দায়
একটা কোলাহলের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল আমার। বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি বাড়ির পাশ দিয়ে জনা চার-পাঁচেক লোক একরকম পাঁজাকোলা করেই একটা বয়স্ক মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। ওরা সবাই প্রায় আমার মুখচেনা। এ পাড়াতেই থাকে। কিন্তু এই রাতদুপুরে হঠাৎ কী কারণে এভাবে ছুটোছুটি করছে, সেটা বুঝলাম খানিক পরে আমার বাড়ি মালিক [আরো পড়ুন]
Read More
ডেভিড কাকার বাড়ি
উৎসর্গ: আতঙ্ক সম্রাট হাওয়ার্ড ফিলিপ লাভক্রাফট
ডেভিড কাকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই বৃষ্টিটা জোরে নামল। আজ প্রায় তিনমাস পর কাকার বাড়ি এলাম। আসলে কাকাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হঠাৎই সবাই চিন্তিত হয়ে পেড়েছে। এই বিগত তিনমাস এমনিতেই কাকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি, তার ওপর কাল কাকার বাড়ির এলাকার এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বাবার [আরো পড়ুন]
Read More
চোখ
আমার কথা
“নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
এ ধরনের একটা কথা বাংলা বাক্যালাপে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। কোনও কিছু ‘নিজের চোখে’ না দেখলে তা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তবে এ যাবৎকাল অবধি আমার সজ্ঞানে দেখা সব কিছুই ভুল, ভ্রান্ত। কারণ? কারণ, বরাবর আমার জগৎ দেখা অন্য মানুষের চোখে। না, কাব্যিক ভণিতা নয়, আক্ষরিক অর্থেই! দাঁড়ান, শুরু থেকে বলি।
Read More
নিদালি আলেয়া
“বউটা পেত্নীর মতন কাঁদতে কাঁদতে হাসে।”
পঞ্চার কথা শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল রজতের। ধমকের সুরে বলল, “চ্যাংড়ামি পেয়েছিস। একে শালা এই রাতদুপুরে তদন্তের উটকো ঝামেলা তার মধ্যে তোর আল বা…
“না স্যার। আমি নয় আশপাশের লোকেরা বলে!” মোলায়েম সুরে কনস্টেবল পঞ্চানন রজতকে থামিয়ে দেয়। সে বিগত বারো বছর ধরে পুলিশের চাকরিতে আছে। তৈল মর্দন শিল্পে সিদ্ধহস্ত।
Read More
সাদা জাহাজ
আমি বেসিল এলটন। আমি নর্থ পয়েন্টের বাতিঘরের বাতিওয়ালা। আমার আগে আমার বাবা, আমার ঠাকুর্দা সকলেই এইখানে বাতিওয়ালা ছিলেন। পাড় থেকে অনেকটা ভেতরে পিছল পাথরের বুকে ধূসর বাতিঘরটা একলা দাঁড়িয়ে থাকে। পাথরগুলো জোয়ার এলে জলে ডুবে যায়। ভাটার সময় নজরে পড়ে। বাতিঘরের পেছনে ছড়িয়ে থাকা সমুদ্রের বুকে সাত সাগরের তিন মাস্তুলের পালতোলা [আরো পড়ুন]
Read More
থামিনের কান্না
মরিয়ম দুপুরের খাবারের মেনু কী হবে জানার জন্য দেবুকে অনেকক্ষণ ধরেই মোবাইলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু নট রিচেবল আর নট রিচেবল ছাড়া অন্য কোন সাড়া নেই। কি যে হয় নেটওয়ার্কের? বেশ বিরক্ত হয়েই টিভিটা ছেড়ে বসলো সোফায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কেবল নেই। অদ্ভুত তো! বিরক্ত মরিয়মের এবার [আরো পড়ুন]
Read More
ওসেনবোরো
বুড়োটা শালা অসুস্থ নাকি!
কথাটা বাসুর মনের মধ্যে ভেসে উঠেই হারিয়ে গেল। সামনে বসে থাকা বৃদ্ধের চোখেমুখে এক অসহায় ভয় আর আতঙ্ক খেলা করে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মুখচ্ছবির সঙ্গে বাসু যথেষ্ট পরিচিত। চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলে মানুষের মুখ চোখ এরকম হয়ে যায়। অনেক সময় বাসুকে দেখলেও… হবে নাই বা কেন? মৃত্যু আর ভয় নিয়েই তো তার [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রেমলিন
সাবধান!
এ বাক্সে আছে একটা অত্যন্ত অসাধারণ প্রাণী। তাকে রোদে এনো না। তার গা ভিজিয়ো না। যতই প্যানপ্যান করুক-না কেন, যতই নাকে-কান্না কাঁদুক-না কেন, মাঝরাতের পর তাকে কক্ষনো খেতে দিও না।
[‘গ্রেমলিনদের কাহিনি নিয়ে রঙিন সিনেমা হয়েছে, গল্পের ক্যাসেট হয়েছে। গা-ছমছমে অথচ মজাদার সেই কাহিনি নিয়ে এখন উপন্যাস লেখা হচ্ছে।]
বিলির জন্যে বিশেষ উপহার
Read More
ছাল
এখন কেমন লাগছে বলুন তো?
মনীষার হাতের উপর নখ দিয়ে হালকা আঁচড় দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর অমিতাভ সেন। কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম সেরা ডার্মাটোলজিস্ট। সাদা বাংলায় যাকে বলে স্কিনের ডাক্তার।
না স্যার, কোনও সেন্স পাচ্ছি না তো!— বলল মনীষা।
স্ট্রেঞ্জ! এরকম কেস তো দেখিনি আমি আগে! স্কিন তো নর্মাল লাগছে। তাও সেন্স কেন আসছে না?— অনেকটা যেন নিজেরই [আরো পড়ুন]
Read More
এল ডোরাডো
অরিজিৎ যখন ক্যানেল পার থেকে ফিরছিল তখন রাত এগারোটা বেজে গেছে। রোহনের বাড়িতে এতটা রাত হয়ে যাবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সে। আসলে রোহন কালই কলকাতা চলে যাচ্ছে। একটা নিউজ চ্যানেলের ওয়েব ডিজাইনিং-এর কাজ পেয়েছে সে। এমটেক করেও এতদিন বসেছিল স্রেফ একটা ভালো মনমতো কাজ পাওয়ার জন্যই। নয়তো অনেক ক’টা জবের অফার রোহন পেয়েছিল। যে কাজটা এখন পেয়েছে তার চেয়েও বড় কোম্পানিতে [আরো পড়ুন]
Read More
৪৫ মিনিট আগে
“…যেন ভূমিকম্প! বিছানাসহ আমি শূন্যে কিছুক্ষণ ভাসলাম। তারপর এক বিকট শব্দে আছড়ে পড়লাম মেঝেতে। ভয়ে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত। কী অবস্থায় ছিলাম বুঝতে পেরেছেন মি. সরকার?”
আলবাত বুঝতে পেরেছি, কথাটা মনে মনেই বলতে হল। কারণ জগন্নাথবাবুর গত পরশু রাতের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভয় পাওয়া দূরের কথা, মাঝে মাঝেই হাসির উদ্রেক হচ্ছে। বললাম, “কী হল তারপর?”
“দেখি ওয়াইজা [আরো পড়ুন]
Read More
অন্ধকারের উৎস হতে
অন্ধকারের উৎস হতে
লেখক – সৌম্য সুন্দর মুখোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
আমাকে হাসতে দেখে ফকির আলি রেগেই গেল। বলল, “আপনারা এসবের কতোটুকু জানেন? এই শহরের অফিস আর বাড়ি আর টুকটাক দোকানপত্র আর ছুটিছাটায় পুরী কি সিমলা কি দার্জিলিং—আপনাদের দুনিয়া তো এইটুকুই।”
তার ধমক খেয়ে আমি হাসি কমালাম। ফকির আলি লোকটি বেশ ভালো; আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত আছে। তার বদগুণ [আরো পড়ুন]
Read More
ওরা হারিয়ে যায়
ওরা হারিয়ে যায়
লেখক – অয়ন অধিকারী
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বৃষ্টিটা একটু ধরেছে এই বিকেল থেকে। লাগাতার দু-দিন ধরে এক নাগাড়ে হচ্ছে তো হচ্ছেই। মুষলধারে নয়, টিপ টিপ করে কিন্তু বিরামহীন ভাবে। এইরকম প্যাচ প্যাচে ওয়েদারে শরীরটাও ভীষণ ম্যাজ ম্যাজ করছে শিউলির। ম্যাদা মেরে বিছনায় গা এলিয়ে পরে থাকতে মন চায়। তবে মন চাইলেই তো হবে না, পেটের টান যে বড় টান। [আরো পড়ুন]
Read More