বিচ্ছিন্ন
[ লেখক পরিচিতি: ১৯৮২ সালে তেহরানে জন্ম, ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী জোহা কাজেমি। ইরানে নারীবাদী স্পেকুলেটিভ ফিকশন, কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি ইত্যাদির রচয়িতা হিসেবে জোহা কাজেমি ইতিমধ্যেই অতি সম্মানিত ও বহুলপঠিত। ১৫টির অধিক প্রকাশিত বই আছে জোহার। Death industry, Rain born ইত্যাদি উপন্যাস ইতিমধ্যেই ইরানের স্পেকু ফিক পুরস্কার ‘নুফে’ জিতেছে। বর্তমান গল্পটা নেওয়া [আরো পড়ুন]
Read More
সমবেদনার গান
মূল গল্প: The Songs That Humanity Lost Reluctantly To Dolphins
এমপ্যাথোলজি বা সমবেদনতত্ত্বটা ডলফিনরাই আমদানি করেছিল। আমরা নই। আমরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারিনি কী বিপদ উপস্থিত। আমরা তার প্রতিরোধ করেছি, লড়েছি, কখনও কান্নাকাটি করেছি, কখনও স্রেফ এড়িয়ে গেছি। আমরা মজাও করেছি এ নিয়ে। কিন্তু যখন কোনো কিছুতেই কাজ হল না তখন আমরা ক্ষেপে গেলাম। চেপে রাখা ভীষণ রাগে কেঁপে উঠল আমাদের মেগাসিটিগুলো, [আরো পড়ুন]
Read More
নির্জন বাসভূমি
কারও কারও কাছে নিরিবিলি জীবন বেশ পছন্দের।
জামশেদের কাছেও। এইরকম জীবনই চেয়েছিল সে। সব সময়।
হইহল্লা থেকে দূরে থাকা।
আটটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করো। আপিস বা যার যেটা কাজ থাকে, করো। রুজিরোজগারের জন্য আর কী। কাজ শেষ হলে নিজের ব্যক্তিগত বালি-শকটে চড়ে বোসো। নিজেও ড্রাইভ করতে পারো।
টাকাপয়সা যৎপরোনাস্তি, মানে যথেষ্ট হলে একটা রোবট-ড্রাইভার থাকতে পারে।
Read More
মৃত্যুগ্রহ
মূল গল্প: দ্য প্ল্যানেট অব ডেথ
ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে উইলিয়াম শুনতে পেল, খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বাবা বলছেন, মড়ক শুরু হল চিন দেশে—কেউ আর বাঁচবে না।
শুনেই খটকা লাগল উইলিয়ামের। চোখ তুলল সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু বাবার মুখটা দেখতে পেল না—খবরের কাগজের আড়ালে ঢাকা রয়েছে। মায়ের মুখে কিন্তু বেশ উদ্বেগ ফুটে উঠেছে।
ব্যাপারটা কী? বেশ চিন্তায় [আরো পড়ুন]
Read More
এসো, মোরা মিলি একসাথ
শতাব্দীব্যাপী থমথমে শান্তি ছেয়ে থাকায় মানুষ ভুলেই গিয়েছিল যে কখনো পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। ফলে যখন জানা গেল যুদ্ধ দোরগোড়ায় এসে পড়েছে, কি করা উচিত তা কেউ ভেবেই পাচ্ছিল না।
একই অবস্থা হল ব্যুরো অব রোবোটিক্সের প্রধান এলিয়াস লিন-এরও। দীর্ঘদিন বিকেন্দ্রীকরণের নীতি মেনে চলার ফলে এই ব্যুরোর প্রধান দপ্তর ছিল শায়ানে। তারই একটা [আরো পড়ুন]
Read More
ববক
কোনো একজনের ডায়রির পাতা থেকে
সেমিয়ন আরদালিওনোভিচ হঠাৎ গতকাল আমাকে বলল, “কেউ কখনও কেন সংযমী হবে ইভান ইভানোভিচ? দয়া করে বলো আমাকে।”
অদ্ভুত একটা দাবী। যদিও আমি এতে রেগে গেলাম না, এমনিতে আমি ভীতু মানুষ; কিন্তু এখানে এরা আমাকে আস্ত উন্মাদ ভেবে নিয়েছে। বস্তুত এই কথা বলে আমার ছবি এঁকেছে একজন শিল্পী: “যতই হোক, আপনি একজন সাহিত্যিক মানুষ [আরো পড়ুন]
Read More
হাজার দুয়ারী
এই কাহিনি শোনার আগে আপনার জানা দরকার, আমি পুরোনো পয়সা আর অচল টাকা জমানো শুরু করেছি।
বিদেশে অনেক ক্লাব আছে। দালাল আছে, যারা পুরোনো টাকা পয়সার খোঁজ দেয়। বা কেনাবেচা করে।
বাংলাদেশে এটা অবশ্য বেশ কষ্টের কাজ।
কালির বাজার আর নিতাইগঞ্জের ওখানে ফুটপাথে এক লোক বসে। বুড়ো। মুখ ভর্তি শনপাপড়ির মতো দাড়ি। রোগা। ওঁর কাছে কিছু পুরোনো পয়সা [আরো পড়ুন]
Read More
2BR02B
জীবনে সমস্যা? হাজার সমস্যার একটাই সমাধান। ফোন তুলুন আর ডায়াল করুন
সব দিক থেকে বিচার করলে সবকিছু একেবারে চমৎকার, কোথাও কোনো খুঁত নেই বললেই চলে। সারা দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ নেই, ঝুপড়ি-বস্তি নেই, কানা-খোঁড়া নেই, পাগলাগারদ নেই, জেলখানাও নেই। নেই যুদ্ধের কোনো সুদূর সম্ভাবনাও। রোগ-জরা-ব্যাধি আমরা কবেই জয় করে ফেলেছি। বার্ধক্যের কষ্টও [আরো পড়ুন]
Read More
যে মানুষটি রে ব্র্যাডবেরিকে ভুলে গিয়েছিল
আমি অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছি, এ তো খুবই ভয়ের কথা।
আমি ভুলছি নানান শব্দ, যদিও শব্দের ধারণাটা কিন্তু ভুলিনি এখনো। অন্তত আমি আশা করছি যে এখনো ধারণাগুলি আমার মনের মধ্যেই আছে। যদি কোনো কিছুর ধারণা ভুলেই যাই, তবে তা বুঝব কী করে? অন্তত আমি জানি না যে ধারণাগুলোও ভুলে গেছি কিনা।
অথচ আমার স্মৃতিশক্তি বরাবরই বেশ ভালো ছিল, এখন সেটা মনে পড়লে মজাই [আরো পড়ুন]
Read More
রূপান্তর
প্রতিটি রাতে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে, রিনা রেফ্রিজারেটরগুলোকে পরীক্ষা করতে ভুলত না।
রান্নাঘরে দুটো রেফ্রিজারেটর রয়েছে। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত। ওদের একটার দরজায় আবার সুদৃশ্য ‘আইস ডিস্পেন্সার’ আছে। বসার ঘরেও একখানা রেফ্রিজারেটর আছে, টিভিটা তার ওপরে বসানো। আরও একটা সাজানো আছে শোওয়ার ঘরে- ওটা ব্যবহৃত হয় নাইটস্ট্যান্ড [আরো পড়ুন]
Read More
সূত্র
ওটারকিয়ান যানটি নিজেদের গ্রহে ফেরার জন্য লম্বা যাত্রাটা শুরু করার ঠিক দশ মিনিট আগে খুনটা হয়েছিল। আর খুনের ব্যাপারটা জানা গেল যাত্রা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যেই। খুনি এক দুর্বিনীত পাহাড়ি যে এই অভিযানে একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগ দিয়েছিল রক্ষীর পদে। সে নিজেই সার্জেন্টের কাছে নিজের কাজের বড়াই করছিল।
হাসতে হাসতে বলছিল, “ব্যাটা একটা [আরো পড়ুন]
Read More
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে (There Will Come Soft Rains)
আগস্ট ২০২৬
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে
বসবার ঘরের কণ্ঠঘড়ি গান গেয়ে চলেছে। টিক টক, সেভেন ও’ক্লক। টিং টিং, ঢংঢং। ভোর হল। দোর খোলো। খুকুমণি জাগো রে। এমন ভাব করছে, যেন কেউ এমনিতে উঠবে না।
সকালের বাড়ি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ঘড়ি টিকটিকিয়ে চলেছে। শূন্যতার ভেতরে নিজের শব্দের প্রতিধ্বনি নিজেই করছে। সাতটা নয়—প্রাতরাশ হয়। সাতটা দশ—পড়তে বোস।
রান্নাঘরে [আরো পড়ুন]
Read More
আফ্রিকার তেপান্তর (The Veldt)
“জর্জ, বাচ্চাদের খেলাঘরটা একবার দেখবে?”
“কেন? কী হয়েছে?”
“তা ঠিক জানি না।”
“তাহলে?”
“একবার দ্যাখোই না। না পারলে সাইকোলজিস্ট ডাকো।”
“বাচ্চাদের ঘর দেখে সাইকোলজিস্ট কী করবে?”
“কী করবে সে তুমি খুব ভালোই জানো।” রান্নাঘরের স্টোভটা আপন মনে গুঞ্জন তুলে চারজনের রাতের খাবার রাঁধে। সেদিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে জর্জের স্ত্রী।
“খেলাঘরটা আগের চাইতে কেমন যেন আলাদা হয়ে গেছে।”
Read More
যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
মূল গল্প: The Day Time Stopped Moving
১
ঠান্ডা মাথায় এ কাজ করার লোক ছিল না ডেভ মিলার। খবরের কাগজে যেমন মাঝেমধ্যেই দেখা যায় সংসারের জ্বালায় মানুষ আত্মহত্যা করছে, সেরকম বিষাদগ্রস্ত মানুষ একেবারেই ছিল না সে। কিন্তু সেদিন যে কী হল, পাঁড় মাতাল হয়ে মিলার বাড়ি ফিরেছিল গজরাতে গজরাতে, আর ওর রিভলভারটাও সেদিন গর্জে উঠেছিল। বেসিনের গায়ে দাঁড়িয়ে নিজের [আরো পড়ুন]
Read More
ঘূর্নিপাকের হাল হকিকত
মূল গল্প: “The Seventh Voyage”, যা “The Star Diaries” গ্রন্থের অন্তর্গত।
সোমবার, ২রা এপ্রিল, আমার মহাকাশ যান বিটলজুস নক্ষত্রের পার্শবর্তী অঞ্চলে ভেসে চলেছে। এমন সময়ে একটা সিমবিচির কাছাকাছি আকৃতির আকাশপ্রস্তর আমার রকেটের খোলে এসে ধাক্কা মারল ও আমার চলন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তো বিগড়ে গেলই, উপরন্তু আমার রকেটের দিক নিয়ন্ত্রণকারি হালটাও ক্ষতিগ্রস্ত [আরো পড়ুন]
Read More
পরীক্ষা দিল পার্ক্স
মূল গল্প: “The Test”, যা “Tales of Prix the Pilot” গ্রন্থের অন্তর্গত।
“ক্যাডেট পার্ক্স!”
বুলপেন-এর চিৎকারের এক ধাক্কায় পার্ক্সের দিবাস্বপ্নটা ভেঙ্গে পুরো চুরমার হয়ে গেল। সবেমাত্র দুই-ক্রাউনের সেই কয়েনটা তখন ওর চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। যেটাকে ও পুরনো একটা হাফ প্যান্টের চোর-পকেটে ঢুকিয়ে লকারের একদম নিচে গুঁজে রেখেছিল। আহা, সেই চকচকে ঝনঝনানো রুপোর [আরো পড়ুন]
Read More
বারো নম্বর সড়কে যা ঘটেছিল
An Incident on Route 12
James H. Schmitz
পর পর কতকগুলো তীক্ষ্ণ ঠুংঠাং আওয়াজে যখন ফিল গার্ফিল্ডের চটকা ভেঙে গেল, তখন সে ছিল ছোট্ট শহর রেডমন থেকে তিরিশ মাইল দক্ষিণে বারো নম্বর সড়কে। আওয়াজগুলো আসছিল প্যাকার্ডের বনেট থেকে।
তখনই গাড়ির গতি কমতে শুরু করেছে। প্রাণপণে অ্যাক্সিলারেটারটা পিষে ধরেও গার্ফিল্ড যখন মোটর ইঞ্জিন থেকে কোনো সাড়াশব্দ টের পেল না, তখন একটা [আরো পড়ুন]
Read More
দিলবাহাদুরের বাড়ি ফেরা
(ডিলমন ডিলা উগান্ডার একজন কল্পবিজ্ঞান লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। Braveheart’s Homecoming নামে তাঁর এই গল্পটি মিথিলা রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছিল)
বনের উপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে মনের মধ্যে হাজারো স্মৃতি ভিড় করে এলো। সে ভেবেছিল এতদিনে সব বোধ হয় ভুলে গেছে। কিন্তু একে একে ছবির মতো তার শৈশবের নানা স্মৃতি মনের মধ্যে জেগে উঠল। সব স্মৃতি সুখের নয়। [আরো পড়ুন]
Read More
শ্বেত মৃত্যু
মূল গল্প: The White Death, যা Mortal engines গ্রন্থের অন্তর্গত।
অ্যারাজেনা গ্রহে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল মাটির নীচে। এর কারণ তার একেশ্বর সম্রাট মেটামেরিক; যিনি নিরক্ষীয় অঞ্চলের পুরো তিনশো ষাট ডিগ্রি জুড়ে ছিলেন, আর তার ফলে নিজের রাজত্বকে ঘিরে ছিলেন কেবলমাত্র শাসক হিসেবেই নয় ভিত্তি ও ঢাল হিসেবেও; চাইতেন তার অতিপ্রিয় প্রজা এন্টেরাইটদের [আরো পড়ুন]
Read More
গোল মাথা ব্যারনের কাহিনি
১
কারও কারও হয়তো মনে আছে যে ১৮৭৮ সালের জুলাই মাসে জেনারেল ইগনাটিফ বাডেন শহরের বিখ্যাত বাডিশার হফ হোটেলে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন। সেই সময়ের সংবাদপত্রগুলো খবর করেছিল যে মহামান্য জ়ারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি শারীরিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য তাঁকে বাডেনে আসতে হয়েছে। কিন্তু ইউরোপের রাজনৈতিক ব্যাপারে [আরো পড়ুন]
Read More
মোক্সনের নিয়ন্তা
‘তুমি কি রসিকতা করছ? নাকি সত্যিই বলতে চাইছ যে একটা যন্ত্রও ভাবনাচিন্তা করতে পারে?’
আমার এই প্রশ্নের জবাব দেবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে মোক্সন একাগ্র চিত্তে একটা লোহার শলাকা হাতে ফায়ার প্লেসের ঝিমিয়ে পড়া জ্বলন্ত কাঠকয়লার টুকরোগুলোর পরিচর্যা করতে লাগল। সেগুলোও বেশ গনগনে হয়ে উঠে তার পরিচর্যার প্রতিদান দিলো। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার মধ্যে এই পরিবর্তনটা [আরো পড়ুন]
Read More
আলো পড়ে যেখানে
এবড়োখেবড়ো জমি পেরিয়ে ছুটছিল ছেলেটা। তার বুটের সঙ্গে ঠোকর খেয়ে ইতিউতি ছিটকে যাচ্ছে ছোট ছোট টুকরো পাথর। কপাল আর গলা বেয়ে নামছে ঘাম। অস্তগামী সূর্যকে পিছনে ফেলে বাসায় ফিরছে উড়ন্ত পাখির ঝাঁক। কিন্তু কোনও কিছুর দিকে নজর নেই তার। কতদূর যাওয়ার আছে? কীসের টানে এই দৌড়? কার কাছে পৌঁছোতে চাইছে ও? কিচ্ছুটি জানা নেই ওর। কিন্তু ও জানে, পৌঁছতে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহরী
কিছুটা সময়ের জন্য খুদে যন্ত্রটা থমকে দাঁড়াল রাস্তার মাঝখানে। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিয়ম মেনে এতকাল সে যে রাস্তায় অন্যান্য যন্ত্রদের মতো টহলদারি করে এসেছে ঠিক সেখানে। রোগ সংক্রমণের বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওরই মতো আরও খুদে খুদে যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যাতে তারা সংক্রমণের হার নির্ণয় করতে পারে। তাদের যদিও সেই সমস্ত পরিস্থিতির [আরো পড়ুন]
Read More
পরীক্ষা
‘প্রথম টাইম মেশিন, ভদ্রমহোদয়গণ।’ গর্বের সঙ্গে তার দুই সহকর্মীকে জানালেন প্রোফেসর জনসন, ‘সত্যি বলতে কী, এটি ছোট আকারের এক পরীক্ষামূলক মডেল। তিন পাউন্ড, পাঁচ আউন্সের কম ওজনের জিনিসের ক্ষেত্রেই এটা শুধু কাজ করবে। তাও অতীত বা ভবিষ্যতে বারো মিনিটের মতো দূরত্ব পর্যন্ত। তবে এটা কাজ করবে।’
ছোট আকারের মডেলটি দেখতে ওজন মাপার ছোট যন্ত্রের মতো। পার্থক্য [আরো পড়ুন]
Read More
এ তুমি কেমন তুমি
জিল হেরিকের সুন্দর নীল চোখদুটো জলে ভরে উঠল। অব্যক্ত এক যন্ত্রণায় নিজের স্বামীর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, ‘জঘন্য মানুষ তুমি একটা।’
স্বামী লেস্টার হেরিক কিন্তু নিজের হাতের কাজ থামালো না। টেবিলের উপর কাগজের স্তূপ থেকে যতরকম নোট আর গ্রাফ ছিল সেগুলো বেছে বেছে সাজিয়ে রাখছিল।
‘জঘন্য কথাটা মূলত জাজমেন্টাল শব্দ একটা।’ লেস্টার ঠান্ডা গলায় বলল, [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রমাতা
সেই রাতে তাঁর ছেলেই ছিল প্রথম নক্ষত্র।
সেই চৈত্র রাতে তিনি একটা হাত বুকে রেখে, একা, তাঁর বাড়ির বাগানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন— সামনের মাঠটা থেকে তাঁর ছেলে দক্ষিণের আকাশে উঠে গেল— উঁচু আরও উঁচুতে উঠতে উঠতে একেবারে আকাশের মাথায় পৌঁছে সে নামতে থাকল। নামতে নামতে শেষে উত্তর দিগন্তের কালো অন্ধকারে হারিয়ে গেল— তাকে আর দেখা গেল না। আচ্ছা, সে কি এখন [আরো পড়ুন]
Read More
সাদা জাহাজ
আমি বেসিল এলটন। আমি নর্থ পয়েন্টের বাতিঘরের বাতিওয়ালা। আমার আগে আমার বাবা, আমার ঠাকুর্দা সকলেই এইখানে বাতিওয়ালা ছিলেন। পাড় থেকে অনেকটা ভেতরে পিছল পাথরের বুকে ধূসর বাতিঘরটা একলা দাঁড়িয়ে থাকে। পাথরগুলো জোয়ার এলে জলে ডুবে যায়। ভাটার সময় নজরে পড়ে। বাতিঘরের পেছনে ছড়িয়ে থাকা সমুদ্রের বুকে সাত সাগরের তিন মাস্তুলের পালতোলা [আরো পড়ুন]
Read More
ডলি
রবিবার ডলির যখন ঘুম ভেঙেছিল, তখন ওর গায়ের রং শ্যামলা আর কোমরছাপানো ঢেউখেলানো চুল ছিল। মঙ্গলবার যখন ঘুম থেকে উঠেছিল, তখন আবার ওর গায়ের রং ফুটফুটে ফর্সা, চুল লাল। কিন্তু বৃহস্পতিবার— সেদিন ওর চোখ ছিল নীল, চুল কুচকুচে কালো, আর হাতগুলো লাল, রক্তে।
দামি জিনিসে ঠাসা বসার ঘরটার সবকিছু ধবধবে সাদা আর সোনালি রঙের, একমাত্র ব্যতিক্রম [আরো পড়ুন]
Read More
কথক
অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, কিংবা অত্যধিক সংবেদনশীল হওয়ার একটা সমস্যা হল নানারকম ভিন্নধর্মী চিন্তার ভিড় প্রায়শই মনের গলা টিপে ধরে; কল্পনার সহজ, অবাধ উড়ান গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একজন কল্পনাপ্রবণ লেখক হয়ে ব্যাপারটা জোন্সের মোটেও অজানা নয়, তবে এটাকে আটকানোর বিশেষ চেষ্টাও সে করে না। কারণ আর কিছুই না; নিজের মনকে কোনও একটাই অনুভূতিতে [আরো পড়ুন]
Read More
বোক্কো-চান
এক সুরা-সুন্দরীর কাহিনি, যার হৃদয়টা মোটেও সোনায় মোড়া ছিল না
রোবটটাকে রীতিমতো একটা নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন বলা যায়। সে একটা মেয়ে রোবট, হোক-না কৃত্রিম, তাকে বানানো হয়েছিল একেবারে তিলোত্তমার মতো যত্ন করে। একটি সর্বাঙ্গসুন্দর নিখুঁত আকর্ষণীয়া রমণী হিসেবে গড়ে তুলতে যা-যা প্রয়োজন, সবকিছু মাথায় রাখা হয়েছিল তাকে বানানোর সময়ে। [আরো পড়ুন]
Read More
প্রেতাবিষ্ট প্রাসাদ
শরৎকালের এক শব্দহীন, আভাহীন, ছায়ামায়ার দিনে ঘোড়ায় চেপে সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছেছিলাম ‘আশার প্রাসাদে’। সারাদিন দেখেছি আকাশ থেকে ঝুলে পড়া রাশি রাশি কালো মেঘ। যেন বুকের ওপর চেপে বসেছিল। দেখেছি প্রান্তরের ওপর দীর্ঘ পথ— অসাধারণ নির্জন— খাঁ-খাঁ করছে দিগ্দিগন্ত। এত কষ্টে তেপান্তর পেরিয়ে এসে দেখলাম, ‘আশার প্রাসাদ’ও বিরস বদনে তাকিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
গোরস্থান হল পৃথিবী
মৃত্যু আর কি এমন খারাপ? আসলে এর প্রচারটাই ঠিকমতো হয়নি কখনও।
সমস্যার সূত্রপাত হিসেব রাখার নতুন যন্ত্রটা থেকেই হয়েছিল। একটা ট্রানজিসটর পুড়ে গেছিল বা ওই দাঁতওয়ালা চাকতিটা দু’ঘর পিছলে গেছিল। তাতেই ভুলটা হল, দশমিকটাও দু’ঘর পরে গিয়েই বসল। এটাই বিচিত্র যে পশ্চিমের অত বড় কফিন প্রস্তুতকারী সংস্থা হয়েও ভুলটা কিন্তু কীভাবে যেন এতগুলো মানুষের চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
শিশুটি – সাইমন রিচ
এ তো জানাই ছিল, শিশুটি এলে বেনের অফিস খানা নার্সারি হয়ে উঠবে।
সাধের লেখালেখির রুমটিকে মিস করবে বেন, কিন্তু সে জানে, তুলনামূলকভাবে ওটা একখানা ছোট বলিদান। ওর স্ত্রী সু গত দু’বছর ধরে পেট ফাঁপিয়ে গ্যাস হওয়া সব ভিটামিন নিচ্ছে আর যোনিতে এক বুড়ো পোলিশ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের খোঁচাখুঁচি সহ্য করে যাচ্ছে। বেচারিকে এমনকী বেনাড্রিল আর ভোদকা মার্টিনিও [আরো পড়ুন]
Read More
কাল-করোটি – ফিলিপ কে. ডিক
“কাজটা কী? সেরকম হলে ভেবে দেখতে পারি।” কনজার নড়েচড়ে বসল।
নিস্তব্ধ ঘরে অপেক্ষমান মানুষগুলির প্রতি জোড়া চোখ এখন কয়েদীদের আধময়লা পোশাক চাপানো কনজারের ওপর নিবদ্ধ।
বক্তা একটু ঝুঁকে বসলেন।
“জেলে ঢোকার আগে তোমার বেআইনি কাজগুলো থেকে তো ভালোই কামাচ্ছিলে। আপাতত এখন তোমার কাছে ফুটো কড়িও নেই। তা ছাড়া, এখনও প্রায় বছর ছয়েক হাজতবাস বরাদ্দ আছে তোমার।”
Read More
রাতের প্রহরী – জেমস ইঙ্গলেশ
অতি তীব্র শক্তির স্রোতে মুহূর্তে সৃষ্টি হল সত্ত্বা। জড় পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ জেগে উঠে সে চেয়ে দেখল নিজের অন্তরের ও চারপাশের জগৎটার দিকে। কিছুক্ষণ নিজের অতল স্মৃতির গভীরে তলিয়ে গেল সে। বুঝল যে এটা তার জন্মমুহূর্ত নয়, আসলে বহু যুগ ঘুমিয়ে থাকার পর এখন তার ঘুম ভেঙেছে। তার বিশাল স্মৃতির ভাণ্ডারের অধিকাংশের মানে সে বুঝল না গোড়াতে, ক্রমশ সে বোঝবার [আরো পড়ুন]
Read More
সাত স্বপ্নের রাত
এ কাহিনি আমার ছোটবেলার। সেদিন বুঝিনি স্বপ্ন সম্রাট আমাকে কী বলেছিলেন? বড় হয়ে অনুভব করেছি সে কথার মর্মার্থ। ছোটবেলায় আমি খুবই স্বপ্ন দেখতাম। সে সব স্বপ্নের সঙ্গে এতটাই একাত্ম হয়ে যেতাম যে প্রায় দিনই বিছানা থেকে পড়ে যেতাম। নানা রকম স্বপ্ন দেখতাম। তার কোনওটাই আমার মনে নেই। কিন্তু টানা সাতদিন ধরে দেখা একটা স্বপ্নের খুঁটিনাটি এখনও আমার মনে গেঁথে বসে আছে। [আরো পড়ুন]
Read More
সরণি সরেনি কেন?
সে দিন যেটা স্বপ্ন বলে ভেবেছিলাম, আসলে সেটা সত্যি সত্যিই ঘটেছিল। রাস্তা কখনও চলতে পারে ভ্রমেও ভাবিনি, সেই দেখলাম, হুবহু অজগর সাপের চলা। কড়ি বরগায় ঠোকাঠুকি করতে করতে সঙ্গে চলেছে লাইন বেঁধে বাড়িঘর। কখন আমার ঘুম ভেঙেছে ওরা বুঝতে পারেনি, খেয়াল হওয়া মাত্র যে যেখানে ছিল চুপচাপ দাঁড়িয়ে গেল। তাই হ্যারিসন রোডের বাড়িগুলো একটু হেলানো আছে লক্ষ করবেন। সবগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
ঘুমের দেয়াল পেরিয়ে
মাঝেমাঝেই স্বপ্নেরা যে কত গভীর অর্থ বয়ে আনে সে-নিয়ে বোধ হয় বেশির ভাগ লোকই কখনও ভেবে দেখে না। কোন অজ্ঞাত দুনিয়ায় স্বপ্নের জন্ম হয় তা নিয়েও কৌতূহল খুব বেশি মানুষের হয়তো নেই। যদিও ফ্রয়েড অন্য কথা বলবেন, তবু এটা ঠিক যে জাগ্রত দুনিয়ায় আমাদের যে-সব অভিজ্ঞতা প্রতিমুহূর্তে হয়ে চলেছে, বেশির ভাগ স্বপ্নই তার একটা হালকা, কাল্পনিক রূপ।
তবু, কিছু কিছু স্বপ্ন আসে, [আরো পড়ুন]
Read More
ঘর
পুরানো বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে নীরা উচ্ছসিত হয়ে উঠল, ‘দেখ শুভ, যেখানে আমি জন্মেছিলাম এ বাড়িটা এক্কেবারে সে রকম। সেইরকম গাড়িবারান্দা, বড় বড় জানলা, দরজা, এক্কেবারে সেই রকম।’
নীরার স্বামী শুভ, নীরাকে সেই ছোটবেলা থেকে চেনে। সে জানে নীরাদের বাড়িটা মোটেই এমন ছিল না। কিন্তু সে প্রতিবাদ করল না। বরং বলল, ‘হ্যাঁ নীরা, বেশ মিল আছে বটে। চল ফেরা যাক।’ এরপরই কিচ্ছু [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্ভুত অর্কিড
অর্কিড এমনই একটা ফুল, যা কেনার জন্যে পাগল হতে হয়, কেনার পরেও পাগল হয়ে থাকতে হয়। একটু একটু করে পাপড়ি মেলে ধরে ফুল যতই ফুটতে থাকে, রং আর শোভা ততই মনকে মাতাল করে দেয়। নব নব আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে হয়।
এ নেশা পেয়ে বসেছিল ওয়েদারবার্নকেও। অর্কিড জমানোর বাতিক তাকে নিত্যনতুন উত্তেজনার খোরাক জুগিয়ে গেছে। সারাজীবনটাই তার উত্তেজনাবিহীন। [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লাউন – আতংক
ঊনত্রিংশ শতাব্দী। ক্লাউনরাই এখন জগৎ শাসন করে। পৃথিবী বর্জন করেছে টেকনোক্রেসিকে। টেকনোক্রেসিই এই পৃথিবীতে মারাত্মক সব প্রাণঘাতী অস্ত্রের জন্ম দিয়েছে যা একসময় এই পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। দুনিয়া আজ তাই দুটো সমান্তরাল ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর একটা অংশ শাসন করে কিং ক্লাউন আর অন্যটা রেক্স করিডন। কিং ক্লাউন তাঁর প্রাণোচ্ছল স্বভাবের জন্য পরিচিত। [আরো পড়ুন]
Read More
আকাশ-গঙ্গার মুলুকের তিনটি গল্প – তারার থেকে তারায় ঘুরে বেড়ানোর যুগের উপকথা
টিপি-পাখি হেঁকে উঠল, ‘শোনো!’
কুম্বজা তারামন্ডলের, জেহানা গ্রহের সারস মানুষের একটি লোককথা।
সে অনেক দিন আগের কথা। মানুষ তখন সারস সমতলের উর্বর নদী উপত্যকায় সবে বসবাস করতে শুরু করেছে। সেখানে একটি টিপি পাখি ছিল। সে সময়ে টিপি পাখিরা শুধুমাত্র আজকের মতো কৌতুহলীই ছিল না, তারা কথা বলতেও পারত। তারা মানুষের বাড়ি-ঘর-দোরের কাছাকাছি নদীর তীরে বসে বসে সারাদিন ধরে [আরো পড়ুন]
Read More
মেরিলিন
“তুমি হলে গিয়ে একখানা যন্ত্র।” রেইন অরবিসন বলল, বর্মে ঢাকা মুঠোখানা ওর সামনের ল্যাব বেঞ্চের ওপর ঘুঁষিয়ে। “কাজেই আমি যা বলব তাই তোমাকে করতে হবে।”
ও কিন্তু তখনও নিজের মুখ ঢেকে রাখা হাতদুটি সরায়নি।
“থামাও এসব!!!”
“আমি দুঃখিত”, ফুঁপিয়ে উঠে বলল মেরিলিন। চুমকি শলমা দেওয়া পোশাকের নীচে তার নিখুঁত কাঁধদুটি কেঁপে কেঁপে উঠল। “মিস্টার অর্বিসন, আমি সত্যি [আরো পড়ুন]
Read More
মাংসজীব
–ওরা মাংসের তৈরী।
–মাংস? বলো কী?
–হ্যাঁ মাংস। মাংস দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ওদের।
–আজব কাণ্ড! মাংস দিয়ে তৈরী হতে পারে এমন জিনিস?
–তা আর বলছি কী! আমরা ওদের বেশ কয়েকটিকে ধরে নিয়ে এসেছি গ্রহের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ল্যাবে নিয়ে তাদের আগাপাশতলা বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাম তাদের সমস্তটাই মাংসের তৈরী।
–অসম্ভব কথা। মাংস থেকে রেডিয়ো সিগন্যাল [আরো পড়ুন]
Read More
উৎসব
উৎসব
মূল কাহিনি – দ্য ফেস্টিভ্যাল
লেখক – এইচ পি লাভক্র্যাফট
বাংলা অনুবাদ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
শয়তানের কৌশলে, মানুষ অবাস্তবকেও বাস্তব বলে ভুল করে
—লাকট্যানশিয়াস
আমি তখন বাড়ি থেকে অনেক দূরে। পুবের সমুদ্রের জাদু তখন আমাকে ছেয়ে ছিল। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে আমি পাথরের গায়ে তার ঢেউ ভাঙবার শব্দ পাচ্ছিলাম। টের পাচ্ছিলাম,টিলাটার [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য গান
দ্য গান
ফিলিপ কে. ডিক
রূপান্তর : মারুফ হোসেন
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
ফোকাস ঠিক করে নিয়ে টেলিস্কোপের আইপিসে চোখ রাখলেন ক্যাপ্টেন।
‘পারমাণবিক ফিশনই (বিভাজন) দেখেছিলাম আমরা,’ টেলিস্কোপে চোখ রেখে বললেন তিনি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আইপিসটা সরিয়ে দিলেন চোখের সামনে থেকে। ‘কেউ চাইলে নিজের চোখে দেখে নিতে পার। কিন্তু দৃশ্যটা খুব একটা সুখকর নয়।’
Read More
বুদ্ধির্যস্য
বুদ্ধির্যস্য
লেখক – ঋজু গাঙ্গুলী
অলংকরণ – সৌরভ দে
“দেড় হাজার বছর!” আপ্রাণ চেষ্টা করেও নিজের গলা থেকে রাগ আর হতাশা সরিয়ে রাখতে পারছিলেন না হেম। “দেড় হাজার বছর ধরে চলছে পরীক্ষাটা। সবেমাত্র সেটা কিছু সত্যিকারের ফলাফল দিতে শুরু করেছে। তখনই সেটা এভাবে থামিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি এরকম কিছু করতে পারেন না কম্যান্ডার!”
“যায়।” শক্ত গলায় বলেন গোরাম। “এবং আমি পারি।”
Read More
আতঙ্ক সেই সংকেত
আতঙ্ক সেই সংকেত
মূল রচনা – গেলর্ড সাবাটিনি
বাংলা অনুবাদ – সৌমেন চ্যাটার্জি
অলংকরণ – সৌমেন চ্যাটার্জি
আমার নাম জেমস কার্টিস। পেশায় আমি একজন সাংবাদিক। দাঁড়ান… দাঁড়ান, এখুনি উইকিপিডিয়া খোলার দরকার নেই। কারণ আমি যে পত্রিকার সাংবাদিক, হাতে গোনা কিছু মানুষ সেই কাগজ পড়েন। তবে হ্যাঁ, যারা এই কাগজের পাঠক তাদের কাছে এর কদর বেশ ভালোই। কাগজটার [আরো পড়ুন]
Read More
ওটা ভালোদের জায়গা নয়
ওটা ভালোদের জায়গা নয়
লেখক – প্রতিম দাস
অলংকরণ – প্রতিম দাস
অন্ধকার ঘরে একটা মোমবাতি জ্বেলে উইজা বোর্ডের সামনে একা বসেছিল অজয়। ‘হে আত্মাগণ কেউ কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো? কিছু একটা সংকেত দেখাও যাতে আমি কাজলের সঙ্গে কথা বলতে পারি। একটা কিছু চিহ্ন দাও। প্লিজ! প্লিজ!!’
গোটা তিনেক সজোরে ধাক্কা মারার শব্দ শোনা গেল কোথাও।
টানটান হয়ে বসলো অজয়। ‘তুমি [আরো পড়ুন]
Read More
ইনটু দ্য স্টর্ম
আর্মির পায়ের শব্দ পেয়েই আনোয়ার সচকিত হয়ে উঠলেন। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক। কারণ এই সময়ে হয় তারা আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করতেই আসছে, নয়তো তার সঙ্গে যোগ দিতে!
মস্ত জানলার ওপরে তুষারঝড় আর বৃষ্টিপাতের অবিশ্রান্ত শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কাচের শার্সির বাইরে তাকালেই চোখে পড়ে আকাশ ফালাফালা করে দেওয়া বজ্রপাত। দূরের পাহাড়ের ওপরে কুণ্ডলী পাকানো মেঘ, বিদ্যুতের আলোয় তার [আরো পড়ুন]
Read More