এইচ পি লাভক্র্যাফট – জীবন ও সাহিত্য
“এই বিশ্বের বিপুল বিষয় বৈচিত্রকে মানুষের মনের ক্ষুদ্র বিস্তার কিছুতেই অনুধাবন করতে পারে না, আর তাই আমার বিশ্বাস, জগতের সবচেয়ে অনুকম্পার বিষয় হলো মানবমনের চিন্তার এই সীমাবদ্ধতা ।” ‘কল অফ খথুলু’ রচনায় এটিই লাভক্র্যাফটের প্রথম বানী বলা চলে। এর থেকে তিনি আমাদের একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, যে তিনি এমন কিছুর একটা সন্ধান দিতে চলেছেন, যার রহস্য [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো হ্যালোইন (একটি ফ্যান ফিকশন)
সন্ধ্যে প্রায় হয়ে এল। হাইওয়ের ধার দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে পাশ দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটে বেরিয়ে যাওয়া গাড়ি গুলোর আলোয় মাঝে মাঝেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে অর্কর। অক্টোবরের শেষ। বেশ কনকনে ঠাণ্ডা পড়েছে ম্যাসাচুসেটস-এ – তার ওপর মাউন্ট গ্রেলকের কাছাকাছি বলে এই জায়গাটায় ঠান্ডা আরো বেশি।
আজ প্রায় সাত মাস হল আমেরিকার বস্টন শহরে কাজের সূত্রে এসে রয়েছে অর্ক। এই ক’মাস [আরো পড়ুন]
Read More
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাথে কল্পবিশ্বের আড্ডা
“মঙ্গলে জল আছে কিনা জেনে কী হবে, আগে এই গ্রহটাকে বাঁচাও”
তিনি হেঁটে আসছেন। দু-হাতে বাজারভরতি ব্যাগ। মাথায় টুপি। পরনে টি শার্ট-পাজামা। আমাদের দেখেই মুখে খেলে গেল হাসি, ‘ও তোমরা এসে গেছ?’ এমন করে বললেন যেন কতদিনের চেনা। আসলে যে সকলকেই প্রথমবার দেখছেন বোঝা মুশকিল। আমরা ক্যাবলার মতো হাসছিলাম আর অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম তাঁর দিকে। আমাদের সামনে [আরো পড়ুন]
Read More
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
“৪২ আপাতদৃষ্টিতে একটি সামান্য ছোট্ট নম্বর, পাঁচে না থাকলেও সাতে আছে যদিও! তা সেই সংখ্যাকেই দুম করে রাজার আসনে বসিয়ে, ডগ্লাস অ্যাডামস সাহেব তার বিখ্যাত বই ‘দ্যা হিচহাইকারস গাইড টু দ্যা গ্যালাক্সি’তে বলে বসলেন,- প্রাণ, বিশ্বজগৎ আর সমস্ত কিছুকে নিয়ে যে পরম প্রশ্ন তার উত্তর হল ৪২! তারপর বহু বছর ধরে বহু পণ্ডিত খোঁজার [আরো পড়ুন]
Read More
অকাল তমসা পর্ব – ২
পর্ব – ২
এতক্ষণ যা যা লিখেছি তা থেকে নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন তথা দুঃস্বপ্নগুলো কতখানি ভয়ানক ছিল তা বোঝা গেছে। ইতিমধ্যে আমি বেশ টের পাচ্ছিলাম যে বদ্ধ পাগল হবার প্রাথমিক ধাপে আমি প্রবেশ করে ফেলেছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম আমার আগে যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছে তারাও কি এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল? কে জানে! একদিকে এই সচেতন আর [আরো পড়ুন]
Read More
আমি নিশার আতঙ্ক
ঘরে ঢুকতেই প্রথমে নজর পড়ল টেবিলের উপর সুন্দর একটা খাম। চট্ করে তুলে নিলাম। সত্যি, অদ্ভুত মনোগ্রাম করা খাম। গভীর নীল সমুদ্র। লাল প্রবালের স্তূপ এবড়ো খেবড়ো। কিন্তু কি বিশ্ৰী। লাল প্রবাল স্তূপের পাশে রয়েছে একটা বড় ইঁল বা বাণ মাছ। চোখ দুটো চুনি। মুখটা চ্যাপ্টা জোঁকের মত সাকার লাগান। কি জীবন্ত ছবি মনে হয় এক্ষুণি যেন নড়ে উঠবে ইলটা। [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশযাত্রী বাঙালী
ঘটনার অদ্ভূত যোগাযোগ জীবনে কখনো কখনো আশ্চর্যভাবে দেখা যায়। সকালবেলা কটা বৈজ্ঞানিক পত্রিকা ডাকে এসেছে। তন্ময় হয়ে তারই কয়েকটা নিবন্ধ ও আলোচনা পড়ছিলাম। মার্কিন একটি পত্রিকায় ‘কোয়াসার’ সম্বন্ধে অত্যন্ত চমৎকার একটি আলোচনা বেরিয়েছে। সেটি শেষ করে আরো দুটি পত্রিকার কোন নিবন্ধটি আগে পড়ব তাই নিয়ে তখন দ্বিধায় পড়েছি। একটি নিবন্ধ অ্যান্টিম্যাটার [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় জগত
অপরূপ সুন্দর একটা সরোবর। আর সেই সরোবর ঘিরে পাথর আর বালি, তারপরে তৃণভূমি। আসলে এটা একটা ছোটো উপত্যকা। পাহাড়ের মালায় ঘেরা। পাহাড়গুলো সব বালিপাথরের পাহাড়, হলুদ বালিপাথর। তাই পাহাড়গুলোকে সোনার পাহাড় বলে মনে হয়।
একটা পাহাড় থেকে নেমেছে ছোটো একটা ঝর্ণা, সেটা নদী হয়ে বয়ে এসে হ্রদে মিশেছে। পাহাড়ের নাম সুবর্ণগিরি, নদীর নাম ভদ্রা আর হ্রদের নাম নীলতারা।
Read More
অদৃশ্য
লোকটা বারবার কেন আসে? সে কী চায়?
ব্যাপারটা অনিন্দ্যকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শিশিবোতলওয়ালার সাথে রুমেলারই বা এত ঘনঘন কী এমন দরকার থাকতে পারে? রুমেলা যদি তাকে বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ ইত্যাদি বিক্রি করত, তাহলেও বোঝা যেত, কিন্তু তাও তো নয়! যখনই অনিন্দ্য বাড়ি থাকে না, তখনই লোকটা রুমেলার কাছে আসে আর অনিন্দ্যকে দেখলেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত।
Read More
পূর্ণিমা
একটা লালচে ধুলোর ঝড় পেছনে নিয়ে জিপটা চলে গেল বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে তাদের দুজনকে আর তাদের দুটো সুটকেস, এক ক্রেট জলের বোতল আর শুকনো খাবারের প্যাকেটে ঠাসা একটা কার্টন নামিয়ে দিয়ে।
জিপের শব্দটা মিলিয়ে যেতেই এক মুহূর্তের জন্য রাহুলের ভেতরটা ছমছম করে উঠল। একটা অজানা শঙ্কা পলকের জন্য তাকে ছুঁয়ে গেল যেন। এই গহন ঝিম জঙ্গলে আগামী সাত দিনের জন্য তারা [আরো পড়ুন]
Read More
বাঙ্ময়
অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের বাঁদিকের দেওয়ালটায় সার দিয়ে লেটারবক্স। রঙ চটে, তুবড়ে তাদের বেশিরভাগেরই দৈন্যদশা। ফ্ল্যাটের নম্বরটুকু শুধু কোনমতে পড়া যায়।
অন্যদিন অরিন্দম এদিকে ফিরেও তাকায় না, সোজা লিফটে উঠে যায়। কিন্তু আজ একটা সরু গলায় ‘অরিন্দম, চিঠি, চিঠি’ ডাকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে হল তাকে।
আটান্ন তলার বোস সাহেব নিজের লেটারবক্স থেকে চিঠি বের করছিলেন, মাথা ঘুরিয়ে বললেন,
Read More
আঁধারের নিঃশ্বাস
“আগের জীবনটা আমার কাছে এখন ছায়া ছায়া একটা স্বপ্নের মতো। কাউকে বোঝানোর কোন দায় নেই আমার। শুধু এই অসীম নক্ষত্র পথের বিস্তৃতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের খেয়ালেই বলে যাচ্ছি এই কথাগুলো। আজ মনে হয় এ যেন বিগত জীবনের ঘটনা।”
“আমার বিশ্ববরেণ্য শিক্ষক সুনীতিবাবুর নির্দেশে গ্রামগঞ্জের নানা প্রবাদ প্রবচন বিশেষ করে যার মধ্যে ভয় বা আশঙ্কার বীজ লুকিয়ে আছে সেসব নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ভুল
ডক্টর ধৃতিমানের কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়ের একটু নার্ভাসই লাগছিল।
ইউনিভার্সিটি ছাড়ার পর থেকে ধৃতিমানের, বা ওঁর কাজের সঙ্গে রয়ের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না।
একদা প্রিয় ছাত্র যে গবেষণা বা শিক্ষকতা বা নিদেনপক্ষে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মেগা-কর্পোরেশনের চাকরি না করে সাংবাদিকতা করছে, এটা ধৃতিমান কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন নি। তাই চাকরি [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য মানুষ
ডক্টর গ্রাহাম স্মিথ প্রাইভেট লিফটের ভিতর থেকে দিগন্তের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই আশি তলা বাড়ির উপরের দিকের কুড়ি তলাই জিটা কর্পোরেশনের অফিস আর ল্যাবরেটরি। এই লিফটে আশি তলায় উঠতে লাগে ঠিক নয় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড। ওঠার আর নামার এই সময় টুকুই ডঃ স্মিথের জীবনের একমাত্র সময় যখন তিনি কাজ আর কোম্পানি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ পরিচিতি – এ সব আগামীকাল ঘটেছিল
বইঃ এ সব আগামীকাল ঘটেছিল
সম্পাদকঃ বাল ফোণ্ডকে
প্রচ্ছদঃ সুবীর রায়
অনুবাদকঃ নবারুণ ভট্টাচার্য
প্রকাশকঃ ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট, ইন্ডিয়া
প্রথম সংস্করনঃ ১৯৯৬
পরিচায়কঃ অরুন্ধতী সিনহা রয়
সায়েন্স ফিক্শনের গল্প বলতে এখনও অধিকাংশ বাঙালি পাঠককুল বোঝে H.G.Wells, Edgar Allen Poe অথবা Jules Verne। বাংলা ভাষায় প্রথম সায়েন্স ফিক্শন গল্প লেখার সূত্রধর আচার্য জগদীশ [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র সমালোচনা – কিন্ জা জা (১৯৮৬)
আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন এই দুই সুপার পাওয়ারের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তাপ তখন প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসছিল। রেগন সাহেব তার স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্সিভ বা ‘স্টার ওয়র্স’ প্রজেক্ট নিয়ে মানুষের মনে ভয়ের আবহ তৈরী করে দিতে পেরেছিলেন বেশ সাফল্যের সঙ্গে। সেই সময় ১৯৮৬ সাল নাগাদ তদানীন্তন সোভিয়েত আমলে মস ফিল্ম স্টুডিও থেকে ‘কিন্ জা জা’ নামে একটা ছায়াছবি [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ২ – আলোকবর্তিকা
স্থান : অজ্ঞাত
কাল: ৮০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: নিও
|| ২ক ||
সমুদ্রের আওয়াজটা বড় মধুর লাগে নিও’র। সে তীরে বসেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়। এই সমুদ্রের একটা জায়গায় একটা বড়ো প্রাকৃতিক খাল তৈরী হয়ে মিশে গেছে গভীর অরণ্যের মধ্যে। জোয়ারের সাথে সাথে জল ঢুকে পড়ে খালের মধ্যে। খাল উপচে তীর ছাপিয়ে যায়। অনেক মাছ খেলা করতে করতে উঠে আসে ডাঙায়। মাছরাঙা আসে, আসে আরোও [আরো পড়ুন]
Read More
ক্যুইজ-৪
কল্পবিশ্বের তৃতীয় সংখ্যার কুইজের উত্তর কেউ সম্পূর্ণ ঠিক দিতে পারেননি।
১) লাভক্রাফটিয়ান ইউনিভার্সের বিখ্যাত কাল্পনিক বই নেক্রোনমিকনের লেখক কে?
২) লাভক্রাফটের বহু গল্পের পটভূমি আর্কহ্যাম শহর কোথায় অবস্থিত?
৩) ১৯৮২ সালে নির্মিত বিখ্যাত হরর ছায়াছবি ‘দ্য থিং’ এর লেখক কে?
৪) নিচের ছবিটি কোন ছায়াছবির দৃশ্য?
৫) অনেকের মতে ১৯৭৭ সালে নির্মিত এই ছবিটি বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
হেমন্তকাল বরাবরই অবহেলিত। কিন্তু গরমের প্যাচপ্যাচানি আর বৃষ্টির একঘেয়েমির পরে চমৎকার আবহাওয়ার এই ঋতু কেমন করে যেন শীতের আগে একটা প্রিকোয়েলের মতো আসে আর চলে যায়। ভেবে দেখলে, বাঙালির উৎসব পর্বের শেষে হেমন্তই যেন তার মিঠে উপস্থিতিতে আসর জমিয়ে রাখে। এবারও সে এসেছে। আর তার সঙ্গে এসে পড়েছে কল্পবিশ্বও। তার একেবারে নতুন, ধোঁয়া ওঠা এক সংখ্যা নিয়ে।
আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More