Tuesday, December 17, 2024
উপন্যাস

তারামাছ

17 thoughts on “তারামাছ

  • আকাশ-যুদ্ধ জিনিসটা এতদিন ইতিহাসের পাতায় একটা অপঠিত অধ্যায় হয়েই ছিল। এই প্রথম সেটার ভেতরটা জানলাম, বুঝলাম। একেবারে রুদ্ধশ্বাসে পড়তে হল।
    কল্পনার মিশ্রণ নিয়েও এই উপন্যাস সত্যি। ভীষণভাবে সত্যি।

    Reply
  • সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়

    মহাকাশে দ্বৈরথ সমরের ছায়া বাড়িয়ে তুলছে ঠাণ্ডা যুদ্ধের উত্তাপ। রহস্যের মুক্তিবেগ ছাপিয়ে সেই সময় জেগে উঠেছে গল্প যার মধ্যে মিশে আছে অনেকটা সত্যি। কলমের মুন্সিয়ানার অল্টারনেট হিস্ট্রির ছোঁয়া রয়ে গেল সেই গল্পের শরীরে। মুগ্ধ …

    Reply
  • শাহাদাত হোসাইন

    কল্পনা হলেও মনে হলো যেন নাসার আসল রূপটাই দেখলাম।

    Reply
  • S Bhattacharyya

    বিষয়বস্তুতে সাদামাটা স্পাই-থ্রিলার। কিন্তু নির্মেদ, নির্ভরযোগ্য নির্মাণ। আর ত্রিদিবেন্দ্রবাবু, শেষ করার আগে দম নেবার রাস্তা রাখেননি। ওয়াও!

    Reply
  • নির্জন সেন

    এইমাত্র পড়ে উঠলাম। নারায়ণ সান্যাল মশাইয়ের বিশ্বাসঘাতকের পর বহুদিন বাদে ওই জাতীয় একটা ভাল লেখা পড়লুম। এনার নামেও অবিশ্যি নারায়ণ রয়েছেন। লেখার স্বাদ-গন্ধের গুণমানও কোনও অংশে কম নয়। ফেলুদার ভাষায় এ লেখা হল আনপুটডাউনেবল। একবার ধরলে আর শেষ না করে থামা যায় না।

    অবিশ্যি এসব নিতান্তই একজন আনাড়ি পাঠকের ব্যক্তিগত মতামত মাত্র। সাহিত্যবিচারের ক্ষমতা বা বিদ্যে কোনটাই আমার নেই, করতেও চাই না। একটা ভালো রান্নার পিছনে রন্ধন-শিল্পীর যে বিপুল পরিশ্রম, শিল্পবোধ এবং সর্বোপরি পরিমিতিবোধ রয়েছে তার উপযুক্ত বিচার করার যোগ্যতা আমার নেই।

    শুধু একটাই আক্ষেপ রয়ে গেল। বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। ই-ম্যাগাজিন বলেই কিনা জানি না, লেখকদের মধ্যে লেখা সংক্ষেপ করার একটা প্রবণতা লক্ষ করছি। অথচ, এখানে তো পাতা বাঁচানোর ব্যাপার নেই। তবে এই প্রবণতা কেন? আরেকটু বিস্তৃত করে লিখলে ক্ষতি কি ছিল?

    Reply
    • ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

      অনেক ধন্যবাদ। এই গল্পটা নিয়ে খুব কনফিউজড আছি। আপনার কথায় সত্যিই ভরসা পেলাম।
      বড় লেখার প্রধান সমস্যা কিন্তু পাঠক। আপনার মত পাঠক কিন্তু কমই আছে। কেউই খুব বড় লেখা পড়তে চায় না। আর এখানে কিন্তু শব্দসংখ্যার লিমিট আছে, যদিও সম্পাদকরা এ ব্যাপারে খুবই সহৃদয়।

      Reply
  • নির্জন সেন

    যেহেতু এটা উপন্যাস সেজন্যই একথা লিখলাম। উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে সঠিক ফুটিয়ে তোলার জন্যই একটু বিস্তৃত হওয়া দরকার। যেমন ধরুন একদিন এক এফবিআইয়ের এজেন্ট বলল, আর নায়ক স্রেফ তার মুখের কথায় ভালবাসার জনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে শুরু করে দিল, এটা বড্ড সংক্ষেপে সারা হয়েছে বলে কি আপনার মনে হয় না? একদিকে চাকরি বাঁচানোর ভয়, অন্যদিকে নিজের মনের মধ্যে অপরাধবোধ বা পাপবোধ এ দুয়ের মধ্যে টানাপোড়েনটা আরেকটু বিশদ দেখানোর প্রয়োজন ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। অবস্থার চাপে পড়ে মানুষের বদলে যাওয়া, যা করতে চাই না, তাই করে ফেলা এটা নিয়ে আরেকটু লেখার অবকাশ ছিল বোধহয়।

    এছাড়া বিক্রমের অফিস কলিগ এবং তাদের সাথে বিক্রমের সম্পর্ক কিরকম সেটা নিয়েও একটু লেখা যেত। উপন্যাসে বিক্রমের সাথে শুধুমাত্র তার বসদের কথোপকথনই দেখান হয়েছে।

    আর লেখার সময় একদম শব্দসংখ্যা নিয়ে ভাববেন না। দরকার হলে পরে সারসংক্ষেপ করে দেবেন বা কোনো অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিলেন। আগে আপনার ডানার জোর কতখানি, তার শেষ সীমা কতখানি সেটা যাচাই করে নিন। পরে ইচ্ছা হলে নিচু দিয়েও উড়তে পারবেন।

    Reply
  • নির্জন সেন

    কে বলে লোকে বড় লেখা পড়ে না? তাহলে শীর্ষেন্দুর পার্থিব বা দূরবীন আর বিক্রি হত না।

    Reply
  • নির্জন সেন

    আসলে ফেসবুকে দেখলুম কে যেন বলেছেন শীর্ষেন্দুর প্রয়াণের পর সাহিত্যজগতে আর মহারথী কেউ থাকবেন না, যাঁরা থাকবেন সব রথী। বিশ্বাস করুন এ কথা আমি মনে প্রাণে অবিশ্বাস করতে চাই। তাই এত আবেগভরে আপনাদের উৎসাহিত করতে চাই। আপনাদের মধ্যে ক্ষমতা দেখতে পাই বলেই করি। আর সেই মহারথী কল্পবিশ্ব থেকেই বেরিয়ে আসুক সেটা কল্পবিশ্ব টিমও চাইবেন না কি? সেজন্য সম্পাদকদের সহৃদয় হওয়া তাঁদের নিজেদের জন্যই জরুরী। বড় লেখক হয়ে ওঠার পিছনে ভালো সম্পাদকদের ভূমিকা কিছু কম নয়। আমার বিশ্বাস সাগরময় ঘোষের মত সম্পাদক ছিলেন বলেই দেশ পত্রিকা থেকে সে যুগে বড় বড় সাহিত্যিকরা বেরিয়ে এসেছিলেন।

    Reply
  • Saswata Chaudhury

    asadharan lekha……ek niswas e sesh korlam………aager comments gulo porlam.aamaio ekmot arektu bistarito hole valo hoto.sudhu ek jaigai khotka……..Bikram ke nijer paddhati byabohar korate hobe bole rocket er aager duto utkhepon i byartho holo.etota sahoj samadhan golpei samvob…….tabe hya “Truth is stranger than fiction” holeo hote paare……..ar eta bolte pari sabai chhoto lekhar bhokto emon noi……aamar moto aaro pathok achhe jara uponyash (min. 200 pata) i beshi valo base….
    antorik avinandan……..

    Reply
    • ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

      Saswata Chaudhury. ঠিক বলেছেন। ট্রুথ ইস স্টেঞ্জার দ্যান ফিকশান। আপনি গুগলে ফিশবোল এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে সার্চ করুন। দেখবেন স্টারফিশ প্রথম দুবার এবং পরে অনেকবার ব্যর্থ হয়। এ গল্পের নায়ক নায়িকা কাল্পনিক। তাছাড়া আর সবই সত্যি। রেজাল্ট অবশ্য চেপে দেয়া হয়েছিল।

      Reply
  • নিবেদিতা সরকার চন্দ

    গল্পটা পুরোটা পড়লাম। যদিও বলা হয়েছে যে কল্প বিজ্ঞানের গল্প, কিন্তু একজন মা হিসেবে আমিও স্টার ফিস ডিসাস্টারের শিকার। আমার দশ বছরের ছোট্ট মেয়েকে ক্যান্সারের যন্ত্রণা পেতে দেখেছি। আর তার সাথে আমিও পেয়েছি এই অসহ্য যন্ত্রণা।

    Reply
  • Tanmoy Chakrobarti

    Lekhok ki uponnas likhechen na space science ar atom bomber class niyechen. Etake ekbar bola hocche science fiction abar ekobar bola hocche sotti ghatona. eta ar jai hok science foction er kono dharay pore na. choritro gulio abastob. tachara nasa ke etota kharap dekhano ki thik hoyeche?

    Reply
  • Giridhar Maji

    Besh valo laglo. Onek jagay ektu besi science er class neyar jhok royechhe. tobe Prof S.K Mitra er mukhe bosano research podhoti niye bola kothagulo ekdom khati. Keno korbo? ki korbo? kibhabe korbo…. ar upponyas to 100 pages er oporei pore moja…. nahole to jome othar aggei ses hoye jai. Aro onek valo lekhar protyasay thaklam.

    Reply
  • সুদীপ দেব

    এই উপন্যাসটা তুলে রেখেছিলাম জমিয়ে পড়ব বলে। কিন্তু তা আর হল কই। শুরু করার পর এক নিঃশ্বাসে দুঘন্টায় পড়ে শেষ করে ফেললাম। যুগপৎ স্তম্ভিত এবং মুগ্ধ!

    Reply
  • Partha De

    স্টারফিশ প্রাইমের পরীক্ষায় তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ইতিহাস আজও রহস্যময় ধাঁধায় আচ্ছন্ন। আমার জন্মেরও বহু আগের ঘটনা। বাবার মুখে ঠান্ডাযুদ্ধের গল্প যেমন শুনেছিলাম, নাসার এই পরীক্ষার কথাও শুনেছিলাম। তবে ত্রিদিবেন্দ্রবাবু আপনার এই মাইন্ডব্লোয়িং উপন্যাসটা যেন চোখের সামনে সেই পিরিয়ডটাকে নিয়ে এসেছে। গল্পের চলনের সঙ্গে বিজ্ঞানের ইনপুটসগুলো পড়তে কোথাও হোঁচট খেতে হয়নি। তার সঙ্গে রোমান্সটাও সুন্দর ব্লেন্ড করেছেন। হ্যাটস অফ।

    Reply
    • ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

      অনেক ধন্যবাদ পার্থবাবু। আমাদের এক স্যার সেই সময় পেরুতে রেডিয়েশন মেপেছিলেন। তাঁর সমস্ত ডেটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাঁর কাছেই স্টারফিশের গল্প ডিটেলে শুনেছিলাম।
      এই উপন্যাসের মধ্যে বিজ্ঞানগুলো কচকচ করছে কি না এ নিয়ে প্রবল সংশয় ছিল। আপনাদের সহৃদয় মন্তব্যে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়েছি।

      Reply

Leave a Reply

Connect with

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights