দ্বিতীয় কল্পবিশ্ব মিটের আলোচনা – স্পেক্যুলেটিভ এভলিউশন
লেখক: শিল্পী রয় বোস
শিল্পী:
এই বছরের দ্বিতীয় কল্পবিশ্ব মিটে আমরা ১৫ই আগস্ট আবার একজোট হয়েছিলাম সল্টলেকের খোয়াবনামা কাফেতে। রাজাদার (রাজা পোদ্দার) এই সুন্দর প্রাণবন্তভাবে সাজানো কাফেতে ছড়ানো ছেটানো ভাবে আরাম করে বসে আলোচনা করার দারুণ ব্যবস্থা আছে। মন ও মেজাজ চাঙ্গা করা পানীয়ের সরবরাহ তো পাওয়াই যায়, আর বেশ পেট ভরানো খাবারও ভালই আছে। চা, কফি, লাইম-সোডা, স্যাণ্ডুইচ সহযোগে আড্ডা দিব্যি জমাটি হয়েছিল। দীপ, দেবজ্যোতিদা, সোহম, দুই সন্দীপন (গাঙ্গুলী ও চট্টোপাধ্যায়), প্রসেনজিৎ, বিশ্বদীপ, ঋজুদা এবং আরো অনেকে তাদের উপস্থিতি ও অপূর্ব বাচনভঙ্গী সহযোগে এই আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছিল। যারা সেদিন আলোচনায় আসতে পারেননি তাদের জন্য সত্যি খারাপ লাগছিল। কারণ, আলোচনা যদিও একটু জটিল বিষয় নিয়ে হচ্ছিল, কিন্তু তা এতটাই চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছিল যে সময় কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। আগের মিটে আমরা অনেকেই বৃষ্টি–বাদলার জন্য আসতে পারিনি। এত সুন্দর সেই সন্ধ্যাটি কাটল যে মনে মনে বললাম ভবিষ্যতে এই মিটে না এলে নিজেকেই অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করা হবে। দীপই প্রথম বিষয়টা উত্থাপন করল। মানে সেইদিনের আলোচনাটা কি নিয়ে এবং কেন হওয়া উচিত। হ্যাঁ, বিষয়টা ছিল স্পেক্যুলেটিভ এভলিউশন। আসলে আমাদের এই মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎটা কী সেটা নিয়ে ভাবনা, চিন্তা, গবেষণা তো কম চলছে না! কোথায় চলেছি আমরা, আর কিভাবে আর কেনই বা আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি সেটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটা আলোচনায় উঠে আসাটা খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। যদিও অনেকের কাছেই এই পরিভাষাটা কিছুটা অচেনা লাগলেও লাগতে পারে, কিন্তু কথোপকথন শুরু হতেই বোঝা গেল বিষয়টা সম্পর্কে কিছু না কিছু সব্বাই জানে। অজানার ফাঁক–ফোকরগুলো স্বচ্ছ এবং গল্পের মতো বহু উপমা দিয়ে পূরণ করে দেওয়া হল। এটাই তো উপভোগ্য এবং আনন্দের। গল্পের মধ্যে দিয়ে শেখা ও তার ব্যবহার কল্পবিজ্ঞানের বিভিন্ন রচনায়, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ক্যুইজ, কমিক্স, চলচ্চিত্র তা সে যাই হোক না কেন!
স্পেক্যুলেটিভ এভলিউশন
বিবর্তন দু‘প্রকারের হয়,
১) জেনেটিক ও ২) নিউরোটিক।
জেনেটিক এভলিউশন (Genetic Evolution) : এই ধরণের বিবর্তনবাদ আমাদের জনসংখ্যার জিন ও জিনোটাইপের কত দ্রুত পরিবর্তন হয় তার সম্পর্কে জানায়। এখানে এর সঙ্গে আরো কিছু প্রক্রিয়া থাকে যেগুলো এই পরিবর্তনগুলোকে জনসংখ্যার সাথে সাথে রূপান্তরকে প্রজাতির মধ্যে কম – বেশী স্থায়ী পরিবর্তনের রূপ দেয়! বিবর্তনের উপর আরো চারটি প্রধান বিষয়ের প্রভাব দেখা যায়।
ক) মিউটেশন বা পরিব্যক্তি (Mutation)
খ) র্যান্ডম জেনেটিক ড্রিফট বা জিনের লক্ষ্যহীন প্রবাহ (Random Genetic Drift)
গ) ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection) এবং
ঘ) জিন ফ্লো বা জিনের প্রবাহ (Gene Flow)।
এগুলো জীবজগতের সমস্ত প্রজাতির মধ্যে মাইক্রো–এভলিউশনের (Micro evolution) কারণ। আর এগুলোর ভিত্তিতেই ধীরে ধীরে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন অর্থাৎ ম্যাক্রো–এভলিউশন (Macro-evolution) হতে থাকে। এই ম্যাক্রো–এভলিউশন–ই পরবর্তীকালে উন্নত প্রজাতির (Species) শ্রেণীবিন্যাসের (Taxonomy) ক্ষেত্রে তাদের বৈশিষ্ট্যগুলোকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে!
এবার আসা যাক দ্বিতীয় বিবর্তনবাদটিতে।
মস্তিষ্কের বিবর্তন বা নিউরোটিক এভলিউশন (Neurotic Evolution):
নিউরোটিক এভলিউশনের কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় প্রায় ৬০ লক্ষ বছর ধরে আজকের হোমো সেপিয়েন্স এর মস্তিষ্ক বিবর্তিত হচ্ছে। এই বিবর্তন একটা মানুষের জীবনের উপর নির্ভর করে হয়নি। মানুষ যখন সভ্য হয়নি তখনও তারা একা বাস করত না। ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে তারা থাকত। ধীরে ধীরে তারা সভ্য হল। আগুনের আবিষ্কার, চাকার আবিষ্কার ও ধাতুর আবিষ্কারের সাথে সাথে গড়ে উঠেছিল সমাজ। এই সমাজের প্রভাবে মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তন ঘটেছে অনেকটাই। কারণ এই সমাজের মধ্যে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষকে লড়াই করে বাঁচতে হয়েছে। মানুষের মস্তিষ্কের আকার ও বুদ্ধিমত্তার যে একটা গভীর সম্পর্ক আছে তা বেশ কিছুদিন আগে অবধিও বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল। আবহাওয়া, ও আরো অনেক প্রাকৃতিক কারণ এর পিছনে কাজ করেছে। শিকার করা, আত্মরক্ষার প্রয়োজন ইত্যাদি আমাদের ব্যবহারিক বুদ্ধি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের উন্নততর শক্তি আমাদের মস্তিষ্ককে দিয়েছে। আমরা যেহেতু পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জীব তাই আমাদের প্রজাতির সঙ্গে প্রতিদিন জীবনযুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়েছে। যত উন্নত প্রজাতির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে মস্তিষ্কের কোষের তত সমৃদ্ধি হয়। আমাদের তৈরী করতে হয়েছে নানারকম যন্ত্রপাতি – শিকার, আশ্রয়, বন্য জন্তুদের থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ও আরো নানা প্রয়োজনে। আমরা যেহেতু ভাষার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে পারি তাই আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ অন্যান্য প্রাণীদের থেকে অবশ্যই ভিন্ন রূপে বিবর্তিত হয়েছে।
এর থেকে স্পষ্টতঃই বোঝা যায় যে মস্তিষ্কের বিবর্তন যেখানে সময় সাপেক্ষ জিন তার থেকে অনেক দ্রুত বিবর্তিত হয়। তার কারণ জিন অসংখ্য; ফলে তাদের মধ্যে অসংখ্য বিন্যাসও সম্ভব। তাই তারা পরিবর্তনও অনেক দ্রুত আনে। মস্তিষ্কের কোষের ক্রিয়া ও গঠনের পরিবর্তন অনেক বাহ্যিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল! জিনের ও তাই হলেও সংখ্যায় অনেক বেশী হওয়ার পরিবর্তনটা ওই স্তরে দ্রুত হয় তাদের বিন্যাস সংখ্যাটা বেশী তাই, আর সেই বিবিধ বিন্যাসগুলি ঘটে অত্যন্ত দ্রুত!
তাহলে এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে জেনেটিক বিবর্তন নিউরোটিক বিবর্তনের উপর বহুগুণে আধিপত্য করে!
এক্ষেত্রে দু‘রকম প্রচলিত বিবর্তনবাদের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি আছে।
১) ডারউইনের তত্ত্ব (Darwinism) ও ২) ল্যামার্কের তত্ত্ব (Lamarckism)
তবে এই দু‘জন ছাড়াও এখানে আমাদের “ফাদার অফ জেনেটিক্স“ গ্রেগর ইওহান মেণ্ডেলের (Gregor Johann Mendel) নামটাও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত!
যে তত্ত্ব মেনেই যে কোনো বিবর্তন হয় বলা হোক না কেন, তা কখনই সরলরৈখিক নয়। আর এটা সাধারণত: কোনোরকম বিধিগত বা প্রথাগত কারণ অথবা সূত্র মেনেও ঘটে না (Non-linear and Non-causal) এমন দিন হয়ত খুব একটা দূরে নেই যখন আমাদের জিনের বিবর্তন আমাদের মস্তিষ্কের উপর এমনই প্রভাব বিস্তার করবে যে, তা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণরূপে অকর্মণ্য একটি অংশে রূপান্তরিত হবে।
নারী–পুরুষের যে বৈশিষ্ট্যগত ব্যবধান তা হয়ত বিলুপ্ত হয়ে থাকবে শুধু হারমাফ্রোডাইট (Hermaphrodite)। কারণ একটা সময় আসবে যখন নারী বা পুরুষের পৃথক অস্তিত্বের প্রয়োজন হয়তো বিলুপ্ত হবে! এটা বস্তুত: এসেছিল প্রজননের অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির প্রয়োজনে। এখন যদি ভবিষ্যতে সেটা বর্তমানের প্রক্রিয়ার থেকে অন্য ভাবে করা সম্ভব হয় বা আমরা সেই ভাবে বিবর্তিত হই, তবে এই সম্ভবনাটার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এগুলো সবই হল জল্পনা, কিন্তু যুক্তিপূর্ণ জল্পনা।
বিবর্তন কোনো শৃঙখলাবদ্ধ তত্ত্ব মেনে হয় না। এটা সম্পূর্ণ বিশৃঙখল একটা প্রাকৃতিক ঘটনা। কিছু কিছু বিষয় এখানে অনুঘটকের মতো কাজ করে মাত্র। তার মধ্যে প্রয়োজনীতা, বেঁচে থাকার ইচ্ছে ও তার কৌশল সন্ধান, চিন্তা ভাবনার পরিবর্তনের চেষ্টা, পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই সব থেকেই বিবর্তন সঞ্চারিত হয়। তবে আমাদের জিন এই প্রয়োজনীয়তাগুলোকে অনেক তাড়াতাড়ি বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা ধরে। তাই নিউরোমরফিক পরিবর্তন জেনেটিক পরিবর্তনের থেকে অনেক বেশী শ্লথ। আর আমাদের সমস্ত অনুভূতি যেহেতু মস্তিষ্কচালিত তাই আমরা আমাদের জীনগত পরিবর্তনের ত্বরিতগতি অনুভবও করতে পারি না। এই যুক্তি অনুযায়ী এটা খুবই সম্ভব যে “আমরা হয়তো আমাদেরই অতীত!”
এই রকম বিবর্তনের কারণেই হয়তো এখনো আমাদের সাথে কোনো ভিনগ্রহী বা অন্য নক্ষত্রপুঞ্জের (Galaxy) কোনো উন্নততর জীবের সাক্ষাৎ হয়নি। এখানে আমরা ফের্মি প্যারাডক্স (Fermi Paradox) বা গ্রেট ফিল্ট্রেশন তত্ত্বের (Great Filtration Theory) অবতারণা করতে পারি। জ্যোর্তিজীববিদেরা (Astrobiologists) বলে থাকেন যে সমস্ত সভ্য, প্রগতিশীল, বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন, যুক্তিবাদী প্রজাতির জীবই কোনো না কোনো সময়ে একটা অচলাবস্থায় আসে, তাকে পার করা তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব বলেই তত্ত্বগতভাবে ধরা হয়। একেই আমরা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে থাকি ‘দ্য গ্রেট ফিল্টার‘। এই দেওয়াল টপকে আমাদের পক্ষে ভিনগ্রহী বা অন্য নক্ষত্রপুঞ্জের কোনো জীবের সাথে সাক্ষাৎ একরকম অসম্ভব। আমরা যদি ওই দেওয়ালের ওপারে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত বলে ধরেও নিই, তাও সেই দেওয়ালই আমাদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ এর সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে থাকবে চিরকাল।
আরও একটি কারণে আমাদের সাথে ভীনগ্রহী বা অন্য নক্ষত্রপুঞ্জের জীবেদের দেখা হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে কারণ আমাদের জিনের বিবর্তন আমাদের মস্তিষ্কের বিবর্তনের তুলনায় এতটাই ত্বরান্বিত যে অতীতে হয়তো বা আমাদের তাদের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে গেছে। অর্থাৎ সাক্ষাৎ হয়েও হয়নি কারণ আমাদের মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতাই নেই ছিল না যে আমাদের তাদের উপস্থিতি অনুভূত করায়।
এই কারণের আমরা এখন এই মহাজাগতিক নৈ:শব্দ (Cosmic Silence) অনুভব করে চলেছি। আমরা হয়তো স্বীয় ধ্বংসের পথ পেরিয়ে এসেছি কিন্তু তার সাথে সাথে ভীনগ্রহীদের সাথে নিজেদের সাক্ষাৎ এর রাস্তাও বন্ধ করে ফেলেছি।
তবে এনরিকো ফের্মি (Enrico Fermi) ও মাইকেল হার্ট (Michael Hurt) এর বিশেষ যুক্তির ওপর ভিত্তি করে এনরিকো ফের্মির নামে প্রস্তাবিত “ফের্মি প্যারাডক্স“ এই তত্ত্ব ও যুক্তির বিরুদ্ধচারণ করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ একদিন আমাদের প্রযুক্তিকে এতোটাই উন্নত করে দেবে যে সেই উন্নতিই একদিন আমাদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দেবে।
আর ঠিক তাই হচ্ছে নাকি? বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দূরন্ত অগ্রগতি, ও জনসংখ্যার তীব্র বিস্ফোরণের ফলে আমাদের ভীনগ্রহের প্রবাসী হয়ে সেখানে উপনিবেশ স্থাপনের দিন আসছে বা সেখানে পাকাপাকি ভাবে না থাকলেও অবসরে সেখানে ভ্রমণ আর কল্পবিজ্ঞানের পাতায় সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন রীতিমত বাস্তবের দিকে এগোচ্ছে। আরো আছে। আমরা সৌরজগৎ এর বেড়া ভেঙে এবং হয়তো অদূর ভবিষ্যৎ–এ এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি (Milky Way Galaxy) (আকাশগঙ্গা ছায়াপথ) ছাড়িয়ে অন্য নক্ষত্রমণ্ডলে পাড়ি জমাবো। এই সমস্ত স্পেস স্টেশন (Space Station) (মহাকাশ আবাসন) গুলোতে যারা থাকবে তাদের বিবর্তনও বিচিত্র ও ভিন্ন হতে বাধ্য তাদের পারিপার্শ্বিকতার কারণে। আবার কারা ভীনগ্রহের প্রবাসী হবে আর কারা আন্ত:নক্ষত্রপুঞ্জের (Interstellar) প্রবাসী হবে সেটাও নির্ধারিত হবে তাদের বিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে।
উপসংহারে এটাই বলার যে আমরা যদি “দ্য গ্রেট ফিল্টার” পেরিয়ে গিয়েও আমাদের অজান্তেও কোনো ভীনগ্রহীর সাক্ষাৎ না পেয়ে থাকি তাহলে এই নক্ষত্রপুঞ্জে মানবসভ্যতাই একমাত্র বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন, যুক্তিবাদী (Rational, Intelligent and Logical) সভ্যতা। এটা আমাদের একটা দৃঢ় সঙ্কল্প হওয়া উচিত নয় কি, যে আমাদের এই অমূল্য সভ্যতাকে আমাদেরই বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে?! হোক না বিবর্তন বিশৃঙ্খল, যতই উন্নত হই আমরা, আমাদের কি উচিত নয় আমাদের এই বিচার, যুক্তি, বুদ্ধি, বোধকে কাজে লাগিয়ে সেই উন্নতির পায়ে এমনভাবে বেড়ি পরিয়ে রাখা যাতে না সেই আমাদের ধ্বংসের খাদে ঠেলে দেয়?
Tags: কল্পবিশ্ব মিটের আলোচনা, দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, পূজাবার্ষিকী, প্রবন্ধ, শিল্পী রয় বোস, স্পেক্যুলেটিভ এভলিউশন