বৈসখা
নীচে পরিবেশিত কথোপকথনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মানবজাতির ইতিহাসে ‘বৈসখা’ ব্যবহারের শেষ নিদর্শন এটিই। পাঠকেরা এই দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবেন—এই আশা রাখি।
আন্তঃনক্ষত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়া প্রতিটি মহাকাশযানেই একসময় বৈদ্যুতিক সখা—সংক্ষেপে বললে ‘বৈসখা’—নামের একটি যন্ত্র থাকত। এটির কাজ ছিল মহাকাশযান কোনো কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ইচ্ছেপূরণ
চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?
‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।
Read More
হরিপদবাবু ও ম্যাক্রোকসম গ্রহের অধিবাসী
১
রোজকার অফিস শেষে লোকাল বাসে ঝুলে যানজট পেরিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হরিপদবাবু যখন বাড়ি পৌঁছালেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। এমনিতেই চাকরি করতে ভালো লাগে না হরিপদবাবুর, তার উপরে আজকে আবার অফিসের বড়োবাবুর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। সেটা অবশ্য প্রতিদিনই থাকে, তবে আজকে শেষ বিকেলে কাজকর্ম শেষ করে হরিপদবাবু যখন খবরের কাগজে [আরো পড়ুন]
Read More
রামমোহন রায় ও ফুটবল
রামমোহন রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল কলকাতার ময়দানে উনিশশো বিরানব্বই সালে। আরও স্পষ্ট করে বললে মোহনবাগান মাঠের আট আনার গ্যালারিতে। বছরটা মনে আছে কারণ কৃশানু দে ওই বছরেই ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগান ক্লাবে ফিরে আসে বছর সাতেক ইস্টবেঙ্গলে খেলার পরে। আমার বাবা এবং ছোটোকাকা দক্ষিণ রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে আমি ছিলাম সূর্য মেমোরিয়ালের [আরো পড়ুন]
Read More
ফুটোস্কোপ
সকালবেলা কাগজ ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ একটা খবরের দিকে চোখ পড়ায় চমকে উঠলাম। খবরটা এই রকম—
নতুন ভূমিকায় ডাক্তার চট্টখণ্ডী
(নিজস্ব সংবাদদাতার রিপোর্ট)
এককালের বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক ডক্টর সুভ্ৰাট চট্টখণ্ডী, যিনি নাকি কিছুদিন আগে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাকে সম্প্রতি এক নতুন [আরো পড়ুন]
Read More
ছাতাবাবু
সকাল থেকে আকাশের মুখ অভিমানী ছেলের মতো ভার ভার। তারপর কলকাতা ভেসে গেল মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের আড্ডাটা সেদিন ভালোই জমেছিল ব্রজেনদের বাড়িতে। অনেকদিন বাদে একসঙ্গে জুটে গিয়েছিলাম চার বন্ধু। ব্ৰজেন ছাড়েনি। দুপুরের খাওয়াটা সেদিন ওদের বাড়িতে হবে। তখনও বৃষ্টি একবারে থামেনি। ব্রজেনদের তেতলা ঘরের জানালার [আরো পড়ুন]
Read More
পালের কাশু পথ
সে দিনটা ছিল বুধবার। মানে বুধবার যে ছিলই সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও হতে পারে, শনি-মঙ্গলবার হওয়াও অসম্ভব নয়। মানে কোন একটা দিন ছিল আর কি। তা সেই বুধবার, কিম্বা বৃহস্পতিবার, সক্কাল সক্কাল বাস থেকে নেমে হাঁটা দিয়েছি শ্যামবাজারের একটা রাস্তা ধরে। মানে রাস্তাটা যে শ্যামবাজারেরই সে কথা অবশ্য ঠিক নিশ্চিত [আরো পড়ুন]
Read More
সিনেমার পর্দায় মজার সায়েন্স ফিকশন
আমরা বোধ করি সবাই সায়েন্স ফিকশনের প্রথম স্বাদ পাই সিনেমার মাধ্যমেই। ছাপার অক্ষরের আগে সিলভার বা অ্যামোলেড স্ক্রিন আমাদের সেই স্বাদ চাখিয়ে দেয়। মনে আছে ‘সাই-ফাই’ এবং ‘সাইবর্গ’—এই দুটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম যখন ‘টার্মিনেটর টু’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হতে তখনও ঢের দেরি। আমেরিকা ও ইউরোপের সিনেমাওয়ালারা খুব তাড়াতাড়ি [আরো পড়ুন]
Read More
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।
ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
রহস্য
সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! [আরো পড়ুন]
Read More
বৈজ্ঞানিক বর-যাত্রী সম্বৰ্দ্ধনা
হিমাচল বাবু বনেদী বংশের লোক। অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তাঁর পেশা কিন্তু জমিদারী নয়,—তাঁর পেশা বিজ্ঞান-চর্চ্চা। বাড়ীতে একটা মস্ত বড় ল্যাবরেটরী থাড়া করে’ তুলেছেন। তবে তিনি যে সারাদিনই তাঁর ল্যাবরেটরীর বদ্ধ বাতাসে আপনাকে আবদ্ধ করে’ রাখেন,—তা’ নয় ৷ কেন-না,—তাঁর নামেরই উপযোগী তাঁর যে দেহখানি,—সেটাকে সমস্ত দিন কোনো সঙ্কীর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
ওহ্ ডালিলা
১
“মেয়েদের একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয়। যত নষ্টের গোড়া এই মেয়েরাই।”
এই রকম চূড়ান্ত মিসোজিনিস্টিক মন্তব্যটা শুনেও না শোনার ভান করে থাকলাম। এই ২১২৩-এ এই ধরনের মন্তব্য জনসমক্ষে করলে নিশ্চিত জেল হবে কয়েক বছরের জন্য। তবুও আমার বাড়িতে এইরকম কথাবার্তা আজকাল একটু বেশিই শুনতে হচ্ছে। উদ্দেশ্য যে আমাকে শোনানো তা কি আর আমি বুঝি না? [আরো পড়ুন]
Read More