যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
মূল গল্প: The Day Time Stopped Moving
১
ঠান্ডা মাথায় এ কাজ করার লোক ছিল না ডেভ মিলার। খবরের কাগজে যেমন মাঝেমধ্যেই দেখা যায় সংসারের জ্বালায় মানুষ আত্মহত্যা করছে, সেরকম বিষাদগ্রস্ত মানুষ একেবারেই ছিল না সে। কিন্তু সেদিন যে কী হল, পাঁড় মাতাল হয়ে মিলার বাড়ি ফিরেছিল গজরাতে গজরাতে, আর ওর রিভলভারটাও সেদিন গর্জে উঠেছিল। বেসিনের গায়ে দাঁড়িয়ে নিজের [আরো পড়ুন]
Read More
রিভিউ: “The Gollancz Book of South Asian Science Fiction Volume 2”
গোলাঞ্জের প্রথম সাইন্স ফিকশন সংকলনের সার্থক উত্তরসূরি হিসেবে প্রকাশিত দ্বিতীয় খণ্ডটি শুধু প্রথম খণ্ডের ভুলত্রুটিগুলির কেবল সংশোধনই করেনি, বিস্তৃত করেছে তার লেখা ও লেখকের ব্যপ্তিও। এই সঙ্কলন প্রকৃত অর্থেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রকাশিত সাইন্স ফিকশনের সঙ্কলন, যার পাতায় স্থান পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিব্বত থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশের লেখকদের লেখা।
Read More
Review: “The Gollancz Book of South Asian Science Fiction Volume 2”
The second edition of The Gollancz Book Of South Asian Science Fiction fills up the loops created by the prequel. It is wider in scope and it dives deep into the abyss of the reader’s imagination. This time it is truly South Asian by including entries from Srilanka as well as Tibet apart from the usual trio of India-Pakistan-Bangladesh, yes the work selection is really impressive.
Manjula Padmanabhan’s Graphic Preface is an eye-catcher, the readers are going to enjoy the postmodern graffiti and I guess it is important to acknowledge the realism of the cover picture as well as the image of the flying South Indian temple in the garb of a rocket, loved the propulsion angle. Do not miss Tarun Saint’s introduction as well as the bibliography at the end of the introductory article.
Let us throw a laser light on some of the delicacies offered by Gollancz.
Well, [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন
এক
একটা সরু গলির মধ্যে আচমকাই দোকানটা খুঁজে পেয়ে গেল রবিন। ছোট্ট একটা পানের দোকানের সাইজের খোপের মধ্যে কয়েকটা সস্তা চশমা সাজানো রয়েছে। কাউন্টারের পেছনে প্রচণ্ড রোগা, দাঁতে পানের ছোপওয়ালা এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে। বয়স আনুমানিক ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে।
ভদ্রলোকের সামনে চোখের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বাড়িয়ে দিল রবিন। কাগজটা তুলে চোখের [আরো পড়ুন]
Read More
মা
।১।
১৮/৮/২২৪৫
“রুনু, এই রুনু…”
ধড়মড় করে ঘুম থেকে উঠে বসলাম। দেয়ালের খুদে পর্দাটায় মায়ের ছবিটা ভাসছিল। ঘুরে তাকাতে হেসে বলে, “শিগগির ওঠ। দৌড়ে লাউঞ্জে যা। নইলে মিস করবি।”
তাড়াহুড়ো করে সাফসুতরো হয়ে লাউঞ্জে গিয়ে দেখি ততক্ষণে খুব ভিড় হয়ে গেছে সেখানে। মাইকে অ্যানাউন্স করছিল, “গোলন্দাজ টিম নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে গেছে। আর চার মিনিটের মাথায়…”
Read More
যোগ্যতম
“আমি অধ্যাপক আই… আইজাক রদ… রদেনস্টাইন।…আইজাক রদেনস্টাইন! এ আবার কিরকম নাম স্যার?” – ধাতব পাতটা মুখের সামনে আঁকড়ে ধরে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করল আমার প্রধান সহকারী গিমিচ।
এর উত্তর আমারও জানা নেই। দীর্ঘ দু-বছরের অক্লান্ত সাধনায় যে লিপির পাঠোদ্ধার আমরা করতে পেরেছি, এই মুহূর্তে যে লিপির যথাসাধ্য নির্ভুল অনুবাদ খোদিত রয়েছে গিমিচের ধরা [আরো পড়ুন]
Read More
জাম্বুবানের সন্ধানে
১
প্রবল বর্ষণের মধ্যে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি আর রবার্ট ঢুকতে পেরেছি একটা গুহায়। দলের বাকি দুই গাইড কোথায় আছে জানি না। পাহাড়ে পা হড়কে পড়ে গিয়েছিলাম। রবার্ট টেনে না ধরলে এখন স্রোতে ভেসে যেতাম হয়তো। গুহায় শুয়ে শুয়ে হাঁপ ফেলছি, রবার্ট দেখলাম উঠে টর্চ বার করে গুহাটাকে খুঁটিয়ে লক্ষ করা শুরু করেছে। সেটাই বুদ্ধির কাজ। বাঘ-সিংহ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
ডেজা ভ্যু
মনে হল প্রচণ্ড ভয়াবহ কোনো এক দুঃস্বপ্ন দেখছি। চিৎকার করে উঠতে চাইলাম, কিন্তু পারলাম না। আর ঠিক তখনি একটা ঝাঁকুনি খেয়ে ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলাম। অনুভব করলাম গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। দুঃস্বপ্ন হলেও এতটাই বাস্তব ছিল যে ঘুম ভাঙার পরেও আমি কে, কোথায় আছি কিছুই মনে এলো না। তারপরেই চোখ গেল সামনের সিটে বসে থাকা লোকটার দিকে। [আরো পড়ুন]
Read More
দিলবাহাদুরের বাড়ি ফেরা
(ডিলমন ডিলা উগান্ডার একজন কল্পবিজ্ঞান লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। Braveheart’s Homecoming নামে তাঁর এই গল্পটি মিথিলা রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছিল)
বনের উপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে মনের মধ্যে হাজারো স্মৃতি ভিড় করে এলো। সে ভেবেছিল এতদিনে সব বোধ হয় ভুলে গেছে। কিন্তু একে একে ছবির মতো তার শৈশবের নানা স্মৃতি মনের মধ্যে জেগে উঠল। সব স্মৃতি সুখের নয়। [আরো পড়ুন]
Read More
নীলাঞ্জন এবং লিনা
আজ নিয়ে পরপর তিনদিন মেয়েটাকে লক্ষ করল নীলাঞ্জন। সে যখন কলেজের জন্য বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে তখন মেয়েটাও দাঁড়িয়ে থাকে। তিনদিনই নীলাঞ্জন দেখেছে মেয়েটার চোখে কালো চশমা আর মাথায় ছাতা। অথচ কোনোদিন বৃষ্টি পড়েনি। তাও ছাতার লজিকটা না হয় বোঝা যায়, বৃষ্টি না পড়লেও এখন আষাঢ় মাস চলছে। সুতরাং বৃষ্টির জন্য ছাতা নিয়ে চলাটা [আরো পড়ুন]
Read More
কালজয়ী
প্রকাণ্ড ড্রয়িং-রুমটার সঙ্গে মানানসই বিশাল সোফার এক কোণে জড়োসড়ো হয়ে বসেছিল আকাশ। ছোটো শহর থেকে ছোটো-ছোটো ধাপ বেয়ে উঠে এসে ঝাঁ-চকচকে জোহানেসবার্গে ছোট্ট স্টার্ট-আপ শুরু করার পরে এই দু-বছরে উন্নতি তার অনেক হয়েছে। কিন্তু এই মাপের কোনো খদ্দের ওদের আজ পর্যন্ত কখনও জোটেনি। নাথান তো শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিল না। চোখ কপালে তুলে সে বলেছিল, [আরো পড়ুন]
Read More
আমব্রা
১
গ্যানিমিড সেন্ট্রাল, রিপাবলিক নেভি হেডকোয়ার্টার্স
“দুটো তারার নিজস্ব মণ্ডলের মাঝামাঝি জায়গায়, একটা অদ্ভুত অবস্থানে রয়েছে এই গ্রহটা।”
সুং-কে রীতিমতো উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। পোলানস্কি চোখের ইশারায় তাঁকে শান্ত হতে বললেও প্রবীন বিজ্ঞানী সে-সবের তোয়াক্কা করলেন না। হাত-পা ছুড়ে তিনি পরের কথাগুলো বলে চললেন।
“এটা যদি সারকামবাইনারি [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহরী
কিছুটা সময়ের জন্য খুদে যন্ত্রটা থমকে দাঁড়াল রাস্তার মাঝখানে। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিয়ম মেনে এতকাল সে যে রাস্তায় অন্যান্য যন্ত্রদের মতো টহলদারি করে এসেছে ঠিক সেখানে। রোগ সংক্রমণের বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওরই মতো আরও খুদে খুদে যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যাতে তারা সংক্রমণের হার নির্ণয় করতে পারে। তাদের যদিও সেই সমস্ত পরিস্থিতির [আরো পড়ুন]
Read More
আসিমভের গোয়েন্দাগিরি
“আমরা ড. আসিমভের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
রোবট দুটির মধ্যে যার দেহটি একদম ধাতব এবং রুপোলি রঙের মধ্যে একটা নীলচে আভা খেলে যাচ্ছে সে-ই বলে উঠল রিসেপশন ডেস্কে এসে ।
“কিন্তু উনি তো কনফারেন্সে আছেন,” রিসেপশন ডেস্ক থেকে সুসান বলল। “কী দরকার শুনি? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তো দেখা হবে না।” বলেই সুসান কম্পিউটারে ক্যালেন্ডার খুলে বসল।
ওদিকে চকচকে বার্নিশ [আরো পড়ুন]
Read More
নিত্যতা সূত্র
এই ছোঁয়াচে অসুখে জর্জর, আতঙ্কগ্রস্ত শহরের আকাশেও শেষ বিকেলে রামধনুটা শুহার মন ভালো করে দিল। এমনকি এখনও। একান্ত সাময়িক যদিও। সাবান কাচার পর ডেটলে চুবিয়ে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলতে এসেছিল ছাদে। একতলার ঘুপচি থেকে, অন্ধকার ইট বেরোন এবড়োখেবড়ো সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের আকাশটাই একমাত্র সান্ত্বনা শুহার দুর্বিষহ শ্বশুরঘরে। কাপড়গুলো তুলে ওপরে চোখ তুলেই [আরো পড়ুন]
Read More
হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান
কল্পবিজ্ঞানের জন্মদাতা
বাংলা সাহিত্যে এই ‘জঁর’-এর পথিকৃৎ কে?
অধ্যাপক অনীশ দেব, তাঁর সম্পাদিত সেরা কল্পবিজ্ঞান সঙ্কলনের মুখবন্ধে বলেছেন:
… বাংলাভাষায় কল্পবিজ্ঞানের সূচনা ১৮৯৬ সালে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর কলমে। কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাঁর ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ গল্পটি। এর পঁচিশ বছর পরে ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থ [আরো পড়ুন]
Read More
উড়ান প্রবাহ
(১)
বিজ্ঞানী বিশ্ববসু (আই এন ডি ৪০৮৫ –বায়ো সায়েন্স /বি.বি ২০৮৫)
সাল: ৪১২৫
স্থান: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া
রিমোট কন্ট্রোলের সবুজ বোতামটা টিপতেই চোখের সামনে থেকে গোলাপি আলোর পর্দাটা সরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজারতম রে ওয়ের ধারে তিনলক্ষতম বাসস্থানটি বিজ্ঞানী বিশ্ববসুর। বাসস্থান মানে হাওয়ায় ভাসমান কিছু আলোককুঠুরি। বাইরে থেকে দেখলে [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্গদেশের যন্ত্রমানব
রোবট, যন্ত্র মানুষ বা কলের গোলাম— যে নামেই তাকে ডাকো না কেন, টিভি আর সিনেমার পর্দায় উপস্থিতির জন্যে তারা আজ কারো কাছেই অপরিচিত নয়। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা যদিও রোবট তৈরির ব্যাপারে লেখকের কল্পনা এবং কলমকে টেক্কা দিতে পারেনি এখনও, তবু স্বনিয়ন্ত্রিত কলকারখানায় আর গবেষণাগারে তাদের ব্যবহার দেখে মনে হয়, সেই দিন আর আসতে তেমন দেরি নেই। আধুনিক রোবটের [আরো পড়ুন]
Read More