মহিমবাবুর আতান্তর
বাজার থেকে শুধুমাত্র এক আঁটি নটে শাক কিনে আনতে ভুলে গেছেন বলে মহিমবাবুকে আজ কি হেনস্থাটাই না হতে হল। গিন্নি তাঁকে আটান্নতেই বাহাত্তুরে ধরেছে বলে যাচ্ছেতাই অপমান করলেন। অফিস আসার আগে সকালের বরাদ্দ চা-টা পর্যন্ত দিলেন না। ছেলে তো বরাবর মায়ের পক্ষে, দুজনে যুক্তি করে তাঁকে বহুকাল খরচের খাতায় ফেলেই রেখেছে। ছেলে আড়ালে তাঁকে ‘ওল্ড হ্যাগার্ড’ [আরো পড়ুন]
Read More
শুরু থেকে শূন্য
২১০০ খ্রিস্টাব্দ। চার আলোকবর্ষ দূরের প্রক্সিমা সেন্টাউরি নক্ষত্রের প্রক্সিমা বি গ্রহে এখন হ্যাবিটেবল জোন বা বসবাসযোগ্য স্থান রয়েছে। সেখানকার মাটি পাথুরে। কৃত্রিমভাবে জল আর বায়োস্ফিয়ার বানিয়ে বাতাসে অক্সিজেন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। গাছ লাগানো হচ্ছে, তারা নাইট্রোজেন সার মাটি থেকেই আহরণ করছে। বিরাট কর্মযজ্ঞ। পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানীরা [আরো পড়ুন]
Read More
কল-স্বর
অবিনাশের আপিসে এসেছে অভিলাষ। সাড়ে চারটা পার তখন, ছুটি হব-হব, কিন্তু তখনো অবিনাশের হাত কামাই নেই। তখনো সে নিজের মেশিনে বসে; মেশিনের মতই কাজ করে যাচ্ছে দু’হাতে।
রাশি রাশি আঁক। লম্বা লম্বা যোগ। বড়ো বড়ো হিসেবের ফিরিস্তি। সে সব চক্ষের পলকে দেখতে না দেখতে মেশিনের সাহায্যে কষিত হয়ে কাগজের পিঠে বসিত হচ্ছে। দেখলে তাক্ লাগে।
তাক্-লাগানো [আরো পড়ুন]
Read More
সুশ্রুত
১
ঘুম ভাঙতেই সুশ্রুতবাবুর মনে হল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
উনি অনেকক্ষণ বিছানায় পড়ে রইলেন। সব কিছু যখন ধুয়েমুছে গিয়েছে, তখন নিশ্চয় বাজারহাট, অফিস বাড়ি, কোনওকিছুই আর নেই। ট্রাফিকের ঝামেলা নেই, লোকজনের গালাগাল নেই, ঘেমো ভিড়ে পকেটমারের ভয় নেই, বাজারে সবজির ইলেকট্রিক শক মারা দাম নেই, বসের খিটখিটে মেজাজ নেই, কিচ্ছু নেই।
Read More
নিত্যতা সূত্র
এই ছোঁয়াচে অসুখে জর্জর, আতঙ্কগ্রস্ত শহরের আকাশেও শেষ বিকেলে রামধনুটা শুহার মন ভালো করে দিল। এমনকি এখনও। একান্ত সাময়িক যদিও। সাবান কাচার পর ডেটলে চুবিয়ে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলতে এসেছিল ছাদে। একতলার ঘুপচি থেকে, অন্ধকার ইট বেরোন এবড়োখেবড়ো সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের আকাশটাই একমাত্র সান্ত্বনা শুহার দুর্বিষহ শ্বশুরঘরে। কাপড়গুলো তুলে ওপরে চোখ তুলেই [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতি
ঠিক এই মুহূর্তে ডক্টর শ্রুলের মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন। প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসছে, সেটা হল কেন এই অভিযানে ত্রিশিনার মতো একজন শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ারকে তার সঙ্গে দেওয়া হল। ত্রিশিনা হল তাদের এই মহাকাশ অভিযানের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার। সেই ইঞ্জিনিয়ার যদি একজন শিক্ষানবিশ কেউ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযানটা বিজ্ঞান একাডেমির কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
উড়ান প্রবাহ
(১)
বিজ্ঞানী বিশ্ববসু (আই এন ডি ৪০৮৫ –বায়ো সায়েন্স /বি.বি ২০৮৫)
সাল: ৪১২৫
স্থান: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া
রিমোট কন্ট্রোলের সবুজ বোতামটা টিপতেই চোখের সামনে থেকে গোলাপি আলোর পর্দাটা সরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজারতম রে ওয়ের ধারে তিনলক্ষতম বাসস্থানটি বিজ্ঞানী বিশ্ববসুর। বাসস্থান মানে হাওয়ায় ভাসমান কিছু আলোককুঠুরি। বাইরে থেকে দেখলে [আরো পড়ুন]
Read More
মেরুজ্যোতি
মিসেস উইলসনের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যখন ডোরবেল টিপছি, আকাশটা তখন জ্বলজ্বলে নীল-সবুজে মেশামিশি মেরুপ্রভায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আমি খেয়াল করলাম, ওই উজ্জ্বল আলোর মধ্যে একটুখানি গোলাপির আভাও যেন দেখা যাচ্ছে।
বহু পুরোনো রোবট চাকরটা নড়ে নড়ে এসে যতক্ষণে দরজা খুলল, ততক্ষণে দরজার বাইরে অরোরা দেখে দেখে আমার প্রায় আড়াই মিনিট কেটে গেছে।
Read More
হৃদয়হীনা
সকাল ৯টা। দ্বৈপায়নের আজও মনে হয় লেট হয়ে যাবে অফিসে। স্নান সেরে গায়ে জামা গলাতে গলাতে কোনওমতে টোস্টে জ্যাম লাগিয়ে এক কামড় দিয়েছে কি দেয়নি, দেওয়ালের কোণায় ঝোলানো যোগাযোগযন্ত্রে বিপ শব্দ আর আলো জ্বলা শুরু হল, সঙ্গে যান্ত্রিক কণ্ঠে উচ্চারণ, “ইনকামিং কল ফ্রম মা, প্লিজ রিসিভ।”
“উফ, এই সময় আবার কেন…” বলতে বলতেই থ্রিডি প্রোজেক্টরের আলোটা শূন্যে [আরো পড়ুন]
Read More
ইউটোপিয়া
গভীর রাত।
শহরের প্রধান টাওয়ার ডিজিটাল ক্লকে রাত দুটোর ডিজিট শো করছে লাল দপদপে আলোয়।
সারা শহর নিস্তব্ধ হয়ে আছে। প্রতিটি মানুষ এখন গাঢ় নিদ্রায় আচ্ছন্ন। কুকুরগুলোও এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। শুধু হ্যালোজেন বাতিরা হলুদ আলো বর্ষণ করে যাচ্ছে অবিরাম। কুয়াশা থাকায় আরও রহস্যময় লাগছে আলোগুলো।
ঠিক এই সময় কুয়াশার চাদর [আরো পড়ুন]
Read More
নিধুবাবুর টপ্পা
ভূমিকা
আমি আমার যে অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলব তার প্রধান কুশীলব আমি নই। আমি শুধু ঘটনাটার একটা বৈজ্ঞানিক বা যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছি। প্রথমেই বলে রাখি আমি এই লেখাটা ২০১৫ সালে লিখেছিলাম৷ নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় ছাপানোর চেষ্টা করিনি৷ কয়েকটি মন্তব্য ছাড়া লেখাটির পরিবর্তন করিনি৷
(১)
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা হলেও কিছুদিন আগে একটি [আরো পড়ুন]
Read More
ঢেউ
আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখি আকাশ ছোঁয়ার।
ইকারাসের মতো আমার সেই স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। আকাশে এখন আমি— মহাকাশে। পৃথিবী ঘুমন্ত শিশুর মতো শুয়ে আছে আমার নয় হাজার কিলোমিটার নিচে। সূর্যের প্রথম স্বর্ণাভা আমায় স্পর্শ করল। ভিজিয়ে দিল আমার মুখ, মিঠে ওম ছড়িয়ে দিল আমার ত্বকে, ভাইসরের কাচ পেরিয়ে। সেই প্রতিফলিত কিরণে যেন ঘুম ভাঙল আমার [আরো পড়ুন]
Read More
দেবশিশু
সাল ২১৩৯, হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড নারচারিং সেন্টার (এইচ আর এন সি), মিরশা সিটি
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি, আজকে আপনাদের এই বোর্ডের সামনে কেন উপস্থিত হতে বলা হয়েছে সে সম্বন্ধে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। তাও প্রোটোকলের স্বার্থে আমি গোটা বিষয়টা সংক্ষেপে এই বোর্ডের সামনে তুলে ধরছি।
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি আপনারা দুজন [আরো পড়ুন]
Read More
নিঃশব্দ
ঘুমিয়ে পড়েছে সুমিত। বাইরে বেরিয়ে হাঁটুর সমান উচ্চতার পাহাড়ি পাথরটার উপর বসে পড়ল প্রজ্ঞা। বাড়ির শেষ মাথায় বাগানের মধ্যে রাখা আছে পাথরখানা। এর পরেই শুরু হয়েছে খাদ। খাদের ওপারে সবুজ উপত্যকা। শীতকালে বরফের পুরু চাদরে ঢেকে যায় গোটা জায়গাটা। বর্ষাকালে উপত্যকার মাথায় মেঘ জমে বৃষ্টি নামলে ছোট্ট জায়গাটা হয়ে ওঠে এক টুকরো ল্যান্ডস্কেপ।
Read More
নিদালি আলেয়া
“বউটা পেত্নীর মতন কাঁদতে কাঁদতে হাসে।”
পঞ্চার কথা শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল রজতের। ধমকের সুরে বলল, “চ্যাংড়ামি পেয়েছিস। একে শালা এই রাতদুপুরে তদন্তের উটকো ঝামেলা তার মধ্যে তোর আল বা…
“না স্যার। আমি নয় আশপাশের লোকেরা বলে!” মোলায়েম সুরে কনস্টেবল পঞ্চানন রজতকে থামিয়ে দেয়। সে বিগত বারো বছর ধরে পুলিশের চাকরিতে আছে। তৈল মর্দন শিল্পে সিদ্ধহস্ত।
Read More
অসুখ
তারিখ: ১৫ মার্চ, ২৫০০
সময়: দুপুর ৩টে ১০ মিনিট
স্থান: ৬, লিন্ডসে লেহান স্ট্রিট, গ্রেট ব্রিটেন
বাচ্চাটাকে সুন্দর দেখতে। চোখদুটো খুব সরল আর নিষ্পাপ। তবে মুখে একটা দুঃখী-দুঃখী ভাব আছে; দেখলেই মায়া হবে।
এলিজা খুব মিষ্টি করে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার কীসের এত ভয় মাই বয়?”
বাচ্চাটা কোনও উত্তর দিল না। শুধু চোখ বড়-বড় করে এলিজার দিকে তাকিয়ে থাকল।
Read More
মানবিক
আশ্চর্য জ্যাক! এই হোক্কিট-দের নিয়ে তোমরা পাক্কা তিন বছর কাজ করছ, অথচ ওদের উন্নতির জন্য কিছুই করোনি?”
নতুন সুপারভাইজার মাইকেল ওটিনো-র কথা কানে যেতে কারখানার ইনজিনিয়ার তথা হিসাবরক্ষক জ্যাক নর্টন হাতের নকশাটা থেকে মুখ তুলে আড়চোখে তার দিকে তাকাল। নতুন এই আফ্রিকাজাত সুপারভাইজারকে সে একেবারেই পছন্দ করে না।
“কী ধরনের উন্নতি?” সে সতর্কভাবে প্রশ্ন করল।
Read More
দ্রোহ
প্রারম্ভিকপর্ব
টার্টারাসের ধূলিময় প্রান্তর। আকাশ জুড়ে ঝুলে থাকা লোহিত নক্ষত্রের লালচে আলোয় লাল হয়ে থাকে ধুলোর গভীর স্তর। হাওয়ার সামান্য ঝাপটেই ধোঁয়ার মতন কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ে যায় চারপাশেট্যাঁকাঠের তক্তা ঠুকে বানানো এই হতশ্রী কুটিরের প্রতিটি আসবাবের ওপরেও ধুলোর প্রলেপ। ধুলো জমেছে [আরো পড়ুন]
Read More
অতিউল্কা
“মা আআআআআআ…….”
রবিবার। অন্তিমাদেবী বেশ জাঁক করে একটা সুস্বাদু প্রাতরাশ বানাচ্ছিলেন আজকে। নওরোজার চিৎকারে চমকে উঠে খুন্তী হাতেই মেয়ের ঘরের দিকে দৌড় দিলেন তিনি। আজকাল কী যেন হয়েছে নওরোজার। মাত্র ন–বছরের মেয়ে, ইতিমধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রোজ! রাতে ভালো করে ঘুমোতে পর্যন্ত পারে না সে, বারবার স্বপ্ন দেখে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে ‘বাবা–মা’র ঘরের মধ্যে।
Read More
থামিনের কান্না
মরিয়ম দুপুরের খাবারের মেনু কী হবে জানার জন্য দেবুকে অনেকক্ষণ ধরেই মোবাইলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু নট রিচেবল আর নট রিচেবল ছাড়া অন্য কোন সাড়া নেই। কি যে হয় নেটওয়ার্কের? বেশ বিরক্ত হয়েই টিভিটা ছেড়ে বসলো সোফায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কেবল নেই। অদ্ভুত তো! বিরক্ত মরিয়মের এবার [আরো পড়ুন]
Read More
ডিলিট
গাড়িটাকে কার পার্কে রেখে ব্যাকভিউ মিরারে নিজেকে একবার দেখে নিল জুলেখা। কপালে ঝুলন্ত চুলের গোছাকে একটু ছড়িয়ে রুমাল দিয়ে চোখের পাতা আর গাল একবার আলতো করে মুছে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল সে। রনি ওর কপালের ছড়ানো চুল নিজের হাতে সরিয়ে দিতে পছন্দ করে। বেশ কয়েকমাস আগে সে ওর অগোছালো চুল দেখে মন্তব্য করেছিল ‘কেয়ারলেস বিউটি’। কথাটা ক্লিশে হলেও মনে রয়ে গেছে জুলেখার।
Read More
ধূসর রঙিন
অনুরাগের ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল একটা দুঃস্বপ্নে। এই রোজকার অফিসের ইঁদুর-দৌড়, যানজট, ধুলো কাদা আর সবচেয়ে বড় কথা তার নিঃসঙ্গ জীবনের বাকি দিনগুলোর এই একঘেয়েমি সিলেবাস। মৃত্যুও তো একটা পরীক্ষাই, মুক্তি পাওয়ার! চাইলেও সবাই পারে না।
এই এক বছরে যেন তার জীবন থেকে সব রং, মুছে গিয়েছে ধীরে ধীরে, কালকের সেই গোধূলির ম্লান আলোটার মতোই।
কাল বিকেলে [আরো পড়ুন]
Read More
সমুদ্রের গুপ্তকথা
কি বলছ জেঠু সমুদ্রের নীচে নদী?” শাওন অবাক!
সবাই বসেছে বিখ্যাত ওসানোলজিস্ট শঙ্কর সেনগুপ্তকে ঘিরে। তিতিরের জ্যেঠু উনি। বিয়েসাদি করেননি। মাঝে মাঝে ছুটি কাটাতে আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। তখনই তিতির আর ওর বন্ধুদের জমায়েত হয় গল্পের আশায়। তিতিরের বাড়ির সবাই খুব ফ্রি। জমিয়ে আড্ডায় তাই কোনও কিছু বাধা নিষেধ নেই। সবাই “বুড়ো সাধু” নিয়ে বসেছে গলায় ঢালবে বলে।
Read More
লেটারবক্স
দুপুর দুটোর ট্রেনটা ধরে ভালোই করেছিল মৃদুল। একটা সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় দিনের আলো থাকতে থাকতে পৌঁছানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। গ্রামের নাম শিউরিয়া। ভারী অদ্ভুত নাম। শুনলেই কেমন যেন শিউলি ফুলের কথা মনে পড়ে। মৃদুল অবশ্য নামটা প্রথম শুনেছিল একজন পোস্টম্যান-এর কাছে।
দিনটা ছিল মঙ্গলবার। অফিস থেকে ফেরার পথে মানিকতলা মোড়ে একটা বিশ্রী জ্যাম-এ [আরো পড়ুন]
Read More
সময়
সোমনাথের বয়েস মাত্র বাইশ। এই বয়েসে সব কিছুই বাড়তি থাকে মানুষের। শক্তি, উৎসাহ, আবেগ। সোমনাথ একটি দুর্দান্ত ফান্ডাওয়ালা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেল একতরফা। মেয়েটির নাম অপরা। আলাপ নেই। পাড়ার সবচেয়ে ঘ্যাম বাড়ি হল চৌধুরিদের। চারদিকে প্রকাণ্ড বাগান, টেনিস লন, সুইমিং পুলওয়ালা বাড়ি। সাতখানা গাড়ি রাখার মতো প্রশস্ত গ্যারেজ। [আরো পড়ুন]
Read More
সাত্যকি সোমের বন্ধুরা
মধ্যভারতের এক জনবিরল গ্রামেরও নিভৃত স্থানের এক কুটিরে সকালবেলা উদ্ভ্রান্তের মতো প্রবেশ করল এক মধ্যতিরিশের যুবক। ঘরের একপাশে অনেক যন্ত্রপাতির সামনে চেয়ারে বসে এক বৃদ্ধ নিবিষ্টমনে কাজ করছিলেন। আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘ও গৌতম তুমি। অনেক কাল পরে এলে এবার।’
‘আসব কী করে? জানেন না, বিশ্বব্যাপী এক মারণ ভাইরাস সবাইকে কেমন ঘরবন্দি [আরো পড়ুন]
Read More
ফাটল
চমকে উঠলাম। ঢং ঢং করে ১০টা বাজছে ঘড়িতে। সর্বনাশ! ঠিক ১২টায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে ড. ধ্রুবজ্যোতি রায়চৌধুরীর সঙ্গে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তো নয়, যেন লটারির টিকেট পাওয়ার মতো অবস্থা। গাদা গাদা রিপোর্টার জড়ো হয়েছে। তিল ধারণের স্থান ছিল না বিজ্ঞান ভবনের বড় হলঘরটায়। শুধু কয়েকটা কথা বলতে চায় সবাই। চাঁদে মানুষ বাসোপযোগী এক [আরো পড়ুন]
Read More
ছাল
এখন কেমন লাগছে বলুন তো?
মনীষার হাতের উপর নখ দিয়ে হালকা আঁচড় দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর অমিতাভ সেন। কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম সেরা ডার্মাটোলজিস্ট। সাদা বাংলায় যাকে বলে স্কিনের ডাক্তার।
না স্যার, কোনও সেন্স পাচ্ছি না তো!— বলল মনীষা।
স্ট্রেঞ্জ! এরকম কেস তো দেখিনি আমি আগে! স্কিন তো নর্মাল লাগছে। তাও সেন্স কেন আসছে না?— অনেকটা যেন নিজেরই [আরো পড়ুন]
Read More
অগোচরে
“তুমি তো নিশ্চয়ই কফি খেতে যাবে না?”
প্রশ্নটার মধ্যেই উত্তরটা লুকানো আছে যেন। একটু হেসে মাথা নেড়ে “নাহ্” বলল শিরিন। সিনিয়ররা চারজন ওর জন্যে অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেল ল্যাবরেটরির কাচের দরজা ঠেলে।
শুক্রবার রাত আটটা। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজ়িজ়ের বারান্দাগুলো এমনিতে সুনসান হয়ে যেত এতক্ষণে। ইটালির ত্রিয়েস্তে শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহর
(১)
আমার সামনে একদিকে দিগন্তবিস্তৃত সফেন নীল জলরাশি, অপর প্রান্তে ধূসর সবুজ স্থলভাগের ক্ষীণ রেখা। আমার জন্মভূমি, আমার স্বদেশ। প্রায় ছ-টি মাসের সুদীর্ঘ জলবাসের পর একটাই প্রতীক্ষা থাকে সবার মনে, ঠিক কবে বাড়ি ফিরতে পারব। শেষের কয়েকটি দিনের অন্তহীন অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরাতেই চায় না। আমরা সমুদ্র যাত্রীরা, একে অপরকে এই বলে আশ্বাস দিই যে আর তো মাত্র [আরো পড়ুন]
Read More
মা
মিসেস ত্রিনিতা হাতের ভেজা প্লেটটা মুছতে মুছতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন। রাস্তায় ইদানীং আর তেমন কেউ থাকে না। নিরাপত্তা রোবটগুলো শুধু নিয়ম করে চৌকি দেয়। গায়ে থাকে স্টাইরোফোমের তৈরি শিল্ড। দেখতে সার্কাসের সঙের মতো হাস্যকর লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই। ম্যাগনেটারের১ ভয়ংকর চৌম্বক তরঙ্গের হাত থেকে বাঁচতে হবে। সেজন্যই এই শিল্ড।
রাস্তায় দুটো [আরো পড়ুন]
Read More
শ্রমিক ধাবা
গ্রাম: চারিদা, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
এপ্রিল, ২০২০
পৃথিবী ধুঁকছে এক ভয়ানক মৃত্যুব্যাধিতে। পুরুলিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামে করোনা অতিমারী এখনও মানুষের শরীরে থাবা বসায়নি। সে আসলে থাবা বসিয়েছে দরিদ্র মানুষের মনের গভীরে। কিছু কিছু ঘরে বিদ্যুৎ নেই বহুদিন। কালো ছায়া আর ঘেমো গন্ধ সেখানে জড়াজড়ি করে বেঁচে আছে। গ্রামের পোড়ো শিবমন্দিরটাও অন্ধকারে ভূতের [আরো পড়ুন]
Read More
ঊর্মিলা
একটা সুদৃশ্য কার্ডবোর্ড আর প্লাস্টিকের তৈরি বাক্সের মধ্যে শুয়ে ঘুমোচ্ছিল সে। টানা আট ঘণ্টা চার্জ দেওয়ার পরে সে যখন আস্তে আস্তে তার কৃত্রিম অক্ষিপল্লব তুলল, আমি তাকালাম তার নীলমণি চোখের দিকে। সেই চোখে ভাষা সেই, নেই প্রাণোচ্ছাস। তারপর, সম্পূর্ণ সচল হয়ে সে বলল, “শুভ রাত্রি, প্রবাল। আমি ঊর্মিলা।’’ তার ঠোঁটের নীচে লুকনো একটা স্পিকার থেকে বেরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
এল ডোরাডো
অরিজিৎ যখন ক্যানেল পার থেকে ফিরছিল তখন রাত এগারোটা বেজে গেছে। রোহনের বাড়িতে এতটা রাত হয়ে যাবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সে। আসলে রোহন কালই কলকাতা চলে যাচ্ছে। একটা নিউজ চ্যানেলের ওয়েব ডিজাইনিং-এর কাজ পেয়েছে সে। এমটেক করেও এতদিন বসেছিল স্রেফ একটা ভালো মনমতো কাজ পাওয়ার জন্যই। নয়তো অনেক ক’টা জবের অফার রোহন পেয়েছিল। যে কাজটা এখন পেয়েছে তার চেয়েও বড় কোম্পানিতে [আরো পড়ুন]
Read More
শ্যাতোয়ান্ত
১. শ্যাতোয়ান্ত
সকালটা প্রায় শেষ যাচ্ছিল যখন মিস্টার শ্যাতোয়ান্ত বলল, “জানালার পর্দা খুলে দাও।”
এতক্ষণ যা মনে হয়েছিল দেয়াল— যাতে সাঁটা ছিল বহু বিমূর্ত ছবি— তা মিলিয়ে গিয়ে দেখা দিল জানালার বাইরে পেঁজা তুলোর মতো বাতাসে তুষার কণার বিচলন। ঘরের ভেতর বাজছিল জোহান সেবাস্টিয়ান বাখের ‘বাতাস’। রাস্তার ওপাড়ে এক বহুতল বাড়ির ২৬তম তলা। ফ্রিজ খুলে কমলার [আরো পড়ুন]
Read More
কৃত্রিম
ক্যাফেতে পৌঁছে একটু এদিক ওদিক তাকাতেই মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে গেলেন আসিফা। যতটা কমবয়সি মনে হয়েছিল ফোনে, ততটা নয়। অন্তত তিরিশ বছর বয়স তো হবেই। চেহারায় কোনও চটক নেই, তবে দেখতে সুশ্রী। ওঁকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিল জ্যোতি। হ্যান্ডশেকের পর ছোট্ট টেবিলটার দুদিকের চেয়ার দখল করল দুজনে।
ভালো করে জ্যোতির দিকে তাকিয়ে দেখলেন আসিফা। রোগা ছিপছিপে [আরো পড়ুন]
Read More
বিধুশেখর
সুমন্তবাবুর মন খারাপ। আজ বিকেলে বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেলেন। চোট খুব একটা লাগেনি। কিন্তু বুঝতে পারছেন একটু সাবধানে চলাফেরা করা দরকার। সুমন্তবাবু থাকেন বেহালা চৌরাস্তার কাছে। আজকাল এখানে রাস্তায় চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একই রাস্তায় মানুষ, সাইকেল, বাস, রিকশা, অটো নিয়ে নিত্য যানজট লেগেই আছে। বাড়ি ফেরার সময় মনে মনে ভাবতে থাকলেন, পড়ে গেলেন [আরো পড়ুন]
Read More
নাল হাইপোথিসিস
‘বুদ্ধিটা কেমন?’ মুচমুচে করে ভাজা ভুট্টার প্লেটটা টেবিলের ওপরে রাখতে রাখতে বলে চার্লি ডিক্সন। শব্দ করে সোডার ক্যানটা খুলে তাতে আয়েশ করে একটা চুমুক দেয় সে, বিশ্রী শব্দে একটা ঢেঁকুর তুলে উত্তরের আশায় তাকিয়ে থাকে পাশে বসে থাকা রিচি গার্নারের দিকে।
পাগলাটে স্বভাবের চার্লি হঠাৎ করেই ছোটখাটো একটি সামাজিক পরীক্ষা করে দেখবে বলে ঠিক করেছে। পরীক্ষাটা [আরো পড়ুন]
Read More
আদম ইভের প্রত্যাবর্তন
অনীশবাবু প্রতিদিন সকালবেলায় লেকে বেড়াতে যান। এটা অভ্যাস করেছেন শুধু শরীরচর্চার জন্যই নয়, ওখানে গেলে বেশ কিছু বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। তারাও অনেকে তাঁরই বয়সী, সদ্য রিটেয়ার করেছে। দু’একজন অল্প বয়সীও আছে। তারাও বেশ ভালো, খুব সম্মান দেয়। যেহেতু কলেজে পড়াতেন, অনেকেই তাঁকে স্যার বলে সম্বোধন করে। এই তো গত টিচার্স ডে তে একজন একটা ব্লু টুথ হেডফোন উপহার দিয়েছে। [আরো পড়ুন]
Read More
ভাঙ্গা গড়ার খেলা
হঠাৎ ছুটতে শুরু করলাম। মহাশূন্যের ভেতর দিয়ে! কেন? জানি না। কোথায় যাচ্ছি তাও জানি না! শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, গ্যালাক্সি কেন্দ্রের দিকে ছুটে চলেছি। ছুটছি তো ছুটছিই; অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছুটছি!
এবার শুরু হল এক প্রচণ্ড টান। সোজা ব্ল্যাকহোলের দিকে। কিন্তু সেখানে তো আমাদের প্রবেশ নিষেধ। গ্রন্থে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া আছে, “তোমরা আমার সৃষ্টির সর্বত্র ভ্রমণ [আরো পড়ুন]
Read More
হামিন অস্ত-উ-হামিন অস্ত
চকচকে জিনিসটাকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল আলেহান।
ফ্যাক্টরির পেছনের মাঠটায় যেখানটা থেকে বড় উঁচু ঢিপিটা শুরু হচ্ছে, তার ঠিক সামনেটায় পড়েছিল জিনিসটা।
দূর থেকে দেখতে পেয়ে আলেহান আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় সেটার দিকে, হাতে ধরা ডিভাইসটাকে বন্ধ করে দিয়ে। “পটার” গেমটা খেলতে খেলতেই সে এতোদূর চলে এসেছে, নাহলে মামি তাদের ফ্ল্যাট থেকে তাকে একেবারেই বেরোতে দেয় [আরো পড়ুন]
Read More
ওঁ
২২২২ সাল। পৃথিবীর সবথেকে নিকটবর্তী কৃষ্ণগহ্বরের কাছে পৌঁছে যাওয়া রেডিয়ো স্যাটেলাইটে একটি অদ্ভুত ডিসট্রেসকল ধরা দেবে। যা পৃথিবীর বাসিন্দাদের হয়তো জানাটা দরকার ছিল। কিন্তু তৎকালীন পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতাসীন সরকার এবং তাদের সহকর্মী ধর্মগুরুরা একযোগে সিদ্ধান্ত নেবে সেই বার্তার সমস্ত রেকর্ড নষ্ট করে দিতে। অবশ্য দাম্ভিক লোকগুলো বুঝতে পারেনি এই ব্রহ্মাণ্ড [আরো পড়ুন]
Read More
বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
“আচ্ছা, আজকে কি ঝড় আসবে?”
“এই আপনি কে বলুনতো? সেদিন থেকে ফোন করে করে এই একই প্রশ্ন করে চলেছেন! ইয়ার্কি হচ্ছে? মজা পেয়েছেন নাকি?”
কথাটা বলেই, কান থেকে ফোনটা প্রায় আছাড় মেরে নামিয়ে রাখতে গেলেন গৌরাঙ্গ, কিন্তু রিসিভারটা ক্রেড্লে না বসে, হাত ফসকে সোজা গিয়ে লাগল টেলিফোনের পাশে শোকেসের ওপরে রাখা ইন্দ্র এবং পুলমার বাঁধানো একটি ছবিতে; ফল- ছত্রভঙ্গ। কিছুক্ষণ [আরো পড়ুন]
Read More
ঘনাদার নতুন গল্প – ধোঁয়া
ঘনাদা বললেন ‘ধোঁয়া’।
শিশিরের সিগারেটের টিন থেকে ১১২৭২ নম্বর সিগারেটটা ধার করে, আরাম কেদারায় মৌজ করে হেলান দিয়ে সুখটানের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললেন ‘ধোঁয়া’।
কথা উঠেছিল বাজেট নিয়ে। শিশির বলছিল, ‘এই প্রতিরক্ষা খাতে বছরে ৮০,০০০ কোটি টাকা করে ঢালা হচ্ছে–এতে কার কী লাভ হচ্ছে বল তো? যে দেশে অর্ধেক লোক খেতে পায় না সে দেশে অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, মিসাইল [আরো পড়ুন]
Read More
আঁধার আর ঈশ্বর
শুরুর আগে
ঘুমিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত এক মহাজাগতিক শূন্যতা গ্রাস করেছে তাঁকে।
জগৎ-সংসারের সবকিছু বেঁচে আছে উনার ঘুমের মধ্যেই। যদিও এই সংসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তাঁর।
তারপরেও এই জগৎ গড়ে উঠেছে।
ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি আর দেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্ন। প্রতিটি সৃষ্টিকে নতুন করে পূর্ণতা দিয়ে চলেছে উনার স্বপ্নগুলো। স্বপ্নের মাধ্যমেই প্রতিদিন [আরো পড়ুন]
Read More
ঘনাদার নতুন গল্প – ছিপি
মেসের বসবার ঘরের এই পীঠস্থানের আবহাওয়া ইদানিং বেশ শান্ত। তাস পিটে, লুডো কিংবা দাবা খেলে, এমনকি মাছি মেরেও সময় যেন গলতে চায় না। আর ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার কি অবস্থা তা লুডো কিংবা দাবার মতো খেলার কথা উল্লেখ করা থেকেই নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে। সবই যেন ন: গচ্ছতি। বাড়িটাকে পীঠস্থান কেন বললাম? তা বুঝে নিতে অবশ্য খুব একটা অসুবিধে হওয়ার কথা [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লোরোফিলিয়া
এক নম্বর কাঠপুল থেকে নৈহাটি রোডের একটা সরু শাখা ডানদিকে ঢুকে হিজলি গ্রামে চলে যায়। মোড়টার সামনে একটা মরা অর্জুন গাছ, পাশে ছোট্ট চায়ের দোকান আর ঠিক মোড়ের মাথাতেই চায়ের দোকানের উল্টোদিকে জাকির কাকার বাড়ি। কাকার বাড়ির সামনে হিজলি যাওয়ার রাস্তা, রাস্তার ওপারে ধু-ধু ধানখেত দিগন্তের কাছে এসে খাটের কোনায় গোঁজা বিছানার চাদরের মতো ভ্যানিশ হয়ে গেছে। বাড়ির [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্যানাটিক
পাওয়ার হাউজ থেকে রিচার্জ শেষে বেরিয়ে এল জুজু। তার সোলার ওয়াচে এখন সময় সকাল ১০টা। একটু পরেই তাদের এডুল্যাব শুরু হবে। তার লাল টুকটুকে অটোরোডিতে উঠে আসতেই প্যাক্সি বলল, “যাক আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মতো নিশ্চিন্ত।” জুজু বুড়ো আঙুল তুলে ‘ইয়েস’ বলে রোডির সুইচ অন করতেই চোখের পলকে বাতাসে ভর করে সেটা ছুটে চলল ল্যাবের দিকে। যদিও অটোরোডি তার বয়সী ছেলেদের কাছে খুবই [আরো পড়ুন]
Read More
পুনরাগমনায় চ
সকালবেলা। এভার ঘুম ভেঙে গেল। গুহার ঠিক বাইরে জ্বালা আগুনটা ভোরের দিকে নিভে গিয়েছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। ভাল্লুকের মোটা চামড়াটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিল এভা। তার বেশ মনে পড়ে ছোটবেলায় বেশ কয়েক চাঁদ ধরে এত গরম পড়ত যে ওই দূরের পাহাড়টাও গায়ের বরফের সাদা চাদর খুলে ফেলত। সে সময় এভারও খালি গায়ে ঘুরতেও কোনও কষ্টই হত না। কিন্তু এখন সারাক্ষণই কনকনে ঠান্ডা। মাঝে মাঝে আকাশ থেকেও বরফ পড়ে।
Read More
পিউপা
“এই মুহূর্তে বাংলা তথা ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের চেহারাটা ঠিক কেমন? তারই আভাস মিলবে ২২-২৪ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ ও বাংলার প্রথম কল্পবিজ্ঞান-ফ্যান্টাসি বিষয়ক ওয়েব পত্রিকা ‘কল্পবিশ্ব’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কল্পবিজ্ঞান সমাবেশ ‘ওয়র্কশপস অব হরিবল ক্রিয়েশন’-এ। মেরি শেলির অমর সৃষ্টি ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ প্রকাশের ২০০ বছর উপলক্ষেই এই [আরো পড়ুন]
Read More