কুরুক্ষেত্র হাইওয়ে
তিন বসন্ত সতেরো দিন পরে এবার বুঝি প্রতীক্ষার অবসান। শেফালি নদীর কোলে পলাশপুর গ্রাম ছেড়ে পালানোর কাহিনি বহুদিন হল স্বেচ্ছায় মনের কোণে নির্বাসিত করেছে রীতা। অকারণে নিজেকে অস্থির করতে চায় না বলে। মশালের দাউদাউ রক্ত যখন হিংস্র ছুটে বেড়াচ্ছিল তাদের গ্রামের কিনারায় রীতার হাসির উচ্ছ্বাসে ঘুম ভেঙে ককিয়ে উঠেছিল শহর-সড়কের দু-ধারে ধোঁয়াটে [আরো পড়ুন]
Read More
জাল বানাল যুধিষ্ঠির
লেটার বক্সের ফোকর দিয়ে ইলেকট্রিকের নীল বিলটা উঁকি মারছে। বিলটা টেনে নেওয়ার পরে দেখি তার পেছনে দুটো ইনল্যান্ড লেটার রয়েছে। সন্ধেবেলা, তাই স্পষ্টভাবে হাতের লেখা পড়া যাচ্ছে না—কিন্তু তার দরকারই বা কী! একটা ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা আর অন্যটা বাংলায়, এটা বোঝা যাচ্ছে। তারপরে আর হস্তাক্ষর বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। আমার দুই কাকার চিঠি এসেছে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
ঝন্টুমামার ছিপি
অপমানিত হয়েছেন ঝন্টুমামা।
তারপর থেকেই আমরা তাঁর আশ্রিত জীব হিসেবে বাস করছি। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক যাঁর তোলা ফটো ছেপে কৃতার্থ হয়, এমন একটা মানুষ নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে উঠলে এ ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়।
ক-দিন ধরে ঝন্টুমামার হুকুমে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানান রোমাঞ্চকর কাহিনি আউড়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাঁর ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন মধুমিডা
বাঘডোগরা এয়ারপোর্ট পিছনে ফেলে মিনিট কুড়ি বড়ো জোর। দু-চারটে বাঁক। গহন বন দু-পাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাড়িটার ওপর। ঝিঁঝির ডাক ডুবিয়ে আলো ছায়ায় আঁকা পাতার জাফরি মাড়িয়ে ছুটে চলেছে কন্টেসা।
পিছনের সিটে সুজন তার বাঁ দিকের জানলার কাচটা তুলে দিয়ে মাফলারটা আরেকটু সামলে নিল। কিন্তু মাঝখানে বসেও প্রায় কাঁপুনি লাগার জোগাড় নিলয়ের। [আরো পড়ুন]
Read More
চাঁদের মাঠে ওয়ান ডে
১
“হ্যালো! আবির? আমি দিব্য বলছি!” সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে পারল না আবির। “শুনছিস? কাল সুপারটাউনের সঙ্গে ম্যাচ। ঠিক এগারোটায়…”
“সরি। কাল আমার মর্নিং ডিউটি— দুটোয় ছুটি!”
“শোন আবির!” গলাটা নামিয়ে দিব্য যেন খুব গোপনীয় খবর ফাঁস করার ভঙ্গিতে বলল, “কালকের ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব কথা এখন বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কাল যদি না খেলিস খুব ভুল করবি।”
Read More
The Sanctuary of Modhumida
The warm touch of a glow-worm bird, almost as big as a pigeon, breaks his sleep. That dream again! It has returned to Bidur after an interval of several days.
Bidur throws a slanting glance at Srimati. She is still in deep sleep, dishevelled and content.
Bidur instantly closes his eyes as if to shut out the revelation of any deep secret. The mind travelled back to the days when he had started to smoke. The cautious way in which he kept his face away and talked with the minimum movement of lips to avoid detection.
Forbidden thoughts wrapped in coloured covers! For the first time in their twenty-two years of conjugal life, he is indulging in guilty fantasies.
In spite of all his efforts, he cannot exercise any self-control. His hand is now unconsciously playing with the steering of his car. Again, he is late for his office today. The vacation, instead of rejuvenating him, has produced exactly the opposite result. He has become rather lax in his duties.
Read More
ভারতীয় বিজ্ঞানের বিস্মৃত স্বধর্ম ও সত্যজিৎ রায়
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু একটা মাত্র গল্প লিখেছেন এবং সেটা এস.এফ. বা সায়েন্স ফিকশন। আর সত্যজিৎ বাংলায় প্রথম যে গল্পটা লেখেন সেটা এস.এফ.। বাংলার কৃতী সাহিত্যিকদের মধ্যে দ্বিতীয় জন নেই যিনি সায়েন্স ফিকশন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন। জগদীশচন্দ্র ও সত্যজিতের মধ্যে এস.এফ. সম্পর্ক আরও বেশ কিছু সূত্রে গ্রথিত। ছদ্মনামে লেখা জগদীশচন্দ্রের [আরো পড়ুন]
Read More
অভয়ারণ্য মধুমিডা
পায়রার মতো বড়সড় চেহারার একটা জোনাকি পাখির ছোঁয়া ঘুম ভাঙিয়ে দিল। অনেকদিন বাদে এমন স্বপ্ন দেখল বিদুর।
আড় চোখে তাকাল শ্রীমতীর দিকে। এখনও গভীর ঘুমে অগোছালো আর নিশ্চিন্ত।
যেন ধরা পড়ার ভয়ে চোখ বুজে ফেলল বিদুর। সেই প্রথম সিগারেট টানার দিনগুলোর মতো। কেউ টের পাবে না জেনেও দূরে মুখ সরিয়ে রাখা, ঠোঁট টিপে কথা।
রঙিন আবরণে নিষিদ্ধ চিন্তা। [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন – সির্দ্ধাথ ঘোষের কলমে
শেষ পর্ব
বাংলা সায়েন্স ফিকশনের ঐতিহ্য
বিক্ষুব্ধ সমুদ্রকে শাসনের জন্য ভাগ্নে এইচ. বোসের (হেমেন্দ্রমোহন বসুর) তৈরি এক শিশি ‘কুন্তলীন’ তেল ঢেলে অদ্ভুত ফল পেয়েছিলেন জগদীশ্চন্দ্র বসু। একটি অনবদ্য এস.এফ কাহিনী। বাংলা ছোটগল্পের জন্য প্রতি বছর ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার প্রবর্তনের প্রথম বর্ষেই, ১৩০৩ সালে ‘কুন্তলীন পুরস্কার’ গ্রন্থে ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ মুদ্রিত [আরো পড়ুন]
Read More
সায়েন্স ফিকশন – সির্দ্ধাথ ঘোষের কলমে
প্রথম পর্ব
একটি পরিভাষার জন্ম
বিশ্বের প্রথম নিছক সায়েন্স ফিকশন বিষয়ক পত্রিকাটি আমেরিকার পত্রিকা বিপণিতে আত্মপ্রকাশ করে ১৯২৬-এর ৫ এপ্রিল। যদিও ‘সায়েন্স ফিকশন’ পরিভাষাটি তখনো তৈরী হয় নি। ‘অ্যামেজিং স্টোরিজ’ নামে এই পত্রিকার সম্পাদক হিউগো গার্নসব্যাক-এর কলমেই তিন বছর পরে পরিভাষাটির জন্ম। ‘অ্যামেজিং স্টোরিজ’–এর প্রবর্তন সূত্রেই প্রকাশনার একটি শাখা ও সাহিত্যের [আরো পড়ুন]
Read More