সম্পাদকীয়
লেখক: কল্পবিশ্ব
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য (চিত্রচোর)
টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং।
সময় বদলাচ্ছে। এবং দ্রুত। ২০১৬ সালে ‘কল্পবিশ্ব’-এর আত্মপ্রকাশ। তার পর থেকে একটু একটু করে মানুষের ভালবাসা আর উৎসাহে এগিয়ে চলা। এগোতে এগোতেই বুঝতে পারা, দু’পাশের দৃশ্যও বদলাচ্ছে। কোনও যাত্রাপথেরই সবটুকুই শিশুর আঁকা সরল সিনারি হতে পারে না। তবু যখন দেখা যায়, মাঝে মাঝেই পথের পাশে ফুটে উঠছে সুন্দর, তখন বোঝা যায়, স্বপ্নের পথে হাঁটায় কোনও ভুল নেই। হতে পারে না।
আনন্দবাজার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর মতো সংবাদমাধ্যম স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলার প্রথম কল্পবিজ্ঞান-ফ্যান্টাসি-হরর ওয়েবজিনকে। এশিয়ান এসএফ সোসাইটির ও স্প্যানিশ এসএফ ব্লগের আর্টিকেলেও উল্লেখ করা হয়েছে কল্পবিশ্বের কথা। বিশ্ববন্দিত কল্পবিজ্ঞান লেখক মার্গারেট অ্যাটউড তাঁর নিজের টুইটে স্বীকৃতি দিয়েছেন কল্পবিশ্বে প্রকাশিত ওঁর রচনার অনুবাদকর্মকে। পাঁচ বারের বুকার পুরস্কারে মনোনীত (২০০০ সালে সম্মানিত), নেবুলা, আর্থার সি ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড-সহ অসংখ্য সম্মানের শিরোপাধারী লেখিকাও যে কল্পবিশ্ব সম্পর্কে অবহিত, একথা জেনে অবাক হয়েছি আমরা। আর অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
উৎসাহ বেড়েছে। তাই সাহস করে বার্ষিক সংকলন এবার একটি নয়। তিনটি। একটি প্রকাশিত হয়েছে। বাকি দু’টিও প্রকাশিত হতে চলেছে। পাঠকদের অনুরোধে ইপাবের সঙ্গে সঙ্গে কল্পবিশ্বের মোবি সংস্করণের ইবুকও প্রকাশ করা শুরু হয়েছে। আরও নানা পরিকল্পনা দানা বাঁধছে। ক্রমশ প্রকাশ্য।
এই অবস্থায় নতুন সংখ্যা। এবারের সংখ্যায় ফিরে দেখা সেই চিরন্তন সৃষ্টিকে, যাকে কল্পবিজ্ঞানের প্রথম রচনা বলেই সকলে জানি। ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন। অষ্টাদশী মেরি শেলির স্বপ্নে দেখা এক দানবের কাহিনি। ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন নামের সেই বিজ্ঞানীর সৃষ্ট দানবের বয়স দু’শো হল। দু’-দু’টো শতাব্দী পেরিয়ে এসে সে আজও জীবন্ত। বলা যায় ‘অ্যালাইভ অ্যান্ড কিকিং’।
প্রচ্ছদ কাহিনির পাশাপাশি এবারের সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ কল্পবিজ্ঞান বিষয়ে সত্যজিৎ রায়ের সাক্ষাৎকার। রয়েছে সত্যজিতের চিরকালীন সৃষ্টি প্রফেসর শঙ্কুর প্যাশটিশ।
তা ছাড়া দারুণ সব গল্প, কমিক্স, কুইজ— এ সব তো আছেই।
তাহলে আর দেরি কেন। উঠে বসুন কল্পনার স্পেসশিপে। আর একটি নতুন সংখ্যার কাউন্ট ডাউন শুরু হল।
প্রিয় পাঠক, আপনি তৈরি তো?
Tags: কল্পবিশ্ব, তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, সম্পাদকীয়