সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

১১ মার্চ, ২০২০: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন বা সংক্ষেপে হু) ঘোষণা করল পৃথিবীতে এক এমন ভাইরাসের দাপট শুরু হয়ে গেছে, যার কোনও প্রতিষেধক মেডিকেল সায়েন্সে এখনও নেই। অর্থাৎ এই ভাইরাসকে অকেজো করে দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ দুটোই আপাতত মানুষের অধরা। সাধারণত কোনও দেশে বা বিশেষ কোনও গোষ্ঠী কিংবা ভূখণ্ডে এধরনের কোনও অজানা [আরো পড়ুন]

(১)

মিস কেলির ক্লাসে প্রথম দিনই একটা বিশ্রী ব্যাপার ঘটে গেল।

    মিস কেলির ক্লাসটা আমার ঠিক পাশেই। সেদিন আমি সবেমাত্র ক্লাসে ঢুকে রোলকল সেরে বসেছি। পুলিশ অ্যাকাডেমির এই ক্লাসগুলোতে বাচ্চারা পড়লেও, এদেরকে প্রতিদিন কিছু না কিছু সহবত শিক্ষা দিতে হয় – আর সেটা ক্লাসে ঢুকেই দেওয়াটা আমি পছন্দ করি। তাও আবার এই সিজনের প্রথম ক্লাস ছিল সেদিন। তা – ক্লাসে গম্ভীর [আরো পড়ুন]

“ড্যাম! হাউ দিস ক্যুড হ্যাপেন?”

     “সর‍ি স্যার- ইট ওয়স মাই ফল্ট, বাট-বাট আই ডিড রেক্টিফাই ইট উইদিন সেকেন্ডস।”

     “দ্যাট ডাসন’ট চেঞ্জ এনিথিং!! ইউ অয়্যার অ্যাবাউট টু জিওপারডাইস মাই এন্টায়ার লাইফ’স ওয়ার্ক – ইউ!! লাল, ইউ দেয়ার??”

     “ইয়েস স্যার।”

     “শ্যুট দিস বাস্টার্ড রাইট নাউ! আই ওয়ান্ট টু হিয়ার হিস স্ক্রিম!”

     একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল – যুগপত বন্দুকের এবং মৃতপ্রায় মানুষের গলার।

[আরো পড়ুন]

“এই বিশ্বের বিপুল বিষয় বৈচিত্রকে মানুষের মনের ক্ষুদ্র বিস্তার কিছুতেই অনুধাবন করতে পারে না, আর তাই আমার বিশ্বাস, জগতের সবচেয়ে অনুকম্পার বিষয় হলো মানবমনের চিন্তার এই সীমাবদ্ধতা ।” ‘কল অফ খথুলু’ রচনায় এটিই লাভক্র্যাফটের প্রথম বানী বলা চলে। এর থেকে তিনি আমাদের একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, যে তিনি এমন কিছুর একটা সন্ধান দিতে চলেছেন, যার রহস্য [আরো পড়ুন]

৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট

“৪২ আপাতদৃষ্টিতে একটি সামান্য ছোট্ট নম্বর, পাঁচে না থাকলেও সাতে আছে যদিও! তা সেই সংখ্যাকেই দুম করে রাজার আসনে বসিয়ে, ডগ্লাস অ্যাডামস সাহেব তার বিখ্যাত বই ‘দ্যা হিচহাইকারস গাইড টু দ্যা গ্যালাক্সি’তে বলে বসলেন,- প্রাণ, বিশ্বজগৎ আর সমস্ত কিছুকে নিয়ে যে পরম প্রশ্ন তার উত্তর হল ৪২! তারপর বহু বছর ধরে বহু পণ্ডিত খোঁজার [আরো পড়ুন]

The Man From Earth

Diretor – Richard Schenkman

Written By – Jerome Bixby

Music – Mark Hinton Stewart

কেমন হয়, যদি হঠাৎ আবিষ্কার করেন যে আপনার পুরোনো সহকর্মীটি আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করাচ্ছেন তিনিই শ্রীমধুসূদন – বা অমর হনুমান? আপনি আজ জানতে পারলেন এতদিন যার সাথে বসে টিফিন খেয়েছেন, এক সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করেছেন, তিনি আসলে সেই পরম “তিনি”- তখন অনুভুতিটা কিরকম চরম হবে? ব্যাপারটা হল আপনাকে যদি সরাসরি কেউ এরকম [আরো পড়ুন]

“অর্ণব বাড়ি আছিস?”

“কীরে, এই অর্ণব – বাড়ি আছিস?”

     ভাগ্যিস এ পাড়ায় লোকজন বিশেষ থাকে না, আর যে দু-চার ঘর ছেলেছোকরা থাকে, তারাও কাল কালীপুজোর আনন্দে কারণবারি গিলে এখন মধ্যযামে বিচরণ করছে। অনেকক্ষণ দরজা খটখট, চেঁচামেচি আর ঘণ্টি বাজানোর পর, চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল অর্ণব। চোখ লাল, মুখে কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ার একরাশ বিরক্তি। তবে দরজা খুলে কিংশুকের মুখ দেখেই [আরো পড়ুন]

প্রথম অধ্যায়

দুয়ারের ভ্রাতৃসঙ্ঘ

“ওই দুয়ার কোথায় পথ দেখায়?”

“চেনাশোনা এই দুনিয়ার কিনারায়”।

“কাহারা শেখান পূর্বজদের দুয়ার খোলার কল?”

“খিলান ওপারে বসত তাদের, কোর নাকো কোলাহল”।

“দান করি মোরা অর্ঘ্য কাদের, বড় ভয় ভীত মনে?”

“ওঁদের, যারা ওধারে থাকেন, তাঁদেরই সম্মানে”।

“খিলানের দ্বার খুলে রাখিবার আছে কি গো প্রয়োজন?”

“থাকিতে দাও অবারিত এ দুয়ার, কেন বৃথা বন্ধন”।

[আরো পড়ুন]

“দেখুন, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে ভিরোভাল কত বড় চিকিৎসক।”

     “অবশ্যই, একজন সম্পূর্ন অন্ধ মানুষও যখন তা দেখতে পান, তখন তিনি বড় চিকিৎসক তো বটেই।”

     “আপনি কীভাবে জানলেন যে আমি একেবারে অন্ধ?” পাশে বসা অপরিচিতর দিকে ফেরেন রোগীটি।

     “আরে, আপনার পরিষ্কার নীল চোখ দু’টো আমায় বোকা বানাতে পারবে না। একটা পুতুলের মতই আপনারগুলোও নিষ্প্রাণ।” অপরিচিত হেসে সেই সাথে আরও বলেন [আরো পড়ুন]

১০০ বছর পরের কলকাতা

রূপসা ব্যানার্জী

     “তার মানে তোরা শেষ পর্যন্ত যাচ্ছিস? অত বারণ করলাম, কিন্তু শুনলি না। এইটুকু মেয়ে সবাই… গার্জেন ছাড়াই গোয়া বেড়াতে চললি?  [আরো পড়ুন]

শেষ মিস্ত্রীটা কাজ খতম করে যেদিন বিদায় নিল, ১৯২৩ সালের সেই ১৬ই জুলাই, আমি এক্সাম প্রায়োরীতে পাকাপাকিভাবে [আরো পড়ুন]

অন্যান্য সমস্ত দেশের থেকে, জাপানের সহজাত ভাবে চির-অগ্রসর ও আধুনিক হওয়ার কারণ কি? আমি যখন ছোট ছিলাম, আমেরিকাই তখন ছিল ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। আর জাপানের নাম শোনা যেত পুরনো টিনের রোবট আর নরম প্লাস্টিকের খেলনা মহাকাশচারী পুতুল বানানোর জন্যে। কিন্তু গত চার দশক ধরে, ভবিষ্যতের পৃথিবীর সাথে আমেরিকার বিশেষ সম্পর্কটি বিনষ্ট হয়েছে।

     আশির দশকে, আমি এক বিশেষ [আরো পড়ুন]

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে “কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান”‬ নামে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে অভিজ্ঞানদা, দেবজ্যোতিদা, কৃষ্ণেন্দুদা এবং মল্লিকাদির পাশাপাশি আরও অনেক মেম্বার স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইভেন্ট শেষে আমরা ১৫০টিরও বেশি অনুগল্প পেয়েছি। দাদা দিদিদের পাশাপাশি মেম্বারদের কিছু অনুগল্প এখানে সংকলিত করা হল। সমস্ত অনুগল্পগুলি পড়া যাবে আমাদের [আরো পড়ুন]