পারির দাড়িওয়ালা আর চাঁদে চড়ার গল্প
যখন এই লেখাটা লিখছি, গোটা দেশ এক অদ্ভুত দোলাচলে আছে। বিক্রম চাঁদে পা দিয়েছে, কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা সবাই প্রহর গুনছি, এই হয়তো বিক্রম তাঁর শক্তি ফিরে পেল। জানাতে পারল ঠিক কেমনটা লাগছে চাঁদের পিঠে চেপে। মনে পড়ে যাচ্ছিল প্রায় দেড়শো বছর আগের কথা। বাল্টিমোরের গান ক্লাবের সদস্যদের প্রায় একই দশা হয়েছিল। ঘটনাটা খুলেই বলি বরং..
১৮৬৫-র [আরো পড়ুন]
Read More
বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
“আচ্ছা, আজকে কি ঝড় আসবে?”
“এই আপনি কে বলুনতো? সেদিন থেকে ফোন করে করে এই একই প্রশ্ন করে চলেছেন! ইয়ার্কি হচ্ছে? মজা পেয়েছেন নাকি?”
কথাটা বলেই, কান থেকে ফোনটা প্রায় আছাড় মেরে নামিয়ে রাখতে গেলেন গৌরাঙ্গ, কিন্তু রিসিভারটা ক্রেড্লে না বসে, হাত ফসকে সোজা গিয়ে লাগল টেলিফোনের পাশে শোকেসের ওপরে রাখা ইন্দ্র এবং পুলমার বাঁধানো একটি ছবিতে; ফল- ছত্রভঙ্গ। কিছুক্ষণ [আরো পড়ুন]
Read More
ঘনাদার নতুন গল্প – ধোঁয়া
ঘনাদা বললেন ‘ধোঁয়া’।
শিশিরের সিগারেটের টিন থেকে ১১২৭২ নম্বর সিগারেটটা ধার করে, আরাম কেদারায় মৌজ করে হেলান দিয়ে সুখটানের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললেন ‘ধোঁয়া’।
কথা উঠেছিল বাজেট নিয়ে। শিশির বলছিল, ‘এই প্রতিরক্ষা খাতে বছরে ৮০,০০০ কোটি টাকা করে ঢালা হচ্ছে–এতে কার কী লাভ হচ্ছে বল তো? যে দেশে অর্ধেক লোক খেতে পায় না সে দেশে অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, মিসাইল [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ পরিচিতি – পাঁচটি কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস
দ্য মেগ- স্টিভ অল্টেন
বইটা ঝটপট পড়ে ফেলুন দেখি, এমন টান টান উত্তেজনার বই অনেকদিন পর পড়লাম ।
মারিয়ানা পরিখা থেকে, Deep sea Exploratory Submersible কে ধাওয়া করে উঠে আসে প্রাগৈতিহাসিক দৈত্য হাঙর ‘মেগালোডন’। ২০ টন ওজন, ৬৫ ফুট লম্বা দানবের, দাঁতের কাছে তিমি কোন ছাড় নিউক্লিয়ার ডুবোজাহাজেরও রক্ষে নেই। মানবজাতি চায় দানবীর নিকেশ, কিন্তু বাধ সাধে নায়ক আর [আরো পড়ুন]
Read More
সাত স্বপ্নের রাত
এ কাহিনি আমার ছোটবেলার। সেদিন বুঝিনি স্বপ্ন সম্রাট আমাকে কী বলেছিলেন? বড় হয়ে অনুভব করেছি সে কথার মর্মার্থ। ছোটবেলায় আমি খুবই স্বপ্ন দেখতাম। সে সব স্বপ্নের সঙ্গে এতটাই একাত্ম হয়ে যেতাম যে প্রায় দিনই বিছানা থেকে পড়ে যেতাম। নানা রকম স্বপ্ন দেখতাম। তার কোনওটাই আমার মনে নেই। কিন্তু টানা সাতদিন ধরে দেখা একটা স্বপ্নের খুঁটিনাটি এখনও আমার মনে গেঁথে বসে আছে। [আরো পড়ুন]
Read More
আঁধার আর ঈশ্বর
শুরুর আগে
ঘুমিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত এক মহাজাগতিক শূন্যতা গ্রাস করেছে তাঁকে।
জগৎ-সংসারের সবকিছু বেঁচে আছে উনার ঘুমের মধ্যেই। যদিও এই সংসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তাঁর।
তারপরেও এই জগৎ গড়ে উঠেছে।
ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি আর দেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্ন। প্রতিটি সৃষ্টিকে নতুন করে পূর্ণতা দিয়ে চলেছে উনার স্বপ্নগুলো। স্বপ্নের মাধ্যমেই প্রতিদিন [আরো পড়ুন]
Read More
ঘনাদার নতুন গল্প – ছিপি
মেসের বসবার ঘরের এই পীঠস্থানের আবহাওয়া ইদানিং বেশ শান্ত। তাস পিটে, লুডো কিংবা দাবা খেলে, এমনকি মাছি মেরেও সময় যেন গলতে চায় না। আর ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার কি অবস্থা তা লুডো কিংবা দাবার মতো খেলার কথা উল্লেখ করা থেকেই নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে। সবই যেন ন: গচ্ছতি। বাড়িটাকে পীঠস্থান কেন বললাম? তা বুঝে নিতে অবশ্য খুব একটা অসুবিধে হওয়ার কথা [আরো পড়ুন]
Read More
চরমজীবী
প্রিয়দর্শিণী হ্রদকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে এসেছেন ডঃ বেদ পিল্লাই। একাই এসেছেন। এই আগস্ট মাসের শেষ শীতের -২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কামড় আটকাতে চার স্তরের পোশাক পরে আছেন। গায়ে পোলার পার্কা, ফ্লিস জ্যাকেট, হাতে দস্তানা, মাথা-মুখ ঢাকতে বালাক্লাভা। শারম্যাকার মরুদ্যানের এই বরফহীন উঁচু জায়গাটা বেশ মনোরম। এখান থেকে চারদিকের দিগন্তপ্রসারী বরফের আস্তরণটা [আরো পড়ুন]
Read More
ভূষণ্ডী কাগের নক্শা
এই নক্শাখানি কি অভিপ্রায়ে ইহা লিখিত হলো পাঠ করামাত্র পাঠক তা আপনা আপনি অনুভব কর্ত্তে সমর্থ হবেন। তবুও গোড়ায় খানিক গৌরচন্দ্রিকা কোরে লওয়া আবশ্যক। বাঙ্গালাদেশে এক সময়ে হরিচরণের বিষয় লয়ে যে ধন্ধের কুজ্ঝটিকা তৈয়ের হয়েছিলো আমি তাহা পরিহার করার চেষ্টাতে প্রবৃত্ত হই এবং ভূষণ্ডী কাগ নামের আড়ালে তাহার বিবরণ লিপিবদ্ধ কোর্ত্তে সচেষ্ট হই। কারণ সেই সময় দেকতে [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লোরোফিলিয়া
এক নম্বর কাঠপুল থেকে নৈহাটি রোডের একটা সরু শাখা ডানদিকে ঢুকে হিজলি গ্রামে চলে যায়। মোড়টার সামনে একটা মরা অর্জুন গাছ, পাশে ছোট্ট চায়ের দোকান আর ঠিক মোড়ের মাথাতেই চায়ের দোকানের উল্টোদিকে জাকির কাকার বাড়ি। কাকার বাড়ির সামনে হিজলি যাওয়ার রাস্তা, রাস্তার ওপারে ধু-ধু ধানখেত দিগন্তের কাছে এসে খাটের কোনায় গোঁজা বিছানার চাদরের মতো ভ্যানিশ হয়ে গেছে। বাড়ির [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্যানাটিক
পাওয়ার হাউজ থেকে রিচার্জ শেষে বেরিয়ে এল জুজু। তার সোলার ওয়াচে এখন সময় সকাল ১০টা। একটু পরেই তাদের এডুল্যাব শুরু হবে। তার লাল টুকটুকে অটোরোডিতে উঠে আসতেই প্যাক্সি বলল, “যাক আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মতো নিশ্চিন্ত।” জুজু বুড়ো আঙুল তুলে ‘ইয়েস’ বলে রোডির সুইচ অন করতেই চোখের পলকে বাতাসে ভর করে সেটা ছুটে চলল ল্যাবের দিকে। যদিও অটোরোডি তার বয়সী ছেলেদের কাছে খুবই [আরো পড়ুন]
Read More
শেষ বলে কিছু নেই
অগাস্ট, ২০১৩
ক্যাম্পাসের পথ ধরে আস্তে আস্তে এগোচ্ছিল কিম। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের কলেজ পার্ক ক্যাম্পাসটা বেশ বড়, প্রায় সাড়ে বারোশো একর জায়গা জুড়ে। সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাস, যার কেন্দ্রে রয়েছে ম্যাককেলিন মল। এমনকি নিজস্ব স্টেডিয়ামও রয়েছে। বিল্ডিংগুলো সব জর্জিয়ান স্থাপত্যের আদলে তৈরি। এখানেই পেইন্ট ব্রাঞ্চ ড্রাইভের ব্রেন্ডন আইরিবে সেন্টারে [আরো পড়ুন]
Read More
শয়তানের ফুল
“মাপিংগুয়ারির নাম শুনেছিস?’’
সবে বিস্কুটটা শেষ করে গরম চা-টায় একটা চুমুক মেরেছি, অবিনাশদার প্রশ্নটা শুনে তাড়াতাড়ি করে গিলতে গিয়ে জিভটা গেল পুড়ে। কোনও রকমে দু’চার বার ‘‘হু হা’’ করে একটু সামলে নিয়ে বললাম, “মাপিংগুড়ি, সে আবার কী? জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, লাটাগুড়ি, নিদেনপক্ষে হামাগুড়িরও নাম শুনেছি, কিন্তু এমন জায়গার নাম তো শুনিনি। এটা কি নর্থ বেঙ্গলের কোনও জায়গা?’’
Read More
পুনরাগমনায় চ
সকালবেলা। এভার ঘুম ভেঙে গেল। গুহার ঠিক বাইরে জ্বালা আগুনটা ভোরের দিকে নিভে গিয়েছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। ভাল্লুকের মোটা চামড়াটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিল এভা। তার বেশ মনে পড়ে ছোটবেলায় বেশ কয়েক চাঁদ ধরে এত গরম পড়ত যে ওই দূরের পাহাড়টাও গায়ের বরফের সাদা চাদর খুলে ফেলত। সে সময় এভারও খালি গায়ে ঘুরতেও কোনও কষ্টই হত না। কিন্তু এখন সারাক্ষণই কনকনে ঠান্ডা। মাঝে মাঝে আকাশ থেকেও বরফ পড়ে।
Read More
অদৃত ও জিকাসন
জুপিটারের উপগ্রহে যখন স্পেসশিপ “INDOX 53” অবতরণ করল, অদৃতের যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। দীর্ঘ আট বছরের প্রচেষ্টা সফল হওয়ার খবরটা পেয়ে ড. রায়চৌধুরী মৃদু হাসলেন। চেয়ারে বসে প্রত্যয়ীভাবে নিজেকে বললেন, ‘ওয়েল ডান সৌম্য রায়চৌধুরী’।
এর পরের পদক্ষেপ – উপগ্রহপৃষ্ঠের জলবায়ু সরজমিনে পরীক্ষানিরীক্ষা করা। আর এসব কাজ করার জন্য তাদের [আরো পড়ুন]
Read More
পিউপা
“এই মুহূর্তে বাংলা তথা ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের চেহারাটা ঠিক কেমন? তারই আভাস মিলবে ২২-২৪ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ ও বাংলার প্রথম কল্পবিজ্ঞান-ফ্যান্টাসি বিষয়ক ওয়েব পত্রিকা ‘কল্পবিশ্ব’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কল্পবিজ্ঞান সমাবেশ ‘ওয়র্কশপস অব হরিবল ক্রিয়েশন’-এ। মেরি শেলির অমর সৃষ্টি ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ প্রকাশের ২০০ বছর উপলক্ষেই এই [আরো পড়ুন]
Read More
হিমঘুম
না, কোনও কিছুর অভাব নেই আকাশনীলের। একবিংশ শতাব্দীতে যা যা থাকলে লোকে সুখী বলে মনে করে তা সবই আছে আকাশনীল সেনের। বাড়ি, গাড়ি, জেট প্লেন, ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকা—সব। এখন আর সমস্যা নয়। সিনথেটিক বাড়ি মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। খুলতে এক ঘণ্টাও লাগে না। দারুণ শক্ত আর মজবুত এই বাড়িগুলো। বাকি আছে শুধু আরব সাগরের তলায় একটা ছোট বাড়ি। বর্তমান যুগে সাগরতলার [আরো পড়ুন]
Read More
শৈত্যের গান
জীবন আসলে একটা অচেনা রোডম্যাপ, সেখানে কিছু মোড় আঁধারে মোড়া, কিছু মোড়ে বসানো ফ্লাডলাইট। আমার হাঁটা হয়েছে কিছুটা পথ, যেখানে পৃথিবী পালটেছে আমার চোখের সামনে, বলতে গেলে পলকের মধ্যে। আমার কাছে কলকাতা এখন অচেনা। উত্তর দিকচক্রবালের দিকে মুখ করে, কোনও উঁচু স্কাইস্ক্রেপারের ছাদে ঠান্ডা সহ্য করে দাঁড়ালে দেখা যায় মেঘের মতো নীলচে একটা স্তর; ধীর গতিতে এক প্রকাণ্ড [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যজিতের এলিয়েন
যাবার কথা ছিল প্লুটোয়, যান্ত্রিক গোলযোগে পৃথিবীতে এসে পড়েছিল ক্রেনিয়াস গ্রহের মহাকাশযানটি। সেই গ্রহেরই চার ফুট উচ্চতার প্রাণী অ্যাং এর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল বঙ্কুবাবুর। তাই নিয়েই সত্যজিত রায়ের দ্বিতীয় বাংলা গল্প ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ প্রকাশিত হয়েছিল ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। ওই গল্পের সঙ্গেই পাঠক চাক্ষুষ করেছিল সত্যজিতের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজন্ম
“ইয়েসসসসসস!”
চীৎকার করে ঘরের ফাঁকা জায়গাটায় লাফিয়ে উঠেছিল নি-রা-৫। ও হচ্ছে পৃথিবী থেকে শেষ যে মানুষটা পা তুলে নিয়েছিল তার পঞ্চম প্রজন্ম। প্রজন্ম বলা যায় কি না কে জানে, সেই শেষতম শাটলের কম্ব্যাট টেনিংপ্রাপ্ত গার্ড নিবেদিতা রায় এই ত্রিয়োশিতা উপগ্রহের কলোনিতে এসে পৌঁছোনোর পর, এখানকার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার নাম হয় নি-রা-১। তার জিন থেকে নি-রা-২ অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
কৃষ্ণপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যাপীঠ
কালিদাস যে ঠিক কী কাজ করে তা কাউকে বোঝান ভারী মুস্কিল। অথচ সে সবরকম কাজ করে। এই যেমন আজ ক’দিন ধরে তার দিন শুরু হচ্ছে ভারা ভারা জল বয়ে দিয়ে। তার কাঁধে থাকে একটা বাঁশ, বেশ মোলায়েম করে কাটা। তার দু’দিকে দুটো ভারা বাঁধা থাকে। সকালবেলার মধ্যে সে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ভারা জল তুলে দিচ্ছে।
তার পরেই তার ছোট ঠেলাগাড়িটা নিয়ে সে বাজারে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ফেক নিউজ
‘বদমায়েস, অপদার্থ, শয়তান, ছাগল, হিপোপটেমাসের বাচ্চা’
‘মাইন্ডটুমাইন্ডবুক’ কোম্পানির চিফ টেকনোলজি অফিসার রঞ্জন স্যান্যালকে কেউ এরকম গালাগালি দিতে কখনও শোনেনি। এরকম উত্তেজিত হয়ে উঠতেও দেখেনি।
এরকম নিপাট ভদ্রলোক মানুষ কখনও খারাপ কথা জীবনে ব্যবহার করেননি। ওঁর শব্দভাণ্ডারে যে এর থেকে খারাপ আর কোনও শব্দ নেই, সেটা ওঁর উত্তেজিত কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল।
Read More
লীলাবতীর মুক্তো
‘ওই সামনে যে দালানটা দেখছ; ওটাই হল জগৎনারায়ণের জলসাঘর।’ —বলে ধীরেনদা জীর্ণ মন্দিরের মতো একটা বাড়ি দেখালেন। মন্দির না বলে বরং চণ্ডীমণ্ডপই বলা যেত যদি চারদিকের দেয়াল থাকত। বাড়িটার ছাদের মাঝখানটা অর্ধগোলাকার। কলকাতার তারামণ্ডল বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো। একপাশ দিয়ে একটা সিঁড়ি উঠে গিয়েছে তা দিয়ে ছাদে ওঠা যায়। গোলকের চারপাশে কিছুটা [আরো পড়ুন]
Read More
স্বর্গই নরক
করতালির গর্জনে আমি পাশে বসা সীমা আর গ্রেগরির কথাও শুনতে পাচ্ছি না। আমি চোখ বন্ধ করে বসে আছি। কানটাও বন্ধ করে নিতে পারলে বোধহয় ভালো হত। দিল্লির রাজঘাট পাবলিক অডিটোরিয়ামের সাড়ে দশ হাজার আসন উপচে পড়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরও অন্তত তিনশো জন সাংবাদিক ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রতিনিধি। আজ সেরিব্রনিক্স সিস্টেমস তাদের গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার এত বড় সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
সরণি সরেনি কেন?
সে দিন যেটা স্বপ্ন বলে ভেবেছিলাম, আসলে সেটা সত্যি সত্যিই ঘটেছিল। রাস্তা কখনও চলতে পারে ভ্রমেও ভাবিনি, সেই দেখলাম, হুবহু অজগর সাপের চলা। কড়ি বরগায় ঠোকাঠুকি করতে করতে সঙ্গে চলেছে লাইন বেঁধে বাড়িঘর। কখন আমার ঘুম ভেঙেছে ওরা বুঝতে পারেনি, খেয়াল হওয়া মাত্র যে যেখানে ছিল চুপচাপ দাঁড়িয়ে গেল। তাই হ্যারিসন রোডের বাড়িগুলো একটু হেলানো আছে লক্ষ করবেন। সবগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ মানুষ ইনকর্পোরেটেড
অক্টোবর ২০২৫, নিউ দিল্লি
২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের পার্লামেন্টে জনৈক মেম্বার লোকসভা সেশন চলাকালীন এই প্রশ্নটি তোলেন।
Will the PRIME MINISTER be pleased to state: (a) whether reports of incidents expressing doubts about security of nuclear power plants in the country have come to the notice of the Government and if so, the details thereof; (b) whether the Government is aware of any reports indicating the trespassing of two Kazakh and Russian persons into a prohibited zone belonging to Indian Rare Earths Limited in Tamil Nadu; and (c) if so, the details thereof along with the steps taken to conduct a review of safety of such installations including nuclear power plants and vital installations of such capability?
Read More
আরশোলার দুধ
(১)
বিদগ্ধ পাঠক: এ আবার কী! আরশোলার আবার দুধ হয় নাকি? যত্ত সব চিপ, সেন্সেশনাল জার্নালিজম!
লেখক: হা হা, পাঠক, আপনি আমার আসল উদ্দেশ্যটা ঠিক বুঝেছেন। তবে একটু সেন্সেশনাল করে নাম না দিলে কি আর আমার মতন একজন অজ্ঞাত, অখ্যাত ও অখাদ্য লেখকের লেখা কেউ পড়বে? অন্য কেউ হলে তো আমি নিজেই পড়তাম না! এরকম কত লেখক কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! তাই আমাকে যখন প্রথম ডা: বরুণ [আরো পড়ুন]
Read More
৪৫ মিনিট আগে
“…যেন ভূমিকম্প! বিছানাসহ আমি শূন্যে কিছুক্ষণ ভাসলাম। তারপর এক বিকট শব্দে আছড়ে পড়লাম মেঝেতে। ভয়ে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত। কী অবস্থায় ছিলাম বুঝতে পেরেছেন মি. সরকার?”
আলবাত বুঝতে পেরেছি, কথাটা মনে মনেই বলতে হল। কারণ জগন্নাথবাবুর গত পরশু রাতের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভয় পাওয়া দূরের কথা, মাঝে মাঝেই হাসির উদ্রেক হচ্ছে। বললাম, “কী হল তারপর?”
“দেখি ওয়াইজা [আরো পড়ুন]
Read More
ঘুমের দেয়াল পেরিয়ে
মাঝেমাঝেই স্বপ্নেরা যে কত গভীর অর্থ বয়ে আনে সে-নিয়ে বোধ হয় বেশির ভাগ লোকই কখনও ভেবে দেখে না। কোন অজ্ঞাত দুনিয়ায় স্বপ্নের জন্ম হয় তা নিয়েও কৌতূহল খুব বেশি মানুষের হয়তো নেই। যদিও ফ্রয়েড অন্য কথা বলবেন, তবু এটা ঠিক যে জাগ্রত দুনিয়ায় আমাদের যে-সব অভিজ্ঞতা প্রতিমুহূর্তে হয়ে চলেছে, বেশির ভাগ স্বপ্নই তার একটা হালকা, কাল্পনিক রূপ।
তবু, কিছু কিছু স্বপ্ন আসে, [আরো পড়ুন]
Read More
ঘর
পুরানো বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে নীরা উচ্ছসিত হয়ে উঠল, ‘দেখ শুভ, যেখানে আমি জন্মেছিলাম এ বাড়িটা এক্কেবারে সে রকম। সেইরকম গাড়িবারান্দা, বড় বড় জানলা, দরজা, এক্কেবারে সেই রকম।’
নীরার স্বামী শুভ, নীরাকে সেই ছোটবেলা থেকে চেনে। সে জানে নীরাদের বাড়িটা মোটেই এমন ছিল না। কিন্তু সে প্রতিবাদ করল না। বরং বলল, ‘হ্যাঁ নীরা, বেশ মিল আছে বটে। চল ফেরা যাক।’ এরপরই কিচ্ছু [আরো পড়ুন]
Read More
সাক্ষাতে রেবন্ত গোস্বামী
“রিউবেন বুশের গল্পটি যখন লেখা হয়, তখন ছোট, বড় কোনও বুশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হননি। ক্লিন্টনের নামই এদেশে কেউ শোনেনি তখন। পরে লিখলে নাম দুটো পালটে দিতাম।” রেবন্ত গোস্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় টিম কল্পবিশ্ব।
কল্পবিশ্ব: আপনার লেখালিখির শুরুর দিকটায় যেমন ধরণের কিশোর গল্প উপন্যাস লিখেছেন, যেমন দেশভাগের পটভূমিতে বাবলা ফুলের গন্ধে, বা পঞ্চাশ [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
ম্যাজিক বাক্স
(এই কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম মিল একেবারেই আকস্মিক বলে ধরতে হবে।)
(১)
“এই ছেলের জন্য একদিন আমাদের গুষ্টি-সুদ্ধ জেলে যেতে হবে। একে নিয়ে যে আমি কী করি!”
“এখন আক্ষেপ করে লাভ কি বল? ওর ছোটবেলা থেকে তোমাকে আমি বার বার বলেছি, যে ছেলেকে সময় দাও। কিন্তু তুমি তোমার কোর্ট আর …”
“ছেলেকে সময় দিলে যে পেটের ভাত জুটত না সে কথা খেয়াল আছে?”
Read More
অদ্ভুত অর্কিড
অর্কিড এমনই একটা ফুল, যা কেনার জন্যে পাগল হতে হয়, কেনার পরেও পাগল হয়ে থাকতে হয়। একটু একটু করে পাপড়ি মেলে ধরে ফুল যতই ফুটতে থাকে, রং আর শোভা ততই মনকে মাতাল করে দেয়। নব নব আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে হয়।
এ নেশা পেয়ে বসেছিল ওয়েদারবার্নকেও। অর্কিড জমানোর বাতিক তাকে নিত্যনতুন উত্তেজনার খোরাক জুগিয়ে গেছে। সারাজীবনটাই তার উত্তেজনাবিহীন। [আরো পড়ুন]
Read More
কনসোল
বৃষ্টি পড়ছে সেই সকাল থেকে। ছ’টায় একবার ঘুম ভেঙেছিল সায়ন এর। কারন মা এসে গায়ে চাদরটা দিয়ে গেছে, ঠান্ডায় কুঁকড়ে ছিলাম বলে হয়তো। এই না হলে মা।
আরও একঘণ্টা ঘুমোনোর টাইম আছে হাতে। সাতটা বাজলেই বাবা এসে নাক টিপে ঘুম ভাঙিয়ে দেবে। এরকম অঝোর বৃষ্টির মধ্যে কারই বা স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে! আজকে নিশ্চিত স্কুলে কেউ যাবে না। কিন্তু বাবা ডাকবেই। ঘুম থেকে না উঠলে হয় [আরো পড়ুন]
Read More
দুখা
নিশীথবাবু বললেন, “আপনারা তো ওর বন্ধু। আপনারা একটু বুঝিয়ে বলুন না।”
পরেশদা ‘ফোঁস’ করে নিঃশ্বাস ফেললেন, “বলে লাভ কি? সুখেন আমাদের কথায় আর কবে কান দিয়েছে?”
নিশীথবাবু বললেন, “কিন্তু এ যে আগুন নিয়ে খেলা! এ জিনিস আগে কোনওদিন কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই। কি কুক্ষণেই যে মুখ ফসকে ওর কাছে সেদিন বলে ফেলেছি দুখার কথাটা!”
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কিন্তু আমি ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন এবং অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির
আজ সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং জুল ভার্নের নাম দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও জানে। কিন্তু আজ থেকে সত্তর-বাহাত্তর বছর আগে পরিস্থিতি মোটেও এমনটা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন উৎসাহী পাঠক ছাড়া বাঙালি পাঠক সমাজে সায়েন্স ফিকশন এর কদর ছিল না বললেই হয়।
সেই সময় ‘অভ্যদয় প্রকাশ মন্দির’ এর কর্ণধার শ্রী অমিয় কুমার চক্রবর্তী সায়েন্স ফিকশনকে বাঙালি পাঠকের [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো ছেলে!
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটার দিকে আর একবার তাকাল স্নেহাংশু। পাঁচটা বেজেও বাজতে চায় না যেন! এখনও পাঁচটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি!
রিভল্ভিং চেয়ারটা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল স্নেহাংশু। পিএ মিস মৈত্রর টেবিলটা খালি। আজ আধ ঘণ্টা আগেই ও ছুটি নিয়ে বেরিয়ে গেছে। টমাস এন্ড ক্রুডাস কোম্পানির কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল চেক করবার—সেইগুলি নিয়েই এতক্ষণ ব্যস্ত ছিল স্নেহাংশু। [আরো পড়ুন]
Read More
অভয়ারণ্য মধুমিডা
পায়রার মতো বড়সড় চেহারার একটা জোনাকি পাখির ছোঁয়া ঘুম ভাঙিয়ে দিল। অনেকদিন বাদে এমন স্বপ্ন দেখল বিদুর।
আড় চোখে তাকাল শ্রীমতীর দিকে। এখনও গভীর ঘুমে অগোছালো আর নিশ্চিন্ত।
যেন ধরা পড়ার ভয়ে চোখ বুজে ফেলল বিদুর। সেই প্রথম সিগারেট টানার দিনগুলোর মতো। কেউ টের পাবে না জেনেও দূরে মুখ সরিয়ে রাখা, ঠোঁট টিপে কথা।
রঙিন আবরণে নিষিদ্ধ চিন্তা। [আরো পড়ুন]
Read More
তোতা রহস্য
মুসান্দম উপত্যকার শুষ্ক, পাহাড়ি প্রকৃতি ইশায়ুর মন্দ লাগল না। এই অঞ্চল পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী, অবস্থান হরমুজ্ প্রণালীর দক্ষিণে। শীতকালীন মৃদু আবহাওয়ায় এখানে এখন চলছে পুরাতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ। মাটির নিচে পাওয়া গেছে মানব সভ্যতার প্রাচীন অবশেষ। একটি আন্তর্দেশীয় দল এই অনুসন্ধানের কাজে নিযুক্ত। ইশায়ু ও স্বেতলানা সেই দলেরই [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
জেমস পটার অ্যান্ড দ্য হল অফ এল্ডারস ক্রসিং – পার্ট ২১ (অন্তিম পর্ব)
একবিংশ অধ্যায়
সবুজ বাক্সের উপহার
স্কুলে প্রথম বছরের শেষ সপ্তাহটা জেমসের চোখের সামনে দিয়ে গড়গড়িয়ে চলে গেল যেন। কোন চাপ নেই, নেই কোন ভয়ানক রকমের অ্যাডভেঞ্চার বা মরণপণ প্রচেষ্টার চিন্তা। তুলনামূলকভাবে অনেক কম চিন্তাভাবনার দরকার এমন কিছু নিবন্ধ লিখতে হলো। আর তার সঙ্গে চললো জাদুদন্ড ব্যবহারের শিক্ষা। হল অফ দ্যা এল্ডারস ক্রসিং এর উত্থানের [আরো পড়ুন]
Read More
জেমস পটার অ্যান্ড দ্য হল অফ এল্ডারস ক্রসিং – পার্ট ২০
বিংশ অধ্যায়
বিশ্বাসঘাতকের গল্প
‘আমি কিন্তু দেখেছিলাম!’ ল্যান্ডরোভার দুটোর মধ্যে দিয়ে ভিন্সের পেছনে যেতে যেতে প্রেস্কট খসখসে গলায় প্রমাণ করার ভঙ্গীতে বললেন। ‘দৈত্যদের দেখেছি! একটা তো ওই গাছগুলোর মতো লম্বা! ওদের পায়ের ছাপের মাপ … ছাপের মাপ …!” দুদিকে হাত প্রসারিত করলেন। পাত্তা না দিয়ে ভিন্স ক্যামেরাটা ঢুকিয়ে রাখলো ফোম দিয়ে ঘেরা স্যুটকেসের ভেতর।
টাই [আরো পড়ুন]
Read More
জেমস পটার অ্যান্ড দ্য হল অফ এল্ডারস ক্রসিং – পার্ট ১৯
ঊনবিংশ অধ্যায়
রহস্যের উন্মোচন
পরের দিন অনেকটা বেলা হয়ে যাওয়ার পর হ্যারি ব্রেকফাস্ট করার জন্য গ্রেট হলের নিচে হাউস এলফদের রান্নাঘরে এলেন। সঙ্গে জেমস, জ্যান আর র্যালফ। জেমস দেখতে পেল বিরাট আকারের স্টোভটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে সেই গোমড়ামুখো এলফটা যে আগেরবার বলেছিল জেমসদের দিকে ওদের নজরে থাকবে। এলফটা ওদের দিকে তাকাল কিন্তু কিছু বলল না। একটা [আরো পড়ুন]
Read More
চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read More
ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন
‘ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন’ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠোঁটে পাইপ মাথায় টুপি একটি রোবোট বা সাইবর্গের ছবি। কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের এই ধারাতে শুধুই ভবিষ্যৎ কিংবা অন্য গ্রহে রহস্য আর ক্রাইমের সমাধান হয় না, এই ধরণের গল্প থেকে আমরা পাই মানুষ এবং টেকনোলোজির কিংবা অন্য জগতের প্রাণীদের ভিতরের সম্পর্কের খোঁজও।
তাহলে, প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাকে ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন বলবো আমরা।
Read More
সম্পাদকীয়
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আপনাদের সবাইকে কল্পবিশ্বের তরফে জানাই অফুরান শুভেচ্ছা।
গত তিন-চারমাসে বাংলার সাহিত্যাকাশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন ঘটেছে। একের এক ইন্দ্রপতনে সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের বিজয়রথ। রনেন ঘোষের পর এবার চলে গেলেন শ্রী অদ্রীশ বর্ধন। তাঁর তিরোধানের সঙ্গে বাংলা কল্পবিজ্ঞানে রত্নযুগের [আরো পড়ুন]
Read More
পুস্তক পরিচয় – ছয়টি ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশনের খোঁজে
এই সংখ্যায় আমি আপনাদের ৬ টি ডিটেকটিভ কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের সাথে পরিচয় করাবো।
১) দ্য ডেমোলিশড ম্যান-এ্যাল্ফ্রেড বেস্টার
২৩০১ সালে বন্দুক শুধুই জাদুঘরের দ্রষ্টব্য। টেলেপ্যাথ পুলিশের কড়া নজরদারীতে অপরাধ ঘটার আগেই অপরাধী ধরা পড়ে যায়। এমন আপাত অপরাধবিহীন সমাজে, এক প্রভূত বিত্তবান ব্যক্তি পরিকল্পনা করতে থাকে এক নিখুঁত খুনের।
ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ আর্কাইভ
বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে প্রকাশিত খবর ও প্রতিবেদন সংকলন
১) রেডিয়োবাংলানেট, ২১ মে ২০১৯
প্রয়াত ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন
চলে গেলেন ‘প্রফেসর নাটবল্টুচক্র’র স্রষ্টা অদ্রীশ বর্ধন। আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজণিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
কল্পবিজ্ঞানের [আরো পড়ুন]
Read More
সীমারেখা
(১)
মিস কেলির ক্লাসে প্রথম দিনই একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেল।
মিস কেলির ক্লাসটা আমার ঠিক পাশেই। সেদিন আমি সবেমাত্র ক্লাসে ঢুকে রোলকল সেরে বসেছি। পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ক্লাসগুলোতে বাচ্চারা পড়লেও, এদেরকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সহবত শিক্ষা দিতে হয় – আর সেটা ক্লাসে ঢুকেই দেওয়াটা আমি পছন্দ করি। তাও আবার এই সিজনের প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন। তা – ক্লাসে গম্ভীর [আরো পড়ুন]
Read More