ইলোভাক
ইলোভাক
লেখক – অমিতাভ রক্ষিত
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
১
আমাদের ‘দূরপাল্লার জাহাজ’টা ওয়ার্ম হোল থেকে বেরিয়ে স্পিড কমাল একটু। তারপরে সেটা ডানদিকে সামান্য একটু কাত হয়ে যেতেই ছবিতে হাজার বার দেখা, নীল-সবুজে মেশানো ‘ইলোভাক’-এর গোলাকার অবয়বটা চোখে এল। কী অপূর্ব দৃশ্য! এখানে মহাকাশ আমাদের মতন অত কালো দেখায় না। ‘ইলোভাক’-এর কাছাকাছি অঞ্চলে গ্রহ-নক্ষত্রের [আরো পড়ুন]
Read More
যতিচিহ্ন
যতিচিহ্ন
লেখক – সোহম গুহ
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ভাষা একটা দুস্তর ব্যবধান হওয়ায় মাওরী সর্দারের কথা ক্যাপ্টেন জেমস কুক বুঝতে পারছিলেন না। কিন্তু গ্রামের মাঝে গোটা রাত জ্বলা অগ্নিকুণ্ডের থেকে উঠে আসা পোড়া মাংসের গন্ধ তাঁকে একটা কথাই বলছিল। এখানে মানুষের মাংস মানুষ খায়। গ্রামের আদিম পরিবেশের থেকেও তাঁর মনোযোগ বেশি আকৃষ্ট করেছিল সর্দারের গায়ের বিচিত্র উল্কি।
Read More
বিষ পাহাড়
বিষ পাহাড়
লেখক – অরিন্দম দেবনাথ
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
রুনিত পাহাড়ের খাড়া পাকদণ্ডী বেয়ে মহারাজ রভিরান বর্মা একাকী চলেছেন পায়ে হেঁটে। আকাশে উজ্জ্বল হোলির চাঁদ। প্রায় ন্যাড়াপাহাড়ে মহারাজ রভিরানের পূর্বপুরুষরা পাথরের গায়ে সিঁড়ির মতো ধাপ কাটিয়েছিলেন বহু যুগ আগে। এই পাথুরে সিঁড়ি গিয়েছে পাহাড় শীর্ষে এক গুহা পর্যন্ত। এই গুহার অভ্যন্তরে [আরো পড়ুন]
Read More
বৃষ্টি যেখানে একা
লেখক – পরীক্ষিৎ দাস
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ল্যান্ড রোভারের ভিতর আমার খুব প্রিয় একটা গান বাজছে। এখানে আসার সময়ে আমার পছন্দের বেশ কিছু গান একটা পেনড্রাইভে ভরে নিয়ে এসেছিলাম। শহর নিয়ে লেখা গানটার এই লাইনগুলো শুনলেই খালি মনে হয় এখানে সবকিছু আছে। নদী, পাহাড়, জঙ্গল, মরুভূমি — সব। শুধু শহরটাই নেই। সেই কাজেই আমার, থুড়ি আমাদের এখানে আসা।
ওরাই পাঠিয়েছে এই ঢাউস [আরো পড়ুন]
Read More
প্রলয়
প্রলয় উপস্থিত।
এভারেস্ট এর মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরের মতো বিল্ডিং ও তার পাশের রকেটের দিকে তাকিয়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল রাজের।
দুইদিন আগেই মা মারা গিয়েছেন। তারপর অন্যরাও একে একে, এখন শুধু ওই বেঁচে আছে।
আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই খুশি হল রাজ। বাঃ, মায়ের কাছে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
আকাশে জমাট বাধা কালচে লাল রক্তের মতো মেঘ করেছে। অন্যন্য [আরো পড়ুন]
Read More
২০৩০ : স্বগতোক্তি
ঠকাং… ঠক… ঠকাং… ঠক… ঠকাং…
একটা আশ্চর্য ছন্দ ওই শব্দে। ভয়ানক বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে সুর। যেন কোনও বিপদের পূর্বাভাস।
ওরা এসে গেছে। এখানেও। আমার পিছু নিয়ে, আমাকে তাড়া করে। ওদের ধাতব পদশব্দ বলছে ওরা আমায় ছাড়বে না সহজে। প্রতিমুহূর্তে আমার ঘরে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। কিন্তু উপায়?
আচ্ছা, একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখে নিই ঠিক কতদূরে [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবী
জালের থেকে বুড়ো আঙ্গুলের মতো বড় একটা পোকাকে ছাড়িয়ে নিল হিলা। হ্রদের জলে ডুবিয়ে আঠাটা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘খাবে নাকি?’
পোকাটা তখনো মরে নি। আমার গা গুলিয়ে উঠল। কোনো প্রাণীর মৃতদেহই কোনোদিন খাইনি। আমাদের সব প্রোটিন কৃত্রিমভাবে তৈরি। কোনোক্রমে বললাম, ‘না। কী এটা?’
নির্বিকার ভাবে পোকাটাকে মুখের মধ্যে পুরে চিবোতে চিবোতে হিলা [আরো পড়ুন]
Read More
ভিত্তি
ব্যাঙের ছাতার মত মেঘগুলো পর পর আকাশে উঠছিল।
রাষ্ট্রনায়কদের আঙুলগুলো কোনো অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ছিল কিনা কেউ জানে না। পর পর পিয়ানোর রীড টেপার মত ছন্দে সুইচগুলোয় চাপ পড়েছিল।
মস্কো,দুবাই, টোকিও, নিউ ইয়র্ক, লণ্ডন, সিডনি, দিল্লি, বেজিং…
অশান্তি ঘনিয়ে এসেছিল বহুকাল আগে থেকেই। যুগের পর যুগ কোন দেশের রাষ্ট্রনায়কই জনসংখ্যা প্রতিরোধের কথা সিরিয়াসলি ভাবেনি। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিত্রাতা
২০৩৬ সালঃ
স্টাডি সিস্টেম পাল্টেছে এখন। এখন আর জোর করে স্টুডেন্টদের অপ্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় না। এখন প্রতি বছর স্কুলে কাউন্সিলিং হয় এবং ফলাফল হিসেবে যে স্টুডেন্টের যে সাবজেক্টে বেশি মনযোগ, তাকে সেই নিয়েই পড়াশোনা করতে দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
মায়ের মুখে শুনেছে নিতাই, কোনও একটা সময় ছিল, যখন টেনথ স্ট্যান্ডার্ড-এর পর ‘মাধ্যমিক’ [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজের হাতছানি
আলো ঝলমল মেট্রো স্টেশনের কাঁচের দরজার ওপারে ট্রেন এসে প্রতিদিনের মতোই দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল সাতটা দশ। ট্রেনের সিটে স্কুল ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে অন্যদিনের মতো বাবাকে সেই পুরনো প্রশ্নটাই করে বসল গুড্ডু, “বাবা, মাটির উপরে খোলা আকাশের নিচে আমাকে কবে নিয়ে যাবে?”
অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করতে করতে গুড্ডুর বাবা বলল, “বলেছি তো নিয়ে যাব। এখন বইতে একবার চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় জগত
অপরূপ সুন্দর একটা সরোবর। আর সেই সরোবর ঘিরে পাথর আর বালি, তারপরে তৃণভূমি। আসলে এটা একটা ছোটো উপত্যকা। পাহাড়ের মালায় ঘেরা। পাহাড়গুলো সব বালিপাথরের পাহাড়, হলুদ বালিপাথর। তাই পাহাড়গুলোকে সোনার পাহাড় বলে মনে হয়।
একটা পাহাড় থেকে নেমেছে ছোটো একটা ঝর্ণা, সেটা নদী হয়ে বয়ে এসে হ্রদে মিশেছে। পাহাড়ের নাম সুবর্ণগিরি, নদীর নাম ভদ্রা আর হ্রদের নাম নীলতারা।
Read More
বাঙ্ময়
অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের বাঁদিকের দেওয়ালটায় সার দিয়ে লেটারবক্স। রঙ চটে, তুবড়ে তাদের বেশিরভাগেরই দৈন্যদশা। ফ্ল্যাটের নম্বরটুকু শুধু কোনমতে পড়া যায়।
অন্যদিন অরিন্দম এদিকে ফিরেও তাকায় না, সোজা লিফটে উঠে যায়। কিন্তু আজ একটা সরু গলায় ‘অরিন্দম, চিঠি, চিঠি’ ডাকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে হল তাকে।
আটান্ন তলার বোস সাহেব নিজের লেটারবক্স থেকে চিঠি বের করছিলেন, মাথা ঘুরিয়ে বললেন,
Read More
ভুল
ডক্টর ধৃতিমানের কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়ের একটু নার্ভাসই লাগছিল।
ইউনিভার্সিটি ছাড়ার পর থেকে ধৃতিমানের, বা ওঁর কাজের সঙ্গে রয়ের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না।
একদা প্রিয় ছাত্র যে গবেষণা বা শিক্ষকতা বা নিদেনপক্ষে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মেগা-কর্পোরেশনের চাকরি না করে সাংবাদিকতা করছে, এটা ধৃতিমান কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন নি। তাই চাকরি [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য মানুষ
ডক্টর গ্রাহাম স্মিথ প্রাইভেট লিফটের ভিতর থেকে দিগন্তের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই আশি তলা বাড়ির উপরের দিকের কুড়ি তলাই জিটা কর্পোরেশনের অফিস আর ল্যাবরেটরি। এই লিফটে আশি তলায় উঠতে লাগে ঠিক নয় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড। ওঠার আর নামার এই সময় টুকুই ডঃ স্মিথের জীবনের একমাত্র সময় যখন তিনি কাজ আর কোম্পানি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন ডার্ক গডেস
র্যাক্সরের ছোঁড়া লাল রঙের লেসার নাইফটা যখন বাতাস কেটে আমার দু পায়ের মাঝ দিয়ে চেয়ারটার সাথে গেঁথে গেলো, সত্যি বলছি ভেনাস-৯-এর অ্যান্ড্রয়েড নর্তকীর মুখটাই মনে পড়ে গেল। আর বোধহয় দেখাই হবে না ভেনাসের প্রাসাদ প্রতিম ড্যান্স বার আর ভার্চুয়াল ডেটিং এরেনাগুলো! লোকে বলে মরণকালে নাকি প্রিয়জনদের মুখ মনে পড়ে! অতএব বুঝতেই পারছেন, আমার জীবনে ওই বস্তুটির যথেষ্ট [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ পৃথিবীর জন্য
এখন সদ্য ভোর হয়েছে, ঘড়ির দিকে চেয়ে তিয়া মিলিয়ে নিল। ওর ঘুম ভেঙেছে আর একটু আগেই। ও আস্তে আস্তে ব্যালকনির দরজাটা খুলে প্রায় নিঃশব্দ পদক্ষেপে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল।
ও রোজই সকালে একবার করে এসে দাঁড়ায় এই অদ্ভুত ব্যালকনিটায়। খুব ছোটোবেলা থেকে, একেবারে তিন-চার বছর বয়স থেকেই এরকম করে। কেন কে জানে। বাইরেটা একবার না দেখলে ওর কেন যেন খুব খালি-খালি লাগে, সারাটা [আরো পড়ুন]
Read More
টিট্টিভ
কর্মে তীব্র অনীহাই শশিশেখরের কাল হইল।
সেই হেতু তিনি তাঁহার রোবট, শ্রীমান তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিকের হাতে কর্মভার সমর্পণ করিয়া, আত্মানন্দে বশীভূত হইয়া স্থির রহিলেন। তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিক বা টিটিটি, অর্থাৎ আমি নাটবল্টু ও প্লাস্টিক লোহার সমাহারমাত্র নহি। আমি পুরাদস্তুর প্রোগ্রামায়িত। আমার ভিতরে যুগ যুগ ধরিয়া শশিশেখরের বিদ্যা বুদ্ধি সব সমাহৃত।
আর শশিশেখর আপাতত [আরো পড়ুন]
Read More
টিথোনাস
গায়ের চামড়া আস্তে আস্তে কুঁচকিয়ে শিথিল হয়ে আসে। মাথার চুল পেকে সাদা হয়ে যায়। হাতের আঙুলের গাঁটগুলো ক্রমে শক্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসে। দেহের হাড়গুলো ঘুণ ধরা কাঠের মত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তারপর জীবনী শক্তির অভাবে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায় সাধারণ ব্যাধিও তখন মারাত্মক হয়ে পড়ে।
[আরো পড়ুন]
Read More
ক্যুগেল ব্লিৎস
সন্ধ্যেবেলায় হাওড়া স্টেশনটা একটা সমুদ্রের মতো। এক একটা ট্রেনের গায়ে যেন মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়ছে, থার্ডক্লাশ কামরাগুলো প্লাটফর্মে ঢোকবার আগেই ভর্তি হয়ে যায়।
উঁচু ক্লাসের কামরাগুলো ত’ রিজার্ভ করা, সে সব কামরায় হাত দেয় কার সাধ্য। কাজেই লোলুপ নয়নে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় কি!
অফিসের কাজে কলকাতার বাইরে যাচ্ছি। পরের পয়সায় নবাবী করার এরকম সুযোগ [আরো পড়ুন]
Read More
এন্ড্রামেডার ভাইরাস
রহস্যটা নিশিগন্ধার মনে প্রথম দানা বাঁধে সেলি নামে এক জার্মান সাংবাদিকের সাথে আলাপ হওয়ার পর। সেদিন বিকালে শিকাগোতে তার নতুন অফিস থেকে ফিরে পার্কের এক কোণে বসে ছবি আঁকার সরঞ্জাম বের করে সবে কাগজে আঁচড় কাটতে শুরু করেছিল। কানে হেড-ফোন লাগিয়ে মৃদু যন্ত্রসঙ্গীত শুনতে শুনতে ছবি আঁকা তার বহু দিনের অভ্যাস। এতে কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ অনেকটা [আরো পড়ুন]
Read More
রেড
কনুই আর বুকে ভর দিয়ে হ্যাচের দিকে এগোয় রয়।
ঠাণ্ডা কংক্রিটের এই শ্যাফটের ভেতরের হাওয়া কত শতাব্দীর, তা কে জানে। কিন্তু ওসব ভাবার সময় ও’র কাছে ছিল না।
“সিস্টেম অনলাইন”, রিনরিনে গলাটা ও’র কানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, “ওভারলোড হলে কিন্তু বিপদ আছে”।
বিপদ!
শব্দটা এর আগেও ও’র মাথায় এসেছে, তাই না?
গত জন্মে?
না, কয়েক ঘন্টা আগে?
কম্যান্ড সেন্টারে বসে, মিশনের ব্যাপারে শুনতে গিয়ে এই কথাটাই [আরো পড়ুন]
Read More
আফটার শকের তীব্রতা ভূমিকম্পের থেকে বেশি হয় না
সপ্তপদীর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েছিলাম, নিঃসীম কালো অন্ধকারের মধ্যে একটুকরো হীরে বসানো রূপোর আংটির মত উজ্জ্বল স্পেস সিটি ওবেরন। কেন জানিনা আমার মনে হচ্ছিল জানালা খুলে হাত বাড়ালেই আংটিটা পেয়ে যাবো। তারপরেই মনে পরে জানালা কই, [আরো পড়ুন]
Read More
চব্বিশ ঘন্টার জন্য খোলা – এডওয়ার্ড ম্যাকিওয়েন
মেডাকালা মিউজিয়াম অফ অ্যান্টিক্স–এর ধুলো জমে থাকা বারান্দা দিয়ে কিউরেটরের অফিসের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলো টারস বোকারা। রোগা এই তরুণটির ভাগ্য শুধু এই কারনেই বিচ্ছিরী নয় যে সে কোল ট্র্যাকসিস তিন নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত হাজারেরও বেশী মিউজিয়ামের একটিতে [আরো পড়ুন]
Read More
মনের মতন মানুষ
“তাহলে আমার সঙ্গে চলো” – অবশেষে বলেই ফেললো রঙ্গন।
“যাবো? কোথায় যাবো?” – হেসে বলে ফেললো রাই।
অনেক সময়েই প্রেমিকের কথা শুনে হেসে ফেলে তরুনীরা। ইতিহাস জুড়েই হেসেছে। সেই হাসি তাচ্ছিল্যের বা ব্যঙ্গের নয়। আমি তোমার জন্য অসম্ভবতমটাও করে ফেলতে পারি – এই উক্তির মধ্যে যে সাহস আর বোকামো আছে, [আরো পড়ুন]
Read More
সমান্তরাল
দরজার কি–হোলে চোখ রাখল শুভম। বাইরে গাঢ় অন্ধকার। বন্ধ দরজায় জোরে জোরে আঘাত শুরু হল। এর আগেও করেছে — বহুবার। শুভমের কপাল ঘামে ভেজা। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ। বেঁচে থাকার তাগিদ ওকে মরিয়া করে তুলেছে।
পূর্ব স্মৃতি ওর কিছুই মনে নেই কেবল এই বন্ধ ঘরে নিজেকে আবিষ্কার করা ছাড়া। প্রথমে মনে হয়েছিল ও কিডন্যাপ হয়েছে [আরো পড়ুন]
Read More
জীবন
বোনজোরনো সিনিওরে, কোসা পোসসু ফারে পের লেই?*
বোন জোর নাকে বয়**, But I know only this much of Italian. I am Nirod Mukherjee, from India.
Sorry sir, let me please allow to check the register…
রিসেপশনিস্ট রেজিস্টার চেক করে নির্দিষ্ট [আরো পড়ুন]
Read More
তেলেভাজার একদিন
দিনটা শুরু হয়েছিল সাধারণ ভাবেই। আমি হাতিবাগানের সামনে হাঁটছি৷ এখানে একটা কাজ ছিল৷ থাকি দক্ষিণ কলকাতায়৷ শ্যামবাজারের মোড়ে গেলেই মেট্রো পেয়ে যাব৷ হঠাৎ খেয়াল করলাম রাস্তায় [আরো পড়ুন]
Read More
৪.৮
মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম ভাঙল দীপের। ‘কোথায় [আরো পড়ুন]
Read More
এখনও বৃষ্টি হয়!
কুণাল তাঁর চশমাটা খুললেন। মাঝে মাঝেই ঝাপসা হয়ে আসে কাচ। অনেকসময়ই বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই। অন্যমনস্কভাবে হাত লাগিয়ে ফেলেন, তারপর বিরক্তিকর কাচ পরিষ্কার! [আরো পড়ুন]
Read More
পাসওয়ার্ড
[৫২১৫ সাল, ইন্ডিয়ানাল্যান্ডের ইস্ট বঙ্গ সেক্টর। ৪ জুন, রাত ১ টা বেজে ৩৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে সেন্ট্রাল কন্ট্রোলের ভিজিল্যান্স টিমের মনিটরে ছবি ভেসে উঠল। ১৯৭৩ ক্লাস্টারে একটি হিউম্যান মেল লায়িং পোজিশনে ভেসে রয়েছে আর একটি হিউম্যান ফিমেল সিটিং পজিশনে সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে কিছু দেখছে আর আঙুল নেড়ে কম্যান্ড দিচ্ছে। সাউন্ড সিস্টেম অন হতে মনিটরের সামনে বসে থাকা দুজন সেদিকে মন দিল]
Read More
খাচ্ছিলো তাঁতী তাঁত বুনে!
ঐ যে কথায় বলে না – কপালের লিখন কেউ খণ্ডাতে পারে না? – আমারও হয়েছিল তাই! নইলে বেশ তো ছিলাম মশাই, [আরো পড়ুন]
Read More
ছিনতাই হল পৃথিবীটা
এরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা প্ৰকাশ করা উচিৎ হবে কিনা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কেননা ব্যাপারটা প্ৰকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবী জুড়ে যে সাংঘাতিক আতঙ্ক, ভয় আর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে তাতে সরকারগুলি ব্যর্থ হবে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় [আরো পড়ুন]
Read More