অন্তিম কোড
জলখাবার খেয়ে প্রফেসার বিনোদ দেশাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। প্রায় সময় হয়ে এসেছে। চোখ বন্ধ করে সোফায় বসে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন তিনি। অনুভব করলেন ওঁর হৃদয়ের গতি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। নিজের নিশ্বাস প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পালসের গতি ধীরে ধীরে নাবিয়ে আনলেন মি. দেশাই। প্রায় পঁচাশি! এর চেয়ে কমানো সম্ভব নয় এই পরিস্থিতিতে। [আরো পড়ুন]
Read More
ইচ্ছেপূরণ
চোখ খুলেই আবার বন্ধ করে নিলেন অমলবাবু। এত আলো! একটু পরে আবার সাবধানে চোখ খুললেন। হাসি হাসি মুখে একটা মেয়ে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে। ওর পোশাক দেখে চিনতে পারলেন অমলবাবু। নার্স। এবং তিনি হাসপাতালে। তার মানে এখনও উনি বেঁচে আছেন? কিন্তু তা তো হওয়ার কথা নয়। নাকি তিনি স্বপ্ন দেখছেন?
‘সব ঠিক আছে তো?’ আরও একটা মহিলার গলা কানে এল। গলায় উদ্বেগের ছাপ।
Read More
হস্তপাশ
এক
‘তিন্নি, একবার আমাদের বাড়িতে আসবি?’
মৌয়ের গলা একটু অন্যরকম লাগল। এমনিতে মৌ ভীষণ হাসিখুশি, ফুর্তিবাজ মেয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওর গলায় উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে রে?’
‘তুই আয় না। ফোনে বোঝানো যাবে না’।
ঘড়ি দেখলাম। সওয়া পাঁচটা। বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যাবে। কিন্তু মৌয়ের স্বরে কিছু একটা ছিল যাতে মনে হল [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন
এক
একটা সরু গলির মধ্যে আচমকাই দোকানটা খুঁজে পেয়ে গেল রবিন। ছোট্ট একটা পানের দোকানের সাইজের খোপের মধ্যে কয়েকটা সস্তা চশমা সাজানো রয়েছে। কাউন্টারের পেছনে প্রচণ্ড রোগা, দাঁতে পানের ছোপওয়ালা এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে। বয়স আনুমানিক ষাট থেকে সত্তরের মধ্যে।
ভদ্রলোকের সামনে চোখের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বাড়িয়ে দিল রবিন। কাগজটা তুলে চোখের [আরো পড়ুন]
Read More
ডিলিট
গাড়িটাকে কার পার্কে রেখে ব্যাকভিউ মিরারে নিজেকে একবার দেখে নিল জুলেখা। কপালে ঝুলন্ত চুলের গোছাকে একটু ছড়িয়ে রুমাল দিয়ে চোখের পাতা আর গাল একবার আলতো করে মুছে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল সে। রনি ওর কপালের ছড়ানো চুল নিজের হাতে সরিয়ে দিতে পছন্দ করে। বেশ কয়েকমাস আগে সে ওর অগোছালো চুল দেখে মন্তব্য করেছিল ‘কেয়ারলেস বিউটি’। কথাটা ক্লিশে হলেও মনে রয়ে গেছে জুলেখার।
Read More
কৃত্রিম
ক্যাফেতে পৌঁছে একটু এদিক ওদিক তাকাতেই মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে গেলেন আসিফা। যতটা কমবয়সি মনে হয়েছিল ফোনে, ততটা নয়। অন্তত তিরিশ বছর বয়স তো হবেই। চেহারায় কোনও চটক নেই, তবে দেখতে সুশ্রী। ওঁকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিল জ্যোতি। হ্যান্ডশেকের পর ছোট্ট টেবিলটার দুদিকের চেয়ার দখল করল দুজনে।
ভালো করে জ্যোতির দিকে তাকিয়ে দেখলেন আসিফা। রোগা ছিপছিপে [আরো পড়ুন]
Read More
কালচক্র
একটু দেরি হয়ে গেল মার্কের। তবে বেশি নয়, সকালে রাস্তা খালি থাকার কথা; তাহলেই মেক আপ হয়ে যাবে। অ্যাপে ম্যাপটা আরেকবার দেখে নিল সে। আরও সাতাশ কিলোমিটার, মানে প্রায় চল্লিশ মিনিট। এক ঘণ্টা লাগলেও ঠিক আছে। ওখানে গিয়ে মিঃ দত্তর সঙ্গে কাজ সাকুল্যে দশ মিনিটের, যদিও আধ ঘণ্টা ধরেছে সে। ভারতে কিছুই বলা যায়না, বরং সে যদি তাড়াতাড়ি পৌঁচে যায় এয়ারপোর্টে, অতিরিক্ত সময়টা বই হাতে কাটিয়ে দেবে সে।
Read More