জানালা
জানালা
লেখক – যশোধরা রায়চৌধুরী
অলংকরণ – সুমিত রায়
নীরজার ঘুম ভাঙল একদম নতুন একটা জায়গায়। আগে পিছে আশেপাশে কোথাও কিচ্ছুটি নেই। আধখোলা চোখে মিটিমিটি চেয়েও একটা কোনও জিনিস চোখে পড়েনি। তাছাড়া নীরজা তো নীরজার জিনিসদের জানে, চেনে। ও তো জানে ওর সব জিনিস এলোমেলো থাকে। লাট খেয়ে খাটের একপাশে থাকে বিছানার চাদরটা। শুতে যাবার আগে কোনওওমতে সরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
রোঁয়া
রোঁয়া
লেখক – শাম্ব চ্যাটার্জী
অলংকরণ – সুমন দাস
॥১॥
ক্রিং…ক্রিং…। রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে থানার ফোনটা পরিত্রাহি চিৎকার আরম্ভ করলো। হেডকনস্টেবল রামহরি সেই শব্দে টুল থেকে টাল খেয়ে পড়ার মুখে কোনওমতে সামলে নিয়ে, তড়িঘড়ি ফোনের কাছে গিয়ে রিসিভার তুলতে ওপাশ থেকে ত্রস্তস্বরে এক পুরুষকণ্ঠ ভেসে এলো, “হ্যালো, এটা কি শিলিগুড়ি থানা? [আরো পড়ুন]
Read More
আগন্তুক
আগন্তুক
লেখক – অনির্বাণ সরকার
অলংকরণ – অনির্বাণ সরকার
২৩ মে, সাল ২০৪০, রাত ১২ : ৪০ এ.এম। হয়তো আজই আমার শেষ দিন। কাকতালীয়ভাবে আজ আমার জন্মদিনও। দু’বছর আগে পৃথিবী থেকে আমরা তিনজন নভশ্চর ইসরোর এই অত্যাধুনিক মহাকাশযানে রওনা হয়েছিলাম। এখন আমাদের মহাকাশযানটি বৃহস্পতির কাছে এক অজ্ঞাত ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন। সৌরঝড় ও তা প্রতিহত করার বৈজ্ঞানিক [আরো পড়ুন]
Read More
কে তুমি
কে তুমি
লেখক – রণেন ঘোষ
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
শ্রী রণেন ঘোষ জানুয়ারী ১, ১৯৮১
১৫, লিন্টন ষ্ট্রীট,
কলকাতা – ৭০০০১৪
মহাশয়,
আপনার লেখা ‘সময়ের রূপ’ ফেরত পাঠালাম। গল্প হিসেবে ছাপার উপযুক্ত বটে, কিন্তু তবুও ছাপা গেল না। কারণ গল্পটা ঠিক বোধহয় আপনার নয়। ১৯৬২ সালে ‘আশ্চর্য’ পত্রিকায় প্রথম [আরো পড়ুন]
Read More
ডরোথি
ডরোথি
লেখক – অর্ণব দাস
অলংকরণ – সুমিত রায়
আজকাল একদম ভালো লাগছে না শান্তনুর ব্যবহার। যখন তখন জড়িয়ে ধরে। তখন শরীরের প্রতিটা খাঁজে ওর হাত আর ঠোঁট খেলা করে। প্রতিটা রাতে শরীরটাকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিজেকে অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত করতে চায় শান্তনু। হ্যাঁ, সময় সময় ভালো লাগে ব্যাপারটা। কি এক অজানা শিহরন খেলা করে যায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু তাই বলে [আরো পড়ুন]
Read More
রোহিণী
রোহিণী
লেখক – পার্থ সেন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
বাক্যহীন প্রাণীলোক-মাঝে
এই জীব শুধু
ভালো মন্দ সব ভেদ করি
দেখেছে সম্পূর্ণ মানুষেরে;
দেখেছে আনন্দে যারে প্রাণ দেওয়া যায়
যারে ঢেলে দেওয়া যায় অহেতুক প্রেম,
অসীম চৈতন্যলোকে
পথ দেখাইয়া দেয় যাহার চেতনা।
বারেলি থেকে দুধওয়া পৌঁছতে আমার সন্ধ্যে হয়ে গেল। আমার হোটেলটা পালিয়াকালান বলে একটা জায়গায়। অপূর্ব [আরো পড়ুন]
Read More
পোকা
পোকা
লেখক – রাজকুমার রায়চৌধুরী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
১
কমপিউটার টেবিলের তলা পরিষ্কার করতে গিয়ে অংশুমান বাবু পোকাটা প্রথম লক্ষ করেন৷ বিটল্ জাতীয় পোকা৷ অংশুমান প্রথমে ভেবেছিলেন লেডিবার্ড জাতীয় বিটল্৷ কিন্তু লেডিবার্ডের স্পট এটার গায়ে নেই৷ ঝাঁটা দিয়ে পোকাটা তাড়াবার কথা মনে হলেও ভাবলেন থাক৷ পোকাটা দেখতে বেশ টকটকে লাল, [আরো পড়ুন]
Read More
ইলোভাক
ইলোভাক
লেখক – অমিতাভ রক্ষিত
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
১
আমাদের ‘দূরপাল্লার জাহাজ’টা ওয়ার্ম হোল থেকে বেরিয়ে স্পিড কমাল একটু। তারপরে সেটা ডানদিকে সামান্য একটু কাত হয়ে যেতেই ছবিতে হাজার বার দেখা, নীল-সবুজে মেশানো ‘ইলোভাক’-এর গোলাকার অবয়বটা চোখে এল। কী অপূর্ব দৃশ্য! এখানে মহাকাশ আমাদের মতন অত কালো দেখায় না। ‘ইলোভাক’-এর কাছাকাছি অঞ্চলে গ্রহ-নক্ষত্রের [আরো পড়ুন]
Read More
বৃত্ত
বৃত্ত
লেখক – দেবলীনা পন্ডা
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
স্টিয়ারিং-এর ওপর হাত রেখে ঘড়িটা দেখল মেহুল। সাতটা দশ। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টিটা হয়েই চলেছে, ধরার কোনও নাম নেই। আর হবে নাই বা কেন, আজ তেরই অগাস্ট হয়ে গেল। কলকাতাটা এইসময় ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি, রাস্তায় উপচে আসা নর্দমার জল আর প্যাচপেচে কাদায় ভরে থাকারই কথা! তাদের কপালটাই খারাপ। কোথায় ভেবেছিল ডিসেম্বরে [আরো পড়ুন]
Read More
যতিচিহ্ন
যতিচিহ্ন
লেখক – সোহম গুহ
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ভাষা একটা দুস্তর ব্যবধান হওয়ায় মাওরী সর্দারের কথা ক্যাপ্টেন জেমস কুক বুঝতে পারছিলেন না। কিন্তু গ্রামের মাঝে গোটা রাত জ্বলা অগ্নিকুণ্ডের থেকে উঠে আসা পোড়া মাংসের গন্ধ তাঁকে একটা কথাই বলছিল। এখানে মানুষের মাংস মানুষ খায়। গ্রামের আদিম পরিবেশের থেকেও তাঁর মনোযোগ বেশি আকৃষ্ট করেছিল সর্দারের গায়ের বিচিত্র উল্কি।
Read More
বিষ পাহাড়
বিষ পাহাড়
লেখক – অরিন্দম দেবনাথ
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
রুনিত পাহাড়ের খাড়া পাকদণ্ডী বেয়ে মহারাজ রভিরান বর্মা একাকী চলেছেন পায়ে হেঁটে। আকাশে উজ্জ্বল হোলির চাঁদ। প্রায় ন্যাড়াপাহাড়ে মহারাজ রভিরানের পূর্বপুরুষরা পাথরের গায়ে সিঁড়ির মতো ধাপ কাটিয়েছিলেন বহু যুগ আগে। এই পাথুরে সিঁড়ি গিয়েছে পাহাড় শীর্ষে এক গুহা পর্যন্ত। এই গুহার অভ্যন্তরে [আরো পড়ুন]
Read More
মহাদ্রুম
লেখক – সাগরিকা রায়
অলংকরণ – সুমন দাস
পালঙ্কের সূক্ষ কারুকাজের দিকে তাকিয়ে সময় কেটে যায়। ইদানিং বাড়ির লোকজন সময় পায় না। এ ঘরে এসে তার সঙ্গে দেখা করার মতো সময় কোথায়? সবারই কাজকর্ম আছে। পড়াশোনা আছে। মাঝে মধ্যে বড় ছেলে এসে দেখা করে যায়। ক্লান্ত গলায় কৈফিয়ত দেয়—অফিসে যা কাজের চাপ! বলে পকেট থেকে রুমাল বের করে ‘এঃ হেঃ’ শব্দ করে ঘাড় গলা মুছতে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রলয়
প্রলয় উপস্থিত।
এভারেস্ট এর মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরের মতো বিল্ডিং ও তার পাশের রকেটের দিকে তাকিয়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল রাজের।
দুইদিন আগেই মা মারা গিয়েছেন। তারপর অন্যরাও একে একে, এখন শুধু ওই বেঁচে আছে।
আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই খুশি হল রাজ। বাঃ, মায়ের কাছে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
আকাশে জমাট বাধা কালচে লাল রক্তের মতো মেঘ করেছে। অন্যন্য [আরো পড়ুন]
Read More
উপসংহার
দুপুর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ। ঠিক পাহাড়ি বৃষ্টি নয়, তবে কেমন যেন আকাশটা ধরে আছে। আজ দ্বাদশী, দুদিন হল আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেছে, অবশ্য পশ্চিম বাংলায় বেশীরভাগ জায়গায় পুজোর মরশুমটা লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত থাকে। আর সাধারণত লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত স্কুল কলেজ, অফিস এমনিতেই বন্ধ থাকে, তাই আরো কিছু দিন আনন্দ উপভোগ করা, এই আর কি? দোষ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
২০৩০ : স্বগতোক্তি
ঠকাং… ঠক… ঠকাং… ঠক… ঠকাং…
একটা আশ্চর্য ছন্দ ওই শব্দে। ভয়ানক বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে সুর। যেন কোনও বিপদের পূর্বাভাস।
ওরা এসে গেছে। এখানেও। আমার পিছু নিয়ে, আমাকে তাড়া করে। ওদের ধাতব পদশব্দ বলছে ওরা আমায় ছাড়বে না সহজে। প্রতিমুহূর্তে আমার ঘরে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। কিন্তু উপায়?
আচ্ছা, একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখে নিই ঠিক কতদূরে [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবী
জালের থেকে বুড়ো আঙ্গুলের মতো বড় একটা পোকাকে ছাড়িয়ে নিল হিলা। হ্রদের জলে ডুবিয়ে আঠাটা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘খাবে নাকি?’
পোকাটা তখনো মরে নি। আমার গা গুলিয়ে উঠল। কোনো প্রাণীর মৃতদেহই কোনোদিন খাইনি। আমাদের সব প্রোটিন কৃত্রিমভাবে তৈরি। কোনোক্রমে বললাম, ‘না। কী এটা?’
নির্বিকার ভাবে পোকাটাকে মুখের মধ্যে পুরে চিবোতে চিবোতে হিলা [আরো পড়ুন]
Read More
ভিত্তি
ব্যাঙের ছাতার মত মেঘগুলো পর পর আকাশে উঠছিল।
রাষ্ট্রনায়কদের আঙুলগুলো কোনো অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ছিল কিনা কেউ জানে না। পর পর পিয়ানোর রীড টেপার মত ছন্দে সুইচগুলোয় চাপ পড়েছিল।
মস্কো,দুবাই, টোকিও, নিউ ইয়র্ক, লণ্ডন, সিডনি, দিল্লি, বেজিং…
অশান্তি ঘনিয়ে এসেছিল বহুকাল আগে থেকেই। যুগের পর যুগ কোন দেশের রাষ্ট্রনায়কই জনসংখ্যা প্রতিরোধের কথা সিরিয়াসলি ভাবেনি। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিত্রাতা
২০৩৬ সালঃ
স্টাডি সিস্টেম পাল্টেছে এখন। এখন আর জোর করে স্টুডেন্টদের অপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় না। এখন প্রতি বছর স্কুলে কাউন্সিলিং হয় এবং ফলাফল হিসেবে যে স্টুডেন্টের যে সাবজেক্টে বেশি মনযোগ, তাকে সেই নিয়েই পড়াশোনা করতে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
মায়ের মুখে শুনেছে নিতাই, কোনও একটা সময় ছিল, যখন টেনথ স্ট্যান্ডার্ড-এর পর ‘মাধ্যমিক’ [আরো পড়ুন]
Read More
কৌটো
(তন্ময় পুরকায়স্হর জবানবন্দি, অনুলিখন রাজকুমার রায়চৌধুরী)
প্রথমেই বলে রাখি আমার নাম তন্ময় পুরকায়স্থ৷ আমি কেমিস্ট্রিতে এমএসসি পাশ করে একটা মোটামুটি নামী কোম্পানিতে চাকরি করি৷ বাঁকুড়া জেলার একটি গ্রামে আমাদের বাড়ি৷ বাড়িতে বাবা-মা আর এক বোন থাকে৷ তবে কাজের চাপে বছরে দু-একবারের বেশি গ্রামে যাওয়া হয়ে ওঠে না৷ আমি বিয়ে করিনি৷ যাদবপুরের কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজের হাতছানি
আলো ঝলমল মেট্রো স্টেশনের কাঁচের দরজার ওপারে ট্রেন এসে প্রতিদিনের মতোই দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল সাতটা দশ। ট্রেনের সিটে স্কুল ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে অন্যদিনের মতো বাবাকে সেই পুরনো প্রশ্নটাই করে বসল গুড্ডু, “বাবা, মাটির উপরে খোলা আকাশের নিচে আমাকে কবে নিয়ে যাবে?”
অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করতে করতে গুড্ডুর বাবা বলল, “বলেছি তো নিয়ে যাব। এখন বইতে একবার চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
হুয়ানের বইটা
কুয়াশায় চারদিক জড়িয়ে থাকলেও সকাল সকাল প্লেন ধরবার তাড়া ছিল। ঘুম থেকে উঠেই তৈরী হয়ে ছুটলাম। ঘুম চোখেই এয়ারপোর্টের তিন নম্বর টার্মিনালের গেট ঠেলে ঢোকবার আগে মনে হল পুরো জায়গাটা আবছা সাদা পর্দায় কেউ ঢেকে দিয়েছে। গেটে আইডেন্টিটি চেক-এর পর ঢুকে পড়লাম ভেতরে। সিকিওরিটি চেক, লাগেজ ফাগেজের ঝামেলা মিটিয়ে লাউঞ্জের দিকে এগোতে থাকলাম। এখন একটা কড়া কফি চাই। ঘুম ঘুম ভাবটা কাটাতে হবে।
Read More
অকাল তমসা পর্ব – ২
পর্ব – ২
এতক্ষণ যা যা লিখেছি তা থেকে নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন তথা দুঃস্বপ্নগুলো কতখানি ভয়ানক ছিল তা বোঝা গেছে। ইতিমধ্যে আমি বেশ টের পাচ্ছিলাম যে বদ্ধ পাগল হবার প্রাথমিক ধাপে আমি প্রবেশ করে ফেলেছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম আমার আগে যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছে তারাও কি এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল? কে জানে! একদিকে এই সচেতন আর [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশযাত্রী বাঙালী
ঘটনার অদ্ভূত যোগাযোগ জীবনে কখনো কখনো আশ্চর্যভাবে দেখা যায়। সকালবেলা কটা বৈজ্ঞানিক পত্রিকা ডাকে এসেছে। তন্ময় হয়ে তারই কয়েকটা নিবন্ধ ও আলোচনা পড়ছিলাম। মার্কিন একটি পত্রিকায় ‘কোয়াসার’ সম্বন্ধে অত্যন্ত চমৎকার একটি আলোচনা বেরিয়েছে। সেটি শেষ করে আরো দুটি পত্রিকার কোন নিবন্ধটি আগে পড়ব তাই নিয়ে তখন দ্বিধায় পড়েছি। একটি নিবন্ধ অ্যান্টিম্যাটার [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় জগত
অপরূপ সুন্দর একটা সরোবর। আর সেই সরোবর ঘিরে পাথর আর বালি, তারপরে তৃণভূমি। আসলে এটা একটা ছোটো উপত্যকা। পাহাড়ের মালায় ঘেরা। পাহাড়গুলো সব বালিপাথরের পাহাড়, হলুদ বালিপাথর। তাই পাহাড়গুলোকে সোনার পাহাড় বলে মনে হয়।
একটা পাহাড় থেকে নেমেছে ছোটো একটা ঝর্ণা, সেটা নদী হয়ে বয়ে এসে হ্রদে মিশেছে। পাহাড়ের নাম সুবর্ণগিরি, নদীর নাম ভদ্রা আর হ্রদের নাম নীলতারা।
Read More
অদৃশ্য
লোকটা বারবার কেন আসে? সে কী চায়?
ব্যাপারটা অনিন্দ্যকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শিশিবোতলওয়ালার সাথে রুমেলারই বা এত ঘনঘন কী এমন দরকার থাকতে পারে? রুমেলা যদি তাকে বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ ইত্যাদি বিক্রি করত, তাহলেও বোঝা যেত, কিন্তু তাও তো নয়! যখনই অনিন্দ্য বাড়ি থাকে না, তখনই লোকটা রুমেলার কাছে আসে আর অনিন্দ্যকে দেখলেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত।
Read More
পূর্ণিমা
একটা লালচে ধুলোর ঝড় পেছনে নিয়ে জিপটা চলে গেল বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে তাদের দুজনকে আর তাদের দুটো সুটকেস, এক ক্রেট জলের বোতল আর শুকনো খাবারের প্যাকেটে ঠাসা একটা কার্টন নামিয়ে দিয়ে।
জিপের শব্দটা মিলিয়ে যেতেই এক মুহূর্তের জন্য রাহুলের ভেতরটা ছমছম করে উঠল। একটা অজানা শঙ্কা পলকের জন্য তাকে ছুঁয়ে গেল যেন। এই গহন ঝিম জঙ্গলে আগামী সাত দিনের জন্য তারা [আরো পড়ুন]
Read More
বাঙ্ময়
অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের বাঁদিকের দেওয়ালটায় সার দিয়ে লেটারবক্স। রঙ চটে, তুবড়ে তাদের বেশিরভাগেরই দৈন্যদশা। ফ্ল্যাটের নম্বরটুকু শুধু কোনমতে পড়া যায়।
অন্যদিন অরিন্দম এদিকে ফিরেও তাকায় না, সোজা লিফটে উঠে যায়। কিন্তু আজ একটা সরু গলায় ‘অরিন্দম, চিঠি, চিঠি’ ডাকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে হল তাকে।
আটান্ন তলার বোস সাহেব নিজের লেটারবক্স থেকে চিঠি বের করছিলেন, মাথা ঘুরিয়ে বললেন,
Read More
ভুল
ডক্টর ধৃতিমানের কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়ের একটু নার্ভাসই লাগছিল।
ইউনিভার্সিটি ছাড়ার পর থেকে ধৃতিমানের, বা ওঁর কাজের সঙ্গে রয়ের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না।
একদা প্রিয় ছাত্র যে গবেষণা বা শিক্ষকতা বা নিদেনপক্ষে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মেগা-কর্পোরেশনের চাকরি না করে সাংবাদিকতা করছে, এটা ধৃতিমান কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন নি। তাই চাকরি [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য মানুষ
ডক্টর গ্রাহাম স্মিথ প্রাইভেট লিফটের ভিতর থেকে দিগন্তের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই আশি তলা বাড়ির উপরের দিকের কুড়ি তলাই জিটা কর্পোরেশনের অফিস আর ল্যাবরেটরি। এই লিফটে আশি তলায় উঠতে লাগে ঠিক নয় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড। ওঠার আর নামার এই সময় টুকুই ডঃ স্মিথের জীবনের একমাত্র সময় যখন তিনি কাজ আর কোম্পানি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন ডার্ক গডেস
র্যাক্সরের ছোঁড়া লাল রঙের লেসার নাইফটা যখন বাতাস কেটে আমার দু পায়ের মাঝ দিয়ে চেয়ারটার সাথে গেঁথে গেলো, সত্যি বলছি ভেনাস-৯-এর অ্যান্ড্রয়েড নর্তকীর মুখটাই মনে পড়ে গেল। আর বোধহয় দেখাই হবে না ভেনাসের প্রাসাদ প্রতিম ড্যান্স বার আর ভার্চুয়াল ডেটিং এরেনাগুলো! লোকে বলে মরণকালে নাকি প্রিয়জনদের মুখ মনে পড়ে! অতএব বুঝতেই পারছেন, আমার জীবনে ওই বস্তুটির যথেষ্ট [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ পৃথিবীর জন্য
এখন সদ্য ভোর হয়েছে, ঘড়ির দিকে চেয়ে তিয়া মিলিয়ে নিল। ওর ঘুম ভেঙেছে আর একটু আগেই। ও আস্তে আস্তে ব্যালকনির দরজাটা খুলে প্রায় নিঃশব্দ পদক্ষেপে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল।
ও রোজই সকালে একবার করে এসে দাঁড়ায় এই অদ্ভুত ব্যালকনিটায়। খুব ছোটোবেলা থেকে, একেবারে তিন-চার বছর বয়স থেকেই এরকম করে। কেন কে জানে। বাইরেটা একবার না দেখলে ওর কেন যেন খুব খালি-খালি লাগে, সারাটা [আরো পড়ুন]
Read More
জলমানুষ
পিনাকের দিকে তাকিয়ে ভারি অবাক হয় সোহম। পিনাক বরাবরই রোগাপাতলার অপোজিট। খুব ফর্সা; উচ্ছ্বল শরীর। ইদানীং মাসলম্যান টাইপ শরীরের রক্তমাংসের পিনাককে কেন যেন জল টলমল চৌবাচ্চা বলে মনে হয় ওর। শীতে যে ঝড়টা হল, তারপর থেকেই এরকম মনে হয়। ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিল ওরা দুজনে। গিয়ে তো যাকে বলে মোহিত পিনাক। ক্লোরোফিলের গন্ধে মাতোয়ারা বনভূমি ওকে আবিষ্ট করে ফেলেছিল। [আরো পড়ুন]
Read More
লিমেরেন্স
আজকের এই ডিজিটাল বিশ্বের বিষে প্রচুর মানুষ আছেন যারা স্বনির্ভর ভাবে একলা। প্রেম, সত্যিকারের প্রেম হয়েছে ‘ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফেরে পরশপাথর’। মনের আকাশে মুষল-কাল আসে ঠিকই, কিন্তু তা ধুয়ে দিতে পারেনা অভিমানের শোণিত দাগকে। বৃষ্টি ধোয়া মুখে শুকিয়ে যাওয়া কান্না আর নদীখাত আঁকে না।
রাই এমনই একটা মেয়ে, যার জীবনের আকাশে মেঘ-ছবি এঁকে গেছে আকাশ নামের এক ছেলে। [আরো পড়ুন]
Read More
অতিমাত্রিক
“অর্ণব বাড়ি আছিস?”
“কীরে, এই অর্ণব – বাড়ি আছিস?”
ভাগ্যিস এ পাড়ায় লোকজন বিশেষ থাকে না, আর যে দু-চার ঘর ছেলেছোকরা থাকে, তারাও কাল কালীপুজোর আনন্দে কারণবারি গিলে এখন মধ্যযামে বিচরণ করছে। অনেকক্ষণ দরজা খটখট, চেঁচামেচি আর ঘণ্টি বাজানোর পর, চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল অর্ণব। চোখ লাল, মুখে কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ার একরাশ বিরক্তি। তবে দরজা খুলে কিংশুকের মুখ দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
টিট্টিভ
কর্মে তীব্র অনীহাই শশিশেখরের কাল হইল।
সেই হেতু তিনি তাঁহার রোবট, শ্রীমান তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিকের হাতে কর্মভার সমর্পণ করিয়া, আত্মানন্দে বশীভূত হইয়া স্থির রহিলেন। তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিক বা টিটিটি, অর্থাৎ আমি নাটবল্টু ও প্লাস্টিক লোহার সমাহারমাত্র নহি। আমি পুরাদস্তুর প্রোগ্রামায়িত। আমার ভিতরে যুগ যুগ ধরিয়া শশিশেখরের বিদ্যা বুদ্ধি সব সমাহৃত।
আর শশিশেখর আপাতত [আরো পড়ুন]
Read More
টিথোনাস
গায়ের চামড়া আস্তে আস্তে কুঁচকিয়ে শিথিল হয়ে আসে। মাথার চুল পেকে সাদা হয়ে যায়। হাতের আঙুলের গাঁটগুলো ক্রমে শক্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসে। দেহের হাড়গুলো ঘুণ ধরা কাঠের মত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তারপর জীবনী শক্তির অভাবে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায় সাধারণ ব্যাধিও তখন মারাত্মক হয়ে পড়ে।
[আরো পড়ুন]
Read More
না-মানুষ
ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে বাইরের পার্কটায় এসে বসল কৃষ্ণেন্দু। পার্কটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা, গুটিকয় স্টুডেন্ট এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। সামার ভ্যাকেশন শেষ হ’তে এখনও প্রায় একমাস বাকি আছে। বেশিরভাগই ছুটিতে যে যার বাড়ি চলে গেছে। সেপ্টেম্বর থেকে ফল সেমিস্টার শুরু হলেই পিলপিল করে নতুন পুরনো স্টুডেন্টে ভরে যাবে সারা চত্বরটা।
টেক্সাসের [আরো পড়ুন]
Read More
পুনর্জন্ম – র্যামসে ক্যাম্পবেল
অন্ধকার! উঃ! আবার সেই শ্বাসরোধী অন্ধকার আমায় ঘিরে ধরছে! তবুও আমি নিশ্চিত কেউ আমার দিকে নজর রাখছিল! আচ্ছা, আমি কি অন্ধ হয়ে গেছি? তবে যে মনে হচ্ছিল কেউ আমার উপর ঝুঁকে পড়ে দেখছে? তা কি তবে স্বপ্ন? যেন অনেকগুলো স্বচ্ছ পর্দার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানবমূর্তি, যার মুখটা তৈরি শুধু জমাট অন্ধকার দিয়ে।
ঘন পলির মত অন্ধকার আমার চোখের উপরে জমে আছে, যেন কত জন্মের ঘুম [আরো পড়ুন]
Read More
ডাইস
ট্যান, রাত সোয়া আটটা
হাভেন শহরটা যেখান থেকে মরুভূমিতে মিশে গেছে, সেটা একটা চৌমাথা।
সেন্ট্রাল রোড ধরে এগোতে থাকা সবুজ গাছ আর রঙিন বাক্সবাড়ির ঝাঁক ছোটো আর গরিব হতে-হতে চৌমাথার এক প্রান্তে থেমে গেছে। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ফিলিং স্টেশনটা। মোটেল, রেস্টুরেন্ট, আর ক্যাসিনো রয়েছে আরেক প্রান্তে।
অবশিষ্ট কোণটা কোনও এক সময় হাউজিং হয়ে ওঠার স্বপ্ন [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহর শেষের আলো
“It is a subject also of additional interest to the author that this story was begun in the majestic region where the scene is principally laid, and in society which cannot cease to be regretted. I passed the summer of 1816 in the environs of Geneva. The season was cold and rainy, and in the evenings we crowded around a blazing wood fire, and occasionally amused ourselves with some German stories of ghosts, which happened to fall into our hands. These tales excited in us a playful desire of imitation. Two other friends (a tale from the pen of one of whom would be far more acceptable to the public than anything I can ever hope to produce) and myself agreed to write each a story founded on some supernatural occurrence.
The weather, however, suddenly became serene; and my two friends left me on a journey among the Alps, and lost, in the magnificent scenes which they present, all memory of their ghostly visions. The following tale is the only one which has been completed.”
Read More
ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন আর্মি
৭ই সেপ্টেম্বর, ১৮১৮
স্থানঃ রবার্ট ওয়াল্টনের জাহাজ, যা ব্যর্থ উত্তর মেরু অভিযানের শেষে ফিরে চলেছে লন্ডনের দিকে
রবার্ট ওয়াল্টন স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেই দানবের দিকে, যে নিজের সৃষ্টিকর্তার এবং তার পরিবারের নির্মম ধ্বংসের জন্য দায়ী। দানবের থেকে অদূরে শোয়ানো রয়েছে ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের মরদেহ। রবার্ট ওয়াল্টন এবং ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের দানবের [আরো পড়ুন]
Read More
গিফ্টকার্ড
উত্তমবাবু এবং ক্লাস এইটের ভূগোল
সবুজ রঙের গোল্লাটার ভিতর একটা টেলিফোন রিসিভারের ছবি। গোল্লাটার বাইরেটাও সবুজ। শুভজিৎ তার মোবাইল ফোনের সবজে হয়ে থাকা স্ক্রীনটা মেলে ধরল উত্তম হালদারের চোখের সামনে। তারপর বুঝিয়ে বলল, “এটাকে বলে হোয়াটসঅ্যাপ। আর এর আগে নীল রঙের ইংরিজি অক্ষরের ‘এফ’ যেটা দেখালাম, ওটা হচ্ছে ফেসবুক। কী বুঝলে?”
উত্তম হালদার গোমড়া মুখে [আরো পড়ুন]
Read More
দ্রোণাচার্য্য
টুটুলদের ছাতের পাঁচিলে একটা ছোট্ট নীল রঙের পাখী এসে বসল। গরমকালের বিকেল। টুটুলের এবার ক্লাস নাইন হবে। এখন টুটুলের গরমের ছুটি চলছে। টুটুল একমনে একটা রবারের ফুটবলে ড্রিবল প্র্যাকটিস করছিল ছাতের একটা কোনায়। তবে তার একটা কান খাড়া ছিল চিলেকোঠার ঘরের দিকে। ওখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল টুটুলের ছোড়দা রন্টু আর তার আমেরিকাবাসী বন্ধু [আরো পড়ুন]
Read More
সময়ের আতঙ্কে
ছোটোছোটো বাচ্চাদের কম্পিউটার শেখায় মৃদুল। পড়াশুনা বেশিদূর করতে পারেনি সে। কোনও রকমে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিল। ভাগ্যিস কম্পিউটারের ব্যবহারটা ভালো করে শিখে নিয়েছিল! তাইতো আজ কোনও রকমে তার হাত-খরচটা উঠে আসে।
বাচ্চাদের খুব যত্ন করে শেখায় ও। তাই এ ব্যাপারে পসারটা বেশ ভালোই জমেছে। এছাড়াও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার-এর কাজ, মোবাইল [আরো পড়ুন]
Read More
ক্যুগেল ব্লিৎস
সন্ধ্যেবেলায় হাওড়া স্টেশনটা একটা সমুদ্রের মতো। এক একটা ট্রেনের গায়ে যেন মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়ছে, থার্ডক্লাশ কামরাগুলো প্লাটফর্মে ঢোকবার আগেই ভর্তি হয়ে যায়।
উঁচু ক্লাসের কামরাগুলো ত’ রিজার্ভ করা, সে সব কামরায় হাত দেয় কার সাধ্য। কাজেই লোলুপ নয়নে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় কি!
অফিসের কাজে কলকাতার বাইরে যাচ্ছি। পরের পয়সায় নবাবী করার এরকম সুযোগ [আরো পড়ুন]
Read More
প্রবাহ প্রহরী
“ক্রিং… ক্রিং…।” কলকাতার উত্তর শহরতলির একদম শেষ প্রান্তে এক প্রাচীন অথচ আশ্চর্য রকম জনবিরল এলাকা। প্রায় পরিত্যক্ত একটা বাড়ির অন্ধকার কোণে এতক্ষণ আত্মগোপন করে থাকা ঘরটা হঠাৎ যেন কোন অদৃশ্য অনুসন্ধিৎসুর সামনে অস্তিত্ব প্রকাশ হয়ে পড়ার একরাশ বিরক্তিতে কর্কশ আস্ফালন করে উঠল। ঘরের একক বাসিন্দা প্রাণীটার অবশ্য কোন ভাবান্তর ঘটল না। [আরো পড়ুন]
Read More
এন্ড্রামেডার ভাইরাস
রহস্যটা নিশিগন্ধার মনে প্রথম দানা বাঁধে সেলি নামে এক জার্মান সাংবাদিকের সাথে আলাপ হওয়ার পর। সেদিন বিকালে শিকাগোতে তার নতুন অফিস থেকে ফিরে পার্কের এক কোণে বসে ছবি আঁকার সরঞ্জাম বের করে সবে কাগজে আঁচড় কাটতে শুরু করেছিল। কানে হেড-ফোন লাগিয়ে মৃদু যন্ত্রসঙ্গীত শুনতে শুনতে ছবি আঁকা তার বহু দিনের অভ্যাস। এতে কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ অনেকটা [আরো পড়ুন]
Read More
আমার এখন জ্বর এসেছে
কেস নং : ১২১
পার্সোনাল আইডেন্টিটি :
প্রত্যক্ষ : ড. রঞ্জন মিত্র।
পরোক্ষ : শ্রী সুধীর গুহ, শ্রী সঞ্জয় বোস।
চিফ কমপ্লেন : অনিশ্চিত মানসিক ব্যবহার, আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা।
পাস্ট মেডিকেল হিস্ট্রি :
পরোক্ষ : নেই/পাওয়া যায় নি।
প্রত্যক্ষ : মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ।
ফ্যামিলি হিস্ট্রি :
পরোক্ষ : মানসিক ব্যাধির লক্ষণ পাওয়া যায় নি।
Read More
ঝুলন্ত সেই লোকটা
ঘুমচোখে সোমনাথ হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল, প্রায় বিকেল সোয়া চারটে বাজে; বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে কাল রাতে। সাহেবগঞ্জ হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার মাস্টার সোমনাথের সখ হল রাত জেগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বই পড়া। এর জন্যে কত বকুনিই না খেয়েছে বউ স্বপ্নার কাছে, এই চল্লিশ বছর বয়সেও আজও শুনতে হবে মনে হচ্ছে। আসলে কলেজে পড়ার সময় সখ ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান [আরো পড়ুন]
Read More
বাড়ি
গুজরাটে থাকার সময় বিল্ডার মিরচন্দানি নিজের জীবন নিয়ে একটা ঘটনা আমায় বলেছিলেন। যেহেতু ব্যাপারটার সত্যাসত্য নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, তাই সেটা গল্প হিসেবেই লিখলাম, ওনার বয়ানে।
“বিল্ডাররা যে লাইনটাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে সবথেকে বেশি ব্যবহার করে সেটা হল – আপনার স্বপ্নের বাড়ি এবার আপনার সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু স্বপ্নের বাড়ি জিনিসটা ঠিক কী?
আমরা সবাই [আরো পড়ুন]
Read More