রুপোলি পর্দার যন্ত্রমানব
আশির দশকের মাঝামাঝি যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তাদের সকলেরই বোধহয় দুজন কমন বন্ধু (আজকের ফেসবুকের ভাষায় মিউচুয়াল ফ্রেন্ড) ছিল। একজন জনি সোকো। অন্যজন তার উড়ুক্কু রোবট। তখন টিভি বলতে সাদা-কালো, চ্যানেল বলতে দূরদর্শন। টিভির সেই আদ্যিকালের দর্শকদের কাছে জনি সোকো ও তার রোবটের কার্যকলাপ থ্রি-ডির মতোই জ্যান্ত হয়ে উঠত।
জনি সোকো তার হাতঘড়ির কাছে [আরো পড়ুন]
Read More
বাংলা কল্পবিজ্ঞান কোন পথে চলেছে?
তারপর আস্তে আস্তে এক নতুন সময়ে এসে পৌঁছেছে বাংলা কল্পবিজ্ঞান। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণ লেখকরাও তুলে নিচ্ছেন কলম। কিন্তু ভবিষ্যৎ কোন পথ দেখাচ্ছে? বাংলার আরও অনেক সাহিত্যরীতির মতো কল্পবিজ্ঞানও এসেছে বিদেশি সাহিত্যের হাত ধরে। কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের আত্মীকরণ কি বিশ্বসাহিত্যের সাইফিকে আত্মস্থ করেই সম্পূর্ণ হবে নতুন পথে? নাকি বিগত কয়েক দশক ধরে তৈরি হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাথে কল্পবিশ্বের আড্ডা
“মঙ্গলে জল আছে কিনা জেনে কী হবে, আগে এই গ্রহটাকে বাঁচাও”
তিনি হেঁটে আসছেন। দু-হাতে বাজারভরতি ব্যাগ। মাথায় টুপি। পরনে টি শার্ট-পাজামা। আমাদের দেখেই মুখে খেলে গেল হাসি, ‘ও তোমরা এসে গেছ?’ এমন করে বললেন যেন কতদিনের চেনা। আসলে যে সকলকেই প্রথমবার দেখছেন বোঝা মুশকিল। আমরা ক্যাবলার মতো হাসছিলাম আর অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম তাঁর দিকে। আমাদের সামনে [আরো পড়ুন]
Read More
রণেন ঘোষের সঙ্গে একটি দুপুর
আকাশ বেশ কালো। বর্ষার নিচু মেঘের ছায়া গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের ওপর ঝুঁকে পড়েছে। যখন তখন বৃষ্টি নামবে। অথচ আমরা বাড়িটা খুঁজে পাচ্ছি না!
এদিকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল সুইচড অফ। ভিজিটিং কার্ডে লেখা ল্যান্ডলাইন নম্বরেও কানেকশন হচ্ছে না। কী করা যায়? তাহলে কি রণেন ঘোষের সঙ্গে দেখা হবে না? কার্ডে যে রাস্তার নাম লেখা সেখানেই চক্কর খাচ্ছি। নির্দিষ্ট নম্বরের বাড়িটা খুঁজছি।
Read More
আয়নার ঠান্ডা কাচ ও অষ্টাদশীর স্বপ্ন
রাতের এই সব জনহীন রাস্তা আর আধো-অন্ধকার বাড়ির রহস্যময় জানলার দিকে তাকালে আমার মনে হয়, আজ তোমার সঙ্গে দেখা হবে। এই সব বাড়ির নির্জন কোনও কোণ কিংবা রাস্তার ধারেকাছের কোনও ঝোপ— কোথাও নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছ তুমি। আছ কি?
নাকি তুমি আমাদের রক্তমাংসের দুনিয়া ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে স্বপ্নেই ফিরে গেছ? যে স্বপ্নের ভিতরে তোমার জন্ম। মনে আছে, কেমন তীব্র শীত পড়েছিল সেবার? [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানের আড্ডায় – অনীশ দেব ও সৈকত মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের এক নিরিবিলি দুপুরে কল্পবিশ্বের তিন সদস্য দীপ ঘোষ, বিশ্বদীপ দে ও সুপ্রিয় দাস মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা কল্পবিজ্ঞানের দুই প্রথিতযশা সাহিত্যিক অনীশ দেব ও সৈকত মুখোপাধ্যায়ের। সঙ্গে ছিলেন কল্পবিজ্ঞানের আরেক মনোযোগী পাঠক শৌভিক চক্রবর্তী। আড্ডার মধ্যে দিয়ে কোথা দিয়ে যে কেটে গেল অনেকটা সময়, বোঝাই গেল না। কেমন করে নতুনরা [আরো পড়ুন]
Read More
এক ঝুড়ি কল্পবিজ্ঞান লিমেরিক
প্রথম বারের “কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান” উৎসবে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। সেই ধারা বজায় রাখতে আমরা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে নিয়ে এসেছিলাম আরও একটি ইভেন্ট “কল্পবিজ্ঞান লিমেরিক উৎসব”। উৎসাহী বন্ধুদের সৌজন্যে আমরা পেয়েছিলাম ৩৫টিরও বেশি লিমেরিক। সেখান থেকে নির্বাচিত এক ঝুড়ি লিমেরিক আমরা সাজিয়ে দিলাম আমাদের কল্পবিশ্বের দ্বিতীয় সংখ্যায়।
অরুণাচল [আরো পড়ুন]
Read More
পক্ষীরাজ
বিনু যখন কথাটা আমায় বলেছিল, চারপাশ তখন আকাশজোড়া কালো মেঘের ছায়ায় ময়লা ও আবছা হয়ে এসেছে। যে কোনও সময় বৃষ্টি নেমে পড়বে। ঘরের আলোটা জ্বালানো ছিল না। বাইরের বিবর্ণ আলোতে বিনুর মুখটা দেখতে পাচ্ছিলাম। ওই কম আলোতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ওর উজ্জ্বল [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধনঃ যেমন দেখেছি
একটা আলো–আঁধারির ল্যান্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সামনের ক’টা ধাপ পরেই দেখা যাচ্ছে দরজা আর কলিং বেল। ওপারেই তিনি থাকেন। আজ প্রথমবার তাঁর মুখোমুখি হব।
প্রথমবার কথাটা হয়তো ঠিক নয়। বইমেলার স্টলে তো কতবার তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। বাড়িয়ে দিয়েছি সদ্য কেনা বই। সেরা আশ্চর্য সেরা ফ্যান্টাস্টিক, [আরো পড়ুন]
Read More
সাইজ ডাজ ম্যাটার
ঘুমটা আচমকাই ভেঙে গেল। দেখলাম সামনে রাখা জলের গ্লাসটা কাঁপছে। কাচের ভিতরে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে জলের শরীর। ক্রমশ বাড়ছে কম্পনটা।
ধড়মড় করে উঠে বসলাম বিছানায়। একটা কম্পন ছড়িয়ে যাচ্ছে বাড়িময়। কেমন যেন আশঙ্কায় সারা শরীরে শিহরণ খেলে গেল। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গেলাম। আর মুহূর্তের জন্য যেন আমার হৃৎস্পন্দন থমকে দাঁড়াল। একটা অতিকায় অমানুষিক পায়ের থাবা [আরো পড়ুন]
Read More
কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে “কুড়ি শব্দের কল্পবিজ্ঞান” নামে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে অভিজ্ঞানদা, দেবজ্যোতিদা, কৃষ্ণেন্দুদা এবং মল্লিকাদির পাশাপাশি আরও অনেক মেম্বার স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইভেন্ট শেষে আমরা ১৫০টিরও বেশি অনুগল্প পেয়েছি। দাদা দিদিদের পাশাপাশি মেম্বারদের কিছু অনুগল্প এখানে সংকলিত করা হল। সমস্ত অনুগল্পগুলি পড়া যাবে আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশের দূত
কুচকুচে কালো আকাশে ফুটে আছে কুচি কুচি তারা।
ওলটানো বাটির মতো আকাশ। তার নীচে এই দিগন্তবিস্তৃত তেপান্তরের মাঠ। এখানে দাঁড়িয়ে চোখ রাখলে তারাদের উজ্জ্বল সমুদ্রে হারিয়ে যেতে থাকে মন। কোটি কোটি আলোকবর্ষের দূরত্ব মুছে যায় ক্রমশ। নক্ষত্রের পবিত্র অগ্নি আমাদের মনের ভেতর স্থির হয়ে জ্বলে থাকে।
হঠাৎ মনে হয়, এর ভেতরে একটা তারা যেন আগের থেকে আকারে বেড়ে গেছে [আরো পড়ুন]
Read More