রোবট চরিত্র
গৌতম বলে ডেকে, ‘শুনুন হে বিজ্ঞানী,
রোবট নতুন নয়— পুরানেতে এই জানি।
বেতাল নামে রোবট পুষেছেন বিক্রম;
আলাদিন পুষেছিল, সে দানবও নয় কম।
রামের যে হনুমান, আসলে রোবটই সে,
যে-কোনও মানুষকেই মেরে দিত সে পিষে।’
সাত্যকি বললেন, ‘শোনো ওহে গৌতম,
রোবটের সূত্রতে বলে নাকো সেরকম।
তিনটি সূত্র আছে রোবটের স্বভাবে,
শর্তও বলা যায়। একটারও অভাবে
রোবট হবে না সেটা, হবে ক্রীতদাসই সে—
প্রভুর [আরো পড়ুন]
Read More
চিরকুট
তখন সন্দেশে ছিলেন তিন সম্পাদক। নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের হাত ঘুরে লেখা আসত ‘বড় সম্পাদক’ সত্যজিৎ রায়ের কাছে। তিন সম্পাদকের কাটাছেঁড়ার পর সামান্যই লেখা যেত ছাপাখানায়। অনেক সময় নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের কাছে পাশ করে যাওয়া লেখা আটকে যেত সত্যজিৎ রায়ের টেবিলে।
আবার কোনও সম্ভাবনাময় লেখার পরিমার্জন বা পুনর্লিখন করার উপদেশ দিয়ে সত্যজিৎ [আরো পড়ুন]
Read More
সাত্যকি সোমের বন্ধুরা
মধ্যভারতের এক জনবিরল গ্রামেরও নিভৃত স্থানের এক কুটিরে সকালবেলা উদ্ভ্রান্তের মতো প্রবেশ করল এক মধ্যতিরিশের যুবক। ঘরের একপাশে অনেক যন্ত্রপাতির সামনে চেয়ারে বসে এক বৃদ্ধ নিবিষ্টমনে কাজ করছিলেন। আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘ও গৌতম তুমি। অনেক কাল পরে এলে এবার।’
‘আসব কী করে? জানেন না, বিশ্বব্যাপী এক মারণ ভাইরাস সবাইকে কেমন ঘরবন্দি [আরো পড়ুন]
Read More
লীলাবতীর মুক্তো
‘ওই সামনে যে দালানটা দেখছ; ওটাই হল জগৎনারায়ণের জলসাঘর।’ —বলে ধীরেনদা জীর্ণ মন্দিরের মতো একটা বাড়ি দেখালেন। মন্দির না বলে বরং চণ্ডীমণ্ডপই বলা যেত যদি চারদিকের দেয়াল থাকত। বাড়িটার ছাদের মাঝখানটা অর্ধগোলাকার। কলকাতার তারামণ্ডল বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো। একপাশ দিয়ে একটা সিঁড়ি উঠে গিয়েছে তা দিয়ে ছাদে ওঠা যায়। গোলকের চারপাশে কিছুটা [আরো পড়ুন]
Read More
সাক্ষাতে রেবন্ত গোস্বামী
“রিউবেন বুশের গল্পটি যখন লেখা হয়, তখন ছোট, বড় কোনও বুশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হননি। ক্লিন্টনের নামই এদেশে কেউ শোনেনি তখন। পরে লিখলে নাম দুটো পালটে দিতাম।” রেবন্ত গোস্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় টিম কল্পবিশ্ব।
কল্পবিশ্ব: আপনার লেখালিখির শুরুর দিকটায় যেমন ধরণের কিশোর গল্প উপন্যাস লিখেছেন, যেমন দেশভাগের পটভূমিতে বাবলা ফুলের গন্ধে, বা পঞ্চাশ [আরো পড়ুন]
Read More