ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা
ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা – পূজাবার্ষিকী ১৪২৮
প্রকাশকাল – ১১ অক্টোবর ২০২১
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীউজ্জ্বল ঘোষ।
Read More
First Bengali Science Fiction & Fantasy Webmag
ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা – পূজাবার্ষিকী ১৪২৮
প্রকাশকাল – ১১ অক্টোবর ২০২১
অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীউজ্জ্বল ঘোষ।
“মা ও মা দরজা খোলো। আমার খুব ভয় করছে প্লিজ খোলো না মা। আমি আর কোনওদিন তোমার অবাধ্য হব না মা। প্রতিদিন অঙ্ক করব। কোনও অঙ্ক ভুল করব না।” অন্ধকার ঘর থেকে চিৎকার করে মার্ক বলতে থাকে। এই ঘরটা বেসমেন্টের ঘর। লরেঞ্জ পরিবারের সমস্ত বাতিল জিনিসপত্র এইখানে থাকে। ছোট্ট এই ঘরটায় আলো-হাওয়া ঢোকে না বললেই চলে। অনেক উঁচুতে একটা ঘুলঘুলি আছে সেখান দিয়ে [আরো পড়ুন]
১
কারও কারও হয়তো মনে আছে যে ১৮৭৮ সালের জুলাই মাসে জেনারেল ইগনাটিফ বাডেন শহরের বিখ্যাত বাডিশার হফ হোটেলে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন। সেই সময়ের সংবাদপত্রগুলো খবর করেছিল যে মহামান্য জ়ারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি শারীরিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য তাঁকে বাডেনে আসতে হয়েছে। কিন্তু ইউরোপের রাজনৈতিক ব্যাপারে [আরো পড়ুন]
বাড়ির সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন অখিলেশবাবু। সামনের উঠোনে দুটো বেতের ঝুড়িতে রাখা রয়েছে কাঁচা আম, কালকের রাত্তিরের ঝড়ে পড়েছে। ঝুড়ির সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ন্যাংটা ভুটুঙের (উলঙ্গ বাচ্চারা) দল, তার পেছনে তাদের দাদা-দিদিরা। আরও পেছনে তাদের মায়েরা। তারা অবশ্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। তারা ঘোমটার আড়ালে মিচকি মিচকি [আরো পড়ুন]
ঘণ্টা বাজছিল। ঠিক ঘণ্টা নয়। জন্তুর ডাকের মতো একটা শব্দ। শব্দটা ফের একবার আমাকে জাগিয়ে দিল এসে। এই নিয়ে অষ্টম বার।
এখানে সময় দেখবার কোনও উপায় নেই। এখানে, ওই শব্দটা শুনে কেবল আমি জানতে পারি আরেকটা দিন শুরু হয়েছে। আরেকটা মৃত্যুর প্রহর।
বাইরে পায়ের শব্দ উঠছিল। পুরোহিতের মতো চেহারার লোকটা ফের আসছে। এরপর কী হবে তা আমি জানি। [আরো পড়ুন]
১
ধুকধুক করছিল শেষ-বেলার আলো। লাল সূর্যটা আর একটু পর ডুবে যাবে, কালচে কুয়াশার মতো আভায় তখন ভরে উঠবে চারদিক। সৌরজগৎ থেকে বারো আলোকবর্ষ দূরের গ্রহটার এবড়োখেবড়ো পাথুরে জমি ধরে মাছধরা জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছিল সেই পড়ন্ত আলোর রশ্মি। অদ্ভুত বায়ুমণ্ডল এই গ্রহের, যার ফলে সব আলো কেমন ভেঙেচুরে যায় সেই স্তরের মধ্যে দিয়ে আসতে আসতে।
শুধুই [আরো পড়ুন]
হালকা হাতে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে সদর রাস্তার থেকে বাঁ দিকে ঘুরে গিয়ে রতন বলল— দেখ তো রাস্তাটা চিনতে পারছিস কিনা? তারপর দেবুর ঘাড় নাড়া দেখে নিজেই বলল— চিনতে পারার কথাও অবশ্য নয়। এই কুড়ি বছরে শহর এদিকটাতেই বেশিটা বেড়ে গেছে। নতুন ইন্ডাস্ট্রিগুলোও এদিকটাতেই এসেছে। ফলে সেই সরু মোরামের রাস্তাটা এখন ফোর লেন হাইওয়ে। পার্ক, মল, কর্পোরেট [আরো পড়ুন]
“অনুপলাল?”
“কল হোনেওয়ালা টেলি-কনফারেন্স কা খবর লিয়া?”
খচমচ খচমচ করতে করতে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এল হৃষ্টপুষ্ট চেহারার অনুপলাল। পেশার চেয়ে নেশাই তাকে বেশি বিখ্যাত করেছে। তার প্রিয় নেশা খাদ্য। পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা তাকে দেখলেই ‘মোটে মাল’ বলে খ্যাপায়, ছড়া কাটে:
মোটে মাল খাস্তা
পুরি কচৌরি নাশতা
পুরি কচৌরি ঘট গিয়া (কমে গেছে)
মোটে মাল উলট গিয়া।
১৯২০ সাল, লন্ডন। সন্ধে থেকে আকাশে মেঘ করেছে। হয়তো কিছু পরেই বৃষ্টি শুরু হবে। আপাতত গুরুগম্ভীর শব্দের সঙ্গে সাদা বিদ্যুতের রেখা খেলা করে চলেছে মেঘের বুক চিরে। সেই আলোতে ব্যাংক অব লন্ডনের সাউদার্ন এভিনিউ শাখার লাল ইটের ভবনটা থেকে থেকে আলোকিত হয়ে উঠে পরক্ষণেই আবার মিলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের ভিতর।
দূরে টেমসের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লক [আরো পড়ুন]
– মৃত্যুহানা –
টক্ টক্ টক্! হরি আবার জোরে জোরে টোকা দিল ডা. যোশেফ মিত্রর দরজায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই টোকা দিয়ে চলেছে সে, কিন্তু ডা. মিত্র-র সাড়া দেবার নাম নেই! ধ্রুব মল্লিক এবারে পুরোপুরি অধৈর্য হয়ে গেল। “আরে, ওইরকম পিনিপিনে টোকা মারলে কিচ্ছু হবে নি, বাবুর শরীল খারাপ ছিল রাতে, জানিস না? খুব গভীরে ঘুমুচ্চে। দরজাটায় জোরে ধাক্কা মার।” [আরো পড়ুন]
এই কাহিনি ভাবীকালের। এ ভাবীকাল আমাদের জীবনে কেন আমাদের ভাবী কয়েক পুরুষের জীবনেও হয়তো আসবে কিনা সন্দেহ।
তবে ভারতের শ্বাশত বাণী— ‘চরৈবেতি’। এগিয়ে যাও। এগিয়ে যাও। মানব সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে। বিশ্বাস করি ধীরে ধীরে এক সময়ে আমাদের এই সভ্যতা ছড়িয়ে পড়বে গ্রহে গ্রহে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে। মানুষের পদধ্বনি শোনা [আরো পড়ুন]
১
– এমন অমঙ্গুলে কথা সাতসকালে কী না বললেই নয়, প্রফুল্ল! ছেলেটা আমাদের কতদিন হল বাইরে গেছে, ভালো চিন্তা কর। সেও ভালো থাকবে, তার সঙ্গে আমরাও। তার চেয়ে গোবিন্দ ভজ, হৃদয়ে শান্তি পাবে।
– তোমরা বাবারা বড্ড পাষাণ। মায়েদের হৃদয় তোমরা কী বুঝবে! বিদেশ যাওয়ার দুই বছরে ছেলেটা একবারও বাড়ি এসেছে? যাওয়ার আর জায়গা পেল না, এক্কারে বিদেশ। অনেক হয়েছে, আর না, এবারে তাকে বাড়ি আসতে বল।
১
“হ্যালো! আবির? আমি দিব্য বলছি!” সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে পারল না আবির। “শুনছিস? কাল সুপারটাউনের সঙ্গে ম্যাচ। ঠিক এগারোটায়…”
“সরি। কাল আমার মর্নিং ডিউটি— দুটোয় ছুটি!”
“শোন আবির!” গলাটা নামিয়ে দিব্য যেন খুব গোপনীয় খবর ফাঁস করার ভঙ্গিতে বলল, “কালকের ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব কথা এখন বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কাল যদি না খেলিস খুব ভুল করবি।”
একটা কোলাহলের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল আমার। বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি বাড়ির পাশ দিয়ে জনা চার-পাঁচেক লোক একরকম পাঁজাকোলা করেই একটা বয়স্ক মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। ওরা সবাই প্রায় আমার মুখচেনা। এ পাড়াতেই থাকে। কিন্তু এই রাতদুপুরে হঠাৎ কী কারণে এভাবে ছুটোছুটি করছে, সেটা বুঝলাম খানিক পরে আমার বাড়ি মালিক [আরো পড়ুন]
‘তুমি কি রসিকতা করছ? নাকি সত্যিই বলতে চাইছ যে একটা যন্ত্রও ভাবনাচিন্তা করতে পারে?’
আমার এই প্রশ্নের জবাব দেবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে মোক্সন একাগ্র চিত্তে একটা লোহার শলাকা হাতে ফায়ার প্লেসের ঝিমিয়ে পড়া জ্বলন্ত কাঠকয়লার টুকরোগুলোর পরিচর্যা করতে লাগল। সেগুলোও বেশ গনগনে হয়ে উঠে তার পরিচর্যার প্রতিদান দিলো। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার মধ্যে এই পরিবর্তনটা [আরো পড়ুন]
মা এসেছেন। তাঁকে দেখতেও যাবো। তবে মাস্ক পরে। উৎসবে সামিল হব। তবে দূরত্ব রেখে। আনন্দ করব, তবে মেপে।
এমনটা হবার কথা ছিল না আসলে। তবুও হল। প্রকৃতি আর মানুষ একে অপরের কথা শুনল না বলেই। বিপদ আর দুর্যোগ পেরিয়ে তাই মুখোমুখি হতে হল অতিমারীর। অনেক প্রাণের বিনিময়ে রোগটাকে দমিয়ে দেওয়া গেলেও একেবারে থামিয়ে দেওয়া যায়নি এখনও। সাবধান থাকাটা [আরো পড়ুন]
এমনিতেও ‘দূরদর্শী’ হিসেবে খুব একটা সুনাম নেই আমার, তার উপর আবার ধূসর কুয়াশার পুরু আস্তরণটা বেশিদূর অবধি দেখার পথে অন্তরায় হচ্ছে! মাথার মধ্যে অদ্ভুত একটা ঝিমধরা ভাব। মাথাটা একটু ভার হয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু মাদকতা’টুকু বেশ উপভোগ্য। কানের কাছে অনেকগুলো মৌমাছি যেন মৃদু একটা গুঞ্জন তুলছে অবিরত। নাহ! একটু ভুল হল, ঠিক কানের কাছে নয়। বরং বলা [আরো পড়ুন]
লেখক – অনেকে
সম্পাদক – বাল ফোন্ডকে
ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় যে বিপুল পরিমাণ কল্পবিজ্ঞান যে শতাধিক বছর ধরে রচনা হয়ে আসছে তা বোধহয় সব থেকে অবহেলিত। বাঙালি পাঠক যেমন মারাঠি কল্পবিজ্ঞানের খবর রাখেন না, তেমনি কন্নড় পাঠকও হিন্দি কল্পবিজ্ঞানের সঙ্গে অপরিচিত থেকে যায়। ভারতের মতো বহু ভাষাভাষী দেশে হয়তো [আরো পড়ুন]
এবড়োখেবড়ো জমি পেরিয়ে ছুটছিল ছেলেটা। তার বুটের সঙ্গে ঠোকর খেয়ে ইতিউতি ছিটকে যাচ্ছে ছোট ছোট টুকরো পাথর। কপাল আর গলা বেয়ে নামছে ঘাম। অস্তগামী সূর্যকে পিছনে ফেলে বাসায় ফিরছে উড়ন্ত পাখির ঝাঁক। কিন্তু কোনও কিছুর দিকে নজর নেই তার। কতদূর যাওয়ার আছে? কীসের টানে এই দৌড়? কার কাছে পৌঁছোতে চাইছে ও? কিচ্ছুটি জানা নেই ওর। কিন্তু ও জানে, পৌঁছতে [আরো পড়ুন]
अपरेयमितस्त्वन्यां प्रकृतिं विद्धि मे पराम् |
जीवभूतां महाबाहो ययेदं धार्यते जगत् ||
১
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে যখন প্রথমবার আসি, আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিল এই সুপ্রাচীন আদিম অরণ্য দেখে। কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলে বড় হওয়া শিশু মনে প্রশ্ন জেগেছিল, পৃথিবীর কোথাও এত গাছ থাকতে পারে? এখন, তিন দশক পর ডোঙ্গিরিতে কাজের সুত্রে ফিরে [আরো পড়ুন]
No, I am not going to try and build it up. You are probably reading this story while you lean against the handgrip in a suburban train, waiting for your destination station. Or maybe you are glancing through it as you gulp down your food during the lunch break at the office before you get back to work. Or even, perhaps you need to go out soon on some urgent work, and you are reading up as much as you can in whatever little time you have left.
In short, for you and maybe for most of you, time is in short supply. So you do not have the patience to read anything like a regular novel that slowly builds up the characters, the background and the descriptions.
So let me come straight to the point. This story is about you or someone like you. All that happens in this story could happen with you too. I mean, it is not necessary that it will happen, but it could happen nonetheless.
Let’s [আরো পড়ুন]
রবীন্দ্রনাথ কবি, রবীন্দ্রনাথ দার্শনিক। তিনি একাধারে গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, অঙ্কনশিল্পী, পরিবেশ বান্ধব, পল্লী সংস্কারক, এবং সর্বোপরি বিশ্বমানবতার একনিষ্ঠ পূজারীও! নিঃসন্দেহে, গত একশো বছর বা তারও বেশি সময় নিয়ে, অগণনীও সহস্র প্রবন্ধে, রচনায় ও আলোচনায়, বহু দেশি ও বিদেশি গবেষক মিলে, তাঁর প্রতিভার গভীর থেকে গভীরতর বিশ্লেষণ [আরো পড়ুন]
১৯১৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণগুলির থেকে মহাবিশ্বের আকার ও গঠনের জন্য প্রথম একটি স্থির এবং স্থিতিশীল মহাবিশ্বের মডেলের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু তাঁর একই তত্ত্ব থেকে রাশিয়ান বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান, বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জর্জ লেমাট্রে এবং ডাচ জ্যোতির্বিদ উইলেম ডি সিটার মহাবিশ্বের যে [আরো পড়ুন]
“Damn! How could you let this happen?”
“Sorry, sir, it was my fault, but… but, I did rectify it within seconds.”
“That doesn’t change anything, you son-of-a-bitch! You almost screwed up my entire life’s work there! Lal, you there?”
“Yes, boss.”
“Shoot this bastard right now. I want to hear his scream.”
There came the sound of a gunshot, and almost simultaneously merging into the fading echoes of the crack, came a dying man’s pathetic scream that faded into a gurgle.
“Good riddance. Now I need to handle this.”
2
Ashok had just let out a moan of pleasure as he pressed the girl’s head against his crotch when his bliss was rudely interrupted by the powerful transmitter just beside his ear, alerting him to an incoming call from his boss.
Son-of-a-bitch! What a time to call! Shoving aside the girl with one hand, Ashok began pulling up his trousers while [আরো পড়ুন]
বীভৎস ব্যাপারস্যাপার নিয়ে যাঁরা লেখালেখি করেন, তাঁরা এই সব কাহিনি-টাহিনি কোথাও কোনও একটা উৎস আছে বলেই মনে করেন। সে সব কাহিনি পড়লে গায়ে কাঁটা দেয় তো বটেই, সেই সঙ্গে মুচকি হাসি, মনের কোণে কোণে খেলে বেড়াতে থাকে। সে হাসি অবিশ্বাসের হাসি, কিন্তু যুক্তি তর্ক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা যায় না, এমন সব ঘটনাও তো এই পৃথিবীতে ঘটেছে এবং ঘটছে। কিম্ভূতকিমাকার [আরো পড়ুন]
১
কলকাতা শহরের দক্ষিণে একটি কৃত্রিম জলাশয় আছে, করুণ রসিকতার সঙ্গে আমরা যাকে হ্রদ বলে অভিহিত করে থাকি। জীবনে যাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই অথবা উদ্দেশ্যের একাগ্র অনুসরণে যাঁরা পরিশ্রান্ত, উভয় জাতের সকল বয়সের স্ত্রী-পুরুষ নাগরিক প্রতি সন্ধ্যায় সেই জলাশয়ের চারিধারে এসে নিজের নিজের রুচিমাফিক স্বাস্থ্য অর্থ কাম মোক্ষ এই নব্য চতুর্বর্গের [আরো পড়ুন]
উৎসর্গ: আতঙ্ক সম্রাট হাওয়ার্ড ফিলিপ লাভক্রাফট
ডেভিড কাকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই বৃষ্টিটা জোরে নামল। আজ প্রায় তিনমাস পর কাকার বাড়ি এলাম। আসলে কাকাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হঠাৎই সবাই চিন্তিত হয়ে পেড়েছে। এই বিগত তিনমাস এমনিতেই কাকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি, তার ওপর কাল কাকার বাড়ির এলাকার এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বাবার [আরো পড়ুন]
কফির কাপে চুমুক দিয়ে প্রফেসর সূর্যশেখর বললেন, ‘আপনি কি শিওর ব্যাপারটা আপনার নিজের চোখে দেখা?’
সূর্যশেখরের সামনে বসা আগন্তুককে কিছুটা চিন্তিত মনে হল। সে কথা না বলে ব্যালকনিতে রাখা উজ্জ্বল হলুদ-কমলা অর্কিডগুলোর দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইল। নভেম্বর মাস, শীত পড়তে শুরু করেছে। সকালের নরম রোদ ব্যালকনিতে পড়ে ঝলমল করছে। এই সকালে সূর্যশেখরের [আরো পড়ুন]
কালাহান একজিট পোর্ট, তিন দিন আগে, পাগল বুড়ো
“বুড়োওওও!”
তীক্ষ্ণ গলার চিৎকার কানে আসামাত্র বুঝলাম, অলস দুপুরটার বারোটা বাজাল।
আশফাক আর নীরা’র দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই কমিউনিটি শেল্টারে পড়তে না গিয়ে, বা রুবিক ইনক্-এর প্ল্যান্টে কাজে না ঢুকে ওরা আমার কাছে এসে ঘ্যানঘ্যান করলেও কারও কিচ্ছু বলার নেই।
নোংরা এই সমুদ্রতটের গলায় কুৎসিত [আরো পড়ুন]
The warm touch of a glow-worm bird, almost as big as a pigeon, breaks his sleep. That dream again! It has returned to Bidur after an interval of several days.
Bidur throws a slanting glance at Srimati. She is still in deep sleep, dishevelled and content.
Bidur instantly closes his eyes as if to shut out the revelation of any deep secret. The mind travelled back to the days when he had started to smoke. The cautious way in which he kept his face away and talked with the minimum movement of lips to avoid detection.
Forbidden thoughts wrapped in coloured covers! For the first time in their twenty-two years of conjugal life, he is indulging in guilty fantasies.
In spite of all his efforts, he cannot exercise any self-control. His hand is now unconsciously playing with the steering of his car. Again, he is late for his office today. The vacation, instead of rejuvenating him, has produced exactly the opposite result. He has become rather lax in his duties.
‘পারসেল আ গিলো বড়া বাবুর ঘরে। সেই থিকে বাবু দোর দিছেন’।
অ্যাঁ? পারসেল? ঘনাদার?’ আমরা সমস্বরে আঁতকে উঠলাম।
মুখ চাওয়াচাউয়ি করে তো আর সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই হবার নয়। গৌরই প্রথম টঙের ঘরের পানে দৌড় লাগাল। পিছন পিছন আমরা তিনজন। ঘনাদা ও পার্সেল, পার্সেল ও ঘনাদা মেলে না কোনওক্রমেই। এ রহস্য ভেদ না করে রবিবারের মাছের কালিয়া রামভুজ স্পেশাল পেটে নামবে না।
আমার কথা
“নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
এ ধরনের একটা কথা বাংলা বাক্যালাপে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। কোনও কিছু ‘নিজের চোখে’ না দেখলে তা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তবে এ যাবৎকাল অবধি আমার সজ্ঞানে দেখা সব কিছুই ভুল, ভ্রান্ত। কারণ? কারণ, বরাবর আমার জগৎ দেখা অন্য মানুষের চোখে। না, কাব্যিক ভণিতা নয়, আক্ষরিক অর্থেই! দাঁড়ান, শুরু থেকে বলি।
কাচের জানলা দিয়ে বাইরের তালশাঁসরঙা আকাশটার দিকে থম মেরে তাকিয়ে ছিল ইরাবতী। মুখভার করে থাকা আকাশটার মতো ওরও মন ভালো নেই। ঘুম থেকে উঠে সে পেটে একটা খিঁচুনি টের পায়। প্রায় দৌড়ে বাথরুমে ঢোকে। ওর দুটো পা দিয়ে দরদর করে নেমে আসছে রক্তের ধারা। একটা রক্তের পুটুলি বেরিয়ে আসে বাথরুমের মেঝেতে। রক্তে ভেসে গেল বাথরুমের মেঝে। স্পন্টেনিয়াস [আরো পড়ুন]
সবজেটে আকাশটার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে ছিল নীলোৎপল। এই মাঠটায় কেউ আসে না। মাঠ অবশ্য নামেই। শুধুই খানিকটা লালচে ধূসর জমি। আসলে আজকাল মানুষ বাড়ি থেকে বেরোয়ই কম, কারণ বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই জীবন বাজি রাখা। তবু নীলোৎপল বেরোয়। খুব সন্তর্পণে, মা-বাবার নজর বাঁচিয়ে। বেরিয়ে এসে কমপ্লেক্সের পিছনদিকে এই মাঠে বসে থাকে। আকাশ দেখে। ওর মনে হয়, এইটুকু না করতে পারলে [আরো পড়ুন]
গোলাঞ্চ (Gollancz)-এর আগে প্রায় একশো বছর ধরে হাজার হাজার কল্পবিজ্ঞান, রহস্য ও ফ্যান্টাসি বই পাঠককে উপহার দিয়েছে, তবে এই সংকলনটি আলাদা কেন?
তার কারণ এই প্রথমবার একটি ব্রিটিশ সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া আর উপমহাদেশের কিছু বাছাই করা কল্পবিজ্ঞান দুই মলাটে তার পাঠককে উপহার দিয়েছে, তার জন্যেই তাদেরকে কুর্ণিশ।
পোস্ট-কলোনিয়াল থিয়োরির দিক থেকে ভেবে [আরো পড়ুন]
‘একটা ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য সায়াকা মুরাটা আজ এখানে আসতে পারেননি। আমরা এজন্য খুব দুঃখিত।’
বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার দিক থেকে এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হলে যেন স্কুল ছুটির মতো শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
‘কেন? থাকতে পারবেন না কেন? ওঁর বই এর প্রেস রিলিজ, আর উনি থাকবেন না!’ নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক বলে উঠল।
‘একটা আকস্মিক দুর্ঘটনার জন্য উনি আসতে পারেননি। এজন্য উনি খুব দুঃখিত। তবে…’
“আরেক কাপ মার্সিয়ান জুস হবে নাকি?”
“না, আর নয়। বেশি খেলে ঝিমুনি মতো আসে। আর ঝিমুনি এলে বন্দিকে নির্বাসনের দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করতে পারব না।”
“আরে ধুর, কবে থেকে এইসব কাজ করছিস। এখনও কনফিডেন্স তৈরি হল না! নেহাত আমি স্পেস ভেহিকেলের পাইলট হিসেবে আছি বলে তাই। যদি বন্দি নির্বাসনের সরাসরি দায়িত্বে থাকতাম, তবে তোকে দেখিয়ে দিতাম চোখ বন্ধ করে কীভাবে কাজটা করা যায়।”
ঝকঝকে একটা সকাল। অদ্রিজা ঝট করে কুর্তির ওপর একটা ওড়না জড়িয়েই বেরিয়ে পড়ল। লামহাট্টার পাহাড়ি শ্যাওলা পড়া সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একবার ফোনটা চেক করে নিল। না, আর কোনও মেসেজ আসেনি। নিশ্চিন্ত হল। সাইকেলটা টানতে টানতে হটাৎই ফোনটা বেজে উঠল। শুভমের এই তাড়া দেওয়ার অভ্যাসটা আর গেল না। কিন্তু আজ সত্যিই একটা কারণ আছে। তা বলে আধ ঘণ্টার [আরো পড়ুন]
গ্রেসু গ্রাম পেরিয়ে কয়েক মাইল আসতেই সন্ধে নামতে শুরু করল কার্পেথিয়ার গায়ে। ছোট টিলাটার উপরে পৌঁছে ঘোড়াটাকে দাঁড় করিয়ে চারিদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখল দিমিত্রি। বছরের এই সময়টাতে পূর্ব রোমানিয়ায় বেশ তাড়াতাড়ি সন্ধে নামে। গ্রেসুতে বিশ্রাম নেওয়াটা তাদের উচিত হয়নি। পিছন ফিরে তাকিয়ে খানিকটা দূরে অ্যালেক্সকে দেখতে পেল দিমিত্রি। [আরো পড়ুন]
১
কালকে সারাদিন ধরে ব্লিজার্ড চলেছে। তাঁবু থেকে বের হতেই পারিনি। আজ সকালে ঝকঝকে আকাশ। উত্তর দিকে শতপন্থ গ্লেশিয়ার। ওপারে দুটো পিক দেখা যাচ্ছে বালাকুন আর চৌখাম্বা একটু ডান দিকে। পূর্বদিকে অলকানন্দা। ঘাটসোলের দু-নম্বর ক্যাম্প থেকে আমরা প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে। সোজা লাইন টানলে বারো কিলোমিটারই হয়। কিন্তু মাঝখানে একটা বিশাল এক উপত্যকার [আরো পড়ুন]
পিসিকে আবছা মনে পড়লেও পিসেমশাইকে একদমই মনে পড়ে না অমিতাভর। আসলে পিসেমশাই চাকরি করতেন বাংলা থেকে অনেক দূরে সেই মধ্যপ্রদেশে। কালে-ভদ্রে বাংলায় আসতেন। বাবা-মাও কোনওদিন তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। অমিতাভ তো কখনওই যায়নি। পিসেমশাইকে অমিতাভ হাতে গোনা দু-একবারের বেশি দেখেনি। তাও ছোটবেলায়। পিসিমা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বছরে [আরো পড়ুন]
১
আড়মোড়া ভাঙে ঢাকা শহর, রাস্তার শব্দে, মাইকের শব্দে একবার তার ঘুম ভাঙে, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ে। কাজের দিনটাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আলস্য। শীতের ভোরের কুয়াশা থেকে উঁচু বাড়িগুলো বেরিয়ে আসতে বেশ দেরি করে, পোষা কবুতর চক্রাকারে ওপর দিয়ে ওড়ে। বৃষ্টি হয়নি বহুদিন, ধূলায় ঢেকে গেছে সব গাছ, সূর্য জ্বলে আবছা লাল আলোয়। সারা দিন শহরটা একটা [আরো পড়ুন]
১
নলখাগড়ার বনে ধাবমান ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। তারপরেই ভারী পতনের ধ্বনি। তার রেশ মিলিয়ে যাবার আগেই একটা হতাশ ও মরিয়া চিৎকার। মৃত্যুপথযাত্রী চতুষ্পদ প্রাণীটা ছটফট করছিল। তার ভারী শরীর থেকে নিজেকে মুক্ত করে উঠে দাঁড়াল অশ্বারোহী। তন্বী যুবতী। পাদুকামোড়া চরণ দু-খানি, পরনে পশমি অঙ্গরক্ষা। কৃষ্ণভ্রমর চুলের রাশি তার শ্বেতবর্ণ [আরো পড়ুন]
বাজার থেকে শুধুমাত্র এক আঁটি নটে শাক কিনে আনতে ভুলে গেছেন বলে মহিমবাবুকে আজ কি হেনস্থাটাই না হতে হল। গিন্নি তাঁকে আটান্নতেই বাহাত্তুরে ধরেছে বলে যাচ্ছেতাই অপমান করলেন। অফিস আসার আগে সকালের বরাদ্দ চা-টা পর্যন্ত দিলেন না। ছেলে তো বরাবর মায়ের পক্ষে, দুজনে যুক্তি করে তাঁকে বহুকাল খরচের খাতায় ফেলেই রেখেছে। ছেলে আড়ালে তাঁকে ‘ওল্ড হ্যাগার্ড’ [আরো পড়ুন]
২১০০ খ্রিস্টাব্দ। চার আলোকবর্ষ দূরের প্রক্সিমা সেন্টাউরি নক্ষত্রের প্রক্সিমা বি গ্রহে এখন হ্যাবিটেবল জোন বা বসবাসযোগ্য স্থান রয়েছে। সেখানকার মাটি পাথুরে। কৃত্রিমভাবে জল আর বায়োস্ফিয়ার বানিয়ে বাতাসে অক্সিজেন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। গাছ লাগানো হচ্ছে, তারা নাইট্রোজেন সার মাটি থেকেই আহরণ করছে। বিরাট কর্মযজ্ঞ। পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানীরা [আরো পড়ুন]
অবিনাশের আপিসে এসেছে অভিলাষ। সাড়ে চারটা পার তখন, ছুটি হব-হব, কিন্তু তখনো অবিনাশের হাত কামাই নেই। তখনো সে নিজের মেশিনে বসে; মেশিনের মতই কাজ করে যাচ্ছে দু’হাতে।
রাশি রাশি আঁক। লম্বা লম্বা যোগ। বড়ো বড়ো হিসেবের ফিরিস্তি। সে সব চক্ষের পলকে দেখতে না দেখতে মেশিনের সাহায্যে কষিত হয়ে কাগজের পিঠে বসিত হচ্ছে। দেখলে তাক্ লাগে।
তাক্-লাগানো [আরো পড়ুন]
আজ ইভার মন খুশিতে মাতোয়ারা।
অনেকদিন পর মনের মানুষ অদম্যের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। হবু বরটা একদম গোবর গণেশ। আন-রোমান্টিক। তার ওপর কাজ-পাগল। ইভাকে সময় দেওয়ার মতন সময় অদম্যের থাকেই না বলেই চলে। তা সত্ত্বেও ‘ট্যাড়া হ্যায় পর মেরা হ্যায়’ বলে ইভা নিজের মতন মানিয়ে নিয়েছে।
রেস্টুরেন্টের ছাদখানা ভারী চমৎকার! [আরো পড়ুন]
মানুষ চায় অনেক কিছু; কিছু পায়, কিছু পায় না; কেউ পায়, কেউ পায় না। কালিদাস বিদ্যা চেয়েছিল, পেয়েওছিল; রাধা কৃষ্ণকে চেয়েও পায়নি।
শুক্লাও পায়নি।
শুক্লা বসু, এম.এ. সেকেন্ড ইয়ার, সংস্কৃত। বয়স তেইশ।
বিকেল ফুরিয়ে আসছে। সূর্য ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে দৃষ্টিসীমার ওপারে। বৈশাখের রিক্ত অপরাহ্ণে বাড়ি ফিরছে ক্লান্ত পাখির দল। ছাদের উপর দাঁড়িয়ে [আরো পড়ুন]
১
ঘুম ভাঙতেই সুশ্রুতবাবুর মনে হল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
উনি অনেকক্ষণ বিছানায় পড়ে রইলেন। সব কিছু যখন ধুয়েমুছে গিয়েছে, তখন নিশ্চয় বাজারহাট, অফিস বাড়ি, কোনওকিছুই আর নেই। ট্রাফিকের ঝামেলা নেই, লোকজনের গালাগাল নেই, ঘেমো ভিড়ে পকেটমারের ভয় নেই, বাজারে সবজির ইলেকট্রিক শক মারা দাম নেই, বসের খিটখিটে মেজাজ নেই, কিচ্ছু নেই।
বাংলায় এইচ জি ওয়েলসের অনুপ্রেরণা নিয়ে দুটি কাহিনি সম্বন্ধে কল্পবিশ্ব পত্রিকা-র ২০শে জুলাই ২০২১-তে প্রকাশিত ‘হেমেন্দ্রকুমার রায় ও বাংলা কল্পবিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধে বক্তব্য রেখেছি।1 প্রথমটি হল মৌচাক পত্রিকায় ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১৯২৫-২৬ খৃ:) ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত [আরো পড়ুন]