আঁধারের নিঃশ্বাস
“আগের জীবনটা আমার কাছে এখন ছায়া ছায়া একটা স্বপ্নের মতো। কাউকে বোঝানোর কোন দায় নেই আমার। শুধু এই অসীম নক্ষত্র পথের বিস্তৃতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের খেয়ালেই বলে যাচ্ছি এই কথাগুলো। আজ মনে হয় এ যেন বিগত জীবনের ঘটনা।”
“আমার বিশ্ববরেণ্য শিক্ষক সুনীতিবাবুর নির্দেশে গ্রামগঞ্জের নানা প্রবাদ প্রবচন বিশেষ করে যার মধ্যে ভয় বা আশঙ্কার বীজ লুকিয়ে আছে সেসব নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
টাইম লকার
প্রফেসর পুরকায়স্থ গান শুনতে ভীষণই ভালবাসেন। একজন বৈজ্ঞানিক হলেও গানবাজনার দিকে তাঁর বরাবরই ঝোঁক ছিল। যদিও ইদানীং তিনি বেশির ভাগ সময়টাই আকণ্ঠ খেয়ে থাকেন, তবুও বৈজ্ঞানিক হিসেবে তাঁর কর্মদক্ষতা নেহাত অস্বীকারও করা যায় না। আসলে প্রথাগত পড়াশোনায় তাঁর খুব একটা আগ্রহ ছিল না, তাই ওঁর যুগান্তকারী গবেষণামূলক থিয়োরিগুলোর জন্য বিশেষ কোন সরকারী আর্থিক সাহায্যর [আরো পড়ুন]
Read More
পুনর্জন্ম – র্যামসে ক্যাম্পবেল
অন্ধকার! উঃ! আবার সেই শ্বাসরোধী অন্ধকার আমায় ঘিরে ধরছে! তবুও আমি নিশ্চিত কেউ আমার দিকে নজর রাখছিল! আচ্ছা, আমি কি অন্ধ হয়ে গেছি? তবে যে মনে হচ্ছিল কেউ আমার উপর ঝুঁকে পড়ে দেখছে? তা কি তবে স্বপ্ন? যেন অনেকগুলো স্বচ্ছ পর্দার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানবমূর্তি, যার মুখটা তৈরি শুধু জমাট অন্ধকার দিয়ে।
ঘন পলির মত অন্ধকার আমার চোখের উপরে জমে আছে, যেন কত জন্মের ঘুম [আরো পড়ুন]
Read More
অনন্তের খিলান
প্রথম অধ্যায়
দুয়ারের ভ্রাতৃসঙ্ঘ
“ওই দুয়ার কোথায় পথ দেখায়?”
“চেনাশোনা এই দুনিয়ার কিনারায়”।
“কাহারা শেখান পূর্বজদের দুয়ার খোলার কল?”
“খিলান ওপারে বসত তাদের, কোর নাকো কোলাহল”।
“দান করি মোরা অর্ঘ্য কাদের, বড় ভয় ভীত মনে?”
“ওঁদের, যারা ওধারে থাকেন, তাঁদেরই সম্মানে”।
“খিলানের দ্বার খুলে রাখিবার আছে কি গো প্রয়োজন?”
“থাকিতে দাও অবারিত এ দুয়ার, কেন বৃথা বন্ধন”।
Read More
ঝুলন্ত সেই লোকটা
ঘুমচোখে সোমনাথ হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল, প্রায় বিকেল সোয়া চারটে বাজে; বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে কাল রাতে। সাহেবগঞ্জ হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার মাস্টার সোমনাথের সখ হল রাত জেগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বই পড়া। এর জন্যে কত বকুনিই না খেয়েছে বউ স্বপ্নার কাছে, এই চল্লিশ বছর বয়সেও আজও শুনতে হবে মনে হচ্ছে। আসলে কলেজে পড়ার সময় সখ ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান [আরো পড়ুন]
Read More
অভিবাদন-আলেকজান্দ্র কুপ্রিন
নতুন কল্পান্তের দ্বিতীয় শতক শেষ হবে আর খানিক বাদেই, মাত্র পনেরো মিনিট বাকি। পনেরো মিনিট পরেই, মাস দিন ঘন্টা মিলিয়ে পৃথিবীতে উদযাপিত হতে চলেছে জার্মানির আত্মসমর্পণের সেই বিশেষ দিনটি। এই দিনেই জাতীয়তাবাদ আঁকড়ে থাকা শেষ রক্ষণশীল দেশটি, তার উগ্র দেশীয় সত্তা বিসর্জন দিয়ে যোগ দিয়েছিল স্বাধীন নৈরাজ্যবাদী সমিতিতে। খ্রীষ্টীয় ক্যালেন্ডারের হিসেবে সময়্টা ২৯০৬ সালের শেষের দিক।
Read More
একটি অ-সাধারণ ঘটনা – গেন্নাদি গোর
‘তুমি কে?’ জিজ্ঞেস করলাম।
বিষাদলাগা কন্ঠে ধীরে ধীরে জবাবটা এলো। ‘আসলেই কি জানি আমি কে? এটুকু বলতে পারছি যে আমি তোমারই মতো স্বাধীন ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন। কিন্তু এখনো নিশ্চিত জানি না আমি কে। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারব। তুমি কে?’
‘আমি জ্যাক পিটারস। তোমার স্রষ্টা।’
‘কে? ঈশ্বর?’
‘তুমি ঈশ্বরের নাম জানলে কোত্থেকে? ঈশ্বর বলে কিছু নেই। তাছাড়া, আমি [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য আলো – আলেক্সান্দর বেলিয়ায়েভ
“দেখুন, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে ভিরোভাল কত বড় চিকিৎসক।”
“অবশ্যই, একজন সম্পূর্ন অন্ধ মানুষও যখন তা দেখতে পান, তখন তিনি বড় চিকিৎসক তো বটেই।”
“আপনি কীভাবে জানলেন যে আমি একেবারে অন্ধ?” পাশে বসা অপরিচিতর দিকে ফেরেন রোগীটি।
“আরে, আপনার পরিষ্কার নীল চোখ দু’টো আমায় বোকা বানাতে পারবে না। একটা পুতুলের মতই আপনারগুলোও নিষ্প্রাণ।” অপরিচিত হেসে সেই সাথে আরও বলেন [আরো পড়ুন]
Read More
একটি উপন্যাসের প্লট – ইলিয়া ভারশাভস্কি
আমি খুব খুশি ছিলাম সেদিন। আমার মত এক লম্বা অসুস্থতা যে কাটিয়ে উঠবে সে আমার মানসিক অবস্থা পুরোপুরি বুঝতে পারবে। আমাকে যে আর প্রতিবন্ধী ভাতায় থাকতে হচ্ছে না, আমার অসুস্থতাজনিত ছুটি আরো লম্বা করা হয়েছে, তাতে আমি আমার অসুস্থতার আগে শুরু করা গবেষণাপত্র শেষ করার জন্য অঢেল সময় পাবো। ফলে আমি আমার স্যানেটেরিয়ামে থাকার সময়টা পুরোটাই আরাম করতে পারব, আমায় [আরো পড়ুন]
Read More
মানুষ কি? – আইগর রশোকোভতস্কি
(দ্বাবিংশ শতাব্দীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দর্শন শিক্ষাকক্ষের সংক্ষিপ্ত শর্টহ্যান্ড প্রতিবেদন)
প্রথম পাঠ
আবিষ্ট মানুষটির কথা
(তথ্যাবলীঃ সেই সময় সপ্তর্ষিমণ্ডলে একটি নতুন নক্ষত্রের আবির্ভাব হয়েছে। সারা পৃথিবী সেই সংবাদে উত্তাল। যন্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, এটি সুপারনোভা প্রকৃতির নক্ষত্র নয়। বিকিরণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য রকম কম, সাধারণ যন্ত্রপাতিতে [আরো পড়ুন]
Read More
সভ্যতার সূচনা – রোমেন ইয়ারোভ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে টাইম মেশিনের দৌড় অন্যান্য প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত করা হল। অনুরাগীদের দীর্ঘ নিরলস প্রয়াসে এই সাফল্য। স্বাভাবিকভাবেই তারা ভীষণ গর্বিত। তাদের গর্ব করার যথেষ্ট কারনও আছে। এমনিতেই বহুদিন আগে, প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে টাইম মেশিনের মডেল তৈরির বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে ‘নবীনদের বিজ্ঞান চেতনা’, [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিশতবর্ষজয়ন্তী – কির বুলিচেভ
দুশো বছরের এই এক্সপেরিমেন্টের আজ একটি গৌরবময় দিন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটা আর কখনো ঘটেনি। আয়োজন দেখে মাথা খারাপ হবার জোগাড়। এই পরীক্ষা যাঁরা আরম্ভ করেছিলেন আজ তাঁরা বরণীয় হয়ে থাকবেন।
ওঁরা অবিশ্যি আজ অ্যাসেমব্লি হলের দেওয়ালে ছবি হয়ে ঝুলছেন। ডারউইন, মেন্ডেল, প্যাভলভ, সসনোরা, জ্যাকবসন, স্যাটো।
এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন এই পরীক্ষার কথা কিছুই জানতেন না, আর শেষ [আরো পড়ুন]
Read More
নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে – আনাতলি দ্নেপ্রভ
আমার মৃত্যুর পরে আমাকে মর্গ থেকে কিনে সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উডরপের বাড়িতে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ব্যাপারটা নেহাতই সাদামাটা। যেমন সাদামাটা আমার ঘটনাচক্রে মর্গে পৌঁছনোটা। নিউ ইয়র্কের একটা হোটেলের বাথরুমে আমি আমার হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছিলাম। হোটেলের ভাড়া বাকি না থাকলে বোধ হয় অত তাড়াতাড়ি আমার খোঁজ পড়ত না আর আমার লাশটাও অত শিগগিরি পাওয়া [আরো পড়ুন]
Read More
আপদ – ভ্যালেন্টিনা জুরাভ্লিয়োভা
তিন বছর আগে আমি প্রথম দেখেছিলাম ছোট্টখাট্টো মেয়েটাকে। রোগা হাত পা, ফ্যাকাশে গাল আর বড় বড় নীল চোখ নিয়ে একটা ভীতু ইঁদুরের মত জড়সড় হয়ে বসে ছিল সে। শুধু কোন পছন্দের লেখককে দেখলেই লজ্জায় রাঙা হয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে অটোগ্রাফের খাতা বাড়িয়ে ধরত মেয়েটা।
এই তিন বছরে কল্পবিজ্ঞান লেখক সঙ্ঘের একটাও মিটিঙও সে বাদ দেয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, কেউ তাকে আমাদের সঙ্ঘের মিটিঙে [আরো পড়ুন]
Read More
মঙ্গলগ্রহী- আলেকজান্ডার কাজানসেভ
জিওর্জি সিদভের ফ্রন্টডেকের কেবিনে আলোচনা তখন প্রায় থিতিয়ে এসেছে। আসলে, কেউই সে রাতে ‘মার্সিয়ান ক্যাটাস্ট্রফি’ নিয়ে বিশেষ কথা বলতে চাইছিল না। জাহাজী নাবিক ও মাল্লারা, আর্কটিকের অভিযাত্রী অথবা উত্তর মেরুর আশেপাশে তেলের খোঁজে ঘুরে বেড়ানো মানুষজনকেও যেন একপ্রকার সন্ত্রস্তই দেখিয়েছে। ক্যাপ্টেনেরও একই মত ছিল – উল্কাপাতের পর উত্তর সাইবেরিয়া [আরো পড়ুন]
Read More
চিত্রক – ভ্যাচেস্লাভ রিব্যাকভ
দিগন্ত বিস্তৃত বনানী।
ঘন অন্ধকারের স্তর স্বচ্ছ কিন্তু নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রেখেছে তার দেহকে। ঐ যেন কার চোখ, আগুনের মত ঝলসে উঠল। একটা জানোয়ার? নাকি কোনো অশরীরী? ভয়ে সে জমে গেল, চেপে রাখল শ্বাসপ্রশ্বাস।
দুবার চিত্রক হেঁটে গেল জঙ্গল মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান দিয়ে। গাঢ় নীল শান্ত আকাশে তারারা জ্বল জ্বল করছে, এই ভয়ংকর জঙ্গল থেকে অনেক উঁচুতে। কিন্তু তারপরেই তাকে [আরো পড়ুন]
Read More
শান্ত গ্রহ – য়ুরি গ্লাজকভ
একটা খুব সুন্দর এবং সমৃদ্ধ গ্রহ। সম্ভবত মহাবিশ্বের সবচেয়ে সেরা গ্রহ। সবুজ রঙের পাহাড় সারির তলায় জমে আছে ধাতুর এক মহা ভান্ডার। এ গ্রহের শিরায় উপশিরায় বয়ে যাওয়া কালো তরল একে যোগাচ্ছে অপরিমেয় শক্তি। এখানকার গাছপালাকে দেখলে বোঝা যায় আক্ষরিক অর্থে মহীরুহ কাকে বলে। এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়ায় নানান জীবজন্তু। আকাশে উড়ে বেড়ায় কত রকমের পাখি। নদীর জলে [আরো পড়ুন]
Read More
অনাহূত – এইচ পি লাভক্র্যাফট
ছোটবেলার স্মৃতি বলতেই বহুমানুষের মনে ভেসে আসে রঙিন এক ফেলে আসা দুনিয়া, তাই হয়ত মানুষ বারেবারে তার হারানো শৈশবকে ফিরে পেতে চায়। কিন্তু শৈশবের স্মৃতি যাদের জন্য বহন করে দুঃখ আর অবর্ণনীয় আতঙ্ক, তাদের কাছে শৈশবের মানেটা আমার মতই- একটু অন্যরকম। আমার ছোটবেলাটা কেটেছিল আলোআঁধারির মধ্যে বসে বসে দুষ্প্রাপ্য বই পড়ে পড়ে। কখনও বা বিদ্যুতের আলোয় হঠাৎ করেই [আরো পড়ুন]
Read More
চব্বিশ ঘন্টার জন্য খোলা – এডওয়ার্ড ম্যাকিওয়েন
মেডাকালা মিউজিয়াম অফ অ্যান্টিক্স–এর ধুলো জমে থাকা বারান্দা দিয়ে কিউরেটরের অফিসের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলো টারস বোকারা। রোগা এই তরুণটির ভাগ্য শুধু এই কারনেই বিচ্ছিরী নয় যে সে কোল ট্র্যাকসিস তিন নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত হাজারেরও বেশী মিউজিয়ামের একটিতে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রাইজ অফ পেরিল – রবার্ট শেকলে
বিপ্লবী পুলিন দাস স্ট্রীট ধরে ছুটতে ছুটতে এসে ডানদিকে পার্সি বাগান লেনে ঢুকে থমকে দাঁড়াল সিরাজ। উফ! শরীর আর দিচ্ছে না! কিন্তু না, থেমে গেলে চলবে না। এই রাস্তা ধরে সোজা গিয়ে এপিসি রোডে উঠলে কিছুটা সময় পাওয়া যাবেই! রাত দেড়টা বেজে গেলেও এপিসি রোড একদম নির্জন হয়ে যায় না। পাঁচ, আরো পাঁচ ঘণ্টা তার হাতে আছে। এইটুকু পার করে দিতে পারলেই…
Read More
বাতাসে মৃত্যুর ফাঁদ – অ্যালফ্রেড বেস্টার
যেদিন আমরা পালিয়েছিলাম প্যারাগন ৩ থেকে, ঠিক সেই সন্ধেবেলাই সেখানে হাজির হল এক সশস্ত্র সৈন্যর দল। এদের দেখলে মনে হবে যেন পাথর দিয়ে কোঁদা। একই ছন্দে চলেছে সবকটা। অথচ প্রত্যেকেরই অভিপ্রায় যেন এক। প্রত্যেক সৈন্যরই সঙ্গে আছে বন্দুক, ওয়াকি–টকি, কানে লাগানো স্পিকার বাটন, গলায় মাইক্রোফোন, হাতে চকচকে সবুজ ভিউস্ক্রিনওলা ঘড়ি।
Read More
মিমসিগুলো বনলে বোরোগোবে—
“আপনি দারুণ বোঝাতে পারেন স্যার,” অ্যালিস বলে উঠল, “আমায় একটু জ্যাবরওয়াকি কবিতাটার মানে বুঝিয়ে দিন না!
“আর আমার কাছে যে কোন কবিতার মানে বোঝানো তো নস্যি। বলো শুনি। বলো –বলো—” হাম্পটি ডাম্পটি জবাব দিল।
শুনে অ্যালিসের বেশ আশা গজাল প্রাণে। সে শুরু করে দিল,
“সেই যে ব্রিলিগ স্লাইদি টাটুমটোবে
গিমলে ঘুরাণ সূর্যকাঁটার ঘাসে
মিমসিগুলো বনলে বোরোগবে
Read More
মূষিক আতঙ্ক – এইচ পি ল্যাভক্রাফট
শেষ মিস্ত্রীটা কাজ খতম করে যেদিন বিদায় নিল, ১৯২৩ সালের সেই ১৬ই জুলাই, আমি এক্সাম প্রায়োরীতে পাকাপাকিভাবে [আরো পড়ুন]
Read More
কাঁঠালতলা
২০৬৫ সালে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর তৃতীয় দিন ওদের পাঠিয়ে দেওয়া হল। অতীতে। ১৮৬৫ তে।
ওরা চার ছেলেমেয়ে। মিস্টার ও, মিসেস ও, দুজনেই ঘন্টাখানেকব্যাপী হাইড্রোজেন বিস্ফোরণে অক্কা পেয়েছেন। প্রাচীন যুগের ভাষায় বললে, ওঁদের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছিল।
চার বাচ্চা, [আরো পড়ুন]
Read More
মৃত গ্রহের টাইম ক্যাপসুল – মার্গারেট অ্যাটউড
আমাদের সভ্যতার প্রথম যুগে আমরা দেবতা গড়েছিলাম। তাঁদের [আরো পড়ুন]
Read More
মস্তান – স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
লন্ডন, ১৮৭৮।
সাউথ মিডল্যান্ড ইয়োম্যানরির ঘোড়সওয়াররা সেই সময় আসন্ন ইউরোপিয়ান যুদ্ধ নিয়ে নয়, বরং চিন্তিত ছিল ফ্যারিয়ার সার্জেন্ট বার্টনের জন্য একজন প্রতিপক্ষ খুঁজে পাওয়া নিয়ে। বক্সিং রিঙে বিশালদেহী বার্টনকে হারানো তো দূরের কথা, তার সঙ্গে দশ রাউন্ড লড়তে পারে এমন বক্সারের সংখ্যাই কমে আসছিল হু-হু করে। ফলে বার্টনের দু’হাতের জোরের মতো তার ইগোও ফুলে-ফেঁপে উঠছিল।
Read More
হিমশীতল – এইচ পি লাভক্র্যাফট
ভদ্রলোক বললেন – “আপনারা জানতে চাইছেন ঠান্ডা আবহাওয়াকে আমি কেন ভয় পাই? কেন ঠান্ডা হাওয়ায় আমার শরীর মাঝে মাঝে গুলিয়ে ওঠে? কি কারনে আমার মধ্যে এক শৈত্যবিরোধী ভাব জেগে ওঠে?”
যাচ্ছিলাম গ্যাংটক, আমরা তিন বন্ধু মিলে [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতি – এইচ পি লাভক্র্যাফট
রাতে নিশ্ উপত্যকার আকাশে বসে থাকা চাঁদটাকে দেখলে মনে হয়, যেন সে কয়েকশ’ বছরের পুরোনো কোনো অভিশাপের কুষ্ঠ–ক্ষত আজও সারা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
অসুরক্ষিত – সাইমন রিচ
এক কারখানায় আমার জন্ম হয়। তারপর প্লাস্টিকের র্যাপারে মুড়ে বাক্সে সিল করা হয় আমাদের, একবাক্সে তিনজন করে।
প্রথমদিকে আমাদের জায়গা পাল্টায়। কারখানা থেকে গুদামঘরে, সেই গুদাম থেকে ট্রাকে চাপিয়ে তারপর দোকানঘরে।
একদিন এক তরুণ মানবের নজরে পড়ি। সে খপ করে আমাদের তুলে নিয়ে তার শার্টের নীচে লুকোয়। এবং এরপর সে খুব তাড়াতাড়ি দোকানের বাইরে চলে যায়।
বাড়িতে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রোফেসর চ্যালেঞ্জারের নতুন অভিযানঃ সন্ত্রাস নগরী
এই কাহিনী ১৯১৪ সালের, লণ্ডন শহরের সর্বত্র শুধু যুদ্ধের গুজব। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মাথারা তাঁদের সৈন্যসামন্ত জুটিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে একটি বিস্ফোরণ মানুষের মনে আরও বেশী ভয়ের সঞ্চার করল। সবার মনে একটাই আশঙ্কা, জার্মানি হয়ত অনেক দূর থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন কোন নতুন বোমা আবিষ্কার করেছে।
Read More
নবজাগরণের মানুষ
সকলে হর্ষধ্বনি করে উঠল, যখন ক্ষুদ্রকায় লোকটি তাদের জানাল, সে একজন বৈজ্ঞানিক।
তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা তাদের কম্পিউটারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে নৃত্য শুরু করল, ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিবিদরা তাদের ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রবল উল্লাসে চিৎকার করে উঠল। বিশাল ল্যাবরেটরিটা জমায়েত হওয়া সাংবাদিকদের ঘন ঘন হাততালিতে ফেটে পড়ল। হেরাল্ড পত্রিকার সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
বানভাসি
(洪水Kouzui)
অনেকদিন আগের বা সুদূর ভবিষ্যতের কথা (পাঠকের যা মর্জি ভেবে নিন), এক সৎ, কপর্দকহীন কিন্তু জ্ঞানী ভবঘুরে মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটনের উচ্চাশায় একটা নদীর ধারে নতুন গড়ে ওঠা নীলচে রঙের লঙ্গরখানার ছাদে টেলিস্কোপ বাগিয়ে বসল। স্বাভাবিক ভাবেই টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে কিছু গোদা গোদা নুড়ি পাথরের অর্থহীন ছোটাছুটি আর হরতাল বা অবরোধে আটকানো ট্রেনের [আরো পড়ুন]
Read More
অকাল তমসা (অন্তিম পর্ব)
[প্রথম পর্ব পড়বার জন্য এখানে ক্লিক করুন]
[দ্বিতীয় পর্ব পড়বার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]
পর্ব-৩
মানবসভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে আমি যা যা পড়লাম এখনকার যেকোনো তথাকথিত পণ্ডিতের মাথা ঘুরিয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। বেশিরভাগই হায়ারোগ্লিফিকে লেখা থাকলেও আমি সেগুলো বুঝতে পেরেছিলাম ড্রোনিং মেশিনের সাহায্যে। তবে অন্যান্য বেশ কিছু খণ্ড এমন বিটকেল ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
বিকল্প
তার মনে হলো সে হয়ত পথ হারিয়েছে। এতক্ষন ধরে সে নির্দেশিত পথেই চলছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে ল্যান্ডমার্কটার কথা তাকে বলা হয়েছিল, সেটা পেরিয়ে এসেছে ভুলে। এই ঘিঞ্জি জায়গায় বেশ কিছুক্ষন এদিক ওদিক করার পর, সে বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিল।
আচ্ছা – এই নোংরা প্যাঁচালো গলিঘুঁজি ছেড়ে বড় রাস্তায় উঠে আবার সেখান থেকে খোঁজ শুরু করলে কেমন হয়? ব্যাপারটা কেঁচে গণ্ডুষ হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
পৈশাচিক খিদে
কোন কারণ নেই।
কেন সবসময় কারণ থাকতেই হবে? মানুষ শুধু কারণ খোঁজে, কিন্তু আসল কারণ গুলোর পেছনের যুক্তিকে কখনোই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই যে মানুষের সমস্ত জীবন কেন এরকম? কেন শুধু এইভাবেই চলে, অন্য কোনভাবে কেন নয়?
এই ধরনের প্রশ্নকে কি কেউ কোনদিন ব্যাখ্যা করতে পেরেছে?
****
প্রচন্ড আক্রোশে দাঁতে দাঁত চেপে জানলার বাইরে তাকিয়ে মানুষটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। কখনো [আরো পড়ুন]
Read More