সাক্ষাতে রেবন্ত গোস্বামী
“রিউবেন বুশের গল্পটি যখন লেখা হয়, তখন ছোট, বড় কোনও বুশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হননি। ক্লিন্টনের নামই এদেশে কেউ শোনেনি তখন। পরে লিখলে নাম দুটো পালটে দিতাম।” রেবন্ত গোস্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় টিম কল্পবিশ্ব।
কল্পবিশ্ব: আপনার লেখালিখির শুরুর দিকটায় যেমন ধরণের কিশোর গল্প উপন্যাস লিখেছেন, যেমন দেশভাগের পটভূমিতে বাবলা ফুলের গন্ধে, বা পঞ্চাশ [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
ম্যাজিক বাক্স
(এই কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম মিল একেবারেই আকস্মিক বলে ধরতে হবে।)
(১)
“এই ছেলের জন্য একদিন আমাদের গুষ্টি-সুদ্ধ জেলে যেতে হবে। একে নিয়ে যে আমি কী করি!”
“এখন আক্ষেপ করে লাভ কি বল? ওর ছোটবেলা থেকে তোমাকে আমি বার বার বলেছি, যে ছেলেকে সময় দাও। কিন্তু তুমি তোমার কোর্ট আর …”
“ছেলেকে সময় দিলে যে পেটের ভাত জুটত না সে কথা খেয়াল আছে?”
Read More
অদ্ভুত অর্কিড
অর্কিড এমনই একটা ফুল, যা কেনার জন্যে পাগল হতে হয়, কেনার পরেও পাগল হয়ে থাকতে হয়। একটু একটু করে পাপড়ি মেলে ধরে ফুল যতই ফুটতে থাকে, রং আর শোভা ততই মনকে মাতাল করে দেয়। নব নব আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে হয়।
এ নেশা পেয়ে বসেছিল ওয়েদারবার্নকেও। অর্কিড জমানোর বাতিক তাকে নিত্যনতুন উত্তেজনার খোরাক জুগিয়ে গেছে। সারাজীবনটাই তার উত্তেজনাবিহীন। [আরো পড়ুন]
Read More
কনসোল
বৃষ্টি পড়ছে সেই সকাল থেকে। ছ’টায় একবার ঘুম ভেঙেছিল সায়ন এর। কারন মা এসে গায়ে চাদরটা দিয়ে গেছে, ঠান্ডায় কুঁকড়ে ছিলাম বলে হয়তো। এই না হলে মা।
আরও একঘণ্টা ঘুমোনোর টাইম আছে হাতে। সাতটা বাজলেই বাবা এসে নাক টিপে ঘুম ভাঙিয়ে দেবে। এরকম অঝোর বৃষ্টির মধ্যে কারই বা স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে! আজকে নিশ্চিত স্কুলে কেউ যাবে না। কিন্তু বাবা ডাকবেই। ঘুম থেকে না উঠলে হয় [আরো পড়ুন]
Read More
দুখা
নিশীথবাবু বললেন, “আপনারা তো ওর বন্ধু। আপনারা একটু বুঝিয়ে বলুন না।”
পরেশদা ‘ফোঁস’ করে নিঃশ্বাস ফেললেন, “বলে লাভ কি? সুখেন আমাদের কথায় আর কবে কান দিয়েছে?”
নিশীথবাবু বললেন, “কিন্তু এ যে আগুন নিয়ে খেলা! এ জিনিস আগে কোনওদিন কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই। কি কুক্ষণেই যে মুখ ফসকে ওর কাছে সেদিন বলে ফেলেছি দুখার কথাটা!”
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কিন্তু আমি ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন এবং অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির
আজ সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে এইচ জি ওয়েলস এবং জুল ভার্নের নাম দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও জানে। কিন্তু আজ থেকে সত্তর-বাহাত্তর বছর আগে পরিস্থিতি মোটেও এমনটা ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন উৎসাহী পাঠক ছাড়া বাঙালি পাঠক সমাজে সায়েন্স ফিকশন এর কদর ছিল না বললেই হয়।
সেই সময় ‘অভ্যদয় প্রকাশ মন্দির’ এর কর্ণধার শ্রী অমিয় কুমার চক্রবর্তী সায়েন্স ফিকশনকে বাঙালি পাঠকের [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো ছেলে!
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটার দিকে আর একবার তাকাল স্নেহাংশু। পাঁচটা বেজেও বাজতে চায় না যেন! এখনও পাঁচটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি!
রিভল্ভিং চেয়ারটা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল স্নেহাংশু। পিএ মিস মৈত্রর টেবিলটা খালি। আজ আধ ঘণ্টা আগেই ও ছুটি নিয়ে বেরিয়ে গেছে। টমাস এন্ড ক্রুডাস কোম্পানির কয়েকটা স্টেটমেন্ট ছিল চেক করবার—সেইগুলি নিয়েই এতক্ষণ ব্যস্ত ছিল স্নেহাংশু। [আরো পড়ুন]
Read More
অভয়ারণ্য মধুমিডা
পায়রার মতো বড়সড় চেহারার একটা জোনাকি পাখির ছোঁয়া ঘুম ভাঙিয়ে দিল। অনেকদিন বাদে এমন স্বপ্ন দেখল বিদুর।
আড় চোখে তাকাল শ্রীমতীর দিকে। এখনও গভীর ঘুমে অগোছালো আর নিশ্চিন্ত।
যেন ধরা পড়ার ভয়ে চোখ বুজে ফেলল বিদুর। সেই প্রথম সিগারেট টানার দিনগুলোর মতো। কেউ টের পাবে না জেনেও দূরে মুখ সরিয়ে রাখা, ঠোঁট টিপে কথা।
রঙিন আবরণে নিষিদ্ধ চিন্তা। [আরো পড়ুন]
Read More
তোতা রহস্য
মুসান্দম উপত্যকার শুষ্ক, পাহাড়ি প্রকৃতি ইশায়ুর মন্দ লাগল না। এই অঞ্চল পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী, অবস্থান হরমুজ্ প্রণালীর দক্ষিণে। শীতকালীন মৃদু আবহাওয়ায় এখানে এখন চলছে পুরাতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ। মাটির নিচে পাওয়া গেছে মানব সভ্যতার প্রাচীন অবশেষ। একটি আন্তর্দেশীয় দল এই অনুসন্ধানের কাজে নিযুক্ত। ইশায়ু ও স্বেতলানা সেই দলেরই [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
প্রচ্ছদ – কল্পবিশ্ব তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
কল্পবিশ্ব শারদীয়া প্রথম প্রচ্ছদঃ
কল্পবিশ্বের পাতায় ডিজিটাল বা সেমি ডিজিটাল কভার দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। এবারের কল্পবিশ্বের প্রথম প্রচ্ছদ করলেন পম্পা প্রধান প্যাস্টেলের কাজে।
শিল্পীর কথা – বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলেছে মানব সভ্যতা সেই প্রাচীন কাল থেকে। বিবর্তন ঘটছে জড় থেকে জীব প্রত্যেকেরই, বিবর্তন ঘটছে আগামীর। ঠিক যেমনটি ঘটেছে আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
অন্ধকারের উৎস হতে
অন্ধকারের উৎস হতে
লেখক – সৌম্য সুন্দর মুখোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুদীপ্ত রায়
আমাকে হাসতে দেখে ফকির আলি রেগেই গেল। বলল, “আপনারা এসবের কতোটুকু জানেন? এই শহরের অফিস আর বাড়ি আর টুকটাক দোকানপত্র আর ছুটিছাটায় পুরী কি সিমলা কি দার্জিলিং—আপনাদের দুনিয়া তো এইটুকুই।”
তার ধমক খেয়ে আমি হাসি কমালাম। ফকির আলি লোকটি বেশ ভালো; আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত আছে। তার বদগুণ [আরো পড়ুন]
Read More
অমিতানন্দ দাশের সঙ্গে এক সান্ধ্য কল্প-আড্ডা
অনুলিখনঃ অঙ্কিতা
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞান তখন সবে তার কৈশোর পেরিয়ে সাবালকত্ব অর্জনের পথে পা বাড়িয়েছে। সেই সময়টায় বিদেশী ক্লাসিক্যাল এবং গোল্ডেন এজ সাই ফাই থেকে প্রভাবিত এক ঝাঁক তরুণ তুর্কী আমাদের মাতৃভাষায় এই প্রায় আনকোরা ধারার সাহিত্যে নতুন প্লট এবং ফর্ম বা লেখনশৈলী আনার চেষ্টা করছিলেন। এদের [আরো পড়ুন]
Read More
অমানব
অমানব
লেখক – তানজিরুল ইসলাম
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
(১)
আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি চাই না সেটা আর কারও সঙ্গে ঘটুক বা আমার জীবনেই আবার দ্বিতীয়বার ঘটুক। মাত্র পাঁচদিন আগে আমি ওখান থেকে বেঁচে ফিরেছি। নেহাত কপালের জোরে, নয়তো আমাকেও মরে পড়ে থাকতে হতো লাশ হয়ে। আর পত্রিকায় উঠে চলে আসতো আমার সেই ক্ষত-বিক্ষত লাশের ছবি।
ব্যাপারটা আপনারাও দেখেছেন পত্রিকায়। [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান পরিভাষা কোষ
কল্পবিজ্ঞান পরিভাষা কোষ
সংকলক – সন্তু বাগ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে আমাদের কল্পবিজ্ঞান গ্রুপে একটি খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। খেলাটি আয়োজন করেছিলেন কল্পবিশ্বের অন্যতম সম্পাদক দীপ ঘোষ। খেলাটি হল বিভিন্ন প্রচলিত ইংরেজি কল্পবিজ্ঞান শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ তৈরির খেলা। ৩০টি ইংরেজি শব্দ দেওয়া হয়েছিল প্রতিশব্দ [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
নিম্নচাপের কালো আকাশ আর নেই। সমস্ত দুর্যোগের মেঘ সরিয়ে জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঝলমলে রোদ্দুর। আকাশ জুড়ে উৎসবের আবহ। বাঙালি প্রস্তুত তার সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর জন্য। পুজো মানে কেবল হুল্লোড়, দলবল মিলে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়াই নয়। যাঁরা সাহিত্য ভালবাসেন, তাঁরা এই ছুটির অবসরে উন্মুখ হয়ে থাকেন শারদ সাহিত্যের জন্যও। যুগ বদলাচ্ছে। কেবল ছাপা পুজোসংখ্যাই [আরো পড়ুন]
Read More
ছায়া-কায়া
ছায়া-কায়া
লেখক – লুৎফুল কায়সার
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বেশ আলো-আধাঁরিময় পরিবেশ। বিশাল ঘরটাতে হালকা হলুদ রঙয়ের ডিমলাইট জ্বলছে। পুরো ঘর জুড়ে অনেকগুলো পুরুষ ম্যানিকুইন দাঁড় করিয়ে রাখা। আবছা আলোতে এই ম্যানিকুইনগুলোর দিকে তাকালে শরীরটা কেমন যেন শিউরে ওঠে!
এই আধো আলোতেই সমানে পিৎজা খেয়ে চলেছেন ওসমানী সাহেব। সামনে বসে থাকা পিৎজা-বয়টি একাধারে অবাক, বিরক্ত এবং কিছুটা ভীত!
Read More
পিঁপড়ে
পিঁপড়ে
লেখক – অদ্রীশ বর্ধন
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
পিঁপড়ে, শুধু পিঁপড়ে। মস্ত হলঘরের যেদিকে তাকানো যায়, কেবলই পিঁপড়ে। রঙীন পিঁপড়ে—বিরঙ পিঁপড়ে, রাক্ষুসে পিঁপড়ে—লিলিপুট পিঁপড়ে, নিরামিষপ্রিয় পিঁপড়ে—আমিষলোভী পিঁপড়ে, বিষাক্ত পিঁপড়ে—নির্বিষ পিঁপড়ে। কাচের শোকেসে পিঁপড়ে, তারের খাঁচায় পিঁপড়ে, জলঘেরা দ্বীপে বন্দী পিঁপড়ে, [আরো পড়ুন]
Read More
আঁখিশ্রী
আঁখিশ্রী
লেখক – পার্থ দে
অলংকরণ – সুমিত রায়
(১)
৯ মার্চ, ২০১৮, বিক্রমশীল পাবলিক স্কুল, কলকাতা
স্কুলের পরীক্ষার আজ শেষদিন। সকাল থেকেই ছেলেমেয়েদের মুখে আনন্দের ছাপ। আজ পরিবেশ বিজ্ঞানের পরীক্ষা, ছাত্রছাত্রীরা তাই অনেকটা চাপমুক্ত। এরপর লম্বা ছুটি তিন সপ্তাহের, স্কুল খুলে আবার নতুন ক্লাস, নতুন পড়াশোনা। বিক্রমশীল সিবিএসসি বোর্ডের পাবলিক স্কুল, উচ্চবিত্ত [আরো পড়ুন]
Read More
উৎসব
উৎসব
মূল কাহিনি – দ্য ফেস্টিভ্যাল
লেখক – এইচ পি লাভক্র্যাফট
বাংলা অনুবাদ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
শয়তানের কৌশলে, মানুষ অবাস্তবকেও বাস্তব বলে ভুল করে
—লাকট্যানশিয়াস
আমি তখন বাড়ি থেকে অনেক দূরে। পুবের সমুদ্রের জাদু তখন আমাকে ছেয়ে ছিল। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে আমি পাথরের গায়ে তার ঢেউ ভাঙবার শব্দ পাচ্ছিলাম। টের পাচ্ছিলাম,টিলাটার [আরো পড়ুন]
Read More
ওরা হারিয়ে যায়
ওরা হারিয়ে যায়
লেখক – অয়ন অধিকারী
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বৃষ্টিটা একটু ধরেছে এই বিকেল থেকে। লাগাতার দু-দিন ধরে এক নাগাড়ে হচ্ছে তো হচ্ছেই। মুষলধারে নয়, টিপ টিপ করে কিন্তু বিরামহীন ভাবে। এইরকম প্যাচ প্যাচে ওয়েদারে শরীরটাও ভীষণ ম্যাজ ম্যাজ করছে শিউলির। ম্যাদা মেরে বিছনায় গা এলিয়ে পরে থাকতে মন চায়। তবে মন চাইলেই তো হবে না, পেটের টান যে বড় টান। [আরো পড়ুন]
Read More
কৌস্তূভ
কৌস্তূভ
লেখক – সুমিত বর্ধন
অলংকরণ – সুমিত বর্ধন
(১)
দক্ষিণের আকাশের দিকে একবার তাকালো শতদল।
গাঢ় নীল আকাশের বুকে দিগন্তব্যাপি এক সাদা খিলানের মতো দাঁড়িয়ে কৌস্তূভের বলয়। দিনের আলোয় চোখে না পড়লেও শতদল জানে ওই খিলানের আশে পাশেই কোথাও অভিকর্ষের জটিল পথ বুনে চলেছে কৌস্তুভের দুটি চাঁদ, সুহাস আর উল্লাস। কৌস্তূভ আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী সুহাস ভদ্রের নামে [আরো পড়ুন]
Read More
স্টার ওয়ার্স – দ্য ফ্রোজেন ওয়ার্ল্ড অব ওটা
Read More
তারামাছ
তারামাছ
লেখক – ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
অলংকরণ – সৌরভ দে
(১)
স্থানঃ মাদ্রাজ
সময়ঃ ১৯৬০ সালের ২১শে জানুয়ারি।
“আপনার বিনয় দেখে আমি ভুলছি না স্যার। যাই বলুন আপনি স্যার একজন মহান বিজ্ঞানী।” মাধবন এই নিয়ে বোধহয় পনেরবারের মতো কথাটা বলল। বিক্রমের বিরক্তি ক্রমশঃ বাড়ছিল। এই লোকগুলো কী নির্লজ্জের মতো তোয়াজ করতে পারে। গত পরশু ও মাদ্রাজে এসেছে। [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিবাই
অ্যালিবাই
লেখক – পরাগ ভূঞ্যা
অলংকরণ – সুমিত রায়
এক
শব্দটা অনেকক্ষণ ধরে কানে বাজছে। টেবিলের ওপর ঘন ঘন আঙ্গুল চাপড়ানোর শব্দ।
সিলিং থেকে ঝুলন্ত ল্যাম্পের আলো এসে গোল হয়ে টেবিলের ওপর পড়ে ম্রিয়মাণ হয়েছে অন্ধকারে।
উফফ… শব্দটা ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। ইচ্ছে করছে টেবিলের ওপর রাখা পেনটা নিয়ে ঢুকিয়ে দিই সামনে বসে থাকা লোকটার মেদভর্তি ঘাড়ে। খুব [আরো পড়ুন]
Read More
সংকেত
Read More
নক্ষত্রলোকে দস্তখত
নক্ষত্রলোকে দস্তখত
মূল লেখক – লী প্রিসলি
বাংলা অনুবাদ – শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
১
আগন্তুক
মাইক আর মলি কার্সন উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দরজায় অপেক্ষা করছিল। অধ্যাপক গ্লীম তাদের ওই মস্ত দূরবীনে চোখ রেখে দেখতে দেবেন তো? গতবার তো ওই লাল দাড়িওয়ালা বিজ্ঞানীর কথাবার্তা মোটেই আশ্বাসব্যঞ্জক লাগেনি।
রোদে পোড়া হলদে অবিন্যস্ত [আরো পড়ুন]
Read More
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর সাথে কল্পবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা
বর্তমান বাংলা সাহিত্যের সবথেকে সফল ও ধারাবাহিক কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর সাথে কল্পবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা
অনুলিখনঃ দীপ ঘোষ ও সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
বাংলা কল্পবিজ্ঞান নিয়ে সাম্প্রতিক একটা উৎসাহ বেশ চোখে পড়ছে। নানা ধারা উপধারার থিম বা প্লট নিয়ে এক স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বা সিগনেচার সে খুঁজে পেয়েছে [আরো পড়ুন]
Read More
কর্নেল এবং…
কর্নেল এবং…
লেখক – রনিন
অলংকরণ – সুমিত রায়
১
পথে হলো দেরি
সেদিন ছিল রবিবার। একটা ছিমছাম ভালো লাগার অলস অখন্ড রবিবার। খবরের কাগজে কাজ করার সূত্রে ততদিনে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর সঙ্গে শনি-রবির পার্থক্য ভুলেছিলাম প্রায়, কিন্তু ডাকবাংলোর খুনের কেসটা সমাধান হওয়ার পর থেকে পুরো এক সপ্তাহের ছুটি মনজুর হয়েছে অফিস থেকে। তাই আমার হাতে তখন [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য গান
দ্য গান
ফিলিপ কে. ডিক
রূপান্তর : মারুফ হোসেন
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
ফোকাস ঠিক করে নিয়ে টেলিস্কোপের আইপিসে চোখ রাখলেন ক্যাপ্টেন।
‘পারমাণবিক ফিশনই (বিভাজন) দেখেছিলাম আমরা,’ টেলিস্কোপে চোখ রেখে বললেন তিনি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আইপিসটা সরিয়ে দিলেন চোখের সামনে থেকে। ‘কেউ চাইলে নিজের চোখে দেখে নিতে পার। কিন্তু দৃশ্যটা খুব একটা সুখকর নয়।’
Read More
বুদ্ধির্যস্য
বুদ্ধির্যস্য
লেখক – ঋজু গাঙ্গুলী
অলংকরণ – সৌরভ দে
“দেড় হাজার বছর!” আপ্রাণ চেষ্টা করেও নিজের গলা থেকে রাগ আর হতাশা সরিয়ে রাখতে পারছিলেন না হেম। “দেড় হাজার বছর ধরে চলছে পরীক্ষাটা। সবেমাত্র সেটা কিছু সত্যিকারের ফলাফল দিতে শুরু করেছে। তখনই সেটা এভাবে থামিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি এরকম কিছু করতে পারেন না কম্যান্ডার!”
“যায়।” শক্ত গলায় বলেন গোরাম। “এবং আমি পারি।”
Read More
গ্রন্থ সমালোচনা – অপার্থিব – অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
অপার্থিব
লেখক – অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
প্রকাশ – ২০১৭
প্রকাশক – বৈভাষিক
মূল্য – ১৮০
সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগগুলোর মধ্যে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ হল – থ্রিলার। সে ফিকশন হোক বা নন-ফিকশন, পেলেই গোগ্রাসে গিলি। ‘অপার্থিব’-র ব্লার্বটা পড়ে আমার মনে হয়েছিল এটা একটা সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার – যে বিষয়ে খুব বেশি বই আমি আজ অবধি পড়িনি। এই ব্যাপারটাই আমায় [আরো পড়ুন]
Read More
বীজ
বীজ
লেখক – অরুনাভ গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
যদি একটি চিত্রনাট্যের মতন দৃশ্যের পরে দৃশ্য দিয়ে আমরা সাজিয়ে নিই পরপর ঘটতে থাকা ঘটনাগুলিকে তাহলে প্রথমেই দেখব…
স্কাইস্কেপ জুড়ে ওরা দাঁড়িয়ে। সার বেঁধে। ওরা ঘুমোচ্ছে। রাত ঘন। এখন অন্ধকার চাপ বেঁধে আছে। খন্ডিত মৃতদেহ থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের মতো। চাপ বেঁধে আছে। চারিদিকে নৈঃশব্দের [আরো পড়ুন]
Read More
চোখের আলোয়
চোখের আলোয়
লেখক – দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী
অলংকরণ – সুমিত রায়
ভয়ানক একটা হুড়মুড় শব্দে কাকোর ঘুমটা ভেঙে গেল।
কাকোদের পাড়ায় গাছ কাটা হচ্ছে। কাকো আর নিনি বস্তিতে থাকে। কাকোর বয়স সাত, কাকোর দিদি নিনির বয়স দশ। ওদের শহরের রাস্তাগুলো ঢেউ খেলানো। দূরে অনেক পাহাড় দেখা যায়। মাঝে মাঝে পাহাড়ের মাথায় গোলাপি মেঘ দেখা যায়। এখনও অনেক গাছ আছে শহরে কিন্তু কাকোর দিদি [আরো পড়ুন]
Read More
জানালা
জানালা
লেখক – যশোধরা রায়চৌধুরী
অলংকরণ – সুমিত রায়
নীরজার ঘুম ভাঙল একদম নতুন একটা জায়গায়। আগে পিছে আশেপাশে কোথাও কিচ্ছুটি নেই। আধখোলা চোখে মিটিমিটি চেয়েও একটা কোনও জিনিস চোখে পড়েনি। তাছাড়া নীরজা তো নীরজার জিনিসদের জানে, চেনে। ও তো জানে ওর সব জিনিস এলোমেলো থাকে। লাট খেয়ে খাটের একপাশে থাকে বিছানার চাদরটা। শুতে যাবার আগে কোনওওমতে সরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
রোঁয়া
রোঁয়া
লেখক – শাম্ব চ্যাটার্জী
অলংকরণ – সুমন দাস
॥১॥
ক্রিং…ক্রিং…। রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে থানার ফোনটা পরিত্রাহি চিৎকার আরম্ভ করলো। হেডকনস্টেবল রামহরি সেই শব্দে টুল থেকে টাল খেয়ে পড়ার মুখে কোনওমতে সামলে নিয়ে, তড়িঘড়ি ফোনের কাছে গিয়ে রিসিভার তুলতে ওপাশ থেকে ত্রস্তস্বরে এক পুরুষকণ্ঠ ভেসে এলো, “হ্যালো, এটা কি শিলিগুড়ি থানা? [আরো পড়ুন]
Read More
জিগজ্যাগ ও দুজন রানী
জিগজ্যাগ ও দুজন রানী
লেখক – নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী
অলংকরণ – সৌরভ দে
রিদমের মাথায় ভূত – ব্যান্ডেল, ২০০৮
ছন্দা নতুন বাড়িটায় এসে বেশ ঘাবড়েছিল। বাড়িটা তার কাছে নতুন হলেও এমনিতে বেশ পুরানো। প্রায় তিনশো বছরের। এক সাহেবের কাছ থেকে কিনেছিলেন ছন্দার ঠাকুর্দার বাবা। মূল কাঠামোটা একই রেখে সংস্কার করেছিলেন। বাড়িটার সামনে একটা রাধাকৃষ্ণের মন্দির [আরো পড়ুন]
Read More
আগন্তুক
আগন্তুক
লেখক – অনির্বাণ সরকার
অলংকরণ – অনির্বাণ সরকার
২৩ মে, সাল ২০৪০, রাত ১২ : ৪০ এ.এম। হয়তো আজই আমার শেষ দিন। কাকতালীয়ভাবে আজ আমার জন্মদিনও। দু’বছর আগে পৃথিবী থেকে আমরা তিনজন নভশ্চর ইসরোর এই অত্যাধুনিক মহাকাশযানে রওনা হয়েছিলাম। এখন আমাদের মহাকাশযানটি বৃহস্পতির কাছে এক অজ্ঞাত ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন। সৌরঝড় ও তা প্রতিহত করার বৈজ্ঞানিক [আরো পড়ুন]
Read More
কে তুমি
কে তুমি
লেখক – রণেন ঘোষ
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
শ্রী রণেন ঘোষ জানুয়ারী ১, ১৯৮১
১৫, লিন্টন ষ্ট্রীট,
কলকাতা – ৭০০০১৪
মহাশয়,
আপনার লেখা ‘সময়ের রূপ’ ফেরত পাঠালাম। গল্প হিসেবে ছাপার উপযুক্ত বটে, কিন্তু তবুও ছাপা গেল না। কারণ গল্পটা ঠিক বোধহয় আপনার নয়। ১৯৬২ সালে ‘আশ্চর্য’ পত্রিকায় প্রথম [আরো পড়ুন]
Read More
মানব চেয়ার
Read More
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার একটি সময় সরণী
বাংলা অনুবাদ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
অক্ষরবিন্যাস – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
Read More
ডরোথি
ডরোথি
লেখক – অর্ণব দাস
অলংকরণ – সুমিত রায়
আজকাল একদম ভালো লাগছে না শান্তনুর ব্যবহার। যখন তখন জড়িয়ে ধরে। তখন শরীরের প্রতিটা খাঁজে ওর হাত আর ঠোঁট খেলা করে। প্রতিটা রাতে শরীরটাকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিজেকে অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত করতে চায় শান্তনু। হ্যাঁ, সময় সময় ভালো লাগে ব্যাপারটা। কি এক অজানা শিহরন খেলা করে যায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু তাই বলে [আরো পড়ুন]
Read More
রোহিণী
রোহিণী
লেখক – পার্থ সেন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
বাক্যহীন প্রাণীলোক-মাঝে
এই জীব শুধু
ভালো মন্দ সব ভেদ করি
দেখেছে সম্পূর্ণ মানুষেরে;
দেখেছে আনন্দে যারে প্রাণ দেওয়া যায়
যারে ঢেলে দেওয়া যায় অহেতুক প্রেম,
অসীম চৈতন্যলোকে
পথ দেখাইয়া দেয় যাহার চেতনা।
বারেলি থেকে দুধওয়া পৌঁছতে আমার সন্ধ্যে হয়ে গেল। আমার হোটেলটা পালিয়াকালান বলে একটা জায়গায়। অপূর্ব [আরো পড়ুন]
Read More
পোকা
পোকা
লেখক – রাজকুমার রায়চৌধুরী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
১
কমপিউটার টেবিলের তলা পরিষ্কার করতে গিয়ে অংশুমান বাবু পোকাটা প্রথম লক্ষ করেন৷ বিটল্ জাতীয় পোকা৷ অংশুমান প্রথমে ভেবেছিলেন লেডিবার্ড জাতীয় বিটল্৷ কিন্তু লেডিবার্ডের স্পট এটার গায়ে নেই৷ ঝাঁটা দিয়ে পোকাটা তাড়াবার কথা মনে হলেও ভাবলেন থাক৷ পোকাটা দেখতে বেশ টকটকে লাল, [আরো পড়ুন]
Read More
ইলোভাক
ইলোভাক
লেখক – অমিতাভ রক্ষিত
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
১
আমাদের ‘দূরপাল্লার জাহাজ’টা ওয়ার্ম হোল থেকে বেরিয়ে স্পিড কমাল একটু। তারপরে সেটা ডানদিকে সামান্য একটু কাত হয়ে যেতেই ছবিতে হাজার বার দেখা, নীল-সবুজে মেশানো ‘ইলোভাক’-এর গোলাকার অবয়বটা চোখে এল। কী অপূর্ব দৃশ্য! এখানে মহাকাশ আমাদের মতন অত কালো দেখায় না। ‘ইলোভাক’-এর কাছাকাছি অঞ্চলে গ্রহ-নক্ষত্রের [আরো পড়ুন]
Read More
ভলতেয়ারের ভিনগ্রহী
ভলতেয়ারের ভিনগ্রহী
লেখক – সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
“There are truths which are not for all men, nor for all times.”
-–- Voltaire’s Letter to François-Joachim de Pierre, cardinal de Bernis (23 April 1764)
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভিক অধ্যায়, সময়টা ছিল যুক্তি তর্কের বদলে প্রজন্মান্তরের জগদ্দল চিন্তার ভার বয়ে চলার। চার্চ এবং রাষ্ট্র তাদের পেশীশক্তির আস্ফালনে তখনও টুঁটি টিপে রেখেছে সাধারণ মানুষের। [আরো পড়ুন]
Read More
মায়াশূন্যযান
মায়াশূন্যযান
লেখক – সালেহ আহমেদ মুবিন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
(১)
হুনানপু আকাশের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল, “আমি ব্যাপারটা টের পাচ্ছি, কাস্টিলা। মহারাজ আমাদের আর বেশিদিন সহ্য করবেন না।”
কাস্টিলা অসন্তোষের শব্দ করল মুখ দিয়ে। “বুজরুক রাজপুরোহিতদের চেয়ে লোকে তোমাকে বেশি মানলে রাজার কাছে সেটা খারাপ লাগবেই। তারা আছে সারাদিন আনন্দ তামাশা নিয়ে। রাজ্যের [আরো পড়ুন]
Read More
আতঙ্ক সেই সংকেত
আতঙ্ক সেই সংকেত
মূল রচনা – গেলর্ড সাবাটিনি
বাংলা অনুবাদ – সৌমেন চ্যাটার্জি
অলংকরণ – সৌমেন চ্যাটার্জি
আমার নাম জেমস কার্টিস। পেশায় আমি একজন সাংবাদিক। দাঁড়ান… দাঁড়ান, এখুনি উইকিপিডিয়া খোলার দরকার নেই। কারণ আমি যে পত্রিকার সাংবাদিক, হাতে গোনা কিছু মানুষ সেই কাগজ পড়েন। তবে হ্যাঁ, যারা এই কাগজের পাঠক তাদের কাছে এর কদর বেশ ভালোই। কাগজটার [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্বিতীয় ঘনাদার কাহিনি – তেল
Read More