অতিমাত্রিক
“অর্ণব বাড়ি আছিস?”
“কীরে, এই অর্ণব – বাড়ি আছিস?”
ভাগ্যিস এ পাড়ায় লোকজন বিশেষ থাকে না, আর যে দু-চার ঘর ছেলেছোকরা থাকে, তারাও কাল কালীপুজোর আনন্দে কারণবারি গিলে এখন মধ্যযামে বিচরণ করছে। অনেকক্ষণ দরজা খটখট, চেঁচামেচি আর ঘণ্টি বাজানোর পর, চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল অর্ণব। চোখ লাল, মুখে কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ার একরাশ বিরক্তি। তবে দরজা খুলে কিংশুকের মুখ দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
না-মানুষ
ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে বাইরের পার্কটায় এসে বসল কৃষ্ণেন্দু। পার্কটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা, গুটিকয় স্টুডেন্ট এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। সামার ভ্যাকেশন শেষ হ’তে এখনও প্রায় একমাস বাকি আছে। বেশিরভাগই ছুটিতে যে যার বাড়ি চলে গেছে। সেপ্টেম্বর থেকে ফল সেমিস্টার শুরু হলেই পিলপিল করে নতুন পুরনো স্টুডেন্টে ভরে যাবে সারা চত্বরটা।
টেক্সাসের [আরো পড়ুন]
Read More
ডাইস
ট্যান, রাত সোয়া আটটা
হাভেন শহরটা যেখান থেকে মরুভূমিতে মিশে গেছে, সেটা একটা চৌমাথা।
সেন্ট্রাল রোড ধরে এগোতে থাকা সবুজ গাছ আর রঙিন বাক্সবাড়ির ঝাঁক ছোটো আর গরিব হতে-হতে চৌমাথার এক প্রান্তে থেমে গেছে। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ফিলিং স্টেশনটা। মোটেল, রেস্টুরেন্ট, আর ক্যাসিনো রয়েছে আরেক প্রান্তে।
অবশিষ্ট কোণটা কোনও এক সময় হাউজিং হয়ে ওঠার স্বপ্ন [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন আর্মি
৭ই সেপ্টেম্বর, ১৮১৮
স্থানঃ রবার্ট ওয়াল্টনের জাহাজ, যা ব্যর্থ উত্তর মেরু অভিযানের শেষে ফিরে চলেছে লন্ডনের দিকে
রবার্ট ওয়াল্টন স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেই দানবের দিকে, যে নিজের সৃষ্টিকর্তার এবং তার পরিবারের নির্মম ধ্বংসের জন্য দায়ী। দানবের থেকে অদূরে শোয়ানো রয়েছে ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের মরদেহ। রবার্ট ওয়াল্টন এবং ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের দানবের [আরো পড়ুন]
Read More
গিফ্টকার্ড
উত্তমবাবু এবং ক্লাস এইটের ভূগোল
সবুজ রঙের গোল্লাটার ভিতর একটা টেলিফোন রিসিভারের ছবি। গোল্লাটার বাইরেটাও সবুজ। শুভজিৎ তার মোবাইল ফোনের সবজে হয়ে থাকা স্ক্রীনটা মেলে ধরল উত্তম হালদারের চোখের সামনে। তারপর বুঝিয়ে বলল, “এটাকে বলে হোয়াটসঅ্যাপ। আর এর আগে নীল রঙের ইংরিজি অক্ষরের ‘এফ’ যেটা দেখালাম, ওটা হচ্ছে ফেসবুক। কী বুঝলে?”
উত্তম হালদার গোমড়া মুখে [আরো পড়ুন]
Read More
দ্রোণাচার্য্য
টুটুলদের ছাতের পাঁচিলে একটা ছোট্ট নীল রঙের পাখী এসে বসল। গরমকালের বিকেল। টুটুলের এবার ক্লাস নাইন হবে। এখন টুটুলের গরমের ছুটি চলছে। টুটুল একমনে একটা রবারের ফুটবলে ড্রিবল প্র্যাকটিস করছিল ছাতের একটা কোনায়। তবে তার একটা কান খাড়া ছিল চিলেকোঠার ঘরের দিকে। ওখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল টুটুলের ছোড়দা রন্টু আর তার আমেরিকাবাসী বন্ধু [আরো পড়ুন]
Read More
ইস্কুল
রাইজিং স্টার ইন্টারন্যাশনাল ইস্কুলের ফ্রণ্ট ডেস্কের মেয়েটি আমাকে বলল, “আমাদের ইণ্টারভিউ আরও কয়েকদিন চলবে। যাদের আমরা যোগ্যতম মনে করব, তাদের মধ্যে থেকেই আমরা বেছে নেব পরবর্তী ইংরাজি শিক্ষকদের। আপনি যদি সিলেক্টেড হন, আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে।”
আমি হতাশ হয়ে বললাম, “তাহলে আজকের মতো কি আসতে পারি?”
মেয়েটি বলল, “হ্যাঁ।”
Read More
ডিম
ঘরে ঢুকেই দেখছিলাম পার্শেলটা।
হেঁট হয়ে জাপানী স্ট্যাম্পগুলো দেখছিলেন প্রফেসর নাট–বল্টু–চক্ৰ। আমি আসতেই লিকপিকে বপুটাকে সিধে করে বলেছিলেন—এসেছো?
পার্শেলটার দিকে তাকিয়ে শুধোলাম—এই জন্যেই কি ডেকে পাঠালেন?
হ্যাঁ।
কি আছে এতে?
ডিম।
ডিম নিয়ে আশ্চর্য এই উপাখ্যানের এই হল শুরু।
Read More
কামিনী আসবেই…
কাঁঠাল গাছের ফাঁক দিয়ে জনক, সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য ইস্ট দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যায়।
অবিশ্যি ওটা কাঁঠাল না হয়ে আম, জাম বা অন্য কিছু হলেও হতে পারতো, তবে যে বার বিপন্ন ভাব কাটিয়ে বাজারের নাভি থেকে খান চার বিচি ঠাঁই পায়, জানালার তল ঘেঁষে; সে বার জানা যায় নি সেগুলো কতটা গৌরব নিয়ে আসবে!
তবে এসেছিলো, আর সেই অর্থে ওগুলোর থেকে একটা, পূর্ণাঙ্গ কাঁঠাল গাছের রূপ নেয়;
Read More
ড্রাগন প্রেয়সী
কয়েক হপ্তা হয়ে গেছে, ঘর ছেড়ে বেরোয়নি বাসুকি। প্রত্যেক দিন যথাসময়ে দরজার বাইরে খাবার–দাবার রেখে গেছে কলিঙ্গ– [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাল
ধীরে ধীরে বাড়ির সামনের ডেক চেয়ারে বসলেন প্রোঃ প্রিয়লাল বোস। চিন্তা আনন্দ উত্তেজনা সব মিলিয়ে কেমন যেন উত্তেজিত করে তুলেছে ওঁকে। পড়ন্ত বেলায় লনে এসে বসা প্রোঃ বোসের অনেক দিনের অভ্যাস। অনেক জটিল প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পেয়েছেন এখানেই। চারপাশে তাকালে পরম শান্তিতে মনটা ভরে ওঠে। [আরো পড়ুন]
Read More
প্রোফেসর চ্যালেঞ্জারের নতুন অভিযানঃ সন্ত্রাস নগরী
এই কাহিনী ১৯১৪ সালের, লণ্ডন শহরের সর্বত্র শুধু যুদ্ধের গুজব। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মাথারা তাঁদের সৈন্যসামন্ত জুটিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে একটি বিস্ফোরণ মানুষের মনে আরও বেশী ভয়ের সঞ্চার করল। সবার মনে একটাই আশঙ্কা, জার্মানি হয়ত অনেক দূর থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন কোন নতুন বোমা আবিষ্কার করেছে।
Read More
একজন দেবতার দিনলিপি
সিবাতারো ফেলিস রো এল ভেত্রো ডোরকাতনা … না এ উচ্চারনে লেখাটা ঠিক হবে না। যদি কোন দিন কোনোক্রমে এ লেখনী পৃথিবীবাসীর হাতে পৌছায় তাহলে তাদের পড়তে অসুবিধা হবে। যদিও এসব উচ্চারনের মানে আমি লিখে রাখছি। কিন্তু যেখানে আর কখনই ফিরে যেতে পারবো না সেখানকার সুবিধা সুবিধার কথা ভেবে লাভই বা কি? চরম সর্বনাশ থেকে সিবাতাদের বাঁচানোটাই আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল সেটায় কিছুটা হলেও আমি সফল হয়েছি।
Read More
নবজাগরণের মানুষ
সকলে হর্ষধ্বনি করে উঠল, যখন ক্ষুদ্রকায় লোকটি তাদের জানাল, সে একজন বৈজ্ঞানিক।
তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা তাদের কম্পিউটারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে নৃত্য শুরু করল, ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিবিদরা তাদের ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রবল উল্লাসে চিৎকার করে উঠল। বিশাল ল্যাবরেটরিটা জমায়েত হওয়া সাংবাদিকদের ঘন ঘন হাততালিতে ফেটে পড়ল। হেরাল্ড পত্রিকার সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
চোঙদার’স ইনইক্যুয়ালিটি
বাসটা ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে এগোচ্ছে। স্ট্যান্ড থেকে বেরনো ইস্তক হেল্পার আর কন্ডাক্টর সমানে হাঁকডাক চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ দশ মিনিটে বাসটা দশ হাত এগিয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে এসব হল কথার কথা; সময় আর রাস্তার লম্বাই কি অত সহজ অংক মেনে [আরো পড়ুন]
Read More
সিঁড়ি
হরিহর হাজরা সদ্য সরকারী চাকরী থেকে অবসর নিয়েছেন। বছর তিন আগে স্ত্রী গত হয়েছেন। নিঃসন্তান হরিহর বাবুর কোন নিকট আত্মীয়স্বজন নেই। অল্পবয়সে বাবা মা মারা যাওয়ার পর দাদুর কাছে মানুষ হয়েছেন। দাদুও বহুদিন হল গত হয়েছেন। দূর সম্পর্কের এক ভাইপো আছে। আসামে থাকে, মাঝে মাঝে খোঁজ নেয়। তাই হরিহর বাবুর ঝাড়া হাত পা। বই পড়া ও নাটক দেখার অভ্যেস আছে তাই সময় [আরো পড়ুন]
Read More
টাইম মেশিন
হাসছে তারা। কেউ কেউ খুশিতে গলা ছেড়ে নানান রকম অঙ্গভঙ্গি করতে করতে গান করছে। কেউ হাত পা ছাড়িয়ে নাচছে। সবার মুখ খশিতে ঝলমল করছে। আর করবে নাই বা কেন? যে ইতিহাস তারা শুধুমাত্র ডিজি-বুকে পড়ে, আজ তারা সেখান থেকে ঘুরে এসেছে। আজ তারা অতীত ভ্রমণ করেছে। নিঃসন্দেহে ৩৫৫৬ সালের সব থেকে বড় আবিষ্কার এই টাইম মেশিনের আবিষ্কার। তবে সেইসঙ্গে সময় ভ্রমনের [আরো পড়ুন]
Read More
চন্দ্রকুমারী
জাপানের এই উপকথাটা খুব আশ্চর্যরকমের সুন্দর। অনেকে বলে থাকেন আধুনিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের আদিরূপ এই উপকথাতেই প্রথম পাওয়া যায়। অনেকে আরো বলেন, উপন্যাস ইত্যাদির বীজও লুকোনো ছিল এই উপকথায়।
এক দেশে এক গরীব কাঠুরিয়া থাকতো। গ্রামপ্রান্তের ছোটো এক কুটিরে কাঠুরিয়া আর তার স্ত্রী বাস করতো। সকালবেলা দু’টি খেয়ে নিয়ে কাঠুরিয়া নিজের কুড়ুলটি আর ঝোলাটি নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ঈশ্বরের বাগান
অনেক দূর থেকে আমার নাম ধরে কে যেন ডাকছে। চোখ খোলবার জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হল সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমের পর কাঁচা ঘুমের চোরাবালিতে ডুবে যেতে থাকা চেতনাকে টেনে আনতে।
তারার চাঁদোয়ার তলায় গাছের ডালে বাঁধা হ্যামকে আমি কোন কারণে শুয়ে আছি এটা মনে আসতে অবশ্য সেকেন্ড খানিকের বেশি লাগল না।
সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলাম পাশের ডালে বাঁধা হ্যামক থেকে চাপা গলায় আমার নাম [আরো পড়ুন]
Read More
কবর
যে বন্দী দশায় বসে আছি তাতে এই অদ্ভুত কাহিনী লিখতে আমার বেশ ভয় লাগছে। জানি এ লেখা পড়ার পর আমার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে তার পক্ষে জাগতিক দুনিয়ার বেশি কিছু প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়, আর আমার দুর্ভাগ্য হল আমার পক্ষে সেটা প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হলেও বাকিদের তার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
শেষ প্রশ্ন
[আইজাক আসিমভের “The Last Question ” গল্পটি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম! আশ্চর্য সুন্দর কল্পবিজ্ঞান। ভাবলাম অনেকেই হয়তো পড়েছেন কিন্তু কেউ কেউ যদি না পড়ে থাকেন? তাছাড়া নিজের ভাষায় পড়তে তো ইচ্ছা করে। তাই অনুবাদ করতে বসে গেলাম। সুধীগণ নিজগুণে ক্ষমা করবেন যদি এই দুর্বল কলমে ভালো না আসে, তবে যথাসাধ্য যত্নে কাজটুকু করার চেষ্টা ছিলো। ]
শেষ প্রশ্নটি প্রথম করা হয়েছিল [আরো পড়ুন]
Read More
ঋকথ
ঋ গোলকের পঞ্চবিংশতি কক্ষে বসে ফাইবার কাঁচের স্বচ্ছ ছাতের মধ্যে দিয়ে রাতের তারা ভরা উজ্জ্বল আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। মাথার উপরের এই বিস্তীর্ণ দিগন্তের কোন এক কোনে অদৃশ্য প্রায় ওদের জন্মস্থান। মহাকাশ থেকে যাকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। অপরূপ নীলচে সবুজ রঙ সেই গ্রহের। ঋ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তারা বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর নিজেদের ভোগসুখ চরিতার্থ [আরো পড়ুন]
Read More
নয়নবাবুর আয়না
নয়ন হাজরার বয়স বছর পঞ্চাশেক। একটু নাদুস নুদুস চেহারা। হাইট ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির কম বই বেশি হবে না। পোশাকে আশাকে সৌখিন বলা যায়। চোখে রিমলেস সোনার চশমা। নয়নবাবুর বাবার রঙের দোকান ছিল বৌবাজারে। দোকানটা আর উত্তর কোলকাতায় একটা দোতলা বাড়ি নয়নবাবু উত্তরাধিকার সূত্রে পান। নয়ন বাবু ব্যবসার আরো উন্নতি করেন। এখন কলকাতায় চারটি দোকান ছাড়াও [আরো পড়ুন]
Read More
ডক্টর বিন্দু ও ফসিল রহস্য
স্বনামধন্য বৈজ্ঞানিক ডক্টর অর্কদেব বিন্দুর কথা তো সবাই জানেন । লম্বা, ছিপছিপে, সৌম্য মানুষটি, একমাথা চুলে রূপোর ঝিলিক, নিখুঁত শেভ করা মুখ আর সোনালী ফ্রেমের চশমার আড়ালে দুটি বুদ্ধিদীপ্ত চোখ । তাঁর এই চেহারা এখন মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বের অনেকের কাছেই পরিচিত । এমনকি পরিচিত তাঁর অসামান্য কিছু আবিষ্কারের কথাও, যা শুধু ভারত বা এশিয়া নয়, এই সীমায়িত [আরো পড়ুন]
Read More
দেবযন্ত্র
দেবী কল্যাণময়ীর কথা
সিপাই বিদ্রোহের তিন বছর পর, অর্থাৎ ১৮৬০ খৃস্টাব্দের এই ঘটনা। সেদিন ছিল মহাষষ্ঠী, দেবী দুর্গার বোধন। হুগলী জেলার অবিনাশপুর গ্রামের জমিদার রামকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সকালবেলা গঙ্গাস্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পাকা রাস্তা তখনও তৈরি হয়নি, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ। যেতে যেতে হঠাৎ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য রামকিঙ্কর বিস্ময়ে স্তব্ধ করে দেয়। আকাশ [আরো পড়ুন]
Read More
প্রমোদ কন্যা
গাছ নিয়ে আমি গবেষণা করি না— কিন্তু গাছেদের আমি ভালবাসি।
ছেলেবেলা থেকেই গাছেরা আমাকে টানে। পাতা আর ডাল দুলিয়ে দুলিয়ে যেন আমাকে ডাকে। ওরা তো কথা বলতে জানে না। কিন্তু আমার বেশ মনে আছে, ওরা যেন কথাই বলত আমার সঙ্গে। সেই কথা কিন্তু একদিক থেকে আসত না— সবদিক থেকে যেন হাওয়ায় ভেসে ভেসে একই কথা নানা সুরে নেচেনেচে আমার দুকানে ঢুকে যেত। আমি তখন এতই ছোট্ট যে [আরো পড়ুন]
Read More