শতবর্ষে ‘রোবট’, চেক প্রজাতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উপহার
আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে রাশিয়ান-বেলারুশিয়ান বর্ডারের কাছে পেট্রোভিচি (Petrovichi) গ্রামে অ্যাজিমভদের (Azimovs) ইহুদি পরিবারে এক শিশুর জন্ম হয়। বাবা-মা বাচ্চাটির নাম দেন আইজ্যাক। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায় না, আন্দাজ করা হয় অক্টোবর ১৯১৯ থেকে ১৯২০ এর শুরুর দিকের মধ্যে তাঁর জন্ম। ১৯২৩ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি, আর এম এস বাল্টিকে চড়ে অ্যাজিমভের পরিবার নব্য [আরো পড়ুন]
Read More
রোজামের যন্ত্রদাস
Domin: (Smile) Now, the thing was how to get the life out of the test tubes, and hasten development and form organs, bones and nerves, and so on, and find such substances as catalytics, enzymes, hormones in short – you understand?
Helena: Not much, I’m afraid.
Domin: Never mind. (Leans over couch and fixes cushion for her back) There! You see with the help of his tinctures he could make whatever he wanted. He could have produced a Medusa with the brain of Socrates or a worm fifty yards long— (She laughs. He does also; leans closer on couch, then straightens up again) —but being without a grain of humor, he took into his head to make a vertebrate or perhaps a man. This artificial living matter of his had a raging thirst for life. It didn’t mind being sown or mixed together. That couldn’t be done with natural albumen. And that’s how he set about it.
Helena: About what?
Domin: [আরো পড়ুন]
Read More
অতিমারী ও মানবসভ্যতা: ভূত ও ভবিষ্যৎ
১১ মার্চ, ২০২০: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন বা সংক্ষেপে হু) ঘোষণা করল পৃথিবীতে এক এমন ভাইরাসের দাপট শুরু হয়ে গেছে, যার কোনও প্রতিষেধক মেডিকেল সায়েন্সে এখনও নেই। অর্থাৎ এই ভাইরাসকে অকেজো করে দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ দুটোই আপাতত মানুষের অধরা। সাধারণত কোনও দেশে বা বিশেষ কোনও গোষ্ঠী কিংবা ভূখণ্ডে এধরনের কোনও অজানা [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ? ভাবনায়, আঙ্গিকে
“There are but two ways of forming an opinion in science. One is the scientific method; the other, the scholastic. One can judge from experiment, or one can blindly accept authority. To the scientific mind, experimental proof is all important and theory is merely a convenience in description, to be junked when it no longer fits. To the academic mind, authority is everything and facts are junked when they do not fit theory laid down by authority.”
— Lifeline, Robert A. Heinlein (First Published in August, 1939 Issue of the Astounding Stories of Super-Science)
সাহিত্যে এবং সমাজের অন্তর্নিহিত মিথোস্ক্রিয়া এক বহতা নদীর মতো চলমান। তার নানা বাঁকে সমাজ বীক্ষণের নতুন আঙ্গিক অপেক্ষা করে [আরো পড়ুন]
Read More
ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন
‘ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন’ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঠোঁটে পাইপ মাথায় টুপি একটি রোবোট বা সাইবর্গের ছবি। কিন্তু সায়েন্স ফিকশনের এই ধারাতে শুধুই ভবিষ্যৎ কিংবা অন্য গ্রহে রহস্য আর ক্রাইমের সমাধান হয় না, এই ধরণের গল্প থেকে আমরা পাই মানুষ এবং টেকনোলোজির কিংবা অন্য জগতের প্রাণীদের ভিতরের সম্পর্কের খোঁজও।
তাহলে, প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাকে ডিটেকটিভ সায়েন্স ফিকশন বলবো আমরা।
Read More
বঙ্গনারীর কল্পবিজ্ঞান: একটি পর্যবেক্ষণ
মেয়েদের লেখা কল্পবিজ্ঞান। কথাটার মধ্যে কেমন যেন একটা তাচ্ছিল্য রয়েছে, না? ঠিক যেমন মাধ্যমিক বা অন্যান্য পরীক্ষায় ‘মেয়েদের মধ্যে প্রথম’ শুনলে মনে হয়। বলা যেতে পারে, লেখা শেষ পর্যন্ত লেখা। তাকে মেয়ের লেখা, ছেলের লেখা, বয়স্ক মানুষের লেখা, কমবয়সির লেখা এভাবে ভাগ করে কী লাভ? কথাটা একদিক দিয়ে হয়তো ঠিক। কিন্তু আরও একটু তলিয়ে ভাবলে বোঝা যায় এর পিছনে লিঙ্গ বৈষম্য, [আরো পড়ুন]
Read More
পাঙ্ক কল্পবিজ্ঞান: সাহিত্যের বিপ্লব না অপচয় ?
The future is already here – it’s just not very evenly distributed
— William Gibson
‘পাঙ্ক’— এই শব্দটার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭১-এ নির্মিত ক্লিণ্ট ইস্টউডের বিখ্যাত ক্রাইম সিনেমা ডার্টি হ্যারির মাধ্যমে। ফিল্মের ক্লাইম্যাক্সে উদ্যত বন্দুক হাতে হ্যারি কালাহানের মুখে ছিল সেই বিখ্যাত সংলাপ— “Did he fire six shots or only five?” Well to tell you the truth in all this excitement I kinda [আরো পড়ুন]
Read More
স্টীমপাঙ্ক কথা
স্টীম ইঞ্জিন? ইয়েস! স্টীম রোলার? ইয়েস! স্টীম সন্দেশ? সেও ইয়েস, ইয়েস, একবারে চাকুম চুকুম ইয়েস!
কিন্তু স্টীমপাঙ্ক? নো স্যার, কভি নেই শুনা। সেটা কি বস্তু জাঁহাপনা? খায় না মাথায় মাখে?
জানেন না? আচ্ছা গুছিয়ে বলি তাহলে। স্টীমপাঙ্ক হল সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের একটা বিশেষ ঘরাণা। ইংরিজীতে যাকে বলে সাব-জনার।
তা এই বিশেষ ঘরাণার বিশেষত্ব কি?
এই ধারার বিশেষত্ব এই [আরো পড়ুন]
Read More
আমাদের ভবিষ্যৎ – নতুন তুষারযুগ নাকি জলমগ্ন পৃথিবী?
আমাদের ধারণা পৃথিবীতে তুষারযুগ আসলেও তা আসবে খুব ধীরে ধীরে। কল্পবিজ্ঞান গল্প কিংবা সিনেমায় যেরকম নাটকীয় ভঙ্গিতে দেখান হয়, সেভাবে কখনওই নয়। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন আবহাওয়ার বিস্ময়কর এবং দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে, বিশেষ করে মানুষ যদি পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে।
পৃথিবীর প্লাইস্টোসিন যুগ, যা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পঁচিশ [আরো পড়ুন]
Read More
পরিবেশ কাহিনি
১
ঠাণ্ডা! শৈত্য! শীতল! মস্তিষ্কের কেন্দ্রস্থলে এই একটাই সংকেত পোঁছাচ্ছে আপাতত। স্নায়ু-জালের শাখা-প্রশাখা গুলো এখনো অচেতনতায় আচ্ছন্ন। হঠাৎ একটা যান্ত্রিক সংকেত সচল হয়ে উঠল। একটা নির্দিষ্ট ক্রমে পরিমিত বৈদ্যুতিক প্রবাহ এসে সটান আঘাত করল হৃদযন্ত্রে। সঙ্গে সঙ্গে অজস্র তারের জট বেয়ে জাগরণ বার্তা ধেয়ে এল শরীরটার সমস্ত প্রয়োজনীয় বৃত্তীয় [আরো পড়ুন]
Read More
এইচ পি লাভক্র্যাফট – জীবন ও সাহিত্য
“এই বিশ্বের বিপুল বিষয় বৈচিত্রকে মানুষের মনের ক্ষুদ্র বিস্তার কিছুতেই অনুধাবন করতে পারে না, আর তাই আমার বিশ্বাস, জগতের সবচেয়ে অনুকম্পার বিষয় হলো মানবমনের চিন্তার এই সীমাবদ্ধতা ।” ‘কল অফ খথুলু’ রচনায় এটিই লাভক্র্যাফটের প্রথম বানী বলা চলে। এর থেকে তিনি আমাদের একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, যে তিনি এমন কিছুর একটা সন্ধান দিতে চলেছেন, যার রহস্য [আরো পড়ুন]
Read More
হাঁস ছিল শজারু
“হাঁস ছিল শজারু (ব্যাকরণ মানি না)
হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।”
ছেলেবেলায় সুকুমার রায়ের ‘খিচুড়ি’ পড়তে বসে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ধড়ে মুড়োয় সন্ধির কথা পড়ে বা তাঁর আঁকা সেই সব খিচুড়ি জানোয়ারের অনবদ্য সব ছবি দেখে, এক জানোয়ারের সাথে অন্যের জোড়াতালি নিয়ে নানান অলীক কল্পনাবিলাস করে অবাক হয়নি এরকম বাঙালী পাঠক বা পাঠিকা পাওয়া খুব শক্ত। কিন্তু এই এক জানোয়ারের [আরো পড়ুন]
Read More
জিন মহাপুরাণ
সারাদিন ধরে একরাশ পেপার আর বই চর্চা করার পরে সূর্য ডোবার আগে আগেই মাথাটা বিগড়ে গেল। তা মাথার খুব একটা দোষ ছিলনা। একে তো জুলাই মাসের ভ্যাপসা গরম, তার উপরে প্রতিবেশীদের মধ্যে কে যেন ভর দুপুরে শখ করে মহালয়া চালিয়েছে কম্পিউটারে। তাও আবার লুপ ফর্মে। একবার শেষ হলেই আবার বেজে উঠছে “জাগো চণ্ডী”। ছাইবর্ণ আকাশের সাথে সাথে আমার মস্তিষ্ককেও ক্রমাগত ত্রিশূলে বিদ্ধ [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন– কল্পনার অন্তরালে বাস্তব বিজ্ঞান
১৮১৮ সালে প্রকাশ পায় মেরি শেলীর লেখা ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন অর মডার্ন প্রমিথিউস’ এর প্রথম খসড়া। তাঁর গল্পের প্রধান চরিত্র এক ডাক্তার, যিনি বিভিন্ন মনুষ্যদেহাংশ জুড়ে এক দানব তৈরি করেন। তারপরে সেই দানবদেহটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠাকরেন। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় এক আধিভৌতিক দানব। মেরি শেলীর এই অনবদ্য কল্পনা কিন্তু শুধুই আকাশকুসুম নয়, এর পিছনে ছিল তৎকালীন বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়।
Read More
আয়নার ঠান্ডা কাচ ও অষ্টাদশীর স্বপ্ন
রাতের এই সব জনহীন রাস্তা আর আধো-অন্ধকার বাড়ির রহস্যময় জানলার দিকে তাকালে আমার মনে হয়, আজ তোমার সঙ্গে দেখা হবে। এই সব বাড়ির নির্জন কোনও কোণ কিংবা রাস্তার ধারেকাছের কোনও ঝোপ— কোথাও নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছ তুমি। আছ কি?
নাকি তুমি আমাদের রক্তমাংসের দুনিয়া ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে স্বপ্নেই ফিরে গেছ? যে স্বপ্নের ভিতরে তোমার জন্ম। মনে আছে, কেমন তীব্র শীত পড়েছিল সেবার? [আরো পড়ুন]
Read More
একটি চৈনিক ঘরের রহস্য
নামটা দেখেই যারা ভাবছেন একটা জমজমাট রহস্য গল্প পাবেন, তারা কিন্তু নিরাশ হবেন না। হ্যাঁ পাঠক, এই লেখাটি কোন রহস্য অ্যাডভেঞ্চার গল্পের থেকে কম রোমাঞ্চকর নয়। এই গল্প এমন এক নতুন জাতির, যারা মানুষের হাতে তৈরি হয়েও আজ মানুষকেই হারিয়ে দিচ্ছে নানা বিষয়ে। অনেকে আশংকা করছেন যে মানবজাতি ধ্বংস হবার কারন হবে এই জাতি। এই লেখার মধ্যে দিয়ে চলুন বোঝার চেষ্টা করি সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে।
Read More
মানুষেরই মতো
(১)
আধো ঘুম অবস্থাটা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে যুধিষ্ঠিরের। মাথাটাও আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে আসছে। ঘরের চারপাশটা এতক্ষণে স্পষ্ট হয়ে এসেছে। ঘরটা ছোটো, কোনো জানালা নেই। সে শুয়ে আছে ঘরের একদম মাঝখানে একটা ছোট ধাতব টেবিলে। এই টেবিল ছাড়া ঘরে আর কোনো আসবাব নেই। ঘরের একদিকের দেওয়ালে একটা ডিসপ্লে প্যানেলে নানা রকম সংখ্যা ফুটে উঠছে। যেরকম হাসপাতালে [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিশ্ব রাশিয়ান সংখ্যা – কিছু ভাবনা
২৬ বছর হয়ে গেল ভেঙে গেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। বন্ধ হয়ে গেছে প্রগতি প্রকাশন, রাদুগা প্রকাশন ও মীর প্রকাশন। মস্কো বা তাসকেন্দ থেকে আর কোনো রুশী বইয়ের বাংলা অনুবাদ ছাপা হয় না। অন্য সব সোভিয়েত গল্প, নাটক বা কবিতার বইয়ের মতোই সোভিয়েত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির বইয়ের প্রামাণ্য বাংলা অনুবাদ পড়তে পাওয়ার আশাও তাই ছাব্বিশ বাও জলের তলায়। রুশভাষাবিদ বাংলা গল্পদাদুদের [আরো পড়ুন]
Read More
মঙ্গলের রাণী থেকে কিন্-জা-জা’ র পথে (সোভিয়েত সাই-ফি সিনেমার সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত)
১৯২৪ সাল। মাত্র দুবছর আগে রক্তস্নাত গৃহযুদ্ধের শেষে এক বিরাট ভৌগোলিক পরিসরে তৈরী হয়েছে নতুন ধরনের সমাজ রাজনীতির পরীক্ষাগার: মানুষের সরকার – যাকে প্রথম দিন থেকেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে কায়েমী, বাজারমুখী শক্তিদের বিরুদ্ধে যার সহায়ক ছিল বেশ কিছু বিদেশী রাষ্ট্র। শ্বেত আর লাল সোভিয়েতের ওই ধুন্ধুমার সংগ্রামমুখর সময়টাতে কিন্তু আবার অন্য এক ধরণের [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধনঃ যেমন দেখেছি
একটা আলো–আঁধারির ল্যান্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সামনের ক’টা ধাপ পরেই দেখা যাচ্ছে দরজা আর কলিং বেল। ওপারেই তিনি থাকেন। আজ প্রথমবার তাঁর মুখোমুখি হব।
প্রথমবার কথাটা হয়তো ঠিক নয়। বইমেলার স্টলে তো কতবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। বাড়িয়ে দিয়েছি সদ্য কেনা বই। সেরা আশ্চর্য সেরা ফ্যান্টাস্টিক, [আরো পড়ুন]
Read More
প্রসঙ্গঃ অদ্রীশ বর্ধন
১৯৩২ সালের ১লা ডিসেম্বর কলকাতায় এক শিক্ষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন অদ্রীশ বর্ধন। বাবা অনিল বর্ধন পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক আর স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ ঠাকুরদা চন্ডীচরণ বর্ধন কলকাতার বউবাজারে সার্পেন্টাইন লেনে হিন্দু বয়েজ স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় চালাতেন [আরো পড়ুন]
Read More
এক কল্প দুনিয়ার গ্রিনরুম
‘সেই বিষাক্ত জঙ্গলে তখন নতুন একটা নির্বিষ অঙ্কুর জেগে উঠছে ঠিক নউসকা’র হারানো গগলসের পাশে। ভয়ংকর ওহমেরাও জেনে গেছে যে তাদের এক নতুন বন্ধু হয়েছে যে তাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে’। এভাবেই শেষ হয় অ্যানিমে (জাপানী ভাষায় অ্যানিমেশন) ছায়াছবি ‘নউসকা অফ্ দ্য ভ্যালি অফ্ দ্য উইন্ড’। এই শেষ কিন্তু আসলে একটা স্বপ্ন গড়ার কারখানার সূত্রপাত। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিকল্পিত ভবিষ্যৎ
অন্যান্য সমস্ত দেশের থেকে, জাপানের সহজাত ভাবে চির-অগ্রসর ও আধুনিক হওয়ার কারণ কি? আমি যখন ছোট ছিলাম, আমেরিকাই তখন ছিল ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। আর জাপানের নাম শোনা যেত পুরনো টিনের রোবট আর নরম প্লাস্টিকের খেলনা মহাকাশচারী পুতুল বানানোর জন্যে। কিন্তু গত চার দশক ধরে, ভবিষ্যতের পৃথিবীর সাথে আমেরিকার বিশেষ সম্পর্কটি বিনষ্ট হয়েছে।
আশির দশকে, আমি এক বিশেষ [আরো পড়ুন]
Read More
সাইজ ডাজ ম্যাটার
ঘুমটা আচমকাই ভেঙে গেল। দেখলাম সামনে রাখা জলের গ্লাসটা কাঁপছে। কাচের ভিতরে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে জলের শরীর। ক্রমশ বাড়ছে কম্পনটা।
ধড়মড় করে উঠে বসলাম বিছানায়। একটা কম্পন ছড়িয়ে যাচ্ছে বাড়িময়। কেমন যেন আশঙ্কায় সারা শরীরে শিহরণ খেলে গেল। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গেলাম। আর মুহূর্তের জন্য যেন আমার হৃৎস্পন্দন থমকে দাঁড়াল। একটা অতিকায় অমানুষিক পায়ের থাবা [আরো পড়ুন]
Read More
নিস্তব্ধ মহাশূন্য
লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি, ১৯৫০, গ্রীষ্মকালের একদিন। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি হয়েছে কিছুক্ষণ আগেই।এক্সপেরিমেন্ট রুম থেকে ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়ার করিডোরটা ল্যাবে কর্মরত বৈজ্ঞানিক, গবেষক ও টেকনিশিয়ানদের পায়ের শব্দে গমগম করে উঠল। সেই করিডরে আর সকলের অন্যদিনের মত মধ্যে সেদিনও ছিল চার সহকর্মী বৈজ্ঞানিক। কদিন ধরেই [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশের দূত
কুচকুচে কালো আকাশে ফুটে আছে কুচি কুচি তারা।
ওলটানো বাটির মতো আকাশ। তার নীচে এই দিগন্তবিস্তৃত তেপান্তরের মাঠ। এখানে দাঁড়িয়ে চোখ রাখলে তারাদের উজ্জ্বল সমুদ্রে হারিয়ে যেতে থাকে মন। কোটি কোটি আলোকবর্ষের দূরত্ব মুছে যায় ক্রমশ। নক্ষত্রের পবিত্র অগ্নি আমাদের মনের ভেতর স্থির হয়ে জ্বলে থাকে।
হঠাৎ মনে হয়, এর ভেতরে একটা তারা যেন আগের থেকে আকারে বেড়ে গেছে [আরো পড়ুন]
Read More