বাঁচতে দাও
যুদ্ধ! মানবসভ্যতার এক কলঙ্ক। শুধু কলঙ্ক নয়, সে তার জন্মদাতা মানবসমাজকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বারে বারে হাত বাড়াচ্ছে নানা রূপে, নানা আকারে। আদি-অনন্তকাল ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলেছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষালাভ করেও নিজেদের আমরা সংযত করতে পারি না। মনের মধ্যে পশুটা বারবার শিকল ছিঁড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ভিয়েতনাম তার জ্বলন্ত নজির। স্বাধীনতা, [আরো পড়ুন]
Read More
প্রফেসার ম্যাকাওয়ের আশ্চর্য অভিযান
প্রফেসার ম্যাকাওয়ের সঙ্গে ঝিমলি চ্যাটার্জির পরিচয় খুব বেশি দিন নয়।
গত বছর নিউটাউনে হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির এক কনভেনশনে ঝিমলি যখন তার বক্তব্য রাখছিল, তখনই তার চোখে পড়েছে, সেমিনার ঘরের শেষের সারিতে বসে এক অদ্ভুত চেহারার শ্রোতা তার বক্তব্য মন দিয়ে শুনছেন।
এরপর ঝিমলি যখন অডিটরিয়াম থেকে বেরিয়ে আসছে, তখন সেই অচেনা মানুষটি এসে ঝিমলিকে তার বক্তব্যের জন্যে সাধুবাদ জানালেন।
Read More
আয়না মহল
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
সুরেলা গানটা ঢেউ তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল শালবনের আনাচেকানাচে। ছুঁয়ে যাচ্ছিল লাল মাটি, কাঁকুরে পথ। মিশে যাচ্ছিল নীলচে জলস্রোতের ছোটো নদীতে। সুরের অনুরণন ধাক্কা খাচ্ছিল সামনের একমেটে বাড়িটার বন্ধ দরজায়। খোলা উঠোনের একধারে প্রায় পথের উপরের পাকুড় গাছটার তলায় দুটি মাত্র মানুষ। একজন আউলবাউল ফকিরমানুষ, অন্যজন বছর এগারো-বারোর এক বালিকা।
Read More
অন্তিমকাল
ডায়েরি: এক
নাম: সুচরিতা বসু
পরিচয়: মানুষ—স্ত্রী—স্বাভাবিক
স্থিতি: পরীক্ষাধীন আবাসিক
একটু আগেই জানতে পারলাম, আমি এখন সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত। যে চিকিৎসক আমার তত্ত্বাবধান করছিলেন, তিনি আমাকে অভিনন্দন জানালেন। আর এই ডায়েরিটা দিয়ে বললেন, “আপনার এই ক-দিনের যা অভিজ্ঞতা, সেটা নিজের মতো করে এই ডায়েরিতে লিখে রাখবেন।”
পৃথিবীতে আমি ডায়েরি [আরো পড়ুন]
Read More
এমন যদি হয়
হাতের কাজগুলো চটজলদি সেরে নিচ্ছিল হরিশ। গ্রামের লোকেদের কথায় তাকে গ্রাম থেকে এই এতদূরে জঙ্গলের কিনারায় পোল্ট্রির ফার্ম বানাতে হয়েছে। এদিকে কোনো লোকবসতি নেই। অনেকটা পর্যন্ত ফাঁকা ঘাসজমি, তারপর শুরু হয়েছে গভীর জঙ্গল। কাজেই পোল্ট্রি ফার্মের উৎকট গন্ধ শোঁকার লোকও এখানে নেই।
সারারাত ফার্মে কোনো পাহারা রাখা যায় না। এরকম জঙ্গলের [আরো পড়ুন]
Read More
কিউপিড এবং
না, আর ভালো লাগে না। সেই একঘেয়েমি। ইচ্ছে হলে, ওঠ, কম্পিউটারে বসো, সময় ঠিক কর। তারপর সেই একই জিনিস। যতক্ষণ সময় সেইটুকুই, একটুকুও বাড়তি নয়। আলাদা স্বাদ নেই। একরাস বিতৃষ্ণা। এখন কিউপিডকে দেখলেই যেন বিরক্ত লাগছে। বড্ড মিস করছি অনিমেষকে। সকাল হলেই অন্তত সে বলত গুড মর্নিং। স্বাদ মিটুক না মিটুক জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকা যেত। মড়ার মতো শীতলতা [আরো পড়ুন]
Read More
এভাবেও কি ফিরে আসা যায়?
একটা বলিষ্ঠ হাত! একটা ড্রাগনের ট্যাটু! দুটো চোখ, যাতে ঝরে পড়ছে লড়াইয়ের প্রত্যয়! যেন রাতারাতি রুগ্ন জিমের জীবনটা পালটে দিয়েছিল লিডসে স্ট্রিটে ২১ জুন ২০০৪ সালে!
আমাদের স্মৃতি খুব অদ্ভুত। অনেক কিছুই আমরা সময়ের নিয়মে ভুলে যাই আবার কিছু অতি সাধারণ জিনিস আমাদের মনে থেকে যায়। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, আর থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা [আরো পড়ুন]
Read More
হলুদ পলাশ
এই সময়ে এই শহরে বসন্ত আসার কথা। কিন্তু পৃথিবীর এই অক্ষাংশে, এই দ্রাঘিমায়, বসন্ত কোনো একসময়ে ছিল কি না, নাগরিকেরা মনে করতে চায়। বসন্ত ঠিক কী বা কেমন ভাবতে চায়। তারা শুনেছে, এখানে বসন্তে পলাশ ফুটত, শিমুল ফুলে গাছ হত লাল। কিন্তু পলাশ বা শিমুল গাছ তারা এখন আর চেনে না, শোনা যায়, শহরের দক্ষিণ উপান্তে একটা পলাশ গাছ আছে। তাতে বসন্তে লাল ফুল আসে। অমল [আরো পড়ুন]
Read More
চক্রবৎ
মাননীয় আইনপ্রণেতাগণ। কার্বনিয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমাদের সিলিক সমাজে যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে এই সিলিক সংসদে বিশেষজ্ঞের মতামত দেবার জন্য আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত।
তবে শুরুতেই বলি, এই সমস্যার সমাধানের কোনো পথ আমার জানা নেই। এ-বিষয়ে আমি একজন সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে কেবলমাত্র আমার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণটুকুই [আরো পড়ুন]
Read More
পর্বততীর্থ জম্ভাজ
রাকার সামনে আজ অনেকখানি খোলা আকাশ। কঙ্কণ বনে বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটি দিশাহারা হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য মেঘ এবং রোদের এই খেলা দেখে। অস্ফুটে বলল, “আমাদের জম্ভা যে এত অপরূপ আমি জানতাম না।”
পাশ থেকে ক্লিষ্ট হাসি হাসল আম্রপালি। দেবী অর্কপ্রভার মন্দিরে বড়ো হয়ে উঠেছে বলেই সে এই আকাশ দেখে অভ্যস্ত। রাতের তারাদের চেনাতে তাদের শিক্ষয়িত্রীরা নিয়ে যেতেন সন্ধ্যার [আরো পড়ুন]
Read More
ওঁ অগ্নিমীলে
ঠিক যেমন শীতকালের শুকনো ত্বকে নখ টানলে খড়ি ফোটে। বর্তমান সময় বুঝি অমনই শীতার্ত এবং রুক্ষ। ছুঁলে শুধুই খড়ি ফোটে, কর্কশতার উদ্যাপ__
বাক্য শেষে হলদে কাগজের উপর কালি ফুরিয়ে যাওয়া নিবের সাদাটে খড়ি ফোটানো আঁকচিরা। আঁকচিরাটা দেখে হারিয়ে যাওয়া বাক্যগুলো ভেসে উঠল অণিমা দেবীর স্মৃতিপটে। তিনি অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন—ককর্শতার উদ্যাপন।
তারপর [আরো পড়ুন]
Read More
ড্রিম গার্ল
“ভগবান তোমার মঙ্গল করুক মা,” সোনালির হাত থেকে পাঁচশো টাকার নোটটা নিয়ে কপালে ঠেকাল প্রাণহরি। তারপর সেটাকে লুঙ্গির গেঁজেতে পুরে পায়ের কাছে পড়ে থাকা বাজারের ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা দিল বড়ো রাস্তার দিকে। সাড়ে তিনশোতে রফা হয়েছিল, দেড়শো টাকা বাড়তি দিয়েছে অরুণ বিশ্বাসের কচি বউ। তবে বিশ্বাসদের যা ঠাটবাট, তাতে এমন অনেক পাঁচশোর নোট বিশ্বাস-বউয়ের [আরো পড়ুন]
Read More
এক প্রপঞ্চর সমাপ্তি
[বি. দ্র.: এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার ‘সপ্তম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা’ (শারদীয়া ২০২২)-য় প্রকাশিত আমার গল্প ‘এক প্রহেলিকার জন্ম’-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।]
এক
২১ ডিসেম্বর ২০১২, কলকাতা:
চারিদিকে উৎসবের আমেজ। পার্কস্ট্রিট অঞ্চলে সাজো সাজো রব। [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ বিপ্লবে
১
সফলতা জিনিসটা চট করে হাতের মুঠোয় আসতে চায় না, শশাঙ্কের। তিনি এক নাম না হওয়া এক ব্যর্থ বিজ্ঞানী। স্বপ্ন ভাঙতে ভাঙতে আজ অবশিষ্ট বলে আর কিছুই নেই। আজ ত্রিশ বছর ধরে লেগে আছে এই গবেষণাতে—কতজন ছাত্র এল গেল আর কতজনই বা থাকল। যৌবনের রাশিকৃত কালো চুল আজ সাদা, ভরাট দু’খানি গাল গেছে তুবড়ে, দু’একটা দাঁতও আজ স্মৃতির সরণিতে। তুমি তোমার এই ঢং নিয়েই [আরো পড়ুন]
Read More
ম্যাজেরিন
“And all my days are trances / And all my nightly dreams / Are where thy grey eye glances / And where thy footstep gleams—/ In what ethereal dances / By what eternal streams.”
১
ইদানীং ঘুম থেকে উঠে বুকের বাঁদিকে একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে এরিক। ব্যথাটা আস্তে আস্তে বুকের মধ্যেখানে ছড়িয়ে যায়,একটু পর আর কোনো অনুভূতি থাকে না। দু-একবার ভেবেছে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখিয়ে আসে কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেই উপায় হয়ে ওঠেনি। ইদানীং শরীরটাও ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
সূর্যহরণের পরে
এখন (রাত এগারোটা পাঁচ)
নিকষ কালো রাতে পাহাড়ের গা বেয়ে কোনোক্রমে উঠতে উঠতে রাকা ভাবছিল, উপলহ্রদটা আর কত দূর। সে খুব ভালো করেই জানে, দেরি হয়ে গেলে তার বুড়ি দিদিমার শরীরের একটুও উদ্ধার করার মতো থাকবে না। সবাই জানে, পাহাড়ের উপরে এই হ্রদটা ভালো জায়গা নয় – পূর্ণগ্রাসের ছায়ামূর্তিগুলো এখানে ঘুরে বেড়ায়; মানুষ পেলেই তার আত্মার সব শক্তি চুষে নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
পালের কাশু পথ
সে দিনটা ছিল বুধবার। মানে বুধবার যে ছিলই সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারও হতে পারে, শনি-মঙ্গলবার হওয়াও অসম্ভব নয়। মানে কোন একটা দিন ছিল আর কি। তা সেই বুধবার, কিম্বা বৃহস্পতিবার, সক্কাল সক্কাল বাস থেকে নেমে হাঁটা দিয়েছি শ্যামবাজারের একটা রাস্তা ধরে। মানে রাস্তাটা যে শ্যামবাজারেরই সে কথা অবশ্য ঠিক নিশ্চিত [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বীপ
প্রতি রাতের মতো আজও ঘুমটা ভেঙে গেল। সেই একই স্বপ্ন ভেসে ভেসে আসছে বারবার… বারবার! কোনো এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীর পরিচালনায় যেন এই দুঃস্বপ্নটা মঞ্চস্থ হচ্ছে রোজ। রোজ রাতে আমার শরীর যখনই ক্লান্ত হয়ে এই এক কামরার ফ্ল্যাটটার এককোনায় রাখা বিছানাটায় গা এলিয়ে দেয়, ভেবে নেয় চোখ বুঝলেই হয়তো নেমে আসবে নিশ্চিত নিদ্রা ঠিক তখনই এই [আরো পড়ুন]
Read More
কোলাহলের সন্তান
পিঠে কী একটা হয়েছে। মেরুদণ্ড বরাবর। সুতি হাত দিয়ে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা করল। ওই অংশের চামড়াটা যেন পুরু হয়ে গিয়েছে। এবড়োখেবড়ো। আঙুল ঘষতেই খরখর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল ওর। তারপর কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে রইল। বাইরে পাখি ডাকছে। নীল শালিকদের কিচির মিচির। জোড়া মৌটুসির গান। একটা গাঢ়কাকের কর্কশ ডাক। বেলা শেষ হয়ে আসছে।
Read More
রিগিং
ডেটা-সলভ করপোরেশনের মিটিং রুমের সামনে সবাই ঘোরাফেরা করছে। এম-ডি পুরো টেকনিকাল টিমের মিটিং ডেকেছেন। গুজব শোনা যাচ্ছে যে অনেক দিন পরে নাকি ডেটা-সলভ একটা বিরাট গভর্নমেন্ট অর্ডার পেয়েছে।
সাত্যকি পাল একজন সিনিয়ার অ্যানালিস্ট। সে একটু নার্ভাস বোধ করছে। কারণ যদি গোলমেলে কাজ হয়, এম-ডি-র স্বাভাবিক প্রবণতা হল সেটা তার দিকে ঠেলে দেয়া। [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রবালিকা
মার্চ মাস। আন্টার্কটিকার ক্যাস্টিলো টু বেস স্টেশন। লারশেনফিল্ড গ্লেশিয়ারের পাশে বেরট্রাব নুনাটাকের উপর। জায়গাটা লিটলউড নুনাটাকের থেকে আরো দশ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ পশ্চিমে। এর কাছেই দুটো ছোট ছোট নুনাটাক মাথা তুলে রয়েছে। নুনাটাক মানে হল পাহাড়ের চূড়া, হাজার ফুট পুরু বরফের স্তরের উপরে দ্বীপের মতো জেগে রয়েছে।
এখানে মেটাল [আরো পড়ুন]
Read More
সময়যাত্রিণী
টিনা – বর্তমান – বয়স আঠারো
বিরাট মেশিনটার মধ্যে আলোগুলো দপদপ করছে, আমি সেটাই দেখছিলাম। মেশিনটা পুরো চার্জড অবস্থায় আছে।
আবার প্যানেলটা চেক করলাম। এই জবরজং সুরক্ষা-সুট, আগাপাশতলা মোটা রাবারের প্রলেপ দেওয়া বুট আর গলা অবধি ঢাকা হেলমেট পরে আমাকে যে শুধু দেখতে বিদঘুটে লাগছে, তা নয়, তার সঙ্গে এই এতটা বাড়তি ওজনের জন্য আমার হাঁটাচলা [আরো পড়ুন]
Read More
চাঁদের পাথর দিয়ে
“তুমি কী এইগুলো দেখেছ, রমেশ?”
“না তো। এই ছবিগুলো কবে এল? জুম কর। আর প্রিন্টও বের কর”।
“কালকে পাঠিয়েছে। তুমি তো কাল আসনি— কেন? সব ঠিকঠাক তো?”
“হ্যাঁ, একটু বাড়ির কাজ পড়ে গেছিল। ছবিগুলি মেইল করেছে?”
“হ্যাঁ। লুনার অবজারভেটরি সেন্টার পাঠিয়েছে। বলছে ওদের যে লেটেস্ট চন্দ্রযানটা পাঠিয়েছে সেটাই নাকি এই ছবিগুলো পাঠিয়েছে।
ছবিগুলোর অক্ষাংশ [আরো পড়ুন]
Read More
হস্তপাশ
এক
‘তিন্নি, একবার আমাদের বাড়িতে আসবি?’
মৌয়ের গলা একটু অন্যরকম লাগল। এমনিতে মৌ ভীষণ হাসিখুশি, ফুর্তিবাজ মেয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওর গলায় উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে রে?’
‘তুই আয় না। ফোনে বোঝানো যাবে না’।
ঘড়ি দেখলাম। সওয়া পাঁচটা। বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যাবে। কিন্তু মৌয়ের স্বরে কিছু একটা ছিল যাতে মনে হল [আরো পড়ুন]
Read More
ধোঁয়া
প্রাক-কথন
“স্যার, কাজটা আমাদের এখানেই আটকাতে হবে, নাহলে যে সর্বনাশ হবে!”- বিখ্যাত বিজ্ঞানী সুদর্শন বোসের দিকে তাকিয়ে জানাল অরিন্দম।
“আচ্ছা অরিন্দম – সবসময় কি কম্পিউটার সিমুলেশন পুরোপুরি একিউরেট হয় বলে তোমার মনে হয়?” প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর তীক্ষ্ণ চোখে সন্দেহ।
“তা হয়তো নয়। তবু আমাদের এই কাজের বেশিরভাগই তো সিমুলেশনের ওপর [আরো পড়ুন]
Read More
সুখের বড়ি
ঘুম ভাঙতেই সুজিতের রোজকার মতো কষ্ট হল। না আজ রাতেও সে কোনো স্বপ্ন দেখেনি। অথচ রোজ রাতে শুতে যাওয়ার সময় ও মনে মনে আশা করে একটা স্বপ্ন দেখার। ছোটোবেলায় যেমন দেখত। প্রজাপতির মতো হালকা বর্ণালী পাখাওলা কোনো মিষ্টি পরীর স্বপ্ন। অথবা ভয়ঙ্কর অন্ধকারের মতো কোনো রাক্ষসের দুঃস্বপ্ন। আগুনে চোখ আর বীভৎস চেহারা নিয়ে যে সুজিতকে তাড়া [আরো পড়ুন]
Read More
আত্মঘাতী নক্ষত্র
মহাকাশযানের পেছনের জেটগুলো বন্ধ করে দিল আগরওয়ালা। পেছনের জেটগুলো এতক্ষণ অদৃশ্য আগনের হলকা ছুড়ে মারছিল মহাশূন্যে। তারই জোরে প্রচণ্ড গতিতে সামনের দিকে ছুটে চলেছিল আগরওয়ালের মহাকাশযান। জেটগুলো বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামনের দিকে প্রচণ্ড এক ধাক্কা অনুভব করল সে। কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। গতি মন্থর হয়ে এল মহাকাশ [আরো পড়ুন]
Read More
এক প্রহেলিকার জন্ম
বিঃদ্রঃ- এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার “তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা”য় প্রকাশিত আমার গল্প “সময়ের আতঙ্কে”(https://kalpabiswa.in/article/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87/)-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।
এক
১৯৮১ সাল, ব্যারাকপুর:
গঙ্গার ঘাটে বসে ছেলেটা দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
হেলথ টনিক
১. বুদবুদ
ছয় জন ডুবুরি বঙ্গোপসাগরের জলতল থেকে কয়েক ফুট নীচ দিয়ে দক্ষিণ দিকে সাঁতরে আসছিল। প্রেশারাইজড পোশাকের পিঠে লাগানো প্রপেলার অবলীলায় জল কেটে তাদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ছয় জনের হাতে ধরা বিরাট জাল, তাতে জড়িয়ে আছে কিছু নতুন প্রজাতির আগাছা। সমুদ্রের স্বচ্ছ জলের নীচে পিছনে সরে যাচ্ছে মহীসোপানের সমতল ভূমি, তাতে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত [আরো পড়ুন]
Read More
আদিম
সভা
সামনে বিস্তীর্ণ জলাভূমি। দূষণহীন বাতাস পেরিয়ে তীক্ষ্ণ সূর্যের আলো উত্তাপ ছড়াচ্ছে মনের আনন্দে। যত দূর চোখ যায় চিকচিক করছে জলাভূমি। জলাভূমির মাঝখানে আছে এক সুবিশাল গভীর সরোবর। ওই সরোবরে দেবী পেরপিউরুনা, দুটি শুঁড়ের মাথার ওপরের বসানো চোখ দুটো বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কে জানে কত সময় ধরে। এখানকার জল ও জমি দুই লালচে কালো; [আরো পড়ুন]
Read More
লুব্ধক: ১৮
“অনুপলাল?”
“কল হোনেওয়ালা টেলি-কনফারেন্স কা খবর লিয়া?”
খচমচ খচমচ করতে করতে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এল হৃষ্টপুষ্ট চেহারার অনুপলাল। পেশার চেয়ে নেশাই তাকে বেশি বিখ্যাত করেছে। তার প্রিয় নেশা খাদ্য। পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা তাকে দেখলেই ‘মোটে মাল’ বলে খ্যাপায়, ছড়া কাটে:
মোটে মাল খাস্তা
পুরি কচৌরি নাশতা
পুরি কচৌরি ঘট গিয়া (কমে গেছে)
মোটে মাল উলট গিয়া।
Read More
সময় সরণি, এক স্বপ্নের খোঁজ
১
– এমন অমঙ্গুলে কথা সাতসকালে কী না বললেই নয়, প্রফুল্ল! ছেলেটা আমাদের কতদিন হল বাইরে গেছে, ভালো চিন্তা কর। সেও ভালো থাকবে, তার সঙ্গে আমরাও। তার চেয়ে গোবিন্দ ভজ, হৃদয়ে শান্তি পাবে।
– তোমরা বাবারা বড্ড পাষাণ। মায়েদের হৃদয় তোমরা কী বুঝবে! বিদেশ যাওয়ার দুই বছরে ছেলেটা একবারও বাড়ি এসেছে? যাওয়ার আর জায়গা পেল না, এক্কারে বিদেশ। অনেক হয়েছে, আর না, এবারে তাকে বাড়ি আসতে বল।
Read More
দায়
একটা কোলাহলের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল আমার। বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি বাড়ির পাশ দিয়ে জনা চার-পাঁচেক লোক একরকম পাঁজাকোলা করেই একটা বয়স্ক মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। ওরা সবাই প্রায় আমার মুখচেনা। এ পাড়াতেই থাকে। কিন্তু এই রাতদুপুরে হঠাৎ কী কারণে এভাবে ছুটোছুটি করছে, সেটা বুঝলাম খানিক পরে আমার বাড়ি মালিক [আরো পড়ুন]
Read More
হস্তীসঙ্গীত
अपरेयमितस्त्वन्यां प्रकृतिं विद्धि मे पराम् |
जीवभूतां महाबाहो ययेदं धार्यते जगत् ||
১
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে যখন প্রথমবার আসি, আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিল এই সুপ্রাচীন আদিম অরণ্য দেখে। কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলে বড় হওয়া শিশু মনে প্রশ্ন জেগেছিল, পৃথিবীর কোথাও এত গাছ থাকতে পারে? এখন, তিন দশক পর ডোঙ্গিরিতে কাজের সুত্রে ফিরে [আরো পড়ুন]
Read More
হোমো সুপিরিয়র
কাচের জানলা দিয়ে বাইরের তালশাঁসরঙা আকাশটার দিকে থম মেরে তাকিয়ে ছিল ইরাবতী। মুখভার করে থাকা আকাশটার মতো ওরও মন ভালো নেই। ঘুম থেকে উঠে সে পেটে একটা খিঁচুনি টের পায়। প্রায় দৌড়ে বাথরুমে ঢোকে। ওর দুটো পা দিয়ে দরদর করে নেমে আসছে রক্তের ধারা। একটা রক্তের পুটুলি বেরিয়ে আসে বাথরুমের মেঝেতে। রক্তে ভেসে গেল বাথরুমের মেঝে। স্পন্টেনিয়াস [আরো পড়ুন]
Read More
ইডেন
আজ ইভার মন খুশিতে মাতোয়ারা।
অনেকদিন পর মনের মানুষ অদম্যের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। হবু বরটা একদম গোবর গণেশ। আন-রোমান্টিক। তার ওপর কাজ-পাগল। ইভাকে সময় দেওয়ার মতন সময় অদম্যের থাকেই না বলেই চলে। তা সত্ত্বেও ‘ট্যাড়া হ্যায় পর মেরা হ্যায়’ বলে ইভা নিজের মতন মানিয়ে নিয়েছে।
রেস্টুরেন্টের ছাদখানা ভারী চমৎকার! [আরো পড়ুন]
Read More
মরণের মুখে রেখে
মানুষ চায় অনেক কিছু; কিছু পায়, কিছু পায় না; কেউ পায়, কেউ পায় না। কালিদাস বিদ্যা চেয়েছিল, পেয়েওছিল; রাধা কৃষ্ণকে চেয়েও পায়নি।
শুক্লাও পায়নি।
শুক্লা বসু, এম.এ. সেকেন্ড ইয়ার, সংস্কৃত। বয়স তেইশ।
বিকেল ফুরিয়ে আসছে। সূর্য ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে দৃষ্টিসীমার ওপারে। বৈশাখের রিক্ত অপরাহ্ণে বাড়ি ফিরছে ক্লান্ত পাখির দল। ছাদের উপর দাঁড়িয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
জিন মানব রবীন্দ্রনাথ
রবি তখনও থরথর করে কাঁপছিল। চারপাশের জনতা তাকে ঘিরে উল্লাসে ফেটে পড়ছে। একজোড়া বলিষ্ঠ হাত হঠাৎ তাকে শূন্যে তুলে নিল। সে তখন মানুষের মিছিলের কাঁধ থেকে কাঁধে ছড়িয়ে পড়ছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে, জয় রবীন্দ্রনাথের জয়!
অথচ তখনও রবি ভেতর ভেতর টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল। জনতার আওয়াজ তার কানে অবধি পৌঁছচ্ছে, কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
পাষাণী
“কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? এই! এই যে! শুনতে পাচ্ছো না? তোমাকে বলছি! কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাদের?”
একটা তীব্র রিনরিনে কণ্ঠস্বর দেওয়ালের গায়ে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে ফিরে আসছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকার এই সুড়ঙ্গ পথটা ভীষণ ঠাণ্ডা। বাইরের পৃথিবীর কোনও আওয়াজ এখানে কোনওদিন ঢুকেছে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র কয়েক জোড়া পায়ের মৃদু শব্দ আর অস্পষ্ট ফোঁপানি। [আরো পড়ুন]
Read More
আসিমভের গোয়েন্দাগিরি
“আমরা ড. আসিমভের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
রোবট দুটির মধ্যে যার দেহটি একদম ধাতব এবং রুপোলি রঙের মধ্যে একটা নীলচে আভা খেলে যাচ্ছে সে-ই বলে উঠল রিসেপশন ডেস্কে এসে ।
“কিন্তু উনি তো কনফারেন্সে আছেন,” রিসেপশন ডেস্ক থেকে সুসান বলল। “কী দরকার শুনি? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তো দেখা হবে না।” বলেই সুসান কম্পিউটারে ক্যালেন্ডার খুলে বসল।
ওদিকে চকচকে বার্নিশ [আরো পড়ুন]
Read More
গামবারাগারার সাদা মানুষ
অরিন্দমদার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ আফ্রিকায়। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ের নীচে রুবোনি নামে একটা জায়গায়। এটা উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা থেকে প্রায় পৌনে চারশো কিলোমিটার দূরে। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ে ওঠার প্রথম ক্যাম্প। একটা সাফারি ভ্যান আমাকে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
রুবোনি ক্যাম্পে কয়েকটা টিনের ছাউনি দেওয়া কাঠের আর পাথরের ঘর আছে। একটা হলের মতো লাউঞ্জ। আধুনিক [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতিদের শীর্ষবিন্দু
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় শান্তনুর, প্রায় অন্ধকার কম্পার্টমেন্ট, শীতের রাত, সকলেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে, শুধু একটানা ট্রেনের শব্দ আর ঝাঁকুনি, বাথরুমের কাছে হলুদ আলোটা জ্বলছে, ঘুম চোখে সেই আবছা আলোয় সবকিছু কেমন মায়াবী লাগে শান্তনুর।
সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেনটা ছুটছে, শান্তনুর মনে পরে সে যখন ঘুমিয়েছিল তখন ট্রেনটা দাঁড়িয়েছিল। কটা [আরো পড়ুন]
Read More
পিথ্রিবাবু ও আশ্চর্য ছক্কা
(সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে নিবেদিত শ্রদ্ধার্ঘ্য)
আমার নাম পরমেশ্বর পাকড়াশি। তবে লোকে পিথ্রিবাবু বলেই ডাকে— প্রোফেসর পরমেশ্বর পাকড়াশি। প্রোফেসরি করেছি অবিশ্যি বহুকাল আগে। কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে ফিজিক্স পড়াতাম। পড়ানোর থেকে গবেষণাই বেশি পছন্দের ছিল বলে কলেজের কাজ ছেড়ে রাঁচির কাছে জোনায় পৈত্রিক বাড়িতে [আরো পড়ুন]
Read More
ডাইন
বড়দিনের ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাবার প্রস্তাবটা রক্তিমের। প্রস্তাবটা পাওয়া মাত্র অদ্রিজা লুফে নিল। ঘাটশিলায় ওদের পৈত্রিক বাড়িটা এখন ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঠিক হল, ওই বাড়িতেই দিন দুয়েক থাকা যাবে। শুক্রবার ওরা চারজন রক্তিম, জয়ন্ত, সৌমী আর অদ্রিজা রওনা দিল ঘাটশিলার উদ্দেশে।
ঘাটশিলা স্টেশনে যখন নামল তখন বিকাল। পশ্চিমদিগন্তে লাল বলের মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দেবদূত
প্রারম্ভিকা
বিশাল কালো প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত শহরটি। সেটাকে ঘিরে আছে বিশাল ধূসর দেয়াল। এক রাস্তা যোগ হয়েছে মূল ফটকের সঙ্গে। ফটকের দুই পাশে দুটো বেদি, এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মূর্তি। একটা সাদা শ্বেত পাথরের, আরেকটা কালো কষ্টি পাথর। একটা দেবদূতের, আরেকটা কালদূত। দুটো প্রকাশ করে শহরের সাম্যতা, সঙ্গে অস্তিত্ব।
কথিত আছে, যদি শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
কোন সে কবির ছন্দ বাজে
জন্মান্তর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত জানি, ওই মেয়েটিকে আমি চিনি। কোথায় তাকে দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কিন্তু ওকে আমি চিনি, চিনি, চিনি। ওই চোখের দৃষ্টি, ওই ভ্রূভঙ্গি, ওই ঠিকরে পড়া আলোর ঝলক— ও আমি নিশ্চিত কোথাও দেখেছি আগে। হয়তো এই জন্মে, হয়তো গতজন্মে— যদি গতজন্ম বলে সত্যিই কিছু থাকে।
স্বপ্নে সে এসেছিল আমার কাছে। প্রায়ই [আরো পড়ুন]
Read More
বাতাসে বিনাশ বার্তা
টেবিলের ওপর সাজান সিদ্ধ ভাতের তৈরি সাদা, শাঙ্কব পাহাড়ের সারি; কলা পাতায় উৎসর্গ করা চাল, পাখির ডিম, বিভিন্ন ফলমূল, ছত্রাক। আজ রিনচেনদের বাড়িতে পুজো, লেপচা ভাষায় ‘রাম ফাট্’। প্রাচীন মুন ধর্মবিধি মেনে উপাসক সিমিক বংথিং এবং উপাসিকা রেণু মুন সামান্য ‘চি’ পান করে পুজোয় বসেছেন। সকাল থেকেই কুয়াশার ধুসর পর্দায় মুখ ঢেকেছে গ্রামের [আরো পড়ুন]
Read More
জল
একটা বয়সে পৌঁছোলে মানুষের কাছে জন্মদিনের আলাদা করে কোনও অর্থ থাকে না। তবু, অঙ্গদ যখন সকালে বলল যে আজ আমার জন্য রান্নার মেনুটা একটু অন্যরকম হবে, তখন বেশ ভালো লাগল। তারপর রজত হাজির হল ওর বাগানের একগোছা ফুল নিয়ে। তবে জন্মদিন হলেও ওর রোজকার বকুনির হাত থেকে আমি রেহাই পেলাম না।
“এইসব যন্ত্রপাতি আর নয়, সারস্বত!” ‘নেচার’– [আরো পড়ুন]
Read More
ওসেনবোরো
বুড়োটা শালা অসুস্থ নাকি!
কথাটা বাসুর মনের মধ্যে ভেসে উঠেই হারিয়ে গেল। সামনে বসে থাকা বৃদ্ধের চোখেমুখে এক অসহায় ভয় আর আতঙ্ক খেলা করে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মুখচ্ছবির সঙ্গে বাসু যথেষ্ট পরিচিত। চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলে মানুষের মুখ চোখ এরকম হয়ে যায়। অনেক সময় বাসুকে দেখলেও… হবে নাই বা কেন? মৃত্যু আর ভয় নিয়েই তো তার [আরো পড়ুন]
Read More
অযান্ত্রিক
অন্ধকার রাতে কেউ নেই পথে। মশালগুলো হাওয়ার সঙ্গে যুঝে উঠতে পারছে না কিছুতেই। আগুনের শিখাগুলো ভূমধ্যসাগরীয় হাওয়ার দাপটে বিদ্রোহী চাষীদের মতন কাঁধ নুইঁয়ে অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুকুরগুলো কোনও এক কোনে গলা মিলিয়ে কান্না জুড়েছে। একাকী পথে কাঁপতে কাঁপতে পথ চলেছে মাঝবয়েসী ইয়াসোনাস। বাপ-মা ভেবেছিল ছেলে বড় [আরো পড়ুন]
Read More