প্রাপ্তি, নিজস্ব গাড়ি–বাড়ি সহ ভোগবিলাসের সমস্ত উপকরণের উপস্থিতি এবং তার বহুল ব্যবহার, বছরে একবার সপরিবারে বিদেশ ভ্ৰমন বা চাকরিসূত্রে বিদেশে বসবাস করা, অপরিমিত ব্যয় এবং উন্নত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ব্যক্তিকেই বর্তমান সমাজ চূড়ান্ত সফল বলে গণ্য করে থাকে।
অথচ সত্যিকারে সফল মানুষ হল সেই ব্যক্তি যে দিনের শেষে নিজের কাজে পরিতৃপ্ত থাকে এবং পরিবার পরিজনের সাথে ভারসাম্য বজার রেখে চলতে পারে। এই ভারসাম্যে গোলমাল হলেই সব শেষ।
জীবনে একজন সত্যিকারে সফল ‘মানুষ‘ হয়ে উঠতে গেলে সবকিছুতে ব্যালেন্স বজায় রাখাটি যে ঠিক কতখানি জরুরি তা লেখক এই গল্পের মধ্যে দিয়ে ভারী সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। সাথে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন সর্বকালের সেরা জেনারেল নেপোলিয়ন ও ভারসাম্যের এই সূত্র কেন মেনে চলত এবং যেদিন এই ভারসাম্যের গোলমাল হয়েছিল সেদিন তার জীবন কি ভাবে পাল্টে গেছিল।
সামাজিক মূল্যবোধের অসাধারণ একটি কাহিনী, যা সকলের কাছেই অত্যন্ত শিক্ষণীয় এবং অনুকরণীয়।
***** ফ্লাইট নং ৩২ (চিরসবুজ লেখা, শারদীয়া ২০১৫) *****
আমরা নিজের জীবনযাত্রাকে আরো উন্নত এবং গতিশীল করার উদ্দেশ্যে আবিস্কার করেছিলাম যন্ত্র। যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে এই যন্ত্রকে আমরা করে তুলতে থাকলাম আরো আধুনিক এবং ত্রুটিহীন। ধীরে ধীরে সময় যত এগোতে থাকল আমাদের জীবনে যন্ত্রের চাহিদাও তত বাড়তে থাকল এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগল তাদের ব্যবহার। ধীরে ধীরে আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে গেল এই যন্ত্র–সভ্যতা, যার থেকে আমরা নিজেদের আর মুক্ত করতে পারলাম না। যন্ত্রের প্রতি ক্রমবর্ধমান এই আসক্তি ও নির্ভরশীলতা আমাদের কোন দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে?
এই গল্পে ভবিষ্যত পৃথিবীর একটা সময়কালকে তুলে ধরে লেখক সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন।যন্ত্রের প্রতি অতি নির্ভরতার ফল কি হতে পারে এবং তা আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে তার অত্যন্ত বাস্তব একটি চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গল্পে।এই গল্প প্রমাণ করে লেখক অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী শুধুমাত্র সুদক্ষ কল্পবিজ্ঞান লেখকই নন, একজন অসাধারণ ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও বটে !
***** মূর্তি (আমপাতা জামপাতা, শারদীয়া ২০১৫) *****
এই পৃথিবীতে অনেক শিল্পী ছিলেন যাদের শিল্পকর্ম তাদের জীবদ্দশায় কোন স্বীকৃতি লাভ করেনি, বা বলা চলে সেই সময় তার শিল্পকর্মের প্রকৃত মূল্যায়ন হয়নি। ফলস্বরূপ তাকে সারাজীবন কাটাতে হয়েছে চরম অর্থকষ্টে বা হতাশায়। অক্লান্ত পরিশ্রমে অসাধারণ শিল্পকর্মগুলি সৃষ্টি করার পর তার কপালে সেই সময় জুটেছে কেবল লাঞ্ছনা, অপমান বা তাচ্ছিল্য। এত প্রতিকুলতা থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত শিল্পী কখনো সহজে হার মানে না, কোন বাধাই তাকে তার শিল্প সৃষ্টি থেকে বিরত করতে পারে না। সে বিশ্বাস করে তার শিল্পকর্মগুলি সর্বশ্রেষ্ঠ, আর স্বপ্ন দেখে একদিন না একদিন এগুলির সঠিক মূল্যায়ন হবেই।
ভবিষ্যতে সেই কাজগুলির যখন সঠিক মূল্যায়ন হয় তখন দেখা যায় সেগুলি সর্বকালের সেরা শিল্পকর্মের সম্মানে ভূষিত হয়েছে এবং পৃথিবীর সমস্ত শিল্পরসিক ব্যক্তিদের ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছে।
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর লেখা ‘মূর্তি‘ গল্পটি সেই সমস্ত শিল্পীদের প্রতি একটি ট্রিবিউট যারা যে কোন প্রতিকূল পরিস্হিতিতেই নিজেদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারায় না এবং বিশ্বাস করে তার করা শিল্পকর্মগুলি সর্বশ্রেষ্ঠ। এই বইয়ের অন্যতম সেরা গল্প ; যা যেকোন মানুষের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিল্পীস্বত্তাকে গভীর ভাবে নাড়া দেবে।
উপরিক্ত গল্পগুলি ছাড়াও বইয়ের বাকি গল্প যেমন ‘রাস্তা যখন শেষ‘, ‘মিঃ পাই এর এক্সপেরিমেন্ট‘, ‘অচেনা হাত‘ এবং ‘সব লজিকের বাইরে‘ পড়তেও দারুন লাগবে। গ্রন্থের ভূমিকায় বিশিষ্ঠ অগ্রজ সাহিত্যিক অনীশ দেব লিখেছেন – “অভিজ্ঞান একজন বহুমাত্রিক লেখক। কুড়ি প্লাস সময়ের লেখালেখিতে গল্পে ও এটা বারবার প্রমান করেছে।ওর লেখায় একটা বিশেষ ধরণের আকর্ষণ থাকে – যেটা অভিজ্ঞানের অভিজ্ঞান বা সিগনেচার।অভিজ্ঞানের গল্প পড়া আমার কাছে একটা অভিজ্ঞতা।” এবং কথাগুলি যে ভীষণ ভাবে সত্যি তা এই বই পাঠ করলে যে কোন পাঠক একবাক্যে স্বীকার করবেন।
এই বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিল্পী অগ্নিভ সেন, যা মোটেই আশানুরূপ হয়নি। প্রচ্ছদ গল্পের মানের সাথে একেবারেই সুবিচার করেনি এবং কিশোরপাঠ্য বইয়ের প্রচ্ছদে এরকম হিংস্রতার চিত্র বর্জন করলেই সম্ভবত সবচেয়ে ভাল হত। বরং বইয়ের ভিতরের অলংকরণগুলি তুলনামূলক ভাবে ভালো হয়েছে।
পরিশেষে বলা চলে, কল্পবিজ্ঞান, রহস্য–রোমাঞ্চ, ভৌতিক এবং মানবিক গল্পের এরকম দুর্দান্ত ককটেল এর স্বাদ পেতে হলে এই বই একবার হাতে তুলে নিতেই হবে। তাহলে আর দেরি কেন ? শুভস্য শীঘ্রম !!!
Tags: অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী, গ্রন্থ সমালোচনা, দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, সব লজিকের বাইরে, সমালোচনা, সোনাল দাস
চমৎকার রিভিউ। বইটা অবশ্যপাঠ্য, এবং আশা রাখি যে ভবিষ্যতের পাঠক বইয়ের লেখাগুলো যথোপযুক্ত মনোযোগ ও অনুভব দিয়ে পড়বেন, যাতে সেগুলোর প্রতি সুবিচার করা যায়।