সম্পাদকীয়
প্রিয় কল্পবিশ্বের বন্ধুরা,
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে – গ্রীষ্মের নির্মম দাবদাহের শেষে শান্তির আশ্বাস নিয়ে আসে বর্ষাকাল। কিন্তু আজকাল যেন ঋতুগুলির গতিপ্রকৃতি বোঝা ভার। কখনও রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা, আবার কখনও অকালবৃষ্টি! শীতের পরশ কখন যে আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে যায় বোঝা দায়। প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, দেশের আবহাওয়া যেন আগের মতো আর নেই। তবে এটা কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
আমাদের ভবিষ্যৎ – নতুন তুষারযুগ নাকি জলমগ্ন পৃথিবী?
আমাদের ধারণা পৃথিবীতে তুষারযুগ আসলেও তা আসবে খুব ধীরে ধীরে। কল্পবিজ্ঞান গল্প কিংবা সিনেমায় যেরকম নাটকীয় ভঙ্গিতে দেখান হয়, সেভাবে কখনওই নয়। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন আবহাওয়ার বিস্ময়কর এবং দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে, বিশেষ করে মানুষ যদি পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে।
পৃথিবীর প্লাইস্টোসিন যুগ, যা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পঁচিশ [আরো পড়ুন]
Read More
মীরজাফর
“ড্যাম! হাউ দিস ক্যুড হ্যাপেন?”
“সরি স্যার- ইট ওয়স মাই ফল্ট, বাট-বাট আই ডিড রেক্টিফাই ইট উইদিন সেকেন্ডস।”
“দ্যাট ডাসন’ট চেঞ্জ এনিথিং!! ইউ অয়্যার অ্যাবাউট টু জিওপারডাইস মাই এন্টায়ার লাইফ’স ওয়ার্ক – ইউ!! লাল, ইউ দেয়ার??”
“ইয়েস স্যার।”
“শ্যুট দিস বাস্টার্ড রাইট নাউ! আই ওয়ান্ট টু হিয়ার হিস স্ক্রিম!”
একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল – যুগপত বন্দুকের এবং মৃতপ্রায় মানুষের গলার।
Read More
গ্রন্থ সমালোচনা – নিউ ইয়র্ক ২১৪০ – কিম স্ট্যানলি রবিনসন
উপন্যাস – নিউ ইয়র্ক ২১৪০
লেখক – কিম স্ট্যানলি রবিনসন
জঁর – সায়েন্স ফিকশন
সাব-জঁর – ক্লাইমেট ফিকশন (ক্লাই-ফাই)
উপন্যাসটি ২০১৮ ইউগো পুরষ্কারের জন্য মনোনীত।
অফিস টাইম। স্কাইব্রিজ দিয়ে মানুষগুলো এগিয়ে চলেছে কর্মস্থলের দিকে। বাতাসে ভাসছে সমুদ্রের সোঁদা গন্ধ। লঞ্চে বড্ড ভীড়। বড়লোকদের স্পীডবোটগুলো পাশ দিয়ে ঢেউ তুলে এগিয়ে চলেছে। শহরটা জলমগ্ন [আরো পড়ুন]
Read More
এক ডজন কল্পবিজ্ঞান লিমেরিক
(১)
নিছকই বাঙালি প্রায়। রোজ চাই মাছ ভাত শুক্তো।
আবাস? নিকট অতি। গ্রহ তার এ’ গ্যালাক্সিভুক্ত।
সে হলে ভ্যালেন্টাইন
রুখবে কোন সে’ আইন?
লেজ আছে? থাকুক না। চিন্তা তো স্বাধীন আর মুক্ত।
(২)
যানটি বিগড়ে গেছে, পালাবার স্কোপও নেই।
শ্বাসবায়ু মিলছে না? তবে শোনো গোপনেই,
একটি উপায়ই আর
আছে প্রাণ বাঁচাবার,
শেষ আশা পৃথিবীতে জেনো গাছ রোপনেই।
(৩)
সস্তা নতুন মাছের চালান। টাটকা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রলয়
প্রলয় উপস্থিত।
এভারেস্ট এর মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরের মতো বিল্ডিং ও তার পাশের রকেটের দিকে তাকিয়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল রাজের।
দুইদিন আগেই মা মারা গিয়েছেন। তারপর অন্যরাও একে একে, এখন শুধু ওই বেঁচে আছে।
আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই খুশি হল রাজ। বাঃ, মায়ের কাছে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
আকাশে জমাট বাধা কালচে লাল রক্তের মতো মেঘ করেছে। অন্যন্য [আরো পড়ুন]
Read More
উপসংহার
দুপুর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ। ঠিক পাহাড়ি বৃষ্টি নয়, তবে কেমন যেন আকাশটা ধরে আছে। আজ দ্বাদশী, দুদিন হল আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেছে, অবশ্য পশ্চিম বাংলায় বেশীরভাগ জায়গায় পুজোর মরশুমটা লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত থাকে। আর সাধারণত লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত স্কুল কলেজ, অফিস এমনিতেই বন্ধ থাকে, তাই আরো কিছু দিন আনন্দ উপভোগ করা, এই আর কি? দোষ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৮ : অগ্নিযোগ
স্থানঃ ভবিষ্যৎ
কালঃ অজ্ঞাত
পাত্রঃ সুমন
সুমনার নোটবইতে আর কোনও গল্প লেখা ছিল না। সেইবার ওর সামনে দাঁড়িয়ে আর কোনও কথা হয়নি। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমায় ফিরে আসতে হয় কথা অসমাপ্ত রেখে। ডায়রীতে এই কথাগুলো বাদেও রয়ে যায় কিছু নোটস… সেগুলো সংক্ষেপে লেখা। আর সঙ্গে কিছু ছবি… আমি সেগুলোই পড়তে শুরু করলাম…
|| ৮ক ||
প্রায় দুই হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দে [আরো পড়ুন]
Read More
পরিবেশ কাহিনি
১
ঠাণ্ডা! শৈত্য! শীতল! মস্তিষ্কের কেন্দ্রস্থলে এই একটাই সংকেত পোঁছাচ্ছে আপাতত। স্নায়ু-জালের শাখা-প্রশাখা গুলো এখনো অচেতনতায় আচ্ছন্ন। হঠাৎ একটা যান্ত্রিক সংকেত সচল হয়ে উঠল। একটা নির্দিষ্ট ক্রমে পরিমিত বৈদ্যুতিক প্রবাহ এসে সটান আঘাত করল হৃদযন্ত্রে। সঙ্গে সঙ্গে অজস্র তারের জট বেয়ে জাগরণ বার্তা ধেয়ে এল শরীরটার সমস্ত প্রয়োজনীয় বৃত্তীয় [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লাই-ফাই সিনেমা – রূপোলী আলোয় শেষের সেদিন
সয়লেন্ট গ্রিন ছায়াছবির এক আইকনিক ফ্রেম
Det. Thorn: Ocean’s dying, plankton’s dying… it’s people. *Soylent Green is made out of people.* They’re making our food out of people. Next thing they’ll be breeding us like cattle for food. You’ve gotta tell them. You’ve gotta tell them!
Hatcher: I promise, Tiger. I promise. I’ll tell the Exchange.
Det. Thorn: You tell everybody. Listen to me, Hatcher. You’ve gotta tell them! Soylent Green is people! We’ve gotta stop them somehow!
— Soylent Green (1973)
২০২২ এর পৃথিবী যেখানে প্রযুক্তির [আরো পড়ুন]
Read More
ইনটু দ্য স্টর্ম
আর্মির পায়ের শব্দ পেয়েই আনোয়ার সচকিত হয়ে উঠলেন। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক। কারণ এই সময়ে হয় তারা আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করতেই আসছে, নয়তো তার সঙ্গে যোগ দিতে!
মস্ত জানলার ওপরে তুষারঝড় আর বৃষ্টিপাতের অবিশ্রান্ত শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কাচের শার্সির বাইরে তাকালেই চোখে পড়ে আকাশ ফালাফালা করে দেওয়া বজ্রপাত। দূরের পাহাড়ের ওপরে কুণ্ডলী পাকানো মেঘ, বিদ্যুতের আলোয় তার [আরো পড়ুন]
Read More
সাক্ষাতে ড্যান ব্লুম : আবহ-কল্পনা এবং ভবিষ্য-শহরের রূপরেখা
সাম্প্রতিককালে ‘স্ট্রর্ম-টেলার’ উপন্যাসের লেখক ডেভিড থ্রর্প স্মার্ট-সিটি-ড্রাইভ পত্রিকার পক্ষ থেকে একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ক্লাই-ফাই ধারার পিতৃপুরুষ ড্যান ব্লুমের।
ড্যান ব্লুম। ফ্রিলান্স লেখক। ১৯৯১ সাল থেকে টোকিয়ো এবং তাইপেই-তে বসবাস করছেন। ইনিই প্রথম আবহাওয়া-কল্পকাহিনি (সংক্ষেপে আবহ-কল্পনা/ক্লাই-ফাই) নামে কল্পবিজ্ঞানের এই নতুন ধারাটিকে [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব ৩
আকাশবাণী
“‘১৯৫৯ সালের এক বসন্তের দিনে’ – হ্যাঁ, আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফিলিপ মরিসন কথাগুলো ঠিক এ ভাবেই বলেছিলেন – ‘আমার প্রতিভাধর বন্ধু জিউসেপি ককোনি আমার অফিসে এসে এক দুর্ঘট প্রশ্ন করে বসল – গামা রশ্মি কী তারাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে না?’ মরিসন সহমত পোষণ করে পরামর্শ [আরো পড়ুন]
Read More
২০৩০ : স্বগতোক্তি
ঠকাং… ঠক… ঠকাং… ঠক… ঠকাং…
একটা আশ্চর্য ছন্দ ওই শব্দে। ভয়ানক বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে সুর। যেন কোনও বিপদের পূর্বাভাস।
ওরা এসে গেছে। এখানেও। আমার পিছু নিয়ে, আমাকে তাড়া করে। ওদের ধাতব পদশব্দ বলছে ওরা আমায় ছাড়বে না সহজে। প্রতিমুহূর্তে আমার ঘরে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। কিন্তু উপায়?
আচ্ছা, একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখে নিই ঠিক কতদূরে [আরো পড়ুন]
Read More
পরিবেশগত বিপর্যয়
১) Aral সাগরকে কেন পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয়ের আদর্শ উদাহরণ বলা হয় কেন?
মধ্য এশিয়ার মধ্যে Aral সাগর, কিন্তু আসলে সাগর নয় এশিয়ার মধ্যে এইটিই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম লেক। আয়তনে ৬৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
আসলে এতই বিশাল এর আয়তন যে লোকের কাছে সাগরের রূপ নেয়। তাই সকলে এর নাম দিয়েছে Aral সাগর। মিষ্টি জলের লেক। এই জলাধারকে নিয়ত পুষ্ট করে চলেছে মধ্য এশিয়ার দুটি [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবী
জালের থেকে বুড়ো আঙ্গুলের মতো বড় একটা পোকাকে ছাড়িয়ে নিল হিলা। হ্রদের জলে ডুবিয়ে আঠাটা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘খাবে নাকি?’
পোকাটা তখনো মরে নি। আমার গা গুলিয়ে উঠল। কোনো প্রাণীর মৃতদেহই কোনোদিন খাইনি। আমাদের সব প্রোটিন কৃত্রিমভাবে তৈরি। কোনোক্রমে বললাম, ‘না। কী এটা?’
নির্বিকার ভাবে পোকাটাকে মুখের মধ্যে পুরে চিবোতে চিবোতে হিলা [আরো পড়ুন]
Read More
ভিত্তি
ব্যাঙের ছাতার মত মেঘগুলো পর পর আকাশে উঠছিল।
রাষ্ট্রনায়কদের আঙুলগুলো কোনো অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ছিল কিনা কেউ জানে না। পর পর পিয়ানোর রীড টেপার মত ছন্দে সুইচগুলোয় চাপ পড়েছিল।
মস্কো,দুবাই, টোকিও, নিউ ইয়র্ক, লণ্ডন, সিডনি, দিল্লি, বেজিং…
অশান্তি ঘনিয়ে এসেছিল বহুকাল আগে থেকেই। যুগের পর যুগ কোন দেশের রাষ্ট্রনায়কই জনসংখ্যা প্রতিরোধের কথা সিরিয়াসলি ভাবেনি। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিত্রাতা
২০৩৬ সালঃ
স্টাডি সিস্টেম পাল্টেছে এখন। এখন আর জোর করে স্টুডেন্টদের অপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় না। এখন প্রতি বছর স্কুলে কাউন্সিলিং হয় এবং ফলাফল হিসেবে যে স্টুডেন্টের যে সাবজেক্টে বেশি মনযোগ, তাকে সেই নিয়েই পড়াশোনা করতে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
মায়ের মুখে শুনেছে নিতাই, কোনও একটা সময় ছিল, যখন টেনথ স্ট্যান্ডার্ড-এর পর ‘মাধ্যমিক’ [আরো পড়ুন]
Read More
কৌটো
(তন্ময় পুরকায়স্হর জবানবন্দি, অনুলিখন রাজকুমার রায়চৌধুরী)
প্রথমেই বলে রাখি আমার নাম তন্ময় পুরকায়স্থ৷ আমি কেমিস্ট্রিতে এমএসসি পাশ করে একটা মোটামুটি নামী কোম্পানিতে চাকরি করি৷ বাঁকুড়া জেলার একটি গ্রামে আমাদের বাড়ি৷ বাড়িতে বাবা-মা আর এক বোন থাকে৷ তবে কাজের চাপে বছরে দু-একবারের বেশি গ্রামে যাওয়া হয়ে ওঠে না৷ আমি বিয়ে করিনি৷ যাদবপুরের কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজের হাতছানি
আলো ঝলমল মেট্রো স্টেশনের কাঁচের দরজার ওপারে ট্রেন এসে প্রতিদিনের মতোই দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল সাতটা দশ। ট্রেনের সিটে স্কুল ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে অন্যদিনের মতো বাবাকে সেই পুরনো প্রশ্নটাই করে বসল গুড্ডু, “বাবা, মাটির উপরে খোলা আকাশের নিচে আমাকে কবে নিয়ে যাবে?”
অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করতে করতে গুড্ডুর বাবা বলল, “বলেছি তো নিয়ে যাব। এখন বইতে একবার চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
রা-চীন
বিস্ফোরণের প্রবল শব্দে ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে উঠে বসে কমল। মোবাইলের ঘড়িতে দেখে রাত তখন বারোটা তেত্রিশ। টেনে টেনে কয়েকটা বড়ো শ্বাস নেওয়ার পরও বুক ধড়ফড়ানিটা কমতে চাইছে না কিছুতেই। শব্দের উৎসের সন্ধানে বিছানা ছেড়ে জানলার সামনে এসে দাঁড়াতেই নাকটা কুঁচকে ওঠে কমলের – বাতাসে মিশে আছে বারুদের গন্ধ!
দিনটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডে-ওয়ান। কেউ জানতেও পারেনি যে চুপিচুপি [আরো পড়ুন]
Read More
হুয়ানের বইটা
কুয়াশায় চারদিক জড়িয়ে থাকলেও সকাল সকাল প্লেন ধরবার তাড়া ছিল। ঘুম থেকে উঠেই তৈরী হয়ে ছুটলাম। ঘুম চোখেই এয়ারপোর্টের তিন নম্বর টার্মিনালের গেট ঠেলে ঢোকবার আগে মনে হল পুরো জায়গাটা আবছা সাদা পর্দায় কেউ ঢেকে দিয়েছে। গেটে আইডেন্টিটি চেক-এর পর ঢুকে পড়লাম ভেতরে। সিকিওরিটি চেক, লাগেজ ফাগেজের ঝামেলা মিটিয়ে লাউঞ্জের দিকে এগোতে থাকলাম। এখন একটা কড়া কফি চাই। ঘুম ঘুম ভাবটা কাটাতে হবে।
Read More