টেলিপোর্টেশন
“টেলিফোন ইয়েস, টেলিগ্রাফ ইয়েস, টেলিস্কোপ ইয়েস, টেলিপ্রিন্টার ইয়েস, এমনকী টেলিপ্যাথিও ইয়েস—বাট টেলিপোর্টেশন? নো স্যার।”
দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলাম। ব্রেকফাস্ট সেরে দুজনে হোটেলের সবুজ ঘাসের লনে বসে আড্ডা মারছিলাম। দুজনে মানে, আমি আর অনন্ত। আমরা স্কুলের বন্ধু। অনন্ত ক্লাশের ফার্স্ট বয় ছিল। অঙ্কে দারুণ মাথা। ওর পদবীটা অদ্ভুত, [আরো পড়ুন]
Read More
ঢেলা
[কৈফিয়ত: সঠিক প্যাশটিস কি না ঠিক বলতে পারব না। তবে এটা ঘনাদার গল্প—কারণ ঘনাদা আছেন, বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের মেসের বাসিন্দারা আছে, বনোয়ারী, রামভুজও আছে। ঘনাদা তার নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন মেসের বাসিন্দাদের কাছে আর তাঁর তস্য তস্য পূর্বপুরুষদের কীর্তিকলাপ বর্ণনা করেছেন সান্ধ্যভ্রমণকালে দক্ষিণ কলকাতার কৃত্রিম হ্রদের [আরো পড়ুন]
Read More
তিন ডিগ্রীর পালা
১৯১৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণগুলির থেকে মহাবিশ্বের আকার ও গঠনের জন্য প্রথম একটি স্থির এবং স্থিতিশীল মহাবিশ্বের মডেলের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু তাঁর একই তত্ত্ব থেকে রাশিয়ান বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্রিডম্যান, বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জর্জ লেমাট্রে এবং ডাচ জ্যোতির্বিদ উইলেম ডি সিটার মহাবিশ্বের যে [আরো পড়ুন]
Read More
হাতি
“নাঃ! সহ্যের একটা শেষ আছে। আর এই মেসে থাকা যাবে না।”
“আমিও মেস ছেড়ে দেব ভাবছি।”
“তুই ভাবছিস? আমি তো ঠিকই করে ফেলেছি।”
“আমি তো একটা মেসের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আর ক-দিন পরে সামনের মাসে একটা সিট খালি হচ্ছে। কালই অগ্রিম টাকাটা দিয়ে আসব।”
ওপরের কথাবার্তা যে বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসবাড়ির দোতলার আড্ডাঘরে চলছে [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পর্ব ৮
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ২
সাধারণত ইদানিং রবিবার দুপুরের আগেই প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি যাই। এই রবিবার স্যার ফোনে সন্ধের পরে আসতে বললেন। স্যারের পরিচিত ফিলাডেলফিয়ার একটি বাঙালি পরিবার সম্প্রতি কলকাতায় এসেছে—দেখা করতে আসবে। সন্ধে সাতটা নাগাদ স্যারের বাড়ি এলাম। স্টাডিরুমেই যথারীতি বসা হল।
স্যার বললেন, “হ্যাঁ, আগের দিন যেটা বলছিলাম—আন্তঃনক্ষত্র [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
আন্তঃনক্ষত্র পরিভ্রমণ – ১
আজ রবিবার। সকাল থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি আসছে। এখন ভরা শ্রাবণ মাস। বারোটা নাগাদ বৃষ্টিটা একটু ধরতে ছাতা মাথায় গুটি গুটি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়ি এলাম। স্যার স্টাডিতেই ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন – “যাক, এসে গেছ। আজ তুমি আসবে বলে আমি বেঁচে গেলাম”।
আমি অবাক হয়ে বললাম – “কেন স্যার?”
স্যার – “আরে বোলো না। আমার [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
৬ মহাকাশ অভিযান
জুলাই মাসের মাঝামাঝি তৃতীয় রবিবার। মাসচারেক পর প্রফেসর মহাকাশ ভট্ট আমেরিকা থেকে ফিরেছেন দিনকয়েক হল। স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, তবে ফোনে দু’দিন কথা হয়েছে। মাসদেড়েক থেকে সেপ্টেম্বরের শেষে পুজোর আগেই আবার চলে যাবেন। ফিরতে ফিরতে সেই মার্চ-এপ্রিল। স্যার যখন ছিলেন না— তখন আমি একটা কাজের কাজ করেছি। আমি সেই প্রথম দিন থেকেই স্যার এই অপার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব – ৫
আন্তঃনক্ষত্র পরিযান
সবে সূর্যাস্ত হয়েছে। পশ্চিম আকাশে প্রহর শেষের আলোয় রাঙা মেঘ। বারান্দায় বসে চা খাচ্ছি। কলিং বেলের শব্দ শুনে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের সহকারী ধরণী – আমি অবশ্য ধরণীদা বলি। উনি বললেন –“স্যার আপনাকে সম্ভব হলে আজ রাত আটটা নাগাদ যেতে বলেছেন। উনি বেড়িয়েছেন – সাতটার মধ্যে ফিরে আসবেন। ক’দিন খুব [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
লেখক – সনৎ কুমার ব্যানার্জ্জী
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
পর্ব ৪
অসৌরগ্রহ
“হ্যাঁ, তোমার প্রশ্নটা আমার মনে আছে। সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলো বাদ দিয়ে আমাদের এই গ্যালাক্সির অন্যান্য তারাদের যে গ্রহ আছে যাদেরকে এখন আমরা Extra-solar planets বা Exoplanets বলি বা বাংলায় অসৌরগ্রহ বলা যেতে পারে – তাদের সন্ধান কীভাবে পাওয়া গেল? তাই তো?” –বরকুমরিফ-এর পাউচ থেকে তামাক [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব ৩
আকাশবাণী
“‘১৯৫৯ সালের এক বসন্তের দিনে’ – হ্যাঁ, আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফিলিপ মরিসন কথাগুলো ঠিক এ ভাবেই বলেছিলেন – ‘আমার প্রতিভাধর বন্ধু জিউসেপি ককোনি আমার অফিসে এসে এক দুর্ঘট প্রশ্ন করে বসল – গামা রশ্মি কী তারাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে না?’ মরিসন সহমত পোষণ করে পরামর্শ [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে – পর্ব ২
গোল্ডিলক জোন
পরের রবিবার যথারীতি উৎসাহী ছাত্রের মতন হাজির হলাম প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের বাড়িতে। আমি আসতেই স্যার জলখাবার আনতে বললেন। খেতে খেতে কথা হতে লাগল। আজ লুচি তরকারি – স্যারের প্রিয় খাবার। আমার তো বটেই।
স্যার বললেন – “হ্যাঁ তুমি যেন সেদিন কী প্রশ্নটা করেছিলে?”
আমি বললাম – “এই যে অগুনতি কোটি কোটি তারা। তাদের কোন গ্রহে মানুষ আছে আর কোথায় নেই [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
ফের্মি প্যারাডক্স
পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে – এ ধারণা নিশ্চয়ই প্রাচীন – না হলে পৌরাণিক কাহিনীতে দেবতা বা রাক্ষসের আবির্ভাব হত না। স্বর্গ বা পাতাল ভিনগ্রহ বলে চিহ্নিত না হলেও মর্ত্যলোক বা আমাদের পৃথিবীতো নয়। দেবতারা কি গ্রহান্তরের মানুষ – এই সব ভাবনা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই – কিন্তু যখন লাল মঙ্গল গ্রহটা দেখি মনে পড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
একটি অসমাপ্ত কাব্য
নাঃ কবিতা লেখা আমার দ্বারা আর হোল না। অথচ এত ভালবাসি আমি কবিতা লিখতে। এই তো আমাদের প্রবীর – কবিতা লেখায় কত নাম ডাক। ফি বছর স্কুলের ম্যাগাজিনে ওর কবিতা প্রথমেই থাকে। আমাদের বাংলার স্যার রমাপ্রসাদ [আরো পড়ুন]
Read More