তিনটি বাংলা রচনায় এম. আর. জেমসের ‘কাস্টিং দ্য রুনস’
উপক্রমণিকা
১৯১১ সালে রচিত মন্ট্যাগ্যু রোডস জেমসের ভৌতিক কাহিনি ‘কাস্টিং দ্য রুনস’1-এর উপস্থিতি দেখা যায় অন্তত তিনটি বাংলা রচনায়—এর মধ্যে দুটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস এবং একটি নাটক।
রক্তলিপি (১৯৫৫)2
সময়ের হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ আশা দেবীর এই উপন্যাসটি, যা আশুতোষ লাইব্রেরী থেকে প্রকাশিত হয়। পরে, সত্তরের দশকে, ক্যালকাটা পাবলিশার্সের পূজাবার্ষিকী [আরো পড়ুন]
Read More
টেলিপোর্টেশন
“টেলিফোন ইয়েস, টেলিগ্রাফ ইয়েস, টেলিস্কোপ ইয়েস, টেলিপ্রিন্টার ইয়েস, এমনকী টেলিপ্যাথিও ইয়েস—বাট টেলিপোর্টেশন? নো স্যার।”
দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলাম। ব্রেকফাস্ট সেরে দুজনে হোটেলের সবুজ ঘাসের লনে বসে আড্ডা মারছিলাম। দুজনে মানে, আমি আর অনন্ত। আমরা স্কুলের বন্ধু। অনন্ত ক্লাশের ফার্স্ট বয় ছিল। অঙ্কে দারুণ মাথা। ওর পদবীটা অদ্ভুত, [আরো পড়ুন]
Read More
ভ্যাম্পায়ারের বিবর্তন: ভক্ষক থেকে রক্ষক
ভ্যাম্পায়ারের মিথ মানবজাতির ইতিহাসের অংশ। প্রাচীন মিশর, গ্রিস এবং রোম প্রভৃতি বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাম্পায়ারের মিথ প্রচলিত। গ্রিসে ভ্যাম্পায়ারদের ‘vrykolakas’, প্রাচীন রোমে তাদের ‘lamiae’, রোমানিয়ায় ‘nosferatu’ বলা হত। মানব ইতিহাস জুড়ে তারা কোনো না কোনো রূপে বিদ্যমান। তারা collective unconsiousness-এর অংশ, যাকে কার্ল জং বর্ণনা করেছেন, “part of the psyche which retains and transmits the common psychological [আরো পড়ুন]
Read More
The Rise of AI Art: Shaping the Future of Creativity
Artificial Intelligence (AI) has made remarkable advancements in recent years, revolutionising various industries and changing the way we live and work. One field where AI’s influence has been particularly pronounced is the realm of art. The convergence of technology and artistic expression has given rise to a new wave of creativity, leading to the emergence of AI art as a significant cultural and artistic movement. In this article, we will explore the evolution of AI art, its history, and the potential it holds in shaping the future of creativity.
The year 2022 marked a pivotal moment for AI art, as it gained mainstream recognition and acceptance as a legitimate art form. Prior to this period, AI-generated art was seen as a niche pursuit confined to the domains of academia and tech laboratories. However, the explosive growth of AI-generated artworks and their widespread acclaim in prestigious art exhibitions [আরো পড়ুন]
Read More
The Decadence of Humanity: Double Dose of Dystopias
Science Fiction has been successful in instigating imaginary futures for humanity. The two most distinctive features include utopia and dystopia. Utopia refers to a perfect society, whereas dystopia refers to a social order without the value of human life in a general sense. It is an invented world in which ominous tendencies of our present social, political, and technological order are projected into a catastrophic society in the future.
Aldous Huxley’s Brave New World (1932), George Orwell’s Nineteen Eighty-Four (1949), Ray Bradbury’s Fahrenheit 451 (1952), Margaret Atwood’s The Handmaid’s Tale (1986), and Cormac McCarthy’s The Road (2006) are regarded as some of the finest examples of dystopian science fiction.
It is time to delve into the first two dystopian classics, Huxley’s Brave New World and Orwell’s Nineteen Eighty-Four.
William [আরো পড়ুন]
Read More
ব্যোমকেশ বক্সী বৈজ্ঞানিক ছিলেন না
লন্ডন শহরের বিখ্যাত কনসাল্টিং ডিটেকটিভ শার্লক হোমস সাহেবের সঙ্গে কলকাতার ব্যোমকেশ বক্সীর আলগা সাদৃশ্য যতই থাকুক হোমস সাহেবের মতো বৈজ্ঞানিক ছিলেন না বক্সীবাবু। ল্যাবরেটরিতে রীতিমতো গবেষণায় মেতে থাকতেন হোমস। রক্ত নিয়ে, চুরুটের ছাই নিয়ে এবং আরও অনেক বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর লেখা পণ্ডিতমহলে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। বস্তুত, হোমসের [আরো পড়ুন]
Read More
অনন্ত সুতোর গল্প: ব্র্যাডবেরির রহস্য কাহিনি
“আমার একটা কথাবলা বাক্স আছে। বাক্সটা আমার টাইপরাইটারের ঠিক পাশেই থাকে। যখনই আমার মাথায় কোনো নতুন আইডিয়া আর আসে না, তখন বাক্সটা আমার সঙ্গে কথা বলে। নিত্যনতুন আইডিয়া দেয়” নিজের আত্মজীবনীতে ঠাট্টা করে লিখেছিলেন রে ব্র্যাডবেরি। আজ, একশো বছর পেরিয়ে যখন ব্র্যাডবেরি মানেই ফারেনহাইট ৪৫১ কিংবা মার্সিয়ান ক্রনিকল-এর বহুপঠিত [আরো পড়ুন]
Read More
রুপোলি পর্দায় ব্র্যাডবেরি
সায়েন্স ফিকশনের জগতে রে ব্র্যাডবেরির নাম একেবারে প্রথম সারিতে থাকে, যেমন চমৎকার কল্পনাশক্তি, তেমনি বলিষ্ঠ সাহিত্য তাঁর। অথচ শোনা যায় তিনি নিজে ‘সায়েন্স ফিকশন লেখক’ বলে পরিচিত হতে চাইতেন না। তাঁর লেখার মূল উপজীব্য হল একটা চমৎকার কল্পনা, যাকে কেন্দ্র করে একটা উপভোগ্য গল্প তৈরি হবে৷ সেটা সায়েন্স ফিকশন হতে পারে, সায়েন্স ফ্যান্টাসি [আরো পড়ুন]
Read More
The Phoenix Syndrome: The Martian Chronicles by Ray Bradbury
ABSTRACT
The paper is a study of Ray Bradbury’s The Martian Chronicles as a modern mythology that negates the old myth of the Phoenix as a figure of survival. It is argued that such a model that assures of continuity even after self-destruction is re-imagined. Bradbury turns the myth around, as a new myth that highlights the death wish of humanity is reversed in creating a human friendly Mars that keeps the fire of the Phoenix burning but with no scope for it jump in and come back. The new Mythology / New Mars imagined by Bradbury is a literary world and the technology that enables is also a literary machine. These ‘Machineries of Joy’ are the agents of survival by dispensing ‘Medicine for Melancholy’.
Key Words: Science Fiction, Modern Mythology, Phoenix myth, Mars, Ray Bradbury
There was a silly damn bird called a phoenix back before [আরো পড়ুন]
Read More
স্তানিসোয়াভ লেমের আশ্চর্য্য সুন্দর কল্পনার জগত
৬ই জানুয়ারি, ২০১৯, নিউইয়র্কার
কল্পবিজ্ঞান-কাহিনী লেখক এবং ভবিষ্যতবাদী স্তানিসোয়াভ লেম জানতেন যে গল্পের কাল্পনিক জগতগুলি কখনও কখনও বাস্তবতার সীমা লঙ্ঘন করতে পারে। ১৯৮৪ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ “চান্স অ্যান্ড অর্ডার”-এ লেম স্মরণ করেন কীভাবে পোল্যান্ডের লভ শহরে পরিবারের একমাত্র শিশু [আরো পড়ুন]
Read More
লেম বনাম ডিক: স্তানিসোয়াভ লেম কোনো কমিউনিস্ট গুপ্তচর সংস্থার নাম নয়
সময়টা ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস। এফবিআইয়ের দপ্তরে একটি অদ্ভুত চিঠি এসে পৌঁছল। চিঠিটা অদ্ভুত কারণ তার বিষয়বস্তু। সময়টা ঠান্ডা যুদ্ধের, আমেরিকার মননে জাঁকিয়ে বসেছে সোভিয়েত আর কমিউনিস্ট ভীতি। চিঠিতে বলা হয়েছে সেই কমিউনিস্টদেরই এক ষড়যন্ত্রের কথা, তারা নাকি কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বামপন্থী ভাবধারা আমেরিকানদের [আরো পড়ুন]
Read More
তিন ডিগ্রীর পালা
১৯১৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণগুলির থেকে মহাবিশ্বের আকার ও গঠনের জন্য প্রথম একটি স্থির এবং স্থিতিশীল মহাবিশ্বের মডেলের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু তাঁর একই তত্ত্ব থেকে রাশিয়ান বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান, বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জর্জ লেমাট্রে এবং ডাচ জ্যোতির্বিদ উইলেম ডি সিটার মহাবিশ্বের যে [আরো পড়ুন]
Read More
রুপোলি পর্দার যন্ত্রমানব
আশির দশকের মাঝামাঝি যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তাদের সকলেরই বোধহয় দুজন কমন বন্ধু (আজকের ফেসবুকের ভাষায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড) ছিল। একজন জনি সোকো। অন্যজন তার উড়ুক্কু রোবট। তখন টিভি বলতে সাদা-কালো, চ্যানেল বলতে দূরদর্শন। টিভির সেই আদ্যিকালের দর্শকদের কাছে জনি সোকো ও তার রোবটের কার্যকলাপ থ্রি-ডির মতোই জ্যান্ত হয়ে উঠত।
জনি সোকো তার হাতঘড়ির কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান
কল্পবিজ্ঞানের জন্মদাতা
বাংলা সাহিত্যে এই ‘জঁর’-এর পথিকৃৎ কে?
অধ্যাপক অনীশ দেব, তাঁর সম্পাদিত সেরা কল্পবিজ্ঞান সঙ্কলনের মুখবন্ধে বলেছেন:
… বাংলাভাষায় কল্পবিজ্ঞানের সূচনা ১৮৯৬ সালে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কলমে। কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাঁর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ গল্পটি। এর পঁচিশ বছর পরে ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থ [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন: রূপকথার রূপান্তর?
‘সায়েন্স ফিকশন’ শব্দবন্ধ দিয়ে যে ঘরানাটিকে চিহ্নিত করা হয়, তাকে পত্রপত্রিকায় নানা সময়ে নানা নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনি বা বিজ্ঞানসুবাসিত (?) অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে এই ধারার লেখা আমরা নানা পূজাবার্ষিকী ও সংকলনে পড়েছি। বাংলায় এমন লেখালেখিতে একটা সুনির্দিষ্ট বাঁক-বদল আসে ছয়ের দশকে। তারও অনেক পরে এই ধারাকে ‘কল্পবিজ্ঞান’ [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানে ভূবিজ্ঞানের প্রভাব
কল্পবিজ্ঞান বর্তমানে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ভাষায় শত শত কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি সৃষ্টি হচ্ছে। কল্পবিজ্ঞানের কাহিনির রচয়িতাদের মধ্যে অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, প্রথিতযশা সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকাররা রয়েছেন। লিখিত কাহিনি ছাড়াও অনেক কল্পবিজ্ঞানের গল্প জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব-৩)
অনেক ভোরে আজ প্রফেসর সূর্যশেখরের ঘুমটা ভেঙে গেল। বালিশের পাশে রাখা হাতঘড়িতে দেখলেন পাঁচটা কুড়ি বাজে। আড়মোড়া ভেঙে উঠে প্রফেসর তাঁর ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁর বালিগঞ্জ প্লেসের এই ফ্ল্যাটটা বড় রাস্তা থেকে কিছুটা ভেতরে। তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে একটা সবুজ পার্ক আছে, রাস্তা জুড়ে প্রচুর গাছ। তাঁর ফ্ল্যাটের নিজস্ব কম্পাউন্ডেও [আরো পড়ুন]
Read More
সিমুলেশন হাইপোথিসিস
আদৌ কি এই জগৎ সত্য? নাকি সবই আমাদের ভ্রম, আমাদের এক অলীক ইউটোপীয় ধারণা? প্রশ্নটা পড়ে হয়তো অনেকেই অবাস্তব বা পাগলের প্রলাপ বলে মনে করবেন। আবার কেউ কেউ ভাববেন, এমন আবার হয় নাকি! আমরা তো প্রতিদিন আমাদের চারিপার্শ্বের প্রকৃতিকে, বাস্তবিকই প্রত্যক্ষ করি এবং তার সঙ্গে পরিবেশের অন্তর্গত বস্তুজগতের পারিপার্শ্বিক মিথষ্ক্রিয়াকে [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব ২)
ক্যামেরার লেন্সটা অ্যাডজাস্ট করতে করতে সোমেশ বলল, ‘স্যার, আপনি রেডি তো? আমরা কিন্তু আর তিন মিনিটের মধ্যে শুরু করব।’
অধ্যাপক সূর্যশেখর তাঁর চশমাটা ঠিক করে নিলেন। বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি রেডি, তোমরা শুরু করো।
সোমেশ গার্গীর দিকে চেয়ে বলল, ‘তুই বরং ইন্টারভিউ এর স্ক্রিপ্টে একবার ফাইনাল চোখ বুলিয়ে নে, আমি টেকনিক্যাল ব্যাপারটা দেখছি।’ গার্গী ‘ওকে’ [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৯
আন্তঃনক্ষত্র যোগাযোগ
আজ সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় রবিবার। আগামী শুক্রবার প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট ফিলাডেলফিয়া চলে যাচ্ছেন। আগে ঠিক ছিল সামনের বছর মার্চ-এপ্রিলে ফিরে আসবেন। এখন নিজেই বুঝতে পারছেন না কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন।
আমি যখনই আসি স্যারের সঙ্গে হয় লাঞ্চ নয় ডিনার করতেই হয়। আজকের লাঞ্চে মেনু ছিল পোলাও, মাছের চপ, কষা মাংস, আমসত্ত্বের চাটনি [আরো পড়ুন]
Read More
গোল্ডেন এজ সায়েন্স ফিকশন – আইজাক আসিমভ
১৯৩৮ সালটা সায়েন্স ফিকশনের ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ। ১৯২৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্পবিজ্ঞান ম্যাগাজিন গার্নসব্যাকের অ্যামেজিং। তারপর থেকে এত ভালো সময় আর আসেনি।
১৯৩৭ সালে অ্যাস্টাউন্ডিং স্টোরিজের পুরোনো সম্পাদক মিস্টার ওরলিন ম্যাগাজিনের দায়িত্ব ছাড়লেন। সম্পাদক হলেন জন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতদিনে পাঠককুল কল্পবিজ্ঞানের এক নতুন দিগন্ত [আরো পড়ুন]
Read More
গোল্ডেন এজ অব সায়েন্স ফিকশনের কয়েকজন ইলাস্ট্রেটর
সায়েন্স ফিকশন বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসম্ভব সব জগতের ছবি, অদ্ভুত যত ভিনগ্রহী, গ্র্যান্ড স্পেস এক্সপ্লোরেসন, দুর্দান্ত সব মহাকাশযান, নানা রঙের ভবিষ্যতের পৃথিবী, অথবা বৃহৎ রোবট। এগুলির মূল উৎস মনের আয়নায় প্রতিফলিত হওয়া নানাবিধ সায়েন্স ফিকশন বই, পত্র-পত্রিকার প্রচ্ছদে ছাপা ছবি। এই ছবিগুলির অধিকাংশই ছাপা হয়েছে গত শতাব্দীর নানান দশকে – স্থান [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পর্ব ৮
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ২
সাধারণত ইদানিং রবিবার দুপুরের আগেই প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি যাই। এই রবিবার স্যার ফোনে সন্ধের পরে আসতে বললেন। স্যারের পরিচিত ফিলাডেলফিয়ার একটি বাঙালি পরিবার সম্প্রতি কলকাতায় এসেছে—দেখা করতে আসবে। সন্ধে সাতটা নাগাদ স্যারের বাড়ি এলাম। স্টাডিরুমেই যথারীতি বসা হল।
স্যার বললেন, “হ্যাঁ, আগের দিন যেটা বলছিলাম—আন্তঃনক্ষত্র [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব-১)
শীতের সকাল। প্রোফেসর সূর্যশেখর সেনগুপ্ত গরম কফিতে সবে চুমুক দিয়েছেন, এমন সময় কলিংবেল বাজল। ‘হরি, কে এল দ্যাখ’ বলে কফিতে তিনি আবার মনোনিবেশ করলেন। প্রোফেসরের বহুদিনের গৃহভৃত্য হরি দরজা খুলেই—‘আরে দেখুন, কতদিন পর উজানবাবু এল’ বলে একগাল হেসে উঠল। প্রোফেসর সেনগুপ্ত ভারি খুশি হলেন। বলে উঠলেন, ‘উজান আয়, তোর’তো আর দেখাই পাওয়া যায় না। [আরো পড়ুন]
Read More
পারির দাড়িওয়ালা আর চাঁদে চড়ার গল্প
যখন এই লেখাটা লিখছি, গোটা দেশ এক অদ্ভুত দোলাচলে আছে। বিক্রম চাঁদে পা দিয়েছে, কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা সবাই প্রহর গুনছি, এই হয়তো বিক্রম তাঁর শক্তি ফিরে পেল। জানাতে পারল ঠিক কেমনটা লাগছে চাঁদের পিঠে চেপে। মনে পড়ে যাচ্ছিল প্রায় দেড়শো বছর আগের কথা। বাল্টিমোরের গান ক্লাবের সদস্যদের প্রায় একই দশা হয়েছিল। ঘটনাটা খুলেই বলি বরং..
১৮৬৫-র [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যজিতের এলিয়েন
যাবার কথা ছিল প্লুটোয়, যান্ত্রিক গোলযোগে পৃথিবীতে এসে পড়েছিল ক্রেনিয়াস গ্রহের মহাকাশযানটি। সেই গ্রহেরই চার ফুট উচ্চতার প্রাণী অ্যাং এর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল বঙ্কুবাবুর। তাই নিয়েই সত্যজিত রায়ের দ্বিতীয় বাংলা গল্প ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ প্রকাশিত হয়েছিল ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। ওই গল্পের সঙ্গেই পাঠক চাক্ষুষ করেছিল সত্যজিতের [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন এবং অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির
আজ সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং জুল ভার্নের নাম দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও জানে। কিন্তু আজ থেকে সত্তর-বাহাত্তর বছর আগে পরিস্থিতি মোটেও এমনটা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন উৎসাহী পাঠক ছাড়া বাঙালি পাঠক সমাজে সায়েন্স ফিকশন এর কদর ছিল না বললেই হয়।
সেই সময় ‘অভ্যদয় প্রকাশ মন্দির’ এর কর্ণধার শ্রী অমিয় কুমার চক্রবর্তী সায়েন্স ফিকশনকে বাঙালি পাঠকের [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৬ মহাকাশ অভিযান
জুলাই মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় রবিবার। মাসচারেক পর প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট আমেরিকা থেকে ফিরেছেন দিনকয়েক হল। স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে ফোনে দু’দিন কথা হয়েছে। মাসদেড়েক থেকে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগেই আবার চলে যাবেন। ফিরতে ফিরতে সেই মার্চ-এপ্রিল। স্যার যখন ছিলেন না— তখন আমি একটা কাজের কাজ করেছি। আমি সেই প্রথম দিন থেকেই স্যার এই অপার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
জ্যামিতির ইতিহাসের গালিচা
আমরা সবাই জানি যে মানুষের উৎস আফ্রিকায়। তবে আফ্রিকা যে মানুষের গণিত ভাবনারও অন্যতম উৎস, সে কথাটা সবাই হয়তো জানেন না। কঙ্গোর নিবাসী ঐতিহাসিক এবং মিশর বিশেষজ্ঞ থিওফিলিক ওবেঙ্গা লক্ষ্য করেছেন যে প্রাচীন মিশরের জ্যামিতিচর্চার ঐতিহ্যের সঙ্গে সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকার আদিম মানুষের জ্যামিতির ঐতিহ্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আফ্রিকার বালি শিল্প আর বোনার কাজে [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব – ৫
আন্তঃনক্ষত্র পরিযান
সবে সূর্যাস্ত হয়েছে। পশ্চিম আকাশে প্রহর শেষের আলোয় রাঙা মেঘ। বারান্দায় বসে চা খাচ্ছি। কলিং বেলের শব্দ শুনে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের সহকারী ধরণী – আমি অবশ্য ধরণীদা বলি। উনি বললেন –“স্যার আপনাকে সম্ভব হলে আজ রাত আটটা নাগাদ যেতে বলেছেন। উনি বেড়িয়েছেন – সাতটার মধ্যে ফিরে আসবেন। ক’দিন খুব [আরো পড়ুন]
Read More
ভলতেয়ারের ভিনগ্রহী
ভলতেয়ারের ভিনগ্রহী
লেখক – সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
“There are truths which are not for all men, nor for all times.”
-–- Voltaire’s Letter to François-Joachim de Pierre, cardinal de Bernis (23 April 1764)
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভিক অধ্যায়, সময়টা ছিল যুক্তি তর্কের বদলে প্রজন্মান্তরের জগদ্দল চিন্তার ভার বয়ে চলার। চার্চ এবং রাষ্ট্র তাদের পেশীশক্তির আস্ফালনে তখনও টুঁটি টিপে রেখেছে সাধারণ মানুষের। [আরো পড়ুন]
Read More
সত্যজিতের ছবির কল্পবিশ্ব
লেখক – ঋদ্ধি গোস্বামী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
সত্যজিৎ রায়কে ছেলেবেলার অনেকটা সময় একলা কাটাতে হয়েছে। মাত্র আড়াই বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগের পরে তাঁর মা সুপ্রভা রায় তাঁকে ৬ বছর পর্যন্ত বাড়িতেই নানা বিষয় পড়িয়েছেন। নিজের স্মৃতিকথায় সত্যজিৎ বলেছেন যে দিনের অনেকটা সময় তাঁর কাটত বই পড়ে ও আত্মীয়দের কাছে গল্প শুনে। এইসব গল্পের বইয়ের [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
লেখক – সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
পর্ব ৪
অসৌরগ্রহ
“হ্যাঁ, তোমার প্রশ্নটা আমার মনে আছে। সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলো বাদ দিয়ে আমাদের এই গ্যালাক্সির অন্যান্য তারাদের যে গ্রহ আছে যাদেরকে এখন আমরা Extra-solar planets বা Exoplanets বলি বা বাংলায় অসৌরগ্রহ বলা যেতে পারে – তাদের সন্ধান কীভাবে পাওয়া গেল? তাই তো?” –বরকুমরিফ-এর পাউচ থেকে তামাক [আরো পড়ুন]
Read More
মঙ্গল গ্রহে জীবনের সন্ধান
লেখক – ডক্টর দিলীপ রায়চৌধুরী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
“মঙ্গল গ্রহের ওপর মহাকাশযান নামানো সহজ নয়”
দীর্ঘ দিন ধরে আকাশের একটি গ্রহ সম্পর্কে জ্যোতির্বিদরা অত্যন্ত কৌতূহলী। রক্তবর্ণ এই প্রতিবেশী গ্রহটির নাম রোমানরা দিয়েছিল মার্স, যার অর্থ ‘যুদ্ধদেবতা।’ আমরা বলি মঙ্গল। এটি ছোট একটি গ্রহ, ব্যাস মাত্র ৬,৮০০ কিলোমিটার। সূর্য [আরো পড়ুন]
Read More
বিজ্ঞানী ঘনাদা
লেখক – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
ঘ-না-দা!
ছোটদের কাছে একটা দারুণ নাম—যাঁর চলনে বলনে ছড়িয়ে আছে মজা—মজা—আর মজা! শুধু ছোটরা কেন, আমরা, বড়রাও কি তার রস থেকে বঞ্চিত? নিশ্চয়ই নয়।
কিন্তু শুধুই কি মজা? না, ভালো করে পড়লে দেখা যাবে ওই বিচিত্র চরিত্রটির মধ্যে এমন কতকগুলি জিনিস ছড়িয়ে আছে যা পড়ার পর মজা হয়তো ঠিকই [আরো পড়ুন]
Read More
লাল মাটির জগৎ
লেখক – সুমন দাস
অলংকরণ – সুমন দাস
|| ১ ||
“মেরে মঙ্গলে পাঠিয়ে দেব”
আমাদের এক মামাতো দাদা ছিল, মলয়দা, ছোটবেলায় মামাবাড়ীতে আমরা কয় ভাইবোনের খেলার পান্ডা, অর্থাৎ কি না ‘কেল্টুদা’ টাইপের মানুষ ছিল সে। আমাদের ওপর রেগে গেলেই সে এই ভয়ের কথাটি শোনাত। আর খুব খুশি হলেই ক্রমাগত বলে যেত – অলিম্পাস, অলিম্পাস, অলিম্পাস…
না, সে পাগল নয়। পাড়াগাঁয়ে থাকা [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৮ : অগ্নিযোগ
স্থানঃ ভবিষ্যৎ
কালঃ অজ্ঞাত
পাত্রঃ সুমন
সুমনার নোটবইতে আর কোনও গল্প লেখা ছিল না। সেইবার ওর সামনে দাঁড়িয়ে আর কোনও কথা হয়নি। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমায় ফিরে আসতে হয় কথা অসমাপ্ত রেখে। ডায়রীতে এই কথাগুলো বাদেও রয়ে যায় কিছু নোটস… সেগুলো সংক্ষেপে লেখা। আর সঙ্গে কিছু ছবি… আমি সেগুলোই পড়তে শুরু করলাম…
|| ৮ক ||
প্রায় দুই হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দে [আরো পড়ুন]
Read More
এস. এফ.-এর রূপান্তর: বাংলায় কল্পবিজ্ঞান এবং সাম্রাজ্যিক টেকনো-সায়েন্স
Abstract in English
In this paper, I look at current theories on global science fiction (sf) that are alert to the role of imperialism in sf literature. Examining the work of Istvan Csicsery-Ronay, Jr., John Rieder, and Patricia Kerslake, among others, I describe how these theories, which deal primarily with sf produced by former colonial powers, may be extended in the context of sf produced by writers from the colonies during the colonial period and after independence. While little attention had been paid to sf produced by countries outside the Anglo-American and European world in early sf historiography, current sf criticism is investigating these in a larger global context (for instance Eastern European, Latin American, African, West and South Asian). In this paper, I do not attempt a historical telling, as has been done in most of these approaches (some of which I have reviewed). Instead, using the lens [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব ৩
আকাশবাণী
“‘১৯৫৯ সালের এক বসন্তের দিনে’ – হ্যাঁ, আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফিলিপ মরিসন কথাগুলো ঠিক এ ভাবেই বলেছিলেন – ‘আমার প্রতিভাধর বন্ধু জিউসেপি ককোনি আমার অফিসে এসে এক দুর্ঘট প্রশ্ন করে বসল – গামা রশ্মি কী তারাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে না?’ মরিসন সহমত পোষণ করে পরামর্শ [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ২ – আলোকবর্তিকা
স্থান : অজ্ঞাত
কাল: ৮০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: নিও
|| ২ক ||
সমুদ্রের আওয়াজটা বড় মধুর লাগে নিও’র। সে তীরে বসেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়। এই সমুদ্রের একটা জায়গায় একটা বড়ো প্রাকৃতিক খাল তৈরী হয়ে মিশে গেছে গভীর অরণ্যের মধ্যে। জোয়ারের সাথে সাথে জল ঢুকে পড়ে খালের মধ্যে। খাল উপচে তীর ছাপিয়ে যায়। অনেক মাছ খেলা করতে করতে উঠে আসে ডাঙায়। মাছরাঙা আসে, আসে আরোও [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ
স্থান: কেনিয়া
কাল: ৫,০০০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: মুসা (পিকিং মানব)
[“Seek wood already touched by fire. It is not then so very hard to set alight” ~ African Proverb]
||১ক||
আকাশ লাল, বাতাস ভারী, ভোর অস্নিগ্ধ। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী উড়ে যাচ্ছে চীৎকার করতে করতে। অনতিদূরের বন থেকে দলে দলে পশুরা ছুটে পালাচ্ছে যতটা দূরে পারা যায়। বাঘের পাশে হরিণ, হাতির পাশে গণ্ডার, খরগোশের মাথার ওপর দিয়ে বন্য কুকুর। আর যে বড় গুহা-শ্রেণীর [আরো পড়ুন]
Read More
মেরি শেলী : সৃষ্টির ছায়ায় স্রষ্টা
আজ থেকে দু’শ বছর আগে ইউরোপের জেনেভা লেকের ধারে এক বাড়ীতে বসে এক উনিশ বছরের মেয়ে লিখে ফেলেছিল পৃথিবীর প্রথম সায়েন্স ফিকশন নভেল। দু’শ বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন কোণায় মানুষ চর্চা করে এসেছে তাঁর রচনা নিয়ে। কত থিসিস পেপার, কত সিনেমা, কত ফ্যান ফিকশন, এমনকি আজও সেই গথিক সায়েন্স ফিকশনের কালো দুনিয়া আমাদের পিছু ছাড়েনি। ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন দানব আজও [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৭ – অগ্নিকন্দুক
স্থানঃ হালিশহর
কালঃ ২০১৮
পাত্রঃ সুমন ও সুমনা
|| ৭ক ||
-কে তুমি?
আমার সামনে যে আছে সে আমার দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে। চেয়ার উলটে পড়ে গেছে মেঝেতে। সে টেবিলের দিকে পিছন করে ঝুঁকে। আমি যদি তাকে এই মুহূর্তে আক্রমণ করি তাঁর বাধা দেওয়ার মত শক্তিও যে নেই সেটা বোঝাই যাচ্ছে। হত চকিত হওয়ার কারণ আছে। আমিও কম হত চকিত নই। কারণ আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আমারই অতীত, [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের ‘দানব’ এর বিবর্তন
“I saw the dull yellow eye of the creature open; it breathed hard, and a convulsive motion agitated its limbs.”
লন্ডন – ১৮১৮ সালের ১লা জানুয়ারী, প্রকাশ পেল এক নামহীন রচয়িতার উপন্যাস – “Frankenstein Or, The Modern Prometheus”; যা কিনা প্রখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক Brian Aldiss এর মতে প্রথম প্রকৃত সায়েন্স ফিকশন গল্প। এই রচনা প্রকাশ পেয়েছিল খুবই ছোট প্রকাশনা Lackington, Hughes, Harding, Mavor, & Jones থেকে, মাত্র ৫০০ কপি।
গত দুই শতাব্দী ধরে ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এবং তাঁর [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন – রুপোলী পর্দার রূপকথা
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। এই নামটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত, কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, সেই দৈত্যের নাম আদৌ ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নয় বরং যিনি তার সৃষ্টিকর্তা তার পদবীই হলো ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, ব্যারন ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। জার্মানির Ingolstadt এর ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই তার মায়ের মৃত্যু হয়; ভিক্টর নানান কাজের মধ্যে যুক্ত [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনঃ আধুনিক যুগের এক আলেখ্য
শুরুটা করা যাক একটি সিনেমার একটা অংশ দিয়ে। ইংল্যান্ডে ঘুরতে এসেছেন এক বাঙালী দম্পতি। করপাস ক্রিস্টী কলেজে এক অদ্ভুত ঘড়ি দেখা যায়, যা উল্টোদিকে ঘোরে আর যার মাথায় একটি দৈত্যাকার পোকা বসে যেন সময়কে খেয়ে ফেলে। সেই ঘড়ির সামনে এসে স্ত্রী অবাক হয়ে বলে ওঠেন একটি কথা – “ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন”!
মেরী শেলির লেখা ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন উপন্যাসটির নাম পাঠক [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পর্ব ২
গোল্ডিলক জোন
পরের রবিবার যথারীতি উৎসাহী ছাত্রের মতন হাজির হলাম প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়িতে। আমি আসতেই স্যার জলখাবার আনতে বললেন। খেতে খেতে কথা হতে লাগল। আজ লুচি তরকারি – স্যারের প্রিয় খাবার। আমার তো বটেই।
স্যার বললেন – “হ্যাঁ তুমি যেন সেদিন কী প্রশ্নটা করেছিলে?”
আমি বললাম – “এই যে অগুনতি কোটি কোটি তারা। তাদের কোন গ্রহে মানুষ আছে আর কোথায় নেই [আরো পড়ুন]
Read More
যখন সবাই খেতে পাবে
আগামীকাল কী কী হবে?
২০৫০ খৃষ্টাব্দ
খিদে পাচ্ছিল খুব। টাকাপয়সা নেই বিশেষ, অতএব ভালো খাবারদাবার কিনে খাবার উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, না খেয়ে মরবো না। একটা ছোটো বালতি নিয়ে কর্পোরেশনের কলঘরে চলে গেলাম। নীল মাথাওয়ালা কলটার পাশে আমিই প্রথম। আস্তে আস্তে বস্তির আরো কয়েকজন ভিড় করে এলো।
ঠিক সাড়ে ছটা। কলটার মাথায় একটা আলো দপদপ করে উঠল। লাইনে আমিই প্রথম। কলের পাশের স্লটে [আরো পড়ুন]
Read More
এ অনন্ত চরাচরে – দ্বিতীয় পর্ব
আশ্চর্যবৎ পশ্যতি কশ্চিদেন্মাশ্চর্যবদ্ বদতি তথৈব চান্যঃ।
আসচর্যবচ্চৈনমন্যঃ শৃণোতি শ্রুত্বাপ্যেনং বেদ ন চৈব কশ্চিৎ।।২৯।।
কেহ ইহাকে আশ্চর্যবৎ কিছু বলিয়া বোধ করেন, কেহ ইহাকে আশ্চর্যবৎ কিছু বলিয়া বর্ণনা করেন, কেহ বা আশ্চর্যবৎ কিছু, এই প্রকার কথাই শুনেন। কিন্তু শুনিয়াও কেহ ইহাকে জানিতে পারেন না।
~ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – ২য় অধ্যায়
জলের মাছ কি [আরো পড়ুন]
Read More