পুতুলবাড়ি আরোগ্যনিকেতন
তারক মণ্ডল ছেলে হিসেবে অতি চমৎকার তো ছিলই, তদুপরি তার একটা আশ্চর্য গুণ ছিল, সব জায়গায় সে ভূত দেখতে পেতো, আর সেটাই শেষ পর্যন্ত ….
ঘটনাটা গোড়া থেকেই খুলে বলি।
তারক মণ্ডল, আগেই বলেছি [আরো পড়ুন]
Read More
First Bengali Science Fiction & Fantasy Webmag
তারক মণ্ডল ছেলে হিসেবে অতি চমৎকার তো ছিলই, তদুপরি তার একটা আশ্চর্য গুণ ছিল, সব জায়গায় সে ভূত দেখতে পেতো, আর সেটাই শেষ পর্যন্ত ….
ঘটনাটা গোড়া থেকেই খুলে বলি।
তারক মণ্ডল, আগেই বলেছি [আরো পড়ুন]
২০৬৫ সালে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর তৃতীয় দিন ওদের পাঠিয়ে দেওয়া হল। অতীতে। ১৮৬৫ তে।
ওরা চার ছেলেমেয়ে। মিস্টার ও, মিসেস ও, দুজনেই ঘন্টাখানেকব্যাপী হাইড্রোজেন বিস্ফোরণে অক্কা পেয়েছেন। প্রাচীন যুগের ভাষায় বললে, ওঁদের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছিল।
চার বাচ্চা, [আরো পড়ুন]
কুণাল তাঁর চশমাটা খুললেন। মাঝে মাঝেই ঝাপসা হয়ে আসে কাচ। অনেকসময়ই বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই। অন্যমনস্কভাবে হাত লাগিয়ে ফেলেন, তারপর বিরক্তিকর কাচ পরিষ্কার! [আরো পড়ুন]
বিনু যখন কথাটা আমায় বলেছিল, চারপাশ তখন আকাশজোড়া কালো মেঘের ছায়ায় ময়লা ও আবছা হয়ে এসেছে। যে কোনও সময় বৃষ্টি নেমে পড়বে। ঘরের আলোটা জ্বালানো ছিল না। বাইরের বিবর্ণ আলোতে বিনুর মুখটা দেখতে পাচ্ছিলাম। ওই কম আলোতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ওর উজ্জ্বল [আরো পড়ুন]
তিরিশ শতাব্দীর ছোট্ট ছেলে বাপ্পা রূপকথায় বিশ্বাস করে। যন্ত্র মানুষের হাতে মানুষ হলেও সে বিশ্বাস করে একদিন পৃথিবীতে সব ছোটরা তাদের বাবা মায়ের কাছে থাকত, আদর খেত। প্রতিদিন সন্ধেবেলায় তার যন্ত্র মানুষ যখন ব্যাটারি চার্জ করতে যায় তখন সে তাই তার খেলার ঘরের কমপ্যুটারে রূপকথার প্রোগ্রাম চালিয়ে খেলে তার প্রিয় গেম—বাড়ি বাড়ি খেলা।
সমস্ত দিন পড়ার শেষে
সন্ধে যখন ঘনিয়ে আসে
এই যে এত আকাশ ভরা মেঘের কুঁচি, তারা
তাদের কাছে ঘুড়ির মত ছিটকে যেতে পারি
দেখতে যাব, অন্য গ্রহের অন্য কারো পাড়া
দেখতে যাব, কেমন করে সাজায় তারা বাড়ি
বৃষ্টি পড়ে আগুন হয়ে, বাষ্প জমে ছাদে
ঝড়ের সাথে যখন তখন নীলচে কালো হাওয়া
ধূমকেতুদের মিছিল বেরোয়, একশ খানা চাঁদের
জোৎস্না এসে দেখিয়ে দেবে আমার আসা যাওয়া
আমি তখন সেই দেশেরই রাজার কাছে গিয়ে
জানতে চাইব গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার খবর
রবিন বিশ্বস্ত খুব ঘুম থেকে রোজ তুলে দেয়
তারপর জিজ্ঞেস করে, “আজ কোন স্বপ্ন দেখলে বলো?”
যে সব স্বপ্নগুলো নির্ভার আলোয় খুশি খুশি
সেগুলো সে লিখে রাখে ডিজিটাল অক্ষরে সংকেতে
আমার মনখারাপ রবিন বুঝতে পারে ভালো
রবিন বুঝতে পারে কখন ডিপ্রেশনে থাকি
চোখ ঠোঁট ভুরু নাকি ব্রেনের তরঙ্গপথ দেখে
রবিন বুঝতে পারে আজ লেখা হবে কী কবিতা
রবিন বুঝতে পারে পোশাক বা নেকলেস নয়
আমাদের সভ্যতার প্রথম যুগে আমরা দেবতা গড়েছিলাম। তাঁদের [আরো পড়ুন]
[৫২১৫ সাল, ইন্ডিয়ানাল্যান্ডের ইস্ট বঙ্গ সেক্টর। ৪ জুন, রাত ১ টা বেজে ৩৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে সেন্ট্রাল কন্ট্রোলের ভিজিল্যান্স টিমের মনিটরে ছবি ভেসে উঠল। ১৯৭৩ ক্লাস্টারে একটি হিউম্যান মেল লায়িং পোজিশনে ভেসে রয়েছে আর একটি হিউম্যান ফিমেল সিটিং পজিশনে সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে কিছু দেখছে আর আঙুল নেড়ে কম্যান্ড দিচ্ছে। সাউন্ড সিস্টেম অন হতে মনিটরের সামনে বসে থাকা দুজন সেদিকে মন দিল]
ঐ যে কথায় বলে না – কপালের লিখন কেউ খণ্ডাতে পারে না? – আমারও হয়েছিল তাই! নইলে বেশ তো ছিলাম মশাই, [আরো পড়ুন]
বাংলাদেশে অ্যাডভেঞ্চারের পরিবেশ নেই, বাঙালী ছেলের জীবনে অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নেই—এমনি একটা কথা আমরা ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি। বোধ হয় এই জন্যই সেকালের অ্যাডভেঞ্চার– [আরো পড়ুন]
লন্ডন, ১৮৭৮।
সাউথ মিডল্যান্ড ইয়োম্যানরির ঘোড়সওয়াররা সেই সময় আসন্ন ইউরোপিয়ান যুদ্ধ নিয়ে নয়, বরং চিন্তিত ছিল ফ্যারিয়ার সার্জেন্ট বার্টনের জন্য একজন প্রতিপক্ষ খুঁজে পাওয়া নিয়ে। বক্সিং রিঙে বিশালদেহী বার্টনকে হারানো তো দূরের কথা, তার সঙ্গে দশ রাউন্ড লড়তে পারে এমন বক্সারের সংখ্যাই কমে আসছিল হু-হু করে। ফলে বার্টনের দু’হাতের জোরের মতো তার ইগোও ফুলে-ফেঁপে উঠছিল।
এরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা প্ৰকাশ করা উচিৎ হবে কিনা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কেননা ব্যাপারটা প্ৰকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবী জুড়ে যে সাংঘাতিক আতঙ্ক, ভয় আর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে তাতে সরকারগুলি ব্যর্থ হবে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় [আরো পড়ুন]
ভদ্রলোক বললেন – “আপনারা জানতে চাইছেন ঠান্ডা আবহাওয়াকে আমি কেন ভয় পাই? কেন ঠান্ডা হাওয়ায় আমার শরীর মাঝে মাঝে গুলিয়ে ওঠে? কি কারনে আমার মধ্যে এক শৈত্যবিরোধী ভাব জেগে ওঠে?”
যাচ্ছিলাম গ্যাংটক, আমরা তিন বন্ধু মিলে [আরো পড়ুন]
রাতে নিশ্ উপত্যকার আকাশে বসে থাকা চাঁদটাকে দেখলে মনে হয়, যেন সে কয়েকশ’ বছরের পুরোনো কোনো অভিশাপের কুষ্ঠ–ক্ষত আজও সারা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে [আরো পড়ুন]
একটি মাটির বাড়ির চালের দিকে তাকালে দেখা যায় চালটা অনেক ধরণের দড়ি, কাঠি দিয়ে তৈরি – তাদের মধ্যে কিছু কিছু কঠিন, কিছু কিছু নরম। চালটা গড়তে খড়, দড়ির মতো নরম তন্তু যেমন ব্যবহার হয়েছে, তেমনি ব্যবহার হয়েছে বাঁশের মতো কঠিন বস্তু।
জীবজগতে আমরা একই [আরো পড়ুন]
বহু অজানা অবিশ্বাস্য বিস্ময়ের অন্দরমহল মহাশূন্য থেকে আচমকা আবির্ভূত হয়েছে এক মহাকাশপোত। আকারে আয়তনে তাকে উড়ুক্কু মহাদেশ বললেই চলে। হাজার হাজার আলোকবর্ষ পথ পেরিয়ে কল্পনাতীত এই যন্ত্রযান নিয়ে রাডাগ্ৰহে পৌঁছেছিল এক মহাসুন্দরী ... উদ্দেশ্য? পৃথিবী-পুত্র বিক্ৰমজিতের বধূ হওয়া … নয়তো তাকে [আরো পড়ুন]
এক কারখানায় আমার জন্ম হয়। তারপর প্লাস্টিকের র্যাপারে মুড়ে বাক্সে সিল করা হয় আমাদের, একবাক্সে তিনজন করে।
প্রথমদিকে আমাদের জায়গা পাল্টায়। কারখানা থেকে গুদামঘরে, সেই গুদাম থেকে ট্রাকে চাপিয়ে তারপর দোকানঘরে।
একদিন এক তরুণ মানবের নজরে পড়ি। সে খপ করে আমাদের তুলে নিয়ে তার শার্টের নীচে লুকোয়। এবং এরপর সে খুব তাড়াতাড়ি দোকানের বাইরে চলে যায়।
বাড়িতে [আরো পড়ুন]