অবিনাশ হালদারের বাক্স
“কই রে বিপিন? আমার ছাতাখান দে। পচ্চিমটা কালো করে এয়েছে, যখন তখন ঢালতে পারে,” মুখে একখিলি জর্দা পান ঢোকাতে ঢোকাতে বললেন অনির্বাণবাবু। বছর পাঁচেক হয়ে গেল এই অভ্যেসটা হয়েছে। দ্বিপ্রাহরিক ভাতঘুমের পর বিকেলে একটু হাঁটতে না বেরোলেই নয়। আর তা নাহলে সন্ধের পরেই শুরু হবে পেট ভুটভাট, গা ম্যাজম্যাজ। কালো হাতলওলা ছাতাটা এগিয়ে দিল বিপিন। [আরো পড়ুন]
Read More
পাষাণী
“কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? এই! এই যে! শুনতে পাচ্ছো না? তোমাকে বলছি! কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাদের?”
একটা তীব্র রিনরিনে কণ্ঠস্বর দেওয়ালের গায়ে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফিরে আসছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকার এই সুড়ঙ্গ পথটা ভীষণ ঠাণ্ডা। বাইরের পৃথিবীর কোনও আওয়াজ এখানে কোনওদিন ঢুকেছে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র কয়েক জোড়া পায়ের মৃদু শব্দ আর অস্পষ্ট ফোঁপানি। [আরো পড়ুন]
Read More
বর্ণচোরা
“বুতু! অ বুতু! ওট বাবা, ওট!” কপালের ওপর কে যেন আলতো আঙুল বোলাচ্ছে। নরম, ঠান্ডা আঙুল। কার আঙুল এটা? এ ছোঁয়া তো আমার বড্ড চেনা! আহ্, কী আরাম! ইচ্ছে করছে আর-একটু শুয়ে থাকি… কিন্তু সে আর হল না। নরম হাতটা এবার ঠাঁই-ঠাঁই করে দুটো চাঁটি বাজিয়ে দিল কপালে, সঙ্গে বিষম জোর ধাক্কা! “ও মাগো!” বলে কঁকিয়ে উঠতেই কানের কাছে চাপা গলার ধমক বেজে উঠল, “আ [আরো পড়ুন]
Read More
পিউপা
“এই মুহূর্তে বাংলা তথা ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের চেহারাটা ঠিক কেমন? তারই আভাস মিলবে ২২-২৪ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ ও বাংলার প্রথম কল্পবিজ্ঞান-ফ্যান্টাসি বিষয়ক ওয়েব পত্রিকা ‘কল্পবিশ্ব’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক কল্পবিজ্ঞান সমাবেশ ‘ওয়র্কশপস অব হরিবল ক্রিয়েশন’-এ। মেরি শেলির অমর সৃষ্টি ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ প্রকাশের ২০০ বছর উপলক্ষেই এই [আরো পড়ুন]
Read More
শ্যাওলা
ঝুরি দিদা ভূত দেখতে পেত। মরে যাওয়া মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা… সব। কতবার বাতাসের গায়ে হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলতে দেখেছি সেজ দাদু, বাগানের শুকিয়ে যাওয়া বনতুলসী বা গাড়ির তলায় চাপা পড়া আমাদের আদরের মেনিটার সঙ্গে। সবাই বলত ঝুরি দিদা নাকি পাগল। চোখে মোটা চশমা আঁটা রাঙাজেঠু ছিল সায়েন্সের টীচার, মাঝে মাঝে ভুরু কুঁচকে উদাস স্বরে বলত, “হয়ত অন্য কোনো তরঙ্গ প্রবাহের [আরো পড়ুন]
Read More