রহস্য
সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! [আরো পড়ুন]
Read More
গামানুষ জাতির কথা
যে সময়ের কথা বলছি তার প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে পৃথিবী থেকে মানবজাতি লুপ্ত হয়ে গেছে। তর্ক উঠতে পারে, আমরা সকলেই যখন পঞ্চত্ব পেয়েছি তখন এই গল্প লিখছে কে, পড়ছেই বা কে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। লেখক আর পাঠকরা দেশ—কালের অতীত, তাঁরা ত্রিলোকদর্শী ত্রিকালজ্ঞ। এখন যা হয়েছিল শুনুন।
বড়ো বড়ো রাষ্ট্রের যাঁরা প্রভু তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য [আরো পড়ুন]
Read More
বৈজ্ঞানিক বর-যাত্রী সম্বৰ্দ্ধনা
হিমাচল বাবু বনেদী বংশের লোক। অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পেশা কিন্তু জমিদারী নয়,—তাঁর পেশা বিজ্ঞান-চর্চ্চা। বাড়ীতে একটা মস্ত বড় ল্যাবরেটরী থাড়া করে’ তুলেছেন। তবে তিনি যে সারাদিনই তাঁর ল্যাবরেটরীর বদ্ধ বাতাসে আপনাকে আবদ্ধ করে’ রাখেন,—তা’ নয় ৷ কেন-না,—তাঁর নামেরই উপযোগী তাঁর যে দেহখানি,—সেটাকে সমস্ত দিন কোনো সঙ্কীর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
অলীক বাস্তব
“ইওর অ্যাটেনশান প্লিজ। বি এম এয়ারলাইনের বুন আইল্যান্ড—ডেনসবার্গ ফ্লাইটে আপনদের স্বাগত জানাচ্ছি, আমি ক্যাপ্টেন কেভিন হর্স্ট। ১২ ঘণ্টার এই যাত্রায় আপনাদের…”
কানে ইয়ারফোনদুটো গুঁজে দেয়াতে ম্যাট আর বাকি কথাগুলো শুনতে পেল না। শোনবার প্রয়োজনও বিশেষ নেই। মাসে গড়ে দু-তিনবার করে শুনতে শুনতে পাখিপড়া মুখস্ত হয়ে গেছে কথা ক-টা, [আরো পড়ুন]
Read More
ওহ্ ডালিলা
১
“মেয়েদের একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যত নষ্টের গোড়া এই মেয়েরাই।”
এই রকম চূড়ান্ত মিসোজিনিস্টিক মন্তব্যটা শুনেও না শোনার ভান করে থাকলাম। এই ২১২৩-এ এই ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করলে নিশ্চিত জেল হবে কয়েক বছরের জন্য। তবুও আমার বাড়িতে এইরকম কথাবার্তা আজকাল একটু বেশিই শুনতে হচ্ছে। উদ্দেশ্য যে আমাকে শোনানো তা কি আর আমি বুঝি না? [আরো পড়ুন]
Read More
কেউ কোত্থাও নেই
“অ্যাই কোরেল, সিনেমা দেখতে যাবি? শারুক খানের। সবাই দেখতে যাচ্ছে। হেবি হয়েছে নাকি শুনলাম”
অশোকনগর উনিশ নম্বর কাঁকপুল ফরেস্টের আশপাশে কোনো সিনেমা হল নেই। হল বলতে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার উজিয়ে সেই হাবড়ার রূপকথা হল। খানিক হেঁটে, খানিক টোটো আর বাকিটা অটো। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার মামলা। তাও যদি সব সময় মতো ঠিকঠাক পাওয়া যায়, তবেই।
Read More
একটি পারুল গাছ
বাইরে শেষ বিকেলের আলোটা একটা নাম-না জানা গাছকে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দিচ্ছিল। গাছটা তো তার পরিচিত, নামটা সে মনে করতে পারছিল না।
এই ঘরটিতে দুটি মানুষ, একটি টেবিলের দু-পাশে, এমন যেন একে অপরের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। দু-জনের হাতই মুঠিবদ্ধ। একজনের বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই করছে, আর একজন ত্রিশ হয়তো পার হয়নি। ষাট-ছোঁয়া মানুষটি তরুণটির দৃষ্টি অনুসরণ [আরো পড়ুন]
Read More
আলোর গল্প
আমরা ভাবি, রূপকথা মানেই বোধহয় সে অনেক অনেক বছর আগের কথা; বহু যুগের ওপারে হারিয়ে যাওয়া দেশ আর সেখানকার মানুষদের গল্প। কিন্তু সত্যি সত্যি কি সব দেশ, সব মানুষ হারিয়ে যায়? নাকি শুধুই চেহারা পালটে নেয়?
এই রূপকথাটার সময় বেশ কয়েকশো বছর আগের হতে পারে; আজকের, ঠিক এই মুহূর্তের হতে পারে; আবার কয়েক বছর পরেরও হতে পারে। রূপকথার দেশটা অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
মনসার চিঠি
ফণী রে,
এমন ঘুম জন্মে ঘুমাইনি। উঠে দেখি ভেজা সাফ, হোয়াইট বোর্ডের থেকেও সাদা। এমন ঘুমও ঘুমোনো যায়! চোখ খুলে দেখি কয়লার মতো কালো লিকলিকে হাত-পা এদিক ওদিক ছড়িয়ে মাদুরের ওপর শুয়ে আছি। মাথার ওপর ঝুলে থাকা সিলিং ফ্যানটা দেখি ইতিমধ্যে মাকড়শা হয়ে গেছে। স্পষ্ট দেখলাম মাঝখানে গোল চাকতিটার গায়ে তিন-চারটে চোখ গজিয়ে গেছে। ড্যাবড্যাব [আরো পড়ুন]
Read More
মোচন
কখনো “লকউড” গ্রামের নাম শুনেছ? কোন দেশ, কোন মহাদেশ, কোন অঞ্চল, কত অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশে তার অবস্থান— জানো সেসব কিছু?
জানি, জানো না।
পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার গুরুত্বহীন গ্রামগুলোর মধ্যে লকউডও একটা— শুধুমাত্র বাসিন্দারা ছাড়া, আর কেউ যাদের কথা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। তাদের মতো লকউডেও দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসার মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য ফ্যান্টম অর্ব
টেলিস্কোপের লেন্সে আরেকবার চোখ রাখল রিও। নিশ্চন্দ্র আকাশের অতলান্ত অন্ধকারে বসেছে অগণিত তারাদের সম্ভার। কিন্তু তাদের মধ্যে আজ একটা অদ্ভুত গোলক দেখা দিয়েছে। একটা অতিক্ষুদ্র কালো বস্তু, যার চারপাশে একটা ক্ষীণ আলোর বলিরেখা না থাকলে তার উপস্থিতি কোনোভাবেই টের পাওয়া যেত না। এত নিখুঁত পরিপূর্ণ অন্ধকার সেই গোলকের অভ্যন্তরটি, যে [আরো পড়ুন]
Read More
আমার প্রাণের পরে
“শরণ্যা! ডায়েরিটা কোথায় গেল আমার? কতবার বলেছি ওটা টেবিল থেকে সরাবে না?”
স্টাডি থেকে অভিজিতের চিৎকার শুনে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শরণ্যা। এই চিৎকারগুলো শুনলে বড্ড ব্যর্থ মনে হয় নিজেকে। মনকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এতে তার দোষ নেই, তার ওপর ভুবনের ভার নেই— তবু বোঝাতে পারেনি। ভুবন না হোক, একটা মানুষের ভার তো [আরো পড়ুন]
Read More
সালোকসংশ্লেষ
“কী রে, হল?”
“হচ্ছে হচ্ছে, দাঁড়া।”
“এবারেও যদি না হয়?”
“আরে শুভ কথা বল। সবসময় এরকম নেগেটিভ বলা উচিত নয়।”
“আরে! এই নিয়ে কতবার হল খেয়াল আছে?”
“ধৈর্য হারালে চলবে না। শুনেছি যে এবার যিনি এসেছেন তিনি নাকি আজ অবদি কখনো ফেল করেননি।…”
“সবই তো বুঝলাম। এদিকে কতক্ষণ হয়ে গেল সে খেয়াল আছে?”
“দু-ঘণ্টা কমপ্লিট হয়নি এখনো।…”
“হয়নি? তোর কি সময়ের [আরো পড়ুন]
Read More
জানকীমোহনের ডায়েরি
“১৯২৩ সালে লখনৌ শহরে এক অভিজাত ব্যক্তির বৈঠকখানায় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভারতের সঙ্গীত ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সেটার কথা কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। সেই স্মৃতি সবাই ভুলে গেছে। ইচ্ছে করে। ওই ঘটনার যারা সাক্ষী, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাইরে কাকপক্ষীকেও তারা এ ঘটনা জানতে দেবেন না। সবাই এ সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর্তন
বিশাল শহরটাকে প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে জঙ্গলে। প্রাসাদের মতো বাড়িগুলোর ছাদের দখল নিয়েছে উঁচু উঁচু গাছের সারি, তাদের মোটা কাছির মতো শেকড়গুলো সর্পিল ভঙ্গীতে নীচে নেমে এসে বাড়িগুলোকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে প্রেমিকার নিবিড় আলিঙ্গনের মতো। রাজপথের কুলিশ কঠিন আস্তরণ ফাটিয়ে উঠে আসা কাঁটালতা আগলে রেখেছে বাড়ির প্রবেশপথ, [আরো পড়ুন]
Read More
ধাত্রীদেবতা
“এসো অরুন্ধতী। এইখানে বোসো একটুক্ষণ।”
অকূল সমুদ্রের বুকে একচিলতে জমি। সেখানে জলের ওপরে ঝুঁকে থাকা একটা পাথরের চট্টানের ওপর বসে হাত বাড়িয়ে ডাকলেন বশিষ্ঠ। তিনি ক্লান্ত, কিন্তু তৃপ্ত আজ। অবশেষে দীর্ঘকালের সাধনার চুড়ান্ত সুফলটি এসেছে।
তাঁর সুঠাম পেশল শরীরে প্রথম সূর্যের আলো এসে পড়েছে। সেদিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন অরুন্ধতী। [আরো পড়ুন]
Read More
কাকভুশুন্ডি
কাকভুশুন্ডি কে চেন তোমরা? না?
সে ঠিক আছে – কজনই বা জানে তার কথা? তাছাড়া কম দিন তো হল না, সেই রামায়ণের সময় থেকে আজ অব্দি কত মৃত্যু, কত জন্ম – কত শত প্রজন্ম প্রবাহিত হয়েছে; সে নিজে সময়ের ঊর্ধ্বে বলে বাকি জীবকুল তো আর তা নয়!
ওর কথা আপাতত থাক। বরং ইদানীংকালের একটা অদ্ভুত ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক, যার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছে না কেউই। [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিথিয়া
ড্রইংরুমে ঢুকেই শ্যাওলা রঙের চওড়া সোফায় নিজেকে এলিয়ে দিলেন ড. সেন। ওঁর উপস্থিতির সাড়া পেয়ে নরম সোনালি আলো আলতো করে ফুটে উঠল ঘর জুড়ে। আর প্রকাণ্ড ড্রয়িং রুমের একপাশের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা বিশালাকৃতি টিভি অন হয়ে গেল নিজের থেকেই, ভলিউম যদিও একেবারে কম করে রাখা।
ক্লান্তিতে সারা শরীর টন্টন্ করছে। আজ সারাদিন যা কাজ গেছে, ওঁর [আরো পড়ুন]
Read More
শুক্রগ্রহের সায়ক
আমার বয়ঃক্রম পঞ্চবিংশ দিবস অর্ধ বৎসর— সামনে বসে থাকা ছেলেটি বলল আমাকে। ওর কথা অনুযায়ী আজ সকালেই শুক্র থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সে। ঠিক আধ ঘণ্টা আগে। এই সময়টুকু লেগেছে আমাকে খুঁজে বার করতে। আমার সঙ্গে দেখা করতেই ওর আসা। ফর্সা সুদেহী ঝকঝকে তরুণ। চুল ও চোখে কালোর অতলান্ত গভীরতা। চোখে প্রত্যাশার ছাপ।
এটা চব্বিশশো আশি সাল। সাড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
চুক্তি
মিউনিখ শহরের প্রাণকেন্দ্র মারিয়েনপ্লাটজ স্কোয়ার সেজে উঠেছে মায়াময় আলোর সাজে। যেদিকেই চোখ যায় সবকিছু যেন আলোর রোশনাইতে ভেসে যাচ্ছে। বাড়িঘর, দোকানপাটের গায়ে ছোটো ছোটো জোনাকি আলো দিয়ে অপরূপ সাজসজ্জা করা হয়েছে। নিউহাউসার স্ট্রিট দিয়ে হেঁটে গেলে পথের ধারে চোখে পড়ছে আলো দিয়ে তৈরি নানান আকারের তারার প্রতিরূপ। রাস্তা [আরো পড়ুন]
Read More
অবিনাশ হালদারের বাক্স
“কই রে বিপিন? আমার ছাতাখান দে। পচ্চিমটা কালো করে এয়েছে, যখন তখন ঢালতে পারে,” মুখে একখিলি জর্দা পান ঢোকাতে ঢোকাতে বললেন অনির্বাণবাবু। বছর পাঁচেক হয়ে গেল এই অভ্যেসটা হয়েছে। দ্বিপ্রাহরিক ভাতঘুমের পর বিকেলে একটু হাঁটতে না বেরোলেই নয়। আর তা নাহলে সন্ধের পরেই শুরু হবে পেট ভুটভাট, গা ম্যাজম্যাজ। কালো হাতলওলা ছাতাটা এগিয়ে দিল বিপিন। [আরো পড়ুন]
Read More
জীবন
“জীবন মানে কী?”
রঞ্জনের দাদু’র এই প্রশ্নটা শুনে আমাদের তর্ক থেমে গেল।
ভ্যাপসা গরম, হঠাৎ বৃষ্টি, আর মাঝেমধ্যেই ‘টু..কি’ করা নীল আকাশ। ঠিক কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়— সেই নিয়ে কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। অতঃপর রঞ্জনদের বাড়িতে জমায়েত হয়েছিলাম আমরা সবাই। উপলক্ষ্য ছিল তালের বড়া আর তালক্ষীর খাওয়া।
“হাপুশ হুপুশ শব্দ, চারিদিক [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন
এক
একটা সরু গলির মধ্যে আচমকাই দোকানটা খুঁজে পেয়ে গেল রবিন। ছোট্ট একটা পানের দোকানের সাইজের খোপের মধ্যে কয়েকটা সস্তা চশমা সাজানো রয়েছে। কাউন্টারের পেছনে প্রচণ্ড রোগা, দাঁতে পানের ছোপওয়ালা এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে। বয়স আনুমানিক ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে।
ভদ্রলোকের সামনে চোখের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বাড়িয়ে দিল রবিন। কাগজটা তুলে চোখের [আরো পড়ুন]
Read More
সৃষ্টি ও স্রষ্টা
খাতার সাদা কাগজটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুলক। তার মাথায় আজ গল্পের কোনো প্লটই আসছে না। ফ্যালফ্যাল করে পুলক শুধু কাগজটাকে দেখে যাচ্ছে। ধবধবে সাদা কাগজটা দেখতে দেখতে তার কীরকম ঘোরের মতন লাগছে… তাও সে তাকিয়েই আছে। নতুন টেবিল ল্যাম্পের আলোটা বেশ জোরালো। টানা অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে কীরকম চোখ ধাঁধাচ্ছে। তাও পুলককে তাকিয়ে থাকতেই [আরো পড়ুন]
Read More
পাও নাই পরিচয়
অন্ধকার হলঘরে নরম গদিওয়ালা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আমি অপলক দৃষ্টিতে দেখছিলাম মঞ্চের উপর মেয়েটিকে। উজ্জ্বল স্পটলাইট পড়েছে তার মুখে। মাইক হাতে নিয়ে গান গাইছে সে।
আমার নাকের উপর চশমাটা যন্ত্র দিয়ে আটকানো আছে ভাগ্যিস, নয়তো আমার যা ভুলো স্বভাব, হারিয়েই ফেলতাম হয়তো দরকারি জিনিসটা। একটু নেড়েচেড়ে ফোকাসটা ঠিক করে নিলাম। আর শ্রবণক্ষমতা [আরো পড়ুন]
Read More
যোগ্যতম
“আমি অধ্যাপক আই… আইজাক রদ… রদেনস্টাইন।…আইজাক রদেনস্টাইন! এ আবার কিরকম নাম স্যার?” – ধাতব পাতটা মুখের সামনে আঁকড়ে ধরে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করল আমার প্রধান সহকারী গিমিচ।
এর উত্তর আমারও জানা নেই। দীর্ঘ দু-বছরের অক্লান্ত সাধনায় যে লিপির পাঠোদ্ধার আমরা করতে পেরেছি, এই মুহূর্তে যে লিপির যথাসাধ্য নির্ভুল অনুবাদ খোদিত রয়েছে গিমিচের ধরা [আরো পড়ুন]
Read More
জাম্বুবানের সন্ধানে
১
প্রবল বর্ষণের মধ্যে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি আর রবার্ট ঢুকতে পেরেছি একটা গুহায়। দলের বাকি দুই গাইড কোথায় আছে জানি না। পাহাড়ে পা হড়কে পড়ে গিয়েছিলাম। রবার্ট টেনে না ধরলে এখন স্রোতে ভেসে যেতাম হয়তো। গুহায় শুয়ে শুয়ে হাঁপ ফেলছি, রবার্ট দেখলাম উঠে টর্চ বার করে গুহাটাকে খুঁটিয়ে লক্ষ করা শুরু করেছে। সেটাই বুদ্ধির কাজ। বাঘ-সিংহ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
শিস
১
“এই দুলজোড়া আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, থ্যাংক্স কিনে দেওয়ার জন্য,” আহ্লাদি গলায় পাবলোকে বলল পুষ্পিতা।
“আমাদের টাক্সকো তো বিখ্যাতই রূপার জন্য। এই অঞ্চলকে স্প্যানিশরা কী নাম দিয়েছিল জানো? সিলভার সিটি। এখনো ওই নামই বহাল আছে, শুধু মেক্সিকো নয়, গোটা পৃথিবী থেকেই রূপাপ্রেমীরা এই শহরে আসে,” হাসল পাবলো।
“যাক, তোমাকে বিয়ে করে এই একটা লাভ তো হল, রূপার শহরের বউ হলাম।”
Read More
ভূতগুলো সব বাঁশি বাজায়
“শুনতে পাচ্ছ?” মণির জিজ্ঞাসা।
আমি হাঁটা থামালাম।
আমাদের চারিদিকে গাছ আর গাছ। বাঁশ, ওক, ম্যাপল, ফার। মাঝে মাঝে রক্তাভ রডোডেনড্রন। সভ্যতা এই উপত্যকাকে চেনে না, জানে না। মহাদ্রুমদের শাখা-প্রশাখায় আটকে গিয়েছে সময়ের নিশ্চিত স্রোত। হাওয়ার আদরে পাতাদের শিরশির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পাখির ডাক। সেই ডাকের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাঁশির আওয়াজ।
Read More
ডেজা ভ্যু
মনে হল প্রচণ্ড ভয়াবহ কোনো এক দুঃস্বপ্ন দেখছি। চিৎকার করে উঠতে চাইলাম, কিন্তু পারলাম না। আর ঠিক তখনি একটা ঝাঁকুনি খেয়ে ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলাম। অনুভব করলাম গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। দুঃস্বপ্ন হলেও এতটাই বাস্তব ছিল যে ঘুম ভাঙার পরেও আমি কে, কোথায় আছি কিছুই মনে এলো না। তারপরেই চোখ গেল সামনের সিটে বসে থাকা লোকটার দিকে। [আরো পড়ুন]
Read More
নীলাঞ্জন এবং লিনা
আজ নিয়ে পরপর তিনদিন মেয়েটাকে লক্ষ করল নীলাঞ্জন। সে যখন কলেজের জন্য বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে তখন মেয়েটাও দাঁড়িয়ে থাকে। তিনদিনই নীলাঞ্জন দেখেছে মেয়েটার চোখে কালো চশমা আর মাথায় ছাতা। অথচ কোনোদিন বৃষ্টি পড়েনি। তাও ছাতার লজিকটা না হয় বোঝা যায়, বৃষ্টি না পড়লেও এখন আষাঢ় মাস চলছে। সুতরাং বৃষ্টির জন্য ছাতা নিয়ে চলাটা [আরো পড়ুন]
Read More
কালজয়ী
প্রকাণ্ড ড্রয়িং-রুমটার সঙ্গে মানানসই বিশাল সোফার এক কোণে জড়োসড়ো হয়ে বসেছিল আকাশ। ছোটো শহর থেকে ছোটো-ছোটো ধাপ বেয়ে উঠে এসে ঝাঁ-চকচকে জোহানেসবার্গে ছোট্ট স্টার্ট-আপ শুরু করার পরে এই দু-বছরে উন্নতি তার অনেক হয়েছে। কিন্তু এই মাপের কোনো খদ্দের ওদের আজ পর্যন্ত কখনও জোটেনি। নাথান তো শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিল না। চোখ কপালে তুলে সে বলেছিল, [আরো পড়ুন]
Read More
আমব্রা
১
গ্যানিমিড সেন্ট্রাল, রিপাবলিক নেভি হেডকোয়ার্টার্স
“দুটো তারার নিজস্ব মণ্ডলের মাঝামাঝি জায়গায়, একটা অদ্ভুত অবস্থানে রয়েছে এই গ্রহটা।”
সুং-কে রীতিমতো উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। পোলানস্কি চোখের ইশারায় তাঁকে শান্ত হতে বললেও প্রবীন বিজ্ঞানী সে-সবের তোয়াক্কা করলেন না। হাত-পা ছুড়ে তিনি পরের কথাগুলো বলে চললেন।
“এটা যদি সারকামবাইনারি [আরো পড়ুন]
Read More
সেরার সেরা
“মা ও মা দরজা খোলো। আমার খুব ভয় করছে প্লিজ খোলো না মা। আমি আর কোনওদিন তোমার অবাধ্য হব না মা। প্রতিদিন অঙ্ক করব। কোনও অঙ্ক ভুল করব না।” অন্ধকার ঘর থেকে চিৎকার করে মার্ক বলতে থাকে। এই ঘরটা বেসমেন্টের ঘর। লরেঞ্জ পরিবারের সমস্ত বাতিল জিনিসপত্র এইখানে থাকে। ছোট্ট এই ঘরটায় আলো-হাওয়া ঢোকে না বললেই চলে। অনেক উঁচুতে একটা ঘুলঘুলি আছে সেখান দিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
গবেষণাগার
বাড়ির সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন অখিলেশবাবু। সামনের উঠোনে দুটো বেতের ঝুড়িতে রাখা রয়েছে কাঁচা আম, কালকের রাত্তিরের ঝড়ে পড়েছে। ঝুড়ির সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ন্যাংটা ভুটুঙের (উলঙ্গ বাচ্চারা) দল, তার পেছনে তাদের দাদা-দিদিরা। আরও পেছনে তাদের মায়েরা। তারা অবশ্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। তারা ঘোমটার আড়ালে মিচকি মিচকি [আরো পড়ুন]
Read More
উদ্যোগপর্ব
ঘণ্টা বাজছিল। ঠিক ঘণ্টা নয়। জন্তুর ডাকের মতো একটা শব্দ। শব্দটা ফের একবার আমাকে জাগিয়ে দিল এসে। এই নিয়ে অষ্টম বার।
এখানে সময় দেখবার কোনও উপায় নেই। এখানে, ওই শব্দটা শুনে কেবল আমি জানতে পারি আরেকটা দিন শুরু হয়েছে। আরেকটা মৃত্যুর প্রহর।
বাইরে পায়ের শব্দ উঠছিল। পুরোহিতের মতো চেহারার লোকটা ফের আসছে। এরপর কী হবে তা আমি জানি। [আরো পড়ুন]
Read More
কনট্যাক্ট
১
ধুকধুক করছিল শেষ-বেলার আলো। লাল সূর্যটা আর একটু পর ডুবে যাবে, কালচে কুয়াশার মতো আভায় তখন ভরে উঠবে চারদিক। সৌরজগৎ থেকে বারো আলোকবর্ষ দূরের গ্রহটার এবড়োখেবড়ো পাথুরে জমি ধরে মাছধরা জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছিল সেই পড়ন্ত আলোর রশ্মি। অদ্ভুত বায়ুমণ্ডল এই গ্রহের, যার ফলে সব আলো কেমন ভেঙেচুরে যায় সেই স্তরের মধ্যে দিয়ে আসতে আসতে।
শুধুই [আরো পড়ুন]
Read More
ভূত নয়
হালকা হাতে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে সদর রাস্তার থেকে বাঁ দিকে ঘুরে গিয়ে রতন বলল— দেখ তো রাস্তাটা চিনতে পারছিস কিনা? তারপর দেবুর ঘাড় নাড়া দেখে নিজেই বলল— চিনতে পারার কথাও অবশ্য নয়। এই কুড়ি বছরে শহর এদিকটাতেই বেশিটা বেড়ে গেছে। নতুন ইন্ডাস্ট্রিগুলোও এদিকটাতেই এসেছে। ফলে সেই সরু মোরামের রাস্তাটা এখন ফোর লেন হাইওয়ে। পার্ক, মল, কর্পোরেট [আরো পড়ুন]
Read More
এ ক্রাইম ইন টাইম
১৯২০ সাল, লন্ডন। সন্ধে থেকে আকাশে মেঘ করেছে। হয়তো কিছু পরেই বৃষ্টি শুরু হবে। আপাতত গুরুগম্ভীর শব্দের সঙ্গে সাদা বিদ্যুতের রেখা খেলা করে চলেছে মেঘের বুক চিরে। সেই আলোতে ব্যাংক অব লন্ডনের সাউদার্ন এভিনিউ শাখার লাল ইটের ভবনটা থেকে থেকে আলোকিত হয়ে উঠে পরক্ষণেই আবার মিলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের ভিতর।
দূরে টেমসের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা ক্লক [আরো পড়ুন]
Read More
শোণিতরাঙা শ্বেতগোলাপ
এমনিতেও ‘দূরদর্শী’ হিসেবে খুব একটা সুনাম নেই আমার, তার উপর আবার ধূসর কুয়াশার পুরু আস্তরণটা বেশিদূর অবধি দেখার পথে অন্তরায় হচ্ছে! মাথার মধ্যে অদ্ভুত একটা ঝিমধরা ভাব। মাথাটা একটু ভার হয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু মাদকতা’টুকু বেশ উপভোগ্য। কানের কাছে অনেকগুলো মৌমাছি যেন মৃদু একটা গুঞ্জন তুলছে অবিরত। নাহ! একটু ভুল হল, ঠিক কানের কাছে নয়। বরং বলা [আরো পড়ুন]
Read More
ডেভিড কাকার বাড়ি
উৎসর্গ: আতঙ্ক সম্রাট হাওয়ার্ড ফিলিপ লাভক্রাফট
ডেভিড কাকার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই বৃষ্টিটা জোরে নামল। আজ প্রায় তিনমাস পর কাকার বাড়ি এলাম। আসলে কাকাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হঠাৎই সবাই চিন্তিত হয়ে পেড়েছে। এই বিগত তিনমাস এমনিতেই কাকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি, তার ওপর কাল কাকার বাড়ির এলাকার এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বাবার [আরো পড়ুন]
Read More
চুল
‘পারসেল আ গিলো বড়া বাবুর ঘরে। সেই থিকে বাবু দোর দিছেন’।
অ্যাঁ? পারসেল? ঘনাদার?’ আমরা সমস্বরে আঁতকে উঠলাম।
মুখ চাওয়াচাউয়ি করে তো আর সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই হবার নয়। গৌরই প্রথম টঙের ঘরের পানে দৌড় লাগাল। পিছন পিছন আমরা তিনজন। ঘনাদা ও পার্সেল, পার্সেল ও ঘনাদা মেলে না কোনওক্রমেই। এ রহস্য ভেদ না করে রবিবারের মাছের কালিয়া রামভুজ স্পেশাল পেটে নামবে না।
Read More
চোখ
আমার কথা
“নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
এ ধরনের একটা কথা বাংলা বাক্যালাপে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। কোনও কিছু ‘নিজের চোখে’ না দেখলে তা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তবে এ যাবৎকাল অবধি আমার সজ্ঞানে দেখা সব কিছুই ভুল, ভ্রান্ত। কারণ? কারণ, বরাবর আমার জগৎ দেখা অন্য মানুষের চোখে। না, কাব্যিক ভণিতা নয়, আক্ষরিক অর্থেই! দাঁড়ান, শুরু থেকে বলি।
Read More
আজি হতে
সবজেটে আকাশটার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে ছিল নীলোৎপল। এই মাঠটায় কেউ আসে না। মাঠ অবশ্য নামেই। শুধুই খানিকটা লালচে ধূসর জমি। আসলে আজকাল মানুষ বাড়ি থেকে বেরোয়ই কম, কারণ বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই জীবন বাজি রাখা। তবু নীলোৎপল বেরোয়। খুব সন্তর্পণে, মা-বাবার নজর বাঁচিয়ে। বেরিয়ে এসে কমপ্লেক্সের পিছনদিকে এই মাঠে বসে থাকে। আকাশ দেখে। ওর মনে হয়, এইটুকু না করতে পারলে [আরো পড়ুন]
Read More
ডিজাইন বায়াস
‘একটা ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য সায়াকা মুরাটা আজ এখানে আসতে পারেননি। আমরা এজন্য খুব দুঃখিত।’
বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার দিক থেকে এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হলে যেন স্কুল ছুটির মতো শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
‘কেন? থাকতে পারবেন না কেন? ওঁর বই এর প্রেস রিলিজ, আর উনি থাকবেন না!’ নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক বলে উঠল।
‘একটা আকস্মিক দুর্ঘটনার জন্য উনি আসতে পারেননি। এজন্য উনি খুব দুঃখিত। তবে…’
Read More
স্বর্ণ আঁধার
“আরেক কাপ মার্সিয়ান জুস হবে নাকি?”
“না, আর নয়। বেশি খেলে ঝিমুনি মতো আসে। আর ঝিমুনি এলে বন্দিকে নির্বাসনের দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করতে পারব না।”
“আরে ধুর, কবে থেকে এইসব কাজ করছিস। এখনও কনফিডেন্স তৈরি হল না! নেহাত আমি স্পেস ভেহিকেলের পাইলট হিসেবে আছি বলে তাই। যদি বন্দি নির্বাসনের সরাসরি দায়িত্বে থাকতাম, তবে তোকে দেখিয়ে দিতাম চোখ বন্ধ করে কীভাবে কাজটা করা যায়।”
Read More
ফোন আসবে…
ঝকঝকে একটা সকাল। অদ্রিজা ঝট করে কুর্তির ওপর একটা ওড়না জড়িয়েই বেরিয়ে পড়ল। লামহাট্টার পাহাড়ি শ্যাওলা পড়া সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একবার ফোনটা চেক করে নিল। না, আর কোনও মেসেজ আসেনি। নিশ্চিন্ত হল। সাইকেলটা টানতে টানতে হটাৎই ফোনটা বেজে উঠল। শুভমের এই তাড়া দেওয়ার অভ্যাসটা আর গেল না। কিন্তু আজ সত্যিই একটা কারণ আছে। তা বলে আধ ঘণ্টার [আরো পড়ুন]
Read More
শিকার
গ্রেসু গ্রাম পেরিয়ে কয়েক মাইল আসতেই সন্ধে নামতে শুরু করল কার্পেথিয়ার গায়ে। ছোট টিলাটার উপরে পৌঁছে ঘোড়াটাকে দাঁড় করিয়ে চারিদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখল দিমিত্রি। বছরের এই সময়টাতে পূর্ব রোমানিয়ায় বেশ তাড়াতাড়ি সন্ধে নামে। গ্রেসুতে বিশ্রাম নেওয়াটা তাদের উচিত হয়নি। পিছন ফিরে তাকিয়ে খানিকটা দূরে অ্যালেক্সকে দেখতে পেল দিমিত্রি। [আরো পড়ুন]
Read More
অ-মানবী
পিসিকে আবছা মনে পড়লেও পিসেমশাইকে একদমই মনে পড়ে না অমিতাভর। আসলে পিসেমশাই চাকরি করতেন বাংলা থেকে অনেক দূরে সেই মধ্যপ্রদেশে। কালে-ভদ্রে বাংলায় আসতেন। বাবা-মাও কোনওদিন তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। অমিতাভ তো কখনওই যায়নি। পিসেমশাইকে অমিতাভ হাতে গোনা দু-একবারের বেশি দেখেনি। তাও ছোটবেলায়। পিসিমা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বছরে [আরো পড়ুন]
Read More
শবাধার
১
আড়মোড়া ভাঙে ঢাকা শহর, রাস্তার শব্দে, মাইকের শব্দে একবার তার ঘুম ভাঙে, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ে। কাজের দিনটাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আলস্য। শীতের ভোরের কুয়াশা থেকে উঁচু বাড়িগুলো বেরিয়ে আসতে বেশ দেরি করে, পোষা কবুতর চক্রাকারে ওপর দিয়ে ওড়ে। বৃষ্টি হয়নি বহুদিন, ধূলায় ঢেকে গেছে সব গাছ, সূর্য জ্বলে আবছা লাল আলোয়। সারা দিন শহরটা একটা [আরো পড়ুন]
Read More