কুরুক্ষেত্র হাইওয়ে
তিন বসন্ত সতেরো দিন পরে এবার বুঝি প্রতীক্ষার অবসান। শেফালি নদীর কোলে পলাশপুর গ্রাম ছেড়ে পালানোর কাহিনি বহুদিন হল স্বেচ্ছায় মনের কোণে নির্বাসিত করেছে রীতা। অকারণে নিজেকে অস্থির করতে চায় না বলে। মশালের দাউদাউ রক্ত যখন হিংস্র ছুটে বেড়াচ্ছিল তাদের গ্রামের কিনারায় রীতার হাসির উচ্ছ্বাসে ঘুম ভেঙে ককিয়ে উঠেছিল শহর-সড়কের দু-ধারে ধোঁয়াটে [আরো পড়ুন]
Read More
ড. রবি রায়ের বক্তৃতা
গতকাল ড. রবি রায়ের সঙ্গে মেক্সিকো সিটি শহরে এসে পৌঁছেছি। কয়েকদিন বাদে এখানে এক বিরাট বিজ্ঞান অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আমি একজন বিজ্ঞান-সাংবাদিক। এই সুদূর দেশে আসার উদ্দেশ্য বিজ্ঞান অধিবেশনকে কভার করা। কাগজের সম্পাদক মশায় আমাকে এত খরচপত্র করে পাঠাতেন কি না সন্দেহ। কারণ কোনো বিজ্ঞান অধিবেশন কভার করার কোনো দায়িত্ব কোনো দৈনিক সংবাদপত্রের আছে [আরো পড়ুন]
Read More
আঠা
[গল্পটি শ্রী সৌবর্ণ দাসের সনির্বন্ধ অনুরোধে, শ্রী প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবিস্মরণীয় চরিত্র “ঘনাদা”-কে নিয়ে একটি আধুনিক গল্প লেখবার প্রচেষ্টা মাত্র। প্রচেষ্টাটি সৌবর্ণ দাস-কেই উৎসর্গ করলাম।]
“আঠা।”
“আঠা!! হেঃ হেঃ, জেঠু, কীসের আঠা? গঁদের আঠা, না ভাতের আঠা?”
***
ব্যাস, তার পর থেকেই ৭২ নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেস বাড়িটা সেই যে থমথমে হয়ে গেল, সে গুমোটটা আর আজ এতদিনেও কাটল না!
Read More
রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞান স্যার
মেসের শূন্য তক্তপোশে বাচ্চুদার ফেলে-যাওয়া বিয়ের কার্ডটা উলটে-পালটে দেখতে দেখতে দীর্ঘশ্বাস ফেলল সোমেন। বাইরে রাস্তায় রাশি রাশি বোলতার মতো বোঁ বোঁ আওয়াজ করতে করতে ছুটে যাচ্ছে গাড়িগুলো। আজ শনিবার; বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ফিরে গিয়ে বাবা-মায়ের সামনে দাঁড়াতেও যেন এখন লজ্জা লাগে। লোকের জমিতে ভাগচাষ করে বাবা তার মেসের ভাড়া দিচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
সৌরসংঘাত
ঈশিকারি গ্রামটা রাতারাতি পালটে গেল।
এরকম যে হবে, তা অবশ্য অনেকদিন ধরেই গাঁওবুড়ো আকিরা বলে আসছিল। সে নাকি স্বপ্ন দেখেছিল এমন এক দিনের। সে নাকি মাঝে মাঝেই ফিরে দেখে সে স্বপ্ন।
কী স্বপ্ন? শুধোলে তার শুকনো হাড়সর্বস্ব দেহটা কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে। ঝোল্লা জামার হাতা নাচতে থাকে, কারণ হাত নেড়ে নেড়ে কোন এক অমঙ্গলকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে বুড়ো।
Read More
উত্তরাধিকার
পৃথিবী, ১০০ অ্যানো এক্সটিঙ্কসনিস
আকাশটা হলদেটে কমলা হয়ে আছে, হালকা পোড়া পোড়া গন্ধে ছেয়ে আছে চারিদিক, যেন দাবানল লেগেছে কোথাও। না, দাবানল আর লাগবে কীভাবে? গাছ থাকলে তবে না দাবানল। এটাই এখন স্বাভাবিক আবহাওয়া। চাপা একটা নিশ্বাস পড়ে দেবদত্ত ৭১৩-র। আড়চোখে পাশে দাঁড়ানো মুস্কো চেহারার বটটার দিকে তাকায় সে। এটা জিওলজি বিভাগের সন্ধানী বট। [আরো পড়ুন]
Read More
বুদ্ধবান্ধব্য
বুদ্ধর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা যে ঠিক কবে শুরু হল, তার থই পাই না আজকাল। বুদ্ধ আমার কলেজের জুনিয়র। কিন্তু যদ্দূর মনে পড়ে, কলেজে থাকতে সাত জন্মে কথা হয়নি আমাদের। আর এখন এমন কথা হয় যেন সাত জন্মের পরিচয়। যেসব ঘাঁটা ঘাঁটা ভাবনাচিন্তা আমায় রাত জাগিয়ে রাখে, চক্রাকারে ঘুরিয়ে চলে মাসের পর মাস, বুদ্ধ একটু আভাস পেলেই তার পুরোটা বুঝে ফেলে আমাকে বুঝিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ক্ষমা
কান খাড়া করে জেগে রয়েছি আমি। শোনার চেষ্টা করছি, যদি কিছু শুনতে পাওয়া যায়। এক নির্মম নিস্তব্ধতার মধ্যে সময় কাটছে আমার। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে অনেক আগেই। এবার বোধহয় উন্মাদনার দিকে এগোচ্ছি আস্তে আস্তে।
প্রথমদিকে চিৎকার করেছি, কেঁদেছি, রেগে গর্জন করেছি… কোনো কিছুতেই কোনো উত্তর পাইনি। পায়ে মোটা একটা শিকল বাঁধা আমার। সেটা ধরে খুঁজতে [আরো পড়ুন]
Read More
দমের খেলা
“হাওয়ার ঘরে দম আটকা পড়েছে…”
(ফকির লালন শাহ, লালনগীতিকা, পৃঃ ২৪৬)
“পদার্থও পঞ্চত্বপ্রাপ্ত হইয়া থাকে—পদার্থ সম্বন্ধে পঞ্চত্ব কথা প্রয়োগ করা ভুল; কারণ রেডিয়ামের গুঁতা খাইয়া পদার্থ ত্রিত্বপ্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ আলফা, বিটা ও গামা এই তিন ভূতে পরিণত হয়। এইরূপে পদার্থের অস্তিত্ব যখন লোপ হয় তখন অপদার্থ শূন্যে মিলিয়া যায়। কিন্তু যতদিন পার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
অনৈতিক
ঘুম ভাঙার পর একটা হালকা আমেজ শরীরে-মনে লেগে থাকে। কিছুক্ষণ সেটা উপভোগ করে সুমন চোখ খুললেন। মারিয়াকে ডেকে বললেন কফি দিতে। তারপর ব্রাশে পেস্ট চাপিয়ে বাথরুমে ঢুকলেন।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলেন, মারিয়া শুকনো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁকে দেখে বলল, সামথিং রং…। আই কান্ট স্টার্ট দ্য কফি মেশিন।
সুমন কিছুটা অবাক হয়ে বললেন, মেশিন খারাপ হবে হয়তো।
Read More
প্রোজেক্ট রেজ়ারেকশন
“কেমন বোধ করছেন এখন?”
“নেভার ফেল্ট বেটার।”
অশীতিপর আইজ্যাক হুবারম্যান স্মিত হেসে বললেন।
বৃদ্ধের উত্তর শুনে গিরিজা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।
যাক, এতদিনের পরিশ্রম অবশেষে সফল হয়েছে।
হুবারম্যানের কেসের এই সাফল্যই প্রোজেক্ট রেজ়ারেকশনকে তার পরবর্তী ধাপে পৌঁছে দেবে।
স্যার বেঁচে থাকলে আজ কত খুশি হতেন।
ডক্টর গিরিজা চন্দ্রশেখরণ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
Read More
নহি যন্ত্র
আমি গতকাল, বা আরও নিখুঁতভাবে বলতে গেলে, মোটামুটি পঁচিশ ঘণ্টা আগে একটি ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে বসেছিলাম।
সাইট ওপেন হতেই লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালসের পেজ আসার আগেই সামনে একটি ছোট্ট মেসেজ দেখতে পাই আমি, ‘আই অ্যাম নট এ রোবট।’ পাশে একটি চৌকো বাক্সো। বাক্সের উপর ক্লিক করে নিজের অযান্ত্রিকতার প্রমাণ দিই। এরপরই আমার কাছে ন-টা ছবিসমৃদ্ধ একটি উইন্ডো [আরো পড়ুন]
Read More
স্বপ্নে দেখা
স্টেজে সৎপাত্র আবৃত্তি হচ্ছিল। লক্ষাধিকবার শোনা আমার, ছোলা চিবোতে চিবোতে নন্দিনীকে বললাম, “কাল একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম, জানিস?”
“তা-ই?”
“হ্যাঁ।”
“ও।”
“দূর মড়াখেগো, জানতে চাইবি না কী স্বপ্ন?”
“আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। আপাতত গঙ্গারাম আমার পাত্র হিসাবে কানের সামনে নাচছে। এটা শেষ হোক, তারপর ফুচকা খেতে গিয়ে শুনব।”
যথারীতি ফুচকা খেতে গিয়ে কথাটা [আরো পড়ুন]
Read More
হররল্যান্ড
অ্যালিসের আর কোনো কিছুতেই মন বসছে না। ছোট্ট ভাইটা যে কোথায় চলে গেল! দুধের শিশুটাকে রাতের অন্ধকারে এইভাবে কে তুলে নিয়ে গেল? দু-চোখের পাতা কিছুতেই আর এক করতে পারছে না অ্যালিস। চোখ বন্ধ করলেই ভাইয়ের মুখটা ভেসে উঠছে। বাড়ির গভর্নেস মার্থা অ্যালিসকে বলেছিল, ওর ভাই চেশায়ারকে নাকি এক ডাইনি নিয়ে চলে গেছে। আচ্ছা, মার্থা কি সত্যি কথা বলছে? উইচেসরা [আরো পড়ুন]
Read More
দেবতাত্মার সন্ধানে
তাঁর প্রপিতামহের ভবিষ্যদ্বাণী যে এত তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে যাবে তা গণকশ্রেষ্ঠ পালম্য বুঝতে পারেননি। এই ব্রহ্মাণ্ডের নৈমিত্রিক কোণে অবস্থিত দিমিত্রি গ্রহের পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছে তেজস্ক্রিয় বিষ আর জীবনধারণের সমস্ত উপকরণকে দূষিত করে দিয়েছে। এমনটা হবার ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর প্রপিতামহ করেছিলেন, কিন্তু গণনা অনুযায়ী সেই সময়কাল আসতে [আরো পড়ুন]
Read More
বেহুলা
মায়া-পৃথিবী
সিলভার বেইজ প্রকাণ্ড ঘরটির সঙ্গে যেন মিশে গেছে মেয়েটির সুদীর্ঘ সুঠাম চেহারা। খুব ছোটো ঝকঝকে রুপোলি আর সোনালি-মেশানো চুল, পরনে একটা মোছা-মোছা নীল রঙের টি-শার্ট আর ছোটো শর্টসের নীচে ঝমঝম করছে স্বাস্থ্য। দাঁড়িয়ে-থাকা অবস্থাতেও তার মধ্যে চিতাবাঘের ক্ষিপ্রতা স্থির বিদ্যুতের মতো স্তব্ধ, কিন্তু মুখটা একদম উলটো। বড়ো বড়ো নীল চোখে [আরো পড়ুন]
Read More
দাদুর বাক্সো
দাদু যে দুটি জিনিস অর্কর জিম্মায় রেখে গেলেন, সে দুটি নিয়েই মহাসমস্যায় পড়েছে সে। দাদু মানে, বাবার দূর সম্পর্কের অকৃতদার কাকা, যদিও সম্পর্ক দেখে দূরত্ব বোঝা দুষ্কর। আর সে কারণেই শেষ বয়েসটুকু এ বাড়িতে কাটিয়ে গেলেন তিনি, কারও কোনোরকম অমত ছাড়াই।
প্রথমটা একখানা বাক্সো, যেটা প্রায় খালিই বলা যায়। এই বাক্সোটা যখন বানিয়েছিলেন, [আরো পড়ুন]
Read More
সময় গেরোয়
সেবারে গ্রীষ্মের ছুটিতে স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায় মাস খানেকের জন্য এক হিল টাউনে গিয়ে উঠেছিলাম। জায়গাটার নাম সংগত কারণেই উল্লেখ করছি না। সেখানেই ঘটনাচক্রে প্রফেসর সত্যেন সেনের সঙ্গে আমার দেখা হয়।
যারা বিজ্ঞান জগতের টুকটাক খোঁজখবর রাখেন তাদের অনেকের হয়তো নামটা চেনা মনে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের নামকরা এই গবেষক এবং শিক্ষক বছর কুড়ি [আরো পড়ুন]
Read More
তোমাদের ছাড়া
২০৯০ খ্রিস্টাব্দ
তোমরা যখন আমাদের ছেড়ে চলে গেলে, তখন দিগন্তের প্রতিটা কোনা ঢেকে গেছিল বিষাক্ত, তেজষ্ক্রিয় মাশরুম মেঘে। বাতাস ভারী হয়ে যেত প্রাণীদের আর্তনাদে, যদি অবশয় যথেষ্ট সংখ্যায় প্রাণী তখনও বেঁচে থাকত। কিছু মানুষ বেঁচে ছিল, তারাও আমাদের সঙ্গে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল তোমাদের মহাকাশযানের আলো। মহাকাশযানটা যখন তোমাদের নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
সত্য
দশদিকে যেন যুদ্ধ শেষের নিঃশব্দ প্রহর। যেদিকে তাকাই সেদিকে কেবল রাত্রির প্রকাণ্ড নিকষ সরোবর।
কোথায় আমি? কে নিয়ে এল ভ্রষ্ট এই অন্ধ মৃত্যুজপ।
কিছু কথা যেন আবছা মনে পড়ে।
***
ইউনিভার্সিটির বিশাল অডিটরিয়ামে আমার কথাগুলো গমগম করে ছড়িয়ে যায়। নিঃশব্দে শোনে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা।
“আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো কি আমাদের বাস্তবের বস্তুনিষ্ঠ সত্যটা [আরো পড়ুন]
Read More
মাংসাশী ভেড়ার রহস্য
বাংলার বাইরের একখানা ইংরাজি খবরের কাগজে এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে।—“এই অঞ্চলের সেনোরিয়া জঙ্গলের এক গবেষণাগারের বিজ্ঞানী তাপস সেনকে তার পোষা ভেড়ার দল মেরে খেয়ে ফেলেছে। তাপস সেনের মাইনে করা চারজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট থানায় এসে ওই সংবাদ দিয়েছে। তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে না।”
কাগজখানা আমি রাখি। খবর দেখে চমকে [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্কুবাবুর গল্প
পুরুষ্ট বেগুনিদের একাদশতমটিকে মুখে চালান করে বঙ্কুবাবু বললেন, ‘বেগুনি খাই বটে, তবে বেগুন আমি পছন্দ করি না। বেগুন দেখলেই আমাদের থার্ড মাস্টারমশাইয়ের গিন্নির কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, তাই শিউরে উঠি। আহা, বেগুন খেতে বড্ড ভালোবাসতেন!’
বৃষ্টির সন্ধ্যায় আড্ডা জমেছিল। বুড়ির জ্যেঠিমা ভেতর থেকে গরম বেগুনি আর মুড়ি সাপ্লাই করেছেন। চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
ড. ওয়াগনারের পরাজয়
[ভূমিকা: এ কাহিনি লেখার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কী হবে লিখে? অধ্যাপক ফেডিনস্কিই যখন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন তখন তাঁর ডায়েরি প্রকাশ করা মানে দুঃখ বাড়ানো ছাড়া আর কি? কিন্তু লিখতে আমাকে হলই শেষ পর্যন্ত। আপনারা হয়তো বলবেন, কেন? আমার আনন্দের ভাগ যদি আপনাদেরও না দিতে পারি তবে মানুষ হয়ে বাঁচার কোন মানেই হয় না—আমার অন্তত তাই মত।]
১
Read More
নিষিদ্ধ ফল
পূর্বকথা
অনন্ত আঁধার বেয়ে বহে আসে তুচ্ছ সৃষ্টিবীজ
এই কাহিনির সূচনা কারিউজ নামে একটি মৃত গ্রহে। মরবার কথা তার ছিল না। ধনে, সম্পদে, শক্তিতে তার কাছাকাছি কেউ ছিল না গ্যালাক্সির গোটা বাহুটিতেই। তবু তাকে মরতে হল! নিজের সন্তানেরই হাতে। কারণ তার এক দেশপ্রেমিক সন্তান নিজের দেশের জন্য গড়ে দিয়েছল এক অমোঘ অস্ত্র। সে যন্ত্র গ্রহটির পেট থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ফাঁদ
এমন এক বিপদ থেকে তাদেরকে কে উদ্ধার করতে পারবে? বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান দ্রিষিন মনে মনে ভাবলেন। ছেলেবেলায় প্রচুর গল্প পড়েছেন। গল্পগুলোতে সবসময় একজন নায়ক থাকত। সেই নায়কদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অস্বাভাবিক সব শারীরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। দেখা যেত তারা তাদের এই ক্ষমতা দিয়ে, শরীরের অসামান্য শক্তি দিয়ে অনিষ্টকারী দস্যু কিংবা দানবদেরকে মেরেকেটে [আরো পড়ুন]
Read More
রোমানবের গল্প
০০১ সাহিত্য সভা
সবুজ! চারিদিকে মসৃণ সবুজ! গাছপালা সবুজ, নরম ঘাস সবুজ, ভিজে মাটির ওপরে জমে থাকা শ্যাওলাও কত সবুজ! কেবল আকাশটা ঘন নীল, আর সামনের সরোবরের জলটাও অতি নিবিড়, শান্ত, নীল। আমার দুই শ্রান্ত মুশাফির চোখ, বিস্ময়ে লীন হয়ে গেল, অস্ফুট এক আনন্দে।
এ দৃশ্য আমি চোখে দেখিনি কোনোদিন। আমাদের রোবটের রাজ্য! চারিদিক কেবল ধাতব রূপালি রঙে মোড়া। [আরো পড়ুন]
Read More
জাল বানাল যুধিষ্ঠির
লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী! একটা ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা আর অন্যটা বাংলায়, এটা বোঝা যাচ্ছে। তারপরে আর হস্তাক্ষর বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। আমার দুই কাকার চিঠি এসেছে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
পোয়াবারো
নামে কিবা আসে যায়, এটা যে একেবারেই কথার কথা তা বিমলের চেয়ে আর বেশি কে জানে। নাম যদি বিদঘুটে হয় তবে বন্ধুদের বিদ্রুপ থেকে শুরু করে প্রেমহীনতা, নানা সমস্যায় জীবন জর্জরিত হতে পারে। ক্লাস টুয়েলভে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, ‘তোকে বিয়ে করলে অমন একটা বিচ্ছিরি পদবি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। ওটা পদবি, না মোটর সাইকেল স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ? সরি রে, পারলাম না।’
Read More
নীল কমলের খোঁজে
এক
টিকলিদের গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির স্পর্শ মাখা একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও সুন্দর,নীল পোখরি। চারপাশে ঘন পাইনের বন। তার মাঝে মেঘের দল আনমনে খেলা করে বেড়ায়। আর ঢাল বেয়ে একটু নীচে নামলেই শুরু হয় চোখ জুড়ানো সান্যাল টি এস্টেট। সারা পাহাড়ের গায়ে শালের মতো জড়ানো মনোরম সবুজ চা বাগান।
টিকলির পরিবার বলতে সে ও [আরো পড়ুন]
Read More
প্রত্যক্ষদর্শী
বিস্মরণের রাত
গতকাল ছেলেটা আমাকে জানালার পাশ থেকে সরাতে ভুলে গিয়েছিল। গতকাল মানে অবশ্য চলিত অর্থে গতকাল নয়। কিন্তু এখন যেহেতু রাত দেড়টা বাজে, তাই বারোটার পূর্ববর্তী সময়কে আমি গতকাল বলেই চিহ্নিত করছি।
যত যাই হোক—ছেলেটা একজন মানুষ এবং চরিত্রগতভাবে কিছুটা ভুলোমনও। নয়তো ও যদি রোবট হত আর ওর মধ্যে ভরে দেওয়া থাকত আমাকে নির্দিষ্ট সময়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ট্রিগার
এক
“ডাইনোসর বার্ড। এখন প্রায় বিলুপ্ত। আসল নাম শুবিল। পাখিটার কথা শুনেছো কখনও?”
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকের তিন নম্বর মার্লবোরো থেকে অস্থির ধোঁয়া এলোমেলো পথে ঘরের বাইরে যেতে চাইছে। পুবদিকের জানালা খোলা। উত্তরদিকের খড়খড়িগুলো অর্ধেক নামানো অবশ্য। এখন সুপর্ণার কাল। জানুয়ারি সবে পড়েছে।
প্রাচীন অর্ধচন্দ্র টেবিলটার সামনের দুটো [আরো পড়ুন]
Read More
হয়তো আবার
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিল নীহারিকা। না, ঠিক আনমনে নয়, মাঝে মাঝে হাতের উলটো পিঠটা ঘষছিল গালে। না ঘষে অবশ্য উপায় ছিল না। এই ভর দুপুরবেলা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটা অল্পবয়সি মেয়েকে মরা মাছের মতো খোলা চোখে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে দেখতে পেলেই সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাবে। চশমাতেও বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। নেহাত মানুষের অত সময় বা গরজ নেই তাই!
কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
নেক্সা
১
নবমীর দিন সকালে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর একটা শান্ত গলির একেবারে শেষে অম্বিকা প্রাইড অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়াল গৌতম হেগরে। এই বাড়ির তিনতলায় একটা ফ্ল্যাটে থাকেন এক সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর অভিজ্ঞান সেন। কলিং বেল টিপে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল। দরজা খুললেন এক ভদ্রমহিলা। গৌতম নমস্কার করে ইংরিজিতে বলল, আমি গৌতম, পুলিশের গোয়েন্দা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রজেক্ট ইসিখাথি
প্রকাণ্ড ঘরটার ভিতর আবছা নীল আলো, এই নীল-কালো আবছায়াটা অভ্রর ভীষণ সুপরিচিত। এই ঘরে হাওয়ার চলাচলও হিসেব মেনে হয়, কিন্তু অভ্রর অবাধ যাতায়াত। আজ একটা নিরেট থমথমে ভাব চারদিকে। ঘরটার উত্তরের দিকে দেওয়াল জোড়া জানালা; কাচের ওপাশে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা রাতের আকাশ। সেই জানালার সামনে একটা বিশাল টেবিল যার ওপর মুখ গুঁজে বসে আছেন এক মধ্যবয়স্ক পুরুষ। পরনে সামরিক [আরো পড়ুন]
Read More
এত সুন্দর, এত অন্ধকার
“রুহানা!”
মণীন্দ্র ডাকছে ওকে। কিছু দরকার নিশ্চয়! লোকটা এমনিতে চুপচাপ, অকারণ বাজে বকে না। রুহানার ক্লান্ত লাগছিল, কিন্তু ডাকটা অগ্রাহ্য করা উচিত হবে মনে হল না।
তা ছাড়া, অগ্রাহ্য করতে চাইলেও করতে পারত না বোধ হয়। ‘সৌজন্য’ বাধা দিত।
সোজা সরলরেখায় রাস্তা, দুপাশে বাড়িগুলো পর পর একই রকম দেখতে। হঠাৎ দেখলে মনে হয় লেগো দিয়ে বানানো খেলনা শহর। [আরো পড়ুন]
Read More
অন্তিম কোড
জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। নিজের নিশ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পালসের গতি ধীরে ধীরে নাবিয়ে আনলেন মি. দেশাই। প্রায় পঁচাশি! এর চেয়ে কমানো সম্ভব নয় এই পরিস্থিতিতে। [আরো পড়ুন]
Read More
পরিযায়ী
বড়োবাজারের মাকড়সার জালের মতো লেয়ারের পর লেয়ার, জড়ানো প্যাঁচানো ফ্লাইওভারের প্রত্যেকটা লেয়ারে জ্যাম। ইউসুফ তাই প্রতিবারের মতো এবারেও শিয়ালদা থেকে ট্রামে উঠেছে। তার পেছনে আরও কয়েকটা কারণ আছে বটে। একে তো স্টেট স্পন্সরড বলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য এক্কেবারে বিনামূল্যে যাত্রা, তার সঙ্গে নীচ থেকে ওপরের দিকের দু-নম্বর টিউবটায় অন্যান্য [আরো পড়ুন]
Read More
ফিনিক্স
লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড
২০১৬
মাইক্রোস্কোপ থেকে চোখ সরায় রেচেল। হাতের পাতা দিয়ে আলতো করে চোখ ঘষতে থাকে। যা দেখছে সেটা সত্যি কিনা নিশ্চিত হতে পারছে না যেন। বিড়বিড় করতে করতে চোখ রাখে মাইক্রোস্কোপের আইপিসে। মগ্ন হয়ে যায় আবার।
আচমকা পিঠে কার আলতো ছোঁয়া পেয়ে প্রায় চমকে ওঠে রেচেল।
—রাত কত খেয়াল আছে?—প্রোগ্রাম ডিরেক্টর প্রোফেসর [আরো পড়ুন]
Read More
বাবলা বীজের সাহিত্যিক
এবং প্রাণীভাষাবিদ সমিতির পত্রিকা থেকে উদ্ধৃত আরও কিছু অংশ
পিঁপড়ের ঢিপিতে পাওয়া পাণ্ডুলিপি
কলোনির গভীরের একটা স্তর থেকে বেরিয়ে আসা এক সরু, আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় বীজাণুমুক্ত বাবলা বীজের সারির উপর স্পর্শগ্রন্থি নিঃসৃত রস দিয়ে কথাগুলো লেখা ছিল। বীজগুলোর সুচারু সজ্জা লক্ষ করেই তদন্তকারী প্রথম আকৃষ্ট হন।
বার্তাগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
অধরা পৃথিবী
তাতিমের সামনে মাটি থেকে সিলিং পর্যন্ত আধাস্বচ্ছ দেওয়াল।
সম্পূর্ণ খোলা একটা বিস্তৃত ঘরে তার সামনে দুটো রকিং চেয়ার। ঘরটা সাদা। শুধু এককোণে একটা প্ল্যান্টারে যত্নে রাখা একটা গাছ-রবার প্ল্যান্টের মতো দেখতে। ওই গাছটাই তাদের বাড়ির সবচেয়ে মূল্যবান সদস্য।
মাঝারি উচ্চতার, মোটামুটি সজীব। খুব সন্তর্পনে ওপরের দিকে আধফোটা পাতাতে আলতো করে আঙুল বোলালো তাতিম—কি মসৃণ।
Read More
আবার ফোন বাজছে
—দেখেছ! আবার মেয়েটা ফোনে কথা বলছে! এতো রাতে কার সঙ্গে কথা বলে রোজ রোজ?
—কোন মেয়েটা?
—আরে বাবা, পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়াটে যে মেয়েটা এসেছে, সেই মেয়েটা। শুনতে পাচ্ছো না! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তোমার কানটাও খারাপ হয়ে গেছে!
—তা কার সঙ্গে কথা বলে, তা দিয়ে তোমার আমার কী? এখনকার মেয়ে। এরা সব ইন্ডিপেন্ডেন্ট টাইপের হয়। অতো সব নিয়মকানুন মানে না এরা।
Read More
বৈসখা
নীচে পরিবেশিত কথোপকথনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। মানবজাতির ইতিহাসে ‘বৈসখা’ ব্যবহারের শেষ নিদর্শন এটিই। পাঠকেরা এই দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবেন—এই আশা রাখি।
আন্তঃনক্ষত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়া প্রতিটি মহাকাশযানেই একসময় বৈদ্যুতিক সখা—সংক্ষেপে বললে ‘বৈসখা’—নামের একটি যন্ত্র থাকত। এটির কাজ ছিল মহাকাশযান কোনো কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ইচ্ছেপূরণ
চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?
‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।
Read More
নক্ষত্র যাত্রা
সম্ভবত ঘুম ভাঙল আমার।
সম্ভবত বললাম, কারণ জানি না ঘুমিয়ে ছিলাম নাকি এইমাত্র জন্ম নিলাম। যদি জন্ম নিয়ে থাকি চোখ মেলার পর কীভাবে বুঝতে পারলাম এটা একটা স্পেসশিপ?
তার মানে ঘুমিয়ে ছিলাম। অথবা এইমাত্র জন্ম নিলাম। কিন্তু মেমরিতে আগে থেকেই কিছু তথ্য দিয়ে রেখেছিল। কে? কারা? কেন?
উজ্জ্বল সাদা আলো। লোহার বিছানায় শুয়ে আছি। কামরাটা সাদা [আরো পড়ুন]
Read More
হরিপদবাবু ও ম্যাক্রোকসম গ্রহের অধিবাসী
১
রোজকার অফিস শেষে লোকাল বাসে ঝুলে যানজট পেরিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হরিপদবাবু যখন বাড়ি পৌঁছালেন, ততক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেছে। এমনিতেই চাকরি করতে ভালো লাগে না হরিপদবাবুর, তার উপরে আজকে আবার অফিসের বড়োবাবুর মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিল। সেটা অবশ্য প্রতিদিনই থাকে, তবে আজকে শেষ বিকেলে কাজকর্ম শেষ করে হরিপদবাবু যখন খবরের কাগজে [আরো পড়ুন]
Read More
রামমোহন রায় ও ফুটবল
রামমোহন রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল কলকাতার ময়দানে উনিশশো বিরানব্বই সালে। আরও স্পষ্ট করে বললে মোহনবাগান মাঠের আট আনার গ্যালারিতে। বছরটা মনে আছে কারণ কৃশানু দে ওই বছরেই ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগান ক্লাবে ফিরে আসে বছর সাতেক ইস্টবেঙ্গলে খেলার পরে। আমার বাবা এবং ছোটোকাকা দক্ষিণ রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে আমি ছিলাম সূর্য মেমোরিয়ালের [আরো পড়ুন]
Read More
ফুটোস্কোপ
সকালবেলা কাগজ ওলটাতে ওলটাতে হঠাৎ একটা খবরের দিকে চোখ পড়ায় চমকে উঠলাম। খবরটা এই রকম—
নতুন ভূমিকায় ডাক্তার চট্টখণ্ডী
(নিজস্ব সংবাদদাতার রিপোর্ট)
এককালের বিখ্যাত অস্ত্রচিকিৎসক ডক্টর সুভ্ৰাট চট্টখণ্ডী, যিনি নাকি কিছুদিন আগে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাকে সম্প্রতি এক নতুন [আরো পড়ুন]
Read More
ছাতাবাবু
সকাল থেকে আকাশের মুখ অভিমানী ছেলের মতো ভার ভার। তারপর কলকাতা ভেসে গেল মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির মধ্যে আমাদের আড্ডাটা সেদিন ভালোই জমেছিল ব্রজেনদের বাড়িতে। অনেকদিন বাদে একসঙ্গে জুটে গিয়েছিলাম চার বন্ধু। ব্ৰজেন ছাড়েনি। দুপুরের খাওয়াটা সেদিন ওদের বাড়িতে হবে। তখনও বৃষ্টি একবারে থামেনি। ব্রজেনদের তেতলা ঘরের জানালার [আরো পড়ুন]
Read More
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।
ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
ভার্গব বসুর হারানো মাথা
আমার বন্ধু চাণক্য চাকলাদারের কিছু খ্যাতি আছে আজগুবি গল্প বলার জন্যে।
সেদিন সন্ধেবেলা হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢুকে নতুন সায়েন্স-ফিকশন পেপারব্যাকটা তুলে নিয়ে বললে, ‘পানুদা, শুনেছ?’
তার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘কী?’
‘মাকড়সার ঘাড়ে মানুষের মগজ।’
‘আবার গাঁজা খেয়েছিস?’
‘তোমাদের সঙ্গে ইংরেজদের তফাত তো এইখানেই। ইংল্যান্ডে জন্মালে [আরো পড়ুন]
Read More