সময় সরণি, এক স্বপ্নের খোঁজ
১
– এমন অমঙ্গুলে কথা সাতসকালে কী না বললেই নয়, প্রফুল্ল! ছেলেটা আমাদের কতদিন হল বাইরে গেছে, ভালো চিন্তা কর। সেও ভালো থাকবে, তার সঙ্গে আমরাও। তার চেয়ে গোবিন্দ ভজ, হৃদয়ে শান্তি পাবে।
– তোমরা বাবারা বড্ড পাষাণ। মায়েদের হৃদয় তোমরা কী বুঝবে! বিদেশ যাওয়ার দুই বছরে ছেলেটা একবারও বাড়ি এসেছে? যাওয়ার আর জায়গা পেল না, এক্কারে বিদেশ। অনেক হয়েছে, আর না, এবারে তাকে বাড়ি আসতে বল।
Read More
দেবদূত
প্রারম্ভিকা
বিশাল কালো প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত শহরটি। সেটাকে ঘিরে আছে বিশাল ধূসর দেয়াল। এক রাস্তা যোগ হয়েছে মূল ফটকের সঙ্গে। ফটকের দুই পাশে দুটো বেদি, এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মূর্তি। একটা সাদা শ্বেত পাথরের, আরেকটা কালো কষ্টি পাথর। একটা দেবদূতের, আরেকটা কালদূত। দুটো প্রকাশ করে শহরের সাম্যতা, সঙ্গে অস্তিত্ব।
কথিত আছে, যদি শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
মানবিক
আশ্চর্য জ্যাক! এই হোক্কিট-দের নিয়ে তোমরা পাক্কা তিন বছর কাজ করছ, অথচ ওদের উন্নতির জন্য কিছুই করোনি?”
নতুন সুপারভাইজার মাইকেল ওটিনো-র কথা কানে যেতে কারখানার ইনজিনিয়ার তথা হিসাবরক্ষক জ্যাক নর্টন হাতের নকশাটা থেকে মুখ তুলে আড়চোখে তার দিকে তাকাল। নতুন এই আফ্রিকাজাত সুপারভাইজারকে সে একেবারেই পছন্দ করে না।
“কী ধরনের উন্নতি?” সে সতর্কভাবে প্রশ্ন করল।
Read More
অতিউল্কা
“মা আআআআআআ…….”
রবিবার। অন্তিমাদেবী বেশ জাঁক করে একটা সুস্বাদু প্রাতরাশ বানাচ্ছিলেন আজকে। নওরোজার চিৎকারে চমকে উঠে খুন্তী হাতেই মেয়ের ঘরের দিকে দৌড় দিলেন তিনি। আজকাল কী যেন হয়েছে নওরোজার। মাত্র ন–বছরের মেয়ে, ইতিমধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রোজ! রাতে ভালো করে ঘুমোতে পর্যন্ত পারে না সে, বারবার স্বপ্ন দেখে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে ‘বাবা–মা’র ঘরের মধ্যে।
Read More
শিশুটি – সাইমন রিচ
এ তো জানাই ছিল, শিশুটি এলে বেনের অফিস খানা নার্সারি হয়ে উঠবে।
সাধের লেখালেখির রুমটিকে মিস করবে বেন, কিন্তু সে জানে, তুলনামূলকভাবে ওটা একখানা ছোট বলিদান। ওর স্ত্রী সু গত দু’বছর ধরে পেট ফাঁপিয়ে গ্যাস হওয়া সব ভিটামিন নিচ্ছে আর যোনিতে এক বুড়ো পোলিশ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের খোঁচাখুঁচি সহ্য করে যাচ্ছে। বেচারিকে এমনকী বেনাড্রিল আর ভোদকা মার্টিনিও [আরো পড়ুন]
Read More
রাতের প্রহরী – জেমস ইঙ্গলেশ
অতি তীব্র শক্তির স্রোতে মুহূর্তে সৃষ্টি হল সত্ত্বা। জড় পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ জেগে উঠে সে চেয়ে দেখল নিজের অন্তরের ও চারপাশের জগৎটার দিকে। কিছুক্ষণ নিজের অতল স্মৃতির গভীরে তলিয়ে গেল সে। বুঝল যে এটা তার জন্মমুহূর্ত নয়, আসলে বহু যুগ ঘুমিয়ে থাকার পর এখন তার ঘুম ভেঙেছে। তার বিশাল স্মৃতির ভাণ্ডারের অধিকাংশের মানে সে বুঝল না গোড়াতে, ক্রমশ সে বোঝবার [আরো পড়ুন]
Read More
মেশিন লার্নিং
প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে এসে দাঁড়াল সহ-শিক্ষকটি। উঁকি মেরে দেখল ভেতরে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই। এই বিদ্যালয়ে একদম নতুন এসেছে সে। আর আজকেই এই বিপত্তি।
‘ভেতরে আসতে পারি স্যার?’ সে বলল।
‘আসুন’ প্রধান শিক্ষকের গম্ভীর স্বর ভেসে এল। ‘কী ব্যাপার?’
কীভাবে ব্যাপারটা বলবে একটু ভেবে নিল সহ-শিক্ষকটি, তারপর বলল, ‘আজ নবম শ্রেণির প্রথম পিরিয়ডটা আমার ছিল।’
‘জানি।’
Read More
চরমজীবী
প্রিয়দর্শিণী হ্রদকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে এসেছেন ডঃ বেদ পিল্লাই। একাই এসেছেন। এই আগস্ট মাসের শেষ শীতের -২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কামড় আটকাতে চার স্তরের পোশাক পরে আছেন। গায়ে পোলার পার্কা, ফ্লিস জ্যাকেট, হাতে দস্তানা, মাথা-মুখ ঢাকতে বালাক্লাভা। শারম্যাকার মরুদ্যানের এই বরফহীন উঁচু জায়গাটা বেশ মনোরম। এখান থেকে চারদিকের দিগন্তপ্রসারী বরফের আস্তরণটা [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লোরোফিলিয়া
এক নম্বর কাঠপুল থেকে নৈহাটি রোডের একটা সরু শাখা ডানদিকে ঢুকে হিজলি গ্রামে চলে যায়। মোড়টার সামনে একটা মরা অর্জুন গাছ, পাশে ছোট্ট চায়ের দোকান আর ঠিক মোড়ের মাথাতেই চায়ের দোকানের উল্টোদিকে জাকির কাকার বাড়ি। কাকার বাড়ির সামনে হিজলি যাওয়ার রাস্তা, রাস্তার ওপারে ধু-ধু ধানখেত দিগন্তের কাছে এসে খাটের কোনায় গোঁজা বিছানার চাদরের মতো ভ্যানিশ হয়ে গেছে। বাড়ির [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজন্ম
“ইয়েসসসসসস!”
চীৎকার করে ঘরের ফাঁকা জায়গাটায় লাফিয়ে উঠেছিল নি-রা-৫। ও হচ্ছে পৃথিবী থেকে শেষ যে মানুষটা পা তুলে নিয়েছিল তার পঞ্চম প্রজন্ম। প্রজন্ম বলা যায় কি না কে জানে, সেই শেষতম শাটলের কম্ব্যাট টেনিংপ্রাপ্ত গার্ড নিবেদিতা রায় এই ত্রিয়োশিতা উপগ্রহের কলোনিতে এসে পৌঁছোনোর পর, এখানকার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার নাম হয় নি-রা-১। তার জিন থেকে নি-রা-২ অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
কৃষ্ণপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যাপীঠ
কালিদাস যে ঠিক কী কাজ করে তা কাউকে বোঝান ভারী মুস্কিল। অথচ সে সবরকম কাজ করে। এই যেমন আজ ক’দিন ধরে তার দিন শুরু হচ্ছে ভারা ভারা জল বয়ে দিয়ে। তার কাঁধে থাকে একটা বাঁশ, বেশ মোলায়েম করে কাটা। তার দু’দিকে দুটো ভারা বাঁধা থাকে। সকালবেলার মধ্যে সে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ভারা জল তুলে দিচ্ছে।
তার পরেই তার ছোট ঠেলাগাড়িটা নিয়ে সে বাজারে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
৪৫ মিনিট আগে
“…যেন ভূমিকম্প! বিছানাসহ আমি শূন্যে কিছুক্ষণ ভাসলাম। তারপর এক বিকট শব্দে আছড়ে পড়লাম মেঝেতে। ভয়ে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত। কী অবস্থায় ছিলাম বুঝতে পেরেছেন মি. সরকার?”
আলবাত বুঝতে পেরেছি, কথাটা মনে মনেই বলতে হল। কারণ জগন্নাথবাবুর গত পরশু রাতের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভয় পাওয়া দূরের কথা, মাঝে মাঝেই হাসির উদ্রেক হচ্ছে। বললাম, “কী হল তারপর?”
“দেখি ওয়াইজা [আরো পড়ুন]
Read More
ঘুমের দেয়াল পেরিয়ে
মাঝেমাঝেই স্বপ্নেরা যে কত গভীর অর্থ বয়ে আনে সে-নিয়ে বোধ হয় বেশির ভাগ লোকই কখনও ভেবে দেখে না। কোন অজ্ঞাত দুনিয়ায় স্বপ্নের জন্ম হয় তা নিয়েও কৌতূহল খুব বেশি মানুষের হয়তো নেই। যদিও ফ্রয়েড অন্য কথা বলবেন, তবু এটা ঠিক যে জাগ্রত দুনিয়ায় আমাদের যে-সব অভিজ্ঞতা প্রতিমুহূর্তে হয়ে চলেছে, বেশির ভাগ স্বপ্নই তার একটা হালকা, কাল্পনিক রূপ।
তবু, কিছু কিছু স্বপ্ন আসে, [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতিমধুর
সকালের ভারী ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়িটা ধীরগতিতে চলছিল। আশপাশের গাড়িগুলো খুব জোরে হর্ন বাজাচ্ছে, ট্র্যাফিক লাইটগুলো দ্রুত রঙ পাল্টাচ্ছে। কিন্তু আমাদের গাড়ির পেছনের সিটে নির্জীবভাবে পড়ে থাকতে থাকতে বুঝতে পারলাম, ওই একটি নাম আমার মাথার মধ্যে বারবার ঘুরে চলেছে।
শীলা! শীলা!
গোঁ-গোঁ শব্দ করে উঠলাম আমি।
সাগর উদ্বিগ্নভাবে ড্রাইভারের [আরো পড়ুন]
Read More
ফল
মেগাকর্প কমপ্লেক্স, সন্ধ্যা ছ’টা
“আমি একটা ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম। আমার নাম নয়, বরং ‘রু…উ…উ…’ বলে কে যেন সুর করে ডাকছিল। গলাটা বড্ড চেনা। কোথায় যেন শুনেছি। শুনতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, যেন অনেক আদর আর ভালোবাসা মিশে আছে ডাকটায়।”
“তারপর?” বলিষ্ঠ নারীকণ্ঠ বলে উঠল।
“আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। উঠতে গিয়েই মনে হল, শরীরটা কী ভীষণ হালকা লাগছে! যেন আমি [আরো পড়ুন]
Read More
রোঁয়া
রোঁয়া
লেখক – শাম্ব চ্যাটার্জী
অলংকরণ – সুমন দাস
॥১॥
ক্রিং…ক্রিং…। রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে থানার ফোনটা পরিত্রাহি চিৎকার আরম্ভ করলো। হেডকনস্টেবল রামহরি সেই শব্দে টুল থেকে টাল খেয়ে পড়ার মুখে কোনওমতে সামলে নিয়ে, তড়িঘড়ি ফোনের কাছে গিয়ে রিসিভার তুলতে ওপাশ থেকে ত্রস্তস্বরে এক পুরুষকণ্ঠ ভেসে এলো, “হ্যালো, এটা কি শিলিগুড়ি থানা? [আরো পড়ুন]
Read More
লাল মাটির জগৎ
লেখক – সুমন দাস
অলংকরণ – সুমন দাস
|| ১ ||
“মেরে মঙ্গলে পাঠিয়ে দেব”
আমাদের এক মামাতো দাদা ছিল, মলয়দা, ছোটবেলায় মামাবাড়ীতে আমরা কয় ভাইবোনের খেলার পান্ডা, অর্থাৎ কি না ‘কেল্টুদা’ টাইপের মানুষ ছিল সে। আমাদের ওপর রেগে গেলেই সে এই ভয়ের কথাটি শোনাত। আর খুব খুশি হলেই ক্রমাগত বলে যেত – অলিম্পাস, অলিম্পাস, অলিম্পাস…
না, সে পাগল নয়। পাড়াগাঁয়ে থাকা [আরো পড়ুন]
Read More
মহাদ্রুম
লেখক – সাগরিকা রায়
অলংকরণ – সুমন দাস
পালঙ্কের সূক্ষ কারুকাজের দিকে তাকিয়ে সময় কেটে যায়। ইদানিং বাড়ির লোকজন সময় পায় না। এ ঘরে এসে তার সঙ্গে দেখা করার মতো সময় কোথায়? সবারই কাজকর্ম আছে। পড়াশোনা আছে। মাঝে মধ্যে বড় ছেলে এসে দেখা করে যায়। ক্লান্ত গলায় কৈফিয়ত দেয়—অফিসে যা কাজের চাপ! বলে পকেট থেকে রুমাল বের করে ‘এঃ হেঃ’ শব্দ করে ঘাড় গলা মুছতে [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৮ : অগ্নিযোগ
স্থানঃ ভবিষ্যৎ
কালঃ অজ্ঞাত
পাত্রঃ সুমন
সুমনার নোটবইতে আর কোনও গল্প লেখা ছিল না। সেইবার ওর সামনে দাঁড়িয়ে আর কোনও কথা হয়নি। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমায় ফিরে আসতে হয় কথা অসমাপ্ত রেখে। ডায়রীতে এই কথাগুলো বাদেও রয়ে যায় কিছু নোটস… সেগুলো সংক্ষেপে লেখা। আর সঙ্গে কিছু ছবি… আমি সেগুলোই পড়তে শুরু করলাম…
|| ৮ক ||
প্রায় দুই হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দে [আরো পড়ুন]
Read More
হুয়ানের বইটা
কুয়াশায় চারদিক জড়িয়ে থাকলেও সকাল সকাল প্লেন ধরবার তাড়া ছিল। ঘুম থেকে উঠেই তৈরী হয়ে ছুটলাম। ঘুম চোখেই এয়ারপোর্টের তিন নম্বর টার্মিনালের গেট ঠেলে ঢোকবার আগে মনে হল পুরো জায়গাটা আবছা সাদা পর্দায় কেউ ঢেকে দিয়েছে। গেটে আইডেন্টিটি চেক-এর পর ঢুকে পড়লাম ভেতরে। সিকিওরিটি চেক, লাগেজ ফাগেজের ঝামেলা মিটিয়ে লাউঞ্জের দিকে এগোতে থাকলাম। এখন একটা কড়া কফি চাই। ঘুম ঘুম ভাবটা কাটাতে হবে।
Read More
পূর্ণিমা
একটা লালচে ধুলোর ঝড় পেছনে নিয়ে জিপটা চলে গেল বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে তাদের দুজনকে আর তাদের দুটো সুটকেস, এক ক্রেট জলের বোতল আর শুকনো খাবারের প্যাকেটে ঠাসা একটা কার্টন নামিয়ে দিয়ে।
জিপের শব্দটা মিলিয়ে যেতেই এক মুহূর্তের জন্য রাহুলের ভেতরটা ছমছম করে উঠল। একটা অজানা শঙ্কা পলকের জন্য তাকে ছুঁয়ে গেল যেন। এই গহন ঝিম জঙ্গলে আগামী সাত দিনের জন্য তারা [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ২ – আলোকবর্তিকা
স্থান : অজ্ঞাত
কাল: ৮০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: নিও
|| ২ক ||
সমুদ্রের আওয়াজটা বড় মধুর লাগে নিও’র। সে তীরে বসেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়। এই সমুদ্রের একটা জায়গায় একটা বড়ো প্রাকৃতিক খাল তৈরী হয়ে মিশে গেছে গভীর অরণ্যের মধ্যে। জোয়ারের সাথে সাথে জল ঢুকে পড়ে খালের মধ্যে। খাল উপচে তীর ছাপিয়ে যায়। অনেক মাছ খেলা করতে করতে উঠে আসে ডাঙায়। মাছরাঙা আসে, আসে আরোও [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ
স্থান: কেনিয়া
কাল: ৫,০০০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: মুসা (পিকিং মানব)
[“Seek wood already touched by fire. It is not then so very hard to set alight” ~ African Proverb]
||১ক||
আকাশ লাল, বাতাস ভারী, ভোর অস্নিগ্ধ। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী উড়ে যাচ্ছে চীৎকার করতে করতে। অনতিদূরের বন থেকে দলে দলে পশুরা ছুটে পালাচ্ছে যতটা দূরে পারা যায়। বাঘের পাশে হরিণ, হাতির পাশে গণ্ডার, খরগোশের মাথার ওপর দিয়ে বন্য কুকুর। আর যে বড় গুহা-শ্রেণীর [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৭ – অগ্নিকন্দুক
স্থানঃ হালিশহর
কালঃ ২০১৮
পাত্রঃ সুমন ও সুমনা
|| ৭ক ||
-কে তুমি?
আমার সামনে যে আছে সে আমার দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে। চেয়ার উলটে পড়ে গেছে মেঝেতে। সে টেবিলের দিকে পিছন করে ঝুঁকে। আমি যদি তাকে এই মুহূর্তে আক্রমণ করি তাঁর বাধা দেওয়ার মত শক্তিও যে নেই সেটা বোঝাই যাচ্ছে। হত চকিত হওয়ার কারণ আছে। আমিও কম হত চকিত নই। কারণ আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আমারই অতীত, [আরো পড়ুন]
Read More
সময়ের আতঙ্কে
ছোটোছোটো বাচ্চাদের কম্পিউটার শেখায় মৃদুল। পড়াশুনা বেশিদূর করতে পারেনি সে। কোনও রকমে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিল। ভাগ্যিস কম্পিউটারের ব্যবহারটা ভালো করে শিখে নিয়েছিল! তাইতো আজ কোনও রকমে তার হাত-খরচটা উঠে আসে।
বাচ্চাদের খুব যত্ন করে শেখায় ও। তাই এ ব্যাপারে পসারটা বেশ ভালোই জমেছে। এছাড়াও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার-এর কাজ, মোবাইল [আরো পড়ুন]
Read More
এ অনন্ত চরাচরে – দ্বিতীয় পর্ব
আশ্চর্যবৎ পশ্যতি কশ্চিদেন্মাশ্চর্যবদ্ বদতি তথৈব চান্যঃ।
আসচর্যবচ্চৈনমন্যঃ শৃণোতি শ্রুত্বাপ্যেনং বেদ ন চৈব কশ্চিৎ।।২৯।।
কেহ ইহাকে আশ্চর্যবৎ কিছু বলিয়া বোধ করেন, কেহ ইহাকে আশ্চর্যবৎ কিছু বলিয়া বর্ণনা করেন, কেহ বা আশ্চর্যবৎ কিছু, এই প্রকার কথাই শুনেন। কিন্তু শুনিয়াও কেহ ইহাকে জানিতে পারেন না।
~ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – ২য় অধ্যায়
জলের মাছ কি [আরো পড়ুন]
Read More
প্রবাহ প্রহরী
“ক্রিং… ক্রিং…।” কলকাতার উত্তর শহরতলির একদম শেষ প্রান্তে এক প্রাচীন অথচ আশ্চর্য রকম জনবিরল এলাকা। প্রায় পরিত্যক্ত একটা বাড়ির অন্ধকার কোণে এতক্ষণ আত্মগোপন করে থাকা ঘরটা হঠাৎ যেন কোন অদৃশ্য অনুসন্ধিৎসুর সামনে অস্তিত্ব প্রকাশ হয়ে পড়ার একরাশ বিরক্তিতে কর্কশ আস্ফালন করে উঠল। ঘরের একক বাসিন্দা প্রাণীটার অবশ্য কোন ভাবান্তর ঘটল না। [আরো পড়ুন]
Read More
বাড়ি
গুজরাটে থাকার সময় বিল্ডার মিরচন্দানি নিজের জীবন নিয়ে একটা ঘটনা আমায় বলেছিলেন। যেহেতু ব্যাপারটার সত্যাসত্য নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, তাই সেটা গল্প হিসেবেই লিখলাম, ওনার বয়ানে।
“বিল্ডাররা যে লাইনটাকে বিজ্ঞাপন হিসেবে সবথেকে বেশি ব্যবহার করে সেটা হল – আপনার স্বপ্নের বাড়ি এবার আপনার সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু স্বপ্নের বাড়ি জিনিসটা ঠিক কী?
আমরা সবাই [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৬ – অগ্নিবিন্দু
|| ৬ক ||
স্থানঃ ঢাকেশ্বরী রেস্টুরেন্ট, কল্যাণী
কালঃ ২০০৭
পাত্রঃ সেই যুবক ও সেই যুবতী*
“নিউক্লিয় ফিশন একটি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া যেখানে পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের ভাঙন ঘটে এবং তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়। এক্ষেত্রে নিউক্লিয়াস নিউট্রন এবং অপেক্ষাকৃত কম ভরবিশিষ্ট নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। এই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৫ – স্বপ্রভ অনল
।। ৫ক ।।
স্থানঃ ঢাকেশ্বরী রেস্টুরেন্ট, কল্যাণী
কালঃ ২০০৭
পাত্রঃ একটি যুবক ও আমাদের চেনা এক যুবতী*
একটি রেস্টুরেন্ট, কপোত কপোতী। কপোতীটি আমাদের চিরপরিচিত সেই ছাত্রীটি, যার ছাত্রীকে নিয়ে সে ব্যতিব্যস্ত ছিল আগের প্রায় সব ক’টি পর্ব জুড়ে। সেই ছাত্রীর কাকার সঙ্গে আমাদের এই ছাত্রীটি এসেছেন একটি বিখ্যাত রেস্তোরাঁয়। তাদের পরিচয় সাত বছরের।
-এই নাও। যুবকটি [আরো পড়ুন]
Read More
ড্রাগন প্রেয়সী
কয়েক হপ্তা হয়ে গেছে, ঘর ছেড়ে বেরোয়নি বাসুকি। প্রত্যেক দিন যথাসময়ে দরজার বাইরে খাবার–দাবার রেখে গেছে কলিঙ্গ– [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৪ – নিষ্প্রভ অনল
স্থানঃ নৈহাটী
কালঃ ২০১৭
পাত্রঃ প্রফেসর, ছাত্রী
১
কেমন আছো?
ভালো আছি স্যার। আপনি কেমন আছেন?
আমিও ভাল, তারপর বলো, তোমার ছাত্রীকে পড়াতে কেমন লাগছে?
খুবই ভালো স্যার। খুব স্মার্ট আর বুদ্ধিমতী।
তা ওঁকে নাকি আজকাল আগুনের ইতিবৃত্ত নিয়ে গল্প বলছ? (অগ্নিপথ এর আগের পর্বগুলো দ্রষ্টব্য)
হ্যাঁ স্যার, আর ওইজন্যেই আজ আপনার কাছে আসা। আমার কিছু কিছু ব্যাপার জানার আছে আপনার কাছ থেকে।
Read More
অগ্নিপথ ৩ – আলোকচুল্লি
স্থানঃ হালিশহর
কালঃ ২০১৭
পাত্রঃ ছাত্রী ও শিক্ষিকা
|| ৩ক ||
– আজ কীসের গল্প বলবে?
– আজ কোন গল্প নেই।
– মুসা বা নিমোর মতন কেউ নেই? (অগ্নিপথ ও অগ্নিপথ ২ প্রবন্ধে দ্রষ্টব্য)
– না।
– তুমি ভুলে গেছ?
– কী ভুলব?
– কীসের গল্প আজ শোনাবে সেটা?
– আরে আজ কোন গল্পই বলব না। তোমার কাকা আজ তোমায় নিতে আসবে বলছিলে না?
– হ্যাঁ, সে তো দেরী আছে।
– বেশি দেরী নেই।
Read More
অস্তিত্ব-বর্ণ
দীর্ঘ দুমাস নিস্তরঙ্গ ভাবে ভেসে আসা বিষ্ণুবাহন-৫ মহাকাশযানটা অবশেষে একটা মৃদুস্পন্দন তুলে হঠাৎ যেন জেগে উঠল। যানের যাত্রী পাঁচজন কিন্তু ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় সজাগ। ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অভিযানের শরিক এই পাঁচজন। ক্রমশ মহাকাশযানের গতিবেগ কমে এল আর মহাকাশযানের স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তার গতিপথ সংশোধন করে তাদের গন্তব্যের [আরো পড়ুন]
Read More
পৈশাচিক খিদে
কোন কারণ নেই।
কেন সবসময় কারণ থাকতেই হবে? মানুষ শুধু কারণ খোঁজে, কিন্তু আসল কারণ গুলোর পেছনের যুক্তিকে কখনোই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই যে মানুষের সমস্ত জীবন কেন এরকম? কেন শুধু এইভাবেই চলে, অন্য কোনভাবে কেন নয়?
এই ধরনের প্রশ্নকে কি কেউ কোনদিন ব্যাখ্যা করতে পেরেছে?
****
প্রচন্ড আক্রোশে দাঁতে দাঁত চেপে জানলার বাইরে তাকিয়ে মানুষটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। কখনো [আরো পড়ুন]
Read More
এ অনন্ত চরাচরে
“নাহং মনো সুবেদেতি নো ন বেদেতি বেদ চ।
যো নস্তদ্বেদ তদ্বেদ নো ন বেদেতি বেদ চ।।”
সম্যক জেনেছি এমন কথা মনে করি না। জানি না তাও নয়, আবার জানি – তাও বলতে পারি না। উপরিউক্ত বাক্যের অর্থ যিনি জানেন তিনিই সঠিক জানেন।
– কেনোপনিষদ (দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় শ্লোক)
এই অনন্ত চরাচরে, স্বর্গ মর্ত্য ছেয়ে কোন অমৃতের বরপুত্র এ মহাবিশ্বকে প্রত্যক্ষ করেছে? [আরো পড়ুন]
Read More